#ধর্মের_দেয়াল
-নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১২
– রুপম বলে উঠল আজ তুমি বেঁচে গেলেও
আমার মৃত্যু নিশ্চিত।
– নাফিসা ধমক দিয়ে বলল কি বল তুমি
হুম।
– কিছু হবে না। বলে নাফিসা দোয়া
পড়তে শুরু করল।
.
.
.
.
– রুপম বলল SiS কোন দোয়ায় কাজ হবেনা।
আমি আজ যাব।
– নাফিসা গাড়ি স্টার্ট দিতেছে
বার বার কিন্তু চলছে না।।
–
–
–
– এমন সময় ডোর খুলে ভিতরে কেউ
জানি বসল। নাফিসা আর রুপম ২ জন ২
জনকে জড়ায় ধরে চিৎকার দেয়।
.
.
.
২ জন কে দেখে কে। ভয়ে ২ জনই থর থর
করে কাপছে।
– এমন সময় একটি পুরুষের গলা ভেসে এল
এবং জোড়ে ধমক দিল ২ জনকে।
– নাফিসা গলা চিনতে পারল আর বলল
আজগড় তুমি?
– আজগড় রাগি গলায় বলল এত্ত রাতে
কেন বের হইছ। জিবনের কি তোমাদের
মায়া নাই?
.
.
.
.
– আর নাফিসা শোন তোমার জন্য
মারিয়াম বিপদে পড়ছে আর আজ এই
ছোট্ট ছেলেটিরও বাচার আশা
ছিলনা।
.
.
.
– তুমি কি সচেতন হবেনা। আজগড়ের
কথা শুনে নাফিসা আৎকে উঠল।
মারিয়ামের কি হল। আসার সময় ওর
চোখে পানি ছল ছল করছিল।
.
.
.
.
– আজগড়ের কথায় নাফিসার
ভাবনাগুলোতে ছেদ পড়ল। আমরা এসে
গেছি এর বেশি আমি যেতে পারবনা।
তুমি ড্রাইভ করে চলে যাও বলে গাড়ি
থেকে নেমে গেল। আর কোন কথাও বলল
না নাফিসার সাথে।
.
.
.
– এখন নাফিসার মনে অনেক চিন্তা।
কি করবে সে। এর পর বাসার গেটের
সামনে এসে হর্ন দিল।
– দাড়োয়ান চাচা এসে খুলে দিয়েই
বলল, দিদিমুনি আপনি কৈ
গিয়েছিলেন রুপম বাবাকে নিয়ে।
– বাসার পরিস্থিতি যে খুব খারাপ
তা চাচার কথায় বুঝতে আর বাকি রইল
না।
.
.
.
.
– গাড়ি পার্কিং করে আমি আর রুপম
ভয়ে ভয়ে বাসায় ঢুকলাম
.
.
– ডাইনিং রুমে ঢুকতেই সবাই কে
দেখলাম শুধু রুপ কে বাদে।
– আন্টি দৌড়ে এসে রুপম কে জড়িয়ে
ধরে বলল কৈ ছিলা তুমি। তোমাকে
না বলেছি বাসার বাহিরে যাবা
না?
.
.
.
.
– রুপম বলল নাফিসা SiS এর কোন দোষ
নেই আমি ওনাকে জোড় করে নিয়ে
গেছি।
-মিনা বলল জানি। বলেই রুপকে ফোন
দিয়ে আসতে বলল।
– রুপ এদের খুজতেই বাহিরে গিয়েছিল।
.
.
.
.
– আন্টি বলল যাও ফ্রেস হয়ে নাও
তোমরা খুব ক্লান্ত।
– নাফিসা রুমে গিয়ে ঘড়িতে দেখল
রাত ২ টা বাজে।
– নাফিসা রিতিমত চমকে উঠল এত্ত
রাত অবদি তারা বাহিরে ছিল!
.
.
.
– নাফিসা ফ্রেস হয়ে কেবল খাটে
বসেছে অমনি রুপ কোথা থেকে এসে
এক হেচকা টান দিয়ে ফ্লোরে ফেলে
দেয়।
.
.
– এই মেয়ে! তোমার সাহস কি করে হয়
রুপম কে নিয়ে বাহিরে যাওয়া।
– নাফিসা চুপ করে থাকে কিছু বলে
না। ওর চুপ থাকা দেখে রুপ আরও রেগে
যায়।
.
.
– রুপ ওকে হাত ধরে টানতে টানতে
বাসার বাহিরে নিয়ে এসে বলে
তোমাদের সাথে ছেলেটি কে ছিল।
– আমার বন্ধু ছিল কেন কি হইছে?
– রুপ ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল
এবং বলল আমার ছোট ভাইকে নিয়ে
যেয়ে, পর পুরুষের সাথে নোংরামি
করতে লজ্জা করে না।
– এবার চড়টি নাফিসার প্রসটিজে
লাগে আর রাগ করেই বলে ওঠে হ্যাঁ
গিয়েছি আবার যাব এবং বার বার
যাব আপনার তাতে কি!
.
.
.
– রুপ মুখে মুখে তর্ক করা একদম পছন্দ করে
না তাই আরও রেগে গিয়ে ২ চড়
বসিয়ে দেয়।
-এবার নাফিসা আর কোন কথা বলে
না।
-রুপ কারের কাছে নাফিসাকে এনে
বলে আমার গাড়ি যেমন নোংরা করে
এনেছ তেমনি পরিষ্কার করে ঘুমাতে
যাবে।
-বিয়াদপ মেয়ে কোথাকার বলেই রুপ
চলে গেল।
.
.
.
.
– কথা গুলো শুনে নাফিসা রাগে
কাপতে লাগল আর চোখ দিয়ে পানি
পড়তে লাগল।
.
.
.
– পুরো গাড়ি পরিষ্কার করতে প্রায়
রাত ৪ টা বেজে গেল।
.
.
.
– এর পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে রুমে এসে
ফ্রেস হয়ে ধপ করে সুয়ে পড়ে।
–
–
–
-সকাল ১০ টার দিকে রুপম এসে ডাকতে
লাগল।
– চোখ খুলে নাফিসা দেখল ওর সামনে
রুপম দাড়িয়ে আছে।
-Sis রুপ ভাইয়া তোমায় মেরেছে না!
– নাফিসা বলল আরেহ না মারেনি
তো, শুধু গাড়িটা পরিষ্কার করে নিছে
বুঝছ?
.
.
.
– নাফিসা ফ্রেস হয়ে রুপম কে নিয়ে
নিচে নামল।
– রুপম আর ও নাস্তা করে ফেলল।
– রুপম উপরে গেল এবং বলে গেল একটু পর
আসছে।
.
.
.
– আমি সোফায় বসে ফেসবুকিং করছি
এমন সময় দেখি রুপ নিচে নামছে। ওকে
দেখে আমি চোখ নামিয়ে নিয়ে
আমার কাজে মনযোগ দিলাম।
.
.
.
.
– রুপ যখন চলে যাচ্ছিল আমি তখন ওকে
দেখেতো সেই কি হাসি। কিন্তু মুখ বন্ধ
করে হাসি দিচ্ছি। জানি ব্যাটা
কিছুক্ষন পর আবার বাসায় ফিরবে।
.
.
.
– ঠিক ১৫ মিনিট পর রুপ বাসায় আসল
এবং আমায় দেখে মনে হয় রেগে
গিয়ে আরও
বেশি চিৎকার করে সবাইকে
ডাকতে লাগল।
.
.
.
– আন্টি বলল কি হল চেচেচ্ছিস কেন। রুপ
বলল আমি যে এই ভাবে বাহিরে
যাচ্ছি কেউ কি দেখেনি।
– আন্টি রুপ কে দেখে দিল এক হাসি। রুপ
পাঞ্জাবি এবং হাফপ্যান্ট পড়ে
আছে।
.
.
– রুপ বলল তুমিও হাসছো! মিনা বলল কেন
তোর কোন হুস ছিল না?
– রুপ এবার আমার কাছে এসে বলল এই
মেয়ে তুমিতো দেখেছ তুমিতো বলতে
পারতা!
.
.
আমি আন্টি কে মোবাইল দেখিয়ে
বললাম আমিতো কাজ করছিলাম। বলেই
মোবাইলের দিকে নজর দিলাম।
.
.
.
– রুপ এবার বেশ রেগেই গেল এবং বলল
আমি এবার থেকে এই ভাবেই সব
জায়গায় যাব।
.
.
রুপ চলে যাওয়ার পর আমার সেই কি
হাসি। হাহাহা
কেমন লাগে দেখ!
– একদিন আমি রুপের রুমের কাছে দিয়ে
যাচ্ছিলাম হঠাৎ মাথায় দুষ্ট বুদ্ধী
আসে। ও মনে হয় সাওয়ার নিচ্ছিল। ওর
খাটে পরনের ড্রেস ছিল। আমি ওগুলো
নিয়ে ইচ্ছা মত ওর কাপড়ে চড়, ঘুষি,
থাপ্পড়,
পায়ে নিচে ফেলে যা ইচ্ছা তাই
করে বেডে ফেলে দিয়ে আসলাম।
– ব্যাটা! আমাকে চড় মারা?
.
.
.
আর অপেক্ষায় থাকলাম ব্যাটার
চিল্লানোর আওয়াজ শুনার জন্য। কিন্তু
তাজ্জব ব্যাপার ও
কিছুই বলল না।
.
.
.
– আন্টি একদিন এসে বলল আমায় নাকি
নতুন করে মাস্টার্সে ভর্তি করে দিছে।
তাই রোজের সাথে কলেজ যেতে।
– আমি তোহ দারুন খুশি আর বাসায়
বোরিং হতে হবে না।
.
.
.
পরদিন সকালে উঠে ব্রেক ফাস্ট করে
রোজের সাথে ভার্সিটি তে
গেলাম।
– অনেক বিশাল ভার্সিটি আর অনেক
চমৎকার পরিবেশ ছিল। আমি আর রোজ
ততদিনে তুই সম্পর্কের মধ্য এসেছিলাম।
.
.
.
– রোজ বলল আমায়, আজ তোর জন্য
সারপ্রাইজ আছে। আমি বললাম কি রকম?
– ও বলল আরে দেখনা বলেই চুপ করে রইল।
.
.
.
– যথারীতি স্যার এলো সবাই
দারালাম। স্যার কে দেখে আমার
তোহ মাথায় হাত।
–
রোজ কে বললাম ঐ তোর এই খাটাস
মার্কা ভাই কইত থাকইয়া আইল।
– রোজ বলল চুপ কর এর জন্যই তুই পড়তে
পারছিস।
– আমি আর কিছুনা বলে একটা মুচকি
হাসি দিয়ে ক্লাসে মনযোগ দিলাম।
.
.
.
– রুপ আমাকে বলল মিস. নাফিসা Stand
up.
– আমিতো থ হয়ে গেলাম লও ঠেলা
আমি কি করলাম। হেইতো আমার
পিছনে লেগেই আছে।
-রুপ বলল এটা কি Funny class যে আপনি
হেসে উঠলেন।
– আমি বললাম না মানে sir., আমিত
হাসিনি।
– বাহ্ ভালইতো মিথ্যা জানেন। রোজ
হঠাৎ বলে উঠল স্যার আসলে আমি একটা
জোকস্ বলছিলাম তোহ তাই ও হাসছিল।
.
.
.
– এবার মনে হয় আগুনে ঘি ঢালল রোজ
আর তার শাস্তি হিসেবে ২ জনকে
পুরো ক্লাস দাড়িয়ে থাকতে হল।
.
.
.
– কষ্ট যন্ত্রনায় রোজের উপর বেশ রেগে
গেলাম।
– ক্লাস শেষে আরও Student রা আমাদের
দিকে মুখ করে হাসছে।
– আমি রোজ কে বললাম আর ক্লাস
করবনা জিবনে। Just xm দিব।
রোজ বলল পাগল হইছিস! ইনকোর্সে মার্ক
কাটবে বুঝছিস।
.
.
.
– সে দিনের মত বাসায় আসলাম।
সন্ধ্যায় আমি আর রোজ ছাদে উঠলাম।
একটু পর দেখলাম রুপ ও আসল ছাদে। রুপ আর
রোজ গলফ্ খেলতে লাগল।
.
.
.
হাঠাৎ রুপ রোজ কে বলল। আচ্ছা রোজ!
কেউ যদি চুপি চুপি প্রতিদিন তোর ঘরে
চুরি করে যায় এবং তোর গোছানো
ড্রেস গুলো নোংরা + আউলা ঝাউলা
করে রাখে তাহলে তাকে কি বলা
যায়!
.
.
.
– রোজ খেলতে খেলতে কিছু না
ভেবেই বলল তাকে পাগল বলা যায়।
.
.
– আমি ছাদের রেলিং এ বসে ছিলাম।
খেলার ক্লক নেওয়ার ছলে রুপ আমার
কাছে এসে ফিসফিস করে বলল তাহলে
রোজ কে বলেই ফেলি,
তোমাকে পাবনা পাগলা গারদে
রাখা উচিত।
.
.
.
-আমি লজ্জা + ভয় ২ টাই পেয়ে ছাদ
থেকে সেদিন নেমে আসলাম আমার
রুমে।
– ও কিভাবে জানল আমি ওর রুমে কখন
গিয়ে এই কাজ গুলি করি!.!
..
.
.
.
– একদিন ভার্সিটি তে গিয়ে কেবল
নামব এমন সময় পিছন দিক থেকে এক
গাড়ি এসে আমাকে ধাক্কা মারে
এবং আমি ছিটকে পড়ি।
তার পর আর কিছু মনে থাকে না…….
.
.
.
-ঙ্গান ফিরে নিজের বিছানায়
নিজেকে আবিষ্কার করি। পাশে রোজ
বসে আছে।
.
.
– আমি রোজ কে ইশারায় বললাম কি
হইছে।
– রোজ আমার কথায় হাসবে না কাদবে
কিছুই বুঝতে পারছেনা।
– তুই পাগল হয়ে গেছিস। আমরা সবাই
চিন্তায় মরে যাচ্ছি আর তুই কিনা fun
নিয়া বসে আছিস।
.
.
– একটু পর সবাই আসল এবং বলল কেমন
আছো এখন। আমি বললাম ভাল আছি।
– আমি রোজ কে বললাম ঐ তোর খাবিস
ভাই কই, সে আসল না যে!
– রোজ বলল টেনসন নিসনা ও তোকে
বাসায় আনছে কোলে করে।
.
.
.
– আমি অবাক হয়ে বললাম যাহ্ তোর
ভাই মনে হয় আমার প্রেমে হাবুডুবু
খাচ্ছে।
– রোজ বলল, আবার ফাজলামি শুরু করছস?
.
.
– রুপ কে দরজায় দেখে আমি চমকে উঠে
গেলাম। আল্লাহ্ সে শুনতে পায়নি
তোহ্।
-যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই
সন্ধ্যা হয়।
– রুপ বলল আমি তোমার প্রেমে হাবুডুবু
খাচ্ছি!
– কথাটি শুনে ত আমার জান বের হয়ে
যাবে মনে হচ্ছে। চাচা আপন প্রান
বাচা বলে রোজ ভয়েতো রুম
থেকেই বের হয়ে গেল।
– আমিতো রোজকে মনে মনে
হাজারটা গালি দিলাম। পেত্নী,
শাঁকচুন্নি
কোথাকার জোমের মুখে আমাকে
একা ফেলে গেলি!
– আমি রুপ কে আমার কাছে আসতে
দেখে ভয়ে যেন গলা শুকিয়ে গেল।
– সেই চড়ের কথা বার বার মনে পড়ছে।
মনে মনে বলছি আল্লাহ্ এবারের মত
বাচাও আমায়। আর জ্বিব বনেও বলবনা
কথাগুলো।
– আমিতো চোখ বন্ধ করে আছি থাপ্পড়
খাওয়ার আশায়।
– তাকিয়ে দেখি রুমে কেউ নেই। যাক
বাব্বা বাচা গেল ডেভিলটা চলে
গেছে।
.
.
.
.
.
-” এখন আমি অনেক ভাল, তোমায় ছাড়া
থাকতে পারি।
বলেনাতো কেউ আগের মত করনা
বাড়া বাড়ি,
আমার আকাশ, আমার সবই
আমি আমার মত গুছিয়ে নিয়েছি
আ…..হা…..আ…..হা…
যদি স্বপ্নটাকে আপন করে দেখতে
শিখালে
তবে মাঝ পথে হাতটা ছেড়ে কি
বুঝালে…
ভালবাসি তোমায় আমি একথা জানি
তবে বলবনা আর আগের মত এখন আমি..ই
এখন আমি অনেক ভাল তোমায় ছাড়া
থাকতে পারি….”
.
.
.
.
বলে ছাদে বসে গলা ছেড়ে গান
গাচ্ছি।
-এমন সময় পিছন থেকে ডেভিলটা বলে
উঠল,,,,, ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে
গানটি গাইছো বুঝি।
-আমি চুপ করে রইলাম। আমাকে অবাক
করে দিয়ে রুপ বলল তুমি কি আমায়
ভালবাস?
-এমন কথার কি জবাব দিব ভেবে
পেলাম না।
– আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম এই কথা কেন
বললেন?
– রুপ বলল আমি জবাব চাই তাই কোন প্রশ্ন
না।
– আমি রুপের প্রশ্নর কোন জবাব না
দিয়ে নিচে আসলাম।
.
.
.
– রুমে এসে ভাবছি রুপ যা সুন্দর এই
প্রেমের বাজারে ওকে একশ নাম্বারই
দেওয়া যায়। কিন্তু আমি কি তাকে
ভালবাসি?
– আমি কি ভাবছি ওকে নিয়ে বলে
ব্যাগ বের করলাম। সেখান থেকে মার
সেই চিঠি বের করলাম আর মনে মনে
বললাম এই চিঠি পড়ার মত একজন কে
খুজে পাইছি।।
.
.
– নাফিসা রুপের রুমে গিয়ে দেখল রুপ
ল্যাপটপ নিয়ে কি যেন কাজ করছে।
–আমাকে দরজার আড়ালে দেখে রুপ
বলল ওখানে দাড়িয়ে না থেকে রুমে
আসলেই তোহ হয়।
.
.
.
– আমি ভেবে পাইনা রুপ আমায় দেখে
কেমনে।
– আমি রুমে এসে ওর খাটে বসে ওর
দিকে তাকিয়ে বললাম আমার একটা
কাজ করে দিবেন?
– বলেই চিঠিটা ওর দিকে এগিয়ে
দিলাম।
রুপ বলল একটা চিঠিও পড়তে পারোনা!
এই কথা বলে ও চিঠি খুলে দেখে একটু
হচকিয়ে উঠল। আর বলল এটা কার চিঠি।
– আমি বললাম আমার মা আমার কাছে
লিখেছিল।
.
.
.
-রুপ বলল আমি পুরোটা পড়ে তোমায়
পরে বলব। এখন তুমি রুমে যাও।
– আমি কোন কথা না বলে রুমে চলে
আসলাম।
-রুপ চিঠিটি দেখল এটা পুরাই হিব্রু
ভাষায় লেখা। রুপ মোট ৫৭ টি ভাষা
জানে তার মধ্য হিব্রু ভাষাও জানে
সে।
– চিঠি পড়ে চমকে উঠল এবং বলল কে এই
নাফিসা???????
চলবে…………