নতুন তুই আমি পর্ব-২১

0
1882

#নতুন_তুই_আমি#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
!
পর্ব:-২১……………………….
{সিয়াম কিন্তু বুঝে গেছে তামান্না কেনো কাঁপছে😃}
সিয়াম অনুভব করতে পারছে তামান্নাকে।
গভীর ভাবে তার শরীরের কম্পনগুলোতেও হারিয়ে যেতে চাইছে।
তাই যেনো আরও নতুন ভাবে ছোঁয়ে দিলো তামান্না।
শাড়ির ভেতরে দিয়ে হাত রাখল এবার।সরাসরি পেটে একটা চাপ দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।
তামান্না নিজের পা দুটো গাড়ির ফ্লোরে মোচড়ে নিচ্ছে।চোখ দুটো তো অনেক আগেই বন্ধ করে নিয়েছে-যখন সিয়ামের ঠান্ডা হাত টা ওর পেটে পড়ল ঠিক তখন।
সিয়াম এক পাশে নয় শুধু কমড়ের অপর পাশের হাত টাও শাড়ির ভেতর দিয়ে ডুকিয়ে তামান্নার আরও কাছে চলে গেলো।
মিষ্টি একটা গন্ধ ভেষে আসছে তামান্নার চুল থেকে।
সিয়ামকে খুব টানছে….খুব করে উপভোগ করার বাসনা জেগে উঠেছে মনে।
এমন সুবাস!!আগে কখনো পায় নি সিয়াম।তাই নিজেকে সামলানো খুব মুশকিল হয়ে গেছে।
সিয়াম আচমকা তামান্না কমড়ে খুব জোরে একটা চাপ দিল।
ব্যথায় তামান্না চিৎকার করে উঠল,
“উওওও……”
আর নিজেকে সামলানোর শাড়িতে রাখা হাতটা সিয়ামের কাঁধে রাখল।
হ্যাঁ নিজের অজান্তেই তামান্নার হাত দুটো সিয়ামের কাঁধে চলে গেছে।
খুব শক্ত করে শার্ট টা আকড়ে ধরল তামান্না।
সিয়াম চেয়ে আছে তামান্নার দিকে।
কি মায়াবী চোখ!!!লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে গেছে।
গলার ভাঁজে চোখ পড়তেই সিয়াম আরও পাগল হয়ে গেল।কি ফর্সা গলা!!!তারউপর তরুণাস্থির কাঁপাকাঁপি খুব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
সিয়ামও নিজেকল আঁকটাতে না পেরে তামান্নার কমড়ের দু সাইডে সর্বশক্তি দিয়ে চেপে ধরে এবার।
ও হয়তো ভাবেই নি তামান্নার কমড়ে ওর হাত!! তা না হলে এতো জোরে ধরল না।কিন্তু তামান্নার নরম শরীর তো আর ভুলভাল সাই দিবে না।
এমন শক্ত হাতের চাপে
কি ব্যথা বোধ করবে না তা হয়!!!!তামান্না কুঁকিয়ে উঠলো একদম,
“আআআআওওওও……”
সাথে দুহাতে সিয়ামের শার্ট খাঁমচে ধরল আরও তীব্র ভাবে।
এই প্রথম এই শরীরে কোনো পুরুষ ছোঁয়ে দিচ্ছে।
তামান্নার মনে হচ্ছে পর শরীর বুঝি বরফের মতো গলে যাচ্ছে আজ।
মনের মাঝে সাইক্লোন হানা দিয়েছে।
আর পারছে না সে।মরে যেতে ইচ্ছা করছে এবার!!এতো গভীরভাবে ছোঁয়ে দিলে তো সে সত্যিই মরে যাবে।
কেনো এতো ভালো লাগছে??
এতো অসহ্যকর ভালো লাগা!!!
নিতে পারছে না আর তামান্না।
তাই ঝাপটে ধরল সিয়ামকে।
খুব শক্ত করে….পিঠের শার্ট পুরো আকড়ে নিলো।
বুকে মুখ লুকালো….সিয়ামের হৃৎস্পন্দনগুলো বুঝতে পারছে সে।
সিয়ামও জড়িয়ে ধরল।
সাথে কালো কেশে মুখও গুজে দিল।
চুলের ফাঁকে সিয়ামের গরম শ্বাসগুলো গলা,ঘাড় আর কানেও লাগছে তামান্নার।
তীব্র জ্বালা বয়ে যাচ্ছে প্রতিটি শিরা আর ধমনীতে।
সুখকর জ্বালায় মাতোয়াড়া হয়ে যাচ্ছে তামান্না।
সিয়াম ধীরভাবে তামান্নার চুলগুলো একপাশে সরিয়ে তামান্নার কম্পিত ঘাড়ে মুখ রাখল।পরশ আবেশে ভালোবাসার এক গভীর ছোঁয়া দিয়ে দিল।
চমকে উঠল তামান্না।
পুরুষের ছোঁয়া কি এমনি হয়!!!
এতো মরণঘাতী!!!!
সিয়ামের ঠোঁটের ছোয়ায় তামান্নার বুকে হাজারো বেলি ফুল ঝড়ে পড়ল।
মস্তিকের উষ্ম রক্তগুলো আরও উষ্ম হয়ে সারা শরীরে বয়ে যেতে লাগলো।
সিয়াম আর কিছু করল না।
সে ও তো প্রথম!!!
এতো কাছে থেকে কোনো নারীকে এই প্রথম এভাবে ছোঁয়ে দিচ্ছে।
তবে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না।
আরও আবেশিত করতে চাইছে মনটা।কিন্তু সিয়াম সে আর কিছু করল না তবে ছাড়তেও পারলো না খুব শক্ত করে মনপ্রিয়সীকে বুকের মাঝে শক্ত করে ধরে রাখলো।
তামান্নার চোখে পানি এসে গেছে।সে আজ খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে-সিয়াম তাঁকে ভালেবাসতে শুরু করেছে।না শুরু করেছে বললে ভুল হবে-সিয়াম তাঁকে ভালোবাসে।
আর সে নিজও সিয়ামের প্রেমে হাঁবুডুবু খাচ্ছে তা না হলে সিয়ামের স্পর্শগুলো উপভোগ করতে পারতো না সে।
হ্যাঁ ওরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছে।
দুজনেই বুঝতে পেরেছে।
কিন্তু কেউ কাউকে এখনো মুখ ফুটে বলে নি।
তবে দুজনের মনেই নতুন একটা ভালোবাসার ঢেউ খেলা করছে।
যে ঢেউ তাদের জীবনে নতুন একটা অধ্যায় সূচনা করবে।
ভালোবাসার নতুন সূচনা বয়ে আনবে তাদের জীবনে।
!
তামান্না সিয়ামের থেকে নিজেকে আস্তেতে করে ছাড়ানোর চেষ্ঠা করল।
সিয়ামও বুঝতে পেরে ছেয়ে দিল।
তামান্না ঠিক হয়ে বসে চুলগুলো ঠিক করে বাইরের দিকে তাঁকায়।এখন আর কোনো ভাবেই সিয়ামের দিকে তাঁকানো সম্ভব না তার পক্ষে।
সিয়াম তামান্নাকে এমন লজ্জা পেতে দেখতে মুঁচকি হাঁসল।
তারপর নজর ফিরিয়ে নিলে সামনের দিকে।
এই মেয়ে যা!!!তাঁকিয়ে থাকলে আবার কি না কি হয়ে যায়!!!!
ভেবে আবারও হাঁসলো সিয়াম।
সিয়াম গাড়ি চালাতে শুরু করল।এবার আস্তে নয় বেশ ভালোই জোরে চালাচ্ছে।
দশটার উপরে বাজে তামান্নাকে তো আবার বাসায় দিয়ে আসতে হবে।
কিন্তু তার আগে ডিনার টা করে নিতে চাইছে সিয়াম।
তাই একটু জোরে ড্রাইভ করে তার প্রিয় রেস্টুরেন্টের সামনে চলে এল।
তামান্না এতক্ষণ কথা না বললেও এবার বাইরে তাঁকিয়ে রেস্টুরেন্ট দেখে বুঝে নিল সিয়াম এখানে ডিনারের জন্য এসেছে।কারণ সিয়ামের মুড যখন খুব ভালো থাকে সে এখানে এসে পেট পুরে খায়।
তারপর আজও!!!তাই আর চুপ করে থাকতে পারলো না সে।বলল,
“রাত অনেক হয়ে গেছে তো….”
কথাটা মাথা নিঁচু করেই বলল তামান্না।সিয়ামের দিকে তাঁকাতে কেমন লাগছে ওর।তাই কোনো রকম কষ্ট করে বলল কথাটা।
সিয়াম স্বাভাবিক ভাবে বলল,
“হুম।ডিনার করতে আর কতক্ষণ লাগবে।চল…..”
বলে সিয়াম গাড়ি থেকে নেমে দাঁরায়।
কিন্তু তামান্না নামল না।
গাড়িতেই বসে রইল।
সিয়াম তামান্নার পাশের দরজা টা খুলে বলল,
“কি রে চল…….বাসায় তো আর একা যাবি না আমি দিয়ে আসবো তো।তাই না??”
তামান্না এবার তাঁকাল সিয়ামের দিকে।
কিন্তু কিছু বলল না।
সিয়াম বলল,
“কি হলো??নেমে আয় না….ক্ষুদা লাগছে আমার। ”
তামান্না সিয়ামের মুখের দিকে তাঁকিয়ে অসহায় ভাবে মাথা নাড়ে অসম্মতি জানল।
সিয়াম অবাক হয়ে বলল,
“মানে????”
তামান্না এবার মুখে বলল,
“আমি যাবে না…..”
“কেনো??”
“গাড়ির দরজা লাগা তুই……”
বলে তামান্না গাড়ির দরজা টা টেনে দিল।সিয়াম বেশ অবাক!!
সিয়াম জানালা দিয়ে তাঁকিয়ে বলল,
“আরে কি হলো??”
“যাবো না আমি।তুই খেয়ে আয়…..”
“তামান্না!!কি হচ্ছে??আমি একা ডিনার করবো বলে এখানে আসি নি…..”
“তাহলে চল আমাদের বাসায় ডিনার করবি আজ।”
“আজব!!তোর প্রবলেম টা কি??বল তো।এসেছি যখন ডিনার এখানেই করবো আমি….নেমে আয় তুই….”
সিয়াম আবারও দরজা খুলে দিল।
তামান্না গাড়ির ভেতরের দিকপ একটু সরে বসে বলল,
“সিয়াম,প্লিজ আমি যাবো না….”
“তামান্না!!!প্রব কি তোর ইয়ার??আমরা তো নতুন এখানে খাচ্ছি না।আগেও অনেকবার এসেছি।আজ না হয় একটু ডিনার করলি…..”
তামান্না মাথা নিঁচু করে বলল,
“না….”
সিয়াম রাগে চোখ বেটে আশেপাশে তাঁকাল।
তারপর গাড়ির দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে দিল।
তারপর নিজের সীটে বসে গাড়ি স্টার্ট দিল।
তামান্না বলল,
“রাগ করিস না প্লিজ।অন্য একদিন এসে ডিনার করবো…”
সিয়াম সামনের দিকে তাঁকিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগল।
কোনো কথা বলল না।
খুব রেগে আছে সে এই মুহুর্তে।
রাগবেই না কেনো??রেস্টুরেন্টে খেতে এসেও কেউ না খেয়ে চলে যায়!!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here