তিতির পাখির বাসা পর্ব-২৩

0
661

#তিতির পাখির বাসা(পর্ব-২৩)
#জয়া চক্রবর্তী।

সকালের শেষ আয়েসি ঘুমের মধ্যেই তিতির মেঘের তর্জনগর্জন শুনতে পেলো।
চোখ খুলে দেখলো ঘর প্রায় অন্ধকার।
দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়েও কাঁটার চলন বুঝতে পারলো না তিতির।

জানলা গুলো খোলা।জানলার সামনে দাঁড়িয়ে সুদর্শন।
বাইরের এলোপাথাড়ি হাওয়ার দাপট ঘরের ভিতর থেকেও অনুভব করা যাচ্ছে।

পাশের মণ্ডপ থেকে পূজোর মন্ত্র ভেসে আসছে।
আজ মহাসপ্তমী।
তিতির বিছানা ছেড়ে সুদর্শনের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।

সুদর্শন তিতিরকে বললো,
‘আকাশ বাড়ী গড়ছে দেখো মেঘ,
বৃষ্টি শাড়ী জড়িয়ে নিয়ে গায়ে।
হঠাৎ প্রেমে আকাশ মায়া ভুলে,
আছড়ে পরবে মাটির দেহের পায়ে’।

তিতির বললো,’ভালো বললে তো’।
সুদর্শন হেসে বললো,’মামনিকে বলেছিলে মেঘ পাঠাতে।মামনিও পাঠিয়ে দিয়েছে।তিতির একগাল হাসলো।

‘কিন্তু বুঝতে পারছো পাখি বৃষ্টি হলে কত ক্ষয় ক্ষতি হবে?কতজনের রুজিরোজগার জড়িয়ে আছে পুজোর এই দিনগুলোর ওপর’,সুদর্শনের কথায় তিতির বললো,’কিসের আবার ক্ষয় ক্ষতি হবে?বরং বৃষ্টি হলে এই ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি পাবে মানুষ’।

তিতিরের কথা শেষ না হতে হতেই ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি এলো।বৃষ্টির ছাট দুজনেরই গায়ে এসে লাগলো।তিতির হাত বাড়িয়ে কোষ করে বৃষ্টির জল নিলো হাতে।

সুদর্শন বললো,’ কত পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি চলে এই মণ্ডপ সজ্জার।গ্রামবাংলা থেকে শিল্পীদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়।আয়োজকরা নাওয়া খাওয়া ভুলে পড়ে থাকে মন্ডপে।তুমি ভাবো পাখি কত দিনের প্রস্তুতি প্রকৃতির খেয়ালে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতে পারে’।

তিতির বললো,’আরে কিছুই লণ্ডভণ্ড হবে না।বৃষ্টিতে বরং ঠান্ডা হয়ে যাবে পরিবেশ।সবাই শান্তি মতো মণ্ডপ ঘুরতে পারবে।চলো ছাদে গিয়ে বৃষ্টি ভিজি দুজন ‘।

তিতিরের এই ভেজার কথাটা মনে ধরলো সুদর্শনের।বললো,’হুম চলো ভিজে আসি।তবে তার আগে একটা ফোন করে দিই রানা রেস্টুরেন্টে।আজকের লাঞ্চটা বলে দিই’।তিতির মাথা নাড়িয়ে সমর্থন জানালো।

সুদর্শন ফোনপর্ব সেরে তিতিরকে নিয়ে ছাদে যেতে যেতে বললো,’আমায় কিন্তু তিনটের পর বের হতে হবে।আজ ঋকদের বাড়ীতে সব পুরোনো বন্ধুরা আসবে।ফিরতে রাত হবে।তুমি চাইলে যেতে পারো আমার সাথে।তবে আমি জানিনা বাকীরা কেউ ফ্যামিলি নিয়ে আসছে কিনা!’

তিতির বললো,’না না আমি যাব না।তুমি ঘুরে এসো।আমি বৃষ্টি থামলে একবার শিউলি মাসীদের বাড়ী যাব।দুদিন ধরে নিজেও আসছে না, প্রমীলাকে ও আসতে দিচ্ছে না’।

সুদর্শন বললো,’শিউলি মাসী গত দুদিনই সকাল বেলায় এসেছিলো।আমিই ফিরিয়ে দিয়েছি।প্রমীলা ছিলো হয়তো সাথে, ঠিক খেয়াল করিনি’।

‘কি যে করোনা তুমি!হঠাৎ ফেরাতে গেলে কেন?আমি দুদিন ধরে ভেবে মরি’,তিতিরের কথায় সুদর্শন একটু বিরক্তই হলো।মুখে বললো,’গত দুদিনই আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলাম তোমায়’।

তিতির বললো,’তার সাথে শিউলিদিকে ফেরত পাঠাবার কী হলো?জানোই তো প্রমীলাকে এখানে দিয়ে শিউলিদি অন্য বাড়ীর কাজ গুলো সারে’,তিতিরের কথা শেষ না হতে হতেই সুদর্শন বললো,’বাড়ীতে কেউ নেই। আমরা কী প্রমীলাকে ও নিয়ে যেতাম নাকি সাথে?’

তিতির বললো,’কেন প্রমীলাকে নিয়ে গেলে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হতো শুনি? আমি তো ঠিক করেছি বছরে দুবার আমার সংশপ্তকের ছাত্র ছাত্রীদের ওখানে নিয়ে যাব।ওদের মানবিক ভাবে জাগানোও একটা লক্ষ্য থাকবে সংশপ্তকের’।

সুদর্শন বললো,’সব ঠিক আছে।কিন্তু তাবলে আমাদের নিজস্ব কোন জগত থাকবে না?এমনিতেই তো একান্নবর্তী পরিবার।রাজ্যের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকছো সবসময়।তার ওপর ঐ সংশপ্তক খুলেছো। প্রমীলার সব খরচ নিজে বহন করতে চাইছো ভালো।আমি কি কিছুতে বারন করেছি তোমায়?’

তিতির ছাদে যাওয়ার মাঝপথেই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পড়লো।বললো,’কেন তোমার কি বারণ করবার ইচ্ছে ছিলো?’

‘উফ আমি সেকথা বলছি না তিতির।শুধু বলতে চাইছি……থাক আর কিছুই বলবো না।ছাড়ো’।

তিতির সুদর্শন কে বললো,দেখো আমি তো সাথে নিজের পড়াশোনা টাও করছি।এমনকি চাকরীর পরীক্ষার প্রস্তুতিটাও নিচ্ছি।একটা চাকরী পেয়ে গেলে সংশপ্তকের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে দেবো।খুশী??
শুধু ছুটির দিনগুলো ওদের নিয়ে কাটাবো’।

সুদর্শন বিরক্ত হয়ে বললো,’তারমানে তখনো সংশপ্তক?পুরোপুরিভাবে কখনোই পাবোনা তোমায় তাইতো?’
তিতির একটু হেসে সুদর্শন কে বললো,’আচ্ছা আমরা কী সিঁড়ীতেই দাঁড়িয়ে তর্ক করতে থাকবো?ছাদে গিয়ে ভিজবো না?’

সুদর্শন বললো,’তুমি যাও ভেজো গিয়ে।আমার আর ভিজতে ইচ্ছে করছে না’।

তিতির কোন কথা না শুনে টানতে টানতে সুদর্শনকে মাঝ ছাদে নিয়ে ফেললো।

ঝুমঝুম সংগীত যেন ঝরে ঝরে পড়ছে ওপর থেকে।

পাশ কাটাতেই শরীরে শরীর,চেনাগায়ের গন্ধ,বাতাসে প্রবল মাতন।একটু আগের রাগ ভাব,বিরক্ত ভাব সব এক নিমেষেই উধাও।

অবিরাম বৃষ্টি ভিজিয়ে দিতে থাকে তিতির সুদর্শনকে।শব্দহীন দেওয়া নেওয়ারা পা ফেলে কাছে এসে খুঁজে পায় ঐশ্বরিয় সুখ।

বৃষ্টি ভিজে তিতিররা নীচে এসে স্নান সেরে নিলো।

আজ আর সকালে শিউলি মাসী কাজে আসেনি।
তিতির সুদর্শন কে একরকম জোড় করেই সঙ্গে নিয়ে বের হলো। জল ভেঙে ভেঙে গেলো শিউলি মাসীর বাড়ীতে।

গিয়ে দেখে মা মেয়ে দুজনেই জায়গায় জায়গায় বালতি,গামলা বসিয়ে রেখেছে।ফাটা টালি,এখান সেখান দিয়ে জল গড়াচ্ছে।

তিতিরকে দেখে প্রমীলা হাত তালি দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললো,’মা আমি আন্টির সাথে যাব’,প্রমীলাকে তিতিরই আন্টি বলা শিখিয়েছে।
তিতিরের কাছেই তো বেশীরভাগ সময় থাকে মেয়েটা।

বব করে চুল কাটিয়ে এনেছে তিতির।শ্যাম্পু সাবান দিয়ে তিতিরদের বাড়ীতেই স্নান করায় ওকে।ওখান থেকেই খাওয়াদাওয়া করে স্কুলে যায় প্রমীলা।

পরিস্কার ফ্রক পরা প্রমীলাকে দেখলে কেউ বলবেই না যে ওর মা লোকের বাড়ীতে কাজ করে।

শিউলি বললো,’বউমনি যে হারে বৃষ্টি পড়তেছে,আমি আজ আর কাজে বেরুতে পারিনি’।
তিতির বললো,’সেটা বুঝেছি।তা ঘরের এমন অবস্থা,আগে বলোনি কেন?

শিউলি বললো,’ওর বাবা থাকতেই জায়গায় জায়গায় টালি ভেঙে গেছিলো।ঠিক করা হয়নি’।
তিতির বললো,’চিন্তা কোরনা মাসী।দেখছি কী করা যায়?’

সুদর্শনের দিকে তাকিয়ে তিতির বললো,’আচ্ছা বড় প্লাস্টিক বিছিয়ে দেওয়া যায়না টালির ওপর?’

শিউলি মাসী বললো,’এতো অস্থির কেন হচ্ছো বউমনি!আমাদের পাড়ার সব বাড়ীতে গেলেই তুমি এই অবস্থা দেখতে পাবে’।

তিতির কথা না বাড়িয়ে সুদর্শনকে টালিতে বিছোনোর বড় প্লাস্টিক কিনে আনতে বললো’।অগত্যা সুদর্শন ও বাধ্য ছেলের মতো প্লাস্টিক কিনতে গেলো।

একটু আগেই তিতির কতো খুশী ছিলো বৃষ্টি ভেজা নিয়ে।কিন্তু শিউলিদের বাড়ীর অবস্থা দেখে,আরো অনেক অনেক শিউলি,প্রমীলাদের জন্য এখন ওর মন অস্থির।

কলিংবেলের আওয়াজে ধড়মড় করে উঠে বসলো তিতির।খানিকক্ষণ আগেই পুরোনো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গেছে সুদর্শন।বলে গেছে ফিরতে রাত হবে।

সুদর্শন বেড়িয়ে যেতেই দরজা বন্ধ করে তিতির দেশ পত্রিকার কবিতা পড়ছিলো।

পড়তে পড়তে কখন যে চোখ লেগে গিয়েছিলো নিজেও বুঝতে পারেনি।কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি ফিরে এলো সুদর্শন!

নীচে এসে দরজা খুলতেই দেখলো এক ভদ্রমহিলা সঙ্গে একটি ছেলে।
তিতিরকে দেখেই মহিলাটি একগাল হেসে বলে উঠলেন,’তুমিই তিতির?বাবিনের বৌ ?তোমাদের বিয়ের সময় আসা হয়নি’,বলেই পিছনে তাকিয়ে বললো,’পাপান সামনে আয়।এই দ্যাখ তোর বাবিনদার বৌ’।

তিতির এদের কাউকেই চেনেনা।তবু সৌজন্যের দেঁতো হাসি মুখে এনে বললো, ‘আপনারা ভিতরে আসুন’।

‘দেখলে তো কেমন চিনে নিলাম তোমায়?আমি তোমার শ্বশুরমশাইএর রাঙাজ্যেঠিমার ছেলের বৌ।তোমার শ্বশুর সম্পর্কে আমার দেওর।সেই সূত্রে আমি তোমার জ্যেঠীশ্বাশুড়ী আর পাপান তোমার দেওর।থাকি বসিরহাটে’।

তিতির ঢিপ করে একটা প্রণাম সেরে নিয়ে বললো,’ও আচ্ছা।জ্যেঠীমা তোমরা বিশ্রাম নাও।আমি তোমাদের চা-জলখাবারের ব্যবস্থা করি গিয়ে’।

‘তা তো বুঝলাম।কিন্তু বাড়ী এতো খালি খালি লাগছে কেন?’জ্যেঠীমার কথায় তিতির বললো,’বাড়ীর সবাই দার্জিলিং, কালিম্পং বেড়াতে গেছে জ্যেঠীমা।আমরা দুজনই বাড়িতে আছি’।

‘ও এবার বুঝলাম।তা বাবিনকে দেখছি না যে’,জ্যেঠীমার কথায় তিতির হেসে বললো,’আপনার বাবিনও এখন বাড়ীতে নেই।বন্ধুর বাড়ী গেছে গেটটু’তে।রাতে ফিরবে’।

তিতির রান্নাঘরে এসে চায়ের জল চাপিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলো।সুদর্শন ঘরে নেই।এই কয়দিন বাইরে খাওয়াদাওয়া করবার জন্য বাজার করাও হয়নি।

ঘরে গিয়ে সুদর্শনকে ফোন লাগানোর চেষ্টা করলো।কিন্তু নেটওয়ার্ক প্রবলেম।কী যে করে তিতির!

দিনটা আবার শনিবার।মানে নিরামিষ এর ব্যবস্থা করতে হবে।তিতির রান্নাঘরে এসে দেখলো জল ফুটে গেছে।চিনি,চা-পাতা,দুধ দিয়ে জল ঢেকে দিলো।

সকালে আনা ব্রাউন ব্রেডের প্যাকেটটা ফ্রিজ থেকে বের করে আনলো।স্লাইস গুলো ছুড়ি দিয়ে ছোট ছোট চৌকো চৌকো করে কেটে নিলো।

একটা বাটীতে অল্প জল আর বেশী করে চিনি দিয়ে সিরা বানাতে বসালো।

কড়াইতে ঘি গরম করে ব্রেডের টুকরো গুলো লাল করে ভেজে তুলে নিলো।চিনির সিরা ঠান্ডা করে তাতে এক ছিপি গোলাপ জল মিশিয়ে,ব্রেডের টুকরো গুলো সেই সিরায় ফেলে তুলে নিলো।

তিতিরের মা মাঝেমাঝে এই ভাবে তিতিরকে টিফিন বানিয়ে দিতো।
তিতিরের মুখে এক চিলতে হাসি খেলে গেলো।

রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে মা-বড়মার সাথে গল্প করাটা বিয়ের পর মাঝেমাঝেই বেশ কাজে লেগে যাচ্ছে তিতিরের।

তিতির এবার ট্রে নামিয়ে কাপ সাজিয়ে চা ছেঁকে নিলো।আর একটা বড় প্লেটে ব্রেডের টুকরো গুলো দিয়ে দুটো কাটা চামচ ট্রের ভিতর নিয়ে বসবার ঘরে ফিরে এলো।

তিতির ঢুকতেই জ্যেঠীমা বললেন,’পাপান কলকাতায় চাকরী পেয়েছে।আমি চাইনা ছেলে আমার মেসে থাকুক।এখন যতদিন না কোয়ার্টার পাচ্ছে বা নিজে ফ্ল্যাট কিনতে পারছে ততদিন এখানেই থাকবে’।

একটু থেমে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,’সমস্যা হলো দেওর নেই।মুখোমুখি কথা হলো না।দশমীর পরেই ছেলের জয়েনিং ডেট।আমায় আবার কাল সকালেই ফিরতে হবে’।

তিতির বললো,’আমি ঘরে যাচ্ছি জ্যেঠীমা।ওকে একটা ফোন করে বলি যদি তাড়াতাড়ি ফিরতে পারে’।
‘না না ফোন করে ব্যস্ত করবার দরকার নেই।বন্ধুর বাড়ীতে গেছে যখন একটু আনন্দ করে ফিরুক’।

তিতির এক গাল হেসে মাথা নাড়িয়ে বললো,’আচ্ছা,তাহলে আপনি আর দেরী করবেন না।চা-জলখাবার খেয়ে জামাকাপড় বদলে নিন’।

কথাটা বলেই ওখানে আর দাঁড়িয়ে না থেকে সোজা রান্নাঘরে চলে এলো তিতির।ওদের জন্য রাতের খাবারের তো একটা ব্যবস্থা করতে হবে।

ফ্রিজ খুলে দেখলো চারটে বড় বড় বীট পড়ে আছে।তিতির কী একটা ভেবে বীট এর খোসা ছাড়িয়ে কুড়িয়ে নিলো।কড়াইতে তেল দিয়ে কালো জিরে আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে কুড়োনো বীট দিয়ে দিলো।নিভু আঁচে নাড়াতে লাগলো।হঠাৎ মনে হলো তিতিরের পিছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।

ঘাড় ঘোরাতেই দেখলো পাপান।’কী ব্যাপার তুমি এখানে?’তিতিরের কথায় পাপান হেসে বললো,’এই একটু ঘুরে ঘুরে দেখছি চারদিক।বহুদিন পরে এলাম তো তাই’।

তিতির বললো,’এটা রান্নাঘর।এখানে তোমার দেখার মতো কিছুই নেই ভাই।তুমি বরং অন্য ঘর গুলো ঘুরে দেখতে থাকো’,বলেই বীটের মধ্যে নুন,চিনি,হলুদ দিয়ে নাড়িয়ে পোস্ত কাঁচালঙ্কা বাঁটতে বসলো।

পাপান বললো,’বাবিনদার থেকে আমি মাত্র একবছরের ছোট।তবে তোমার থেকে বড়োই হবো।তাই যদি তোমার আপত্তি না থাকে তোমাকে নাম ধরেই ডাকবো’।

তিতির এই কথার কোন উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না। পোস্ত বাঁটাটা বীটে দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিলো।তারপর গ্যাস বন্ধ করে সোজা জ্যাঠিমার কাছে।

‘জ্যেঠীমা রাতে রুটি না ভাত, কী খান আপনারা?’,তিতিরের কথায় জ্যেঠীমা বললো,’রাতে রুটিই খাই।আমি দুটো আর পাপান ছয়টা’।
তিতির বললো,’ঠিক আছে।কখন খাবেন বলবেন।গরম গরম বানিয়ে দেবো’।

তিতির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে একবার সময় দেখে নিলো।সুদর্শন যে কখন আসবে!(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here