#দ্বিতীয়_সূচনা
#পর্ব_৩১
লেখা – আফরোজা আক্তার
(কোনোক্রমেই কপি করা যাবে না)
হুট করে এইভাবে মামা বাড়ি এসে বিপাকে পড়ে গেছে অয়নন্দিতা। সে আসতে চায়নি। মামা কয়েকবার বলার পর আর না করতে পারেনি। এখানে এসে মন বসছে না তার। বোন, ভাবী সবাই আছে। কিন্তু অয়নন্দিতার মন ওই বাড়িতেই পড়ে আছে। ফারহানকে ফোন করে বলতেও পারেনি। কয়েকবার ফোন করার পরেও ফারহান ফোন রিসিভ করেনি। তাই বলতেও পারেনি।
মিলি অয়নন্দিতার পাশে এসে বসে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অয়নন্দিতা অপেক্ষায় আছে। অপেক্ষাটা হয়তো ফারহানের জন্য৷
মিলি অয়নন্দিতার কাঁধে হাত রাখতেই অয়নন্দিতা চমকে গিয়ে পেছনে তাকায়। মিলিকে দেখে জোর করেই হাসে অয়নন্দিতা। জোরপূর্বক হাসিটা দেখে মিলিও হালকা হাসে।
‘জোর করে হাসছ?’
মিলির চোখে ধরা পড়ে গিয়ে অয়নন্দিতা মাথা নিচু করে রাখে। মিলি আবারও বলে,
‘মন চাইছিল না এখানে আসতে। তাই না?’
প্রশ্নের উত্তরটা হ্যাঁসূচক ইশারা করে। কিন্তু মুখে বলতেও দ্বিধা। নীরবতাই শ্রেয়। কিন্তু অয়নন্দিতার নীরবতার কোনো অর্থ নেই। মিলি নিজের মতো করেই বলতে শুরু করে।
‘সহজে কাউকে মন দেওয়া যায় না। কিন্তু এই মন একবার কাউকে দিয়ে দিলে তখন আর উপায় থাকে না। এই মন তখন বার বার ভুল করতেও দ্বিধা করে না। এই মন তখন সব কিছু একপাশে রেখে দিয়ে তাকেই প্রায়োরিটি দেয়। মন যখন চায়মি কেন এলে?’
এবার মুখ খোলে অয়নন্দিতা।
‘এমন কিছুই না।’
‘চোখ মুখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, তুমি ফারহান ভাইকে মিস করছ। অপেক্ষায় আছো কখন মানুষটা তোমায় ফোন করবে। এরপরেও বলবে, এমন কিছুই না।’
সব শুনে অয়নন্দিতা নিঃশ্বাস ফেলে। উঠে গিয়ে জানালার পাশে দাঁড়ায়। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। অয়নন্দিতা বৃষ্টি দেখছে। মস্তিষ্কের চারপাশে একজন মানুষই ঘুরঘুর করছে। মিলি উঠে গিয়ে অয়নন্দিতার পাশে দাঁড়ায়।
‘কী হলো, কিছু বলছ না যে?’
অয়নন্দিতা পাশে তাকায়।
‘আচ্ছা, ভালোবাসা যখন হয় তখন কি সব কিছুতে ওই ভালোবাসার মানুষটাই বিরাজ করে?’
মিলির মুখে হাসি।
‘হ্যাঁ। ভালোবাসা এমন এক অনুভূতি যার কোনো সময়, বয়স লাগে না। হয়ে যাওয়ার হলে হয়ে যায়। তখন সব কিছু ওই মানুষটাকে ঘিরেই থাকে। একটা কথা বলব?’
‘বলো, কী বলবে।’
‘মন দিয়ে ফেলেছ। তাই না?’
অয়নন্দিতার হাসিটা মলিন কিন্তু অর্থবহ।
‘মন তো সেদিনই দিয়েছিলাম যেদিন শুনেছিলাম তার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে জড়াব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ভালোবেসে ফেলেছি।’
‘তাই বুঝি ছাড়তে ইচ্ছে করে না।’
‘নাহ। বলতে পারো এখানে খুব জোর করেই আছি।‘
‘দেখেছ, ভালোবাসা কী অদ্ভুত এক জিনিস।’
‘হয়তো।’
‘আজ ফারহান ভাইকে এখানে আসতেই হবে। তোমায় আজ আটকে রাখব। দেখব তার টান কতটুকু। সে এখানে আসে কি না।’
‘আসার সময় ফোন দিয়েছিলাম। রিসিভ করল না।’
‘ব্যস্ত ছিল হয়তো।’
‘পরে কলব্যাক করতে পারত। করল না কেন কে জানে।’
‘চিন্তা কোরো না। এরপর থেকে বাবা অথবা মা গেলে তুমি আসবে না। ডিরেক্ট বলবে, আমি আমার বরকে ছাড়া থাকতে পারব না। পরে যাব।’
‘হা হা। এভাবে বলা যায়?’
‘যায় তো। আমি তো বলি।’
‘হাসান ভাইয়া অনেক ভাগ্যবান তাহলে।’
‘তবে ফারহান ভাইয়ের কপাল খারাপ।’
‘কেন?’
‘কারণ, এই যে তুমি বলতে পারো না।’
দু’জনের কথার মাঝেই অয়নন্দিতার ফোনটা বেজে ওঠে। অয়নন্দিতা ফোনটা হাতে নিতেই ফারহানের ফোন। এক মুহুর্তও দেরি না করে ফোনটা রিসিভ করে কানে নেয়। ওপাশ থেকে ফারহানের কন্ঠস্বর শোনা যায়,
‘হ্যালো।’
চলবে……………….
[আসসালামু আলাইকুম, আজ অল্প করেই দিলাম। রাগ করবেন অনেকেই। তবে আমার শারীরিক কন্ডিশন ভালো না তেমন। ডান হাত, ব্যাক সাইডে প্রচুর পরিমাণ স্যোয়েলিং হয়ে আছে। তবুও লিখেছি। গতকালও অসুস্থ ছিলাম। তাই গল্প দিতে পারিনি। দুঃখিত আমি 😔]