টিপ_টিপ_বৃষ্টিতে_পর্ব ১০

#টিপ_টিপ_বৃষ্টিতে
#পর্ব_১০
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

ঐশী সবাই কে খাবার বেরে দিয়ে এক কোনায় চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে। আর বার বার শুভর দিকে তাকাচ্ছে।
এদিকে শুভ মোবাইল পাশে রেখে খাওয়া শুরু করলো। সে এক বারও ঐশীর দিকে তাকায়নি তবে ঐশীর মনের অবস্থা ঠিক টের পাচ্ছে।

আদিত্য খাবার মুখে দিয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে ঐশীর দিকে তাকিয়ে আছে।

পূর্ণা খাবার মুখে দিয়ে ব’লে উঠলো,’ ওফ্ফ আপু তুমি তো কামাল করে দিয়েছো। আমার খাওয়া সব থেকে বেস্ট খাবার হলো আজকে তোমার রান্না করা(আসলে আমি কোনো রান্না পারি না। আর কোনো খাবারের নাম বা কিভাবে রান্না করে কিছুই জানিনা তাই কোনো খাবারের নাম লিখতে পারলাম না😔)এই খাবার। তুমিও বসো না আপু।

ঐশীঃ তুমি খাও আমি পড়ে খাবো।

পূর্ণাঃ পড়ে কেনো..??

আদিত্যঃ তুমি আগেও কি রান্না করেছো কখনো??
ঐশীঃ জ্বি না ভাইয়া।
আদিত্যঃ প্রথম রান্নায় তো ছক্কা মেরে দিয়েছো। খুব ভালো হয়েছে।
ঐশী জোর পূর্বক মুখে হাসি ঝুলিয়ে বললো,’ আমি মামি মা কে খাবার দিয়ে আসি। ‘

ঐশী রান্না ঘরে গিয়ে আবারও কিছু একটা খুঁজলো। নাহ্ নেই কোথায় গেলো..? রাগে, বিরক্তে ঐশী খাবার নিয়ে শাশুড়ীর রুমে গেলো।

ঐশীঃ আম্মু খেয়ে নাও।
~তুই নিজে রান্না করেছিস..?
ঐশীঃ আগে খেয়ে তো দেখো..

উনি একটু মুখে দিয়ে হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে ঐশীর দিকে।
~বাহ্ খুব ভালো হয়েছে।
ঐশী কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
ঐশী বেরিয়ে যেতেই ওর শাশুড়ী হেঁসে ফেললো। যা বুঝার উনি বুঝে গেছে।

ঐশী নিচে গিয়ে দেখলো সবার খাওয়া শেষ।
আদিত্য আর পূর্ণা ওর আরো প্রশংসা করে নিজেদের রুমে চলে গেলো।

ঐশী তাকিয়ে আছে শুভর দিকে। শুভ হাত মুছে উঠে চলে যেতে নিলে।
ঐশী ঠাস করে চেয়ার টেনে গালে দু-হাতে ভর দিয়ে ভাবতে শুরু করলো। ওর রান্না করা খাবার কই গেলো..? কে এই খাবার রেখে গেলো..? ওর এত কষ্টের খাবার ও কাউকে খাওয়াতে পারলো না এই কষ্ট সে কই রাখবে।

তখনি পেছন থেকে একটা হাত কিছু একটা ওর সামনে রাখলো। ঐশী সামনে তাকিয়ে দেখলো নিজের রান্না করা খাবার ওর সামনে।খুশিতে লাফ দিয়ে উঠে আবার বসে পরলো। সবার খাওয়া শেষ এখন এটা দিয়ে সে কি করবে..??

ঐশীঃ আপনি এটা কোথায় রেখেছিলেন..?
শুভ কিছু না বলে চলে জেতে নিলে ঐশী দৌড়ে শুভর সামনে গিয়ে বললো,’ আমি এত এত কষ্ট করে খাবার রান্না করলাম। আর আপনি সেটা কাউকে খেতে দিলেন না। আপনি আসলেই একটা খারাপ লোক।’ বলেই নিজে টেবিলে এসে প্লেটে ভাত নিয়ে নিজে প্লেট ভর্তি তরকারি নিলো।

শুভ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। বিয়ে হলে কি মেয়েদের সাহস বেরে যায় না-কি..? যে মেয়ে আগে ওকে ভয় পেতো আজ সে ওকে এত গুলো কথা শুনিয়ে গেলো!

ঐশী শুভকে বকতে বকতে এক লোকমা মুখে দিলো।
ঐশীর মুখের খাবার আর গলা পর্যন্ত পৌঁছালো না। এর আগেই সে স্তব্ধ হয়ে পিছন ফিরে শুভর দিকে তাকালো।
শুভ ঐশীর মুখের রিয়াকশন দেখে হুঁ হুঁ করে হেঁসে উঠলো।
ঐশী খাবার রেখে এক দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
এটা দেখে শুভ আরো হাসতে শুরু করলো।

ঐশী চুল এলোমেলো করে বিছানার মাঝ খানে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে।
মনে মনে ভাবছে এটা কি রান্না করেছে সে..? আজ যদি এই রান্না অন্য কেউ খেতো কি একটা অবস্থা হতো! ভাগ্যিস অন্য কেউ রান্না করে ছিলো। না হলে আজ রাতে সবাই না খেয়েই থাকতো। এত এত প্রশংসার জায়গায় এত এত পঁচা কথা শুনতো। সে আজ খুব ভালো করে বুঝেছে রান্না করা কতো কষ্ট। সব কাজের থেকে রান্না করাটা সব থেকে বেশি কষ্টের তার উপর মজা না হলে তো আর কথাই নাই। কিন্তু রান্না কে করে ছিলো..??

শুভর রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ঐশী। সাহস হচ্ছে না এত গুলো কথা শুনিয়ে এখন আবার ওর সামনে যাওয়ার।

সাহস করে দরজায় টুকা মারলো। না কোনো সাড়াশব্দ নেই। এবার জোরে জোরে ধাক্কানো শুরু করলো।
এবার জোরে একটা দরজায় থাপ্পড় বসাতে গিয়ে ঠাসস করে শুভর গালে বসিয়ে দিলো।
শুভ যেনো আকাশ থেকে পরলো।তাজ্জব বনে গেলো সে! এটা কি হলো..??
ঐশী চোখ বড় বড় তাকিয়ে আছে। দু-হাতে মুখ ডেকে নিলো।
ঐশীঃ সরি,সরি,সরি ভাইয়া। আমি ইচ্ছে করে দেইনি। আমি তো দরজায় দিতে গিয়ে ছিলাম কিন্তু তার আগেই আপনি চলে এসেছেন।কিছুটা মন খারাপ করার এক্টিন করে নিচের দিকে তাকালো।

শুভ নিজের রাগ সংযত করার জন্য দরজা লাগাতে গেলে ঐশী আবার বলে উঠলো,’ সরি ভাইয়া।’

শুভ রেগে বলে উঠলো,’ আমি তোমার ভাই না। আমাকে ভাই বলতে নিষেধ করেছি তোমাকে। আর একবার ভাই বললে ছাঁদ থেকে নিচে ফেলে দিবো। ‘

ঐশীঃ সরি…
শুভঃ এই নিয়ে কতো বার সরি বলেছো?? কি জন্য এসেছো সেটা বলে এখান থেকে যাও।
এশীঃ ( আমার তোর মতো রসকষহীন কাঠখোট্টা মানুষের সামনে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই।আনরোমান্টিক জামাই। আমি দোয়া করি আমার শত্রুর ও যেনো তোর মতো জামাই না পড়ে। আমার মতো এতো রোমান্টিক, কিউট, সুন্দরী বউ,
সামনে দাঁড়িয়ে আছে কই একটু কাছে টেনে নিবে। রোমান্টিক, রোমান্টিক গল্প করবে তা না। মনে মনে এইগুলো ভাবছে তখনি শুভ আবার বলে উঠলো)

শুভঃ তুমি কিছু না বললে। আরেক বার যেনো দরজায় আওয়াজ করতে না শুনি।
ঐশীঃ আসলে একটা কথা জানার ছিলো।
শুভঃ হুম বলো..?
ঐশীঃ আজকের রান্না গুলো কে করে ছিলো..?
শুভঃ কেনো..?
ঐশীঃ আমি তো এই গুলো রান্না করিনি আর মামী বা পূর্ণা কেউ করেনি। তাহলে কে করেছে..??
শুভ কিছু সময় ঐশীর দিকে তাকিয়ে ঠাস করে দরজায় লাগিয়ে দিলো মুখের উপর।
ঐশী বেআক্কেল এর মতো তাকিয়ে আছে বন্ধ দরজার দিকে। কিছু না বললে নাই, কিন্তু দরজাটা এভাবে লাগানোর মানে কি..?

ঐশী নিচে নামার সময় আবার আদিত্যের সাথে দেখা হয়। দু’জন কলেজের নানা রকম কথা বলে। তারপর নিজেদের রুমে চলে যায়। ইতিমধ্যে আদিত্যের সাথে ঐশীর খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়।

দুতালা থেকে শুভ সব টা-ই দেখে। ঐশী দরজা থেকে সরে যেতেই শুভ দরজা খুলে ওকে পিছু ডাকতে চায়। তখনি আদিত্য আর ঐশীকে এক সাথে হাসাহাসি করতে দেখে আর এগোয়নি কিন্তু সব টা সময় দাঁড়িয়ে দেখেছে। রেগে নিজের রুমে গিয়ে ওর পছন্দের নিজের ফ্রেমটি ছুড়ে মারে দেয়ালে।

ঐশী জানালার ধারে বসে আছে। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে।
ওখান থেকে উঠে গিয়ে শুয়ে পরলো। হঠাৎ মনটা খারাপ হয়ে গেলো। এই বৃষ্টির দিনেও একা ঘুমাতে হয়। ভবিষ্যৎ ছেলে মেয়েদের জন্য ওর মন খারাপ হলো ওদের আর এই পৃথিবীর মুখ দেখা হলো না। মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পরলো।

সকাল সকাল রান্নাঘরে গিয়ে দেখে ওর শাশুড়ী রান্না ঘরে।
ঐশীঃ আম্মু তুমি কেনো এখানে..?
~ আমি এখন সুস্থ। তুই যা..
ঐশীঃ আমি রান্না করবো।
~ তুই করতে পারবে না। তুই পারলে আমাকে একটু সাহায্য কর।
ঐশীঃ ঠিক আছে কি করতে হবে বলো।

শুভ নিচে এসে দেখে ঐশী আর ওর আম্মু হাসাহাসি করছে আর মিলেমিশে রান্না করছে।

শুভ মুগ্ধ হয়ে কিছু সময় ওই দিকে তাকিয়ে রইলো। দিন দিন ঐশীকে ওর অন্য রকম লাগছে। তবে সেলোয়ার-কামিজ না পড়ে শাড়ি করলে ঐশীকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগতো। একদম গিন্নী গিন্নী লাগতো। নিজের এই অদ্ভুত ভাবনায় নিজেই অবাক হয়ে গেলো। দিন দিন ওর নিজের কি হচ্ছে .?

শুভ নাস্তা করে ভার্সিটিতে চলে গেলো। আজ আর ঐশীকে সাথে নেয়নি।

ঐশী সুন্দর করে রেডি হয়ে নিজেও বেরিয়ে পরলো ভার্সিটির উদ্দেশ্য।

আজ ঐশী বাইক নিয়ে এসেছে ভার্সিটিতে।

সব বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে চলে গেলো ক্লাসে। আজ অথৈ এখনো আসেনি।

অথৈ তারাতারি হাঁটছে ভার্সিটির উদ্দেশ্য।
তখনি পিছন থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো,’ এই জ্বাল মরিচ ‘
অথৈ রেগে পিছন ফিরে তাকালো,
অথৈঃ আপনার সমস্যা কি..?
~আমার তো এখন কোনো তেমন সমস্যা নেই। শুধু একটাই সমস্যা তুমি আমার সাথে ঠিক করে কথা বলছো না।
ঐশীঃ বকবক না করে দূরে যান। এমনি তেই আমার লেট হয়ে গেছে।
~তাহলে বাইকে উঠে বসো।
অথৈঃ কখনোই না।
~ তোমার তো লেট হয়ে যাচ্ছে..?
অথৈঃ যাক, আপনি কি করেন..?
~ এই যে তোমার পিছে ঘুরা হলো এখন আমার এক মাত্র কাজ। তোমার পিছে পিছে ঘুরে তোমাকে পটানোই আমার কাজ এখন।
অথৈ কিছু না বলে ভার্সিটির ভেতর চলে গেলো। বেয়াদব ছেলে একটা।

ছেলেটি ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো নিজের গন্তব্যের দিকে।

সারাদিন ভালোই কাটলো। ভার্সিটি থেকে বের হতেই দেখা হলো আদিত্যর সাথে।

ঐশীঃ আপনি এখানে..?
আদিত্যঃ একটা প্রয়োজনে এসে ছিলাম। ভালোই হলো তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলো।
ঐশী একটু হাসি দিয়ে বললো,হুম।
আদিত্য আবার বললো,’ চলো আজ তোমাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে যাই।আমার না খুব খিদে লেগেছে।
ঐশী আর মুখের উপর না করতে পারলো না। আদিত্যের সাথে গেলো।

এদিকে ঐশীকে আদিত্যের সাথে কোথাও যেতে দেখে শুভও ওদের পিছু গেলো। শুভর একদম পছন্দ না ঐশী আদিত্যর সাথে কোথাও যাওয়া বা কথা বলা।

ঐশী আর আদিত্য একটা নাম করা ভালো রেস্টুরেন্টে বসে আছে।

আদিত্যঃ কি খাবে..?
ঐশীঃ আসলে ভাইয়া আমি কিছু খাবো না। বলেই ঐশী পেছন ফিরে দেখে একটা মেয়েকে একজন মহিলা নানা ধরনের কথা বলছে। সাথে ওকে নিয়ে একটা ছেলে হাসি-তামাশা করেছে।মেয়ের সাথে বসা মহিলাটি চুপচাপ লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।

ঐশী ওদের কথা শুনে বুঝলো,’ যারা মেয়েটিকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, অপমান করছে তারা ওকে দেখতে এসেছে আর সাথের মহিলাটি ওই মেয়ের আম্মু।

মেয়েটি অপমানে উঠে চলে যেতে নিলে ওর হাত কেউ আঁকড়ে ধরে। মেয়েটি ঝাপসা চোখে পিছনে ফিরে একটা সুন্দর মেয়ে দেখতে পায়। সুন্দরী মেয়ে দেখে সে আর নিজের কান্না আঁটকে রাখতে পারলো না। হুঁ হুঁ করে কেঁদে উঠলো। ঐশীর চোখেও জলে ভরে উঠলো। সে মেয়েটিকে ওই মানুষ গুলোর সামনে নিয়ে বলে উঠলো, ‘ একটা মেয়েকে আপনাদের কাছে কি মনে হয়..? তারপর ওই মহিলার দিকে তাকিয়ে বললো, আপনি নিজেও কিন্তু একটা মেয়ে। আপনি একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ে কে এই সব বলতে লজ্জা করলো না..? মেয়ে দেখতে এসেছেন, মেয়েটা কালো কিনা..? মেক-আপ করেছে কি-না, মেয়েটা সুন্দর কি-না, মেয়েটা লম্বা কি-না, চুল লম্বা কি-না, হাত, পা ঠিক আছে কি-না,ব্লা ব্লা ব্লা। আরে আন্টি মেয়েরা কোনো দামাদামি,বাছাবাছি করার জিনিস না। আপনি কি ছেলের বউ নিবেন বাসায় সাজিয়ে রাখার জন্য..?। একটা মেয়ে কখনো কালো,মুটা নিজ থেকে হয়না।আপনার তাকে পছন্দ না হতে পারে কিন্তু যে ওকে সৃষ্টি করেছে, বানিয়েছে সে কিন্তু ওকে পছন্দ করেই বানিয়েছে।আপনার তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার কোনো অধিকার নেই, তাকে অপমান করার কোনো অধিকার নেই। কেউ কি নিজ থেকে চায় অসুন্দর হতে..? আজ যদি আপনার একটা মেয়ে থাকতো সে যদি এমন হতো তাহলে কি করতেন..? ওই মেয়েটাকে কি বিয়ে দিতে চাই তেন না..? ঠিক এই ভাবে যদি আপনার মেয়েটাকে আপনাকে ভরা রেস্টুরেন্টে মানুষের সামনে লজ্জা দেওয়া হতো ঠিক সেই সময় আপনার কেমন লাগতো..??আর আপনাদের মতো ছেলেদের নতুন করে কিছু বলার রুচি নেই আমার। ঘৃণা হয় আপনাদের মতো ছেলেদের দেখলে বিয়ে করবেন নিজের জন্য, বন্ধু বান্ধবীদের বউ দেখিয়ে বেড়ানোর জন্য নয়। মাথা নিচু করে আছে মা-ছেলে।

তারপর মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললো,’ তোমাকে তোমার চেহারা, তোমার শরীরের ওজন, তোমার কালো চামড়া, তোমার বিশ্রী চেহারা, মুখের ব্রণ। এইগুলো নিয়ে নিজেকে কখনো অন্যের সামনে নিজেকে ছোটো মনে করবে না। তোমার এই সব অপূর্ণতা গুলো নিয়ে তোমার চিন্তাও করতে হবে না। সঠিক মানুষটি তোমার সব কিছু তেই সৌন্দর্য খুজে পাবে। সে তোমাকে কখনো এই অসৌন্দর্য নিয়ে লোকের সামনে লজ্জা দিবে না।তুমি যেমন ঠিক এই তুমি টা কেই ভালোবাসবে।আর তার চোখে তুমি থাকবে পৃথিবীর সেরা সুন্দরী।
মেয়েটি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ঐশীর দিকে।
তারপর মেয়েটির মা’কে বললো,’ আন্টি শুধু শুনতে নয় পাল্টা জবাব দিতেও শিখুন। ‘ বলেই রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলো। সবাই ঐশীর কথা শুনে হাত তালি দেওয়া শুরু করলো।

শুভ মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে ঐশীর দিকে। ঐশীর আজকের কথায়, ওর মনে ঐশীর চলাফেরা নিয়ে সংশয় ছিলো সব দূর হয়ে গেছে।

আদিত্য মুচকি হাসি দিয়ে ঐশীর যাওয়ার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।

চলবে….

ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here