ধূসর রঙে আকাশ পর্ব- ২৯

0
816

#ধূসর_রঙে_আকাশ
#পর্ব_২৯
লিখা: Sidratul Muntaz

আমীর আর রিম্মি কিংস পার্কের একটা নিরিবিলি জায়গায় বসে আছে। আমীর হাত ভাজ করে রাশভারী কণ্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
” তোমার সমস্যা কি রিম্মি? আমার থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখছো কেন? ফোন ধরে কথা বলছো না, দেখাও করতে চাইছো না, কি হচ্ছে এসব?”
রিম্মি দ্বিধাগ্রস্ত গলায় বললো,” আমার ভয় লাগে।”
” কিসের ভয়?”
” জানিনা। আপনি সাহিলের সাথে এমন কেন করলেন?”
কথাটা বলতে গিয়ে রিম্মি মুখে হাত দিয়ে কেঁদে ফেললো। আমীর ভীষণ বিরক্ত হলো। কপাল কুচকে বললো,
” মানে? হোয়াট ডু ইউ মিন? ও তোমার সাথে যা করেছে সেজন্য এটুকু শাস্তিও অনেক কম। তুমি বোকার মতো ওর জন্য কষ্ট পাচ্ছো? আমি আরও ভেবেছিলাম তুমি খুশি হবে। আজব!”
রিম্মি কাদতে কাদতে উচ্চশব্দে বললো,” জানেন ওই দৃশ্য চিন্তা করে আমি কতবার বমি করেছি? রাতে ঘুমাতে পারিনা। দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়। আমি চেচিয়ে উঠি। ভয়ে জ্বর চলে আসে। আর ওই অদ্ভুত দেখতে মানুষটা.. উনার কথা মনে হলেই আমার কান্না পায়। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার আশেপাশে কেউ আছে। কেউ আমার উপর সারাক্ষণ নজর রাখছে। আবার আয়নার সামনে যেতেও ভয় লাগে। মনে হয় আয়নাতে তাকালেই আমি উনার মতো হয়ে যাবো। আমার চোখ দিয়ে আগুন বের হবে।”
” তুমি কি আওয়ানের কথা বলছো?”
রিম্মি চোখের পানি মুছে বললো,” হুম।”
” ওকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ও আমাদের মতোই সাধারণ মানুষ। ”
” সাধারণ মানুষ এতো ভয়ংকর কাজ করতে পারে? কিভাবে সাহিলকে চোখের সামনে মেরে ফেললো। উফফ আমি ওই দৃশ্য কিছুতেই ভুলতে পারছি না।”
” বুঝেছি। তুমি অনেক ভয় পেয়েছো। আওয়ান শুধু তাদের ক্ষেত্রেই কঠোর যারা খারাপ। তুমি তো খারাপ না রিম্মি, তোমার ওকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই।”
” তবুও ভয় লাগলে আমি কি করবো?”
” আমাকেও কি ভয় লাগে?”
” না।”
” তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাইছো কেন?”
” বুঝতে পারছি না কেন।”
” আমি বুঝতে পারছি। তুমি আসলে আমাকেও ভয় পাচ্ছো।”
” না। আপনাকে কেন ভয় পাবো?”
” রিম্মি, আমি এখানে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারবো না। বাসায় আমার অনেক কাজ। যেতে হবে। তুমি কি আমার সাথে যাবে?”
রিম্মি মাথা নিচু রেখে ডানে-বামে নাড়লো। আমীর উঠে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
” ঠিকাছে। ভালো থেকো।”
আমীর চলে যাচ্ছিলো তখন রিম্মি তাড়াহুড়ো করে ব্যাগটা কাধে নিতে নিতে বললো,
” আমি যাবো।”
আমীর দাড়িয়ে সামান্য হাসলো। তারপর হাত দিয়ে রাস্তা বানিয়ে বললো,
” চলো।”
রিম্মি আমীরের ল্যাবরুমটা ঘুরে ঘুরে দেখছে। প্রথমদিন এসে বুঝতে পারেনি এর রুমে একটা বিশাল বারান্দাও আছে। বারান্দাতে সবুজ মাঠের মতো নরম ঘাস লাগানো। মনে হচ্ছে সবুজ কার্পেট। রিম্মি ঘাসে হাটার জন্য যেই না পা রাখলো ওমনি টুপ করে পড়ে গেল এবং আবিষ্কার করলো এটা কোনো ঘাস লাগানো মাঠ না। একটা সুইমিং পুল। নীলাভ পানির স্তর ভেদ করে অনেকটা নিচে চলে যাচ্ছে রিম্মি। সে সাতার জানেনা৷ তবুও এই পানিতে সে সাতার কাটতে পারছে৷ অদ্ভুত না? একটু পর মাথা উঠিয়ে ভেসে উঠলো। আমীর সামনেই দাড়িয়ে আছে৷ রিম্মি ওকে দেখে লজ্জা পেয়ে বললো,
” আমি বুঝতে পারিনি যে এটা সুইমিং পুল৷ প্রথমে ভেবেছিলাম মাঠ।”
” এ জায়গায় এসে সবাই এই ভুলটাই করে। উঠে এসো।”
আমীর হাত বাড়িয়ে দিল। রিম্মি আমীরের হাত ধরে উঠে আসলো। কিন্তু ওর পাতলা সাদা শার্ট ভিজে শরীরের সাথে একদম লেপ্টে গেছে। দেহের প্রত্যেকটা ভাজ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। শার্টের ভেতরে সে কি পড়েছে সেটাও। রিম্মির খুব লজ্জা লাগছে। সে নিজেকে গুটিয়ে গুটিয়ে রাখছে৷ আমীর বললো,
” তোমাকে দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছু নেই। এখানে সবাই ছেলে। মেয়েদের পোশাকের বড়ই অভাব। কিন্তু তুমি চাইলে এটা পড়তে পারো।”
আমীর একটা মোটা টপ আর একটা স্কার্ট বের করে রিম্মিকে দিল। রিম্মি বললো,
” এগুলো কার?”
” মা মারা যাওয়ার পরেও আমি মায়ের কিছু ড্রেস যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম। এগুলো মায়ের।”
” ও। কিন্তু মনে হচ্ছে আমার সাইজে খুব বড় হবে।”
” নাথিং টু ডু। এরচেয়ে বেটার অপশন নেই। ”
” ঠিকাছে। কিন্তু একটা কথা।”
” কি?”
” আমি তো সাতার জানিনা। তবুও সুইমিংপুলে সাতার কাটতে পেরেছি। এইটা কিভাবে হলো?”
আমীর চোখ বড় করে উত্তেজিত গলায় বললো,” বলো কি? তুমি এই পুলে সাতার কেটেছো? অনেক বড় বড় সুইমিং চ্যাম্পিয়নও এই পুলে সাতার কাটতে পারেনা। ”
রিম্মিরও চোখ বড় হয়ে গেল। আমীর হেসে বললো,”
এখন তুমি নিজেকে সুইমিং চ্যাম্পিয়নের আপার লেভেলের কিছু ভেবো না৷ এর পেছনে উপযুক্ত ব্যাখ্যা আছে৷ চেঞ্জ করে এসো তারপর বুঝিয়ে বলছি।”
রিম্মি চেঞ্জ করে এসে দেখলো আমীর একটা হোয়াইট বোর্ডে মার্কার পেন দিয়ে বড় বড় অক্ষরে কিছু চিত্র এঁকেছে। রিম্মি কাছে আসতেই আমীর বললো,
” দেখো রিম্মি, আর্কিমিডিসের সূত্র অনুযায়ী কোনো বস্তু তরল পদার্থে বা পানিতে আংশিক বা সবটা ডুবে গেলে সে তার নিমজ্জিত অংশের আয়তনের সমান আয়তনের অপসারিত তরলের ওজনের সমান ওজন হারায়। সে কারণেই পানিতে নামলে আমরা একটু হালকা হয়ে যাই। অবশ্য তারপরও ভেসে থাকার জন্য আমাদের বিশেষ কায়দায় হাত-পা নড়াচড়া করতে হয়। কিন্তু ভেবে দেখো, পানিতে যখন তুমি নামো তোমার আকৃতি অনুযায়ী কিছু পানি জায়গা থেকে সরে যায়। যতটুকু পানি সরে যায় ঠিক ততটুকু বল তুমি অনুভব করো। সেই বল যদি তোমার ওজনের বেশি হয় তাহলে তুমি পানিতে ভেসে থাকবে। চিত্র-১ নম্বরে দেখো। বস্তুটি পানিতে ভেসে আছে। কিন্তু বল যদি ওজনের সমান হয়, তুমি আংশিক পানিতে ভেসে থাকবে। যেমন চিত্র-২। আর বল যদি ওজনের কম হয় মানে ওজন যদি বেশি হয় তুমি ডুবে যাবে। চিত্র-৩। এখন ওজনের জায়গায় শুধু বসিয়ে দাও সরলতা।”
রিম্মি অবাক হয়ে বললো,” সরলতা?”
” হ্যা। এই পুলে তোমার ভেসে থাকা কিংবা ডুবে যাওয়া আর ওজনের উপর নির্ভর করছে না। নির্ভর করছে তোমার ব্রেইন কতটুকু রিফ্রেশ, তুমি নিজে কতটুকু লয়াল, তোমার মস্তিষ্কের অনুভূতিগুলোর মধ্যে যদি নেগেটিভিটি বেশি হয় তুমি ডুবে যাবে। আর পজিটিভিটি বেশি হলে বেঁচে থাকবে। সমান হলে স্থির থাকবে৷ যেমন তুমি সাতার জানোনা, তবুও ডুবে যাওনি। ভেসে থাকতে পেরেছো। তার মানে তোমার মধ্যে পজিটিভিটি বেশি। কিন্তু হাত-পা নড়াচড়া করছিলে বলে তোমার মনে হয়েছে তুমি সাতার কাটছো। এখন যদি তোমার জায়গায় সাহিলকে ফেলে দেওয়া হতো সে যতই ভালো সাতার জানুক না কেন, ঠিকই ডুবে যেতো। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য এই পুল ব্যবহার করা হয়। তাই এইটার নাম, দ্যা সী অফ ইভিল ব্লাস্টিং। ”
” কিন্তু এটা তো সী না। ছোট্ট একটা পুল।”
” ভবিষ্যতে সী হবে। তখন বড় বড় অপরাধীদের এই সীতে এনে ফেলে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে আসল অপরাধী আর নকল অপরাধীও চিহ্নিত করা যাবে।”
” এটাও কি আপনি তৈরী করেছেন মিস্টার সাইন্টিস্ট?”
” হুম।”
” আপনার ইনভেনশন চমৎকার। এমন চমৎকার আর কি কি আছে বলুন না?”
” সব দেখাতে পারবো না। আবার অজ্ঞান হয়ে যাবে।”
” আচ্ছা, আওয়ানও কি আপনার তৈরী?”
” উহুম। আওয়ানকে বাবা তৈরী করেছিলেন।”
” আঙ্কেলও সাইন্টিস্ট ছিলেন?”
” হ্যা। আমার সবচেয়ে বড় ইন্সপিরেশন তো আমার বাবাই। বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই আমি বেঁচে আছি।”
” আওয়ানকে আঙ্কেল কি দিয়ে তৈরী করেছিলেন? ওর চোখ দুটি কি আগুনের তৈরী?”
” না। সাধারণ মানবশিশুর মতোই ওর জন্ম হয়েছে। কিন্তু জন্মপদ্ধতিটা স্বাভাবিক ছিল না। আওয়ান একটা টেস্টটিউব বেবি।”
” টেস্টটিউব বেবি?”
” টেস্টটিউব বেবি বলতে আমরা যেটা বুঝি আওয়ান সেরকমও না। ওর মধ্যে আরও অনেক কিছুর ব্যতিক্রম আছে। একটি আইবেরিয়ান লিংকসের মাধ্যমে ওর সৃষ্টি।”
” আইবেরিয়ান লিংকসটা কি?”
” একটা হিংস্র প্রজাতির প্রাণী। সেই প্রাণীর ডিএনএ দিয়ে আওয়ানের চোখ গঠিত। মানুষের মতো ওর জন্মটা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মনুষ্যত্বের বৈশিষ্ট্য ওর মধ্যে নেই৷ দয়া,মায়া,ভালোবাসা,ভয় এসব অনুভূতি ওকে ঘায়েল করতে পারেনা। বাবার ধারণামতে এসব অপ্রয়োজনীয় অনুভূতি। মানুষের মধ্যে এ ধরণের অনুভূতি আছে বলেই মানুষের সীমাবদ্ধতা আছে। যার মধ্যে এসব নেই তার কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না। সে হবে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। ”
” তাই কি হয়েছে?”
” অনেকটা। আওয়ানের শক্তি অসীম৷ কিন্তু তবুও আমার মনে হয়, ওর মধ্যে অনেককিছুই অনুপস্থিত। শুধু শারীরিক শক্তি থাকলেই শ্রেষ্ঠ হওয়া যায় না। মানসিক শক্তিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো সময় তো শারীরিক শক্তিকেও হার মানায় মানসিক শক্তি।”
” মানসিক শক্তি বলতে?”
” এসব নিয়ে ডিটেইলসে অন্য আরেকদিন আলোচনা করবো। এখন তুমি তোমার কথা বলো। তোমার কিসে বেশি ইন্টারেস্ট? ”
” অ্যাস্ট্রোনোমিতে তো ছোটবেলা থেকেই খুব ইন্টারেস্ট। কিন্তু আপনার কথাবার্তা শুনার পর এখন বায়োলজির প্রতিও আগ্রহ জন্মাচ্ছে।”

নিয়মিত আমীরের বাসায় রিম্মির আনা-গোণা চলতে লাগলো। আমীর রিম্মিকে বিভিন্ন থিউরি, এক্সপেরিমেন্ট, রিসার্চ সম্পর্কে ধারণা দিতো। তার নিজস্ব রিসার্চের যেকোনো বিষয় রিম্মির সাথে আলোচনা করতো। দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিল৷ মিউজিক আর পেইন্টিং এ রিম্মির ছোটবেলা থেকেই একটু ঝোঁক বেশি। সে হারমোনিয়াম, গিটার,বেহালা সবই মোটামুটি বাজাতে পারে। একদিন আমীরের ঘরে রিম্মি একটা বেহালা খুঁজে পেল। বেহালাটা ছিল অনেক দামী, কাঁচের বাক্সে বন্দী৷ আমীর তখন ওই জায়গায় ছিল না। রিম্মি আনমনেই বেহালাটা নিয়ে বাজাতে শুরু করে। আমীর অন্যপ্রান্ত থেকে ছুটে আসে বেহালার আওয়াজ শুনে। তার চোখ জলে ভরে যায়। সেই জলের উপস্থিতি টের পেয়ে আমীর নিজেই থমকে যায়। চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু দেখেও একফোটা কাঁদেনি আমীর। আর এখন সামান্য বেহালার সুর শুনে কেঁদে ফেললো? একটা মিউজিকের এতো ক্ষমতা? আমীরকে কাঁদায়? তার মা কঠিন দূরারোগ্যে মারা গিয়েছিলেন। রোগটির নাম আইপি,ইন্টেলেক্ট প্রিভেনশন( এটা একটা কাল্পনিক রোগ। বাস্তবে এমন রোগের অস্তিত্ব নেই।) এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হলো মানুষ সবকিছু ভুলে যেতে থাকে। কারণ তাদের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে ছোট হতে থাকে এবং একসময় নিঃশেষ হয়ে যায়৷ যেহেতু রোগটি সম্পূর্ণ নতুন, এর কোনো প্রতিষেধক তখনো আবিষ্কৃত হয়নি। আমীরের স্বপ্ন সে এই রোগের প্রতিষেধক নিজে আবিষ্কার করবে। তার মায়ের মতো আর কাউকে এতো কঠিন মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হবে না। মায়ের তিলে তিলে মৃত্যুর প্রতিটা মুহুর্ত ছিল যন্ত্রণার। আজকে এতোদিন পর সেই যন্ত্রণা নতুন করে অনুভব হচ্ছে। রিম্মি এখন যে বেহালাটা বাজাচ্ছে সেটা আমীরের মায়ের বেহালা। মা ঠিক এই সুরটাই আমীরকে প্রতিদিন ঘুম পাড়ানোর সময় শোনাতেন। জীবনে প্রথমবারের মতো আমীরের কান্না পাচ্ছে। তার চোখের পর্দা ভেদ করে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। আমীর মাথা খামচে ধরে মেঝেতে বসে পড়লো। রিম্মি সেই শব্দ পেয়ে বেহালা রেখে ছুটে গেল আমীরের কাছে৷ আমীর পাথরের মতো শক্ত হয়ে বসে রইল। ওর চোখে পানি দেখে রিম্মি ঘাবড়ে গেল। জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে। আমীর তার মায়ের ঘটনা রিম্মিকে বললো। রিম্মি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইলো আমীরের তিক্ত অতীত মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। আমীর হাসার চেষ্টা করে বললো,
” তুমি ভুল কিছু করোনি। তাছাড়া তোমাকে থ্যাংকস। অনেকদিন পর এই মিউজিক শুনে ভালো লাগছে। আরেকবার বাজাবে রিম্মি?”
রিম্মি খুশি হয়ে আবার বেহালাটা তুলে বাজাতে লাগলো। আমীর কাচের দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে হাত ভাজ করে দাঁড়ায়। মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকে। রিম্মি চোখ বন্ধ করে একমনে বেহালা বাজায়। আমীর একটু পর একটা ছোট সবুজ বাক্স রিম্মির সামনে রেখে চলে যায়। রিম্মি সেটা খেয়াল করেই চোখ খুলে তাকায়। বেহালা রেখে সাথে সাথে বাক্সটা খুললো। একটা চিরকুট। লেখাগুলো এমন,
” হরিণচোখের ওই মেয়েটি আমার হৃদয় করেছে হরণ।
ওর নীলচোখের দৃষ্টি আমি অন্তরে করেছি ধারণ।
লালচুলের মিষ্টি সুভাষে বেসামাল হয়েছি অকারণ।
আমার অবাধ্য মনের প্রেমের আহ্বানকে করতে পারিনি বারণ।
হে নীলচোখা, তুমি কি হবে আমার প্রফুল্লতার কারণ?
এই জীর্ণ শীর্ণ মনের সজীবতার উদাহরণ? ”
রিম্মি চিরকুট পড়া শেষ করে পেছনে ঘুরে তাকালো। আমীর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছে। রিম্মিও হেসে বললো,
” সাইন্টিস্ট থেকে কবি হলেন কবে?”
আমীর মাথা চুলকে আবারও হাসলো।

চলবে

(যতই চাই কাহিনীটা সংক্ষেপ করতে ততই খালি বাড়ে।😒 উফফ, তোহার কাহিনী লেখার জন্য হাত নিশপিশ করে।😐)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here