টিপ_টিপ_বৃষ্টিতে_পর্ব ১৬

#টিপ_টিপ_বৃষ্টিতে
#পর্ব_১৬
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

বিথীঃ তাহলে আমি কি করবো..? আমি যে ওকে ছাড়া বাঁচবো না রে ঐশী। দরকার হলে পালিয়ে যাবো আমি ওর সাথে।

ঐশী বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকালো বিথীর দিকে।

ঐশীঃ পাগলের প্রলাপ না করে ছেলেটাকে বড় আব্বুর সাথে দেখা করাও।

বিথী কিছু বললো না। বারান্দায় গিয়ে আকাশকে কল দিলো।

আকাশ কল ধরতেই ওকে সব খুলে বললো।

আকাশ কিছু সময় চুপ থেকে ওকে বললো। কাল দেখা করতে।

বিথীর সারা রাত আর ঘুম হলো না। সকাল হতেই আকাশের বলা জায়গায় গিয়ে ওর অপেক্ষায় বসে রইলো।

ঠিক ১১টায় আকাশ এসে উপস্থিত হলো।

বিথী চিন্তিত সুরে বলে উঠলো,’ এতো দেরি হলো কেনো..?’
আকাশ ভুবন বুলানো হাসি দিয়ে বিথীর দুই গাল আলতো করে ধরে বললো,’ তোমার জন্য আজকে একটা সারপ্রাইজ আছে। ‘

বিথীর সাথে সাথে চোখ খুশিতে চিকচিক করে উঠলো।

আকাশ বিথীকে নিয়ে ওর একটা বন্ধুর ফ্লাটে গেলো।

বিথীঃ বাসায় কেউ নাই কেনো..? আর এতো সুন্দর করে রুমটা সাজানো কেনো..?

আকাশ বিথীর হাত ধরে সামনে একটা কেক এর কাছে নিয়ে যায়। আর কিছুটা অভিমানী সুরে বলে উঠলো,’ আজ আমার জন্মদিন আর তুমি দেখি এটাও মনে রাখনি।

বিথী সাথে সাথে ব্যস্ত হয়ে পরলো। ইসস আমার একদম মনে ছিলো না গো। এখন কি করবো..? আমার কাছে তো কোনো গিফট ও নেই।

আকাশ বিথীর কোমর জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয়। কেক কেটে এক টুকরো বিথীর মুখে পুরে দেয়। তারপর মোহনীয় দৃষ্টিতে বিথীর দিকে তাকিয়ে বলে তুমিই তো আমার পাওয়া সব থেকে বড় গিফট।
বিথী লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে।
আকাশ বিথীকে লজ্জা পেতে দেখে বিথীর হাতের বাজে নিজের হাত ঢুকিয়ে শক্ত করে ধরে বলে। এই যে ধরলাম মৃত্যুর আগে আর ছাড়ছি না।
বিথী আকাশের বুকে মুখ লুকায়।
আকাশ বিথীকে বলে উঠে,’ বিথী আজ কি তুমি আমার হবে। পুরোপুরি শুধুই আমার। ‘

বিতীর বুক কেঁপে উঠে। কিন্তু সে ভালোবাসায় এতো টাই অন্ধ বিশ্বাসী ছিলো সে ভালোবাসার মানুষটির এই আবদার ফেলতে পারেনি। সে দিন নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে ছিলো ভালোবাসার পুরুষটির কাছে। নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করে ছিলো সেই প্রেমিক পুরুষ টিকে।

তারপর কেটে যায় মাস খানেক বিথী লক্ষ করে আকাশ ওকে ইগনোর করছে। ওর সাথে ঠিক করে কথা বলছে না। জিজ্ঞেস করলেই বলছে কাজে ব্যস্ত থাকে।
আরও কেটে গেলো একমাস। বিথী আকাশের একদিন বলা নিজের বাড়ির ঠিকানায় চলে আশে।
বাড়িতে এসে যখন আকাশের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে সবাই বলে। আকাশ নামের কাউকে তারা চিনে না।
সেদিন যেনো বিথীর মাথায় আকাশ ভেঙে পরে। তাদের আকাশের ছবি দেখায় তখন তারা বলে এই ছেলে কয়েক দিন পর পর মেয়ে নিয়ে আসতে দেখেছে বাসার সামনে এসে কি জেনো বাড়ির দিকে তাকিয়ে বলে আবার চলে গেছে।
বিথী বাসায় এসে চিন্তায় হয়ে পরে যায়। আজ ১৫দিন আকাশের কোনো খুঁজ খবর নেই। কল দিলে ধরছে না, কোথাও ওর দেখাও পাচ্ছে না। কাল আবার ওর বন্ধুর সেই বাসায় গিয়ে একবার দেখে আসবে ভেবে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।

ঐশী কয়েক বার বিথীকে জিজ্ঞেস করলো ওর শরীর ঠিক আছে তো..? বিথী মুচকি হেসে বললো, ঠিক আছে।

রাতেই ঐশীর আব্বু এসে বললো, ‘ ঐশীর জন্য বিয়ে ঠিক করে এসেছে। ‘

এই কথা শুনার পর থেকে বাড়িতে একটা চিৎকার চেচামেচি শুরু হলো।

বড় বোন বিয়ের বাকি থাকতে ছোটো বোনের বিয়ে কি করে হবে। এই নিয়ে বাসায় ঝামেলা লেগে গেলো৷ ঐশী ওর মায়ের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করলো।

কিন্তু কেউ ওর বাবার সিদ্ধান্ত নারতে পারলো না।

বিয়ের দিন এগিয়ে আসছে এদিকে বিথীও নিজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন খেয়াল করছে। এতোদিনে সে ভালো করেই বুঝে গেছে সে কতোটা নিষ্ঠুরতম খেলার শিকার হয়েছে।

একদিন সন্ধ্যায় ঐশী বিথীর রুমে আসলো ছেলের ছবি নিয়ে।
বিথীর শরীর তখন কিছুটা ভালো। ঐশীও বুঝতে পারছে না হটাৎ ওর এতো সুস্থ বোনটা এমন অসুস্থ হলো কিভাবে। কেমন চোখের নিচে কালি পরে গেছে। বাবা মায়ের আদরের মেয়ে। এদিকে বড় আব্বু আর আম্মু ও বিথীর এমন আচরণ নিয়ে খুব চিন্তিত কিছু কি মেয়েটার সাথে হয়েছে। হাজার প্রশ্ন করেও মেয়ের মুখ দিয়ে কোনো কথা বের করতে কেউ পারেনি।

ঐশী ছবি এনে বিথীর উপর ফেললো।

বিথী ছবিটা হাতে নিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে ঐশীর দিকে তাকালো। ঐশী বিরক্তিকর দৃষ্টিতে বিথীর দিকে তাকিয়ে বললো,’ দেখো ছেলের ছবি। আমার বাপের পছন্দের পুলা।
বিতীঃ চাচ্চু তোকে এতো তারাতারি বিয়ে দিতে রাজি কেনো হয়েছে..??
ঐশী ঠোঁট উল্টে বললো,’ আমি কি জানি। আব্বু কাউকে কিছু বলছে না। কিন্তু কি জানো আপু আমি তো এই বিয়ে করবো না। বিয়ের দিন পালিয়ে যাবো। ‘

বিথী চোখ রাঙিয়ে বলে ছিলো ‘ একদম না। ‘

বিথী হাতের ছবিটি সামনে ধরে স্তব্ধ হয়ে গেলো। পুরো আকাশ যেনো ওর উপর ভেঙে পরলো।মাথাটা ঘুরে উঠলো।

কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,’ এটা..’

ঐশীঃ হুম।
বিথী ছবিটা ঐশীর হাতে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো..

ঐশী কিছু সময় বিথীর দিকে তাকিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।

বিয়ের আর দু দিন বাকি। বিথীর মাথা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। সে বুঝি তার প্রিয় বোনটার জীবন এই নিকৃষ্ট লোকটার হাত থেকে বাঁচাতে পারলো না।

সে বেড়িয়ে পরলো আকাশের বন্ধুর ফ্লাটের কাছে। ওখানে গিয়ে যা শুনলো সে একদম ভেঙে পরলো। ওর এতো সুন্দর জীবনটা আকাশ নামের এই জা নো য়া র টা একদম শেষ করে দিলো৷
ওই বিল্ডিং এর দারোয়ান বললো,’ এটা আকাশ স্যারের নিজের বাড়ি। উনি কয়দিন পর পর নতুন নতুন মাইয়া নিয়ে আসেন..’
এই কথা শুনে বিথী একদম ভেঙে পরে । তারপর নিজেই নিজেকে বল দেয়। ও এভাবে ভেঙে পরলে ঐশীর কি হবে..? এই বিয়ে যে করেই হোক ভাঙতে হবে। কিন্তু আকাশের দেখা সে কোথায় পাবে..? ঐশী হা ঐশীই পারবে ওকে আকাশের কাছ অব্ধি পৌঁছে দিতে। কিন্তু ঐশীকে ও কি বলবে?? এই সব ভাবতে ভাবতে ডক্টরের কাছে আসলো বিথী।

বিথীর দিকে তাকিয়ে ডক্টর কিছু রিপোর্ট এগিয়ে দিলো।

বিথী রিপোর্ট নিয়ে বাসায় এসে রুমে চলে আসলো। তারাতারি রিপোর্ট গুলো দেখতে লাগলো। রিপোর্ট দেখে হাত থেকে সব নিচে পড়ে গেলো।

নিচে বসে চিৎকার করে বলে উঠলো,’ এমন নিষ্ঠুরভাবে ওকে কেনো ঠকালো এই নিকৃষ্ট যুবকটি। বিশ্বাস করে ছিলো এভাবে বিশ্বাসের মর্যাদা দিলো। এভাবে ওকে একদম জীবিত থেকেও মৃত বানিয়ে দিলো। এই মুখ কিভাবে দেখাবে সবাই কে। সে নিজেই নিজের জীবনের সর্বনাশ করে দিলো। কেনো সে দিন না করলো না। কেনো নিজেকে ওই পুরুষের মাঝে বিলিয়ে দিলো। এমন হাজারো অভিযোগ করতে করতে নিচে এক সময় ঘুমিয়ে পরলো।

যখন ঘুম ভাঙলো সে সিদ্ধান্ত নিলো। যে করেই হোক এই বিয়ে সে ভাঙবে৷ নিশ্চয়ই এই বিয়ের পিছেও ওই যুবকটির কোনো না কোনো লাভ আছে তাই করছে।

বিথী নিজের রুম থেকে বের হয়ে ঐশীর রুমে গেলো। গিয়ে দেখে ঐশী রুমে নেই। একদৌড়ে ছাঁদে গেলো।

ঐশী ছাঁদের কিনার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। বিথী চলে আসলো নিজের রুমে।

বিয়ের দিন ঐশী যখন কবুল বলবে ঠিক সেই সময় বিথী গিয়ে সবাইকে ওর আর আকাশের সব সম্পর্কে কথা বললো।প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্টটাও দেখালো ঐশীর জায়গায় ও হয়ে গেলো আকাশের বউ। ঐশীর ও বিয়ে হয়ে গেলো ওর মামাতো ভাইয়ের সাথে।

এতো টুকো বলে বিথী তাকালো সামনে বসে থাকা ছেলেটির দিকে। ছেলেটি এতো সময় মনোযোগ দিয়ে শুনতা না চাইলেও এখন বেশ অবাক হয়ে বাকিটা শুনার জন্য বিথীর দিকে তাকিয়ে আছে।

বাহিরে টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।

ছেলেটি বাকিটা শুনার জন্য আগ্রহে বিথীর দিকে তাকিয়ে আছে।

বিথীঃ বৃষ্টিতে প্রায় ভিজে গিয়েছেন চলুন এখান থেকে উঠে যাই।

বিথী উঠতে নিলে ছেলেটা ওর হাত খপ করে ধরে ফেললো। বিথী চমকিয়ে উঠে। ছেলেটার হাত থেকে হাত সরিয়ে নেয়।

ছেলেটা অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বলে উঠলো,’ বাকিটা শেষ করে উঠি..’

বিথী আকাশের দিকে তাকালো আসতে আসতে বৃষ্টি বাড়ছে।বিথী চোখ বন্ধ করে নিলো নাকে এসে ঠেকলো ঠিক সেই ঘ্রাণ যেটা সে প্রথম পেয়ে ছিলো বৃষ্টির সন্ধ্যায় সুদর্শন যুবকের শরীর থেকে। চোখ খোলে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো সামনে বসা এই অচেনা ছেলেটির দিকে।

****

ঐশী বিরক্ত হয়ে এই বৃষ্টির মধ্যে বেড়িয়ে পরলো।

আদিত্য এখানে এসেই অথৈর সাথে ঝগড়া লেগে যায়।

অথৈঃ বেয়াদব ছেলে একটা। মেয়েদের সম্মান দিতে জানেনা।

আদিত্যঃ দেখো আমি জানতাম না ওটা তুমি ছিলে।

অথৈঃ জানবেন কেনো। মেয়ে দেখলেই গায়ে হাত দেওয়ার ধান্দায় থাকেন।

আদিত্য এবার বেশ রেগে যায়। এই মেয়ে একটু বেশিই বুঝে। শুধু ঐশীর ফ্রেন্ড বলে ছেড়ে দিচ্ছি অন্য কেউ হলে এতোক্ষনে চার পাঁচ টা বসিয়ে দিতো গালে।

ওই দিন এক মেয়ে আদিত্যকে প্রেমের চিঠি দিয়ে ছিলো। বার বার নিষেধ করার পরও মেয়ে অনেক কে দিয়েই চিঠি দেয়। আর এই নিয়ে ওর সব ফ্রেন্ড রা ওর সাথে মজা করে । সে দিন আদিত্য রেগে জিজ্ঞেস করে ছিলো মেয়েটা কোথায় যখন শুনলো মেয়েটা ক্যাম্পাসের সামনে সেখানে গিয়ে অথৈ কে দেখে ভেবে ছিলো এই মেয়েই বুঝি সেই মেয়ে তাই রাগের বসে থাপ্পড় মেরে দিয়ে ছিলো।

কিন্তু অথৈ এই কথা মানতে রাজি নয়। সে রেগে আদিত্যর সাথে খারাপ ব্যাবহার করে।

আদিত্য ঐশীকে রেখে চলে যায়।

ঐশী মৌ কে হলুদ লাগিয়ে দেয়। সবাই মিলে অনেক মজা করে।

দীপ্ত দাঁড়িয়ে আছে আর সব দেখছে।

ঐশী গিয়ে জিজ্ঞেস করে তোর ভাই কই..?

দীপ্ত বিরক্ত হয়ে বলে, ‘ জানিনা’

ঐশীঃ ওই বেটার গায়ে হলুদ আর সে নিজেই লা পাত্তা।

দীপ্ত সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,’ আমার ভাই দেখে তুই কি করবি..?’
ঐশীঃ আজব বান্ধবীর জামাই দেখবো না..?

দীপ্তঃ আমার ভাই লেঙরা, কানা না বুঝছিস। একদম কাল দেখিস।
ঐশীঃ মৌ দেখছে।
দীপ্তঃ হুম।
ঐশীঃ কল দে।
দীপ্তঃ দিয়েছি বন্ধ।
ঐশীঃ বন্ধ কেনো..?
দীপ্তঃ আমি কি জানি৷
ঐশীঃ পিক দেখা।
দীপ্তঃ মোবাইলে পাঠিয়ে দিবো।
ঐশীঃ এখন দেখালে সমস্যা কোথায়..?
দীপ্তঃ চল কিছু খেয়ে নে।
ঐশীঃ না।
দীপ্ত ঐশীর দিকে তাকিয়ে নিচে চলে গেলো।

ঐশী খুব বিরক্ত হলো। যেই কাজের জন্য আসলো কিছুই হলো না। এখন কি করবে..? মাথায় এক ঝাঁক চিন্তা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে বেড়িয়ে পরলো।

রাস্তায় কোনো মানুষের আনাগোনা নেই। কোনো গাড়ি ও নেই। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পরছে। কিছু দূর যেতেই মনে হলো বৃষ্টি বেরে গেছে। ঐশী ভিজে গেছে তাও থামছে না এগিয়ে চলছে সামনের দিকে হঠাৎ চোখের সামনে বেসে উঠলো সোনিয়ার শুভকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্যটা।চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।

কিছু দূর যেতেই মনে হলো ওর পিছু পিছু আসছে কেও। ঐশী পিছন ফিরে তাকালো, না কেউ তো নেই।
এই রাতে কেনো যে আসতে গেলো।
আবারও মনে হলো পেছন থেকে পায়ের শব্দ আসছে। এবার মনে ভয় ঢুকে গেলো ভূত নয় তো আবার?।

ভয়ে চোখ মুখ খিঁচে বৃষ্টির মধ্যে দৌড় দিলো। শাড়ির জন্য ঠিক মতো দৌড়ও দিতে পারছে না।

দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে উঠলো।তাও থামছে না মনে হচ্ছে ভূত ওর পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে।

হঠাৎ সামনে চোখ পরলো মাথায় ছাতা ধরে গাড়ি থেকে নেমে ওর দিকে এগিয়ে আসছে শুভ।

ঐশী এক দৌড়ে গিয়ে শুভর বুকে ঝাপিয়ে পরলো।

হটাৎ এমন আক্রমণে শুভর হাত থেকে ছাতা পড়ে গেলো। এখন ভিজছে দু’জনে।

ঐশী শক্ত করে ধরে আছে শুভকে।

অনেকটা সময় পার হয়ে গেলো। কিন্তু কেউ বলতেই পারলো না সময়টা কখন চলে গেলো।
আসতে আসতে ঐশীর হাতের বাঁধন হালকা হয়ে আসলো।

শুভ ঐশীর মুখটা সামনে ধরলো। ঐশী ইতি মধ্যে জ্ঞান হারিয়েছে।

শুভ ঐশীকে কোলে নিয়ে পা বাড়ায় গাড়ির দিকে।

পেছনে গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসলো কেউ একজন। রাগে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে তাকিয়ে থাকে ওদের যাওয়ার দিকে।

চলবে….

ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here