তুইতেই আমি🏵পর্বঃ১০

0
2617

তুইতেই আমি🏵
লেখিকাঃইসরাত আয়রা ইচ্ছে
পর্বঃ১০
🍁🌼🍁
আম্মুর মুখের কথা টেনে আহান বললেন
—হ্যা ভালো মা আমিও তাই বলছি। ইচ্ছে তো একবার গেছে আর যাওয়ার দরকার নেই।ও আমাকে রান্না করে খাওয়াবে(আহান)
এরপর আহান আমার দিকে তাকিয়ে ভয়ংকর বাকা হাসি দিলো,,
সবাই আহানের কথায় সম্মতি জানালো।এমন না যে আমার খারাপ লাগছে।আহানের সাথে আলাদা কিছু সময় একসাথে পাওয়া যাবে সেটা আমার জন্য আনন্দের। বলতে গেলে প্রচুর আনন্দের। কিন্তু আমি অন্য একটা বিষয়ও খুব ভাবছি আহানের ক্লাস শুরু হয় নি আর যদি হতোও সে এটেন্ড করতেন না।বেড়াতে গেলে যাওয়াই যেত। মিথ্যা বলে নিজেও থাকলেন আমাকেও রাখলেন।
🍁
দুই ঘন্টার মধ্যে বাসার মানুষগুলো তৈরি হয়ে গেল। আমি আর আহান গেট পর্যন্ত গেলাম।আম্মু যাওয়ার আগে ১০০ বার বলে গেলেন আহানকে এখনই যেন আমার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে আহানের বাসায় সিফট করি। যেহেতু আহানের এডমিশন ওর বইখাতা টানাটানি বেশি হয়ে যাবে। কবে আসবে তার সিউরিটি দিতে পারলেন না। নানুর শরীরের অবস্থার উপর ডিপেন্ড করছে।আমাকে বললেন যাতে আহানের খাওয়া দাওয়ায় কোন সমস্যা না হয়।আমিও হাঁচি দিচ্ছি আর সম্মতি জানাচ্ছি। অবশেষে নিজেদের গাড়ি করেই চলে গেলেন।
— হাঁচি দিচ্ছিস কেন এতো?
–ঠান্ডা লেগে গেছে হয়তো।
–ও আচ্ছা।কি কি জিনিস লাগবে ১০মিনিট টাইম দিলাম গুছিয়ে নে।আমি আসছি বাইরে থেকে। এসে একবারে সব নিয়ে তালা দিয়ে তারপরে ঘরে যাব। আর তোর রুমের ব্যালকুনির দরজাটা দিবি না।বাইরে থেকে আমি দিয়ে দিব কখন কি লাগবে ওখান থেকেই বিনা কষ্টে আনা যাবে ।
তার বুদ্ধির লা জাবাব,,,,মাথা নেড়ে হাটা দিলাম।
🍁🌼🍁
আস্তেধীরে কাজ করছি শরীর আসলেই টানছে না।সব গুছিয়ে বসলাম এরমধ্যেই আহান এসে ব্যাগ নিয়ে হাটা দিলেন।
তাদের বাসায় নিয়ে আমাকে নিচ তলায় একটা রুম এ দিয়ে হনহনিয়ে উপরে চলে গেলেন।
উপর থেকে চিল্লিয়ে বললেন রান্না করতে হবে না খাবার বাইরে থেকে এনেছি কাল থেকে করিস।
আমিও তাই খুশি মনে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। আসলেই শরীর বিছনাটাই চাইছিলো।
🍁
যখন ঘুম থেকে উঠলাম দেখলাম পাশে বসে আহান মনযোগ সহকারে জলপট্টি দিচ্ছে আমার মাথায়।শরীরের উত্তাপে বুঝলাম গায়ের জ্বরের তীব্রতা।জ্বর আসলে আমার হুস উড়ে যায়। অবস্থা বেহাল।পিটপিট করে আহানের সেবা করা টা বড্ড ভালো লাগার জানান দিলো আমার মনে।
আবার ঘুমিয়ে গেলাম,, পরের বার যখন চোখ খুললাম দেখলাম আমার মুখে বিরিয়ানি টিপে টিপে ঢুকানোর ট্রাই করে যাচ্ছে আহান।
চোখ খুলে বললাম
–ডাকতে পারতেন আমাকে ঘুমের মধ্যে আম্মুর মতো খাওয়াতে বসলেন কেন?
আমার কোনো কথার জবাব না দিয়ে বললেন আমি যাবার পরেও তুই এক ঘন্টা কেন ভিজলি কেন? হোয়াই?
তার হুংকারে আমার কান্না পেল।
–এখন কাদ কাদ।আমার সেবা করতে ওনাকে রেখে গেছে আর উনি প্রথম দিনেই আমাকে দিয়ে খাটিয়ে মারছে।জ্বর উঠলে যে তুই আধা পাগল হয়ে যাস তখন কি তোর শশুর এসে সামলাবে???
–নাহ আপনি।আমাকে একদম কষ্ট দিবেন না আমি কেদে দিব
–হ্যা পাগলের প্রলাপ শুরু হয়ে গেছে,,, ভালো ভালো। হাত তালি,,,,,নে খা উদ্ধার কর আমায়
–আপনি তো বিপদে পরেন নি উদ্ধার কিভাবে করবো?
–হ্যা আসলেই আয় মা খা । আমি খাওয়াতে পারি না এমনিতেই
আহানের ভালো লাগছে না তা নয়।ঘুমের ঘরে ইচ্ছেকে খেতে দেখতে আহানের ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগতো। আহান চিন্তায় আছে মেয়েটা পাগলামি শুরু করলে থামাবে কি করে?আবার নিজেকে নিজেই অভয় দিচ্ছে তার ভালোবাসা তাকেই সামলাতে হবে।
–হুম নে খা,, হা কর হ্যা জোরে হা কর না বাপ
— আহান আমি আপনার মা বাপ?
–না বউ
— সত্যি?
–এবার খাও
ইচ্ছের জ্বরের ঘোড়টা বেরেছে। এখন আহান যাই বলুক সব সাভাবিক ভাবেই নিবে কিছুই মনে করবে না তাই নিশ্চিন্তে আহান আজ মন খোলা কথা বলতে পারবে। তাই ভেবে আহানের মনে অদ্ভুত এক আনন্দ লাগছে।আবার ভয়ও লাগছে অজানা কারণে,,,
ইচ্ছের খাওয়া হলেও ঔষধ খাওয়াতে যুদ্ধ করতে হলো।আর শেষমেষ বমি। আহানের হাতে বমি পরল বিছানার চাদরে পরলো।কিন্তু বমি থামছে না দৌড়ে বেসিনে গেল আবার বমি আর আহান কোনো মতে হাত মুছে ইচ্ছের মাথা চেপে ধরলো। বমি করার পরে আর মেয়েটার দিকে তাকাতে পারছে না আহান। কি অবস্থা নেতিয়ে গেছে একেবারে।
ঘর পরিষ্কার করে,বিছানার কাপড় চেন্জ করে ইচ্ছেকে জামা চেন্জ করতে বললো।
কিন্তু সে এক ধ্যান এ আহানের দিকে তাকিয়েই আছে
–ইচ্ছু ভালো মেয়ে তুই যা জামা পাল্টে আয়
–আহান আপনি কি সুন্দর কি কিউট। আচ্ছা আপনার বুকে পশম আছে ?(চিন্তিত ভাব নিয়ে)
–নেই তো?
–কি বলেন আমি কি ধরে টান দিবো?,,,,আমার এক বান্ধবী বলেছে কি শুনবেন?
আহান তাজ্জব বনে গেলো। এই মেয়ে কাদের সাথে মিশে,,ওর কথায় পাত্তা না দিয়ে বললো
–না একদম শুনবো না।ঔষধ ফেলে দিলি বমি করে,,, এখন জ্বর বাড়ছে আর ভুল ভাল বকছিস
তারপরে হাতে জামা দিয়ে জোর করেই বাথরুমে ঢুকিয়ে দিলো। আর হুমকি দিল
–যতক্ষন জামা না পালটাবি বাথরুমেই আটকে রাখবো
ইচ্ছে ভদ্রমেয়ের মতো জামা পাল্টালো।বাথরুম থেকে ধরে ধরে বিছানায় বসিয়ে দুই পিচ কেক খাওয়ালো তারপর খুব সাবধানে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঔষধ খাওয়ালো।
🍁
আহান ইচ্ছেকে একা নিচে রাখতে সাহস পাচ্ছে না।কিছু না ভেবেই কোলে করে দু তলায় নিজের রুমের বিছানায় নিয়ে গেল।
শোয়ানোর পরে ইচ্ছে আহানের গলা আর ছাড়ছে না।
–কি হলো গলা ছাড় উঠবো
–শুনবেন বুকে পশম থাকলে,,,,
–না একদম শুনবো না সুস্থ হ বুকে পশম শিখাবো তোকে
–আরে শুনুন
–বুকে পশম থাকলে ভালোবাসা বাড়ে।আপনার নেই এইটা আমার জন্য খুব টেনশনের,,,ভালোবাসা বাড়বে কিভাবে?
(ইচ্ছের কথা গুলো ক্রমশ জড়িয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে।)
আহান হালকা হাসলো
–পারছিস না ঠিক মতো কথা বলতে আবার এই নিয়ে টেনশন হচ্ছে কি করে?
–খুব হচ্ছে,,,,,,,, আহান আহান
–হুম বল
–আপনাকে আরও কাছ দিয়ে দেখাবেন?
–আমাদের ফেস এর মধ্যে গ্যাপ খুবই কম গলাই তো ছাড়ছিস না।।এর থেকে কাছে কি দেখবি।ঘোলাটে দেখবি ট্যাড়া হয়ে যাবি,,।
— কেন সেদিন রাতের মতো,,,কতটা কাছে ছিলেন এখন অনেক দূরে আপনি আহান অনেক
–এই দূর?
আহান কি বলবে বুঝতে পারছে না।কিন্তু ইচ্ছে সুস্থ হবার পরে এসব মনে করে লজ্জা পাবে কিনা আহানের সামনেই আর না আসে।
— ছাড়বি কিনা?
–না ছাড়বো না কোনো ছাড়াছাড়ি নেই।আমার পাশে শুয়ে পরুন না
–হ্যা পাগলের পাশে সুবো তারপর নিজের বিপদ নিজে ডাকবো?
আহানের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপলো। সে পকেট থেকে ফোন টা বের করে ভিডিও অন করে সাবধামে পাশে রাখলো,,, ইচ্ছের এসব পাগলামি সব সময় পাওয়া যাবে না
–আহান নড়াচড়া করতাছেন কেন?
— ছাড় না আমাকে কেন পাগলামি করছিস?
— আমি খুব সুস্থ সাভাবিক ভাবেই কথা বলছি।
বলেই গালে টুক করে চুমু দিয়ে দিল।আহান অবাক হয়ে ইচ্ছেকে দেখছে। ইচ্ছে কিটকিট করে হাসছে আর লজ্জা পাচ্ছে এমন একটা ভাব করছে।এভাবে বেশিক্ষন চলতে থাকলেই ক্ষতি খুব ক্ষতি। ইচ্ছের গায়ে কতটা জ্বর তা চুমো খেয়ে মাপা হয়ে গেছে আহানের কিন্তু কি করে ঘুম পাড়াবে ভাবছে
— তোর আমাকে ভয় করছে না?
–কেন ভয় করবে?আচ্ছা রাত কয়টা বাজে?
— ১২ টা হবে ৭ ঘন্টা ঘুমিয়েছিস। রাত টাও ঘুমিয়ে নে
— ওটা দাও না একটা
–আমি তোকে কি বলছি আর তুই আমাকে কি বলছিস?ওয়েট ওয়েট আমাকে তুমি কেন বললি?
–সরি মিসটেক দিন না একটা
আহানের আর কিস করতে হয় নি।ইচ্ছে নিজেই আবার আহানের মুখ গালে চেপে চুমু খেয়ে নিয়েছে
–আমি পাগল হয়ে যাব পাগল
–কেন?পাগল কেন?আসুন সুয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিন না
–হুহ তা ছাড়া উপায় আছে না ঘুমালে আজ তোকে ছাড়াতে পারবো না।
আহান পাশে সুতেই ইচ্ছের আবদার বিলি কেটে দিন মাথাটা কেমন ঘুর ঘুর করতেছে এরপরেই শক্ত করে গলা জরিয়ে ধরলো। দুরত্ব নেই দুজনের মাঝে,,,,ইচ্ছে ঘোরের মধ্যে কিন্তু আহানের তো খুব কষ্ট হচ্ছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে!!!!
ভালোবাসার মানুষ এতো কাছে থাকলে নিজেকে সামলাতে যেকোনো ছেলেই হিমশিম খাবে। প্রেমটা হলেও কথা থাকতো। আহানের মন চাচ্ছে সব ছেড়ে এক দৌড় লাগাক নয়তো মাথা যা বলছে তাই করুক।
–আল্লাহ এমন বিপদে কোনো ছেলেকে ফেল না
–কেমন বিপদ ?আচ্ছা বাদ দিন আমার না কেমন কেমন করছে আহান
–এই জ্বর নিয়ে কেমন কেমনও করে তোর?আমার গা পুড়ছে অলরেডি
–হুম
–চুপ হয়ে গেলি কেন?
–আহান আপনাতেই কি আমি?

ইচ্ছের এমন ধির স্থির কথা আহানের বুক কাপিয়ে দিলো।এতো তাড়াতাড়ি পূর্ণতার কথা শুনবে ভাবে নি।জ্বরকে নিজের অজান্তেই থ্যাংকস জানালো আহান।তারপরে আহান নিজেও জড়িয়ে ধরলো।
এর মধ্যেই ইচ্ছে বললো
–আমার সুরসুরি পাচ্ছে
–পাক।
আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আহান।গলায় চটপট করে চুমু একে দিলো বেশ কয়টা।ইচ্ছে কেপে উঠলো তা আহানের বুঝতে বেগ পেতে হলো না
–সুরসরি দিচ্ছেন কেন গলায়?
গলা থেকে মুখ উঠিয়ে আহান বললো
–সুরসুরি চিনিস তুই?
–হ্যা
–কচু চিনিস
— তাহলে এটা সুরসুরি না কচু ছিলো?
— তোর জানতে হবে না
ইচ্ছে লাফিয়ে উঠে বসে বললো
–আমি জানি
— বাহ কি বলতো
আমিও উঠে বসলাম
–বলবো বলবো কিচ্ছু জানেন না দেখছি আপনি।মাথা ঘুরিয়ে পরে যাব তার আগে বিছানায় হেলান দিয়ে বসিয়ে দিন তো
— হ্যা দিচ্ছি এবার বল
–হ্যা শুনুন । ইটস কলড সে,,,
–থামলি কেন বল
— আরে বুঝেন না? সে,,, সে,,
— না বুঝিনি বল(আহান বুঝেও এমন করছে। ইচ্ছের পেটের কথা আজ নিমিষেই সে সব জানতে পারবে তাই ভেবেই হাসছে)
–সে,,,,,, ধুর লজ্জা করছে।।।সে যাই হোক বিপরীত লিঙ্গের প্রতি এট্রাকশনের ফলে এইটা হয়।সায়েন্সের স্টুডেন্ট জানেন না?
–হ্যা বুঝলাম।তোর ও তাহলে এটা হয়েছে মাত্র?
— নাহ আমার হয় না।(প্রাউড নিয়ে বললো কথাটা)
— তাহলে তোর যে সুরসুরি পায়
–সেটা সুরসুরি ওটা না।জানেন জানেন
–না বললে জানবো কিভাবে?
–আমার ফ্রেন্ড রিতু। ও সব বলে আমাকে
–তা কি কি বলে?
–ওই বয়ফ্রেন্ডের সাথে হাপিস হিপিস। প্রায়ই হয় ওদের
— হোয়াট ইজ হাপিস হিপিস?
ইচ্ছের এসব শুনে আহানের মাথায় রাগ উঠছে এসব কেউ কাউকে বলে নাকি কিন্তু নিজেকে দমাতে হবে। ঠাণ্ডা রাখলো নিজেকে
–আরে ওই তো,,,,, বলতে লজ্জা করছে। আর আপনার সামনে আরও লজ্জা।
— তা তোর সাথে কিছু হলে তুইও কি বলিস?
–নাহ আমার লজ্জা লাগে এসব বলতে। আর হয়েছেই বা কি একটা লিপকিস মাত্র।জানেন লিপকিস খেতে হেব্বি মজা। আমার জীবনে প্রথম এটা হিহি
–তা তোর ভালো লেগেছে?
আহান হাসছে আর ভাবছে সুস্থ থাকলে এমন কখনোও আমার সাথে বলতে পারত না
–হুম বলেই আহানের কলার টেনে নিজের কাছে আনলো।
–আহান আপনার ঠোঁট কি সুন্দর টকটকে লাল তাই এত প্রোপসাল পান তাই না?
— কি জানি। কেন?
–আমার ও বেশ খেতে মনে চায় তাই।
এটা বলেই ইচ্ছে সেই এক লজ্জা পেল।আহান সুযোগে বললো
— খা তো পারলে দেখি কেমন খেতে পারিস
🍁
ইচ্ছে এই নিয়ে ২০ বার আহানের মুখের সামনে এসে ফিরে গেছে।আহান খুব কষ্টে হাসি চাপিয়ে রেখেছে।সামনে এসে চোখ বুঝছে আবার ফিরে যাচ্ছে। হাসারই কথা
–নাহ পারছিই না আহান
–এবার আর তোকে সুযোগ দিব না
— এই বার লাস্ট আর একবার সুযোগ দিন
— না আর না
— পিলিজ
–না দিব না অনেক দিছি পারিস না তুই
–আচ্ছা এবার বলেই আহানকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে জামার কলার টেনে ঠোঁটের উষ্ণতার জানান দিলো।
আহান অবাক হয়ে থেমে থাকলেও পরে ইচ্ছের সাথে নিজেও সাড়া দিলো। আহান আসলে সত্যিই ভাবেনি ইচ্ছে পারবে তাই ই মজা করে কিস করতে বলেছিলো।আহানের মনে হলো জ্বরের ঠোঁটের উষ্ণতা সত্যিই আলাদা।
সবচেয়ে হাসির ব্যাপার ইচ্ছে সারা রাতের মধ্যে আহানের ঠোঁট ছাড়েনি।আহান খুব কষ্টে চুপচাপ এই অত্যাচার সহ্য করেছে।সারারাত পাগলামি করেছে চুমু খেয়েছে আবার ছেড়ে বলেছে আহান আপনার ঠোঁট টা কি মিষ্টি ।
শেষরাতের দিকে ঘুমিয়ে পরেছে।আহান হাফ ছেড়ে বেচেছে।ইচ্ছের জামা কাপড় ওড়না ঠিক করে দিয়ে গায়ে চাদর টেনে দিয়ে দ্রুত বিছানা ছেড়ে উঠে সোফায় শুয়ে পরলো।আসলেই মেয়েটার ঘুমন্ত চেহারায় তাকিয়েই জীবন পাড় হয়ে যাবে। কি মিষ্টি কি মিষ্টি,,,, আহানের মুখ একরাশ হাসি নিয়ে পরে আছে হাসির রেশ কাটছেই না। তখনি আবার মনে পরলো ইচ্ছের কথাটা
“আহান আপনার ঠোঁট কি মিষ্টি ”
আহান দোয়া করছে ইচ্ছে রাতের কথা যেন ভুলে যায় নয়তো আমার সামনে আর আসবে না।এক ঘরে থেকে দূরত্ব একেবারি সহ্য করবে না আহান। দূরে থাকার জন্য এতো কাঠখড় পুড়িয়ে রাখেনি ইচ্ছেকে সে।
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here