#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
৫.
~
সকালে সূর্যের নরম আলোটা চোখে পড়তেই পিট পিট করে চোখ খুলে অনু।চোখ খুলে দেখে সে বারান্দায় ঘুমিয়ে গিয়েছিলো।তবে এটা নতুন কিছু না প্রায়ই রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বারান্দার দরজার পাশে হেলান দিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে যায় টেরই পায় না সে।ঘুম ঘুম চোখে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসে অনু;তারপর যায় তার মার রুমে।অনুর আম্মু মিসেস রাহেলা বেগম উল্টো পাশে মুখ করে ঘুমাচ্ছে।অনু ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে তার মার পাশে বসে।রাহেলা বেগমের পাশে বসতেই অনু দেখে তিনি অনুর বাবার একটা ছবিকে বুকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছেন।প্রতিদিনকার অভ্যাস তার;অনু ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে ছবিটা সরিয়ে নিতেই রাহেলা বেগম ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে।তারপর চিন্তিত মুখে অনুকে উদ্দেশ্য করে বলে ,
”অনু তোর বাবা এখনো বাজার থেকে ফেরেনি?কি এমন বাজার করছে বলতো যে এখনো উনার বাজার করা শেষই হচ্ছে না;দাড়া আমি কল দিচ্ছি।”
কথাটা বলে উনি ফোনটা হাতে নেয়।তারপর কিছু একটা ভেবে অনুকে বলে ,
”আমার ফোনে তো বেলেন্স নেয়।তুই তোর ফোন দিয়ে একটা কল দে না মা।দেখ না তোর বাবাটা এখনো আসছে না কেন?”
মার কথা শুনে অনু তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে ,
”বাবা চলে আসবে মা।তুমি চিন্তা করো না ।”
রাহেলা বেগম মাথা উঠিয়ে অনুর গালে হাত রেখে বলে ,
”তোর বাবা আসবে তো ?আবার আমার সাথে রাগ করে যদি বাড়ি না ফেরে!তোর বাবাকে বল আমি আর উনার উপর চিৎকার চেঁচামেচি করবো না।তুই বল না মা উনাকে তাড়াতাড়ি চলে আসতে।”
রাহেলা বেগমের এটা নিত্যদিনের অভ্যাস।যবে থেকে অনুর বাবা তাদের থেকে হারিয়ে গিয়েছে তবে থেকে অনুর মার এমন পাগল পাগল অবস্থা।অনুর বাবার এভাবে উধাও হয়ে যাওয়াটা যেন তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি;এইরকমই ১ বছর আগে কোনো একদিন অনুর বাবা পারভেজ আহমেদ বাজারের জন্য গিয়েছিলেন।কিন্তু আর ফেরেননি;অনেক থানা পুলিশ করা হয়েছিল কিন্তু কোনো লাভ হয়নি;১ বছর পর্যন্ত তদন্ত চালিয়েও যখন পারভেজ আহমেদকে খুঁজে পাওয়া যায়নি তখন পুলিশদের পক্ষ থেকে তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু অনু এখনো তার বাবাকে খুঁজে যাচ্ছে;সে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তার বাবা ঠিক একদিন তাদের কাছে ফিরে আসবে।স্বামীকে হারিয়ে রাহেলা বেগম দিশেহারা হয়ে গিয়েছে।মাঝে মাঝে বুঝতে পারেন উনার স্বামী হারিয়ে গেছে তখন অনুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে আর বলে”কোথায় গিয়েছে তোর বাবা?কেন তাকে কেউ খুঁজে পাচ্ছে না?আর কি কখনো ফিরবে না উনি?”আবার যখন অবুঝ হয়ে যায় তখন এই ধরণের কথা গুলো বলে যে”অনু তোর বাবা তো বাজারে গিয়েছে তাকে বল তোর জন্য একটা লাল টুকটুকে বেনারসি নিয়ে আসতে;আর তোর জন্য একটা রাজপুত্রও নিয়ে আসতে।আমরা সেই রাজপুত্রের সাথে আমাদের রাজকন্যার বিয়ে দিবো।”কথা গুলো বলেই উনি তখন খিলখিল করে বাচ্চাদের মতো হাসতেন।আর অনু এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মায়ের সেই অমায়িক হাসিটা দেখতো।এই পরিস্থিতির সাথে নিজেকে সে মানিয়ে নিয়েছিল;মা অসুস্থ থাকায় পুরো সংসারটা একাই সামলাচ্ছিলো অনু।নিজেকে নিজের মাকে সামলিয়ে ভালো ভাবেই চলতে পারছিলো সে।কিন্তু রাত হলেই আর নিজেকে ধরে না রাখতে পেরে নিজেও কান্নায় ভেঙে পরে;
.
দিনের বেলার সূর্যের আলোটা এই অন্ধকারের বিশাল গভীরতাকে ভেদ করতে পারছেনা।সারা শরীরে অসহ্য রকমের যন্ত্রনা নিয়ে মাটিতে কাতরাচ্ছে পারভেজ আহমেদ।তার জানা নেয় কেন তাকে এত কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে!বিনা দোষেই তিনি ১ বছর ধরে এই যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন।কিন্তু কাউকে তিনি এটাই বিশ্বাস করতে পারছে না যে তিনি নির্দোষ;হাত পা বাধা অবস্থায় বিছানার পাশে আধ মরা হয়ে পরে আছেন পারভেজ সাহেব;চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন তিনি।মৃত্যু বুঝি তার খুব সন্নিকটে।তার মেয়ের কথা ভীষণ মনে পড়ছে তার যদি শেষ বারের মতো একবার দেখতে পেত তাকে!যদি একবার বুকে জড়িয়ে আদর করে দিতে পারতো !কথা গুলো ভেবে নীরবেই চোখের জল ফেলেন তিনি।দরজার খোলার শব্দে পারভেজ সাহেব সচেতন দৃষ্টিতে সে দিকে তাকান।দরজার সামনের মানুষটিকে দেখে আতকে উঠেন তিনি।সেই মানুষটি ধীর পায়ে এসে তার সামনে বসে তার হাত পার বাঁধন খুলে দিয়ে তার দিকে একটা বিরিয়ানির পেকেট এগিয়ে দেয়।বিরিয়ানি দেখে পারভেজ সাহেব দ্রুত সেটা খাওয়া শুরু করেন;এত দ্রুত খাচ্ছেন মনে হচ্ছে কেউ যেন তার থেকে এটা কেড়ে নিবে।তাড়াতাড়ি খেতে গিয়ে বিষম খেলেন তিনি তখন পাশে থাকা মানুষটি তার দিকে একটা পানির বোতল এগিয়ে দেয় ।ঢক ঢক করে পুরো পানিটা খেয়ে ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলেন তিনি।তারপর সামনে থাকা লোকটির দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবেন’ফাঁসি দেয়ার আগে যেমন কয়েদিকে আদর যত্ন করা হয়;তেমনি তাকেও এখন আদর যত্ন করা হচ্ছে ‘
‘
খাওয়া শেষ হতেই সামনে থাকা মানুষটি একটি চেয়ার টেনে পারভেজ সাহেবের মুখোমুখি বসে তাকে প্রশ্ন করে ,
”তো আজ কি সত্যিটা বলবেন?নাকি আবার আমাকে নতুন কোনো শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে;কোনটা ?”
পারভেজ সাহেব বিনয়ের স্বরে বলেন,
”আমি সত্যিই কিছু জানি না বাবা;বিশ্বাস করো”
সামনে থাকা মানুষটি মোবাইল চাপতে চাপতে বলে,
”দেখুন মি.আপনি আমার বাবার বয়সী;আমারও আপনাকে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করে না কিন্তু আপনি যদি সত্যিটা বলেন তাহলে আমি আপনাকে ওয়াদা করছি আমি আজই আপনাকে আপনার পরবিবারের কাছে দিয়ে আসব।”
পারভেজ সাহেব ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে মাথা নিচু করে বলেন ,
”যখন আমি কিছু করিনি তখন আমি কিভাবে কিছু বলবো বলো!আমি সত্যিই কিছু জানি না.”
সামনে থাকা মানুষটি মোবাইল থেকে মাথা উঠিয়ে ক্ষুব্দ দৃষ্টিতে পারভেজ সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলে ,
”তাহলে কি আমার বাবা আমাকে মিথ্যে বলেছে?হুম!আপনি আমার প্রজেক্টের ফাইল চুরি করেননি?আমার পার্সোনাল প্রজেক্টের প্লেনিং গুলো যে পেনড্রাইভে রেখেছিলাম আপনি সেটা চুরি করেননি ?আপনার জন্য আমার তিল তিল করে গড়ে তোলা বিজনেসটা আজ মাটিতে মিশে যাচ্ছে;কেন করেছেন আপনি এইসব আর কার কথায় করেছেন?আর আপনি প্লিজ এখন আমাকে সে গুলো ফিরিয়ে দিন;আমি আপনাকে তার বিনিময়ে অনেক টাকা দিবো;প্লিজ ফিরিয়ে দিন আমাকে আমার কষ্টের সাধনা গুলো।আমার ওই প্রোজেক্ট গুলো ছাড়া আমি আমার কোম্পানিকে দাঁড় করাতে পারবো না।এ.এম ইন্ড্রাস্টিটা এক্কেবারে শেষ হয়ে যাবে।”
সামনের মানুষটির এত কাতরতা দেখে পারভেজ সাহেব ভাঙা গলায় বলে,
”আমি সত্যি কিছু করেনি;কোনো প্রজেক্ট ফাইল কিংবা পেনড্রাইভ সম্পর্কে আমি কিচ্ছু জানি না;বিশ্বাস করো বাবা!আর তোমার বাবা কে যে তোমাকে আমার কথা বলেছে?”
লোকটি দুহাত মুষ্টিবদ্ধ করে তার উপর মাথা ঠেকিয়ে বলে
”আমার বাবা আনোয়ার মোহাম্মদ।”
তার কথা শুনে নড়ে চড়ে বসে পারভেজ আহমেদ তার পর ভীত কন্ঠে বলে ,
”উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রিন্সিপাল আনোয়ার মোহাম্মদ?”
‘
”জি উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রিন্সিপাল আনোয়ার মোহাম্মদের ছেলে আমি”
পারভেজ সাহেবের চোখ ভিজে উঠে।তিনি অস্ফুট শব্দে বলে উঠে ,
”আরাফ!”
পারভেজ সাহেবের মুখে আরাফ নামটা শুনে চমকে উঠে তার দিকে তাকায় আরাফ;পারভেজ সাহেব ধীরে ধীরে আরাফের কাছে গিয়ে হাত উঁচিয়ে তার মাথায় হাত রেখে বলে ,
”কত বড় হয়ে গেছিস তুই!সে পিচ্চিটা দেখে গিয়ে ছিলাম”
পারভেজ সাহেবের কর্মকান্ডে আরাফ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে ,
”কে আপনি?”
পারভেজ সাহেব মুখে শুকনো হাসি দিয়ে বলে ;
”এত দিন আমাকে আটকে রেখেছো অথচ আমরা কেউই কারো নাম অবধি জানতাম না;”
আরাফ ব্রু যুগল কুঁচকে বলে ,
”নাম জানার প্রয়োজন বোধ করেনি;বাবা আমার লোকদের কাছে আপনার নাম ঠিকানা দিয়েছিলো আর তারাই আপনাকে তুলে এনেছে তাই আমি এত নাম পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করেনি।”
আরাফের কথায় পারভেজ সাহেব মুচকি হাসে;তারপর কোনোরকমে ঠেলেঠুলে বিছানার উপর উঠে বসে বিষন্ন চোখে আরাফের দিকে তাকায় সাথে সাথে তার চোখ ভিজে উঠে তার।পারভেজ সাহেব মায়া ভরা কণ্ঠে বলে ,
”আরাফ আমি তোর পি.এ:ভুলে গেছিস আমার কথা!সেই ছোট্ট বেলায় তোকে কত কাঁধে করে নিয়ে ঘুরেছি।আমাকে দেখলেই তুই ঘুরতে যাওয়ার জন্য বায়না করতি!আর তোর প্রিয় ঘুরার জায়গাটা ছিল তোদের বাসার সামনের ইকো পার্কটা।মনে আছে সেখানে গিয়ে আমরা গোলা খাওয়ার প্রতিযোগিতা করতাম আর আমি..
‘
পুরো কথাটা শেষ হওয়ার আগেই আরাফ থমথমে গলায় বলে উঠে ,
”আর আমি সবসময় হেরে মাটিতে বসে কান্নাকাটি করতাম তখন তুমি আমার সামনে লাফালাফি নাচানাচি করে আমাকে হাসানোর চেষ্টা করতে।ভুলিনি আমি সব মনে আছে আমার;কিন্তু তুমিই আমার পি.এ?তাহলে বাবা কেন তোমার কথা বললো?আর তুমিই বা কেন একদিন আমার কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন?বাবাকে জিজ্ঞেস করার পর বাবা বলেছিলো তোমার নাকি একটা প্রিন্সেস হয়েছে তাই তুমি এখন আর আমাকে ভালোবাসবে না।জানো তোমার কথা মনে করে আমি কত কেঁদেছিলাম!”
‘
আরাফের এই বাচ্চাদের মতো অভিমানের কথাগুলো শুনে পারভেজ সাহেবও কেঁদে ফেলে।তিনি আরাফের কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলে ,
”তুই অনেক কিছুই জানিস না আরাফ;তাই তোর কাছে আমাকেই অপরাধী মনে হচ্ছে।”
আরাফ পারভেজ সাহেবের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে তার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে ,
”কি জানি না আমি?আজ আমাকে সবটা বলো!কেন বাবা আমাকে তোমার সম্পর্কে সবসময় মিথ্যে কথায় বলে এসেছে?কি এমন হয়েছিল তোমার আর বাবার মাঝে যে তোমাদের এত ভালো বন্ধুত্বটাও শেষ হয়ে গিয়েছিলো?”
পারভেজ সাহেব ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে আরাফকে সবকিছু বলতে শুরু করেন,
”তুই যখন খুব ছোট তখন তোর আর আমার মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিল;আমরা একজন আরেকজনের বিজনেস পার্টনার ছিলাম।ভালোই দিন কাটছিলো আমাদের;কিন্তু হঠাৎ একদিন তোর বাবার বিজনেসে মধ্যে প্রচুর লস খায় আর সেই লস কাটাতে তিনি অসাধুউপায় অবলম্বন করেন;আর আমি যখন জানতে পারি তখন তাকে অনেক বাধা দেয়ার চেষ্টা করি;অনেক বুঝিয়েছিলাম কিন্তু আনোয়ার উল্টো আমাকেই তার শত্রু ভাবতে শুরু করে।তার ধারণা আমি তার ব্যবসার উন্নতি হতে দিচ্ছি না;সেদিন থেকে সে আমার সাথে সমস্ত পার্টনারশীপ শেষ করে দেয়;তারপর জানিনা কেন আনোয়ার ধীরে ধীরে বদলে যায়;ইনফেক্ট সে একদিন আমাকে বলে আমি যেন তোর ধারে কাছে না যাই ।সে দিন ওর সাথে এই ব্যাপার নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কও করেছিলাম;কিন্তু আনোয়ার আমাকে অপমান করে সাথে এটাও হুমকি দেয় যেন আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এই শহর ছেড়ে চলে যায়।নয়তো ও বাধ্য হবে আমার আর আমার আমার পরিবারের ক্ষতি করতে;তখন আমার ওয়াইফ ৬ মাসের প্রেগনেন্ট তাই কোনোপ্রকার রিস্ক না নিয়ে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।তোর থেকে দূরে আসার পরও তোর সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম;আমার মেয়ের হওয়ার পর তাকে তোর সাথে দেখা করানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আনোয়ার তোর সাথে দেখা করার সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।জানি না কেন আনোয়ার এতটা বদলে যায়;আর এতো বছর পর আজ আবার কেন ও তোকে আমার সম্পর্কে মিথ্যে বলেছে!তবে বিশ্বাস কর আমি সত্যিই কিছু করেনি”
‘
পারভেজ সাহেবের কথা শুনে আরাফ বুঝতে পারছেনা যে সে কি বলবে। থম মেরে বসে আছে সে;হয়তো বুঝার চেষ্টা করছে তার চারপাশে কি কি ঘটে যাচ্ছে;অসহায়ের মতো পারভেজ সাহেবের দিকে তাকিয়ে ভাঙা গলায় বলে ,
”বাবা কেন করলো এমন?”
চলবে ,,
(আল্লাহকে ভয় করো.পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)
{তোমরা অনেকে অনেক ব্যাপার নিয়ে কনফিউশনে আছো!তোমাদের কিছু কনফিউশন দূর করে দিচ্ছি;তোমাদের প্রথম প্রশ্নটা হচ্ছে গল্পের হিরো কে আরাফ নাকি রিহান!উত্তর হলো দুজনই তবে মেইন হিরো হিরোইন হলো আরাফ আর অনু।আর রিহানও যেহেতো হিরো তাই তার জন্যও হিরোইন ঠিক করা আছে সে কে তা পরের পর্ব গুলো পড়লেই বুঝতে পারবে।আর তোমাদের দ্বিতীয় প্রশ্ন অনুর বাবাকে কে বা করা কেন আটকে রেখেছে এই প্রশ্নের উত্তর আশা করি আজকের পর্বটা পড়েই বুঝেছো।তবে টুইস্ট এখনো শেষ হয়নি আরো অনেক রহস্য রয়েছে।ধীরে ধীরে সব রহস্যেরই পর্দা খুলবে;তোমরা শুধু ধৈর্য ধরে পাশে থেকো তাহলেই হবে☺!আর অবশ্যই গঠনমূলক কমেন্ট করবে}