ধ্রুব অরিত্রিকা আহানা পর্বঃ১৪

# ধ্রুব
অরিত্রিকা আহানা
পর্বঃ১৪

ড্রয়িংরুমে বসে বাবা, মা আন্টিসহ অন্যান্য মুরুব্বীরা সবাই মিলে বিয়ের দিন তারিখ, দেনমোহর এসব নিয়ে আলোচনা করছিলো। আমি নিজের ঘর থেকে কান পেতে রইলাম। ধ্রুব আসে নি। বড়দের আলোচনা তাই নিশ্চই থাকতে চায় নি! কিন্তু আমি কৌতূহল দমন করে রাখতে পারছিলাম না। এদিকে মুরুব্বীদের সামনে বেরোতেও লজ্জা লাগছিলো। অগত্যা রুমের দরজা বন্ধ করে কান খাড়া করে রইলাম ওদের কথা শোনার জন্য। সবটা শোনা না গেলেও মোটামুটি ভালোই শুনতে পাচ্ছিলাম।

আন্টি জানালো সামনে ঈদ। ঈদের পরেও বিয়ের অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব জানালেন তিনি। বাবাও রাজি হয়ে গেলেন। অবশেষে দুপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদের তিনদিন পর আমাদের বিয়ের দিন নির্ধারণ করা হলো। এখন শুধু এংগেইজম্যান্ট করে রাখা হবে। সেই সাথে আরো একটা খুশির খবর আছে। বাবা মায়ের অনুরোধে আন্টি বিয়ে পর্যন্ত এই বাসায় থাকতে রাজি হলেন। আমি তো মহাখুশি। বিয়ের বাকি এখনো দেড়মাস। আরো দুমাস বাবা মায়ের সাথে থাকতে পারবো। ভাবতেই খুশি লাগছিলো। ধ্রুবকে কল দিলাম। কেটে দিলো। আবার দিলাম। রিসিভ করে ঘুম ঘুম কন্ঠে হ্যালো বললো। আমি খুশিতে গড়গড় ওকে সব বলতে শুরু করলাম। ওপাশ থেকে কোন সাড়া এলো না। আমার মনে হলো সে ফোন কানে রেখেই আবার ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে আর ডিস্টার্ব করলাম না। আন্টির কাছে শুনেছি এমনিতেই নাকি খুব কম ঘুমায় ও। তাই বিরক্ত করলাম না।

তারপর থেকে বাসায় ধ্রুবর সাথে দেখা করা বন্ধ। ধ্রুবই চাইতো না। তাই ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে রেস্টুরেন্টে দেখা করতাম।
ইদানীং একটা সমস্যা হচ্ছিলো। রোজ ভার্সিটি যাওয়ার পথে একটা ছেলে আমাকে বেশ ডিস্টার্ব করছে। সাথে সঙ্গী হিসেবে দুজন থাকে। ধ্রুবকে সেকথা জানাতেই বললো,” সেজেগুজে ক্যাম্পাসে না গেলেই তো পারো।”

—“সাজুগুজু তো তোমার জন্য করি।”

—“দরকার নেই। সাজলে তোমাকে ভূতের মত দেখায়।”

আমি ভেংচি কেটে বললাম,”খুব ভালো!…তোমার কাছ থেকে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু এক্সপেক্টও করি না।”

—“তাই?”

—“ইয়েস!”

—“ওকে ফাইন। এবার থেকে তোমাকে সুন্দর না লাগলেও বলবো খুব সুন্দর লাগছে।একেবারে সোফিয়া লরেন।”

—“লাগবে না গো। আমার হজম হবে না। তুমি এভাবেই ঠিক আছো।”

আমার বলার ধরন দেখে ধ্রুব হেসে ফেললো। ওর হাসিটা আমাকে মনে মনে খুশি করে দিলেও প্রকাশ করলাম না। মুখে এমন একটা ভাব ধরলাম যেন আমি ওর ওপর খুব বিরক্ত। ও হাসি থামিয়ে বলল,” ছেলেটা কি তোমাদের ভার্সিটির?”

—“না।”

—“পাত্তা দিও না। দেখবে দুচারদিন ঘুরে বিরক্ত হয়ে আর আসবে না।”

আমি ঠাট্টার সুরে বললাম,”থ্যাংকস ফর ইউর সাজেশন। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো আপনার উপদেশ মেনে চলার জন্য।”

ধ্রুব আমার ঠাট্টা গায়ে মাখলো না। বললো,”তারপরেও যদি ডিস্টার্ব করে আমাকে জানাবে!”

—“জি জানাবো! এবার আমি উঠি? আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে।”

—“চলো আমিও তো যাবো।”

পরেরদিন সকালে বাসার সামনে রিক্সার জন্য ওয়েট করছিলাম। দশমিনিট মত অপেক্ষা করার পর একটা খালি রিক্সা দেখতে পেয়ে উঠে পড়লাম ভার্সিটির জন্য। কিছুদূর যাওয়ার পর ধ্রুব হঠাৎ লাফ দিয়ে চলতি রিক্সায় উঠে গেলো। আমি ভয়ে চমকে উঠলাম। ওর মুখটা দেখে মনে হচ্ছিলো কিছুই হয় নি। বললো,”ছেলেটা যেখানে দাঁড়িয়ে থাকে , তার কাছাকাছি এলে আমাকে বলো। আমি নেমে যাবো।”

আমি আতঙ্কে চোখ বড় বড় করে বললাম,”তুমি কি ওদের সঙ্গে মারপিট করবে? প্লিজ ধ্রুব কোনরকম বাড়াবাড়ি করো না। দোহাই তোমার!”

—“করবো না।”

—“সত্যি তো?

—“একদম সত্যি! আমি তো ওদের আদর করে বোঝাবো। গালে চুমু খেয়ে বলবো,’এই যে শ্রদ্ধেয় ভাইয়া একটু শুনবেন? রোজ আপনি এখানে দাঁড়িয়ে যেই সুন্দরী মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করেন তিনি আমার হবু বউ। অতএব আপনার কাছে বিনীত প্রার্থনা এই যে অনুগ্রহ করে তার দিকে নজর দিবেন না। তিনি এসব পছন্দ করেন না।’ কথা শেষ করে আবার চুমু খাবো। ঠিক আছে না?”

আমি প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে রইলাম। লাভ হলো না। ও আমার বিরক্তি বিন্দুমাত্র ধার না ধেরে বললো,”আমাকে দেখার অনেক সময় পাবে। ভার্সিটির কাছাকাছি চলে এসেছি। খেয়াল রাখো!”
ওর কাছ থেকে ভালোভাবে কোন জবাব পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে সামনে তাকালাম।

রিক্সা আরো কিছুদূর এগোলে আমি ভয়ে ভয়ে ধ্রুবকে বললাম,”সামনেই ওরা তিনজন দাঁড়িয়ে থাকে।”
ধ্রুব লাফ দিয়ে রিক্সা থেকে নেমে গেলো। ইশারায় রিক্সাওয়ালা মামাকে এগোতে বলে রিক্সার আগে আগে হেঁটে সামনে চলে গেলো। আমি মামাকে আস্তে চালানোর অনুরোধ করলাম। ভেতরে ভেতরে টেনশন হচ্ছিলো। ধ্রুবর যা রাগ! যদি ছেলেগুলোর সাথে সত্যিই মারামারি শুরু করে দেয়? ওরা তিনজন ধ্রুব একা। কেন যে ধ্রুবকে জানাতে গেলাম সেটা ভেবেই রাগ হচ্ছে। ধ্রুব ঠিকই বলেছিলো, কয়েকদিন ইগ্নোর করলেই ওরা পিছু ছেড়ে দিতো। মনে মনে দোয়া করলাম ছেলেগুলো যেন আজকে না থাকে। ধ্রুবর সাথে যেন ওদের দেখা না হয়।

রিক্সায় বসেই স্পষ্ট দেখলাম ঐ তিনজন আজকেও যথারীতি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম। বুকের ভেতর ঢিপঢিপ করছে! রিক্সাওয়ালা মামাকে দ্রুত চালাতে অনুরোধ করলাম। রিক্সা ওদেরকে ক্রস করার সময় এতকাল যাবত ওরা যা করে নি আজকে তাই করলো। হুড় হুড় করে দৌড়ে এলো তিনজন। রিক্সা ব্লক করে দাঁড়ালো। ভয়ে আমার হাতপাঁ কাঁপতে শুরু করলো। আমি এদিক ওদিকে তাকিয়ে ধ্রুবকে খুঁজতে লাগলাম। আর মনে মনে আল্লাহকে ডাকছিলাম। ঠিক তখনই মুখে একটুকরো ভরসার হাসি নিয়ে ধ্রুবকে উলটো দিকে থেকে হেঁটে আসতে দেখা গেলো। ওর এই হাসিটার মানে ‘ আমি আছি তো। ভয় পেয়ো না।’ আমার জানে পানি ফিরে এলো। খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। আনন্দে আমি পারলে কেঁদে ফেলি!

ধ্রুব রিক্সার কাছে এসেই ছেলেগুলোকে দেখে থমকে গেলো। অবাক হয়ে বলল,”শান্ত?” তিনটে ছেলের মধ্যে যেই ছেলেটা আমাকে বিরক্ত করে তাকে দেখলাম ধ্রবকে দেখে মুখ লুকাচ্ছে। আমি হাঁ করে একবার ধ্রুবর মুখের দিকে একবার ছেলেটার মুখের দিকে তাকালাম। ছেলেটা কাঁচুমাচু করছে। ধ্রুব কিছুই করলো না। আমার পাশে রিক্সায় বসে রিক্সাওয়ালাকে উদ্দেশ্য করে বললো,”মামা টানো!”

সারাটা রাস্তা ধ্রুব মিটমিট করে হেসেছিলো। আমার একটা প্রশ্নেরও জবাব দেয় নি। এরপর থেকে অবশ্য ছেলেগুলোকে আর দেখি নি। ধ্রুবকে যতবারই জিজ্ঞেস করেছি ও হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মত অবস্থা। মনে হয় যেন আমি কোন মহা কৌতুকের কথা জিজ্ঞেস করেছি। তাই রাগ করে আর জিজ্ঞেস করি নি।

আমাদের এংগেইজম্যান্ট এর দিন ধ্রুবর এক বন্ধুর সাথে শান্ত নামক ছেলেটাকে দেখে আমি অবাক হয়ে ধ্রুবর মুখের দিকে তাকালাম। বদমাইশটা তখনও মিটিমিটি হাসছিলো। পরে অবশ্য আমি ওর হাসির কারণ জানতে পারলাম। শান্ত আমার ছয়বছরের ছোট। তাইজন্যই ও মজা নিচ্ছিলো!

এংগেইজম্যান্ট শেষে এক কোনায় বসে মেহমানদের সাথে কথা বলছিলাম। হঠাৎ ধ্রুব আমাকে ডাক দিয়ে একপাশে নিয়ে গেলো। ওর সাথে শান্ত। আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললো,”শান্ত, তোমার ভাবি। খেয়াল রাখবা কেমন?”

আমাকে দেখে ছেলেটার অবস্থা খুবই খারাপ। লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। ব্যর্থভাবে নিজের মুখ লুকানোর চেষ্টা করলো। ধ্রুবর চোখেমুখে কৌতুক। আমিও বিব্রত বোধ করলাম। নিজের চেয়ে ছয়বছরের ছোট একটা চ্যাংড়া ছেলে এতদিন আমার পেছনে পেছন ঘুর ঘুর করেছে ভাবতেই লজ্জা লাগছিলো। তবে ছেলেটাকে দেখলে বোঝাও যায় না তার বয়স এত কম। ধ্রুব আমাকে উদ্দেশ্য করে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললো,”চিনেছো নিশাত? শান্ত,আমার ছোটভাই। ওই এতদিন তোমার খেয়াল রাখতো!”

আমি হাঁ করে ধ্রুবর মুখের দিকে চেয়ে রইলাম। ধ্রুবর মশকরাতে ছেলেটার অবস্থা শোচনীয়! দিশেহারা হয়ে বলল,”ভুল হয়ে গেছে ভাবি। মাফ করে দেন। আমি বুঝতে পারি নি।”

ছেলেটা এবং ধ্রুব দুজনেই উত্তরের অপেক্ষায় আমার দিকে চেয়ে রইলো। ছেলেটার চোখে লজ্জা,অনুশোচনা, অস্বস্তি আর ধ্রুবর চোখে কৌতুক! খুব মজা পাচ্ছে সে! আমি কোনরকম সময় নিলাম না। তাড়াতাড়ি ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বললাম,”ইটস ওকে! আমি কিছু মনে করি নি।”

কাঁচুমাচু চেহারা নিয়ে দ্রুত প্রস্থান করলো শান্ত। ও চলে গেলে আমি রাগী চোখে ধ্রুবর দিকে তাকালাম। জিজ্ঞেস করলাম,”এসব কি?” ধ্রুব জানালো শান্ত ওর কলেজ ফ্রেন্ড আসিফের ছোটভাই। মাঝখানে কিছু বাজে ছেলেপেলের পাল্লায় পড়ে বখে গেছিলো।এখন ঠিক আছে। ধ্রুব মিনিট খানেক চুপ থেকে হাসতে হাসতে বললো,”আই এম প্রাউড অফ ইউ নিশাত! এই বয়সেও তোমার পেছনে একটা বাচ্চা ছেলে ঘুরঘুর করে। আই রিয়েলি প্রাউড অফ ইউ! হোয়াট আ বিউটি ইউ আর!” বলেই ও হাসি থামানোর বৃথা চেষ্টা করলো। আমার বুঝতে বাকি রইলো না ধ্রুব এই নিয়ে কম করে হলেও ছয়মাস আমাকে খোঁচাবে! অসভ্যটা আমাকে খোঁচানোর একটা সুযোগও মিস করে না। কিছু একটা পেলেই হলো। অসহ্য লাগছিলো! কিচ্ছু বললাম না, গটগট করে হাঁটা ধরলাম! কিন্তু কিসের কি! ধ্রুবর হাসি কি থামে! শয়তানটা আমার সারা গা জ্বালিয়ে কেবল হেসে যাচ্ছিলো। আমি মুখ ফিরিয়ে নিলাম। এক কোনায় একটা সোফায় বসে রইলাম। কিছুক্ষন পর ধ্রুব আমার পাশে এসে বসলো। হাসি থামিয়ে আমাকে আশ্বস্ত করে বললো,”শান্ত এমনিতে খারাপ না। সঙ্গদোষে গুলিয়ে গেছে। তুমি কিছু মনে করো না।”

আমি জবাব দিলাম না। ধ্রুব আমার রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করে বললো,”সিরিয়াসলি তোমার তো খুশি হওয়া উচিৎ। ইউ আর স্টিল ভেরি ইয়াং!”

—“ধ্রুব দয়া করে আমার মেজাজ খারাপ করো না প্লিজ! আজকের দিনটা অন্তত রেহাই দাও।”

—“আচ্ছা সরি! তবুও বলছি তোমার কিন্তু খুশি হওয়া উচিৎ। আমি হলে এই উপলক্ষ্যে পার্টি দিতাম!”

আমি বুঝতে পারছিলাম আমার মেজাজ ক্রমাগত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন লাভ নেই। ধ্রুব সেটা বুঝবে না। প্রসঙ্গ বদলানোর চেষ্টা করে বললাম,”শান্তর কথা তুমি আমাকে এতদিন বলো নি কেন?”

—“আর বলো না, বেচারা সেদিনের পর থেকে পাগলের মত আমার পেছন পেছনে ঘুর ঘুর করছে আমি যেন ওর বাসার কাউকে এসব না জানাই। হাতে পায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করলো। ভাবলাম একটা সুযোগ দিয়েই দেখি।”

—“আমাকে তো বলতে পারতে?”

—“তুমি সেদিন ওদের জন্য খুব মায়া দেখাচ্ছিলে তাই বলি নি।”

—“আমি ওদের জন্য মায়া দেখাচ্ছিলাম?”

—“আলবাত দেখাচ্ছিলে!”

আমার চোখ দিয়ে আগুন ঝরছিলো। ধ্রুব ভয় পাওয়ার ভান করে বললো,”তোমাকে ভয়ংকর দেখাচ্ছে নিশাত! তুমি কি আমার ওপর রেগে যাচ্ছো?”

এই মুহূর্তে ধ্রুব নাক বরাবর একটা ঘুষি মারতে পারলে আমার মাথাটা ঠান্ডা হতো। কিন্তু আফসোস সেটা সম্ভব না। পুরো সেন্টার ভর্তি লোকজন। এত লোকের সামনে ধ্রুবর নাক ফাটিয়ে নিজেকে ডাকুরানী প্রমাণ করার কোন ইচ্ছে আমার নেই। অতএব এইমুহূর্তে ওর পাশ থেকে সরে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমি উঠে যেতে নিলাম। ধ্রুব আমার হাত চেপে ধরে বললো,” এইমুহূর্তে আমার একটা গান মনে পড়ছে নিশাত। শোনাবো?
আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই গাইতে শুরু করল ও,
“তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়!
সে কি মোর অপরাধ?
হেরিতে তোমার রূপ-মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?”

শত চেষ্টা করেও একটু আগের সেই রাগ, ক্ষোভ, অভিমান ধরে রাখতে পারলাম না। হেসে ফেললাম। ধ্রুবও হাসলো। এক ঝটকায় আমাকে ওর পাশে বসিয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলল,”শান্তকে আর দোষ দিয়ে লাভ কি বলো? আমি নিজেও তো এর শিকার! ইট’স অল ইউর ফল্ট! তুমি এত সুন্দর কেন? হোয়াই আর ইউ সো বিউটিফুল ব্রো?” বলেই চোখ মারলো। আমি আলতো করে ওর হাতে চড় মেরে উঠে গেলাম। ও একটু চেঁচিয়ে উঠে বলল,”কোথাও যাচ্ছো? আশেপাশে কিন্তু অনেক সুন্দরীরা ঘুরঘুর করছে!” আমি ভেংচি কেটে বললাম,”তোমার দৌড় আমার জানা আছে।”
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here