#ধূসর_ভালোবাসা
৭ম পর্ব
বাবার অবস্থা ভালো না, বাবাকে হসপিটালে নিতে হলো। মা খুব ভেঙ্গে পড়েছেন। লিয়াকত চাচা সালাম চাচা আর রফিক বাবাকে হসপিটালে নিলেন। রাতে বাবা হসপিটালে ভর্তি থাকলেন। লিয়াকত চাচা আর রফিক হসপিটালে বাবাকে পাহারা দিয়েছে।
বেলা বারোটার দিকে বাবাকে নিয়ে সবাই বাসায় ফিরলেন। বাবার টাইফয়েড হয়েছে। রোজ ইনজেকশন চলবে। সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে বাবার। তাই বাবাকে বাসায় নিয়ে এসেছে লিয়াকত চাচা।
আমাদের এই পাড়ার সবাই খুব ভালো মানুষ, একে বারে নিবেদিত প্রান। বাবার হসপিটালের সব ঝামেলা পাড়ার মানুষই করেছেন, কারন এখানে আমাদের আপন কেউ নাই। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশির কারনে আমরা বুঝতেই পারিনি যে আমরা এখানে একা থাকি।
বাবার সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন লাগলো, আমিও ততদিন কলেজে যাইনি।
এবার নতুন আরেক সমস্যায় পড়লাম। যেহেতু বাবা অসুস্থ থাকার সময় রফিক হসপিটালে ছিল, আবার বাসাতেও খোঁজ খবর রাখতো, তাই বাবা মায়ের কাছে খুব প্রিয় হয়ে গেলো। এখন রফিকের আমাদের বাসায় হরহামেশাই আনা গোনা
আর সুযোগ পেলেই আমাকে নিয়াজের সম্পর্কে কিছু বলার চেষ্টা করছে। সেটা যে অবশ্যই নিয়াজ সম্পর্কে তা আমি খুব বুঝতে পারছি। আর সে কারনেই রফিককে দেখলে আমি এমন মুখ করে থাকছি, সে আমাকে কিছু বলতে যেয়েও আবার চুপ করে চলে যাচ্ছে।
বাবার অসুস্থতার কথা শুনে ভাইয়া চলে এসেছে তবে ভাইয়া বেশি দিন থাকতে পারবে না, সামনে ভাইয়ার ফাইনাল প্রফ, তাই কয়েকদিন থেকেই ভাইয়া চলে গেলো।
বাবা এখন একটু সুস্থ। অফিসে গেছেন আমিও আজ কলেজে যাবো। ভাবতেই বিরক্ত লাগছে, আবারও নিয়াজ আমার সামনে আসবে, আবারও সেই “ভালোবাসা ভালোবাসা” এগুলো বলবে।
আমার এ ধরনের কথা গুলো মোটেও পছন্দ নয়, কেন সে বোঝে না ।কত ছেলেই প্রপোজ করে, কিন্তু বুঝায় বললে কিংবা ‘না’ বললে। সরে যায়। এ কেমন ছেলে ,বিরক্ত কর। রংপুরেও এসে বিরক্ত করছে।
কলেজে পৌছে, বেশ কয়েকটা ক্লাস করে, কলেজের মাঠে গিয়ে বসলাম। কয়দিন আসিনি ।অনেক ক্লাস হয়ে গেছে, পড়া গুলো নেয়া খুব জরুরি।
সেলি আমার পাশে বসে বলল,
– নিয়াজ এর সাথে সকালে কথা হলো ,বেশ দেখতে। খুব হ্যান্ডসাম। আমার খুব পছন্দ। এমন একটা ছেলে যদি আমাকে ভালো বাসতো, আমি ধন্য হয়ে যেতাম। তুই কেন ছেলেটাকে ফেরাস?
– কারন, তোর যেমন তাকে খুব পছন্দ আমার তেমনি অপছন্দ।
– তাহলে, আমি ছেলেটাকে প্রোপোজ করবো?
– কর, তোকে কে মানা করেছে?
বাসায় ফিরে কেন যেন অস্বস্তি লাগছিলো। সন্ধ্যায় যখন পড়তে বসলাম, শেলির কথা খুব মনে পড়ছিল। যদি সত্যিই প্রপোজ করে?
নিয়াজ দেখতে সত্যিই সুন্দর, খুব সুন্দর। সব সময় পরিপাটি পোশাক পরে। একটা ছেলেকে স্মার্ট দেখাতে যা যা লাগে, সব গুন গুলোই তার আছে।
হাতে সব সময় ব্রান্ডের ঘড়ি পরে, যেমন – রিকো। আবার এর থেকেও আরো ভালো ব্র্যান্ডের ঘড়ি আমি তার হাতে দেখেছি। চোখে সানগ্লাস, ব্র্যান্ডের জুতো।
আসলে আমি এগুলো ব্র্যান্ড বুঝতে পারি কারন ভাইয়াও ব্র্যান্ডের জিনিস খুব পছন্দ করে।
নিয়াজ আমাকে পছন্দ করে, সেটা আমার যে একেবারেই অপছন্দ তা নয়, আসলে প্রেম বিষয়টা আমার পছন্দ না। আমার খেয়ালে পড়াশোনা আর প্রতিষ্ঠিত হওয়া। এ বিষয় গুলো বেশি ঘুরে।
নিয়াজের স্মার্টনেস আমাকেও কাঁড়ে। দিনাজপুরে খুব বিরক্ত লাগতো, এটা সত্য। কিন্তু রংপুরে যেদিন প্রথম নিয়াজকে দেখলাম। কেন যেন, আমার মনটা ভালো হয়ে গেলো। মনে হচ্ছিল যে, আমি বহুদিন থেকে নিজের অজান্তে এই মুখটাই দেখতে চাচ্ছিলাম।
শেলি যখন বলল, যে সে নিয়াজকে পছন্দ করে। আমার কেন যেন খুব রাগ হচ্ছিল। কিছু সময়ের জন্য শেলির কথা শুনতে মন চাচ্ছিল না। এমনটা হবার কারন কি?
নিয়াজ যেমন দেখতে তাতে যে কোন মেয়ে, এক নজরে প্রেমে পড়ে যাবে। আমার খেয়ালেও সে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু আমি এমনটা চাচ্ছিনা মোটেও।
বাবাকে দেখতে রফিক এসেছে। বাবা রফিককে দেখে বলল,
– কি ব্যাপার রফিক, কাল থেকে আসেনি যে?
– ভাই, (বাবাকে রফিক ভাই বলে) আমার বন্ধু আসছে দিনাজপুর থেকে, তার মন খুব খারাপ। তাই আমি আমার বন্ধুর সাথেই ছিলাম। আজ বিকেলে সে দিনাজপুর চলে গেছে। তাই আপনাকে দেখতে আসলাম।
আমি চায়ের ট্রেটা রেখে আসলাম রফিকের সামনে। বাবার আর রফিকের জন্য চা দিয়ে, আবার পড়তে বসলাম। পড়ায় মন বসছে না। রফিকের কথা শুনে মনে হচ্ছে নিয়াজের কথা বলছে। তাহলে নিয়াজ দিনাজপুরে চলে গেছে।
দূর আকাশে অনেক মেঘ। অজানা কারনে আমার মনেও মেঘের অভাব নেই। নিয়াজ চলে গেছে শুনে, আমার কেন মন খারাপ হলো?
পরের দিন কলেজে যাওয়ার সময় রাস্তায় এদিক ওদিক ভালো তরে দেখলাম, নাহ কোথাও নিয়াজকে দেখতে পেলাম না। ক্লাসে আজ মন বসছে না। কলেজের বড় ম্যাডাম অফিস রুমে ডেকে পাঠালেন আমাকে, বললেন,
– আফিফা, তুমি আমাদের কলেজের মুখ উজ্জ্বল করবে। এটা আমাদের আশা। টিচাররা সবাই তোমার উপর ভরসা করে আছে যে, তুমি বোর্ড স্টান্ট করবে। আমার চাওয়া যে তুমি আমাদের মনের আশা পূরন করবে। সে ভাবেই পড়াশোনা শুরু করো। সেকেন্ড ইয়ার সময়টা অনেক কম। তুমি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করো। আমাদের দোয়া তোমার সাথে আছে। আর কলেজে রেগুলার ক্লাস করবে।
ম্যাডামের কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম যে, আমার খেয়াল অন্যদিকে চলে যাচ্ছিল। নিজে নিজে ব্রত করলাম যে এখন থেকে পড়া পড়া আর পড়া এর বাহিরে কোন চিন্তা নেই আমার। বাসায় ফিরে পুরোদমে পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করলাম।
একদিন বিকেলে বাড়ির সামনের মাঠে বসে আছি। আমার সাথে সেফালি আন্টি বসে আছেন। সেফালি আন্টিদের বাসা, আমাদের বাসা থেকে দুইটা বাসা পর। সেফালি আন্টি আর রফিক চাচার খুব ভাব। আসলে লোক চেখের আড়ালে তারা একে অপরকে ভালোবাসে। এবং তারা দুজনেই একই কলেজে, একই সাথে পড়ে।
আমি আর সেফালি আন্টি বসে আছি মাঠে, ইরা পাড়ার ছেলেমেয়েদের সাথে খেলছে। আমার পাসে রফিক চাচা এসে বসলেন। তারপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করলেন।
এক পর্যায়ে রফিক চাচা নিয়াজের কথা তুললেন। আর বললেন,
– আফিফা তুমি আমাকে চাচা ডাকো,তোমার কোন ক্ষতি আমি চাই না। তাই তোমাকে একটা কথা বলল,সেটা হলো, নিয়াজ তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসে। নিয়াজকে অনেক মেয়ে ভালোবাসে কিন্তু নিয়াজ শুধু তোমাকে ভালোবাসে। নিয়াজদের পরিবার অনেক ভালো। নিশাজের বাবা নাম করা ব্যবসিক। বেশ কিছু দিন থেকে নিয়াজের বাবা অসুস্থ। তাই বর্তমানে পড়ার পাশাপাশি নিয়াজ একাই ওদের এতো বড় ব্যবসা দেখা শোনা করছে। এতো ব্যস্ততার মাঝেও সে তোমার জন্য দিনাজপুর থেকে রংপুর আসে। এটা সত্য, যে তুমি অনেক সুন্দর। তাই বলে এতো অহংকার তোমার। এখনই কোন অসুখ হলে কিংবা এক্সিডেন্ট হলে, তখন সব অহংকার শেষ হয়ে যাবে। দুদিনের দুনিয়া, কেন মানুষকে কষ্ট দিচ্ছ।
সেফালি আন্টি বললেন,
– আসলেই আফিফা, তুমি এতো ভালোবাসা পেয়েও দূরে সরিয়ে দিচ্ছ। এটা ঠিক না। ছেলেটা এতোদিন থেকে তোমার অপমান সহ্য করছে, এর অর্থ সে সত্যি তোমাকে খুব ভালোবাসে।
আমি কোন উত্তর খুঁজে পাইনি, বাসায় এসে অনেক ভেবেছি। আমার রুমের সাথে যে বেলকুনিটা, সেখানে বসে ঐ আকাশের সাথে বহু কথা বললাম। আমি আসলেই বুঝি নিয়াজকে বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
শুধু রফিক চাচা বা শেফালি আন্টি নয়, অনেকেই বলে যে, আমি নিয়াজকে বেশি কষ্ট দিচ্ছি। আমি নাকি ভুল করছি, নিয়াজকে কষ্ট দিয়ে।
এভাবে প্রায় তিন মাস পার হলো। এর মাঝে নিয়াজ আর আমার সামনে আসেনি। একদিন শীতের সকালে ল, কলেজে যাচ্ছি, হঠাৎ দেখি যে শেলী আর নিয়াজ রাস্তায় কথা বলছে। আমার যে কি হলো জানি না, ওমনি রিক্সা থামিয়ে ওদের সামনে দাঁড়ালাম।
আমি বললাম,
– নিয়াজ আপনি এখানে ?
নিয়াজ বলল,
– অনেকদিন পর রংপুরে এসেছি, তোমাকে দেখবো তাই। তোমাকে না দেখে থাকার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছিল তাই চলে আসলাম।
আমি বললাম,
– ও, শেলীর সাথে কি কথা বলছিলেন?
শেলী বলল,
– নিয়াজ ভাই তোর খোঁজ খবর নিচ্ছিল।
আমি আর কিছু না বলে রিক্সা নিয়ে কলেজে চলে আসলাম। আমি ভাবতে লাগলাম যে, শেলীর সাথে নিয়াজকে দেখে আমার এতো রাগ হলো কেন? আর তখন কেমন যে রাগ করছিল, বলে বোঝানো যাবে না।
আসলে আমার মনে হচ্ছিল যে, শেলী বুঝি নিয়াজকে প্রোপোজ করছে, এমন কিছু।
কিন্তু শেলী, নিয়াজকে প্রোপোজ করলেই বা কি? কেন আমার চোখ, কলেজে আসার সময় কাউকে খোঁজে। কেন মনে হয় সে যেন রাস্তায় থাকে। আজ বহুদিন পর নিয়াজেকে দেখে খুব ভালো লাগছিল। বরাবরের মতই খুব পরিপাটি হয়ে এসেছে নিয়াজ।
ক্লাস শেষে যখন বাসায় যাবার জন্য রওনা দিবো, কেন যেন আজ বার বার মনে মনে বলছিলাম, নিয়াজ যেনো দাঁড়িয়ে থাকে। আমার মন কেন যেন আজ আমার ধরা ছোয়ার বাহিরে।
কলেজের গেটের সামনে যখন নিয়াজকে দেখলাম, খুব খুশি হয়েছিলাম। মনটা ভালো হয়ে গেলো, নিজের অজান্তেই নিয়াজের দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়েছি, পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিলাম। আমি সামনে যেয়ে রিক্সা ডাকলাম, রিক্সা ডাকতেই নিয়াজ আমার সামনে এসে বলল,
– একটু সময় কি আমাকে দেয়া যায় ?
– কেন ?
– একটু সময় নেব তোমার কাছে ,কিছু কথা বলেই চলে যাবো। আর তুমি যদি চাও যে, আমি তোমার সামনে আসবো না। তাহলে আমি তাতেই রাজি, আর কখনো তোমার সামনে আসবো না।
আমি রিক্সা ছেড়ে দিয়ে, তার দিকে তাকিয়ে বললাম,
– বলেন, কি বলবেন?
– চলো সামনে হাটতে হাটতে কথা বলি।
– ঠিক আছে।
হেটে গেলাম কিছুটা সামনে নিয়াজের সাথে। শেলী আমার সাথেই আছে। রফিক চাচা পাশের দোকানে ছিল, খেয়াল করিনি। সে এসে আমাদের সাথে হাটতে শুরু করলেন। রাস্তার কিছুদূর এগিয়ে গেলে ,নিয়াজ বলল,
– শেলী, আমি আফিফার সাথে একটু কথা বলবো।
শেলী সামনে এগিয়ে রফিক চাচার সাথে কথা বলল।
এরপর নিয়াজ আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
– আফিফা, আমাকে ক্ষমা কোরো। কারন বহুদিন থেকে আমি তোমাকে অনেক বিরক্ত করেছি। তোমার সাথে পরিচয়টা হয়েছিল, তোমার ক্ষতি করার উদ্দ্যেশেই। কিন্তু তোমাকে দেখার সাথে সাথে তোমাকে আমার খুব পছন্দ হয়ে যায়। এর পর তোমাকে সত্যি ভালোবেসে ফেলি।
তোমাকে ভালোবাসার কথা জানাতেই তুমি যখন প্রত্যাখান করো, আমার সে সময় খুব জেদ হয়। আর তাই জোর করেই আমি তোমার সম্পর্ক করার চেষ্টা করি।
তোমাকে অনেক বিরক্ত করেছি। কিন্তু এখন আমি তোমার জীবন থেকে চিরদিনের মতো চলে যেতে চাই। আমি আর আসবো না তোমাকে বিরক্ত করতে। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও।
– তাহলে রোজ কলেজে আসার সময় আমি কাকে দেখে খুশি হবো?
– মানে কি?
– কেন আমি কি অন্য ভাষায় কথা বলছি?
– না না, তা বলছি না। আসলে আমি তোমার জন্য রাস্তায় দাঁড়াই, তুমি খুশি হও?
– খুশি হই কিনা জানিনা ,তবে ভালো লাগে।
– তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি, আফিফা। পৃথিবীর সকল কিছুর মাঝে তুমি আমার কাছে অমূল্য। বাবা খুব অসুস্থ। সব দায়িত্ব এখন আমার। তাই আসতে পারিনি। তবে, আমি আসলে তোমার ভালো লাগে, এটা জানার পর শত ব্যস্ততার মাঝেও আমি আসবো। আজ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। তোমার ভালোলাগা আমার জীবনের অনেক চাওয়ার, অমূল্য পাওয়া।
নিয়াজের আনন্দ যেন ধরে না। পাগলের মতো কতো কথা বলেই যাচ্ছে। তার ভালো লাগা প্রকাশ করার জন্য যেন শব্দ খুঁজে পাচ্ছে না।
আমি আবার বললাম,
– দেখেন নিয়াজ ,জীবনের এই পর্যায়ে আমি, নিজের কাছে হেরে গেছি। যে আমি প্রেম ভালোবাসার বিরোধী সে আমি কেন যেন আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করেছি। কিন্তু তাই বলে আমার পড়াশোনার মাঝে কিন্তু আপনি আসবেন না। সামনে আমার পরীক্ষা, এখন আমি শুধু পড়তে চাই। আর তাই আপনি রংপুরে এখন কম আসেন, তাতেই আমার ভালো।
– আফিফা, তুমি আবার আমার সাথে চালাকি করছো? তুমি কি আবার আমাকে বোকা বানাচ্ছ?
– না না, সামনে সত্যি আমার এইচ এস সি পরীক্ষা।
আর আমাকে ভালো রেজাল্ট করতেই হবে এবার আমি কোথাও পালাবো না। কথা দিচ্ছি।
#সিরাজুম_মনিরা