তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২🌿পর্ব-২

0
2924

#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-২
#Jannatul_ferdosi_rimi[Writer]
(যারা সিজন-১পড়েননি তারাও সিজন-২পড়তে পারেন)
আজ ৫ বছর পর দেশের মাটিতে পা রেখেছে অনিক হাতা ফোল্ড করা ব্লেক শার্ট পড়েছে সিল্ক চুলোগুলো উড়ছে হাতে লাগেজ মুখে তার বাঁকা হাঁসি চোখে সানগ্লাস এয়ারপোর্ট এর মেয়েরা অনিককে৷ চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে তাতে অনিকের কিছু আসে যায়না কেউ জানেও না আজ অনিক ফিরেছে 😐

অনিকঃ মাই ডিয়ার মেঘা জান তোমার অনি ইজ কাম বেক😎
অনিকঃ সিফাত?(অনিকের সেক্রেটারি)
সিফাতঃ জ্বী স্যার?

অনিকঃ সোর্স লাগাও ১০ মিনিটের মধ্যে মেঘার সমস্ত ইনফোর্মেশন চাই

সিফাতঃওকে স্যার হয়ে যাবে

অনিকঃ সরি মেঘা জান অনেক ওয়েট করিয়েছি তোমাকে আর না জান😏গেট রেডি তোমার অনি আসছে(বাঁকা হেঁসে)

অনিক নিজের গাড়িতে বসে পড়ে কিচ্ছুক্ষন এর মধ্যে সিফাত এর কল আসে অনি টেডি স্মাইল দিয়ে ফোনটা রিসিভ করে

অনিকঃ হুম বল আমার জানপাখি কোথায়?

সিফাতঃ আস..লে.. স্যার

অনিকঃ কি হয়েছে এতো তোতলাচ্ছো কেন ক্লিলিয়ারলি বলো স্টুপিড

সিফাত—……

অনিকের চোখ রক্তবর্ন ধারন সে কট করে ফোন কেঁটে দেয়

অনিকঃ মেঘা পাখির পাখা গজিয়েছে ওর পাখা ছাটার সময় হয়েছে মেঘাপাখিকে অনিকের খাঁচায় বন্ধি করার টাইম হয়েগেছে আই আম কামিং জান ইউর অনিক ইস কামিং গেট রেডি মেঘা জান(ডেবিল স্মাইল দিয়ে)

🍁
অয়রি ভার্সিটিতে গাল হাত দিয়ে বসে আছে নিজের গ্যাং এর সাথে বসে আছে আর পেয়ারা খাচ্ছে আসলে এখনো কোনো মুরগি(রাগিং করবে😑) পাইনাই তাই অয়রি অয়ন চৌধুরীর মেয়ে বলে ও কাউকে রেগিং করলে কেউ কিচ্ছু বলতে পারেনা

প্রিয়াঃ দোস্ত আর কতক্ষন আই আম বোরিং

রিয়াঃ অয়রির আর কি মনের সুখে পেয়ারা খাচ্ছে একটা পেয়ারা পেটুক

অয়রিঃ এই একদম আমার পেয়ারা নিয়ে খোটা দিবিনা

মিমিঃ তো কি করবো? নিজের পয়সায় তো খাস না অই বুড়ো মুদিনের গাছের চুরি করা পেয়ারা খাস আচ্ছা আংকেলের এতো টাকা আংকেল চাইলেই তোর জন্য পেয়ারার বাগান করে দিতে পারে তাহলে তুই গাছ থেকে চুরি করা পেয়ারা খাঁস কেন?

অয়রিঃ আমি শুনিছি আমার যখন আমার মায়ের পেটে ছিলাম তখনি নাকি আমার মা প্রচুর পেয়ারা খেত তাও অই বুড়ো মুদিনের গাছের চুরি করা পেয়ারা তাই আমিও সেই অভ্যাস পেয়েছি।

রিয়াঃ ওহ মা তুই দেখি পুরো আন্টির মতো হয়েছিস😂😂😂

অয়রিঃ ইয়াপ বাপির মতো এটোটিউড করি আর মাম্মির মতো দুস্টুমি করি বিকজ
আইআম অয়ন চৌধুরী আর রিমি খানের অন এন্ড অনলি ডটর

প্রিয়া,রিয়া,মিমি,ঃ অয়রিকা চৌধুরী ( একসাথে)

অয়রিঃ ইয়াপ😎

তখনি ভার্সিটিতে একটা বাইক ঢুকে তাও অয়রিদের ওভারটেক করে অয়রি তো রেগে বোম

অয়রিঃ আব্বে কার এতো সাহস এই অয়রিকা চৌধুরিকে ওভারটেক করে (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

তখনি বাইক থেকে ব্লু জ্যাকেট পড়া ছেলেটা তার হুডিতা রেখে অয়রির দিখে ঘুরে

অয়রি আর সবার তো হাঁত-পা কাঁপছে

অয়রিঃ এইরেএএএ এইতো মিঃ খারুশ 😰😰

অনিকের গাড়ি একটা বারের সামনে থামে অনিক গাড়ি থেকে নেমে দেখে বেশ নামি জায়গাটা অনিক বারের দিকে ঢুকে দেখে সত্যিই মেঘা এখানে একটা টেবিলে একের পর এক ড্রিংক করেই যাচ্ছে

অনিকঃ তাহলে ইনফরমেশন টা ভুল ছিলোনা আর এইসব ও কিসব পোষাক পড়েছে নাউজুবিল্লাহ অনিকের চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে

অনিকঃ এতোটা অধঃপতন হয়েছে ওর আর আমি কিচ্ছু জানিই না ম্যাডাম তোমার সাথে অনেক হিসাব বাঁকি আছে অনিক কাউকে ফোন করে তারপর বাঁকা হাঁসি

দিয়ে ফোনটা কেঁটে দেয় হঠাৎ ই সব লাইট অফ হয়ে যায়

।মেঘাঃ উফফ জাস্ট ডিস্কাস্টিং শান্তি মতো ড্রিংকস করার উপায়ও নেই ওয়েটার হেই ওয়েটার হঠাৎ মেঘা অনুভব করে মেঘা হাওয়ায় ভাসছে মেঘা চিল্লাবে তার আগেই কেউ তার হাত-পা মুখ চোখ বেঁধে দেয়(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি) মেঘাকে কোলে তুলে কোথায় যেন নিয়ে যায় মেঘাকে নিয়ে যাওয়ার পরেই সব লাইট অফ হয়ে যায় মেঘাকে কেউ গাড়িতে তুলে নেয় ঘটনা টা এতো তাড়াতাড়ি হয়যে মেঘা কিচ্ছু বুঝতে পারিনি মেঘা না পারছে কিছু দেখতে না পারছে চিল্লাতে কিন্তু মেঘা কিছু অনুভব করে মেঘার মনে হচ্ছে অনিক কোথাও আছে কিন্তু অনিক কোথা থেকে আসবে সে তো বিদেশে

গাড়ি চলছে আপন গতিতে ড্রাবিং সিটে অনিক মুখে তার মু্ঁচকি হাঁসি

অনিকঃ ফাইনালি পাখিকে আমার খাঁচায়(মনে মনে)

ইশান বারে এসে দেখে মেঘা কোথাও নেই

ইশানঃ এইটা কি হলো মেঘা তো আমাকে এখানেই আসতে বলেছিলো তাহলে কেম্নে কি?

ইশানের চোখ যায় পাশের টেবিলে মেঘার পার্স

ইশানঃ ওহ মাই গড এইটা তো মেঘার পার্স মেঘা কোথায়?

ইশান কাউকে ফোন করে

অনিক গাড়ি একটা পুরোনো বান্গলোর সামনে নামায়

গাড়ি থেকে নেমে মেঘাকে কোলে তুলে নেয় এদিকে মেঘা হাঁতপা ছড়াছড়ি করছে অনিকের সেদিকে কিচ্ছু এসে যায়না সে মেঘাকে কোলে তুলে একটা বড় রুমে খাঁটে ছুড়ে ফেলে মেঘা বুঝতে পারছেনা তার সাথে কি হচ্ছে তখনি…..

চলবে কি?🙂🙂🙂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here