#ধর্মের_দেয়াল
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৮
– রুপ পচন্ড জোড়ে গাছের সাথে বাড়ি
খেয়ে পরার পর দাড়াতে বেশ কষ্ট হয়
তবুও দাড়ায়।
– এই কাপুরুষ পিছন থেকে আঘাত করিস
কেন? সাহস থাকে তোহ সামনে
থেকে আঘাত কর।
– ১৪ বছর ধরে আমি নাফিসার সাথে
ছায়ার মত থাকছি। ও আমার। আর তুই
কয়েক মাসের মায়ায় আমার কাছ
থেকে কেড়ে নিবি আর আমি বসে
বসে দেখব? বলে রুপের সামনে হাজির
হল কাইফ।
– তোর উদ্দেশ্য যদি স্বত হত তাহলে তুই
নিশ্চয় সফল হতিশ। কিন্তু তুই নিজেই
পাপিষ্ঠ তোর আশা তাহলে কেমনে
পুরুন হবে বলেই রুপ হুংকার ছাড়ে।
.
.
.
– আমি পাপিষ্ঠ হতে পারি কিন্তু ওর
প্রতি ভালবাসা কখনও মিথ্যা না।
– তুই যে কত সত্যবাদী তা আমি বেশ
ভাল জানি। নাফিসার মা-বাবা কে
যে তুই নিজেও ওদের মারতে সাহায্য
করছিস সেটাতো কখনও মিথ্যা হতে
পারে না।
– কাইফ আর কোন কথা না বলে ওর আসল
রুপে আসে এবং রুপ কে কি যেন ছুড়ে
মারে যা রুপের কাধে আঘাত করে।
– রুপ বুঝতে পারল এর সাথে এখন পারা
বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ পিছন
থেকে ও বড় ধরনের আঘাত আগেই করে
ফেলেছে।
.
.
– রুপ চেষ্টা করছে কিন্তু আর উঠতে
পারছেনা।
– আমার এক আঘাতেই তুইতো দেখছি
কাবু হয়ে পড়েছিস।
এই শক্তি নিয়ে আমার সাথে লাগতে
আসছিস।
– রুপ একটু হেসে বলল তুই যেই প্রতিষ্ঠান
থেকে যাদু চর্চা করেছিস আমি সেই
প্রতিষ্ঠানের principle. বলেই রুপ ওর
পাখা দিয়ে কাইফকে বাড়ি দেয়।
– কাইফ ছিটকে পড়ে যায়।
– এবার কাইফ ছলনার আশ্রয় নেয় অদুরে
রুপম দাড়িয়ে থাকে এবং ওকে কেউ
আঘাত করছে।
– রুপ কে বলল ছোট্ট ভাইয়ের প্রতি বুঝি
দয়া নাই।
– রুপ রুপমের দিকে তাকাতেই ২ জ্বীন
ওর শরীরে রুপার চেইন দিয়ে আটকে
ফেলে।
– এতে রুপের শরীর জ্বলে যায়।
– আজ তো তুই গেছিস বলে কাইফ রুপকে
আঘাত করে।
– রুপ ধপ করে পড়ে যায়।
– কাইফ পৈশাচিক হাসি দিয়ে বলে
ছলনার উপর কোন যাদু বিদ্যা নাই আর
এতে আমি বেশ পটু। এক্ষেত্রে তুই আমার
ছাএ হওয়ার যোগ্যতাও রাখিস না।
.
.
– রুপের মনে হচ্ছে ওর জিবন শেষ।
– কাইফ এসে রুপের বুকে ছুড়ি ডুকাবে
এমন সময় রোজ এসে ধাক্কা দেয় কাইফ
কে।
– রোজ ওর ২ টা ডানা মেলে ধরে বলে
ওর বোন এখনও বেচে আছে। আয় এবার
কে আছিস।
– মোট ১৭ জন জ্বীন পুরুষ এসে হাজির হয়
সাথে সাথে।
– কাইফ বলল আমি জানি তোমাদের
পরিবারের কেউ না কেউ আছে
এখানে তাই প্রস্তুত হয়েই আসছি বলেই
রোজেকে বেধে ফেলার হুকুম দেয়।
– ওরা যেই রোজের কাছে আসে তখন,
– আজগড় এসে বলে অহ really আমাকে যে
এই লড়াইয়ে এভাবে অংশগ্রহণ করতে
হবে আমি ভাবতেই পারিনাই।
.
.
– এবার কাইফ বেশ ভয় পেয়ে যায়।
–
.
– আমার এলাকায় আসছ আবার আমার
অনুমতি না নিয়ে যুদ্ধ বাধাবা
সেটাতো হয়না কাইফ সোনা।
– কাইফ আজগড় কে আঘাত করার প্রস্তুতি
নিতেই আজগড় বলে ভুলেও ঐ চেষ্টা
করনা। আমি তোমারই স্বজাতি তাই
আমাকে মারিয়াম ভেবো না যে
আমি তোমার ছল বুঝতে পারবনা।
– মারিয়ামের কথা শুনে কাইফ আৎকে
ওঠে। কিছু না ভেবেই ভানিস হয়ে
যায় ওর দলবল নিয়ে।
– রোজ আজগড় কে বলল এই আপনি ভাল
চানতে ভাইয়ার কাছ থেকে সরে যান।
– আজগড় বলল খুবতো ওদের সাথে লড়তে
গিয়েছিলেন, আপনি কি তাদের
সাথে পেড়ে উঠতেন?
– রোজ কিছু না বুঝেই আজগড়কে শত্রু
ভেবে আঘাত করতে যায়।
– আজগড় রোজের এক নিমিষেই হাত
ধরে ফেলে এবং বলে নারী
নারীদের মতই থাকুন।
– আজগড় ওকে ছেড়ে দিয়ে রুপের
কাছে যায়। রুপের গা থেকে চেইন
খুলে ফেলে। রুপের শরীরের অনেক
জায়গা পুরে গেছে এবং ও সেন্সলেস
হয়ে গেছে।
-রোজ এবার গিয়ে রুপকে ধরে এবং
জোরে জোরে কান্না করে।
— রোজ বলল এটাতো সারানো সম্ভব
না। কারণ এটা দিয়ে আমাদের আঘাত
করলে আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত।
.
.
– আজগড় বলল এর ঔষুধ ও আছে বলে চলে
গেল।
– কিছুক্ষন পর আজগড় ফিরে এল এবং রুপের
শরীরে কি জানি ছিটিয়ে দিল।
– রুপের কিছুক্ষন পর ঙ্গান ফিরে আসল
কিন্তু ক্ষত গুলো ঠিক আর করা গেল না।
– রুপকে আজগড় ধরে উঠাল এবং নিয়ে
যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতেই রোজ বলল
আমি গিয়ে যদি কাইফ কে শেষ না
করি তাহলে আমি ভাইয়ার বোন না।
– আজগড় বলল মোটেও ও কাজ করবেননা।
ভুলে ও না। আর কাইফ এখানে নেই ও
অন্য ফন্দি আটছে। ও খুব চালাক।
.
.
আপনি কে বলুন তো! আর আমাদের
সাহায্য কেন করলেন?
– সেটা সময় হলে জানতে পারবেন।
– রুপের তাবুর কাছে রুপকে রেখে চলে
গেল আজগড়।
– রোজ রুপকে রেখে নিজের তাবুতে
এসে দেখে নাফিসা গভীর ঘুমে মগ্ন।
– হায়রে যার জন্য এত কিছু আর সে কি
আরামে ঘুমাচ্ছে বলে রোজ সুয়ে পড়ল।
– পরদিন সকালে রোজ কাইফের খোজ
নিয়ে জানতে পারল ও নাকি কি
জানি কাজে back করেছে। রোজ
ভাবল তাহলে আজগড় সত্যই বলেছে
কিন্তু ছেলেটি কে! ভাইয়া কে
জিঙ্গাসা করতে হবে।
– রুপের কাছে গিয়ে দেখে রুপ বসে
আছে।
– রোজ কে দেখে রুপ বলল আমি এখানে
কেমনে রে রোজ?
– আজগড় নামের ছেলেটির জন্য আমরা ২
জনেই কাল বেচে গেছি।
– আজগড় ছেলেটি কে ভাইয়া? ও
আমাদের কেন সাহায্য করল।
– ও নাফিসা কে আমাদের বাসায় dad
এর রুপ ধরে রেখে গিয়েছিল।
– বলতে পারিস ওটা নাফিসার কায়া।
খুব শক্তিশালী জ্বীন ও।
– আমাদের এই কাহিনী নাফিসা কে
যেন বলিস না।
– ও তোর শরীর দেখলেই তোহ বুঝতে
পারবে।
– তাহলে আপাতত ওর কাছে যাস না।
– হুম সেটাই ভাবছি।
– আমি সকালে তাবু থেকে বের হয়ে
দেখলাম দুরে রান্নার কাজ চলছে। এখনও
অনেকেরই ঘুম ভাঙ্গেনি।
-আমি সকালের আবহাওয়া উপভোগ
করার জন্য হাটতে বের হলাম।
– অদুরেই নাকি একটা ঝর্না আছে
সেটাই গন্তব্য স্থান।
– ঝর্নার কাছে যেতেই রুপকে দেখলাম
বসে থাকতে।
– আমি কাছে গিয়ে বললাম শুভ সকাল।
কেমন আছেন?
– রুপ বলল হুম ভাল।
– এত সকালে এদিকে কেন এসেছ?
– আমি ওনার কথার জবাব না দিয়ে
বললাম প্রেম করতে এলাম।
– তা কাউকে খুজে পেলে! প্রেম করার
জন্য?
– ওর কথা শুনে মেজাজ বিগ্রে গেল
আমার।
– আমি কিছু না বলে ঝর্নার পানিতে
নেমে গেলাম।
– নাফিসা বেশি দুরে যেওনা, সাতার
জাননা তুমি।
– আপনি আছেন কিসের জন্য?
– আমি যদি না থাকি কোনদিন আর তখন
এই কথাগুলো কাকে বলতা?
– কথাটা শুনেই আমার মন খারাপ হয়ে
গেল।
– আমি পানি থেকে উঠে এসে পাশে
বসলাম।
– এই আপনার কি হইছে বলুনতো? এভাবে
কেন কথা বলছেন?
– কিছু না। যাও এখন এখান থেকে।
গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে নাও। শরীর
তো অনেকটা ভিজে ফেলে দিছ।
ঠান্ডা লেগে যাবে।
.
.
– আমি কিছু না বলে উঠে চলে এলাম।
– কয়েকজন student মিলে ভিজতে
এসেছে এটা দেখে রুপ উঠে গেল।
.
.
.
– রুপ রাস্তা দিয়ে হাটতে লাগল।
– কিছু দুর গিয়ে থেমে যায়।
– নাফিসা আমি তোমায় বললাম না
ফিরে যেতে! কেন পিছু নিয়েছ?
– আমি যাবনা রুপ।
– আমি তোমার সাথে থাকব।
– ওর মুখে প্রথম রুপ নাম ডাক শুনে বেশ
ভালই লাগছে কিন্তু ওকে কাছে রাখা
যাবেনা।
– যাও এখন, sir দের কথা শুনতে হয়।
– না আমি যাবনা।
– তুমি যাবা! না এক থাপ্পড়ে সব দাঁত
ফেলায় দিব বলে জোড়ে ধমক দেয় রুপ।
.
.
– ওর ধমক শুনে আমার জেদ আরও বেড়ে
গেল।
– আমি সোজা মাটিতে বসে পড়লাম
আর বললাম আমি ফিরে যাবনা।
– আমি তোমার কাছে থাকব এখন, বলে
টপটপ করে পানি ঝড়ে পরল কয়েক ফোটা
চোখ দিয়ে।
– এটা দেখে রুপ অবাক হয়ে যায়। এত্ত বড়
মেয়ে কিনা ছোট্ট baby দের মত
মাটিতে বসে জেদ করছে।
– রুপ একদম কাছে এসে কোন কথা না
বলে আমাকে কোলে নিয়ে বলল এত্ত
বাচ্চামো কেন কর বলতো?
– আমি না থাকলেও কি এভাবে
বাচ্চামো করবা!
– ওর কথা শুনে আমি কিছু বললাম না। চুপ
করে ওর গলা ২ হাত দিয়ে শক্ত করে
জড়িয়ে ধরলাম।
– রুপ আহ্ শব্দ করে উঠল।
– আমি ভয়ে চট করে হাত ছাড়িয়ে
নিলাম।
– এই আপনার কি হইছে?
– কিছু নাতো!
– তাহলে সামান্য হাত দেওয়াতে
ওভাবে শব্দ কেন করলেন?
– আরেহ্ কিছুনা বলেই জঙ্গলের একটা
রাস্তা দিয়ে আমাকে নিয়ে নেমে
গেল।
–
– একটা গাছের নিচে গিয়ে থামল।
.
– আমাকে ও কোল থেকে নিচে
নামাতেই ওর গায়ের কিছুটা চাদর
সরে গেল।
– আমি বললাম এই দাড়ান বলছি।
– আমিতো দাড়িয়েই আছি। কিছু
বলবে?
– আপনা কে আদর করব।
-নাফিসা naver tail a lie.
– বোঝেন যখন সব তাহলে দুরে কেন
বলেই ওর চাদর একঝটকায় খুলে ফেলি।
.
.
– এটা আমি কি দেখলাম। just আমি
পাগল হয়ে যাব।
– পুরো শরীর লাল ডোরা কাটার মত
পুরে গেছে।
– আমি চিল্লায় বললাম এই আপনার
এগুলো কি হয়েছে।
– কিছু না বলেই আবার চাদরটা গায়ে
দিতে যেতেই আমি আবার টান মেরে
কেরে নেই।
– আপনার কষ্ট হচ্ছে আপনি তবুও চাদর কেন
পড়ছেন!
– এতক্ষন আমায় কোলে নিয়ে ছিলেন
না জানি কত কষ্ট আপনার হইছে?
– আরে কিছু না। এমনি সেরে যাবে
কয়েক দিনে।
.
.
– আমি এতটুকু বুঝলাম ওর অলৌকিক শক্তি
দিয়েও যখন এটা ভাল হয়নি মানে এটা
গভীর ক্ষত চিহ্ন।
– এত ফরসা শরীর আর সেখানে এগুলো
নিষ্ঠুর দাগ গুলো আমি মেনে নিতেই
পারছিনা।
– রুপ খুব ক্লান্ত বলে ওখানেই হয়ত বসে
পড়ল।
– আমার এত্ত খারাপ লাগছে ওকে
এভাবে দেখে। আমার চোখে আর
পানি বাধ মানছেনা।
-এই পাগলি কাদছো কেন? আমি ঠিক
আছিতো।
– এবার আমি রেগে গিয়ে বললাম,
আমি ঠিক আছি! কেমন ঠিক আছেন
সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
– আমি আর কথা না বাড়িয়ে বসে
পড়লাম ওর কাছে। রুপের পিঠের ক্ষত
গুলোতে কয়েকটা kiss করতেই ও চোখ
বন্ধ করে ফেলল।
– আমি আলতো করে ওকে পিছন থেকে
জড়িয়ে ধরলাম।
– ওর কাধে মাথা রেখে বসে আছি। ওর
কাধ বেয়ে আমার চোখের পানি
বেয়ে পড়ছে।
– ও কিন্তু কোন react দেখালো না।
– আমি বললাম এগুলো দাগ কোন ভাবেই
ভাল হবেনা?
– ও চোখ বন্ধ করে বলল অনেকদিন সময়
লাগবে এবং কিছু কিছু সারা জিবনের
জন্যও থেকে যেতে পারে।
.
.
.
– আমি ওর কাধ থেকে মাথা তুলে
সামনে এসে বললাম এই সব হল কি করে?
কাল রাত অবদি ভাল ছিলেন তো!
.
.
– রুপ চুপ করে আছে।
– আমি আর কিছু না বলে উঠে
দাড়ালাম। এই ছেলেটিকে আমি আজ
অবদি বুঝতে পারলাম না।
– আমার প্রশ্নের কোন জবাব দিতে তার
কোন দায় নেই।
– খুব খারাপ লাগছে। ও কেন এমন, এই
কথা ভেবে পিছে তাকিয়েই আমি
অবাক।
– ওর শরীরের দাগ গুলো ধীরে ধীরে
মিশে যাচ্ছে আমারই চোখের সামনে।
– what surprise
– রুপ চোখ বন্ধ করেই ছিল। আমি রুপ বলে
চেচিয়ে উঠলাম।
– রুপ চোখ খুলে আমায় ইশারা করল কি
হইছে?
– আমি বললাম রুপ তোমার কষ্ট কি কমে
যাচ্ছে আস্তে আস্তে?
– রুপ চট করে ওর শরীরের দিকে
তাকিয়ে ও নিজেই হতবাক।
– এতক্ষনে সব দাগ মিশে গেছে।
– রুপ আমার দিকে বিশ্ময়কর ভাবে
তাকিয়ে আছে।
–
– রুপের বিশ্ময় ভরা চোখ দেখে আমিও
বেশ অবাক।
– এটা কি ভাবে সম্ভব! আমার টার্চ
করায় এই রকম পরিবর্তন।
–
–
– রুপ বলল চল এখান থেকে চলে যাই।
অনেক সময় হয়ে গেছে বলে আমার হাত
ধরে রাস্তার উপর উঠল।
– আমরা ফিরে আসলাম।
– রোজকে বললাম তোর ভাইয়ের এই
অবস্থা কি করে হল!
– রোজ আমাকে এরিয়ে গিয়ে বলল
আমার কাজ আছে একটু । আমি কিছুক্ষন
পরে
আসছি।
– ঔ কই যাস। আমার কথার জবাব দিয়ে
যা।
– রোজ চলে গেল। এদের ভিতর কিছুতো
একটা হইছে যেটা বলছেনা।
–
–
–
–
– রোজ রুপের কাছে গিয়ে বলল এই তোর
কি নাফিসার সাথে দেখা হইছিল?
– রুপ এবার ওর শার্ট খুলে রোজ কে ওর
শরীর দেখাল।
– রোজ তো অবাক। এত্ত তারাতাড়ি
দাগগুলো কোন ভাবেই মিশা সম্ভব না।
– কিভাবে কি হল?
– ওর জন্য।
– মানে! ওতো সিম্পল মানুষ তাহলে ও
কেমনে কি?
– রুপ বলল আমারও বেশ জটিল লাগছে।
.
.
– দিনটা এভাবেই কেটে গেল।
– সন্ধ্যায় রুপ ফোন দিল আমাকে।
– আমি রিসিভ করে বললাম কি ব্যাপার
ফোন দিলেন?
– একটু এই সাইটে আস।
– আমি কোন কিছু না বলে এদিক ওদিক
তাকালাম। দেখলাম সবাই বসে আড্ডা
দিচ্ছে।
– এই সুযোগে বের হয়ে গেলাম।
অন্ধকার নেমে পড়েছে চারদিকে।
– গিয়ে দেখি রুপ দাড়িয়ে আছে।
রুপের কাছে গেলাম।
– রুপ আমাকে দেখে বলল চল আমরা
বিয়ে করি।
– আমি একটু চুপ করে বললাম এটা সম্ভব
না। আমাদের মাঝে ধর্মের দেয়াল
আছে।
– কিন্তু তোমার mom তোহ একজন
খ্রিস্টান ছিল। সেতো তোমার dad কে
বিয়ে করছে।
–
মা ধর্ম পবিবর্তন করে বাবাকে বিয়ে
করেছে।
– রুপ বলল ওকে তোমাদের নিয়মে বিয়ে
করতে চাও?
– এটা শুধু নিয়ম না সম্পূর্ন জিবন পরির্বতন।
– রুপ কিছু না ভেবেই আমাকে জড়িয়ে
ধরল আর সাথে সাথে ওর ২ টা পাখা
বের হলো।
– আমাকে বুকে নিয়ে উড়াল দিল
ওজানা পথে।
– একটা মসজিদের সামনে এসে দাড়াল।
– আমি বললাম এখানে কেন?
– আমরা বিয়ে করছি তোমার নিয়মে।
– কিছুক্ষন পর মসজিদের ইমাম বের হয়। রুপ
কাছে গিয়ে বলল sir আমি একটা মুসলিম
মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। আপনাদের
যা নিয়ম আছে সেগুলো মেনে বিয়ে
পড়ান।
.
.
– ইমাম সাহেব রুপ কে দেখে বুঝতে
পারলেন ও জ্বীন।
– ওকে দেখেই দোয়া পড়তে শুরু করল।
আমি দৌড়ে গিয়ে ইমাম সাহেব কে
থামালাম।
– আমি ওনাকে বললাম দয়া করে একাজ
করবেন না। আমি জানি ও একটা জ্বীন।
সব জেনেই আমরা বিয়ে করতে চাই।
– হুযুর বলল ও কি জানে না ও তোমাকে
বিয়ে করলে তোমার প্রান নাশ হবে।
– আমি রুপের দিকে তাকালাম। ও চুপ
করে দাড়িয়ে আছে।
আমি বললাম সমস্যা নেই আপনি
আমাদের বিয়ে পড়ান। আমার পুরো
বিশ্বাস আছে ওর উপর।
–
–
–
– উনি আরও ৪ জন মানুষকে ডেকে
তাদের সাক্ষী করে আমাদের বিয়ে
পড়াই দিলেন।
– রুপ হুযুরকে টাকা দিতে গেলে উনি
বলল দরকার নেই। আমার জিবনে এমন
বিয়ে পড়াই নি। তাই এর দাম নিতে
চাইনা।
.
.
.
– রুপ আমাকে নিয়ে চলে আসল ঝর্নার
ধারে।
– আমি ওকে ছেড়ে দৌড়ে আরও উপরে
উঠলাম।
– চিৎকার করে বলে উঠলাম ” আজ
ইহাকে অবশেষে পাইলাম, আমার
ঠিকানা পেলাম, আমি আর
অভিভাবক হীন না, আমারও একটা
ঠিকানা আছে, আমি এখন মিসেস
রুপ”.।
– চিৎকারের প্রতিফলন কয়েকবার
আমার কাছে ফিরে এল।
চলবে…….