#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺অন্তিম পর্ব
❣
সবাই বাসাই চলে আসে, বাসাই এসেই রাসেল দেখতে পায় ছোফায় তার শশুর শাশুড়ি বসে রাসেলের বাবা মায়ের সাথে কথা বলতেছে,
শিখা ওর বাবা মাকে দেখেই দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়,
শিখার আব্বু:- এইভাবে কাঁদিস না মা দেখবে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,
তা মা তুই কেমন আছিস,
শিখা:-হুম আব্বু অনেক ভালো আছি,
তোমার মেয়ের জামাই তো আমার কাছে কোনো কষ্টের ছায়া কে আসতে দেইনা তাহলে বলো ভালো না থেকে উপায় আছে,তোমরা কেমন আছো,
শিখার এই কথাটা রাসেল কে ভাবিয়ে তোলে,
রাসেল:-শিখা তো সত্য কথাগুলো বলে দিলেই পারতো তাহলে মিথ্যের আশ্রয় কেনো নিলো,নাকি আমাকে সত্যি খুব বেশি ভালোবাসে না কিছুই বুঝতে পারতেছিনা,
শিখার আম্মু:-হা মা আমরা ও ভালো আছি,
তা বাবা রাসেল আমাদের ক্ষমা করে দিয়ো সেদিন রাগের মাথায় না জানি কতো কি বলেছি,
রাসেল:-ভালো আছি,আর ক্ষমা চাচ্ছেন কেনো,
আমি আপনাদের সেদিনই ক্ষমা করে দিছি যে দিন আমি বাড়ি থেকে চলে গেছি,আপনেরা আমার গুরুজন,আপনাদের উপর আমার যতই রাগ অভিমান থাকুক না কেনো সেটা ক্ষনিকের জন্য স্থায়ী নই,
আব্বু:-এইভাবে গল্প করলেই কি সবার পেট ভরবে নাকি আসো সবাই নাস্তা করি,
আম্মু:-হুম খাবার কথা তো এদের কারো মনেই নেই,
তারপর যে যে খেতে চাই তারা খেয়ে নিলো কারণ রাসেলরা তো খেয়ে এসেছে একটু আগেই তাই তাদের তো আর খাবার প্রয়োজন পরল না,
রাসেল রুমে গিয়ে বসে আছে,আর ভাবতেছে,
রাসেল:-আমি শিখার সাথে এইসব করতে পারলাম কিভাবে,ওর তো কোনো দোষ ছিলো না,
ওতো আমার কথা ভেবেই এইসব করতে বাধ্য হয়েছে,
এইসব ভাবতাছে ঠিক তখনি শিখা রুমে আসে,
শিখা:-একটা কথা বলবো রাখবে,
তেমন জোর করবোনা কারণ জোর করার কোনো অধিকার আমার তো আর তোমার উপরে নেই,
রাসেল ভাবছে কি এমন কথা যেটা বলার জন্য অনুমতি লাগবে,
রাসেল:-হুম বলো,
কি এমন কথা যা বলার জন্য অনুমতি চাইতাছো,
শিখা:-আরে আজকে আবার এই গন্ডার টার কি হলো, তুমি করে বলছে,এর জন্য তেলাপোকার জুস খাওয়াতেই হবে হাহাহা মনেমনে,
আজকে তো আমার বাবা মা এসেছে তাই যদি আমার সাথে ভালো একটু ব্যবহার মানে তারা যেনো বুঝতে না পারে যে তুমি আমাকে মেনে নাওনি, তাহলে তারা অনেক কষ্ট পাবে,
বলেই শিখা রাসেলের পায়ে পরে যায়,
রাসেল আর সহ্য করতে না পেরে শিখাকে বুকে জড়িয়ে নেয়,শিখাতো রাসেলের এমন কান্ড দেখে হাজার ভোল্টের সক্ড খেয়েছে,
রাসেল:-তোমার স্থান আমার পায়ে না আমার বুকে,তোমার সাথে আমি অনেক অন্যায় করেছি যার কোনো ক্ষমা হয়না,ক্ষমা করে দাও প্লিজ,
রাসেলের চোখে পানি আর শিখার চোখ দিয়ে তো বৃষ্টি পরেই যাচ্ছে এযেনো কষ্টের বৃষ্টি না এক ফোটা কষ্টের মাঝে সুখের বৃষ্টি,
শিখা:-না তুমি যা করেছো সেটা ভুল না,
তোমার জায়গায় আমি হলে হয়তো এর থেকে বেশি করতাম, আর ক্ষমা চাইছো কেনো হুম,
তোমার ঐ বুকের বাম পাশটাই আমাকে একটু জায়গা দিয়ো যেনো সারাজীবন তোমার সেবা করতে পারি,
রাসেল:-আরে পাগলি কাদো কেনো হুম এই বুকটা তোমার জন্যই বুক করা সেই আগে থেকে,
শিখা:-কিহহহহ তাহলে এতো দিন আমাকে কষ্ট দিলে কেনো,
অভিমানভরা কণ্ঠে,
রাসেল:-রাগ অভিমান দিয়ে ভালোবাসা টা ডাকা পরে গেছিলো, কান্না করলে তোমাকে পেত্নির মতো লাগে হাহাহা,
শিখা:-কি আমি পেত্নি তবেরে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা,
বলেই রাসেলের বুকে কিল ঘুসি মারতে থাকে,
তখনই বাইরে থেকে করতালির শব্দ পেয়ে দুজনই দুজন কে ছেড়ে দেয় শিখা তো লজ্জায় শেষ,
জুঁই:-ভাবি আশেপাশের মানুষদেরও একটু দেখো,
বলেই সবাই হাসতে শুরু করে আর শিখাতো লজ্জায় দৌড়ে গিয়ে রাসেলের আম্মুকে জড়িয়ে ধরে,
আম্মু:- হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবেনা,
আমি আবার ধুম ধাম করে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তোধের বিয়ে দিবো,
আব্বু:-হুম রাসেলের মা তুমি ঠিকই বলেছো,
কাজটা কালকে করলেই ভালো হবে,
শিখা লজ্জা পেয়ে দৌড়ে সেখান থেকে রুমে চলে যায়,
আব্বু:-পাগলি মেয়ে লজ্জা পেয়েছে,
এইভাবে সুখে শান্তিতেই পার হয়ে যায় আজকের রাত,
সকালে রাসেলের ঘুম থেকে উঠতে একটু লেইট হয় কারণ আজকে শিখা অন্য রুমে ছিলো,
তাই ডাকেনি,
শিখা:-মহারাজের ঘুম ভাঙলো তাহলে,
রাসেল:-আমার আজকে ঘুম হয়নি,
শিখা:-কেনো গো,
আমার জানা মতে ঘুম কে তো আর কেজি দরে কিনে আনতে হয় না,যে তোমার ঘুম হবেনা,
রাসেল:-হাহাহা তুমি ওনা পারো বটে,
আরে তোমার জন্য মনটা সারারাত ছটফট করেছে,বুকের উপরে খালি খালি লেগেছে,
শিখা:-ওলে আমার বাবুটারে,
অনেক কষ্ট পেয়েছো,দাঁড়াও তোমার জন্য ইদুরের সুপ করে আনি তাহলে মনটা ভালো হবে,
বলেই রাসেলের গালে টপ করে একটা কিস দিয়ে দৌড়ে চলে যায়,এইদিকে রাসেল ভাবে।
রাসেল:-এ এটা কি বলল শিখা কি পাগল হলো নাকি, ইদুরের সুপ কি মানুষ খাই নাকি,
জুঁই:-ভাইয়া কি এতো মনযোগ দিয়ে ভাবিস হুম
রাসেল:-আর বলিস না তোর ভাবি মনে হয় খুসির জন্য পাগল হয়ে গেছে, বলেকিনা আমার জন্য ইদুরের সুপ তেলাপোকার জুস ব্যাঙ ভর্তা আরো কতো কি বলল খাওয়াবে,
আবার নিম পাতার গরম চা,
জুঁই:-হাহাহা ভাইয়া আই নিচে চল,
তারপর রাসেল নিচে যায়,
দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে যায় রাসেল রুমে বসে আছে তখন শিখা একটা প্যাকেট নিয়ে আসে,
শিখা:-জানু তাড়াতাড়ি এটা পরে রেডি হও জজ আম্মুর অর্ডার,
রাসেল:-পরবো তো তবে তার আগে আমার কিছু পাওনা আছে সেইগুলা পূরণ করো,
বলেই রাসেল শিখার দিকে এগোচ্ছে আর শিখা পিছনের দিকে যাচ্ছে,
শিখা:-এই না না একদম দুষ্টুমি করবেনা এখন বলে দিলাম,
রাসেল:-না না সেটা তো হবে না আমার তো তোমার সাথে দুষ্টুমি করতেই ভালো লাগে,
আরো কাছে যাচ্ছে,
শিখা দেওয়ালের সাথে আটকে যায় আর পিছনে যেতে পারে না, রাসেল শিখার দুটি হাত আটকে ধরে নাকের কাছে নাক আনে,এখন স্পষ্ট দুজনের নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পারতাছে,শিখা চোখ বন্ধ করে আছে নিশ্বাস ও ভারি হয়েছে,
এ যেনো উত্তেজনাপূর্ণ এক চরম রোমান্সকর মূহুর্ত,যেই না রাসেলের শিখার ঠোঁট নিজের দখলে নিতে যাবে তখনি,
শিখা:-আম্মু কখন আসলে,
রাসেল কথাটা শুনেই তারাতারি করে ছেড়ে দেয় আর শিখা দৌড়ে দরজার কাছে গিয়ে,
শিখা:-কেমন দিলাম হাহাহা
রাসেল:-ফাজিল মাইয়া তোমার তো হচ্ছে আগে কাছে পাই তখন শুধে আসলে সব উসুল করে নিবো,আমাকে বোকা বানানো তাইনা,
রাসেল রেডি হয়ে নেই, ঐদিকে শিখাকে পার্লার থেকে কিছু মেয়ে এসে বিয়ের সাজে সাজিয়ে দিয়ে যায়,
আজ শিখাকে অরুপ সুন্দর লাগছে এমনি তেই পরী তার উপরে বিয়ের সাজ,এমনিতেই বিয়ের সাজে নাকি মেয়েদের একটু বেশি কিউট লাগে,
আম্মু:-আরে বাহ আমার মামুনি টাকে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে,
কারো নজর না লাগে,
পাশে থেকে জুঁই বলে ওঠে
জুঁই:-এ্যা এ্যা😭😭 আমরা যে একটু সেজেসি সেইদিকে কারো খেয়াল নেই, শুধু ভাবি কেই দেখছে সবাই,
আম্মু:-আরে মামুনি তোকে অনেক সুন্দর লাগছে একদম পরী যেছা,
এইদিকে রাসেল নীল রাফি আদনান সাহেব বসে আছে,
আদনান:-আচ্ছা রাসেল আমি তোমাদের স্যার কে অনেক খুজেঁছি কিন্তু কোথাও পাইনি,
কোথায় গেলো সে,
রাসেল কথাটা শুনে হাসতে থাকে,
রাসেল:-হাহাহা হাহাহা
নীল:-এখানে হাসার কি হলো,
রাসেল:-স্যারের সাথে সব হিসাব শেষ করেছি,
কেল্লা ফতে, স্যার এখন আকাশে বসে বসে পরিকল্পনা করতেছে কার সাথে কি করা যায়,
আদনান:-কিহ কখন করলে এটা,
অবাক হয়ে,
তারপর রাসেল সব খুলে বলে,
রাসেল:-এখন বুঝতে পারলেন তো নাকি কোনো ভেজাল আছে,
রাফি:-ভাইয়া আমাদের তো সব খুলে বললে কিন্তু আপনার পাঠক দের বললেন না তাই তারা রাগ করেছে তাদের এ একটু বলেন,
রাসেল:-ওহ আমার তো মনেই নেই,
তাহলে আপনেরা শোনেন,আমি খোঁজ নিয়ে অনেক কষ্টের পরে জানতে পারি স্যার এখন পরিত্যক্ত একটা বাড়িতে থাকে যেখানে সবাই যায় না আর জাবেই বা কিভাবে এটাতো জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত,আমি সেখানে গিয়ে দেখি কোনো সিকিউরিটি নেই শুধু স্যার একায় বসে কি যেন ভাবতাছে, স্যার আমাকে দেখেই চমকে ওঠে,
স্যার:-আরে রাসেল যে,
রাসেল:-হুম স্যার আপনার সাথে একটু হিসাব করতে আসলাম সেইদিন যা শিখাদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে করিয়েছিলেন,
স্যার:-দেখো তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুটা ছিলোনা শিখা আর নীলার বাবার সাথে শত্রুটাছিলো, তাই ওদের ডাল হিসেবে ব্যবহার করেছি, সরি বাবা,
রাসেল:-সরি বললেই কি সব ঠিক হয়ে যায় নাকি,
কথা গুলো বলছে আর রাসেল স্যার কে চেয়ারের সাথে বেধে ফেলছে,
স্যার:-একি আমাকে বাধছো কেন আর পেট্রোল কেনো দিচ্ছো আমাকে মাফ করে দাও,
রাসেল:-আমি মাফ করার কে যান আল্লাহর কাছে মাফ চান,সেখানে তো যাওয়ার জন্য ভিসা এতো তারাতারি পাওয়া যায় না কিন্তু আমি ব্যবস্থা করেদিলাম, হ্যাপি জার্নি বাই বাই,
বলেই রাসেল আগুন লাগিয়ে চলে আসে,
স্যার চিৎকার করেই যাচ্ছে কিন্তু মুখে টেপ থাকার কারণে কেউ শব্দ শুনতেও পারবে না,
নীল:-ভাই তুই একটা মাল মাইরি,
কেউ বোঝার আগেই সব শেষ করে দিলি,
রাসেল:-হাহাহা তোরাও না,
এইভাবে অনেক বার্তার মধ্যে দিয়েই বিয়ের সকল কার্য শেষ হয়ে যায়,
এখন শিখা বাসর ঘরে ইয়া বড় একটা ঘোমটা দিয়ে রাসেলের জন্য বসে আছে কিন্তু রেসেলের আসার কোনো নাম গন্ধই নেই,
শিখা:-আজকে আসুক ওর একদিন কি আমার যতো দিন লাগে,এতো বছর পরে কাছে পাবো আর নবাবের সেই দিকে কোনো খেয়ালি নেই,রাগে ফুলতেছে,তখনি রাসেল চুপটি করে রুমে ডোকে,
ডুকেই রাসেল অবাক হয়ে যায় মানে শক্ড খাই,
কারণ শিখা গোমটা ফেলে কোমরে আঁচল গুজে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে,
শিখা:-এই ভের হ,
আমার রুমে তোর কোনো জায়গা পেই যা বের হ,
বলছে আর রাসেল কে ধাক্কা দিচ্ছে বাইরে যেতে
রাসেল:-এইরে পাগলি খেপেছে এখন কি করি,
আমার লক্ষি বউ এমন করিওনা,
শিখা:-এতো সময় বাইরে কি করলি,
রাসেল:-আর বলিও না বন্ধু বান্ধবরা আসতেই দিচ্ছিলো না,
শিখা:-যানা তাদের কাছে তোর আমার কাছে আসতে হবে না,
যা বের আমার রুম থেকে,
রাসেল:-এই লক্ষিটি রাগ করেছো বুজি,
এই দেখো আমি কানে ধরেছি আর এমন হবে না,
শিখা:-তুমি আমার মনের অবস্থা একটুও বোঝনা,
যদি বুঝতে তাহলে আর এইভাবে দূরে থাকতে পারতে না
রাসেল:-এইভাবে বলিওনা গো,
তুমিতো আমার সব তুমি ছাড়া কে আছে আমার,
বলেই রাসেল শিখার ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নেই প্রায় পাঁচ মিনিট পরে ছেড়ে দেয়,
শিখা হাপাচ্ছে,
শিখা:-আর একটু হলেই দম বন্ধ হয়ে আমি আল্লাহর কাছে পৌঁছে যেতাম,
মেরে ফেলতে চাও নাকি হুম,
শিখা কে আর কিছুই বলতে দেইনা রাসেল,
কারণ রাসেল শিখার মুখ বন্ধ করেছে তার ঠোঁট দিয়ে,শিখাও রেসপন্স করতেছে,
এইভাবে আবার ও মিলিত হয় দুটি দেহো তারা দুজন হারিয়ে যায় ভালোবাসার অতল সমুদ্রের গভীরে,,,,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🎤🎤❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
এইগল্পটা এখানেই রেখেদিলাম,
আপনেরা কি দেখেন হুম সিনামা তো শেষ,
ওদের একটু একা থাকতে দিন সমুদ্র থেকে মুক্তা খুজতে হবে হাহাহা,
জানিনা এই গল্পের মাধ্যমে আপনাদের কতটুকু বুঝাতে পেরেছি, তবে এইগল্পের মতো কাহিনী কিন্তু আমাদের জীবনে হামেসাই ঘটে,তাই আমার অনুরোধ যায় করেন না কেনো আগে সত্য জানবেন পরে যা করার সেটা করবেন,
ফের দেখা হবে কথা হবে নতুন গল্পে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
সমাপ্ত