ধর্মের দেয়াল পর্ব:১৭

0
1174

#ধর্মের_দেয়াল
-নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৭

– রুপ গাড়ি break করে।
– আজগড় এসে সামনে দাড়ায়।
– আজগড় কে নাফিসার সাথে পরিচয়
হওয়ার আগে এখানে দেখলে হয়ত রুপ
ওকে মেরে ফেলত।
– কারন ওদের সাথে রুপদের খুব বিরোধ।
.
.
– রুপ বলল কিছু বলতে চান?
– হুম কাইফ সম্পর্কে কিছু বলতে এসেছি।
– কাইফের সব ঘটনা খুলে বলল আজগড়।
– নাফিসাকে ওর থেকে যত সম্ভব দুরে
দুরে রাখতে হবে।
.
.
– আজগড় বলল নাফিসা কিন্তু আপনাকে
অনেক love করে।
– রুপ চুপ থেকে বলল হুম জানি।
– আমি যদি না থাকি তবুও আপনি
নাফিসার খেয়াল রাখবেন তাই না!
– আজগড় কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল হুম।
ও আমার দায়িত্ব। সঠিক সময় না আসা
পর্যন্ত আমি ওর সাথে ছায়ার মত
থাকতে বাধ্য। তাছাড়া ওকে আমি
আমার ছোট বোনের মত দেখি।
.
.
– ওরা আরও কথা কিছুক্ষন বলে যে যার
পথে চলে গেল।
.
.
– ডিপার্টমেন্ট থেকে ট্যুরে যাওয়ার
দিন আজ। তাই সকাল সকাল গোসল করে
সব রেডী করে কাম্পাসের দিকে
হাটা দিল নাফিসা।
.
.
– মোট ৩ টা বাস আগেই এসে হাজির।
– প্রায় সবাই চলে আসছে।
– আমি গিয়ে দেখি রোজ দাড়িয়ে
আছে।
– আমি বললাম কিরে পেত্নী এত্ত
সাজুগুজো কিয়ের লায় করছস?
– তোর হুনোমান ভাই কই! দেখতে
পাচ্ছিনা যে?
– আমায় জিঙ্গেস কেন করিস ভাইয়া
কে গিয়ে বল গাঁ।
– যেমন ভাই তেমনি তার বোন। দরকার
নাই আমার ঠেকা পড়ছে তোর বলদ
ভাইয়ের সাথে কথা বলতে।
– আমি বলদ!
– সামনে রুপকে দেখে হার্ড এর্টাক
হওয়ার পথে আমার। বড়সর একটা ঢোক
গিলে বললাম না মানে আমার ভুল হয়ে
গেছে। আর বব্বনা কোন দিন।
– ok কথাটা যেন mind এ থাকে।
.
.
– যতই ওর অগচরে যা বলিনা কেন ওকে
দেখলে হাওয়া আর থাকেনা। যদি
রেগে সবার সামনে চড় দেয় এখন মান
সোলেমান সব যাবে।
.
.
– কাইফ এর মধ্য হাজির। ব্যাটা কি সাজ
দিছে আজ। মেয়েরা গিয়ে ওর সাথে
সেলফি তুলছে।
.
.
– আমি সোজা গিয়ে বাসের সামনে
দিকের সিটে বসি একদম জানালার
ধারে। আমার সমস্যা হয় বলে।
.
– রোজকে দেখলাম আমার পরের ছিটে
বসল। আমি খানিকটা অবাক হলাম।
হয়তবা আমার উপর রাগ করেছে।
.
– কাইফ দেখছে নাফিসা কোন বাসে
উঠল। কারণ ও ঐ বাসের student দের
দায়িত্ব নিবে।
.
.
– কাইফের আশায় সেগুরে বালি দিয়ে
রুপ উঠে গেল ঐ বাসে।
– কাইফ ক্রোধে ফেটে পড়ে যেন।
– রুপ জায়গা মত বসে পড়ল মানে
নাফিসার পাশে।
.
.
– Sir! student এর পাশে বসতে লজ্জা করে
না আপনার? তাও আবার ছাত্রীর
পাশে বসেছেন।
– রুপ বলল sorry mam আর কোন সিট ফাকা
নেই। চাইলে আপনি দাড়িয়ে দেখতে
পারেন।
– আমি সব বুঝি এটা আপনার চালবাজি।
আমার কাছে বসার জন্য।
– ok ওখানে মেঘলা নামে যেই মেয়ে
আছে ওর পাশে বসি বলে উঠতেই আমি
ওর হাত ধরে বললাম খবরদার যদি ঐ
শাঁকচুন্নির কাছে যান তাহলে জানে
মেরে দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিব।
– রুপ স্মিত হেসে বলে বাহ্ এই টুকুতে
এত্ত জেলার্স ফিল করছো।
– চুপ করে বসে থাকেন। আর কথা
বলবেনননা।
– জো আগ্গা mam বলেই রুপ ইয়ারফোন
কানে গুজে গান শুনতে লাগল।
– আমি জানালা দিয়ে বাহিরে
তাকিয়ে আছি।
– কাইফ sir কে দেখে কেমন যানি
লাগছে। মনে হয় খুব রেগে আছে। সবসময়
হাসিখুশি মানুষ রেগে আছে দেখতেই
খারাপ লাগছে।
.
.
– বাস গন্তব্যর উদ্দেশ্য ছেড়ে দিল। সব
ছেলেমেয়রা এক সাথে হই দিয়ে উঠল।
আমি উঠে পিছন দিকে দেখতে গিয়ে
রুপের কাছে বেশ জোরে ঝাড়ি
খেলাম।
.
.
– মন খারাপ করে আবার বসে পড়লাম।
পিছনে সবাই কত্ত মজা করছে। বক্সে
হিন্দি গান জুড়ে দিছে।
.
.
– রোজকে message করে বললাম বদজ্জাত
বেডি জলহস্তীর কাছে আমারে বইসা
রাখছোস। আমি ভাল করেই জানি
তোদের ২ জনের এটা plan.
.
.
-রোজ ফিরতি message এ বলল ভাইয়া
কে বলব! ওকে এবার জলহস্তী বলেছিস?
.
.
– আমি বললাম ভয় দেখাস কিয়ের লায়।
বলে ফিরতি message করে ফোন ব্যাগে
রাখলাম।
– খুব বোরিং লাগছে। এই ব্যাটা
আমাকে আনন্দ করতে দিবেনা সেটা
ভাল করেই জানি।
.
.
– রুপের দিকে তাকায় দেখি ও
মোবাইল টিপছে।
– উকি দিয়ে দেখি ব্যাটা facebook
চালাচ্ছে।
– উরি বাব্বা হেই মাইয়াগো লগে
চ্যাট করছে।
– এই আপনি কার সাথে চ্যাট করছেন?
– রুপ ফোনের দিকে তাকিয়েই বলল
কেন?
.
.
.
– আপনি মেয়েদের সাথে চ্যাট করেন
আর আমাকে ভালবাসি ভালবাসি
বলেন। আপনি একটা খাটাস্ লুচু,
বদজ্জাত।
– রুপ আমার দিকে কটমট চোখে
তাকিয়ে বলল থাপ্পড় খাওয়ার সখ
জাগছে?
– আমারও জেদ উঠল খুব আমি বললাম
আপনি আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন! আমি
ভয় পাচ্ছিনা।
– রুপ ভেবে পাচ্ছেনা এখন একে কি
করা উচিত।
– এত্তগুলো মানুষ আছে তাই কিছু বলতে
পারছেনা তাছাড়া ঠাটিয়ে একটা
চড় ওর গালে এতক্ষন পড়ে যেত।
.
.
– আমি মনে মনে বললাম বাছা ধোন
তুমিই শুধু পার! আমি জানি এখন তুমি
কিছুই বলতে পারবানা।
.
.
– জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য
দেখছি। এমন সময় মনে হলো গা গুলিয়ে
যাচ্ছে।
— আমার বাসের সমস্যা আছে। বমি করি
শুধু।
.
.
– আমি রুপের দিকে তাকাচ্ছি আর
জানালার দিকে।
– আর সহ্য না করতে পেরে জানালা
দিয়ে বাহিরে বমি করতে শুরু করলাম।
– রুপ আমার দিকে তাকিয়ে হতবাক হয়ে
গেল।
– আমার আর কোন দিকে খেয়াল নেই।
২/৩ মিনিট পর পর বমি হচ্ছে।
– আমি আবার জানালা দিয়ে যেই
মাথাটা একটু বের করছি ওমনি রুপ
ঝাটকা দিয়ে আমায় কাছে টেনে
নেয় এবং রুপের বুকের উপর বমি করে
দেই। একদম অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম।
-পিছন থেকে যে একটা লরি আসছিল
সেটা দেখতেই পাইনি। ভাগ্যিস
আমায় রুপ টান দিয়েছিল তানাহলে
আমি dead.
– জানিনা রুপের তখন কি অবস্থা।
ডাইভার কে একটা মোড়ে থামতে
বলে।
– গাড়ি থামলে আমাকে নিয়ে নিচে
নেমে আসে।
– ততক্ষনে আমার চোখমুখ নীল হয়ে
গেছে। অবস্থা খুবই খারাপ।
– আমাকে ফুড ভিলেজের মধ্য নিয়ে
গেল এবং রোজ কে ডাকল।
– আমাকে ফ্রেস হতে বলে ও নিজে
চেঞ্জ করতে চলে গেল।
– রোজ বলল এই রে করেছিস টা কি।
ভাইয়ার গায়ে বমি!
– ছোট বেলায় একবার ওর জামায়
নোংরা হাতে ধরেছিলাম এর জন্য
থাপ্পড় খাইতে হইছে।
– আমি ওর কথা সুনে ভয় পেয়ে গেলাম।
– বাব্বা বাচা গেল বাসের কয়েকটা
মেয়ের একই প্রবলেম হয়েছিল তাই
অতটা লজ্জায় পড়তে হচ্ছেনা আপাতত।


– রুপ medicine এনে খাওয়াল। যার যার
problem তাদেরও দিল।
-প্রায় ৪৫ মিনিট পর বাস ছাড়ল।
– রুপ একটা কফি কালার শার্ট পড়েছে।
ওকে যে এত্ত কিউট লাগছে বলার
ভাষা নেই।


– আমি চুপ করে বসে আছি ওর পাশে।
একটা ভয় কাজ করছে যদি ও কিছু বলে।
– কিন্তু ও কিছুই বলছেনা। আমিই প্রথমে
নিরবতা ভেঙ্গে ওকে বললাম sorry.
-ও ভ্রু কুচকে বলল কিসের জন্য!
– ঐ যে আপনার গায়ে ইয়ে করে
দেওয়ার জন্য। আমি ইচ্ছা করে দেইনি।
-হুম ব্যাপার না।
– আমি চারদিকে তাকিয়ে বললাম
রাগ করেননি তোহ!
– না…..


– প্রায় ৩ ঘন্টা পর আমরা পৌছালাম।
– পিন্সিপাল স্যার বলল কি ব্যাপার রুপ
দেরি হল কেন? আমরা তো খুব টেনশনে
ছিলাম।
-sir একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা তেমন
কিছু না।


– বাস থেকে নেমে গিয়ে দেখি
বিশাল বিশাল তাবু খাটানো হয়েছে
অনেকগুলো।
– আমি আর রোজ গিয়ে মেয়েদের
নির্ধারিত তাবুতে ঢুকলাম।
– রোজ রে আমি শেষ। ঘুমাইলাম তুই সব
একটু দেখিস দোস্ত বলেই গা এলিয়ে
দিলাম।
.
.
– মোবাইলের রিংটোনের শব্দে ঘুম
ভেঙ্গে গেল।
– দেখি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল
আসছে।
– রিসিভ করে সালাম দিলাম।
– ও পাশ থেকে বলল আমি রুপের মা
বলছি।
– আন্টির কথা সুনে বললাম জ্বী চিনতে
পারছি।
– কেমন আছেন?
আমার কথার কোন জবাব না দিয়ে বলল
দেখ নাফিসা তোমাকে নিজের
মেয়ের মত দেখছি তাই অনুরোধ রইল
রুপের একদম কাছে বা আমার ছেলে
মেয়ের কাছে ঘেষবেনা বলেই কল
কেটে দিল।
– আমি রাগে অপমানে নিজের চুল
ছিড়তে লাগলাম।
– রোজ এসে আমাকে বলল এই কি হইছে
তোর? এমন পাগলামির কারন কি!
– আমি ঝাঝালো কন্ঠে বললাম তোরা
২ ভাই বোনে আমার সাথে একদম কথা
বলবি না।
– আমার কারও দয়া চাই না।
– রোজ আমার কথা শুনেই বলল mom কিছু
বলেছে?

– আমি কিছু বললামনা। বাহিরে চলে
আসলাম। দুনিয়াটা অনেক কঠিন।
– সবাই আগুনে চারদিকে গোল হয়ে
বসে আড্ডা দিচ্ছে।
– আমাদের classmate তুহিন আমার কাছে
এসে বলল এই এখানে দাড়িয়ে আছো
কেন? চল আমাদের সাথে আড্ডা দাও।
– আমি বললাম না আমার ভাল
লাগছেনা।
– ও কি যেন মনে করে আমার হাত ধরে
টেনে ওর কাছে নিয়ে বসাল।
– রুপ হয়ত এটা দেখে খেপে গেছে
কিন্তু কিছু বলছেনা।
– সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি বেশ
ভালয় লাগছে।
– সবাই একটা একটা করে গান গাইছে।
হঠাৎ শুভ্র গিয়ে রুপ কে বলে sir আপনি
একটা গান গাইবেন please?
-আমরা শুনেছি আপনি খুব ভাল গান
করেন।


– রুপ গিটার হাতে নিয়ে সুর তুলল কবির
সিং মুভির সেই গান
——————-
রাজকে বোলায়া, রাজকে হাসায়া
মেনে দিল খোকে, ইসকো কামাইয়া
মাঙ্গা যে ওস নে, এক ইস তারা
………………………………………
………………………………………
ছোসতাহু কে ও ইতনে মাসুম থে
কিয়াছে কিয়া হোগায়ে দেখতে
দেখতে
.
.
– এত্ত সুন্দর করে রুপ গান গাইতে পারে
আমি কোন দিনও বুঝতেই পারিনা।
তারপর আবার এত্ত রুমান্টিক গান।
– ও যখন গান গাচ্ছিল তখন এক নজরে
আমার দিকেই চেয়ে গাইছিল।
– সবাই হাত তালি দিতেছিল। আর
মেয়েগুলো যা ন্যাকামি করছিল just
boring লাগছিল।
– এভাবে রাত ১১ টা অবদি আড্ডা
দিয়ে খেতে দেওয়া হলো।
– sir দের আলাদা খেতে দেওয়া হলো
বিধায় রুপের সাথে আর দেখা হলো
না।
– খাওয়া শেষ করে কেবল ঘুমাতে যাব
এমন সময় রোজ হাত ধরে টেনে বাহিরে
নিয়ে এল।
– এখানে আনলি কেন?
– ভাইয়া কি জানি বলবে বলেই ও চলে
গেল।
– তোর ছাগল ভাইয়ের সাথে কোন কথা
নেই বলে পা বাড়ালাম।
– এমন সময় রুপ হাত ধরে আমার।
– আমি চমকে উঠি এবং চিৎকার দিতে
যাব অমনি রুপ ওর আঙ্গুল দিয়ে মুখ চেপে
ধরে। এবং আমায় টেনে আড়ালে
নিয়ে যায়।
– আমারতো বুকের ধারকান উঠে যায়।
ব্যাটা আমায় এত্ত কেন ভয় দেখায়।!
— আমি ওনার আঙ্গুলে কামড় দিতেই
উনি হাত সরিয়ে নেয়।
– দুরে দেখি কাইফ sir এদিকে আসছে।
– আমিতো ওনাকে দেখে শেষ।
– রুপ ওর ডানা দিয়ে আমাকে জড়িয়ে
ধরেই ভানিস হয়ে নিরাপদ স্থানে
সরে পড়ে।
– কাইফ sir আমরা যেখানে ছিলাম
সেখানে এসে একটু দাড়িয়ে থেকে
চলে যায়।
– আমি রুপকে জড়িয়ে ধরে আছি। ওর
নিশ্বাসের প্রতিটি শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
কি যে ভাল লাগছে বোঝানো দায়।
– রুপ বলল এত ভাল লাগলে হবে!
ভালবাসতেও তোহ দিতে হবে।
– আমি ওকে ছেড়ে দিয়ে বললাম অসভ্য।
– এই আমারমত ভদ্র ছেলে পাবা হুম?



– আপনি খুব খারাপ। খালি দুষ্টমি
ছাড়া কিছু নেই আপনার মাথায়।
– উমহু….. তোমার কথা ঠিক না
তোমার জন্য আমি একটু বেশিই পিউর।
– ওকে চল তোমায় এগিয়ে দিয়ে আসি।
গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়বা। কোন Facebook
চালাবা না।
– আমি Facebook চালাইনা।
– no মিথ্যা কথা। আমি তোমার password
জানি so মিথ্যা বলে কোন লাভ নেই।
– আপনি আমার id হ্যাক করেছেন।
– বোকা মেয়ে আমার ওসব করতে দরকার
পরে না। আমি তোমার বিষয়ে সব কিছুই
বলতে পারব।
– সব পারবেন?
– হুম সব। চলতো এখন আর বাহিরে থাকতে
হবে না বলে আমার হাত ধরে টেনে
তাবুর কাছে আনল।
– আমি মন খারাপ করে চলে আসতে
লাগলাম। কি বলার জন্য ডাকল আর কি
বলল।
– রুপ ধীরে আমাকে আবার ডাকল। আমি
কিছু না ভেবে দৌড়ে ওর কাছে
গেলাম।
– ও কোন কথা না বলে আমার কপালের
চুল সরিয়ে দীর্ঘ একটা kiss করল।
– আমি আর নিজেকে control করতে
পারলামনা ওর বুকে ঝাপিয়ে পরলাম।
– রুপ আমার ধাক্কায় ২ পা পিছনে চলে
গেল।
– এই এত জোড়ে কিক্ করে কেউ।
– কেউ করে না কিন্তু আপনার জন্য আমি
করি।
– okkk যাও বেশ রাত হয়ে গেছে।
– আমি ছলছল চোখে চলে আসলাম।
– রুপ জানে নাফিসা কাদছে কিন্তু
করার কিছু নেই। খুব বড় কিছু ঘটতে
যাচ্ছে তাই ওকে জলদি পাঠিয়ে দিল।
.
.
.
– কাইফ অচমকায় সোজা রুপ কে ধরে
ছুড়ে মাড়ল।
– অপ্রস্তুত অবস্থায় থাকার কারনে রুপ
একটা গাছের সাথে বাড়ি খেয়ে
ছিটকে পড়ল……
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here