তুই আমার পর্ব ৯+১০

0
2518

#তুই আমার
#সুমাইয়া জান্নাত
#part 9+10

(মেঘার আর বুঝতে বাকি নেই যে এটা রাজ
সে ফটকরে ফোনটা কেটে অফ করে দেয়,,)
মেঘাঃ বাবা অল্পের জন্যে বেচে গেছি তা না হলে আজ কি হতো,,,৷, বেটা উজবুক কমনসেন্স বলতে কিছুই নেই এতো রাতে কেউ ফোন দেয়,,, কিন্তু আমি যে ওনাকে এতো কিছু বললাম উনি যদি কিছু করে,,,,,, দুর যা হবার দেখা যাবে (,মেঘা এই বলে কাথা মুডি দিয়ে শুয়ে পড়ে)

রাজঃ আমার ফোন কাটা তাই না আবার এতো গুলো গালি দেওয়া ঠিক আছে সকাল হুক তার পর দেখাচ্ছি,,,,,, (মনে মনে)






সকাল হতে না হইতে বিয়ের তোরজোর চলছে,,,, গোরোয়া ভাবে বিয়ে টা হলেও কোন কিছুর কমতি রাগতে চাইছেন নাহ,,, আহসান চৌধুরী,, আজ যেহেতু গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান তাই গেস্ট টা কিছুখন পরি এসেপড়বে,,, তার একমাত্র বিয়ের বিয়ে বলে কথা,,৷

আহসান চৌধুরী ঃ কি গো এক কাপ চা কি পাবো না নাকি,,, (চিল্লিয়ে)

অহনাঃ আসতে এতো জোরে জোরে কেউ ডাকে নাকি,, ,, ষাড়ের মতো ধর চা।

আহসান চৌধুরী ঃ আমি চিল্লাই তাও আবার ষাড়ের মতো তুমি এটা বলতে পারলে,,,

অহনাঃ হে পারলাম,, যে গলা 🥱

আহসান চৌধুরী ঃ ওহে আমার গলা এক সময় কাকের সরি আমার গলা শাহরুখ খান এর থেকেও ভালা (গানের সুরে ♪)

মেঘাঃ বাবা মা তোমরা চুপ করবে তোমাদের জন্য আমার টিভি দোখাই দুষকর হয়ে গেছে 😐

অহনাঃ আজ বাদে কাল বিয়ে আর এই মেয়ে কিনা ফোন আর টিভি দেখতে বেস্ত, কোথায় একটু সাজগোজ নিয়ে বেস্ত থাকবে তা না,,,,

মেঘাঃ আমার বিয়ে বলে কি আমি ফোন আর টিভি দেখা বন্ধ করে দিবো নেবার,,,,, আর মা তুমি আমায় সাজগোজ এর কথা বলছো,, বাহ,, মা কিনা তার মেয়ে কে বলছে সাজগোছ করতে 🤒😱🥶

অহনাঃ তো তোর বিয়ে বলেই বলছি তা না হলে আমার বয়েই গেছে,, যেমন বাবা তার তেমন মেয়ে (গটগট করে চলে গিয়ে)

(আহসান চৌধুরী আর মেঘা ফিক করে হেসে দেয় 😂😂)

মেঘাঃ মা বলতেই পেরা শুধু পেচাল,,,,

মেঘার বাবাঃ বাদ দে তো চল তোকে একটা গান শোনাই,,,, ♪♪

মেঘাঃ নাাাহহহহহহ😷(মেঘা দৌড় দিয়ে ঘরে চলে গেল,, , ,,)

মেঘার বাবাঃ এটা কি হলো 🙀

বল্টু ঃ আমার মনে হয় আপনার কাকের গলার গান এর কথা শুইন্না মেঘা দিদিমনি পালাইসে (পিছন থেকে)

মেঘার বাবা ঃ কি বললি হারাম যাদা (যেই দরতে যাবে অমনি বল্টু পালিয়ে যায়)

****
আদুরী ঃ দুর ছাতার মাথা সেই কখন থেকে বসে আছি তার পর ও মেঘ ভাইয়ার কোন পাত্তা নেই,, তাহলে কি উনি রাতে বাড়ি ফিরেনি 😞আমার জন্য ,,,,, এহহহহহেেেে 😭

মেঘাঃ আরে আরে তুই এইভাবে কাদছিস কেনো (ঘরে ডুকতে ডুকতে) আর ভাইয়ার রুমে কি করছিস।

আদুরী ঃ আমি কিছু জানি না মেঘ ভাইয়া কে এনে দে 😭

মেঘাঃ ওই তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে কি সব বলছিস আর ভাইয়া কি চকলেট যে এনে দিবো 😐 ভাইয়া তো ফুল আনতে গেছে,, টেজ সাজাবে বলে,,,,

আদুরী ঃ সত্যি,, কিন্তু আমি তো দেখলাম নাহ,,

মেঘাঃ মরার মতো ঘুমালে দেখবি কি করে,,

আদুরী ঃ ওভাবে বলিস নাহ,, আমি কি একাই ঘুমাই নাকি তুইও কিন্তু কম ঘুমাস নাহ 😏

মেঘাঃ তির এখন আমার দিকে ছুড়া হচ্ছে,, বাই দ্যা হারিকেন তোর আর ভাইয়ার মধ্যে কি কিছু হয়েছে,,, জগড়া হয়েছে।

আদুরী ঃ জগড়া না তবে পায় অরোকমি কিছু একটা,,,

মেঘাঃ ঠিক আছে আমি যাই তুই বরং এইঘরে থাক ভাইয়া না আসা অবদি 😁বাই বাই

আদুরী ঃ কি মেয়ে রে বাবা আমায় একা ফেলে চলে গেলো 😒এই জমরাজার ঘরে,, আমি এখানে বসে থেকে কি করবো হুম তার থেকে বরং আমি ঘুমাই,, (হাই তোলে)





ঘুমের মধ্যে আদুরীর মনে হচ্ছে নিজের চোখে মুখে কারো গরম নিশ্বাস পড়ছে,,কেউ তাকে খুব গভির ভাবে দেখছে,,, যেই চোখ খুললো দেখলো না কই কিছু তো নেই,,, ওয়াসরুম থেকে পানির আওয়াজ আসছে,,,,।

আদুরী ঃ মনে হয় ভাইয়া এসে ছে,,, আমি বরং ঘুমের বান ধরে থাকি তাহলে ভাইয়া এসে আমায় ডাকবে 😁।

(মেঘ ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আদুরী কে একবার দেখে নিলো,, আদুরীর ভাবনায় এক বালতি পানি ডেলে দিয়ে আদুরীকে কোলে নিয়ে,, বাতটাব ভর্তি পানিতে ফেলে দিলো,,,, মেঘা ধর ফরিয়ে উঠে বসে হাপাতে লাগলো 🥶)

আদুরী ঃ এই আপনি এমন কেনো এটা কি করলেন,,,,,

মেঘ ঃ কি করেছি আমি,,,,তুই আমার রুমে কি করছিলি,, 😬এইটা আগে বল?

আদুরী ঃ আআমি তো,,,

মেঘ ঃ হুম বল,,,

আদুরী ঃ আআমি

মেঘঃ আমি আমি না করে সোজাসাপটা বল স্টোপিট,, (চিল্লিয়ে)

আদুরী ঃ আমি তো সরি বলতে এসছি (ভয়ে ভয়ে)

মেঘ ঃ ———–

আদুরী ঃ কি হলো বলোন আপনি আমার সরি একসেপ্ট করেছেন 😶
(মেঘ কিছু না বলে ধরজা বন্ধ করে আদুরীর দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো,,,,,,

আদুরী ঃ ককি হলো আআপনি এই ভাবে আগাচ্ছেন কেন
(মেঘ আদুরীকে বিছানার সাথে চেপে ধরলো,, আধুরীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো,, আদুরীর কোন কথাই মেঘের কানে না নিয়ে ,, আদুরীর ঠোঁটের স্বাদ নিতে লাগলো,, আদুরীর কোমর চেপে ধরে আর একটু নিজের কাছে নিয়ে আসলো,,, খুব ডিপলি কিস করতে লাগলো,,,,, আদুরী মেঘকে সরাতে চাইছে কিন্তু মেঘর শক্তির সাথে পেরে উঠছে না,,,,, কিছুক্ষন পর মেঘ আদুরী কে ছেড়ে দিলো,, দুজনে হাপাতে লাগলো,,,,)

মেঘ ঃ এতো দিন আমার ভালোবসা দেখেছিস আদু,, এইবার থেকে আমার ভালোবাসার গভিরতা দেখবি,,, জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ,, (এই বলে মেঘ ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,

চলবে,,,

#তুই আমার
#সুমাইয়া জান্নাত
#part 10

***

আদুরী ঃ ককি হলো আআপনি এই ভাবে আগাচ্ছেন কেন
(মেঘ আদুরীকে বাথটাবের সাথে চেপে ধরলো,, আধুরীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো,, আদুরীর কোন কথাই মেঘের কানে না নিয়ে ,, আদুরীর ঠোঁটের স্বাদ নিতে লাগলো,, আদুরীর কোমর চেপে ধরনিজের কাছে নিয়ে আসলো,,, খুব ডিপলি কিস করতে লাগলো,,,,, আদুরী মেঘকে সরাতে চাইছে কিন্তু মেঘর শক্তির সাথে পেরে উঠছে না,,,,, কিছুখন পর ছেড়ে দিয়ে দুজনেই হাঁপাতে লাগলো,,,,)

মেঘ ঃ এতো দিন আমার ভালোবসা দেখেছিস আদু,, এইবার থেকে আমার ভালোবাসার গভিরতা দেখবি,,, জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ,, (এই বলে মেঘ ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,

আদুরী ঃ কি হলো এটা 😷উনার মাথায় কি চলছে কে জানে একবার রাগ দেখাবে তো একবার ভালো বাসবে ওও বাবাগো এটো ঠান্ডা লাগছে আর বসে থাকলে চলবে নাহ

(আদুরী কোন মতে উঠে চলে যেতে যাবে অমনি রাইসা সামনে এসে দাড়ায়,,,)

রাইসা ঃ একি তুমি মেঘের রুমে তাও এইরকম বেজা অবস্থায় মেঘ কোথায়,,, 😬

আদুরী ঃ আসলে আসলে।

রাইসা ঃ এই মেয়ে কি বলছো ভালোভাবে বলো,,

আদুরী ঃ আসলে মেঘ আমায় ডেকে ছিল রোমান্স করতে,, আর আমি মানা করেছি বলেছি কয়েক দিন পরতো আমাদের ও বিয়ে তখন না হয়,, আর তাই মেঘ রাগ করে আমায় ওয়াসরুমে ফেলে চলে গেছে,, (লজ্জা মাখা কন্ঠে ☺️🙊)আমি বরং যাই আমার মেঘ বেবিটা যে কোথায় গেলো ,ওর রাগ টাও তো একটু ভাঙতে হবে বাঈ।

রাইসা ঃ what এটা কখনো হতে পারে নাহ,, এটা আমি হতে দিবো নাহ আমি আজি তোকে এ বাড়ি থেকে বিদায় করবো,, মেঘ শুধু আমার,, (এই বলে একটা শয়তানি হাসি দিলো 😏)






মেঘাকে সেই কখন থেকে সাজাচ্ছে পার্লারের মেয়েরা,, তবে খুব সিমপুল ভাবে,, কলাপাতা রঙের একটা সারি সাথে কাচা হলুদের মিশ্রণ,, আর কিছু ফুলের অনামেন্ট,,, আর হালা মেকাপ,, আদুরীকেও সেম,,,,,,

আদুরী ঃ ওই মেঘা শোন

মেঘাঃ হে বল,,

আদুরী ঃ তুই তো বউ তাই তোকে এভাবে সাজাচ্ছে,, তাহলে আমি কেন আমাকে এভাবে সঙ সাজালো কেন 😶

মেঘাঃ ভাইয়া বলেছে তাই

আদুরী ঃ কিন্তু কেনো

মেঘাঃ ওটা পরে যানতে পারবি (সেলফি উঠতে উঠতে)

আদুরী ঃ তোরা ভাই বোন সব রহস্যে ঘেরা (বিরক্ত হয়ে)

————–

কিছু সময় পর মেঘার কাজিন বোনরা মেঘা আর আদুরী কে টেজে নিয়ে গিয়ে বসায়,,,

—-আদুরী তো অবাক টেজে দুটো নয় চারটে চেয়ার,,, দুটোয় রাজ আর মেঘাকে বসানো হয়েছে আর দুটোয় আদুরী আর মেঘ বসে আছে 😱😱

অহনাঃ বাহ আমার মামনি দুটোকেই পরির মতো লাগছে,,,,, (হেসে)

আহসান চৌধুরী ঃ তো কেমন লাগলো সারপ্রাইজ,,,,

আদুরী ঃ কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না মামনি 😴

মেঘ ঃ মা বাবা তোমরা যাও আমি দেখছি

(আহসান চৌধুরী আর অহনা চৌধুরী আচ্ছা বলে চলে গেলেন গেস্ট দোর সাথে কথা বলতে)

আদুরী ঃ মেঘ ভাইয়া এসব কি হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি নাহ,,

মেঘ ঃ তোর কিছু বুঝতে হবে নাহ,, শুধু মনে রাখ মেঘা আর রাজের বিয়ের পাশাপাশি আমাদের ও বিয়ে হবে,,

আদুরী ঃ কিন্তুু এসব কখন ঠিক হলো 😳আর মেঘা কি আগে থেকেই জানতো,,

মেঘ ঃ হুম।

(আদুরী মেঘার দিকে কপাট রাগ নিয়ে তাকায়,,😑 আর মেঘা একটা ইনোসেন্ট মার্কা হাসি দেয় 😅)
,,
সবাই একে একে হলুদ লাগাতে লাগে,, মেঘ আদুরীর সারির নিচ দিয়ে হাত দিয়ে হলুদ লাগিয়ে দেয় আর আদুরী কেপে ওঠে মেঘের হাত খামছে ধরে,, তা দেখে মেঘ একটা বাকা হাসে

মেঘ ঃ এই টুকু তেই এতো কাপাকাপি আর আরো তো কিছু করলামি নাহ 😉

(মেঘের এমন লাগামহীন কথায় আদুরী লজ্জায় তাকাতে পারছে নাহ,, তাই মেঘ ও আর কিছু বলে নাহ এমনিতেই মেয়ে টাকে লজ্জা দিয়ে দিয়েছে)



।রাজঃ ওই কাল রাতে আমার ফোন কেটেছিস কেনো বল আর এতো গালাগালি করেছিস আমার মনে হয়েছে তোকে সামনে পেলে ঠাসিয়ে একটা চড় বসাতে পারলে ভালো হতো,,,,,,

মেঘাঃ আমি কি জানতাম নাকি ওটা আপনি আর যা করেছি বেশ করেছি এতো রাতে কি কেও ফোন দেয়,,, জলহস্তী একটা

রাজঃ কিহহ এতো বড় কথা আমি জলহস্তী দাড়া (এই বলে রাজ হলুদের বাটিটা নিয়ে সব মেঘার মুখের উপর ডেলে দেয় ,,,)

(মেঘা তো রাগে ওর পাশে যে হলুদের বাটি ছিল তা নিয়ে রাজের মাথার উপর ডেলে দেয়,,,,ওদের এই অবস্থা দেখে সবাই হেসে কুটিকুটি,,,, 😂😂আদুরী তো হাসছে কম মেঘকে ঠাপডাচ্ছে বেশি 😂😂😁)

মেঘ ঃ ওই তুই হাসছিস নাকি আমায় মারছিস

আদুরী ঃ আআআমি আর হাসতে পারছি নাহ কেউ আমায় ধরো (কোমর চেপে) 😂

(মেঘ ও হেসে দায় কেউ ভাবেনি যে রাজ আর মেঘা এমন কিছু করবে,, একসময় রাজ আর মেঘা নিজেদের দিক তাকায় আর নিজেদের এই অবস্থা দেখে ওরাও হেসে ফেলেআর এইদিকে রাইসা তো আদুরী কে মেঘের পাশে সয্যই করতে পারছে নাহ 😬

রাইসা ঃ খুব হাসি পাচ্ছে নাহ বেশিখন হাসতে পারবে নাহ (মনে মনে)

চলবে,,,,

(চেক করা হয়নি ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here