তুই আমার শেষ পর্ব

0
3030

#তুই আমার
#সুমাইয়া জান্নাত
#last part

রাজের বাবা ঃ আমার মনে হয় পুলিশ কে একবার ফোন করা দরকার,,,

রাজের মা ঃ না না এখনি ফোন করার দরকার নেই,, এমনি তেই বিয়ে বাড়ি ।

রাইসার মা ঃ হুট করে এসব কি হচ্ছে,,

রাইসার বাবা ঃ আমিও তো জানি নাহ,,

আহসান চৌধুরী ঃ মেয়ে গুলো এখন কেমন আছে,, তার উপর মেঘ আর রাজ কোথায় গেলো,, বেরিয়ে গেলো খুজতে,,

অহনাঃ আমার ছেলে মেয়ে দেরকে এনে দাও, প্রিজ 😭😭আমার আর কিছুই ভালো লাগছে না,, (কেদে কেদে)

আহসান চৌধুরী ধুপ করে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন, তারও বিষন্ন টেনশন হচ্ছে,,,






মেঘ আর রাজ সেই কখন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে এসেছে এখনো মেঘা আর আদুরীর কোন খুজ পাচ্ছে না,, প্রথমে রিয়ার কথা বিশ্বাস করে নি মেঘ, রাজ আর বাড়ির সবাই মিলে অনেক খুজেছে কিন্তু পায়নি সময় বিলম্ব না করে দুজন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে এসেছে,,,

মেঘ ঃ আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না কে এমন করতে পারবে (মাথার চুল টেনে)

রাজঃ সান্ত হো একটু,,,,, চেষ্টা তো করছি,,,

মেঘ ঃ কি করে সান্ত হব যে এই কাজটা করেছে তার হাল আমি,,,,

রাজঃ একমিনিট একমিনিট এটা ঘরের কেউ করে নি তো,,

মেঘ ঃ ও মাই গড রাজ গাড়ি ঘোরা

রাজঃ হুম ,,,


রাজ আর মেঘ গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়িতে যায়,, সবাই মেঘকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে,, মেঘ কারো কথায় কোনো পাত্তা না দিয়ে রাইসার ঘরে যায়, গিয়ে দেখে রাইসা কার সাথে যেনো কথা বলছে,, মেঘ আর একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে রাইসার ফোন কেরে নেয় , রাইসার চুল ধরে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসে। রাইসার বাবা মা কিছু বললে যাবে তার আগেই রাজ কি যেন বলে যা শুনে চুপ হয়ে যায় সবাই ,, রাইসাকে গাড়ির ডিকিতে হাত পা বেদে ফেলে রাখে,, মেঘ বসে আছে আর রাজ গাড়ি চালাচ্ছে,,,,,,,,,,,, কিছুক্ষন পরে একটা বাড়িতে তারা পৌছোয়, রাইসাকে আগের মতো টেনে একটা চেয়ারে বসায়,,

মেঘ ঃ আমি ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করছি আদু কোথায়,,

রাইসা ঃ আমি জানি না,,

মেঘ কোন কিছু অপেক্ষা না কর ঠাস ঠাস কর রাইসার গালে থাপ্পড় মারে,, এতোটাই জোরে মেরেছে যে রাইসার একটা দাত খুলে পড়ে,,,

মেঘ ঃ এইবার বল তা না হলে গরম রট দিয়ে তোর হাতে পায়ে সিক দিয়ে দিবে,,, 😈😈

রাইসা ঃ আআআমি ববলছি,






আদুরী ঃ ওই সালা উগান্ডার জলহস্তী ,,

মেঘাঃ বোন না মানে ভাবি থাম আমার খুব ভয় করছে ,,, সেই কখন থেকে বসে আছি বাধা অবস্থায় কে নিয়ে আসতে পারে,,

আদুরী ঃ কে আবার ওই রাইসা বেয়েপি 😏

মেঘাঃ কিহহহ কিন্তু তোকে কে বললো।

আদুরী ঃ আমি সব জানি, ওরা যখন আমাদের তুলে নিয়ে এসেছিলো,, তখন হুশে ছিলাম না, যখন গেন ফিরে তখন একটা লোককে রাইসার সাথে কথা বলতে শুনি শুধু রাইসা মেম রাইসা মেম বলছিলো আর সরি,

মেঘাঃ কিন্তু সরি কেনো বলছিলো,

আদুরী ঃ মেবি তোকে সহ ধরে নিয়ে এসেছে ভুলে তাই হয়তো,,

মেঘাঃ একহিসেবে ভালোই করেছে, আমাদের দুজনকে একসাথে ধরে নিয়ে এসেছে, 😊

আদুরী ঃ তা জা বলেছিস 😂

মেঘাঃ আমরা এখান থেকে বেরোবো কি করে,,

আদুরী ঃ আরে চিল মার তোর ভাই আছে কি করতে,, আমাদের ঠিকি এখান থেকে নিয়ে যাবে,,

মেঘাঃ ঠিক আমার ভাই আর ওই রাজ আছে কি করতে 🤣

(ঘরের ভিতর হাসা হাসির শব্দ শুনো, একটা লোক ভিতরে আসে দেখতে,, লোকটা এসে দুজনের হাসা হাসি দেখে হা হয়ে যায় মুখ 😮)

লোক ঃ কি হচ্ছে এখানে,,

আদুরী ঃ কিছু হয়নি তবো হবে বিয়ের পরে,,,

লোক ঃ ফাজলামি করস আমার সাথে,, (রেগে)
তোদের কিডনাপ করেছি আমরা,,

মেঘাঃ তাতে আমার জামাইয়ের কি কিডনাপ করেছেন ভালো কথা টাকা কত পান,,

লোক ঃ এয়ে মানে (মাথা চুলকিয়ে)

আদুরী ঃ ইয়ে মানে এসব ছাড়ুন যেটা জিজ্ঞেস করেছি সেটা বলুন,,

লোক ঃ পাচ হাজার,

মেঘাঃ আমার বাড়ির চাকরানি ও তো আট হাজার পায় না পোরো বারো হাজার পায়,,

আদুরী ঃ আচ্ছা আপনারা লোক কয়জন,,

লোকঃ দশজন,, কেনো

আদুরী ঃ আমরা আপনাকে একটা ডাইমনডের বেসলেট দিব যার দাম দু লাখ নিবেন,,

লোক ঃ হে হে নিব তো 🤩😍

মেঘাঃ তাহলে আমাদের ছেড়ে দিন আর আমার হাতের বেসলেট টা নিন,,

লোক ঃ ঠিক আছে 🥰

আদুরী ঃ তার আগে আমি যেইটা বলছি সেইটা আনুন,,

লোক ঃ বলো কি আনতে হবে,,,





মেঘ আর রাজ একটা পুরোনো বাঙ্গা বাড়িতে যায় গিয়ে রাজ আর মেঘ মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে । কারন মেঘা, আদুরী, আর কিডনাপাররা ফোল ভলিয়োমে ডান্স করছে 💃💃💃বক্স বাজিয়ে,, মেঘ তারাতারি পুলিশ কে ফোন কর আসতে বলে,, কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে,,

রাজঃ এই বাংলা সিনেমার মতো পুলিশরা শুধু দেরি তেই আসে,, 😒

পুলিশ ঃ সরি স্যার, কিন্তু এখানে কিডনাপ টা কার হয়েছে সবাই তো ডান্স করছে,,

মেঘ ঃ মেয়ে দুজন কে দেখছেন ওরা ছাড়া সবাই কে গেফতার করুন,,

পুলিশ ঃ জি,,

আদুরী ঃ আরে ও হাসবেন্ড নাচো,,

মেঘাঃ হে ভাইয়া নাচনা,

মেঘ আর রাজ আদুরী আর মেঘা কে টেনে গাড়িতে বসায় আর এমন দমক দেয় যে আদুরী আর মেঘা চুপ,, আর হে আসার সময় কিন্তু ওই কিডনাপারের কাছ থেকে মেঘার বেসলেট কেরে নিয়ে আসে আদুরী।

বাড়ির সামনে গাড়ি থামিয়ে মেঘ ডিকি থেকে রাইসাকে টেনে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়,,

আদুরী ঃ এই রাইসা বেবি এতোক্ষণ ডিকিতে ছিল 😵

রাজঃ হুম চল,

(রাজ সবাই কে ঘরে নিয়ে যায় সবাই এইবার মুখ খুলে জিজ্ঞেস করলে মেঘ সবাই কে সবটা বলে সব শুনো রাইসার মা রাইসাকে কপাটে একটা থাপ্পড় মারে,,

রাজঃ শুধু তাই নয় আন্টি আরো অনেক কিছু জানা বাকি,,

আদুরী ঃ হে আন্টি, মেঘা তোর মনে আছে একবার রাইসার দেওয়া পায়েস আমি ফেলেদিয়ে ছিলাম,

মেঘাঃ হে,,

আদুরী ঃ ওই পায়েস আমি ফেলেছি তার কারণ ওই টায় পেরা লাইসিস এর ঔষধ মেশানো ছিলো যেটা আমায় রাজ ভাইয়া বলছে, আমি প্রথমে বিশ্বাস করি নি কিন্তু পরে রাজ ভাইয়া আমায় একটা ভিডিও দেখায় যেইটায় দেখা গেছে রাইসা ঔষধ মেশাচ্ছে,,

মেঘাঃ কিন্তু সেটা কখন,,

আদুরী ঃ তুই কিছুক্ষণ আসার আগে রাজ ভাইয়া আমার ঘর আসে তখন,,

রাজঃ হুম আমি রান্না ঘরে পানি নিতে গিয়ে শুনি রাইসা বিরবির করে আদুরী কে খাওয়াবে বলছে আর ঔষধ মেশাচ্ছে, তাই আমি সাথে সাথে ভিডিও কর নেই ,,

রাইসা ঃ তার জন্যই আদুরীর কিছু হয়নি, আর আমি আমার মেঘ কে পাইনি,,

এইবার আর থামলেন না রাইসার বাবাও কষে থাপড় মারলেন,,,

রাইসার বাবা ঃ তোকে নিজের মেয়ে বলতে ঘেন্না করছে, (রাইসাকে টেনে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন নিজের মেয়ের জন্য সবার সামনে এইভাবে লজ্জিত হলেন তিনি,, রাইসার মা ও সবার কাছে নিজের মেয়ের জন্য ক্ষমা চেয়ে বেরিয়ে পড়লেন, আর একমুহূর্তে তিনি এখানে থাকবেন না)

রাজের বাবা ঃ যা হবার হয়ে গেছে,, এসব ভেবে লাভ নেই ,,

রাজের মা ঃ হে ওদের বিয়ে টা দিয়ে দিলেই ভালো,,

অহনাঃ আমি আমার দুই মেয়েকে পেয়ে গেছি এইবার আর আমার চিন্তা নেই 😊

আহসান চৌধুরী ঃ কাজি বিয়ে পড়ান

(কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করে, মেঘা আর আদুরী কে কবুল বলতে বললে দুজন গর গর কর কবুল বলে দেয়,, মেঘ আর রাজের ক্ষেত্রেও তাই,,, বিয়ে পডানো শেষ হলে মেঘা আর আদুরী কে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়,,,)

রাত ১টা মেঘা বসে আছে কিন্তু না রাজের আসার নাম নেই,, কিছুক্ষন বসে থাকার পর দরজা খট করে শব্দ হয় মুলত রাজ এসেছে ,,, মেঘা উঠে সালাম করতে গেলে রাজ মেঘাকে বাধা দেয় বিছানায় বসিয়ে দেয়,, মেঘা কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাজ মেঘারকে হাত দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়,, মেঘাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় মেঘার ঘাডে হাত দিয়ে কিস করতে থাকে দুজন দুজনকে ভালোবাসতে থাকে,,




মেঘ ঃ আদু জানিস আজকের দিনটা কত স্পেশাল,, (মেঘাকে নিজের কুলে বসিয়ে গাডে মুখ গুজে)

আদুরী তো কিছু বলতেই পারছে না কথা গুলো সব দলার মতো গলায় এসে আটকে পড়ছে,
তা দেখে মেঘ একটু বাকা হাসে,,

মেঘ ঃ কি হলো বল

আদুরী ঃ হুম ,,

মেঘ ঃ কিসের হুম তুই না বলেছিলিস আমরা একশো টা বাচ্চা নেব তো চল,,

আদুরী ঃ কিহহহ আমি কখন বলছি,

মেঘ ঃ কেনো ভাঙ খেয়ে, (মেঘ একে একে সব বলে, সব শুনে আদুরী মেঘের দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছে না,

(মেঘ আদুরী কে জট কর কোলে তুলে নেয় বিছানায় শুয়ে দিয়ে আদুরীর গাডে মুখ গুজে,
মেঘ গাড থেকে মুখ নামিয়ে আদুরীর ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়,, আদুরীর সারির ভিতর দিয়ে খুলা পেটা হাত দেয়, মেঘের হাত আদুরীর সারা শরীরে বিচরণ করছে,, আদুরী কিছু বলতেও পারছে না। মেঘ আদুরীর সারি একটানে খুলে ফেলে দেয় আদুরী কে নিজের আর একটু কাছে নিয়ে আসে,। মেঘ আজ খুব করে আদুরীকে চায়, বহু দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ আদুরী কে পেয়েছে মেঘ নিজের পানজাবি একটানে খুলে আদুরীর নাভিতে জিব দিয়ে লেহন দেয় আদুরী শিউরে উঠে মেঘ আদুরীর ঠোঁট নিজের ঠোটের সাথে চেপে ধরে ,, ডিপলি কিস করতে থাকে, একসময় শুষে নিতে থাকে ঠোট জোডা,, হারিয়ে যায় ভালোবাসার খেলায় যেখানে আদুরী আর মেঘ ছাড়া কারো অস্তিত্ব নেই,,,,, ,, ,

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,৷ সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

(কেমন হয়েছে বলবেন, আশা করি শেষটা সুন্দর করতে পেরেছি,, আমার সাইলেন্স পাঠক পাঠিকারা আজ অন্তত বইলেন কেমন হয়েছে, নাইস টাইস না বলে একটু গঠম মুলত কমেন্ট করলে খুশি হব এবং পরবতি গল্প এর থেকেও ভালো করার চেষ্টা করব, আপনাদের কাজ থেকেই আমরা অনুপ্রেরনা পাই,, গল্পটা আমার ও খুব প্রিয় ছিল,,,, দুদিন পর থেকে নতুন গল্প দেব আশা করি ওটাতেও আপনারা সাপোর্ট করবেন ,, আর হে ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,, হেপি রিডিং 😊😊)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here