তিতির পাখির বাসা পর্ব-২৪

0
712

#তিতির পাখির বাসা।
(পর্ব-২৪)
#জয়া চক্রবর্তী।

তিতির ছাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকালো।
দূর থেকে ভেসে আসা গান,ঢাকের বাজনা,ঝকঝকে তারা ভরা আকাশ,রাস্তায় লোকজনের ভিড় সব মিলিয়ে দারুণ লাগছিলো তিতিরের।

এরমধ্যেই হঠাৎ কান্নার আওয়াজ।তিতির একটু ঝুঁকে পড়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করলো।দেখলো একটা ছোট মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে একনাগাড়ে বলে চলেছে,”আমি আর হাঁটবো না ,আমাকে কোলে নাও’।

মেয়েটির মা বোঝাবার চেষ্টা করছে যে মেয়েটি আর কোলে নেওয়ার মতো ছোটটি নেই।তিতির দেখলো মেয়েটা তেজ দেখিয়ে প্রায় রাস্তায় ওপরেই বসে পড়ছে।

হঠাৎ এক ভদ্রলোক সামনে থেকে এসে মেয়েটিকে কোলে তুলে নিলো।মেয়েটিও কান্না বন্ধ করে গলা জড়িয়ে ঘাড়ে মুখ গুঁজে দিলো।তিতির আন্দাজে বুঝলো লোকটি মেয়েটির বাবা।

তিতিরের নিজের বাবা,জ্যেঠুর কথা মনে পড়ে গেলো।
অনেক বড় বয়েস অবধি তিতির ওদের কোলে,পিঠে চড়েছে।

প্রত্যেকবার পূজো এলেই তিতিরের বাবা নিয়ম করে পঞ্চমীর দিন,একটা বসন্ত মালতী,একটা পন্ডস স্নো,একটা গুড়ো ফেস পাউডার, আর একটা হেয়ারব্যান্ড কিনে আনতেন তিতিরের জন্য।

তিতিরের দাদা প্রতিবারই রাগ দেখিয়ে আড়ালে তিতিরকে বলতো,’বাবা তোকে বেশী ভালোবাসে’।
এই বেশী ভালোবাসার বিষয়টা তিতিরের গর্বের কারনও ছিলো।

তিতির বলতো,’আরে আমি তো শুধু হেয়ারব্যান্ডটা নেবো।বাকীগুলো তুই নিয়ে নিস’।

তিতির তখন নিয়ম করে পুতুলের বিয়ে দিতো,জন্মদিন পালন করতো।তিতিরের বড়মার ওপর দায়িত্ব থাকতো খাবারের।

একবার তিতির নিজের মেয়ে পুতুলের বিয়ের খাট,তোশক,লেপ,বালিশের দায়িত্ব দিয়েছিলো জ্যেঠুকে।

তিতিরের জ্যেঠুও অফিস থেকে ফিরে সময় বের করে নিজের হাতে খুব সুন্দর করে লেপ,তোশক,বালিশ,কোলবালিশ বানিয়ে দিয়েছিলেন তিতিরকে।
এমনকি অর্ডার দিয়ে খাট ও বানিয়ে দিয়েছিলেন।

তিতির অবশ্য মেয়ের বিয়ে দিয়েও সব জিনিস নিজের জিম্মাতেই রেখেছিলো।

নিজের মেয়ে পুতুলকে শ্বশুর বাড়ীতে না পাঠিয়ে তিন্নির ছেলে পুতুলকেই ঘর জামাই করেছিলো।

যদিও এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই তিন্নি কান্নাকাটি করে নিজের ছেলে পুতুল নিয়ে গিয়েছিলো ঘরে।

কত কথাই আজ মনে পড়ছে তিতিরের।
ইচ্ছে করছে একছুটে বাড়ী চলে যায়।
সেই ছোট্টটি হয়ে সবার আদর খায়।

‘তিতির তুমি ছাদে?আমি তো সারা বাড়ী তোমায় তন্নতন্ন করে খুঁজে আসলাম’,বিরক্ত হলেও মুখে হাসি টেনে বললো,’কিছু কি বলবে পাপান?’

‘ওই মা বলছিলো,কাল সকালেই ফিরতে হবে মাকে।যদি খাওয়ারটা বেড়ে দিতে,খেয়ে শুয়ে পড়তে পারত’।

তিতির বললো,’তুমি যাও আমি আসছি’।

সুদর্শন কলিংবেল বাজাতেই পাপান গিয়ে দরজা খুলে দিলো।

সুদর্শন পাপানকে দেখে অবাক সঙ্গে খুশীও।
‘কখন এলি পাপান?কতদিন পর দেখছি তোকে।কেমন আছিস?বিয়ের সময় আসলি না কেন তোরা?তারপরেও তো কোন যোগাযোগ নেই’।

পাপান হেসে বললো,’বিকেলবেলা এসেছি বাবিনদা।মা ও এসেছে সাথে।তোমার বিয়ের সময় আমার শিলিগুড়িতে চাকরীর ইন্টার্ভিউ পড়েছিলো,বাবার ও শরীর ভালো নেই।তাই আমাদের কারোরই আর আসা হয়নি বিয়েতে’।

‘আচ্ছা ফোন তো করে জানাতে পারতিস না আসবার কারন।সেটাও জানাসনি।
তারপর তোর চাকরীর কি খবর?কিছু হলো?’

বাবিনের কথায় পাপান বললো,’হ্যাঁ দাদা পেয়েছি চাকরী।দশমীর পরেই জয়েনিং ডেট।তোমাদের বাড়ী থেকে আমার যাতায়াতটা সুবিধার হবে।
তাই মা চাইছিলো যতদিন না কোয়ার্টার পাই বা ফ্ল্যাট কিনবার মতো উপযুক্ত না হই, ততদিন তোমাদের এখান থেকেই অফিস করি’।

‘বাহঃ এতো খুব ভালো খবর।তোর অফিসটা ঠিক কোথায় বলতো?’,কথা বলতে বলতেই বাবিনকে ডাইনিং এ আনে পাপান’।

তিতির রান্নাঘরে রুটির ঝামেলা মিটিয়ে ডাইনিং এ ওদের খাবার বাড়ছিলো।
সুদর্শন একটা মিষ্টির প্যাকেট ডাইনিং টেবিলের উপর রাখতে রাখতে বললো,’কেমন আছো জ্যেঠিমা?’

‘আর কেমন থাকবো এই বয়েসে!ওই কেটে যাচ্ছে তবু রক্ত পড়ছে না এই আর কি!’,বলেই নিজের কথায় নিজেই খানিকটা হেসে নিলেন জ্যেঠিমা।

তারপর বললেন,’পাপানকে রাখতে এলাম তোদের বাড়ীতে।ওর অফিস এখান থেকে কাছে হবে তাই।আমি কাল সকালেই ফিরে যাব।তোর জ্যেঠুর শরীরটা তেমন ভালো নেই বুঝলি’।

‘পাখি জ্যেঠিমারা এসেছেন জানিয়ে একটা ফোন তো করতে পারতে’,বাবিনের কথার উত্তর জ্যেঠিমাই দিলেন,
‘ও ফোন করতে চেয়েছিলো।আমিই বারন করেছি’।

জ্যেঠিমার কথায় বাবিন বললো,’এ তোমার ভারি অন্যায় জ্যেঠিমা।ফোন করতে বারন করলে কেন?পাখি ফোন করে দিলে আমিও তোমাদের আড্ডায় সামিল হতে পারতাম’।

‘আড্ডা আর কই হলো!বাড়ী খাঁ খাঁ করছে।তার ওপর তোর পাখি তো তখন থেকে শুধু খাওয়ারের ব্যবস্থাই করে গেলো’।
তা কি বানিয়েছো এটা বউমা?’

তিতির বললো,’বীটের সবজি।আসলে ঘরে কিছু ছিলোনা।।আর আপনি ও বাবিনকে ফোন করতে মানা করে দিলেন।তবে খেয়ে দেখুন মনে হয় গরম রুটি দিয়ে খারাপ লাগবে না’।

‘সেকি তুমি বাবিনকে নাম ধরে ডাকো নাকি!এটা তো ঠিক নয়’,জ্যেঠিমার কথায় হেসে বললো তিতির,’হ্যাঁ নাম ধরেই তো ডাকি।নাহলে কি বলে ডাকতাম?’

জ্যেঠিমা বললেন,’স্বামীর নাম মুখে নিতে নেই।তুমি না হয় শিখে আসোনি বাপের বাড়ীর থেকে।কিন্তু অনু,তৃণা?তারা কি করছিলো,তারা কী শেখাতে পারেনি তোমায়?’

একটু থেমে নিশ্বাস নিয়ে বললেন,’স্বামীকে বলতে হয়,অমুকের দাদা,আপনাদের ছেলে,তমুকের কাকা এসব বুঝলে?’,তিতির বললো,’কেন কোন কনফিউশন আছে এই ব্যাপারে?’

জ্যেঠিমা বললো,’কিসের কনফিউশন?’

তিতির বললো,’এই যে বাবিন আপনাদের ছেলে বা অমুক তমুকের দাদা বা কাকা!নাকি ভুলে যান আপনারা সম্পর্ক গুলি!মানে আমি বলতে চাইছি আমাকে বাবিনের কথা বলতে হলে বারবার করে আপনাদের সম্পর্কগুলো কেন মনে করাতে হবে?’

‘তুমি তো খুব তর্কবাগীশ মেয়ে।অনু, তৃণা কী করে তোমায় নিয়ে সংসার করছে কে জানে!’

জ্যেঠিমার কথায় তিতির হেসে বললো,’অতো চাপ নেবেননা জ্যেঠিমা।খেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে নিন’।

বাবিন বললো,’কিভাবে কথা বলছো তুমি পাখি!আমরা এই ভাবে বড়দের মুখে মুখে কথা বলিনা।ক্ষমা চেয়ে নাও’।

সুদর্শনের গম্ভীর গলায় তিতিরের কান্না পেয়ে গেলেও তিতির কিন্তু চোখের জল বাইরে আসতে দিলোনা।চুপচাপ পাপানের খাওয়ার বেড়ে এগিয়ে দিলো পাপানের দিকে।

তারপর মুখে মিথ্যে হাসির প্রলেপ টেনে বললো,’ক্ষমা করবেন জ্যেঠিমা।আপনার বাবিন মিষ্টি এনেছে।দিয়ে গেলাম,খেয়ে নেবেন’।আপনার কথাটার ওপর যেন ইচ্ছা করেই জোড় দিয়ে বললো তিতির।

তারপর বাবিনের দিকে তাকিয়ে বললো,’পাপানের দাদা তুমি কী খেয়ে এসেছো?না খেতে দেবো?’

তিতিরের বলার ধরনে হাসি পেয়ে গেলো বাবিনের।মজা করে নিজেও বললো,’পাপানের বৌদি আমায় নিয়ে একদম চিন্তা কোরনা।আমি খেয়েই এসেছি’।

‘আমি কিন্তু তিতিরকে বৌদি বলে ডাকতে পারবো না।তিতির বয়সে অনেক ছোট আমার থেকে’,পাপানের কথা শেষ না হতে হতেই ওর মা প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়লো।
‘একি অলক্ষুণে কথারে পাপান!সম্পর্কে যখন বৌদি তখন বৌদি বলেই ডাকবে ওকে’।

তিতির ওখানে আর দাঁড়িয়ে না থেকে সোজা ড্রয়িংরুমে চলে আসলো।জ্যেঠিমা সোফায় পা তুলে বসেছিলেন।
কুশন গুলোকেও নীচে ফেলে দিয়েছেন।

তিতির ব্যস্ত হাতে সোফার ওয়াড় টানটান করলো।নীচে পড়ে থাকা কুশন গুলোর ওয়াড় খুলে ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে আসলো।

পাশের দেওয়াল আলমারি থেকে ফ্রেশ ওয়ার বের করে কুশন গুলোতে পরিয়ে সোফায় সাজিয়ে দিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলো।

ছাদে এসে এতোক্ষনে তিতিরের থমকে যাওয়া চোখের জল মোম গাল গড়িয়ে ঝড়তে লাগলো।

তিতির রাস্তার দিকে মনোযোগী হতে চাইলো।কিন্তু সুদর্শনের কথাটা তিতিরের কানে বাজছে,”কিভাবে কথা বলছো তুমি পাখি!আমরা এই ভাবে বড়দের মুখে মুখে কথা বলিনা।ক্ষমা চেয়ে নাও।”

তিতিরদের বাড়ীতে স্বাধীন মতামত দেওয়ার আধিকার ছোট বড় সকলেরই ছিলো।তিতিরের বাবা বলতেন,”ছোটদের থেকেও অনেক কিছু শিখবার থাকে”।

‘কী হলো পাখি না খেয়ে ছাদে উড়ে এলে যে বড়ো!’,কথাটা বলেই সুদর্শন তিতিরের পিঠে হাত রাখলো।তিতির এক ঝটকায় সুদর্শনের হাত পিঠ থেকে সরিয়ে দিলো। সুদর্শন তিতিরকে দুহাত দিয়ে বুকে টানতে চাইলো।

তিতির সুদর্শনের হাত থেকে জোড় করে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌঁড়ে নীচের দিকে নামতে যেতেই পা শ্লিপ করে বেশ কয়েকটা সিঁড়ি গড়িয়ে নীচে পড়লো।

তিতিরের পড়ার আওয়াজে জ্যেঠিমা সিঁড়ির মুখে এসে দাঁড়ালো।
পাপান অর্ধেক সিঁড়ি উঠে তিতিরকে ধরতে গেলো,কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তেই
সুদর্শন তিতিরকে পাঁজাকোলা করে তুলে বাকী সিঁড়ি গুলো নামিয়ে এনে নিজেদের ঘরের বিছানায় শুইয়ে দিলো।

দরজাটা ভিতর থেকে টেনে বন্ধ করে তিতিরের কাছে এলো।
‘কোথায় লেগেছে পাখি আমায় বলো’,কথাটা বলেই সুদর্শনের চোখ পড়লো তিতিরের হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে।শাখা বেড়ে গেছে হাতের।

সুদর্শন দৌড়ে ফাস্টএইড বক্স নিয়ে আসলো।তুলো বেটাডিন সলিউশনে ভিজিয়ে কেটে যাওয়া জায়গা মুছিয়ে দিলো।তারপর তুলো দিয়ে অয়েনমেন্ট লাগিয়ে গজ বেঁধে দিলো।

তিতিরের চোখ দিয়ে তখনো জল গড়িয়ে পড়ছে।
‘কেন এমন করছো পাখি?আমি দোষ করেছি।তোমাকে ওই ভাবে সবার সামনে বলাটা আমার ঠিক হয়নি।
কিন্তু তা বলে এই ভাবে তুমি নিজেকে শাস্তি দেবে?’

তিতির সুদর্শনের হাত সরিয়ে খাট থেকে নীচে নামতে চাইলো।কিন্তু হাঁটু ধরে বসে পড়লো।সুদর্শন তিতিরের হাত সরিয়ে জোর করে পা উন্মুক্ত করতেই দেখলো পুরো মালাইচাকিটাই নীল হয়ে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে।

সুদর্শন দরজাটা টেনে বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফের প্যাড আনতে গেলো।

বাইরে থেকেই কানে এলো জ্যেঠিমার গলা,’দেখিস পাপান এই মেয়ে নিয়ে বাবিন বেশীদিন সংসার করতে পারবে না।মেয়েরা হবে লক্ষ্মীমন্ত,ধীর চলন।এই মেয়ে ছোটাছুটি করে এখনি শাখা বেড়ে ফেলেছে।সিঁড়িতে শাখার টুকরো গুলো কেমন ছড়িয়ে পড়ে আছে দেখেছিস?’

একটু থেমে বললো,’আর বাবিনকে দেখেছিস,বউ পেয়ে কেমন ভ্যাড়াকান্ত হয়ে গেছে।সকলের চোখের সামনে দিয়ে,একেবারে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে ঘরে গিয়ে দোর দিলো’।

বাবিন কথাগুলোর কোন উত্তর না দিয়েই ঘরে ঢুকে ফ্রিজ খুলে বরফের প্যাড বের করে নিলো।
তারপর পাপানকে বললো,’পাপান দোতালায় মশা নেই।তবু শোয়ার আগে অল আউট জ্বালিয়ে নিস’।

তিতিরের ফোনটা হঠাৎ বেজে উঠলো।
তিতির হাত বাড়িয়ে ফোনটা নিয়ে হেলো বলতেই অপর প্রান্তের গলা শুনে তাড়াতাড়ি নিজের চোখদুটো মুছে নিলো।তারপর যতটা সম্ভব নর্মাল গলা করে কথা শুরু করলো।ফোনটা তিতিরের মামনির।

অনুশ্রী ওদের খবর নিতে গিয়ে জানতে পারে সুদর্শনের বসিরহাটের জ্যেঠিমা আর পাপান এসেছে।খবরটা শুনেই অনুশ্রীর কপালে হাল্কা ভাঁজ।

অনুশ্রী বললো,’তিতির একটা কথা বলে রাখছি,বসিরহাটের দিদির কথাবার্তা তেমন ভালো নয়।তুমি কিন্তু কোন কথাই মনে লাগিও না।ওরা চলে গেলে পারলে বাবিনকে নিয়ে দুদিনের জন্য বাপের বাড়ী ঘুরে এসো’।

মামনির কথা শুনে তিতিরের চোখ দিয়ে আবার জল গড়াতে থাকলো।
তবু তিতির কিছুই বুঝতে দিলোনা।শুধু ছোট্ট করে বললো,’মিস ইউ’।

তিতির ফোনটা রাখতেই সুদর্শন বরফের প্যাড নিয়ে দরজা খুলে ভিতরে আসলো।

বললো,’ভাবছি পাপানতো এর আগেও এখানে এসে থেকেছে।আমি রানা রেস্টুরেন্টে বলে যাব তিনবেলা করে ওর খাবার দিয়ে যেতে।আমরা দুদিন বরং তোমার বাড়ী থেকে ঘুরে আসি’।

তিতির কোন উত্তর দিলোনা।

সুদর্শন তিতিরের নীল মালাইচাকিতে বরফের প্যাড লাগাতেই তিতির উঠে বসলো।হাত বাড়িয়ে প্যাডটা নিতে চাইলো নিজে লাগাবে বলে।

সুদর্শন জোড় করে তিতিরকে শুইয়ে দিলো।
গম্ভীর গলায় বললো,’এবার বকবো কিন্তু।আমাকে বরফ সেঁকটা দিতে দাও’।

অনেকক্ষণ সময় ধরে তিতিরকে বরফসেঁক করছিলো সুদর্শন।

তিতির কাঁদতে কাঁদতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে।

সুদর্শন ঘুমের মধ্যেই তিতিরের মালাইচাকিতে থম্বোফোব জেল লাগিয়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলো।

টাওয়াল ভিজেয়ে এনে মুখ মুছিয়ে দিলো।তারপর তিতিরকে জড়িয়ে ধরে নিজেও চলে গেলো ঘুমের দেশে।(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here