দ্বিতীয় পুরুষ পর্ব-২৭

0
707

#দ্বিতীয়_পুরুষ
পর্ব ২৭
_নীলাভ্র জহির

আজ রুপক ভরসন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেই চিত্রার হাত ধরে ঘরের ভেতরে টেনে নিয়ে আসলো। মুখোমুখি দাড়িয়ে জানতে চাইল, একটা সত্যি কথা কইবা?
কোন কিছু বুঝতে না পেরে চিত্রা থতমত খেয়ে তাকিয়ে রইল। ঘাড় বেঁকিয়ে বলল, কি কথা?
তোমার কি আগেও একবার বিয়ে হইছিল?
প্রশ্নটা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লো চিত্রা। নিজেকে সামলে নিতে পারল না। মনে হচ্ছে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। সমস্ত পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে তার। শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। কথা বলার মতো অবস্থায় রইল না সে।
রূপক আবারো জানতে চাইলো, চুপ করে রইছো কেন? কও তোমার কি আগে একবার বিয়ে হইছিল?
চিত্রা বহু কষ্টে নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করল। মৃদুস্বরে শুধু বললো,, এই কথা আপনার কে কইলো।
কে কইছে সেইডা তোমার শুনতে হইবো না। তুমি শুধু কইবা কথাটা সত্য নাকি মিথ্যা। আমি আর কিছুই শুনতে চাইতেছি না। তোমার আগে একবার বিয়ে হইছিল? কথাটা সইত্য। নাকি মিথ্যা শুধু সেইডা কইবা।

ভীষণ দোটানায় পড়ে গেল চিত্রা। বুঝতেই পারলো না এই মুহুর্তে তার কি করা উচিত। এত বড় সত্য কিছুতেই সে চাইলে লুকিয়ে যেতে পারবে না। যেখানে রূপকের কান পর্যন্ত কথাটা পৌঁছে গেছে সেখানে এখন আর লুকিয়ে রাখার কোন মানেও হয়না।
চিত্রা মাথা নিচু করে ফেলল। উপর নিচে মাথা ঝাকিয়ে মৃদু স্বরে বলল সত্য। কিন্তু আমার সব কথা আপনাদের শুনতে হইবো। সব কিছু না শুইনা আপনি কিছু করতে পারবেন না।
মুহূর্তেই যেন রূপকের চেহারায় অন্য কেউ এসে ভর করল। চোখ দুটো বিস্ফোরিত হয়ে জ্বলে উঠলো তার। মনে হল তার বুকটা বোধহয় যন্ত্রনায় জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। বুক চেপে ধরে চৌকির উপর বসে পড়ল। মৃদু স্বরে বলল, শেষ পর্যন্ত আমার জানের দোস্ত আমারে ঠকাইলো। সবাই আমারে ঠকাইলো। যারে আমি এত ভালোবাসলাম সেও ঠকাইলো আমারে। তুমি কেমনে পারলে আমারে ঠকাইতে?
কথাগুলো যেন চিত্রার কান দিয়ে নয় বুক ফুঁড়ে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। কি উত্তর দিবে বুঝতে না পেরে দিশেহারা হয়ে তাকিয়ে রইল চিত্রা। তার বুকের ভেতর ক্রমাগত যে আর্তনাদ হচ্ছে তা কীভাবে সে রূপক কে দেখাবে? রূপকের হতাশ মুখ দেখে ভীষণ কষ্ট হতে লাগল তার।
চিত্রা রুপকের কাঁধে হাত রেখে বলল, আপনি আমার কথাগুলো শুনেন। না শুইনা কাউরে দোষ দিয়েন না।
কাউরে তো দোষ দিতেছি না। দোষ আমার ভাগ্যের। ভাগ্যে ছিল বইলাই আমার দোস্ত আমার লগে বেইমানি করছে। তার বইনের বিয়া হইছে সেই কথা আমার লগে লুকাইয়া তারে আবার আমার লগে বিয়া দিছে। বেইমানি করছে আমার দোস্তের পরিবার। বেইমানি করছো তুমি। তুমি এমন ভাবে আমার লগে অভিনয় করছ যেন আমি তোমার জীবনে প্রথম পুরুষ। সবাই বেইমান।
চিত্রার চোখ ফেটে জল চলে এলো। কিছু বলতে পারলো না। কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারলো তার গলা ধরে এসেছে। চোখ বেয়ে টলটল করে জল গড়িয়ে পড়ল মাটিতে।
রুপক বলল, একটা কথা মনে রাইখো। সত্য কখনো চাপা থাকেনা। যতই চেষ্টা করো সেটা কোন না কোনদিন প্রকাশ পায়বই। এত বড় সত্য লুকাইয়া তোমরা কামডা ঠিক করো নাই। আজ কেমনে তুমি আমার বিশ্বাস ভাইঙ্গা দিছো আর কোনদিনও তোমার উপরে আমার বিশ্বাস আইবো না।

দরজা খুলে গটগট করে ঘর থেকে বেরিয়ে রূপক বাড়ির বাইরে চলে গেল। স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল চিত্রা। রূপকের সঙ্গে তার কথা বলা দরকার। সবকিছু খুলে বলা দরকার তাকে। চিত্রা দৌড়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলো। ততক্ষনে অন্ধকারে আড়াল হয়ে গেছে রূপক। কোথায় গেলো কে জানে?
চিত্রা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে রইল মূর্তির মতন। যে ভয়টা বিয়ের প্রথম দিন থেকেই সে পাচ্ছিল আজকে সেটা ফলে গেল। রূপকের চোখে সে একজন বেইমান। সবকিছু খুলে বলার পরও হয়তো সম্পর্কটা আর কখনো স্বাভাবিক হবে না। বেইমান হয়ে থাকতে হবে তাকে। কি করবে চিত্রা এখন? তার খুব পাগল পাগল লাগছে।
চিত্রা নিজের পেটে হাত রাখল। তার গর্ভে রূপকের সন্তান। তার তার ভবিষ্যৎ কি হবে? সে আপন মনে বলল, বাবারে তোর অসহায় মা এখন কই যাবে? যারে জীবনে প্রথম ভালোবাসিলাম সে আমারে বেইমান বলল। কেমনে বুঝাবো আমি তারে? সে যদি আমারে ভুল বুঝে, আমারে ছাইড়া চইলা যায়। তোরে লইয়া আমি কই গিয়ে দাঁড়ামু।
পথে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো চিত্রা। তার কান্নার শব্দে জোসনা বেগম এসে দাঁড়ালেন। জানতে চাইলেন কি হইছে? রূপকরে দেখলাম বাড়িতে আইছিল। কিছু কইছে তোমারে?
কথা বলতে পারল না চিত্রা। পথের মাঝখানে পড়ে বসে পড়ল। জোসনা বেগম আর্তনাদ করে উঠলেন, ও বউ। এখানে বইলা কেন? কি হইছে আমারে কও?
চিত্রা জোসনা বেগমের পা জড়িয়ে ধরে বলল আমার সব শেষ হইয়া গেছে আম্মা।
জোসনা বেগম নিজেও চিত্রার পাশে বসলেন। উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললেন, কি হইছে আমারে কও। রুপক তোমারে কী কইছে।
সব শেষ হইয়া গেছে আম্মা।
আরে কইবা তো।
চিত্রা কোন কথা বলল না। হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। তার গগনবিদারী কান্না আকাশ পাতাল ফুঁড়ে যেন সপ্ত আসমানে চলে যাচ্ছে। এমন অসহায় এভাবে কখনো কাউকে কাঁদতে দেখেননি জোসনা বেগম। পাছে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে যায় এই ভয়ে তিনি চিত্রাকে টানতে টানতে ঘরের ভিতরে নিয়ে গেলেন। ঘরে গিয়েও চিত্রার কান্না থামল না।
ধীরে ধীরে রাত বাড়তে লাগল। বাড়ি ফিরল না রূপক। অর্ধমৃতের মত বিছানায় পড়ে আছে চিত্রা। চোখ দিয়ে টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে গরম জল। সেই জলে ভিজে যাচ্ছে বালিশ। কিন্তু মুখে তার কোন শব্দ নেই। সবকিছু যেন থমকে গেছে হঠাৎ।

অনেক রাত হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসলো রূপক। তবে ঘরে প্রবেশ করল না। মাকে ডেকে ভাত দিতে বলে দিল। জোসনা বেগম কোন প্রশ্ন না করে ছেলেকে ভাত খেতে দিলেন। দরজার আড়াল থেকে তাকিয়ে রইল চিত্রা। রূপক স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ভাত খাচ্ছে। জোসনা বেগম মৃদুস্বরে জানতে চাইলেন, বউরে কিছু কই ছিলি নাকি?
রূপক শুধু চোখ তুলে একবার মায়ের দিকে তাকালো। কোন উত্তর দিল না।
জোসনা বেগম কি বুঝলেন কে জানে। মৃদু স্বরে বললেন, খুব কান্নাকাটি করতাছে সন্ধ্যা থাইকা। তুই মনে হয় খারাপ আচরণ করছস। কিছু কইস না। পোয়াতি মাইয়া। এত কান্নাকাটি করোন ভালো না।

রূপক একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, ওর কথা বাদ দাও।

কষ্টে বুকটা ফেটে যেতে লাগল চিত্রার। তার কথা রূপক বাদ দিতে বলছে। অথচ এই রূপক দুদিন আগেও মায়ের কাছে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতো। ভালোবাসার নিবিড় বন্ধনে আগলে রাখত তাকে। এক কালবৈশাখী ঝড় সবকিছু নিমিষেই তছনছ করে দিয়ে গেল। এখন কি নিয়ে বাঁচবে সে?

জোসনা বেগম বলেন, তোর বউরে ডাক। ভাত খাইতে ক। না, খাইয়া রইছে। পোয়াতি মানুষ না খাইয়া থাকুন ভালো না।
আমার খাওয়া হইয়া গেলে তারে ডাইকা ভাত খাওয়াইয়া দিও।
চিত্রার বুকের ভেতর যেন উত্তাল স্রোত ধাক্কা দিল। তার স্বামী এই প্রথম তাকে রেখে খাবার খাচ্ছে। আর বলছে তার খাওয়া হয়ে গেলে যেন তাকে খাইয়ে দেয়া হয়। সে অভিমানে না খেয়ে রয়েছে এতে তার কিছুই যায় আসে না। অবশ্য কেনইবা যায় আসবে। তার চোখে সে একজন বেইমান।

চিত্রা কাঁপতে কাঁপতে বিছানায় এসে বসলো। চোখ মুছে মনে মনে ভাবল, এত ভেঙে পড়লে চলবে না। তাকে শক্ত হতে হবে। জীবনের সঙ্গে যা ঘটে গেছে তাকে চাইলেই মানুষ কখনো এড়িয়ে যেতে পারে না। সেই সত্যগুলো সারাজীবন ঘুরেফিরে মানুষের সামনে আসবেই। সেগুলোকে সামাল দিতে হবে। একদিন না একদিন এই সত্যের মুখোমুখি তাকে হতেই হত। চিত্রা নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করলো। রূপকের মুখোমুখি হয়ে তাকে সবকিছু জানাতে হবে। তার জীবনের কঠিন অতীতের কথা জানলে নিশ্চয়ই তাকে ক্ষমা করে দিবে রূপক।

রূপক ভাত খেয়ে ঘরে এসে ঢুকলো। চিত্রার সঙ্গে কোনো কথা না বলে শুয়ে পড়ল বিছানায়। কিছুক্ষণ পর কথা বলল চিত্রা, আপনে আমার কথা শুনবেন না?
কোন উত্তর নেই রূপকের। চিত্রার কান্না এলো। এভাবে কখনও তার সঙ্গে রূপক রাগ করে থাকেনি। তার প্রিয় রূপক তার সঙ্গে কথা বলছে না। এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে?
চিত্রা বলল, কথাগুলান আপনার শুনতে হইবো। না শুইনা আপনি আমারে দোষারোপ করতে পারবেন না। হ আমি বেইমান। আমি আগের বিয়ের কথা আপনার কাছে লুকাইছি। কিন্তু ক্যান লুকাইছি সেইটা আপনার শোনা দরকার।
বিয়া মনে হইয়া থাকুক আর যেমনেই ভাইঙ্গা দিয়া থাকুক। সত্য হইতাছে তোমার আগে বিয়ে হইছিল। তার চাইতে বড় সত্য হইতাছে যে বন্ধুরে আমি আমার আপন মানুষ মনে করতাম সে নিজেও এই সত্যটা লুকাইয়া তোমারে বিয়া দিয়ে দিছে। এর চাইতে বড় কষ্ট আর কিছু নাই।
আমার জায়গায় আপনি থাকলে আপনে ও ওইটাই করতেন। সব কথা আপনার শোনা লাগবো। আমি মাইনা নিসি যে আমিও ভুল করছি। এই সত্যটা গোপন কইরা বিয়া দেওয়াটা উচিত হয় নাই। কিন্তু আপনি বিশ্বাস করেন আমি মানুষটা খারাপ না। আমারে অন্তত বিশ্বাস করেন।
আমার কারো উপর বিশ্বাস নাই।
রূপক অন্য পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল। চিত্রা বলল, বিশ্বাস না হওন স্বাভাবিক। আপনি এই পাশে ফিরেন। আমার অনেক কথা কওনের আছে আপনারে।
তোমার কথা শোনার কোন টাইম আমার নাই। কোন ইচ্ছাও নাই। জীবনে মনে হয় অনেক পাপ করছিলাম। সেই জন্য মানুষের কাছ থাইকা আমার শুনতে হয় আমার বউয়ের আগে বিয়ে হইছিল। মানুষের কাছে আমার ছোট হইতে হয়। হাসির পাত্র হইতে হয়। কোন পাপের শাস্তি পাইতাছি আল্লাই জানে।

চিত্রা বলল, আমি আপনার সব কথা শুনমু। তার আগে আপনার আমার কথাগুলো শুনতে হইবো।
কি কথা কইবা তুমি? যার লগে তোমার বিয়ে হইছিল সে নিশ্চয়ই অনেক খারাপ আছিল এইটা কইবা? তোমারে অনেক নির্যাতন করছে। তাই তার লাগে তোমার ছাড়াছাড়ি হইয়া গেছে। তোমার এখানে কোন দোষ নাই। তুমি, তোমার বাপ, তোমার চৌদ্দগুষ্টি ধোয়া তুলসী পাতা। সব দোষ আমার। আমার পরিবারের। কারণ আমরা ভালোমানুষি দেখাইছি। আমার দোস্ত কইছে আর আমি কোন ভাল-মন্দ খোঁজখবর না লইয়াই চোখ বন্ধ কইরা তোমারে বিয়া কইরা ফেলছি। মানুষে বিয়ে করার আগ মাইয়ার বংশ দেখে। পরিবারের সব খোজ-খবর শুইনা তারপরে বিয়ে করে। আর আমি আমার বন্ধুরে বিশ্বাস কইরা ছাগলের বাচ্চার মত বিয়া কইরা ফেলছি।

চিত্রা দাঁতে দাঁত চেপে কথাগুলো হজম করলো। সে অসহায়। আজ না হলেও দুদিন পর তাকে এই কথাগুলো শুনতে হবে। তার কপালটা এতটাই খারাপ যে সারাজীবন কথা শুনে এসেছে। বাকি জীবনটাও তাকে কথা শুনেই কাটিয়ে দিতে হবে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চিত্রা বলল, আমার স্বামী আমারে নির্যাতন করে নাই। যেটা করছে সেটা শুনলে আপনের বিশ্বাস হইবো না।
তোমার স্বামী না? এমন কইরা কইতাছো। থাক আমি আর মুখটা খারাপ করলাম না। ভাবতে ঘেন্না লাগতেছে আমি তোমার জীবনে দ্বিতীয় পুরুষ।
আমার জীবনে প্রথম পুরুষ দ্বিতীয় পুরুষ বইলা কিছু নাই। আমি আমার জীবনে আপনেরে প্রথম ভালোবাসছি। সব উজার কইরা ভালোবাসছি। আমার শরীরে আপনি প্রথম হাত দিছেন। আপনার আগে কোন পুরুষ আমারে ছুঁইতেও পারে নাই।
কেন? তোমার আগের স্বামী তোমার এমনি এমনি ছাইড়া দিছে? ছুঁইয়া দেখেনাই?
না, ছুঁইয়া দেখেনাই। আমি ছুঁইয়া দেখতে দেই নাই। এইজন্য কইতাছি আপনি আমার কথাগুলো শুনেন।
কি শুনতাম? আবার কোন নাটক বানাইয়া বানাইয়া আমার একটু শুনাইবা। মাইয়া মানুষ রে আমি ভালোমতো চিনি। সুযোগ পাইলে তারা যেমন চোখের জল দিয়া পুরুষ মানুষকে বশ মানাইতে পারে। তেমনি যখন তখন মনগড়া নাটক বানাইয়া মানুষ রে বোকাও বানাইতে পারে।
আমি কোন নাটক বানানোর মত মাইয়া না। সেইটা আপনি ভালো কইরাই জানেন।
হ কিন্তু ভুল জানছি। তো সত্যটা আমারে জানাও। একটা পুরুষ মানষের লগে তোমার বিয়ে হয়েছে অথচ সেই তোমারে ছুঁইয়া দেখেনাই। তার লগে তুমি হুদাহুদি সংসার করছো।
তার লগে আমার কোন সংসারও হয় নাই। বিয়ের রাইতে আমি পলাইয়া আছি।
বিয়ার রাতে পলাইছো? শেষ পর্যন্ত আমার এইডা শোনা লাগলো। কি এমন ঘটছিল যে তোমারে বিয়া রাইতে পলাইতে হইল?
চিত্র একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। রূপক কঠিন চোখে তার দিকে চেয়ে আছে।

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here