তুই আমার পর্ব ৮

0
3283

#তুই আমার
#সুমাইয়া জান্নাত
#part 8

(আদুরী এমন কিছু দেখবে আশা করেনি,, মেঘ আদুরীকে ঠকিয়েছে ভাবতেই কান্না পাচ্ছে,, কারণ মেঘ রাইসাকে কিস করছে,, এই দৃশ্য সে কিভাবে দেখবে,, ছুটে ঘরে চলে গেল,,,,)

আদুরী ঃ এটা কিভাবে সম্ভব,,, মেঘ কেনো এমন করলো,, উনিতো আমায় ভালো বাসে,, সেই ছোট বেলা থেকে,, এমনকি বিদেশ থেকে আসার পরও আমায় বিয়ে করবে বলে পাগল হয়ে যেত তাহলে,,,, কেন উনি ওই মেয়েটার কাছে গেলো,,,, তাহলে কি সব অভিনয় ছিল,,, আমার সামান্য কিছু হলে আপনি বুঝে যেতেন তাহলে আজ কেন বুঝতে পারছেন নাহ (কাঁদতে কাদতে এসব বলছে, মনে হচ্ছে বুকের মাঝে কেউ ছুরি দিয়ে বার বার আঘাত করছে,, আদুরী এতো দিনে বুঝে গেছে মেঘকে সে ভালোবেসে ফেলেছে)

**নিচে হইচই এর আওয়াজ পেয়ে আদুরীর আর বুঝতে বাকি নেই যে রাইসাকে নিয়ে কথা হচ্ছে,,,, সে নিজেকে ঠিক করে নিচে গেলো যাতে কেউ সন্দেহ না করে,,,

অহনাঃ রাইসা তোমার বাবা-মা এলোনা কেনো ,,,,

রাইসা ঃ ওহ তোমায় বললাম নাহ বাবার অফিসে সমস্যা হয়েছে তাই আসতে পারবে নাহ,, আর বাবাকে ফেলে মা কিভাবে আসবে তুমি বলো তাই আসেনি আমায় পাঠিয়েছে,,,,

অহনাঃ তা না হয় ঠিক আছে কিন্তু মেঘের বাবা জানলে কিন্তু খুব রাগ করবে,,,

রাইসা ঃ চিন্তা করো নাহ আমি সব বুঝিয়ে বলবো,,দেখবে সে রাগ করবে নাহ,,,

অহনাঃ রাগ না করলেই ভালো,,,

মেঘ ঃ মা এসব কথা ছাড়ো আমার জন্য এক কাফ কফি দাও প্রিজ খুব টায়ার্ড লাগছে,,,,,

মেঘাঃ এই যে কফি এসে গেছে,, নে ধর,, (রাইসা আর মেঘের হাতে কফি দিয়ে)

মেঘ ঃ তুই কখন কফি বানালি,, আর তুই রান্নাঘরে গেছিস বিশ্বাস হচ্ছে নাহ,,, 😱😱

মেঘাঃ তোমরা যখন কথা বলতে বেস্ত তখন,, আর হে আমি কিন্তু রান্নাঘরের কাজ কিছুটা হলেও জানি,,,, ওইতো আদুরী এসে গেছে নে ধর কফি আমি তোর জন্যও বানিয়েছি,,,,

আদুরী ঃ হুম (বসতে বসতে,,,আর চোখে তাকিয়ে দেখলো রাইসা মেঘের পাশে বসে আছে,,)

(মেঘ খেয়াল করে দেখলো আদুরীর চোখ মুখ ফোলে আছে,, মেয়েটাকে এই মুহূর্তে খুব কিউট লাগছে,,, কিন্তু কান্না করেনিতো এই ভেবে মেঘের বুকটা দুক করে উঠলো নাহ বেপারটা দেখতে হচ্ছে,,, মেঘ খেয়ে উপর চলে গেলো যাবার আগে,,,,,)
মেঘ ঃ আদুরী খেয়ে আমার রুম এ আসিস দরকার আছে,,, এই বলে উপরে চলে গেলো,, কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে,,,

মেঘাঃ বাহহ আমার ভাইটা দেখি হবু বউকে চোখে হারায়,,,,,( হেঁসে,, 😁😁)

অহনাঃ তা যা বলেছিস আমি তাহলে যাই তোরা যা ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়,,,, সবাই তো খেয়ে এসেছিস (উনিও ঘরে চলে গেলেন)

**রাইসা কিছু একটা ভেবে সেও নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে)

******এইদিকে মেঘ কখন থেকে বসে আছে আদুরীর আসার নাম নেই বিরক্ত হয়ে আদুরীর ঘরে গেল গিয়ে দেখে আদুরী ঘরে নেই আর একটু এগিয়ে গিয়ে দেখে আদুরী বারান্দায় বসে আছে)

মেঘ ঃ তোকে কখন আমার ঘরে আসতে বলেছি আর তুই অন্ধকার বারান্দায় বসে আছিস,

আদুরী ঃ চুপ ————-

মেঘ ঃ কি হলো উত্তর দিচ্ছিস না কেনো বল😬 (নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখে আদুরী কাদছে)
এই আদুরী তুই কাদছিস কেন বল,,,,,

আদুরী ঃ তাও চুপ ———–

মেঘ ঃ দেখ আদু তোকে কেউ কিছু বলেছে বল আমায়,,,,,(নরম সুরে)

(আদুরী মেঘকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে থাকে,,,,মেঘ জড়িয়ে ধরতে গেলে এক জটকায় ধাক্কা দিয়ে মেঘ কে সরিয়ে দেয়,,,)

আদুরী ঃ আপনি খুব খারাপ,, আপনি আমায় ঠকিয়ে ছেন,, আপনি একটা চিটার,,ছুবেন না আমায়, ,,, আপনার ওই নোংরা হাতে ,

মেঘ ঃ কি সব বলছিস তুই (রেগে)

আদুরী ঃ আমি ঠিকি বলেছি,, আমি সব দেখেছি,,,,
মেঘ ঃ তুই কি দেখেছিস 😑😑

(আদুরী রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বাড়ি অবদি যা দেখেছে সব বললো,,,,,, সব শুনে মেঘ ঠাস করে আদুরীর গালে থাপ্পড় মারে,,,, টাল সামলাতে না পেরে বিছানায় পড়ে আদুরী,,,,,,)

মেঘ ঃ আমি রাইসা কে কিস করেছি তুই ভাবলি কি করে,, গাড়ির আলোর কারণে কিছু পোকা উড়ে এসে রাইসার চোখে পড়ে আর তাই আমি ওর চোখে হাত দিয়ে দেখি আর তুই অন্ধকারে কিছু না বুঝে বেভেছিস আমি রাইসাকে কিস করেছি,, ,,, আর রেস্টুরেন্টে নিয়ে কথা বলছিস,, ওটা তো রাইসার সভাব,, হুট করে হাগ করে জান বেবি বলে,,, ও আমার গালে কিস করছে তোরা আসার পর আমি আমি ওকে থাপ্পড় ও মেরেছি,,, আরে যেখানে আমার মনে অঙ্গ পতঙ্গে তুই,, #তুই আমার তাহলে অন্য কাউকে আনার কথা ভাবলি কি করে ডাফার একটা,,, 😬😬(এই বলে মেঘ আদুরী কে আবার থাপ্পড় মারে,, নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে না পেরে আদুরীর পাশে যে ❀ফুলদানি ছিল তা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে, ,,,সাউন্ড প্রুফ রুম হওয়ায় কেউ কিছু শুনতে পায়নি ,,, আদুরীর খুব ভয় করছে,,, কারণ মেঘের রাগ সম্পর্কে ওর ধারণা আছে,,, একবার রেগে গেল তো শেষ,,,, আদুরী কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেঘ ঘর থেকে উঠে বেরিয়ে যায় গাড়ি নিয়ে রাগের মাথায় কি করছে কোথায় যাবে নিজেও জানে নাহ ,,, শুধু যানে আদুরীর সামনে থাকলে কিছু একটা করে বসবে)

আদুরী ঃ আমি সত্যি একটা গাধা,, যেখানে উনি আমায় বার বার বুঝিয়েছে যে উনি আমায় ভালোবাসে তাও বুঝিনি,,, যখন বুঝলাম তখন উনায় ভুল বুঝলাম ,,, আমার নিজের উপরি এতো রাগ হচ্ছে কি বলবো,,, রাগে নিজের চুল নিজের ছিড়তে ইচ্ছা করছে,, এখন কি করি উনি তো আমায় ভুল বুঝলেন,,,,, এতো রাতে কোথায় গেল উনি (চিন্তিত হয়ে😷) আর ভাবতে পারছি নাহ,, রাগ যেহেতু আমার জন্য করেছে রাগ ভাঙ্গানোর দায়িত্বটাও আমার (এই ভেবে আদুরী চোখ মুছে শুয়ে পড়লো অতিরিক্ত কান্নার ফলে চোখ বেথা করছে যার কারনে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসলো)

অন্য দিকে ———-

মেঘার মনে হচ্ছে বার বার তার ফোনটা ভেজে চলেছে,,,, বাজতে বাজতে ফোনটা কেটে গেল,, একটু পর আবার ফোনটা বাচতে লাগলো বিরক্ত হয়ে মেঘা ফোনটা রিসিব করে,,,,

মেঘাঃ ওই সালা উগান্ডা এতো রাতরে ফোন কিসের হে ঘরে বউ নাই নাকি,, বেটা উজবুক,, ছাগলের নানা,, অন্যের ঠিক করা বউকে রাতে ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করিস,,,, রানু মন্ডলের এক্স,, পেত্নির জামাই,,,,, আফগানিস্তানের পলাতক আসামি চাল ফোন রাখ আর একবার ফোন দিলে খবর আছে,,,,,, (ফোনের ওপাশে লোকটা কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না রাগে তার যে কি করতে ইচ্ছা হচ্ছে 😬)

রাজঃ মেঘা স্টপ ননসেন্স (চিল্লিয়ে 😐)

(মেঘার এতোক্ষণে হুশ আসে সে কি বলছে আর ফোনের ওপাশে কে সেটাও এখন খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে,,,)😖

চলবে,,,,,,,

(কেমন লাগলো বলবেন, আজ পার্ট বড় করে দিয়েছি,, আর হে আমি গল্প এখন থেকে দেরি করে দিব,,, গঠন মুল্লক কমেন্ট না করলে আমি উৎসাহ হারিয়ে ফেলি😒 আপনারা গঠন মুল্লক কমেন্ট করলে আমি উৎসাহ পাই বেশি বেশি ,,, )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here