ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)পর্বঃ২২ শেষ পর্ব

0
1951

#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ২২ (শেষপর্ব)




– নাফিসা রুপকে জড়িয়ে ধরেই বলল রুপ আমাকে কখনও ছেড়ে যাবা না তো! আগের মত?
– রুপ আর কি বলবে…. আগে ষড়যন্ত্রের শিকার হইছিল। তাই নাফিসাকে আর কারো সাথে মিশতে দেয়নি। বিশেষ করে ওর mom এর সাথে তো একদমই নয়।
– ভুল হয়ে গেছে সোনা…….. আর এমন হবেনা বলেই রুপ নাফিসার উদ্দম শরীর জড়িয়ে ধরল শক্ত করে।



– রুপ! তোমার পিঠে এগুলো কিসের দাগ বলে আমি উঠে পড়লাম।
– আরে কিছু না…… বাদ দাও তো!
– না বল এগুলো কি?
– ধ্যাত এত দিন পর পেলাম তাও…….. বলেই পাশ ফিরে শুইল রুপ।
– আমি ওর দাগ গুলোতে কিস করতেই সব মিলিয়ে গেল। এমনকি ওর যন্ত্রনা গুলোও।
– রুপ বুঝতে পেরে উঠে বসল।
– এতদিন কোথায় ছিলে জানতে ইচ্ছা করছেনা নাফিসা?
– কত দিন?
– ৭ বৎসর…..
– কিহ্….
– হুম রুপমকে দেখেও বুঝতে পারছো না?
– ওটা রুপম ছিল?
– হুম….. দেখ আমি যা করতে বলছি তাই করবা….. বলেই রুপ চোখ বন্ধ করে কিছু পড়তে লাগল। তার পর চোখ খুলে বলল আমার দিকে তাকাও।
– আমি রুপের চোখের দিকে তাকালাম কিন্তু কিছু দেখতে পেলাম না। এভাবে ৩ বার করলাম আমরা কিন্তু কিছু দেখতে পেলাম না।




– রুপ এবার আমার কপালে একটা কিস করে বলল এভাবে খালি শরীর নিয়ে আমার সামনে থাকবা তাহলে আমার দৃষ্টি ভঙ্গ তো হবেই তো। জলদি পোশাক পড় সোনা……..
– আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম পড়া কি খুব দরকার রুপ?
– হুম জলদি…….. বলেই চোখ বন্ধ করল।
– আমি শাড়ীটা কোন মতে গায়ে জড়িয়ে নিতেই ও চোখ খুলল আর আমি ওর দিকে তাকালাম। একটা তীব্র আলো এসে আমার চোখে প্রবেশ করল। আমার অবস্হান আর রুপের অবস্হান সব আমার চোখে এসে ধরা পড়ে গেল। সব থেকে কষ্ট লাগল রুপ প্রতিটা রাতে জায়নামাযে বসে কাঁদত আর ঐ সময় আমিও কাঁদতাম। অদ্ভুদ মিল। তাছাড়া রুপকে আমি অনেক কষ্ট দিছি হয়ত আমার এতে হাত ছিলনা।



– আমি চোখ খুললাম। খুলে দেখলাম রুপ চোখ বন্ধ করে হাঁসছে।
– স্ট্রেঞ্জ…..! হাঁসছো কেন…..?
– রুপ কোন কথা না বলেই উঠে পড়ল……. ও ভাল করেই জানে এখন কি ঘটতে যাচ্ছে।
– হুম তাই হলো নাফিসা এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল আমার ভুল হয়ে গেছে রুপ….. আমিও তোমায় অনেক কষ্ট দিছি…… I Love You…..Jan♥
– I Love you tooo my heart ♥ বলেই রুপ পিছন ফিরে নাফিসার ঠোটে একটা কিস ♥ করল। ২ টি রূদয়ের আবার মিলন…..



– নাফিসা ছাড় এখন…… আমাদের অনেক কাজ আছে….. চল জলদি উঠতে হবে।
– না কোন কাজ নেই বলেই ওভাবেই শুয়ে রইল নাফিসা।
– এবার রুপ ওকে কোলে নিয়ে ওয়াস রুমে গিয়ে বলল তুমি রেডী হও আমি আসছি বলেই ভ্রানিস হয়ে গেল।





– আমি দুপুরের দিকে নিচে নেমে এসে দেখি রোজ বসে ওর বাবুকে আদর করছে।
– কিরে শাঁকচুন্নি তোর বাচ্চা টা তো মাশাআল্লাহ বেশ হয়েছে।
– রোজ আমার দিকে তাকিয়ে বলল তোর সব মনে পড়েছে নাফিসা?
– হুম বলে ওর বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগলাম। ও ভাগ্গিস আজগরের মত হয়েছে তানাহলে তো তোর মত ভুতনী হত তাই না বাবা বলেই বাচ্চাটির গালে কিস করে নাফিসা।
– এই নাফিসাকে রোজ খুব ভালবাসে তাই কথা গুলো ওর গায়ে লাগেনা।
– হুম তুইতো বলবি! আজগড়কে যে বেশি ভালবাসিস আর আমাকে জিরো……
– তুই আবার কবে থেকে ভালবাসা বুঝিস রে রোজ…. আজগড় যে তোকে কি করে সামলায় সেটা ও ভাল বোঝে।
– এমন সময় আজগড় এসে বলে নাফিসা আমার কষ্টটা শুধু বোঝে তাছাড়া কেউ না বলেই রোজের কাছে এসে বসে পড়ল।
– কিহ্ আমি খারাপ?
– না তো তুমি খারাপ হবে কেন? তুমিতো আমার শাঁকচুন্নি প্রিয়তমা বউ রোজ.. .বলেই একটা কপালে কিস করল রোজের।
– এতেই রোজ ঠান্ডা। আমি ওদের কান্ড দেখে হাহা করে হেসে ফেললাম। আহা কি মহব্বত….





– হেই sis তোমার দেখছি সব মনে পরে গেছে। এত্ত গুলো মাস যা প্যারা দিছ যখন তখন সবাই কে বিড়াল, পাখি, বান্দর বানানোর জন্য হুমকি দিতে। লুসি আপু কে তো বানিয়েই দিছিলা।




– এমন সময় নাফিসা বলে ডাক দিল রুপ….. সাথে আজগড়কেও।
– আমি রোজের কোলে ওর বাচ্চাকে রেখে উপরে চলে এলাম।
– আমি, আজগড়, রুপ আর সিড বাবা আমরা রুমে বসে আছি।
– রুপ আজগড়কে বলল সব রেডী করেছো?
– হুম রুপ সব রেডী…….
– ওকে গভীর রাতের জন্য জাষ্ট অপেক্ষা। আরও অনেক আলোচনা করে সবাই চলে গেল। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না এরা কি করতে চাচ্ছে।





– রাত ১০ টার দিকে খাবার খেয়ে এসে দেখি রুপ কাজ করছে……..
– রুপ কাজ করা অবস্থায় বলল কি mam খাওয়া কমপ্লিট?
– হুম কমপ্লিট……… ওটা কি ছিল?
– জাষ্ট তোমার জন্য স্পেশাল খাবার ওটা যেটা পরে কাজে দিবে। এখন সুয়ে পর……. আজ রাতে আমরা রওনা দিব।
– আমি এসে রুপের কোলে মাথা রেখে সুয়ে পড়লাম।
– নাফিসা কাজ করছিতো। এমনি অনেকদিন অনুপস্থিত থাকব তাই সব করছি।
– আমার জিনিস আমার চাই চাই। তুমি সেটা কিভাবে দিবা সেটা তুমিই ভাল জানো বলেই ঘুমিয়ে পড়ল নাফিসা।



– রুপ আর কিছু না বলে একহাত দিয়ে নাফিসার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর একহাতে ল্যাপটপে কাজ করছে। কি আর করা বউ বলে কথা…..



– রাত ১ টার দিকে নাফিসাকে জাগিয়ে দিয়ে রুপ বলল নাফিসা এই ড্রেস গুলো পড়ে নাও।
– আমি ঢুল ঢুল চোখে দেখলাম একটা জিন্স আর ট্রী শার্ট সেগুলো ব্লাক কালার আর চামড়ার ছিল।
– আমি ওয়াসরুম থেকে এসে দেখলাম রুপ ও রেডী হয়ে বসে আছে।
– আমি সব চেঞ্জ করে কেবল চুল বাধতে যাব এমন সময় রুপ বলল ভুলেও ঐ কাজ করবে না….. যা হয়ে যাকনা কেন….. ওগুলো শুধু চুল না একেকটা তোমার শক্তির হাতিয়ার বুঝছো?
– এত্ত লম্বা চুল ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলে গেলেতো আমি আটকা পড়ে যাব গাছের বিভিন্ন ডালের সাথে।



– সেটা তোমায় ভাবতে হবেনা। যাদের শরীর তারা ঠিক করে সামলে নিবে বুঝছো!


– ওকে…….




– রুপ আমার দিকে অনেকক্ষন ধরে তাকিয়ে আছে।
– রুপ ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছো?
– রুপ এসে পাগলের মত অনেকক্ষন কিস♥ করল আমায় তার পর বলল আমায় ভুলে যাবে নাতো?
– রুপ কি বলছো পাগলের মত আমি তোমায় কেন ভুলে যাব?
– আজকের পর তোমার জন্য একটা কঠিন সময় আসবে যেখানে তুমি হয়ত ভুলটাই করবে। কারন একজনও এর থেকে এতদিন অবদি ব্যাতিক্রম হয়নি।



– কি হবে?
– অনেক কিছু…… তুমি নিজ হাতে আমায় হত্যাও করতে পারো….। আমায় যা খুশি কর আমার আফসোস নাই কিন্তু যারা যারা আমাদের সাথে যাবে আজ তাদের কোন ক্ষতি করনা প্লিজ। তাদেরও পরিবার আছে।
– রুপ কি বলছো তুমি আমি কেন তোমাকে মারতে যাব! বলেই ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। তুমি ভুলভাল বকছো রুপ। তুমি কি কখনও আমায় মারতে পারবে?
– কখনো না নাফিসা…..
– তাহলে তুমি এই কথা কেমনে বলছো?




– রুপ কিছু না বলে আমাকে নিয়ে ভ্যানিস হয়ে একটা বিশাল ফাঁকা মাঠে হাজির হল। সেখানে ১৭৫ টা গরু……. ৩০০ টা ছাগল আর ৭০০০ টা বিভিন্ন পশুপাখি।
– এগুলো দিয়ে কি হবে রুপ?
– এগুলো কিছু জ্বীনের আহার…… এর বিনিময়ে তারা আমাদের সাথে কাজ করবে বলে ওয়াদা বদ্ধ। কারন আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখান হাজির হওয়া মাত্র আমাদের শক্তি সুষে নিতে শুরু করবে আর তখন তাদের আমাদের প্রয়োজন।



– আমি আর কিছু না বলে রুপের হাত ধরে দাড়িয়ে দেখতে লাগলাম।
– রুপ একজন শক্তিশালী জ্বীনই না অত্যাধিক মেধাসম্পন্ন জ্বীন। তাই ওর কৌশলের সাথে সব কিছু হেরে যায়।
– এবার মাঠে কিছু বিশাল দেহী জ্বীন এসে হাজির হল। তারা তাদের আহার দেখে অত্যন্ত খুশি হল।
– আপনারা খুশি তো?(রুপ)
– হ্যাঁ আমরা সবাই খুশি মালিক। আমরা আপনার দাস হয়ে গেলাম এর বিনিময়ে বলেই এক নিমিষেই সব কিছু খেয়ে সাবার করে দিল। শুধু অসংখ্য হার পরে রইল। সেগুলোতে মায়া প্রয়োগ করে একটা ছোট্ট আংটিতে পরিনত করে রুপ হাতে পরে নিল।




– রুপের হাতে আরও একটি বড় আংটি দেখলাম। হয়ত কোন কাজে।
– নাফিসা এত দিন যা শিখিয়েছি সব মনের ভিতর বার চর্চা করে নাও…… কোন রকম ভুল করলে সর্ব প্রথম তুমি আগে আমাকেই হারাবা। কারন আমি অন্য কারো জিবন নিয়ে খেলতে পারবনা। এটা আমাদের কাজ তাই এর ফল যেন শুধু আমরাই ভোগ করি। সেটা ভাল কিংবা মন্দ।




– আমি রুপের হাত আরও শক্ত করে ধরলাম।
– আমরা একটি ঘন গভীর জঙ্গলে এসে দাড়ালাম।
– রুপ আমিতো এই জঙ্গল চিনি।
– রুপ আমার দিকে তাকিয়ে বলল নাফিসা চুপ কর….. আমি সব জানি তুমি কোনটা চিন আর কোনটা জানো।
– আমি চুপ করে রুপের পাশেই দাড়িয়ে রইলাম।



– এর পর সেটা পেরিয়ে আবার একটা জঙ্গলে আসলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল জঙ্গলটি।
– নাফিসা এটাই আমাদের গন্তব্যপথ। তাই সাবধান। আমার চেহারায় কেউ তোমার সামনে আসতে পারবেনা কিন্তু তোমার প্রিয় অন্য চেহারায় আসবে… যেমন নেগার…. মারিয়াম….. রোজ আরও অনেকের বুঝছো। তোমার কাজ তুমি চালিয়ে যাবা।




– আমরা জঙ্গলের ভিতর ঢুকতেই আমাদের চোখ জ্বলে উঠল লাইটের মত। রুপ সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করে আমাকে নিয়ে হাটতে লাগল। আমি সব সময় সর্ব প্রথম মনে আল্লাহর নাম আর রুপের সেই কথা যা কিছু ভুল হলে আগে রুপ শেষ হয়ে যাবে। আমি কিছুনা আমার স্বামীকে চাই বার বার কথাগুলো মনে মনে বলছিলাম।




– এমন সময় একটা বিশাল দেহী জ্বীন একটা বজ্রের হাতুরি নিয়ে আমাদের দিকে আসছিল। আমি চিৎকার দিতে যাব এমন সময় রুপ আমাকে জড়িয়ে ধরেই চুপ করতে বলল।
– আমার বুকে ভিতর হৃৎপিন্ড নড়েই চলছে।
– জ্বীনটি ছিল অন্ধ কিন্তু কর্ন আর সেন্স শক্তি প্রখর ছিল যা দ্বারা আমাদের খুজে পেল। রুপকে একটা আঘাত করতেই আমি এক হাতে হাতুরি চিপে ধরি আর সে ছিটকে পরে যায়।
– রুপ বলল এটা কি করলা। ওরা বুঝে গেল আমরা চলে এসেছি।
– ওরা তোমাকে মারবে আর আমি আঙ্গুল চুষবো? তাই বুঝিয়ে দিলাম তোমার গায়ে কেউ হাত দিলে তার আর রক্ষা নাই।
– রুপ একটু হেঁসে বলল এই ভালবাসা থাকবে তো?
– আলবাদ থাকবে।
– রুপ আর কিছু না বলে আমাকে নিয়ে আরও একস্হানে চলে এসে বলল এখন আমাদের আলাদা পথে যেতে হবে। কারন একজন ধরা পড়লে অপর জন সুরক্ষিত থাকবে বুঝলা? আর অন্য জন বুঝতেও পারবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।



– আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেল। ২ জনে ২ দিকে চলতে লাগলাম।আমার পিছন থেকে নেগারে ডাক ভেষে আসল…….. মম আমাকে নিয়ে যাও। আমি স্বশব্দে হেঁসে উঠলাম…. কোন লাভ নেই।
হঠাৎ রুপের আৎনাদ শুনতে পেলাম। রুপ….. ধরা পড়ে গেছে।
– আমি রুপ বলেই সে দিকে প্রান পনে ছুটতে লাগলাম। দুরে তীব্র আলো দেখা যাচ্ছে মানে এটা রুপের সংকেত।
– এবার আমি আমার শক্তি ব্যবহার করলাম। এক নিয়মই সেখানে উপস্থিত।
– সেখানে গিয়ে দেখি কয়েকজন জ্বীন রুপকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে।
– আমার মাথা গরম হয়ে গেল আমি একটা হুংকার ছেড়ে বললাম তোরা আমার রুপকে ধরেছিস?
– ওরা পিছনে ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে অবাক হল আমাকে দেখে। আমিও সাথে সাথে ওদের আবদ্ধ করে ফেলি একদম পাথর বানিয়ে দেই। রুপের বাধন ভ্যানিস হয়ে যেতেই ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরেই বললাম তুমি ঠিক আছতো?
– এত্ত উতালা হলে চলবে? আমিতো আছি…. হারিয়ে যাচ্ছিনা।
– তখন ও আমার মনে একই শব্দ উচ্চারন হচ্ছে আল্লাহ্ আল্লাহ্। আর আল্লাহ্ আমার স্বামী রুপকে চাই। বার বার মনে মনে এই কথা গুলো পড়ছি।




– এবার আমরা একটা স্থানে এসে পড়লাম যেখানে হাজার হাজার আদি জ্বীনেরা উপস্থিত হয়ে মন্ত্র পড়ছে আর মাঝখানে আলিক্স, আলর্বাট আর মুনিকা ক্লান্ত হয়ে নেতিয়ে বসে আছে।
– নাফিসা এবার আমাদের সব থেকে বড় কাজগুলো করতে হবে প্রস্তুত?
– হুম…….
– এবার রুপ আমার কপালে একটা কিস করে আমাকে তাদের সামনে ছুড়ে মারে……. আর আমি শূন্য বসে ভাসতে থাকি।
– আদি জ্বীন গুলো রাগী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো।
– কে যেন কানে কানে এসে বলল নাফিসা ভয় করনা আমি আছি…..
– হ্যাঁ এটা তো রুপ।




– আদি জ্বীনের সর্দার তৈমুর চিৎকার করে বলে ওঠে আয় তোর অপেক্ষায় ছিলাম। আসতে দেরি করলি কেন? তোর শক্তির তেজ কত তা আজ দেখেই ছাড়ব।
– আমি চুপ করে মাথা ঠান্ডা করে বললাম….. আমার আপন জনদের ছেড়ে দাও আমি চলে যাবো। তোমাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই।
– ওরাই তো আমাদের চালের গুটি ওদের ছেড়ে দেই কেমনে বল? তোর সামনেই আজ ওদের বলি দিব।



– আলিক্সের একটা কথা মনে পড়ে গেল কোরআনের আয়াত দ্বারা এদের আঘাত করতে হয়। আমি সাথে সাথে জ্বীন সুরা পড়তে লাগলাম…… কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে শয়ে শয়ে জ্বীন এসে আমার সাথে সুরাটি পড়তে লাগল। তার মানে এদের মধ্য মুসলিম জ্বীনও আছে তারা এদের রক্ষা করবে।




– আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম।
– এবার রুপ বলল চিন্তা করনা আমি ব্যবস্হা করছি ওদের বলেই ওর সেই আংটিটি ছুড়ে মাড়ল আমার দিকে আর সেখান থেকে সিড…. আজগড়…. শুকরা জ্বীন সহ বহু জ্বীন এসে হাজির হল আমার কাছে। এরা সবাই একেকজন একেক ধর্মের। রুপের বুদ্ধি আছে বটে।


“- সিড, আজগড়, শুকরা জ্বীন সহ অনেক জ্বীন দাড়িয়ে আছে নাফিসাকে ঘিরে।

– নাফিসা দেখ এদের সবার পরিবার আছে…… আমানত সবাই তোমার কাছে….. তাই এদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থা তোমাকেই করতে হবে।(রুপ)



– ২ দলের ভিতর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে তুমুল। কিন্তু আমি বের হতে পারছিনা সেখান থেকে।
– এবার রুপও সেই চক্রাকৃতির ভিতর উপস্থিত হল। এবার রুপ যার যতগুলো ধর্মের বই আছে সেগুলো ছুড়ে মারল যাতে কোন একদল সেগুলো ধরতে যাবে আর রাস্তাও পাওয়া যাবে।




– অবশেষে রুপের কৌশল কাজে লাগল। একটা দিক রাস্তা পাওয়া গেল। রুপ আমাকে সেই রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যেতে বলল……. আমি কোন কথা না বলেই বের হলাম। কিন্তু রুপ আর আমার কোন ধারনাই ছিলনা শত্রুপক্ষ সেখানে অবস্হান করছে আমার জন্য।




– আমি বের হতেই আদি জ্বীন সর্দার তৈমুর আমাকে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আঘাত করে আর আমি সইতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পরি। সব শেষ…….


– রুপ নাফিসাকে পড়ে যেতেই দেখেই নাফিসা বলে একটা চিৎকার দেয়………. যা বাতাশে প্রচন্ড শক্তিতে আঘাত করে আর কিছুক্ষনের জন্য প্রচন্ড ঝড় বয়ে যায়।
– চারদিকে যুদ্ধ থেমে যায়। শত্রুরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। সবাই তৈমুরের প্রসংসায় মুখরিত হয় এক নিমিষেই।
– রুপ নাফিসার দেহ নিয়ে মাটিতে বসে আছে……….. এমন সময় মনে হচ্ছে রুপ সহ সবার যারা রুপের সাথে এসেছিল তাদের শক্তি কেউ সুষে নিচ্ছে……… কিন্তু এমন সময় সেই জ্বীন গুলো যাদের খাদ্যর বিনিময়ে ক্রয় করেছিল রুপ…… তারা এসে হাজির হয়ে বাধা দেয়।
– কিন্তু কি হবে বাধা দিয়ে আসল মানুষ টা যে নেই……




– তৈমুর হুকুম দেয় নাফিসার দেহ যেন অগ্নি কুন্ডে ফেলে দেওয়া হয়। তারা এভাবেই নাফিসার সমস্ত শক্তি হরন করতে চায়।



– কয়েকজন এসে নাফিসার শরীর রুপের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েই নাফিসাকে অগ্নিকুণ্ড তে ফেলে দেয়।
– রুপও এক দৌড়ে গিয়ে নাফিসার হাত ধরে কিন্তু বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনা…… কারন আগুন গুলো নাফিসাকে টানছে।
সিড দৌড়ে আসে রুপের কাছে কিন্তু তার আগেই……



– রুপও আগুনে ঝাঁপ দেয়………. এটা দেখে সিড থ মেরে মাটিতে বসে পরে।
– কিন্তু একটু পর রুপ শূন্যতে ভাসতে শুরু করে। সবাইতো অবাক। ও কিভাবে আসল আগুন থেকে।



– হাকিশ্ এসে রুপকে ধরে মাটিতে রাখল।
– রুপ তুমি বোকামোর মত নিজেকে আত্ত্বহুতি কেন দিতে যাচ্ছো। নাফিসাকে আগুনে কিছুই করতে পারবেনা। বরং এরা জানেনা ও আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।



– রুপকে একটা জ্বীন এসে অচমকায় আঘাত করে বলে তুই ওকে তৈরি করেছিস না? এর মাসুল তোকেও দিতে হবে।
– তৈমুর এসে হাকিশ কেও বেধে ফেলে…….. রুপ কোন কথায় বলতে পারছেনা।
– তৈমুর রুপকেও আগুনে নিক্ষেপ করে আর সাথে সাথে নাফিসা রুপকে নিয়ে লাফিয়ে বের হয়ে আসে অগ্নিকুণ্ড থেকে।
– এই তোরা আমার রুপের গায়ে হাত দিস কোন সাহসে!….. দেখ এবার হাত দেওয়ার মজা বলেই যে জ্বীন ওকে আঘাত করেছিল ওর গলা ধরেই এক মোচর?
– রক্ত গল গল করে বের হচ্ছে…. আর সেই রক্ত পরিতৃপ্তি সহকারে খেয়ে বলল বাহ্ তোদের রক্তের স্বাধ তো বেশ বলেই তৈমুরের দিকে তাকালো নাফিসা।
– এবার তৈমুর বেশ ভয় পায়।……. আজ নাফিসা চটে গেছে…. ওর রুপের গায়ে হাত দেওয়াতে! আজ যেন ও একাই একশ। সব জ্বীনদের ধরে ধরে অগ্নিকুন্ডে ফেলে দিচ্ছে, কারও রক্ত খাচ্ছে কখনও বা মুখ থেকে আগুন বের করে সামনে ভষ্ম করে দিচ্ছে।



– নাফিসার এই রুপ আগে কেউ দেখেনি। সব নতুন। রুপও এই চেহারা দেখেনি নাফিসার। চুলগুলো সাপ হয়ে নাফিসাকে শক্তি দিচ্ছে।দেখে মনে হবে শক্তির চার্জ নাফিসা নামক ব্যাটারিতে দিচ্ছে।
– এক পর্যায়ে প্রায় সব শেষ হতেই তৈমুর রুপ কে এসে ধরে ফেলে। নাফিসা থামো বলছি না হয় তোমার প্রানপাখি এখানেই সমাপ্ত।
– নাফিসা তৈমুরের দিকে তাকিয়ে বলল…… মার….. এখনও বসে আছিস কেন…… আরে মার না বলেই মাটিতে একটা শব্দ করে পা দিয়ে বাড়ি দেয়।
– এবার তৈমুর আস্তে আস্তে শক্তি শূন্য হয়ে পড়ে।



– সব শেষ খেলা খতম….. কিন্তু নাফিসার থামার কথা নেই। শেষে রুপ গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে আর নাফিসা আস্তে আস্তে ঠান্ডা হয়ে যায়। নাফিসা চুপ করে থাকে কিছুক্ষন রুপের বুকে।


– আলিক্স আলবার্ট মুনিকা সবাই ছাড়া পায়।
– টিচার একদিন বলেছিলাম আমিই আপনাকে বাঁচাবো কোন একদিন….. মনে আছে?
– আলিক্স কেঁদে বলল হ্যাঁ নাফিসা মনে আছে।
– এমন সময় কিছু অদ্ভুদ শক্তি এসে নাফিসাকে নিয়ে যায়। রুপ এই কথায় বলছিল নাফিসাকে এই সময় ওর ভালবাসার পরীক্ষা…….দিতে হবে।



– কিছু জ্বীন মিলে আমাকে একটা প্রাসাদে নিয়ে আসে….. সামনে বিশাল সিংহাসন। আমাকে সেখানে বসিয়ে দিতেই আমি সব কিছু ভুলে গেলাম।
– মুসলিম জ্বীনেরা খুব খুশি যাহোক তাদের ধর্মের একটা সম্রাজ্ঞী পাওয়া গেল।
– নাফিসা তুমি কি আর কিছু চাও…… কথাটি জ্বীনদের মধ্য একজন বলে উঠল।
– আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকলাম।



– এবার রুপ সহ সেখানে সবাই হাজির হল। কারন নাফিসা বিশ্বের মধ্য সব থেকে ক্ষমতা ধর শক্তি শালী নারী হিসেবে আজ নিজেকে তুলে ধরেছে। তাই এরাই একে সম্রাজ্ঞী বানিয়ে ফেলে।



– রুপ নাফিসাকে দেখে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে হয়ত নাফিসা আর রুপের কাছে ফিরে আসবেনা। এত্ত গুলো জ্বীনদের সামনে মনে হয় রুপ একা হয়ে গেছে। কারন নাফিসা ঐ সিংহাসনে বসার পর কিছুই মনে থাকবেনা….. একটায় মাথায় থাকবে সেটা হল রাজত্ব পুরো জ্বীন জাতির উপর।



– সিড ও আজগড় বলল এখানে থেকে আর কোন লাভ নেই রুপ। ও এখন পরিপূর্ন…… আমাদের প্রয়োজন শেষ ওর বলেই রুপকে নিয়ে চলে আসতেই আলবার্ট ওদের থামায়।
– আলবার্ট ওদের নিয়ে প্রাসাদে চলে আসে। কারন এই প্রথম নাফিসার হাসবেন্ড তাদের রাজ্যতে এসেছে এভাবে তাকে কখনও ছেড়ে দিবে কেন?



– সম্রাট আলর্বাট বেশ রাজকীয় ভাবে তাদের অভ্যর্থনা দিল। আলবার্ট বলল আমাদের করার কিছু নেই। ও ওখানেই থাকবে। আমরা আনন্দিত ওর জিবনের লক্ষ্য পৌছাতে পেরেছে। কিন্তু রুপের কিচ্ছু ভাল লাগছেনা। যেটার ভয় করেছে সেটাই হয়েছে…… নাফিসা ছেড়ে গেছে….. ওর বা কি দোষ ঐ জায়গায় যে কেউ থাকলে একই কাজ করত।



– রুপ সব কিছু রেখে বাংলাদেশে চলে আসে………
– রোজ বলল নাফিসা কই ভাইয়া….. এর জবাব রুপের কাছে নেই।



– এভাবে আরও কিছু দিন যায়। রানী ঐশোর্য তার ভুল বুঝে নেগার কে সাথে নিয়ে যায়। সব ঠিক কিন্তু নাফিসা নামক অস্তিত্ব নেই।


– ৩ মাস হয়ে গেল নাফিসা নেই রুপের কাছে। মিনা, সীড এমনকি বাসার সবাই রুপের দিকে তাকাতে পারেনা…… শেষে ঠিক করে লুসির সাথে রুপের বিয়ে দিবে।


– রুপ একদিন রাতে ল্যাপটপে কাজ করছিল…. এমন সময় সিড সহ সবাই এসে রুপ কে বলল দেখ, নাফিসার ফেরার সম্ভবনা একদম নাই। তোমাকে দেখে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে……… তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিছি যে,লুসির সাথে তোমার আবার বিয়ে দিব….


– রুপ বেশ রেগে যায় এতে….. একজনের কত বার বিয়ের প্রয়োজন হয়…. আমার বিয়ে হয়ে গেছে নাফিসার সাথে তাই এ নিয়ে আর কোন কথা শুনতে চাইনা।


– রুপ তুই সব কিছু জানিস নাফিসা আর কোনদিন ফিরবেনা তবুও কেন জেদ করে বসে আছিস।….(মিনা)


– রুপের কোন জবাব না পেয়ে মিনা আবার বলে উঠল… হয় নাফিসার স্মৃতি আকড়ে ধরে থাকবি না হয় পরিবার ২ টার মধ্য ১ টা বেছে নিতে হবে। কাল সকালে জবাব দিবি বলেই সবাই চলে যায় রুপের রুম থেকে।


– এখানে মিনা আবার চ্যাল চালে যাতে নাফিসা নামক শব্দটা আর রুপের জিবনে না থাকে। এবার ওর আশা পুরুন হতে চলেছে…… কি বজ্জাত মহিলা।



– গভীর রাতে উষ্ণতায় ঘুম ভেঙ্গে যায় রুপের। চোখ খুলে দেখে নাফিসা ওকে জড়িয়ে ধরে সুয়ে আছে।
– রুপ ঐ অবস্থায় লাফ দিয়ে বসে পরে। বুকের ভিতর তীব্র যন্ত্রনা হচ্ছে। সে দিনের আঘাতের পর থেকে এই কষ্টটা হয় ওর। রুপ বুকে হাত দেয়…… অত্যাধিক কষ্ট হচ্ছে রুপের। ও কি স্বপ্ন দেখছে?


– রুপ তোমার কষ্ট হচ্ছে! কোথায় কষ্ট হচ্ছে বল আমায় বলেই নাফিসা ওর বুকে হাত দিল। রুপ সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলল। হয়ত ব্যাথাটা সেরে যাচ্ছে। রুপ আরও কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে বসে থাকে। ওর মনে হচ্ছে চোখ খুললেই স্বপ্নটা ভেঙ্গে যাবে তাই চোখ খুলছেনা।
– এবার নাফিসা ঐ অবস্থায় রুপের ঠোট ২ টা নিজের করে নেয়।
– রুপ পাগলের মত উদ্মাত হয়ে গেল এত দিনের শূন্যতা যেন ওকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। তুমি এত্ত দেরি করলা কেন বলেই রুপ নাফিসাকে ঝিটকে ফেলে সশব্দে একটা চড় বসিয়ে দেয়। রুপ যদিও জানে এতে নাফিসার কোন দোষ ছিলনা তবুও রাগ অভিমানে কাজটি করে ফেলে দেয়।



– রুপ খাট থেকে উঠে বেলকুনিতে যায়। হুম বুঝলাম রুপের খুব কষ্ট হচ্ছে তাই জলদি বেলকুনিতে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
– রুপ যেন আগেই জানত নাফিসা ওর পিছে পিছেই আসবে।
-আমাকে কেমনে মনে পড়ল তোমার?(রুপ)

– জানিনা রুপ…… আমার মনে খালি একটাই শব্দ হত আল্লাহ্ আল্লাহ্……. আমার স্বামীকে চাই… ওকে আমার কাছে ফেরত দিন। এভাবে প্রতিদিন প্রতিরাত হতে লাগল। শেষে আমি কথাটি ওখানে এক বৃদ্ধ আদি জ্বীনকে বললাম। তিনি বলল তোমার অতীত আছে একটা……. তুমি কি সেখানে ফেরত যেতে চাও না এখানে রাজত্ব করতে চাও?
– আমি শুধু বললাম আমাকে এখান থেকে মুক্তি দিন…. আমার মন বলছে কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তিনি বললেন কারো সৌভাগ্য হয়না এই অবস্থায় আসার তুমি পেরেছো….. সেটাকে না দেখে এটা ত্যাগ করতে চাচ্ছো?
– আমার একটাই কথা আমাকে মুক্তি দিন…. আমার এখানে ভাল লাগেনা। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে তাকে একই কথা বলতে থাকি। শেষে তিনি রাজি হন। আমার জায়গায় আলিক্সকে রেখে আমাকে মুক্তি দেয় এবং আলিক্স এখানে আমাকে রেখে যায়। আমার তবুও কিছু মনে পরে না। তোমাকে দেখে যখন তোমার শরীর স্পর্শ করলাম তখন এক যন্ত্রনা ময় আলোক রশ্মি এসে আমায় আঘাত করে। আমি ছিটকে তোমার থেকে আলাদা হয়ে যাই। অনেকবার চেষ্টা করি তার পর সফল হই এবং তোমাকে জড়িয়ে ধরে সুয়ে পরি।

” এবার রুপ আমার দিকে তাকিয়ে বলল নাফিসা বাচ্চা নিবা আমার কাছ থেকে।
– আমি ২ টা হাত অনেক দুর প্রসারিত করে বললাম এত্ত গুলো বাচ্চা চাই আমার।
– আমাকে কোলে নিয়ে রুপ রুমে এসে নামিয়ে দিয়ে বলল আপাপত একটাই দিব…. দেখি যদি তোমার পার্টিসিপেট ভাল হয় তাহলে পরে চিন্তা করে দেখব….
– ওকে বলেই লাইট অফ……….. উষ্ণ ভালবাসায় ভরে দেয় একে অপরকে।


– পরদিন সকালে ডাইনিং টেবিলে মিনা আগে কথা তুলল রুপ কি হল তুই পরিবার না নাফিসা চাস?


– mom sorry আপনার প্লানে জল ঢেলে দেওয়ার জন্য….. আমি বেঁচে থাকতে এমন কাজ করতে দেই কেমনে…. আমারতো রুপ চাই… আমি ছাড়া ওর লাইফে ২য় জন কে কেন আসতে দিব বলুন… আমার পরিবার আমার স্বামী… সবটাই শুধু এই নাফিসার বলেই এক নিমিষেই মিনার কাছে গিয়ে বসল নাফিসা।


– সবাই অবাক এটা কিভাবে সম্ভব…..!
– সবাই হা করে কি দেখছেন…. নাফিসাকে বুঝি আগে দেখেন নি?(আমি)
– রুপ শুধু মুচকি মেরে হেঁসেই চলছে। আমার বরটাও একটা ফাজিল কিছু তো বলবে! না বলে শুধু হাঁসছে।



– রাগ -অভিমান নিয়েই আমাদের জিবন চলতে লাগল।
– ২ বছর পর নাফিসার কোল জুড়ে একটা কন্যা সন্তান আসল। রুপ বাবা আর নাফিসা মায়ের স্বাদ পেল।
– একদিন নাফিসা ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের মেয়ে নেই।
– রুপ ওঠো জান্নাত কে পাচ্ছিনা তো। ( ওদের মেয়ের নাম)
– রুপ উঠে হাত দিয়ে দেয়ালে দেখাল।
– আমি দেখলাম জান্নাত দেয়াল বেয়ে উপরে উঠছে আর নামছে…. এভাবে খেলা করছে।
– জানো নাফিসা আমিতো মনে করি আমাদের জান্নাত তোমার থেকেও ডাকু রানী হবে….. শহরের একটা ছেলেকেও শান্তিতে রাখবে না মনে হয়।(রুপ)
– যেমন বাবা তেমন মেয়ে। তুমি যেমন শহরের সব মেয়েদের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলে নিজের চেহারায় তেমন তাইনা?
– আমার বউ দেখি সব বোঝে বলেই নাফিসাকে একটা কিস করে বুকে জড়িয়ে নিল রুপ……♥♥♥♥



” ধন্যবাদ সকল পাঠককে কষ্ট করে ধর্য্য সহকারে গল্পটি শেষ অবদি পরার জন্য। লাষ্টে কিছু কমেন্ট করেন এই গল্পটি নিয়ে….. খুব ভাল লাগবে লেখিকার।
– সমাপ্ত♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here