ধূসর রঙে আকাশ পর্ব- ৩০

0
818

#ধূসর_রঙে_আকাশ
#পর্ব_৩০
লিখা: Sidratul Muntaz

প্রায় দেড়মাস হতে চললো। এর মধ্যে রিম্মি আর আমীরের মধ্যে শুরু হয়েছে উত্তাল প্রেম। আমীরের ভাষায় প্রেমটা মহাতরঙ্গময় হলেও রিম্মির সেরকম কিছুই মনে হচ্ছে না। তার ধারণা সে কোনো যন্ত্রমানবের সাথে প্রেম করছে। যার কোনো অনুভূতি নেই, আবেগ নেই, যে জৈবিক চাহিদা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। প্রোপোজ্যালের সময় চিরকুটের ওই একটি কবিতা ছাড়া কখনো আমীরের মুখে প্রেমময় বাণী শোনেনি রিম্মি। সে সারাক্ষণ থাকে তার এক্সপেরিমেন্ট, রিসার্চ, কাজ ইত্যাদি নিয়ে। রিম্মিকে যে সময় দেয়না তা না। বরং দিনের বেশিরভাগ সময় সে রিম্মির সাথেই থাকে। সারাখন শুধু ইনভেনশন, ট্যাকনোলোজি, ঔষধ, চিকিৎসা এসব বিষয়েই আলোচনা করে। রিম্মির এসব শুনতে ভালো লাগে না। সে চায় তাদের পারসোনাল বিষয়ে আলোচনা করতে, ফিউচার নিয়ে কথা বলতে। কিন্তু আমীর কখনো সেই সুযোগটাই দেয়না। ইতোমধ্যে রিম্মি জানতে পেরেছে সাহিল জীবিত। একদিন আমীর রিম্মিকে তার ল্যাবরুমে ডেকে বললো,
” যদি জানতে পারো সাহিল বেঁচে আছে তাহলে তোমার অনুভূতি কেমন হবে রিম্মি?”
রিম্মি হকচকিয়ে গেল। হঠাৎ এমন প্রশ্ন আশা করেনি। আমীর মুচকি হেসে বললো,
” সাহিলকে ইচ্ছে করেই বাঁচিয়ে রেখেছি। যেন তুমি চোখের সামনে ওর মৃত্যু উপভোগ করতে পারো।”
আমীর একথা বলেই দরজার দিকে তাকিয়ে তূরি বাজায়। স্লাইড করে দরজাটা খুলে গেল। সাহিল বেরিয়ে এলো। ওর ঘাড় রোবটের মতো সোজা। গলায় বিশাল ব্যান্ডেজ। হাটা-চলাও কেমন যেন। রিম্মি ভয়ে পিছিয়ে যায়। আমীর বললো,
” তুমি বলো রিম্মি, কেমন মৃত্যু চাও ওর?”
রিম্মি ভয়ে ভয়ে বললো,” ওকে মাফ করে দিন। আর আমার সামনে থেকে চলে যেতে বলুন।”
আমীর হেসে ফেললো। তারপর বললো,” জানতাম তুমি এটাই বলবে। তোমার মনে মানুষের জন্য খুব দয়া তাইনা? দয়া দেখানো ভালো। কিন্তু দয়া দেখাতে গিয়ে বোকা হয়ে যাওয়া ভালো না।”
রিম্মি বলেছিল সাহিল যেন ওর সামনে না আসে। তবুও সাহিল ওর সামনে প্রায়ই আসতো। আমীর আর রিম্মি যখন একসাথে থাকতো সাহিল মাঝে মাঝে ল্যাবরুমে এসে বিভিন্ন কাজ করতো। রিম্মি তখন সাহিলকে দেখিয়ে দেখিয়ে আমীরের সাথে ঢং করে কথা বলতো। একদিন তো আমীরকে ময়নাপাখিও ডেকে ফেলেছিল। আমীর ভ্রু কুচকে তাকিয়েছিল। রিম্মি সাহিলকে আড়চোখে দেখে আর মনে মনে বলে,” অসহায় পেয়ে আমাকে খুব জ্বালিয়েছিস সাহিল। এবার দ্যাখ, তোর সামনেই তোর বসের সাথে প্রেম করছি। অথচ তুই কিচ্ছু করতে পারছিস না। নিরব দর্শক হয়ে শুধু দেখে যাচ্ছিস। মজা লাগছে না এবার?”
সাহিলের চোখে কখনো হিংসা দেখেনি রিম্মি। কিন্তু সে চায় সাহিল হিংসা করুক। সে যদি ওদের দেখে হিংসা করে, রিম্মির খুব ভালো লাগবে। আমীর প্রায়ই রিম্মিকে কঠিন কঠিন থিউরি বুঝাতে উঠে-পড়ে লাগে। রিম্মি বেশিরভাগ সময়ই কিছু বুঝে না। হা করে তাকিয়ে থাকে। আজকে আমীর জ্যাতির্বিজ্ঞানের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। থিউরি অফ রিলেটিভিটি। রিম্মির মাথায় কিছুই ঢুকছে না। সে শুধু চুপ করে বসে শুনছে। আমীর বললো,
(বি:দ্র: এই টার্মটা সবচেয়ে বেশি ইন্টারেস্টিং। মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেক কিছু জানতে এবং বুঝতে পারবেন।)
” শোনো রিম্মি, ধারণা করা হয় মহাবিশ্বে প্রায় এগারো প্রকার মাত্রার অনুপস্থিতি আছে। আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি এটা হলো ত্রিমাত্রিক জগৎ। তাহলে দ্বিমাত্রিক আর একমাত্রিক কি? আর শূন্যমাত্রিকটাই বা কি? আসলে শূন্য মাত্রিক মানে শুধু একটা বিন্দু। একমাত্রিক মানে একটা সরলরেখা। যার শুধু দৈর্ঘ্য আছে। কোনো প্রস্থ নেই। আর দ্বিমাত্রিক হলো যার দৈর্ঘ্যও আছে প্রস্থও আছে কিন্তু কোনো উচ্চতা নেই। যেমন এই হোয়াইট বোর্ডের স্কিন। মোবাইলের স্কিন। এখানে তুমি চাইলেও থ্রিডি ইমেজ দেখতে পারবে না। আর ত্রিমাত্রিকটা হচ্ছে, তুমি, আমি, আমাদের পৃথিবী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতা তো হয়েই গেলো, তাহলে চতুর্থ মাত্রাটা আবার কি জিনিস? যেখানে দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতার সাথে সময়টাও যুক্ত হয়। সেটা নিয়েই এখন আলোচনা করবো। আচ্ছা ধরো, তুমি একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পানির গ্লাস হাতে নিতে গিয়ে দেখলে গ্লাসটা তুমি ধরতে পারছো না। কাচের গ্লাসের দেয়াল গলে তোমার হাত ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। আন্টি এসে তোমার সামনে দাড়ালো। তুমি আন্টির শরীরের বহিরাবরণ দেখতে পাচ্ছো না। বরং ভেতরের রক্ত চলাচল স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছো। তোমার চোখ হয়ে গেল এক্স-রে মেশিনের মতো। যখন ইচ্ছে তখন তুমি ভ্যানিশ হয়ে যেতে পারছো। ইচ্ছে করলে দেয়াল ভেদ করে বাহিরে চলে যেতে পারছো। দরজা খোলার প্রয়োজন হচ্ছে না। এসব যখন তুমি করবে, তোমার আশেপাশের মানুষরা ভাববে তোমার ঐশ্বরিক কোনো শক্তি আছে। তুমি হয়তো অন্য জগতের বাসিন্দা। ঠিক না? আচ্ছা এখন মনে করো, তুমি পৃথিবীতে বাস করো না। পৃথিবী বলতে কিছু নেই। আমরা যেখানে থাকি সেটা দ্বিমাত্রিক। মানে ফ্ল্যাট। ঠিক মোবাইলের স্কিনের মতো। উচ্চতাকে এখন ভুলে যাও। আমাদের জগৎ জুড়ে আছে শুধু দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ। মানে তুমি ডানে-বামে যেতে পারবে। কিন্তু উপর বা নিচে কখনো যেতে পারবে না। কারণ উচ্চতা বলতে কিছু নেই। মনে করো তোমাকে একটা চতুর্ভুজ আকৃতির ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। পৃথিবী থেকে একটা মানুষ আসলো। তোমার বন্দীদশা থেকে তোমাকে মুক্ত করতে চাইলো। এখন তুমি তো উচ্চতা সম্পর্কে কিছুই জানোনা। তাই তুমি জানবে না সেই ঘর থেকে বের হওয়ার অজানা রাস্তা আছে কিন্তু পৃথিবীর সেই মানুষটি যেহেতু ত্রিমাত্রিক জগতের প্রাণী, তার কাছে উচ্চতার বিষয়টি খুব স্বাভাবিক। ডানে-বামে তোমার যাওয়ার কোনো পথ নেই। কারণ তুমি বন্দী। পৃথিবীর মানুষটি কি করলো? তোমাকে চতুর্ভুজ আকৃতির রুমটার উপরে তুলে রাখলো। মানে তুমি তোমার নিজের জগৎ থেকে বের হয়ে গেছো। এখন যে জগতে তুমি অবস্থান করছো তার নাম ত্রিমাত্রিক জগৎ। কিন্তু যে তোমাকে বন্দী করেছিল সে কিন্তু এটা বুঝবে না। সে যখন ঘরে এসে তোমাকে আর খুঁজে পাবে না, তখন ভাববে তুমি ভ্যানিশ হয়ে গেছো। অথবা তোমার অলৌকিক ক্ষমতা আছে। আসলেও কি তাই? না। ঠিক তেমনি আমাদের পৃথিবীবাসীর কাছে যে বিষয়গুলো অসম্ভব চতুর্থ মাত্রার জগৎ এর বাসিন্দাদের কাছে সেগুলো সম্ভব এবং খুব সহজভাবেই সম্ভব। সেখানে সময়কে শুধু ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণই করা যায়না। ফ্রেমে বন্দী করেও রাখা যায়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে সময়কেই কেন মাত্রা হিসেবে ধরা হলো? আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব অনুসারে সময় পরম নয় ।সময় নির্ভর করে গতির উপরে । যত দ্রুত যাওয়া যাবে সময় ততই ধীরে চলবে । একে বলা হয় কাল দীর্ঘায়ন। ইন্টারে সাইন্স নিলে এ বিষয়ে ক্লিয়ারলি বুঝবে। সময়কে সে জন্যই চতুর্থ মাত্রা হিসেবে ধরা হয় কারন এটি স্থানে বস্তুর গতির সাথে সম্পর্কিত । যেহেতু এটি স্থানে বস্তুর গতির সাথে সম্পর্কিত তাই সহজে বলা যায় স্থানের সাথেই সম্পর্কিত। অর্থাৎ সময় বলে আলাদা কিছু নেই । স্থানের মাত্রার(দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, বেধ) মতই সময়ও আর একটি মাত্রা।তাই স্থানের তিনটি মাত্রা ও সময়ের একটি মাত্রা মিলিয়ে বলা হয় চতুর্মাত্রিক স্থান। ঘড়ির চলার গতি নির্ভর করবে তুমি স্থানে কত দ্রুত চলছো তার উপর । আর এই ব্যাপারটি পরীক্ষা করেও দেখা গেছে ।পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত কৃত্তিম উপগ্রহ যে আণবিক ঘড়ি রাখা
আছে তার সাথে পৃথিবীর ঘড়ির সময়ের পার্থক্য রয়েছে । আবার রকেটের ঘড়ি ও পৃথিবীতে রাখা ঘড়ির সময়েরও পার্থক্য রয়েছে । এটি একটি অসাধারন ব্যাপার । চলো, একটি উদাহরণ দেখা যাক। মনে করো, তুমি একটি রকেটে করে আলোর খুব কাছাকাছি গতিতে মহাশূন্যে ভ্রমন করছো । যেহেতু তুমি খুবই দ্রুত চলছো তাই আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব অনুসারে রকেটে সময় ধীরে চলবে । এর ফলাফল হবে অসাধারন। তুমি যদি সেই রকেটে কয়েক মিনিট কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসো, দেখবে পৃথিবীর বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে ! আমি বুড়ো হয়ে গেছি। আর তুমি আগের মতোই কিশোরী আছো। বিষয়গুলো দারুণ ইন্টারেস্টিং। এটা কিন্তু পৃথিবীতেও সম্ভব। মনে করো কোনো গাড়ি আলোর চেয়েও দ্রুত বেগে চলছে। তাহলে সেই গাড়ির ভেতরে বসে থাকা মানুষটির জন্য সময় স্থির হয়ে যাবে। ঠিক স্থির হবে না, ধীরে চলবে। এখন সমস্যা হচ্ছে, কোনোকিছুই আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে চলতে পারেনা। যদি পারে তাহলে সেটা হয়ে যায় শক্তি। যেমন আইনস্টাইনের বিখ্যাত ফর্মুলা, E=mc2. যদি আসলেই কোনো বস্তুকে আলোর চেয়ে দ্রুত বেগে পরিচালনা করতে হয় তাহলে এই সূত্র ভুল প্রমাণ করতে হবে। সেটা আদৌ সম্ভব কিনা আমি জানিনা। আচ্ছা তাহলে কি পৃথিবীতে টাইম ট্রাভেল সম্ভব না? অবশ্যই সম্ভব। এর জন্য আছে বিকল্প পদ্ধতি। ”
রিম্মি হাই তুলতে তুলতে আমীরের কাছে এসে বললো,
” আর না প্লিজ। অনেক হয়েছে। এখন ঘুম আসছে।”
” মেইন টপিকে এসেই তোমার ঘুম আসছে? লাস্ট একটা থিউরি বুঝে নাও। দারুণ ইন্টারেস্টিং। এরপরেই শেষ। ”
” আচ্ছা এসব শিখে আমার কি হবে?”
” তোমার জানা জরুরী রিম্মি। কারণ আমার নেক্সট এক্সপেরিমেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত। আর মডেল হচ্ছো তুমি।”
” আমি মডেল? কিভাবে?”
” সেটাই তো বুঝাচ্ছি। তুমি যাও চেয়ারে গিয়ে বসো।”
রিম্মি হঠাৎ আনমনা হয়ে একটা ভুল করে ফেললো। আমীরের সুন্দর শুভ্র মুখটা খুব স্নিগ্ধ দেখাচ্ছিল ওই মুহুর্তে। রিম্মির ইচ্ছে করলো ছুয়ে দিতে। সে আলতোভাবে আমীরের ঠোঁটে চুম্বন করার জন্য উদ্যত হতে নিচ্ছিল তখনি আমীর ওকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে তীক্ষ্ণ গলায় বললো,
” বিহেভ ইউরসেল্ফ।”
রিম্মি ছিটকে সাদা ডেস্ক টেবিলের কোণার সাথে বারি খেল। ওর কপাল কেটে রক্ত বের হতে লাগলো। পেছনে ঘুরে করুণ চোখে আমীরের দিকে তাকাতেই দেখলো সে নেই। রিম্মির চোখ দুটো পানিতে ভরে এসেছে। আমীর এতো নিষ্ঠুর কেন? রিম্মি কি অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছে? তাদের সম্পর্কটা যদি সত্যিই ভালোবাসার হয় তাহলে এ বিষয়টা তো খুব সাধারণ। রিম্মি ভেবেছিল এমন করে আমীরের মনোযোগ কিছুক্ষণের জন্য পড়াশুনা থেকে অন্যদিকে সরানো যাবে। কিন্তু আমীরের প্রতিক্রিয়া দেখে সে বাকরুদ্ধ। অন্তরা আপুকেও তো দেখেছে ডার্ক ভাইয়ার সাথে যতবার দেখা হয় ওরা হাগ করে, কিস করে। যেদিন ডার্ক অন্তরাকে প্রপোজ করেছিল সেদিনই ওরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে লিপকিস করেছিল। অথচ আমীরের সাথে দেড়মাসের সম্পর্কে রিম্মি কখনো দেখেনি আমীর ওর সাথে একটু কোমলভাবে কথা বলেছে। সারাক্ষণ শুধু স্টাডি আর স্টাডি। তবুও রিম্মি নিজেকে সান্ত্বনা দিতো এই বলে যে, আমীর এমনি। একটা সময় ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে আমীর কোনোদিন ঠিক হবে না। সে আজ অনেক বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। আজকে খুব করে একটা প্রশ্ন নিজেকে করতে ইচ্ছে হচ্ছে, আমীর কি সত্যিই তাকে ভালোবাসে? ভালোবাসলে সে কখনো রিম্মির খারাপ চাইতো না। যেকোনো কিছু করার আগে রিম্মির কথা চিন্তা করতো। কিন্তু আমীর সেই চিন্তা করেনা। সে যেকোনো নতুন ঔষধ তৈরী করলে সবার প্রথমে রিম্মিকে খাওয়ায়। তারপর রিম্মির ফিজিক্যাল কন্ডিশন চেক করে। সে যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে সেই ঔষধ ব্যবহার‍যোগ্য। রিম্মির ঔষধগুলো খেতে ভীষণ ভয় লাগে। যদি মরে যায়? মৃত্যু ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও রিম্মি আমীরকে খুশি করার জন্য ঔষধ খায়। এতে তার অনেক ক্ষতি হয়। তবুও সে পরোয়া করে না। একবার তো এমন হয়েছিল, আমীরের দেওয়া এক ডোজ খেয়ে রিম্মি টানা তিনদিন ঘুমিয়েছে। আমীরের বিছানাতেই। তারপর যখন ঘুম ভেঙে বাসায় ফিরলো, কেউ তাকে জিজ্ঞেস করেনি সে এই তিনদিন কই ছিল। মা, অন্তরা খুব স্বাভাবিক ব্যবহার করেছেন। অথচ রিম্মি ভেবেছিল তিনরাত বাড়ি না ফেরার কারণে মা হয়তো তাকে খুন করবেন। আমীরের একটা পোষা কুকুর আছে। নাম কিড্ডো। সেই কিড্ডোর জন্য ঔষধ তৈরী করলেও আমীর আগে রিম্মিকে দিয়ে টেস্ট করায়। তারপর কিড্ডোকে সে ঔষধ খাওয়ায়। রিম্মির তখন মনে হয়, কিড্ডোর জীবনের দাম আছে। তার নিজের জীবনের দাম নেই। সে কুকুরের চেয়েও তুচ্ছ প্রাণী।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here