তুইতেই আমি🏵পর্বঃ২২

0
1872

🏵তুইতেই আমি🏵
লেখিকাঃইসরাত আয়রা ইচ্ছে
পর্বঃ২২
🍁🌼🍁
এভাবেই পনেরো দিন কেটে গেলো।এর মধ্যে বেশ কয়েকবার আহান ইচ্ছের সাথে দেখা করার জন্য চেষ্টা করেছে প্রত্যেক বারেই ব্যর্থ । ভার্সিটি গেলেও পাওয়া যায় না ইচ্ছেকে।যাকেই জিজ্ঞেস করে সে ই বলবে জানি না বা দেখি নি । আহান আর সহ্য করতে পারছে না। পরিচিত মানুষের অপরিচিত রূপ মেনে নেওয়াই হয়তো সবথেকে কঠিন কাজ।
সন্ধ্যায় নামাজ আদায় করে আহান ছাদে যায়।ছাদে দাঁড়িয়ে মুক্ত আকাশ দেখতে থাকে।তার বিষন্নতাও যে আকাশ ছোঁয়া।
আয়ান তাদের ছাদে এসে দেখে আহান আকাশের দিকে মুখ করে আছে।আয়ান ক্লাস টেনে পড়ে। আয়ানের যথেষ্ট বুঝ ব্যবস্থা আছে সব বিষয়ে। তার বোন এমন করছে কেন নিজেও জানে না।আয়ান আস্তে আস্তে আহানের কাছে যায়।সে মূলত ছাদে এসেছে ইশালের সাথে দেখা করতে আহানকে দেখে হয়তো ইশাল আসে নি বা পরে আসবে। আয়ান আর কিছু না ভেবে ইশালদের ছাদে লাফ মেরে গেলো। শব্দ শুনে আহান পিছনে তাকায়। আয়ানকে একপলক দেখে আবার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে।
— ভাই( আয়ান)
আহান নিশ্চুপ
— ভাই
— হুম বল। কিছু বলবি?
–না মানে,,, কিছু না ভাই। তুমি এখানে এই সময়?
— কেন ইশাল আসবে? ইশালের সাথে দেখা করতে এসেছিস?
— হু এসেছিলাম
আহান দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।এই ছাদেই তো ইচ্ছেকে কোলে নিয়ে কতো হেটেছে সে।দুষ্ট মিষ্টি মুহুর্তের শেষ নেই।
আহানের দীর্ঘশ্বাস দেখে আয়ান বুঝতে পারে আহানের কষ্টটা।
— ভাই ইচ্ছুটা এমন কেন করছে আমি বুঝতে পারছি না।আমার সামনে কেউ কিছু বলেই না।আমি তোমাকে কোনো ভাবেই হেল্প করতে পারি নি ভাই।যত বার হেল্প চেয়েছ,,,,
আহান ঘুরে রেলিং এর সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়ালো।
— তোর বোনের হৃদয়ের কঠোরতার সাথে সাথে মগজও খুলে গেছে বুঝলি। নইলে ওরে বোকা বানিয়ে কত ওর রুমে ঢুকলাম আর এখন সব আইডিয়া,,,,,, কিছুই কাজে লাগছে না।
— এনি প্লান ভাই?
–দশ দিনের একটা দিনও তো প্লান ছাড়া ছিলাম না।কাজে কোনটা লেগেছে বলবি?
— তাতো কিন্তুহ
— আমার একটা প্লান আছে ভাইয়া(ইশাল)
আহান আয়ান দুজনেই ইশালের দিকে তাকালো।
ইশাল এসে আহানকে জড়িয়ে ধরে বললো “তোর অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই না ভাই?”
আহান কিছু বলে না। তার ছোট্ট বোনটাও বড় হয়ে গেছে।
— ওই ছাড় ছাড়।ভাইরে জড়ায় ধরিস ভাইর গরম লাগে না?
— না লাগে না।তুমি একটাও কথা বলবে না।এতো দিনে ভাইয়াকে একবারও ইচ্ছাপুর সাথে দেখা করায় দিতে পারলে না।আবার ভাইয়ার গরম নিয়ে টেনশন করে।হুহ
আহান হালকা হাসলো।
— তোরা কি ঝগড়া থামাবি? আগে কতো মিলমিশ ছিলো তোদের। প্রেম করার পর হলো টা কি তোদের?কথায় কথায় লেগে যায়।
— হ্যা ভাই ইশাল তো দিন দিন ঘষেটি বেগমের পদবি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।ঝগড়ার তেজ তো দেখো একবার।
— আয়ান ভাইয়া তোমাকে আমি কুচি কুচি করে তারপরে বয়েলড সালাদ বানাবো বলে দিলাম কিন্তু
— রাক্ষসী।(মুখ বেকিয়ে)
— আচ্ছা তোরা ঝগড়া কর আমি যাই।
— আরে আরে ভাইয়া প্লান তো শুন।
–এই তোর জন্য ভাই রাগ করলো।
— না রাগ করি নি।কথা বল তোরা।
— আগে প্লান শুনো কথা হবে পরে ।
— এতো বার শুনাইলি বাট শুনতেই পারলাম না। (আয়ান)
— কথা বাড়াবা না একদম আয়ান ভাইয়া।
আহান বেশ বুঝতে পারছে এই দুই পাগল ভবিষ্যতে কি করবে।
— বললে বল নয়তো গেলাম।
— হ্যা শুনো।আমি ইচ্ছে আপুর রুমে যাবো। আমি দরজা খুলতে বললে ঠিক খুলবে।ভাইয়া তুই আয়ান ভাইয়ার রুমে লুকিয়ে পরবি ভালো মা ভালো বাবা না দেখে আবার।কেমন? রাত এগারো টায় এই অভিজান চালাবো।ডান ( হাত পেতে দিয়ে)
আহান আয়ান ইশালের মাথায় চাটি মেরে বললো ডান।
— এতো ভালো প্লান দিলাম তোমরা আমাকে মারলে?দিস ইয নট ডান গাইজ।
— আরে প্লান তো দিছে তোর মাথা তোর হাত তো না।তাই মাথার সাথে হাত মিলাইছি।বুঝলি না?( আয়ান)
আহান অনেক দিন পরে এদের কাজে কর্মে হাসছে।মাথার জটলাটা ছেড়েছে কিছুটা ।যাক ইচ্ছের সাথে ভালো ভাবে কথা বলা যাবে।
রাত এগারোটা।আয়ান যখনই খবর দিয়েছে তার বাবা মা শুয়ে পরেছে আহান তখনই আয়ানের রুমে এসে পরেছে।
আর ইশাল ইচ্ছের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছে।
— আপু আপু দরজা খোলো।
–কেন?
— আপু কাল স্কুলে একটা ফাংশন আছে তাই ডান্স শিখতে এসেছি।
— সারা সন্ধ্যা কই ছিলি?
— ভাইয়া পড়াচ্ছিলো। ভাইয়া ঘুমানোর পর আসলাম।
— তোর ভাইয়া ঘুমিয়েছে?
— হু।খুব মাথা ব্যাথা ছিলো ভাইয়ার তাই ঘুমিয়ে গেলো।
ইচ্ছে দরজা খুলে দিলো
আজ সন্ধ্যা থেকে আহানের রুমের জানলা অফ।তাই ইচ্ছের মন খুবই খারাপ।এই সময়ে নাচ শিখানোর মুডই নেই তার।তবুও মেয়েটা এসেছে ফেরানো তো আর যায় না ইচ্ছে দরজা খুললো।
ইচ্ছে দরজা খুলতেই আহান হুরমুরিয়ে ঢুকে গেল।ইচ্ছে টেরই পেল না কি থেকে কি হয়ে গেছে।ইশাল একটা প্রশান্তির হাসি দিলো।এরমধ্যে আয়ান ইশালকে টেনে নিয়ে গেল।
আহান রুমে ঢুকেই দরজা আটকে দিয়েছে।আর ইচ্ছে হা করে তাকিয়ে । এত্তোবড় হা করে।
আজ পনেরো দিন পর মানুষ টার তার কাছে।ইচ্ছে মুখ বন্ধ হওয়ার নামই নিচ্ছে না।কেমন শুকনো শুকনো লাগছে না?
আহান ইচ্ছের হা করা মুখের মধ্যে চটাশ করে কিস করে দিল।ইচ্ছে খেয়াল আসতেই আহানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
আহান আবার এসে দুইহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ইচ্ছের কপালের সাথে কপাল মিশিয়ে বলে
— এতো তেজ কেন?হুম?কি খাইয়া পাওয়ার বাড়াইলি।
ইচ্ছের হাত পা থরথর করে কাপছে।নাহ ভেঙে পরলে চলবে না।কিছুতেই না।
— দিন দিন কি পাগল হয়ে যাচ্ছেন আহান?কি বলছেন এসব ছাড়ুন।গায় পরা অভ্যাস হয়ে গেছে আপনার।ছাড়ুন
ইচ্ছে ছাড়ানোর জন্য জোর জবরদস্তি করছে কিন্তু আহানের শক্তির কাছে সে দুধভাত।
আহান মিটি মিটি হাসছে আজ সে ইচ্ছের কোনো কথাই গায় মাখবে না।খুন আদর করে মেয়েটার অভিমান ভেঙে দেবে।কিসের এতো রাগ কে জানে?
— অভিনয় করছিস তাই না পাখি?সারপ্রাইজ দিবি বড় কোনো ?
আহানের কথায় ইচ্ছের মন খারাপ হয়ে গেলো। আসলেই সারপ্রাইজড হয়ে যাবে আহান। কিন্তু সেটা হবে তার কাছে আনপ্লিজেন্ট সারপ্রাইজ। হুহ
— আহান ছাড়ুন।আপনার ছোঁয়া আমার কাছে বিষের মতো লাগছে।ছাড়ুন।আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি।সারপ্রাইজ আপনার মতো ক্যারেক্টারলেসকে দেব? হোয়াই?
আহানের মাথায় রক্ত উঠে গেল। গুরুত্ব দিচ্ছে বলে যা ইচ্ছা তাই বলবে নাকি?
— কি বললি তুই?( তুই হাত শক্ত করে চেপে ধরে)
কি বললি।
— আহান লাগছে।রাস্তার ছেলেদের মতো করছেন কেন? অবশ্য যার যেমন স্বভাব।
ইচ্ছের মুখভঙ্গি আহানের ভালো লাগল না।ইচ্ছের প্রত্যেক কথায় আহানের রাগ যেনো বেড়েই চলছে।এসেছিলো ইচ্ছেকে বুঝাতে কিন্তু ইচ্ছে সহজে বুঝার মানুষ না আহান বুঝে গেছে।আহানের ধৈর্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
— আমি ক্যারেক্টারলেস আমি????????কেন কয়টা মেয়ের সম্মাম নিয়েছি আমি?বল একটা মেয়ের নাম বল
— আমি নাম জানার প্রয়োজন বোধ করি নি।
আচ্ছা তাহলে নিজের নামটা লিখিয়ে নে।নিজের নামটা তো জানবি।
রাগে আহানের ফরসা মুখ লাল হয়ে গেছে।এতো অপমান আজ পর্যন্ত কেউ তাকে করে নি কেউ না।রাগে যেনো আহান জ্ঞান শুন্য হয়ে গেছে।
–সম্মান নষ্ট কাকে বলে দেখবি এবার।আমার জীবন নিয়ে খেলছিস তুই তাই না? দেখ এবার।
আহান ইচ্ছের ওরনা এক টানে নিজের হাতে নিয়ে নিলো।আহানের এই রূপে ইচ্ছে প্রচুর ভয় পেয়ে গেলো। আহানের রাগ সম্পর্কে তার ভালোই ধারণা আছে।সাউন্ড প্রুফ রুমে চিৎকার করলেও কেউ শুনবে না।তবুও চিৎকার করছে ইচ্ছে।
আহান একটানে ইচ্ছের জামা পিছন থেকে ছিড়ে ফেলেছে। ইচ্ছের গায়ের জামা পুরোপুরি ছিড়ে কোথায় ফেলেছে ঠিক নেই।
ইচ্ছে নিজেকে ঢাকতে ব্যর্থ চেষ্টায় ব্যস্ত। আহানের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না।আজকের রাতটা যে সেদিনের রাতের মতো না।সে আজ আহানের সামনে খুবই লজ্জা পাচ্ছে তার থেকেও বেশি অসস্তি হচ্ছে।
আহান ইচ্ছেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিলো।
— তোকে নতুন কি দেখার আছে।।।তুই তো তুই।সব দেখা আমার।ইচ্ছে এই দ্যাখ তোকে ছেলেরা ছুয়েছে।নষ্ট এ শরীর তোর নষ্ট। তুইও নষ্ট মেয়ে।আমিও নষ্ট ছেলে কতো মিল দ্যাখ
আহানের মুখে নষ্ট কথা যেনো ইচ্ছের কানে বাজতেছে।সে অবিশ্বাস্য চোখে আহানের দিকে তাকায়
আহান বিকট হাসলো। ইচ্ছের সামনে বসে ইচ্ছের থুতনি এক আঙুল দিয়ে জাগালো।তারপর টেডি স্মাইল দিয়ে বললো
–প্রিয় জনের কটু কথা হজম করা অনেক কঠিন না বল? আমার কাছেও কঠিন খুব কঠিন।আয় তোকে আর একটু নষ্ট মেয়ের খেতাব দিয়ে দি আয় আয়।
আহান ইচ্ছের শরীর ছুতেই ইচ্ছে গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে আহানকে থাপ্পড় মারে।পরাপর কয়েকটা থাপ্পড় মারে।তারপর চিল্লিয়ে উঠে
— চলে যান আহানননননন।আই সেইড গেট লস্ট।উই আর জাস্ট ইম্পসিবল। যাননননন।চলে যান
ইচ্ছের থাপ্পড় আহান অবাক চোখে হজম করে।মাথায় আবার রাগ চেপে বসে ইচ্ছেকে ফ্লোরের সাথে চেপে ধরে।দাঁত কিরমিরিয়ে বলে””তুই আমার ভালোবাসা না হলে তোকে এখানে পুতে ফেলতাম এখানে””
কিছুক্ষন থেমে আহান কান্না করে দেয়।
— তোর আমার মধ্যে এতোটা দুরত্ব আসবে আমি কখনও আশা করি নি রে পাখি।তোকে খারাপ ভাবে কখনও ছুয়ে দিতেও চাই নি। সেদিন নেশা না করলে যা হয়েছে তাও হতো না। আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারি না।আমাকে মাফ করে দিস।কিন্তু বিশ্বাস কর এই আহান তুই ছাড়া কোনো মেয়েকে ছুয়ে দেখেনি।কোথাও একটা আশা ছিলো তুই অভিনয় করছিস।হয়তো মজা করছিস।কিন্তু আজ তোর বিহ্যাভে তোর কথা গুলো বিশ্বাস করতে বাধ্য আমি।
আহান ইচ্ছের গায়ে ওড়নাটা জড়িয়ে দিল।তারপর শক্ত করে সারা মুখে চুমু খাচ্ছে আর পাগলের মতো বলছে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি।আই লাভ ইউ ইচ্ছু।তুই ফিরিয়ে না নিলে আমি আর কখনও তোর কাছে আসবো না কখনো না কোনো দিন না।খুব শক্ত করে কপালে তারপরে নাকে তারপরে ঠোঁটে চুমু খেলো। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো “আমি তোকে খুব ভালোবাসি খুব।তোর জন্য আমার দরজা সারাজীবন খোলা থাকলো সারাজীবন । তোর যেদিন মনে হবে আমি ভালো ক্যারেক্টারলেস নই।সেদিন তুই আমার কাছে আসিস।আমি তোর মতো ফিরিয়ে দেব না কথা দিলাম”।গেলাম।ভালো থাকিস
আহান ইচ্ছের রুম দিয়ে বেড়িয়ে যেতেই ইচ্ছে দরজা বন্ধ করে চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করল।তার আত্ম চিৎকার কেউ শুনল না।আমার বুক ফেটে যাচ্ছে আহান।আমিও যে ভালোবাসি আপনাকে খুব ভালোবাসি আপনাকে।এই হাত দিয়ে আপনাকে মেরেছি। আমি এই হাত রাখবো না।রাখবো নায়ায়ায়া।
———-
এদিকে একঘন্টা ধরে আয়ান ইশালকে ঠেলছে আর বলছে।
— এই এই ইশু এই একটাই তো চুমু দিবি আর আমি একটা। দে না প্লিজ দে না।
— না আয়ান ভাইয়া আমরা ছোট।দিস ইয নট রাইট টাইম ফর আছ।আহান ভাইয়া বেড়োলেই আমি চলে যাবো সরো তো কাজ হবে না।
— আমার জানু সোনা বেবি দে না।(আহানের মাথায় একটা আইডিয়া এলো) দ্যাখ ইশু আজ আহান ভাই আর ইচ্ছুর মিল হয়ে যাবে।এতো দিন ওরা কতো কষ্ট পেয়েছে বল।
— হুম(মন খারাপ করে)
— সেই খুশিতে তো একটা চুমু আমি পাই ই বল।
— হ্যা তা ঠিক
— তো দে
— সত্যি দেব? আমার লজ্জা করছে তো আয়ান ভাই
— আরে একটা দে না।চোখ বুজে দিয়ে দিবি।এই দ্যাখ আমিও চোখ বুজে গাল বাড়িয়ে দিলাম।আমি কিছু দেখবো না।প্রমিজ
ইশাল খুব সাহস জমিয়ে চুমু দিতে গেলো। কিন্তু রুমের সামনে দিয়ে শো শো শব্দ করে কারো যাওয়ার শব্দে দুজনেই চোখ খুলে দুজনের দিকে তাকালো।দৌড়ে দরজার কাছে গিয়ে দেখে আহান যাচ্ছে।
— এই ইশাল সব ঠিক হলে তো আহান ভাই এই রাতে রুম দিয়ে বের হতো না।
— বের হতো না মানে?রাতে কি করতো ওরা?
— আরে ওগুলো বুঝিস না?(আহানের খেয়াল আসতেই ইশালের মাথায় বারি মারে) এই শয়তান মেয়ে তোর ভাইটা ওভাবে চলে যাচ্ছে আর তুই রাতে কি করতো তার গবেষণায় বসেছিস।চল আহান ভাইয়ের কাছে চল।
আয়ান ইশাল আহানের পিছনে দৌড়ে চলে গেলো। আহানের কাছে আসতেই আহান বললো ” আমি একা থাকতে চাই। আয়ান ইশালকে বাসায় দিয়ে আয়।আম্মু যেনো না দেখে।সামনের দরজা খুলা আছে। আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে নিজের ঘরে যাবি”
আহানের কান্না মিশ্রিত গলায় আয়ান ইশাল থমকে গেলো। কি হয়েছে তারা আন্দাজ করতে পারছে।তারা চুপচাপ আহানের কথা মতো কাজ করে নিজের ঘরে চলে গেলো।
সেদিনের পরে আহান আর কারো কাছে ইচ্ছের কথা জিজ্ঞেস করে নি।কেউ দিতে চাইলেও শুনেনি।নিজের রুমের জানালাও আর খুলেনি।কেটে যাচ্ছে দিন।
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here