– তুমিকি জানো আমি তোমার থেকে পনেরো বছরের বড়?
বাসরঘরে নিজো স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো তনু। চোখ লাল হয়ে উঠেছে। বিয়ের আসরে যখন পাত্রকে দেখেছিলো তখনি মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তনুর। তনু কি কখনো ভেবেছিলো তার থেকে এত বড় কাউকে বিয়ে করতে হবে? তাও মাত্র তেরো বছর বয়সে! কান্না থামিয়ে অস্ফুট ও মিনমিনিয়ে বললো তনু,
– না।
তনুর সামনে থাকা দৈত্যকার লোকটি উঠে দাড়ালো। তনু গুটিয়ে যায় কিঞ্চিৎ। মুখে এক চিলতে হাসি টেনে বলে লোকটি,
– আমি রাজি হতে চাইনি এ বিয়েতে।
‘তবে? কেন এ বিয়ে? কেন আটকালেন না আপনি এ বিয়ে? কৈশোরটাকে কেন বানালেন কারো স্ত্রীর রুপ?’ এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তনু মনে। চাউনি অবাক তনুর। আগ্রহ পরবর্তীতে কি বলবে তা জানার! লোকটি মাথার পাগড়ি খুলে বিছানায় রাখে। মুখের ঘাম মুছতে মুছতে বলে,
– আগে পরিচিত হই কি বলো? নিশ্চই জানো না আমার সম্পর্কে?
তনু তাকিয়ে লোকটির দিকে। মিনমিনিয়ে বললো,
– না।
– জানতাম! আমি তূর মোড়ল। এ গ্রামের একজন অংশ বলতে পারো। আমার বাবাকে চেনো না? নিশ্চয়ই চেনো। মইনুল মোড়ল। মোড়লপাড়ার এমন হয়তো কেউই নেই যে চেনে না। আচ্ছা তুমি আমায় চেনো তো? না চেনারই কথা! আমি বিদেশে থাকি। ওখানে আমার ব্যাবসা।
– তাই আফনে এমন শুদ্ধ কথা কইতে ফারেন?
বলেই মাথা নিচু করে নেয় তনু। তূর তনুর পাশে বসে। একটু জোড়ে হেঁসে বলে,
– হুম। আর এখন তুমিও এমন করেই বলবে। আমার সাথে থাকতে হলে এভাবে কথা বলা যাবে না অর্ধাঙ্গিনি!
‘অর্ধাঙ্গিনি’ কথাটা ধাক্কা খেলো কয়েকবার তনুর কানে। ভয়ে চুপসে যায় বুকের পাজড়। কৈশোরে অবতীর্ন মেয়েকে কি…? তনু যতটুকু সাহস যুগিয়েছিলো সবটা মুইয়ে যায় তৎক্ষনাৎ! বুকে কেমন হতে থাকে। তূরের দিকে তাকানোর আর কোনক্রমেই সাহস নেই তার।
– জানো ওখানে, মানে বিদেশে আমাদের ইমপোর্ট আউটপুটের কত বড় ব্যাবসা? কত কত শ্রমিক? ভাবছি তুমিও যাবে। যাবে তো?
নিশ্চুপ তনু। তূর বুঝলো তনুকে এখনি এসব বলা ঠিক হচ্ছে না। তাই আবারো মুচকি হাসলো তূর। বললো,
– আমার দিকে তাকাও। কি হলো তাকাও!
খানিক সময় নিয়ে তাকায় তনু। ফরসা গড়নের লোকটির মুখে খোঁচালো দাড়ি। কানের উল্টো পাশ থেকে কাটা একটা দাগ ধেয়ে এসেছে কানের লতি পর্যন্ত। চোখগুলো উজান। কেউ বিশ্বাসই করবে না সাতাশ বয়সের একটা লোক এখনো এতটা জোয়ান। তার পড়নে সাদা পাঞ্জাবি,সাদা পায়জামা। গলায় চিকমিক করা একটা চেন। রঙ সোনালি! হয়তো সোনার। তনুর মিষ্টিমুখটা দেখে তিন বছরের মেয়ে মনে হচ্ছে তূরের কাছে। তনু নামটা শুনে তূর একটু হলেও অবাক হয়! তার নামের প্রথম অক্ষর ‘ত’ আর তার হবু স্ত্রীর ও ‘ত’। তনু আবারো মাথা নিচু করে নেওয়ায় ঘোর কাটে তূরের। ভ্রুযুগলে বিরক্ত ভাব এনে বলে,
– তোমার কি মাথা নিচু করে নেওয়ার রোগ আছে?
আকস্মিক এমন প্রশ্নে থতমত খেয়ে যায় তনু। ক্ষিন স্বরে বলে,
– মানে?
– মানে হলো একটু পরপর মাথা নিচু করে রাখার কোন ব্যাড হ্যাবিট আছে নাকি? না থাকলে তো এরকম করতে না। থাকলে বলো!
– ব্যাড হ্যাবি কিতা?
তনুর কথায় ঠোঁট টিপে হেঁসে ওঠে তূর। তনু তীক্ষ দৃষ্টি নিয়ে তাকায় তূরের দিকে। যেন কোন কৌতুক বলেছে তনু। মুখ বাকিয়ে রইলো তনু। তূর লক্ষ করে বললো,
– ব্যাড হ্যাবিট অর্থ হলো খারাপ অভ্যাস। আর কিতা কি জিনিস হ্যা? বলো কি!
– হুম।
– হুম নয়, আগে বলো। বলো কি,বলো।
– কি।
– এখন বলি বিয়ের ব্যাপারটা,
সদ্য বিদেশ ফেরত আমি বাড়িতে আসতেই মা বলে উঠলো আমায় বিয়ে দেবে। আব্বাও তাল মেলালেন এবারই বিয়ে দিবে। আমার নাকি বয়স বেশি হয়ে গেছে। ‘কচিকে বিয়ে’ কথাটার মানে জানো নিশ্চই? গ্রামে প্রচলিত কি না জানি না তবে আমাদের বাড়িতে তোমার মতন কম বয়সিকে বিয়ে করতে হয়! কে জানে এমন কুসংস্কার কমে ঘুচবে! তুমিই বলো তোমার সাথে আমার যায় কখনো? কোথায় তেরো, আর কোথায় সাতাশ? আমি রাজিই হয়নি। একপ্রকার জোড় করে মত নেন ওনারা। আমি একবারও দেখিওনি কে এই তেরো বয়সি নারী। এবার তোমারটা বলো। কিভাবে হলো এ বিয়ে? পালিয়েই বা কেন গিয়েছিলে? কেনই বা তোমায় কলঙ্কিনি বলেছিলো বিয়ের আসরে তোমার আব্বা?
তনু ডুবে যায় সেদিনের গভির ভাবনায়,রহস্যের অতলে,,
_________________
– লতুউউউউ! ওই লতুউউউউ কই গেলা?
তনুর মা হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। রাগী গলায় বললেন,
– এমন চিৎকার করতাছেন ক্যা? কন কি কইবেন।
তনুর বাবা আজিদের মুখে তৃপ্তকর হাসি। তিনি তার স্ত্রী লতিফার কাছে গেলেন। হাতে বেজায় বড় একটা ব্যাগ। উনি ব্যাগ এগিয়ে দিতেই লতিফা তা নিয়ে নেয়। বেজায় ভারি ব্যাগ সাথেসাথে মাটিতে রেখে বললেন,
– এই ব্যাগডা আফনে ঘরে রাখতে ফারতেন না,না? খালি খালি এই ব্যাডার চেঁচামেচি!
– খালি খালি চেঁচাই? জানো মোড়ল বাবুর বড় ছেলের সাথে আমাগো তনুর বিয়ার প্রস্তাব আইছে। এইযে সদাই(বাজার)দেখতাছো হেইডাও উনি কিন্না দিছে। কইছে তনুরে তাগো চায়ই চায়ই।
মূহুর্তে লতিফার মন বিষিয়ে গেলো। এতটুকু মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য এত উতলা কেন লোকটা? টাকার লোভ! তিনি কড়া গলায় বললেন,
– রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী আইলেও তনুর বিয়া অসম্ভব! এ বিয়া হইবো না। তোমার কি চামুচ পরিমান জ্ঞীয়ান(জ্ঞান) নাই? মাইয়ার বয়স হয়নাই এহোনো! কেমনে তুমি রাজি হইতে ফারসো?
আজিদ রেগে যান। তনুর বিয়ার কথা লতিফার গায়ে ছোঁয়ালেই যেন ছেত করে ওঠে। পরপর দুটো সমন্ধ ভেঙে দিছে লতিফা। তারা বিত্তবান ছিলো। কিন্তু এ যে মোড়লের ছেলে! তাই আজিদ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চান না। রাগ দমন করলেন আজিদ। যতবারই চেঁচাচেচি করে হিতে বিপরীত হয়। তিনি শান্ত কন্ঠে বললেন,
– এমন আর পাত্র পাওন যাইতো না। এরকম যুবতি মাইয়া ঘরে রাহোনও ঠিক না। এর থেইকা বিয়া সাদি করুক,স্বামী সংসার নিয়া থাকুক। জানোনা, মোড়ল বাড়ির সব মাইয়া বউরা কেমন রানীর মতো থাকে? তোমার মাইয়া তনুও থাকবো।
– তুমি চুপ করো। আমি কহোনো এই বিয়া হইতে দিমু না।
– যা কইতাছি শোন,মাইয়া মাইনষের অত ই ভালো না কইলাম।
– তুমি জানো মাইয়াডা সবে তেরোতে পা দিসে। এমন সময় বিয়া দিলে তো অকালে মইরা যাইবো।
– ক্যান তোমারেতো আমি বারোতে বিয়া করছিলাম। নাটক কম করো। এ বিয়া আমি দিয়াই ছাড়ুম। বেশি যদি কিছু করো ঠাঙ আর থাকবো না কইলাম।
তবুও লতিফা নড়লেন না নিজের জায়গা থেকে। তিনি জোর গলায় বললেন,
– কাইটা ফেললেও এ বিয়া আমি হইতে দিমু না।
আজিদের মাথায় মূহুর্তে আগুন জ্বলে ওঠে। ‘ খাড়া খাড়া ‘ বলতে বলতে মোটা লাঠি নিয়ে আসেন উনি। উন্মাদের মতো এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকেন লতিফাকে। লতিফা মাটতে লুটিয়ে পড়েন। চোখ বেয়ে পানি পড়লেও তিনি নিস্তব্ধ! টু শব্দও করছেন না। আজিদ আঘাতের বেগ বাড়ালেন। হঠাৎই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন লতিফা। একের পর এক আজিদ আঘাতে তিনি ক্ষত বিক্ষত হতে লাগলেন।
তনু ঘরে ছিলো। মায়ের এম চিৎকার শুনে ছুটে আসে। নিজেকে সামলাতে না পেরে আঘাতরত মায়ের ওপর লুটিয়ে পড়ে। আজিদের একটা লাঠির আঘাত চড়ারুপে তনুর পিঠে পড়ে। ব্যাথায় তনু মাগো বলে ডুকড়ে ওঠে। মেয়েকে ওখানে দেখে আজিদ থামে। উল্টোদিক ফিরে লাঠির ওপর ভর করে শ্বাস নেয় কয়েকবার। তনু লতিফাকে বুকে জড়িয়ে বলে,
– মা।ও মা! কোথায় লেগেছে? খাড়াও আমি মলম নিয়ে আসছি।
তনু উঠে দাড়ায়। লতিফার শরীরে অজস্র ক্ষত! তার পুরো শরীর ব্যথায় কটমট করছে। তনু আজিদের দিকে একপলক তাকিয়েই ঘরে চলে যায় মলম আনতে। মলম এনে লতিফাকে উঠে বসায় তনু। আলতো করে ক্ষত স্হানে মলম লাগায়।
– ওই মা*রে ক যেন আমার আর সামনে না আসে। নয়তো…!
বলেই ঘরে চলে যান আজিদ। লতিফা মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,
– তোর আব্বায় তোর বিয়া ঠিক করসে তনু। তুই ভূলেও রাজি হইবি না কইয়া দিলাম।
– তাই তোমারে এমনে মাড়লো আব্বায়? আমারে কইলে তো…
– ভুলেও না তনু। যাই হইয়া যাক তুই রাজি হইবি না। জানোস তোর কার লগে সম্মন্ধ আইসে?
– কার লগে আম্মা?
– মোড়ল বাড়ির বড় পোলা ইবনে তূর মোড়ল!
তনু চমকালো না। ও বাড়ির ছোট ছেলে প্রায়ই তাকে বিভিন্নভাবে জ্বালাতোন করে। তনু মুখ নিচু করে বললো,
– এই কারনে তোমায় মাড়লো ক্যা? এটাকি নয়া কিছু?
– নয়া কিছু নয়! কিন্তু তোর বিয়া দিয়াই ছাড়বো আমি বুঝছি। তুই পালায়া যা।
তনু ভ্রুকুঞ্চন উঠিয়ে বললো,
– পালাবো ক্যান আম্মা?
– যা কই তা মান। নইলে সমেস্যা(সমস্যা)হইবো কইয়া দিলাম।
– কিন্তু..
লতিফা মুখে হাত দিয়ে মেয়েকে চুপ করিয়ে দেন। আজ রাতেই মেয়েকে বাইর করবেন বলে স্থির করলেন লতিফা। শরীরের শাড়ি ঠিক করে উঠে দাড়ায় লতিফা। তিনি শক্ত ও কটাক্ষ মানুষ! নীরবতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। মেয়েকে তুলে নিয়ে ঘরে চলে গেলেন।
রাত নয়টা…
আজিদের পাশ থেকে উঠে মেয়ের ঘরে চলে আসেন লতিফা। আসার আগে বেশ কয়েকবার পরোখ করেন আজিদকে। আজিদ ঘুমের রাজ্য তলিয়ে গেছে। লতিফা পাশের মেয়ের ঘরে গেলেন। তনু জানালার দিকে তাকিয়ে। আজ তাকে সত্যিই কি ছাড়তে হবে এই বাড়ি? এই গ্রাম? কিন্ত ঠিকানা কই? কোথায় যাবে? হাজারো চিন্তায় মগ্ন তনু। রাতের ঘন অন্ধকারের দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে। যেন আধারেও দিব্য সব দেখতে পাচ্ছে ও। লতিফা দরজা খুলে ভেতরে আসে। শব্দ কানে আসলেও তনু স্থির তার কাজে। লতিফা পেছন থেকে মেয়ের কাঁধে হাত রাখলেন। তনু ওভাবেই বললো,
– কোনহানে যাইবো আমি?
গলায় কষ্ট,দলা পাকানো কষ্ট! তনুর মা চোখের কোনে জমা পানি মুছে তারাতাড়ি। এখন কান্না করে মেয়েকে তিনি অসস্তিতে ফেলতে চান না। গলায় গম্ভীর্য ভাব এনে বললেন লতিফা,
– গোয়ালাদাপূর! সেইহানে আমার বাড়ি। তোর ছোট মামা আর বড়মামার কাছে আমানত হিসাবে পূজিত হবি। আমি যাবো তরে দেখতে। ভুলেও চিডিফিডি লেহোনের চেষ্টা করবি না। যদি বছরেও একবার যাই সেই দেখাই মনে করবি শেষ দেখা!
– মাহ্!
কেঁদে ওঠে তনু। পুকুর ভর্তি পানিতে ভরে ওঠে তনুর চোখ। মুহুর্তেই চোখ লাল টলটকে হয়ে যায়। তনু এমনিই! তার চোখে পানি আসলে চোখ লাল হবেই। যেন চোখ ফেটে পানি এসেছে ওর। বুকে জড়িয়ে নেন লতিফা মেয়েকে।
– আমি তোমারে ছাড়া থাহুম কেমনে আম্মা?
উত্তরে চুপ লতিফা। কথা বললেই যেন কেঁদে দিবেন উনি।
– ও আম্মা, তুমি আমারে ছাড়া থাকতে পারবা?
– পারুম। কন্ঠ শুষ্ক লতিফার!
– আমিতো পারুম না মা। তোমার মনে হয় না একটু বেশি তারাতাড়িই সব হইতাছে?
লতিফা তনুর থেকে দু পা পিছিয়ে যায়। তার মনে পড়ে পঁচিশ বছর আগে ঘটা তার সাথে কুৎসিত ঘটনা। আজিদ চাইলে সব পারে। নিজের স্বার্থ্যের জন্য এমন কিছু নেই যা উনি পারেন না! লতিফা কড়া গলায় বললেন,
– ক দেড়ি কইরাই হইতাসে! তুই বাইরো।কাপরা চোপড়া (কাপড় চোপড়) সব নিছিস তো?
– জ্বি আম্মা।
– চল!
কাঁপা কাঁপা হাতে মেয়ের হাত ধরেন লতিফা। নিরবতা বজায় রেখে সদর দরজা খুলে হাটা ধরেন অন্ধকার পথে। তনু কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে। কি এমন ছিলো তার মায়ের জিবনে যে তাকে আর একদিনও বাড়িতে রাখলেন না লতিফা? এত তাড়াই বা কেন?
গম্ভীর নিরবচ্ছিন্ন পথ! দূরে কোথাও শেয়ালের দল হাঁকছে। ঝিঝি পোকার আওয়াজে কান ঝালাপালা অবস্থা। পথে শুধু দুজন মানুষের খড়খড়ে হাটার আওয়াজ। ‘চপচপ’ শব্দ করে হেটে চলেছে দুজন মানুষ। নিশাচর পাখিরা তার প্রমান!
ঘাটে এনে নৌকায় তুলে দেন লতিফা। দ্বিতীয়বারের মতন ভাবার প্রয়োজন মনে করলেন না তিনি। নৌকার মাঝি জেগেই ছিলো। নদীর ঘাটে ট্রলারও আছে। নৌকার হাড়িকেনের আলো চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত লতিফা নিশ্চুপে চোখের পানি ফেললেন। তনু পুরো রাস্তা কেঁদেছে।
তনু মামা বাড়ি চলে যায়! রাত সাড়ে দশটা নাগাত নৌকা গোয়ালাপূরের ঘাটে নামে। সেখান থেকে আর অল্প একটু হাটলেই লতিফার বাপের বাড়ি। কিন্তু সেখানে যে তার ছোটমামার ললাট আক্রোশ তনুর ওপর পড়বে তা তনু কল্পনাও করতে পারেনি। খারাপ চোখ যেন তনুকে দরজাতেই গিলে নিচ্ছিলো!
চলবে……?
তনুশ্রী♥
লেখক:হৃদয় আহমেদ
পর্ব_১
“তনুশ্রী” থ্রিলার টাইপের হবে। কথাগুলোর কারন গল্প সাল সময় আজ থেকে অনেক পিছিয়ে।অনেক রহস্য আর মোড় থাকবে গল্পে। আর গল্প সাল #সময়_১৯৭৮। সকলে শেষ পর্যন্ত থাকবেন তো? এখনো হাজারো ফাঁদ পাতা তনু আর লতিফার ভাগ্যে। যারা গল্প পড়েছেন অবশ্যই রেসপন্স করবেন। সবি শেষে একটাই কথা গল্পটা চলবে তো?