ধর্মের দেয়াল পর্ব:১৬

0
1010

#ধর্মের_দেয়াল
-নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৬
.
– ছেলেটিকে দেখে আমি just চমকে
উঠি। এই আপনি কে হুম!
– একটা মেয়ের কাছে বসে আছেন
আপনার লজ্জা করে না?
.
.
.
– ভাবছিলাম তুমি চিনতে পারবা
কিন্তু কই আর চিনতে পারলা আমায়।
– আজগড়!
– যাক তাহলে চিনতে পেরেছো।
তোমাকে বাকি রাত পাহারা দিতে
আমার ঘুমের বারোটা বাজছে।
.
.
.
– কে তোমায় আমাকে পাহাড়া
দিতে বলছে হুম! আমার কাউকে
লাগবেনা যাও।
– তুমিও ওদের মত স্বাভাবিক মানুষ নও
তাই না!
.
.
– হুম এত দিনে বুঝলা।
– তোমরা যে ভুতেরা আমার সাথে
game খেলে বেশ মজা নিচ্ছ তাইনা!
– কেউ মজা নিচ্ছেনা সবাই তোমায়
protect করতে চাচ্ছে। বাদ দাও সেটা
তোমার বুঝার বয়স এখনও হয়নি।
.
.
.
– দুর হও আমার কাউরে লাগবেনা।
আমার এগুলো আর ভাল লাগছেনা।
– না লাগাটাই স্বাভাবিক। কই যাবা
কিছু ঠিক করছো?
– জাহান্নামে যাব তোমার কি
তাতে। যত্তসব ভুতের দল কোথাকার।
.
.
.
– আমার বাসায় যাবে! আমারও একটা
পরিবার আছে।
– না কোথাও যাবনা। আর কারও মায়া
বাড়াতে চাইনা।
– কেন এর মধ্য রুপ কে ভালবেসে ফেলছ
বুঝি?
.
.
.
– আমি ওর কথা শুনে চুপ করে গেলাম।
কি বলব এর কোন জবাব আমার কাছে
এখন অন্তত নেই।
.
.
.
– ভার্সিটি তে যাবা মনে হয়!
– তুমি কেমনে জানলা আমি ওখানে
যাব!
আমাদের বিশেষ ক্ষমতা আছে
তোমাদের মনের কথা আমরা পড়তে
পারি।
-এই জন্য হয়ত রুপ আমায় বলেছিল আমি
ওকে ভালবাসি কিনা?
.
.
.
– আজগড় আমার ব্যাগ নিল এবং আমি ওর
পিছনে পিছনে চললাম। গন্তব্য
ভার্সিটি দেন কলেজ হোস্টেল।



-দুরে রুপ দাড়িয়ে ওদের দেখল ঠিক
আজগড় যেমন দেখত সেইভাবে। যাওয়ার
অনুমতি নাই কাছে।
.
.
.
– ভার্সিটির গেটে এসে বলল যাও
ভিতরে আমি এখানে দাড়িয়ে আছি।
রাতে আবার আসব। নিজের খেয়াল
রেখ।
.
.
.
– নাফিসা সোজা পিন্সিপালের
রুমে গিয়ে বলল sir আসতে পারি?
– নাফিসা! আস ভিতরে। আমি
তোমারই অপেক্ষায় আছি।
.
.
.
– বুঝলামনা sir আপনি আমার অপেক্ষায়
কেন আছেন?
– রুপ আমাকে ফোন দিয়ে সব বলেছে
দেন রুম রেডি তুমি এখনই তোমার রুমে
যেতে পার।
– আমি আর কিছু বললাম না সোজা
হোস্টেলে গিয়ে কেয়ারটেকার এর
সাথে কথা বললাম।
– উনি আমায় রুম দেখে দিলেন।



– রুমটা খুব বড় না আমার একা থাকার
ব্যবস্থা করে দিছে।
.
– আপাতত সব কিছু ভুলে সাওয়ার
নিলাম।
তারপর বিছানায় সুয়ে পড়লাম।
— আজ ক্লাসে আর যাব না। আপাতত আজ
রুপের মুখুমুখি হচ্ছিনা বলে ঘুমিয়ে
পড়লাম।
.
.
.- রুপ ক্লাসে নাফিসা কে খুজছে
কিন্তু ওতে আসেনি। কি করবে এখন
বিনা কারনে হোস্টেলেও যেতে
পারবেনা।
– রাত আসা অবদি ও কিছুই করতে
পারবেনা।
.
.
.
-সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙ্গল আমার। ইশ্ এত্ত সময়
ধরে ঘুমাইছি আমি।
-যাহ্ আজ আর ঘুমই আসবে না রাতে।
– একটু পরে দরজায় নক পড়ে। আমি খুলে
দিতেই বলল আপনাকে ডাকা হয়েছে
আসুন আমার সাথে।
.
.
.
– আমি ওনাকে অনুসরন করে ২ তলায়
গেলাম।
– আমার রুম ৩ তলায়।
– হল রুমে গিয়ে দেখি অনেকে আছে।
দায়িত্বে থাকা আন্টিটি বলল আপনার
রুমে কতবার নক করা হইছে। আপনি সাড়া
দেননি কেন?
– Sorry আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
– দেখ তোমার আজ প্রথম দিন বলে মাফ
করা হল next দিনগুলোতে যেন না হয়।
– ঠিক আছে।
– হাঠাৎ একটা মেয়ে বলল এই তুমিনা রুপ
sir এর বোনের সাথে থাকতা!
– ওখান থেকে বের করে দিয়েছে বুঝি
বলে হেসে উঠল।
– আর একজন বলেই ফেলল ২ দিনের মেয়ে
এসে পাঙ্খা গজেছিল হুম। পাঙ্খা কই
গেল।
পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার
তরে। এর সাথে একদম কথাটি যায় বলে
হেসে উঠল।
.
.
.
-আমি ওখানে আর দেরি না করে রুমে
চলে আসলাম।
– রুমে এসে দেখি আজগড় বসে আছে।
ওকে দেখে আমি চট করে দরজা
লাগিয়ে দেই।
– এই তুমি! এখানে কেমনে এলে?



– সেটা আমার ব্যাপার আমি কেমনে
আসলাম। কেমন আছো?
– হুম ভাল।
.
.
.
– মন খারাপ তোমার!
– হুম।
– চিন্তা করনা সব ঠিক হয়ে যাবে।
– বললা না রুপ কে ভাল বাস?
– আমি বললাম তোমার শুনে কি হবে
শুনি!
.
.
.
– তোমার মায়ের চিঠিগুলো কি
পড়ছো?
– হুম
– অন্যটা তো পড়তে পাড়বানা ওটা কি
করছ?
– তুমি কি ওটা পড়ে দিবে?
– না ঐ ভাষা আমার জানা নাই।
– আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম
রুপের কাছে চিঠিটি আছে।
– সঠিক ব্যাক্তির কাছে পড়েছে
চিঠিটা।
– নাফিসা তোমার বিচক্ষণতা প্রখর।
– আমি একটা স্মিত হাসি দিয়ে বললাম
থাক আমায় আর পাম্প দিতে হবেনা,
আমি রেল লাইনের চাকা তাই পাম্প
দিয়ে কাজ হবেনা। আমি তোমার
কথায় খুশিতে আপাতত আকাশে উড়ছি
না।
– আজগড় স্মিত হেসে বলল ওকে বিয়ে
করতে চাও?
– সেটাও কখনও সম্ভব না। ধর্মের দেয়াল
সামনে বাধা দিবে।
– হুম তার মানে বুঝলাম তুমি ওকে
ভালবাস।
.
.
.
– এই তোমার সমস্যা কি হুম সেই কখন
থেকে একই কথা ভাঙ্গা রেকর্ড এর মত
বাজিয়ে যাচ্ছো?
.
.
– আজগড় একটি হেসে বলল mam সত্য কথা
বললে মুর্শিদ বেজার হয়।
– দেখো আমি কোন মুর্শিদ টুর্শিদ না।
এখন তুমি যাও আমার ভাল লাগছেনা।
.
.
.
– আজগড় চলে গেল ভ্যানিস হয়ে। এদের
যে এত্ত শক্তি কইত থাইকা আসে
হেইডা আমি বুঝবার পারিনা।
.
.
.
– আমি আমার ব্যাগটি খুলি। ব্যাগ খুলেই
অবাক হয়ে গেলাম।
রুপের ল্যাপটপ কই থেকে আসল! আজব
তো…..
.
.
.
– বাহিরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে এমন সময় একটি
মেয়ে এসে বলল dinner ৯ টার ভিতর
করতে হবে। এটা এখানকার নিয়ম।
আপনি নতুন বলে আজ ডাকলাম। এরপর আর
ডাকবনা কিন্তু।
.
.
.
– আমি বললাম ওকে তুমি যাও আমি
আসছি।
– আমি নিচে গিয়ে খাবার খেয়ে
রুমে আসলাম।
.
.
.
– রুপের ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছি।
কিন্তু password চাচ্ছে।
– আমিতো Password জানিনা। খুলব
কেমনে?
– খাটাস্, খচ্চর, খাবিস্, হুনমান, বান্দর,
আমড়া কাঠের ঢেকি, বদজ্জাত ল্যাপটপ
দিসোছ ব্যাটা কিন্তু password দেস
নাই। এমনি বলি আমি তুই মহা খারাপ।
.
.
.
– চলে আসলাম একটি বার কথাও বলল না।
জিবনে যদি কথা বলছি আমি।
.
.
.
– হঠাৎ খুব ঘুম পাচ্ছিল। কি ব্যাপার
সন্ধ্যা অবদি ঘুমালাম আবার ঘুম আসছে।
– নাফিসা ঘভীর ঘুমে মগ্ন।
– রুমে রুপ প্রবেশ করে।
– কি আর করা নিজের প্রিয় মানুষটার
কাছে আসতেও চুপি চুপি করে আসতে
হয়।
– রুপ এই মেয়ে তোকে পাগল করে
ছাড়বে।
.
.
.
– রুপ ওর পাশে এসে শুয়ে পড়ল। অপলক
ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। এত্ত
জেদ্দি মেয়ে আমি আমার পুরো
লাইফে দেখিনি। অবশ্যই ওর জেদ গুলোই
বেশি ভাল লাগে।
– রুপ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর
ও নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।
– কি নিষ্পাপ মাসুম বাচ্চার মত
ঘুমাচ্ছে কিন্তু যেই জেগে যাবে
ওমনি ঝগড়া। একদম ঝগড়াটে মহিলাদের
মত ঝগড়া করে আমার সাথে। নাফিসা
কেন আমাকে বুঝনা! কবে এই মাসুম
অবস্থায় থেকে যে বের হবা God ই ভাল
যানেন।
– এমন রাত যদি স্থির হয়ে যেত তাহলে
তোমাকে এভাবেই অপলক দেখে
যেতাম বলে ওর কপালে kiss করল রুপ।
.
.
.
– ফজরের আযান দেওয়ার সময় রুপ বাসায়
চলে গেল।
– রুপ রুমে ঢুকেই দেখল ওর mom বসে আছে।
– রুপ কিছুটা হচকিয়ে ওঠে। দরজাতো নক
করা ছিল mom কি ভাবে জানল আমি
রুমে নেই!
– কই ছিলি সারারাত।?
– রুপ কি বলবে ভেবে পায়না। আমতা
আমতা করতে বলে একটু বাহিরে।
– তাই বলে পুরো রাত!
– mom সকালে ভার্সিটি তে যেতে
হবে তাই পরে কথা বলছি। ঘুমাব এখন।
– মিনা কিছু না বলে চলে গেল।
– এই ছেলের মতিগতি ঠিক লাগছেনা।
.
.
.
– সাকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে
নাস্তা করে কাম্পাসে চলে যায়
নাফিসা।
– আজ ওদের ডিপার্টমেন্টে নাকি নতুন
sir আসার কথা।
– কাম্পাসে ঢুকার পর রোজ কে
দেখলাম কিন্তু কথা বললাম না।
– রোজ এসে বলল কেমন আছিস?
– হুম ভাল।
– তুই?
– আমার সাথে কথা বলছিস না কেন?



– দেখ আমি চাইনা আমার জন্য তোদের
পরিবারের কোন ক্ষতি হোক তাই কম
কথা বলার চেষ্টা করছি।
– রুপম কেমন আছে?
– তুই গিয়ে ওকে জিঙ্গাসা করবি ও
কেমন আছে! আমায় কেন বলছিস?
.
.
.
– আমার কিছু ভাল লাগছেনা বলে চলে
আসলাম।
– কি করব ওকে নিজের চোখের জ্বল
দেখাতে চাইনা।



– ক্লাসে বসে আছি। আজ রোজের
সাথে বসি নাই বলে নানান জন
নানান কথা বলছে।
– আমার সে দিকে কোন ভাবনা নাই।
– রিতিমত sir আসল ক্লাসরুমে।
– আমরা সবাই দাড়ালাম।
.
.
.
– খুব handsome ছিল sir টি। দেখলাম
রিতিমত অনেকে crus খেয়ে যাচ্ছে।
এরা পারেও বটে। আগে রুপের পিছে
ছিল এখন নতুন sir এর পিছে।
.
.
.
– রোজের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ও
কেমন জানি ছটফট করছে আর আমাকে
ডাকছে।
– আমি ইশারা করে বললাম সমস্যা কি!
– sir সবাইকে বলল আমি আপনাদের নতুন
teacher.
– আমার নাম কাইফ হামিদ।
– আমি চুপ করে আছি। এমন সময় রোজ বলল
স্যার আমার problem.
Kindly যদি আমার বান্ধবী কে আমার
সাথে যেতে দিতেন আমার খুব ভাল
হত।
– কাইফ স্মিত হেসে বলল অবশ্যই আপনি
তাকে তাকে নিয়ে যেতে পারেন।
– রোজ আমার হাত ধরে টেনে ক্লাস
রুমের বাহিরে নিয়ে আসে।



– এমন করে টেনে আনলি কেন?
– আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে এই sir
এর মধ্য ঘাপলা আছে।
– পিছন থেকে কাইফ বলে উঠল কি
ব্যপার আমাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে
বুঝি!
.
.
.
– আমি আর রোজ ২ জনেই চমকে উঠি আর
পিছন ফিরে দেখি কাইফ sir.
-আমি বললাম কি যে বলেন না sir.
আমরা তো অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা
করছি।



– অহ আচ্ছা ঠিক আছে বলে উনি চলে
গেলেন।
আমি ওখান থেকে রুপের কক্ষে
গেলাম।
– দেখলাম রুপ কাজ করছে।
– আমাকে না দেখেই বলল ভিতরে
আসো…



– আমি ল্যাপটপ টা bag থেকে বের করে
ওর সামনে রাখলাম।
– Sir ভুলে হয়ত আপনার ল্যাপটপ আমার
ব্যাগে আসছিল।
– নিশ্চয় খোলার try করছো কিন্তু
পারনি।
– আমি চুপ করে থাকলাম কিছুক্ষন তার পর
বললাম লক করেই যখন রাখছেন তাহলে
আমার ব্যাগে কেন রাখছেন?




– তুমি যে বোকা সেটা আমি
জানতাম। কিন্তু এত যে মহাবোকা
সেটা জানা ছিল না। শুধু শরীর ভর্তি
রাগ।
-এই আপনি আমার শরীর নিয়ে খবরদার
কথা বলবেন না বলে দিলাম। আমি
আপনার মত না।
– রুপ বলল আমি কাকে যেন ভালবাসি
তার নাম দিয়েই password ছিল।
– আমি চট করে ল্যাপটপ খুলে আমার নাম
লিখে ক্লিক করলাম। সাথে সাথে
খুলে গেল।
– এবার রুপ কাছে এসে বলল যাক তুমি
এটাতো বোঝ আমি তোমাকে কত
ভালবাসি।
.
.
.
–আমি কোন কথা না বাড়িয়ে চলে
আসতে লাগলাম।
– ওমনি রুপ আমার ওড়না টেনে ধরে।
– আমি বললাম ছাড়ুন বলছি লুচু
কোথাকার।
– আমায় ছেড়ে দিন বলছি। college এসেই
লুচুমি করা!
– এবার রুপ আমার সামনে এসে বলল shut
up সব সময় এই ফাজলামি করা ছাড়বা
কবে?
.
.
.
– আমি পিছন ফিরে দেখি ওড়না
চেয়ারে বেধে আছে। এবার মনে
হচ্ছে লজ্জায় মরে যাই। কি লজ্জা কি
লজ্জা।
– রুপ আমার অবস্থা বুঝতে পেরে বলে
লজ্জাবতী! এখন থেকে careful থাকবা
এগুলো বলার আগে।



– উম! আমি হার মানব নাকি হুম। আপনি
চেয়ারে আমার ওড়না বেধে এখন
আমায় লজ্জাকর অবস্থায় ফেলে
দিছেন।
– এই তুমি কি এই রকম বাঁকাই থাকবা!
সোজা কি হবাই না?
– শোনেন আমি সোজাই মানুষ বলে
চলে আসতে লাগলে রুপ বলল ল্যাপটপ টা
নিয়ে যাও।
– ওটা আপনার আমি নিব কেন?
– ওটা তোমার কাছে আমানত রাখলাম।
.
.
.
– আমি নিবনা।
– এই এত্ত তোমার জেদ কেন? আমার
কেলমা তোমাকে কি দেখাইতে হবে
বলেই একদম কাছে এল।
– ব্যাটার মতিগতি একদম ভাল না তাই
বললাম নিচ্ছি নিচ্ছি।
– আমি একটা নিরীহ মেয়ে সব সময়
কেলমা দেখাতে কেন আসেন বলেই
ল্যাপটপ নিয়ে হোস্টেলে ফিরে
আসলাম।
.
.
.
– কাইফ রুপের রুমে এসে নক করে।
– রুপ বলল আসতে পারেন।
– কাইফ সোজা এসে রুপের গলা চিপে
ধরে।
– রুপ ও এক ধাক্কায় কাইফকে সরিয়ে
দেয়।
.
.
.
– কাইফ বলে তোর সাহস কেমনে হয়
নাফিসার গায়ে হাত দেওয়া।
– Hey man! limit you cross । আমি আমার
প্রিয়তমাকে ছুব না তোহ আপনি ছুবেন?
– এরার কাইফ যেন বেশিই রেগে যায়।
২ পাখা মেলে পাখা দিয়ে রুপ কে
আঘাত করতে যায়।
– রুপ চট করে পাখা ধরে ফেলে এবং
বলে মোটেও এই কাজ করবি না।
তুই বুনো ওল হলে আমিও বাঘা তেতুল।
স্মরনে রেখে দে মাথায়।
– রুপ এই নতুন শত্রু সর্ম্পকে কিছুই
জানেনা। কে ও। আর এই কলেজে
teacher হয়ে আসার পিছনে উদ্দেশ্য
কি?
.
.
.
– কাইফ বলল একদম ওর পাশে ঘেষার try
করবি না বলেই রেগে চলে গেল।
– ঘটনাগুলো বেশ কাকতালীয়
লাগছে। এমনি শত্রুর শেষ নেই এই
বান্দা আবার কই থেকে জুটল?
.
.
.
– রুপ গাড়ি ড্রাইভ করছে। অদুরে একটা
ছেলে দাড়িয়ে আছে। কাছে
যেতেই বুঝল এ সেই ছেলে।
– নির্জন রাস্তা বেশ ছক কষেই সামনে
এসেছে…….
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here