তুই আমার পর্ব ১১+১২

0
2811

#তুই আমার
#সুমাইয়া জান্নাত
#part 11+12

রাইসা ঃ খুব হাসি পাচ্ছে না তোকে এতো হাসাবো আদুরী যে বলার বাইরে শুধু অপেক্ষা কর ধামাকা হবে ধামাকা (এই বলে অট্টহাসি হাসি দিতে লাগলো) ।



হলুদ পর্ব শেষ হলে মেঘ রাজ, আদুরী আর মেঘা কে ছাদে নিয়ে যাওয়া হলো,,,

***কি গো ভাইয়ারা আপনাদের বউকে এতো দুরে দুরে রেখেছেন কেন,,, (মেঘার কাজিন বোনরা)

–সবার বলতে দেরি মেঘ আদুরী কে নিজের কোলে বসিয়ে নিলো,,, নাও এইবার পানি ডালো 😉,,,রাজের আর কি করা সেও মেঘাকে নিজের কুলে বসিয়ে কোমর চেপে ধরলো,,,, একের পর এক এদের কান্ড দেখে মেঘ আর রাজের বাবা মা,, হাসতে হাসতে চলে গেলেন,,,, আর মেঘার কাজিনদের পানি ডালার দায়িত্ব দিয়ে চলে গেলো,,,,,

আদুরী ঃ কি হচ্ছে টা কি এভাবে কেউ কোলে বসায় সবাই দেখছে 😑।

মেঘ ঃ তো কে দেখতে পেলো আর পেলো না,,,,, I Don’t care, তুই চুপচাপ বসে থাক ।

আদুরী ঃ আপনি না রাগ করে ছিলেন আমার উপর তো এখন কি রাগ ভেঙেছে!

মেঘ ঃ সেটা তোর না জানলেও চলবে,,

**
রাজঃ এতো নরছিস কেনো চুপ করে বসে থাকতে পারিস না,,,

মেঘাঃ না পারি না একে তো হলুদ দিয়ে ভুতের মতো বানিয়ে দিয়েছে আবার কোমর চেপে ধরে রেখেছে (বিরক্তি নিয়ে)

রাজঃ আমি একাই করছি তুই করিসনি,, আর মেঘ আদুরী কে কোলে নিয়েছে আর মেঘের একমাত্র বন্ধু বলে কথা মেঘের কার্বন কপি তো হইতে হবে তাইনা,,,,,, 😉😉

রিয়াঃ কিগো এখন তোমাদের কথা বলা শেষ হয়নি নাকি সেই কখন থেকে দেখছি গোজুরগোজুর করেই যাচ্ছো (মেঘার কাজিন)

মেঘ ঃ না হয়েছে এবার পানি ডালো।

সবাই মেঘ, আদুরী, মেঘা আর রাজ,, এদের সবার গায়ে পানি ডেলে দিচ্ছে আদুরির শরিরের পানি সব মেঘের গায়ে পড়ছে,, আদুরী চোখ বন্ধ করে আছে,, মেঘ আদুরীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ,,,,, আর মেঘা ঠান্ডা পানির কারনে বার বার কাপছে রাজের পানজাবির কলার খামছে ধরে রেখেছে,,, রাজ বেপারটা বুঝতে পারে,,,,,,

রাজঃ হয়েছে আর না আমার ঠান্ডা লাগছে ,,,,

মেঘ ঃ হে অনেক মজা হয়েছে আর মজা করলে ঠান্ডা লেগে যাবে,,,, মেঘা আদু তোরা নিজেদের রুমে গিয়ে কাপড় চেন্স করে নে,, আর রাজ আমার সাথে আয়, আমার রুমে যেহেতু বিয়েটা একবারি থেকেই হবে,,,,

রাজঃ হুম

******রাজের বাড়ি অনেক দুরে তবে বেশি দুরেও নয়,, যেহেতু বিয়ে একটা নয় দুটো তাই মেঘের ইচ্ছেতেই একবাড়ি থেকে বিয়ে হচ্ছে,,, এতে রাজের বাবা-মাও আর কিছু বলেনি রাজের মতো যেহেতু মেঘও তাদের আর একটা ছেলের মতোই তাই মেঘের কথা ফেলতে পারেননি,,, তারাও রাজি হয়ে যায় ,,,,,,,



এতোক্ষণ ধরে ছাদের দরজায় দাড়িয়ে সব কিছু দেখেছে রাইসা,, সে আর কিছুতেই নিতে পারছে না এই সব,,,,,, যখন সবাই এসে পড়বে বলে ঠিক করে তার আগেই রাইসা ওখান থেকে নিজের ঘরে চলে আসে,,,,

রাইসা ঃ না না নাহ আর না অনেক হয়েছে বিদেশে থাকতেও আমি তোমায় নিজের করে নিতে পারিনি তোমার মুখে শুধু ওই মেয়েটার নাম শুনেছি,, তোমার মুখে শুধু আমার নাম থাকবে,, হয় এইবার আমি থাকবো নয়তো ওই মেয়েটা তবুও এইসব নেকামো আর সয্য করতে পারবো নাহ 😈😈কিছুতেই নাহ,,,,,,





বল্টুঃ বিয়ের সাজোনি সাজবো কন্যারে বিয়ের সাজোনি,,,,

আহসান চৌধুরী ঃ ওই থাম দেখ আমি বলছি,,, বেদের মেয়ে জুসনা আমায় কথা দিয়েছে আসি আসি বলে জুসনা ফাকি দিয়েছে,,,,,

**প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে এদের কাকের গলার আওয়াজ শোনে বিরক্ত ডইংরুমের সকল আত্মিয় সজন বিশেষ করে মেঘের মা, আর রাজের মা, 😬,,রাজের বাবা তো চা খাচ্ছো আর মাঝে মাঝে মেঘের বাবার সাথে তাল মেলাচ্ছে গানের,,,,,,,,

মেঘের মা ঃ তোমরা থামবে 😶

মেঘের বাবাঃ কেনো কি হয়েছে,,,, আমরা কতো সুন্দর গান গাচ্ছি কই একটু তালি দিবে তা না আরো থামতে বলছো,,

মেঘের মা ঃ তুমি যদি এখন না থামো তো তোমার একদিন কি আমার একদিন,,,,,,

রাইসা ঃ মামা, মামি তোমরা একটু থামবে দেখো কি নিয়ে এসেছি 😊

মেঘের বাবা ঃ একি রাইসা তুমি পায়েস বানিয়ে ছো ,,,,,

মেঘের মা ঃ তুমি আমার বাড়ির অতিথি হয়ে এইসব কাজ কেন করছো,,,

রাইসা ঃ আরে রাগ করছো কেনো আমি করিনি,, সারবেন্ট ছিল ও করেছে আমি বলেছিলাম তেমাদের সবার জন্য ৷,,, নাও এইবার ধরো হাতে দিয়ে,,,

সবাই একে একে নিয়ে খেতে বেস্ত হয়ে গেলো ,,, রাইসা সুযোগ বুঝে আদুরীর রুমে গেলো,,

রাইসা ঃ আসতে পারি,,, ,

(মেঘা আর রাইসা গল্প করছিল হুট করে ডাকাতে ওরা দুজন দরজায় তাকালো,, তাকিয়ে দেখে রাইসা ট্রেতে করে কি যেনো নিয়ে আসছে)

মেঘাঃ আরে রাইসা আপু আসো ভিতরে আসো,,,,

রাইসা ঃ হুম ,, নাও তোমাদের জন্য পায়েস,, আমি বানাইনি আগেই বলে রাখছি সার্বেন্ট বানিয়েছে আমি শুধু নিয়ে আসলাম নাও খাও,,,,,

(মেঘা আর আদুরী দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে যে রাইসা কিনা এক গ্লাস পানি ও নিজের হাতে খায়না সে কিনা আজ সবার জন্য পায়েস সার্ফ করছে ভাবা যায় 😱)

রাইসা ঃ কি হলো নাও

মেঘাঃ হুম

রাইসা ঃ আদুরী তুমিও নাও

আদুরী ঃ না আমি মিষ্টি ওতো খেতে পারি নাহ সরি

রাইসা ঃ আর দুর কিছু হবেনা খাও প্রিজ আমার জন্য ।

আদুরী ঃ ঠিক আছে তবে বেশি নাহ অল্প,,,

রাইসা ঃ আজকে একটু বেশি খেতে হবে

আদুরী ঃ মানে 🤨

রাইসা ঃ আআরে দুর আমি তো এমনি বললাম তুমি খাও আমি আসছি,,,,,

আদুরী ঃ হুম

(রাইসা চলে যেতেই আদুরী পায়েসের বাটিটার দিকে একবার তাকিয় জানালা দিয়ে পুরো একবাটি পায়েস বাইরে ফেলে দেয়)

মেঘাঃ আরে তুই পায়েস ফেললি কেনো 😱😨(অবাক হয়ে)

চলবে,,,,

(কেমন হলো যানাবেন 😊আর ভুল হলে ক্ষমার দূষটিতে দেখবেন)

#তুই আমার
#সুমাইয়া জান্নাত
#part 12

মেঘাঃ এটা কি করলি তুই পায়েস ফেললি কেনো 😱?

আদুরী ঃ খেতে ইচ্ছে করছিলো নাহ তাই,,,,

মেঘাঃ তাই বলে একবাটি পায়েস এমনি এমনি তো কেউ ফেলে নাহ,,,,,

আদুরী ঃ তুই কি আমাকে জেরা করছিস,,,,

মেঘাঃ আরে নাহ,,,,,

আদুরী ঃ তা হলে এসব কথা থাক এখন রাইসা আপু যদি আসে তো বলবি খেয়েছি,,,

মেঘাঃ ঠিক আছে।





রাজের মা ঃ আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয়,,,,,৷

অহনাঃ কি কাজ বেয়ান,,,

রাজের মা ঃ কাল তো বিয়ে আর মেহেদী অনুষ্ঠান,, তো আমি চাইছিলাম আজ সন্ধ্যায় রঙ খেললে কেমন হয়,,,,

রাজের বাবা ঃ কিহহহ রঙ মোটেও নাহ,

আহসান চৌধুরী ঃ আরে এটা তো খুশির কথা ঘোরোয়া ভাবে বিয়েটা হতে গিয়ে আয়জনের মতো বিয়েটা হচ্ছে বাহহ দারুন আইডিয়া (খুশি হয়ে 😊)

রাজের বাবা ঃ কিন্তু,,,,,,,

অহনাঃ বিয়ান আপনি আর অমত করবেন নাহ,, রঙ খেলার আয়জন করলে ওরাও একটু খুশি হবে,,,

রাজের বাবা ঃ আপনারা যখন এতো করে বলছেন তা হলে ঠিক আছে,,,,,

আহসান চৌধুরী ঃ তাহলে আমি বরং রঙ আনার ব্যবস্থা করি,,,,,

রাজের বাবা ঃ চলুন আমিও যাই,,,,

অহনাঃ আমরা আর কি করবো তার চেয়ে বরং আমরাও সন্ধ্যায় কি কি রান্না হবে তার লিস্ট করে ফেলি,,,,,

রাজের মা ঃ হে চলুন,, ,, 😊

———-

মেঘা ঃ ওই কি করছিস

আদুরীঃ কই কিছু নাহ কেনো,,,৷

মেঘাঃ আমার আর ঘরে ভালো লাগছে নাহ চল বাগানে যাই,,,

আদুরী ঃ এই দুপুরে যদি পেত্নী ঘার মটকে দেয়,,,,,

মেঘাঃ 😑😬

আদুরী ঃ ওওভাবে তাকাছিস কেনো,,,,,

মেঘাঃ তুই আমার সাথে যাবি নাকি যাবি নাহ,,,

আদুরী ঃ ওকে ওকে চল,,,,

—-আদুরী আর মেঘা হাটতে হাটতে বাগানে আসে

আদুরী ঃ ইশ এখানে কি সুন্দর ঠান্ডা হাওয়া বইছে,,,
মেঘাঃ হুম,, আর তুই তো আসতেই চাইছিলি নাহ,,

আদুরী ঃ দুর এখন এসব ছারতো,,, চল বাগানটা বরং খালি পায়ে হেটে দেখি,,,,

মেঘাঃ ঠিক বলেছিস চল 🤩😊

———কিছুখন হাটার পর,,,,,

আদুরী ঃ wow বাগানে কি সুন্দর ফুল ফুটেছে,,, তাইনা রে মেঘা,,,,

মেঘ ঃ হুম ঠিক তোর মতো,,,

(পুরুষ আলী কোন কন্ঠ পেয়ে আদুরী চমকে পিছনে তাকায়,,,)

আদুরী ঃ একি মেঘ ভাইয়া আপনি,,,, আআপনি কখন এলেন,,,, আর মেঘা কোথায়,,,,,

মেঘ ঃ মেঘা তো রাজের সাথে কেনো তুই জানিস নাহ,,,,,,

আদুরী ঃ কিহহহহহ ও আমায় না জানিয়ে কখন গেলো,,,,,৷

মেঘঃঅনেক আগেই,,,,,

আদুরী ঃ ওকে তো আজ আমি,,,

মেঘ ঃ আরে আরে তুই কোথায় যাচ্ছিস (আদুরীর হাত ধরে)

আদুরী ঃ মেঘার কাছে,,,,

মেঘ ঃ গাধা একটা ওদের কি এখন ডিস্টার্ব করা ঠিক হবে,, ওদের একটু নিজেদের মধ্যে টাইম স্পেন্ড করতে দে,,,,,

আদুরী ঃ হে তাই তো,,,, আমি এখানে একলা থেকে কি করবে,,,, তার থেকে আমি ঘরে যাই,,,,,,

মেঘ ঃ কেনো আমাকে কি মানুষ মনে হয় না,,,
আমার সাথে কি কথা বলা যায় নাহ,,,,

আদুরী ঃ না আপনাকে তো একটা দানব মনে হয় (বিরবির করে)

মেঘ ঃ কি বললি,,,,

আদুরী ঃ কই কিছু না ,,,,

মেঘ ঃ চল এই গাছের নিচে বসি,,,,

আদুরী ঃ হুম,,,,,,

(মেঘ হুট করেই আদুরীর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে,,, ,আদুরী, পেটে মুগ গোজে বলে)

মেঘ ঃ আদু,,,,,,,,

(মেঘ এমনিতে এতো কাছে তার পর আবার মাতাল করা এমন ডাক শুনে আদুরীর শরীর কেপে উঠছে)

মেঘ ঃ জান পাখি,,,,,,

আদুরী ঃ হহুম

মেঘ ঃ ভালোবাসিস আমায়,,,,,

আদুরী ঃ বলতে পারবো নাহ,,,,

মেঘ ঃ তুই জানিস তোর মুখের ওই ভালোবাসি এই ডাকটা আমি কবে থেকে শুনার জন্য অপেক্ষা করছি,,, এখন বলছিস না ভালো করেছিস,, তা না হলে তোর মুখের ওই ভালো বাসি ডাকটা শুনে আমি হয়তে খুশিতে মরেই যেতাম,,৷৷

আদুরী ঃ প্রিজ চুপ করুন,, এমন কথা আর ববলবেন নাহ (মেঘের মুখে হাত দিয়ে )

মেঘ ঃ ভয় পাচ্ছিস আমি যদি হারিয়ে যাই,,,,, আর বোকা সব উলটপালট করে দিব তাও তোকে ছারবে নাহ (আদুরীর হাতে কিস করে)
তুই আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দে আমি একটু ঘুমাই,,,,

আদুরী ঃ কি এই বাগানে,,,,,

মেঘ ঃ হুম এদিক কেউ আসবে নাহ তোকে যেটা বলেছি সেটা কর,,,,, 😑

আদুরী ঃ ঠিক আছে,,,,,,
এমন রাগার কি আছে সব কথাতেই শুধু রাগ 😞(মনে মনে)






মেঘাঃ আপনি আমাকে এভাবে কেনো নিয়ে এসেছেন,,,,

রাজঃ কেনো নিয়ে আসতে পারি না নাকি,,,

মেঘাঃ তাই বলে কেউ মুখ চেপে কোলে তোলে নিয়ে ,, আসে

রাজঃ হে আমার বউ আমি নিয়ে আসতেই পারি,,, 😉

মেঘাঃ কিন্তু ওইদিকে যে আদুরী একা,,,

রাজঃ জি না মেম ওইখানে আপনার ভাইয়া ও আছে,,,

মেঘাঃ ভাইয়া,,,, 😱কিন্তুু আপনারা যানলেন কি করে আমরা বাগানে,,,

রাজঃ আমি আর মেঘ একটু বাবার সাথে মার্কেট এ গিয়ে ছিলাম রঙ খেলা নাকি হবে তার ব্যবস্থা করতে আসার সময় দেখি তোরা বাগানের দিকে যাচ্ছিস তাই তোদের পিছনে পিছনে আমরাও চলে এলাম,,,,,

মেঘাঃ সত্যি রঙ খেলা হবে (খুশি হয়ে)

রাজঃ হে,,,,

মেঘাঃ ওও আমি যে কতো খুশি বলতে পারবে নাহ (রাজের গলা জড়িয়ে ধরে,, হুট করে মেঘা রাজের গালে কিস করে বসে,,, রাজ তো গালে হাত দিয়ে আছে এটা কি হলো,,, মেঘা তো মেঘাই সে তো রাজের গলা জড়িয়ে খুশিতে লাফালাফি করছে,,,, যখন দেখলো রাজ তার দিকে তাকিয়ে আছে,,,, মেঘার তখন হুশ এলো সে কি করছে,,, লজ্জায় গলা থেকে হাত নামিয়ে নিতে গেলে,, রাজ মেঘাকে কোলে তুলে নেয়,,,,, মেঘাকে দোলনায় বসিয়ে দিয়ে,, মেঘাকে খুব ডিপলি কিস করতে থাকে,, মেঘা কিছু বলে না ,,,, রাজের ভালোবাসা অনুভব করতে থাকে,,,, রাজ মেঘাকে কিস করতে করতে কানের কাছে মুখ নিয়ে আসে,,,,)

রাজঃ আমাকে পাগল বানাস না মেঘা রানি,,, আমায় কিস করে খুব বড় একটা ভুল করলি( ফিসফিসিয়ে,,,,,,, এই বলে রাজ আবারো মেঘার ঠোঁট জুড়া দখল করে নেয় )

চলবে,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here