নতুন তুই আমি পর্ব-৪৩

0
1932

#নতুন_তুই_আমি#
💜💜💜💜💜💜💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜
!
পর্ব:৪৩…………………………….
আজ সকালে ভার্সিটি যাওয়ার জন্য বললে তামান্না সিয়ামকে বললো,
“আমি যাবো না।তুই চলে যা।”
কেনো জানতে চাইলে বললো,
“এমনি শরীর টা ভালো লাগছে না।তুই যা।নোট করিস সবকিছু।”
সিয়াম আর কিছু বলে নি চলে গেছে একাই।
তবে দুপুরের দিকে বাসায় ফিরে নৌশিনকে শুয়ে থাকতে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলো।
সত্যি সত্যি অসুস্থ নাকি!!
তা না হলে এই ভর দুপুরে এতো গরমে এসি বন্ধ!!গায়ে কম্বল!!!
সিয়াম পাশে গিয়ে বসলো।
তামান্না ঘুমাচ্ছে না।
সিয়াম কপালে হাত দিয়ে বললো,
“কি ব্যাপার??কি হয়েছে??”
তামান্না একটু নড়ে-চড়ে শুয়।
“কিছু না….”
“তাহলে শুয় আছিস যে??জ্বর নেই তো।এই গরমে কম্বল??”
“এমনি শীত লাগছে।
“তা তো দেখছি।কিন্তু কি হয়েছে??শরীর খারাপ লাগছে বেশী??”
“না তেমন কিছু না।”
“তাহলে???”
এমন সময় রাইয়ান ঘরে এলো।
দেখে মনে হচ্ছে বাইরে থেকে এলো।
সিয়াম বললো,
“কি রে কোথায় গিয়েছিলি??”
রাইয়ান বললো,
“একটু দোকানে গিয়েছিলাম ভাইয়া।”
সিয়াম আর কিছু বললো না ওকে।
তামান্নার আর একটু কাছে গিয়ে বললো,
“কি হয়েছে বল আমায়??”
রাইয়ান ঘরে আর সিয়াম ওর এতে কাছে তাই তাামান্না একটু সরে শুতে চাইলো।
তবে এতে যেনো ওর খগব কষ্ট হচ্ছে।
মুখ দেখে সেটা বুঝা গেলো।
সিয়াম বিষয়টা বুঝলো।
তাই রাইয়ানের দিকে তাঁকিয়ে বললো,
“রাইয়ান।ভাবীর তো শরীর খারাপ।তুই পড়ে আছিস ভাবীর কাছে।এখন যা রোমে।।”
রাইয়ান কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ওর ব্যাগটা তামান্নার পাশে রেখে চলে গেলো।
বলে গেলো,
“ভাবী এই যে ব্যাগটা রইলো….”
সিয়াম তাঁকিয়ে রইলো।
সিয়াম তামান্নাকে বললো,
“ব্যাগ রেখে গেলো কেনো??”
“এমনি।”
“আচ্ছা।ঠিক আছে।এবার বল কি হয়েছে??”
মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
“মাথা ব্যথা করছে??”
তামান্না কিছু বলছে না।
তবে বালিশে পানি দেখে সিয়াম বুঝলো তামান্না কেঁদেছে।
তাই প্রশ্ন করলো,
“কেঁদেছিস কেনো??”
“ধুর।তুই না।বলছি না কিছু হয় নি।শুধু শুধু এতো কথা।”
তামান্না এ কথায় রেগে যাবার মেয়ে নয়।
কিন্তু এমন কথা শোনে সিয়ামের মনে হলো ওর মন ভালো নেই।
তাই তামান্নার মুখের উপর মুখ এনে বললো,
“কেনো মন খারাপ আমার তামান্নুর??আমি কি জানতে পারি।”
তামান্না এবার আর রাগলো না।
বললো,
“নাহ্।মন খারাপ হয় নি।”
সিয়াম আধ শোয়া হয়ে কম্বলের উপর দিয়েই তামান্নাকে আলতো জড়িয়ে ধরে বলল,
“তাহলে??অভিমান??হুমমম??”
তামান্নার কেনো জানি খুব লজ্জা করছে।
সে কিছু বলতে পারছে না।
তবুও বললো,
“কিছু হয় নি সত্যি বলছি।”
সিয়াম ছাড়লো না।
বললো,
“উমহু।বিশ্বাস করলাম না।কিছু তে হয়েছেই।”
“না রে।তুই যা ফ্রো হয়ে নে।”
সিয়াম তামান্নার গালে গাল রেখে বললো,
“তোর যদি সত্যি ই খারাপ না লাগে তাহলে তুই আমার সাথে ওয়াশরোমে যাবি।এই গরমে ভার্সিটি থেকে এসে আমি ক্লান্ত।সাওয়ার নিবো।তুইও নিবি।”
“উমমম না।শীত লাগছে আমার।তুই যা প্লিজ।”
“শীত কেনো লাগবে যদি শরীর খারাপ না থাকে??”
“তেমন কিছু না ঠিক হয়ে যাবে।”
“তারমানে তোর শরীর খারাপ লাগছে??”
“একটু তেমন না….”
সিয়াম উঠে বসতে বসতে বললো,
“আচ্ছা তুই রেস্ট কর।আমি ডক্টর কে একটা ফোন করছি।”
তামান্না সিয়ামের হাত ধরে ফেললো,
“না লাগবে না।তেমন কিছু না তো।”
“তুই বললেই হলো??আমি দেখতে পারছি তো।চোখ-মুখ কালো হয়ে আছে।আম্মু বাসায় থাকলে না হয় সুবিধা হতো।এখন ডক্টর ছাড়া উপায় নেই।”
“ইশশশ।ডক্টর লাগবে না।কেনো বুঝিস না।”
“চুপ।”
সিয়াম ফোন নম্বর ডায়েল করতে যাবে সে সময় তামান্না বাধ্য হয়েই বলে উঠলো,
“আমি জানি কি হয়েছে আমার।ডাক্তার লাগবে না এজন্য।”
সিয়াম ফোন না করে তামান্নার দিকে তাঁকালো।বলল,
“কি হয়েছে??বল??ঔষধ আছে তোর কাছে??”
তামান্না চুপ করে আছে।
সিয়াম বললো,
“কি রে বল।না থাকলে বল কি ঔষধ আমি এনে দিচ্ছি।”
তামান্না আর একটু গুটিসুটি হয়ে শুয়।
বললো,
“পেট ব্যথা করছিলো একটু।কমে গেছে….”
“সেকি!!পেট ব্যাথা??কেনো??আম্মু ছিলো না তাই আমি খাইয়ে দিলাম।খালি পেট না যে পেট ব্যথা করবে।তোর কি ক্ষিদে লাগেছে??তাহলে কিছু তো খেয়ে নিতি পারতি।কাউকে বলে দিতেই পারতি।”
“আহ্ না।ক্ষিদে না।এমনি।”
“এমনি মানে তোর অল্প ব্যথা হয় নি।হলে তুই কাঁদতি না।এখনও ব্যথা আছে??আর সকাল থেকেই ব্যথা??”
তামান্না আবারও চুপ।
সিয়াম এবার একটু বিরক্ত হলো,
“কি আজিব!!কথা বলছিস না কেনো??”
সিয়াম বললো,
“ওকে। আমি রাইয়ানকে বলছি তোর কাছে বসতে আমি খাবার নিয়ে আসছি।তারপর ডক্টর আনছি।”
সিয়াম উঠতে নিয়ে তামান্না হাত ধরে ফেলে।
সিয়াম পেছন ফিরে বললো,
“কি হলো??”
“কিছু লাগব না তুই বস বলছি….”
সিয়াম বসলো।
বলল,
“কি??”
তামান্না বসতে চাইলো।
দুহাতে ভর করে উঠতে নিলে সিয়াম সাহায্য করল,
“তুই তো বসতেই পারছিস না!!”
তামান্না একটু কুকিয়ে উঠলো,
“উওও আল্লাহ্!!”
সিয়াম ঘাবড়ে গেলো,
“এই ব্যথা বেশী তো তোর।”
তামান্না সিয়ামের হাত চেপে ধরে রইলো।
বলল,
“এটা নরমাল।”
“মানে??”
তামান্নার লজ্জা লাগছে।নড়তে কষ্ট হচ্ছে তবও সে একটু এগিয়ে সিয়ামের খুব কাছাকাছি বসলো।
তারপর মাথা নিঁচু করে মিনমিন করে কিছু বললো।তবে সিয়াম বুঝলো না সেটা।
“কি বলছিস??শুনতে পারছি না??”
তামান্না সিয়ামের দিকে না তাঁকিয়েই বলল,
“বুঝে নে না…..”
সিয়ামের মাথায় কিছু ডুকলো না।
সে একটি চিন্তায় পড়ে গেছে তামান্নাকে নিয়ে তা না হলে এতক্ষণে বুঝে যেতো তামান্নার কি হয়েছে।
তাই সে হাবার মতো বলল,
“কি বুঝে নিবো??”
তামান্না এবার চোখ তুলে তাঁকালো,
“তুই বুঝেও কেনো এমন করছিস??আমার এমনিতে কষ্ট হচ্ছে তারউপর তুই কি শুরু করেছিস??”
“সত্যি বলছি।আমু বুঝতে পারছি না।কি বল??”
তামান্নার আর কিছু বলতে হলো না।
সিয়ামের মাথায় চট করে বিষয় টা ডুকে গেলো।
সে মুঁচকি হেঁসে তামান্নার দিকে তাঁকালো।
তামান্না মাথা নিঁচু করে বসে আছে।
সিয়াম তামান্নার মুখটা তুলে ধরে বলল,
“এই সামন্য কথা বলতে পারলি না আমাকে??”
“ধুর।সর…..শুবো আমি।”
“হুম তা সরবো।বেশী পেট ব্যথা করছে??”
“নাহ।একটু আগে বেশী করছিলো।এখন তুনামূলক কম।”
“ওহ্।মেডিসিন নিস কোনো??”
“না।প্রথম দিনই আমার একটু কষ্ট হয়।”
“তাই বলে মেডিসিন নিবি না??শরীর নিয়ে উঠতে পারছিস না তুই।”
“এমন তো একটু হবেই তাই না??”
“তাই বলে…..”
“হুম।আর মেডিসিন নিতে নেই বেশী এইসব ব্যথায়।”
“থামবি তুই??”
“সিয়াম!!!তুই না???”
“কি আমি।আমি ডক্টর আনবো এখন।”
“এই না।”
“হাত ছাড়…..”
“আরে তুই কি জানিস না পিরয়ডের ব্যথানাশক ঔষধগুলো মেয়েদের বেবী নেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতিকারক???”
সিয়াম ঝট করে তামান্নার চোখের দিকে তাঁকালো।তামান্না সাথে সাথে লজ্জায় চোখ বুঝে নিলো।
সিয়াম মঁচুকি হাঁসলো তামান্নার কথায়।
তারপর আর কথা না বাড়িয়ে বলল,
“আচ্ছা।তুই শুয়ে থাক।একদম উঠবি না।”
তামান্না বলল,
“ওয়াশরোমে যাবো একটু।”
তামান্না বিছানা থেকে নামতে চাইলো।
পড়ে যেতে যেতে নিতে চাইলো সিয়াম ধরে ফেললো,
“আস্তে।আমি ধরছি। ”
“ঠিক আছি আমি।লাগবে না।”
“চুপ কর।”
তামান্না বলল,
“প্লিজ….”
“নো প্লিজ।আমি নিয়ে যাচ্ছি চল….”
তামান্না ব্যাগ টা হাতে নিলো।
যেটা রাইয়ান রেখে গেছে।
সিয়াম বুঝল কেনো রাইয়ান দোকানে গিয়েছিলো আর কেনে নিজের ব্যাগ রেখে চলে গেলো।
সিয়াম ব্যাগ টা তামান্নার হাত থেকে নিয়ে বলল,
“ব্যাগ থেকে প্যাড টা বের করে নিয়ে গেলেই হয়।”
তামান্নার লজ্জা দেখে সিয়াম বললো,
“কি এমন বিষয়!!এটা লজ্জা পাওয়র কিছু না।আমিই তো….”
সিয়াম ব্যাগের চেইন খোলে প্যাড করে তামান্নার হাতে দিলো।বলল,
“পরের বার থেকে রাইয়ানকে দিতে আনাতে হবে না আমাকে বলবি।”
তামান্না মাথা নিঁচু করে বলল,
“হুম….”
সিয়াম তামান্না হঠাৎ কোলে তুলে নিলো।
তামান্না চকমে উঠে বলল,
“কি করছিস কি??”
“কোলে করে ওয়াশরোমে নিয়ে যাবো।”
“এই বলে এই অবস্থায়??”
“কি অবস্থা!!প্রেগন্যান্সি ক্ষমতার ধারকত্ব!!এটা তো নরমাল তাই না??”
তামান্না সিয়ামের বুঁকে মুখ লুকালো।
সিয়াম হেঁসে বললো,
“আচ্ছা!!তুই এতো লজ্জা পাস আমাকে।শোন না।।।।”
তামান্না তাঁকালো না।
সিয়াম বললো,
“তাঁকা প্লিজ।বিশ্বাস কর কিছু বলবো না।লজ্জাও দিবো না।তাঁকা।”
সিয়ামের কথায় বিশ্বাস রেখে তামান্না তার দিকে তাঁকালো।
সিয়াম তামান্নার চোখে চোখ রেখে মুঁচকি হাঁসলো।
তামান্না বললো,
“কি???”
সিয়াম হাঁসিমুখে বললো,
“যার সাথে সেক্স করতে পারিস তাকে পিরিয়ডের কথা বলতে পারিস না???”
ইশশশ কি বলে এই ছেলে!!
এই মুহুর্তে লজ্জায় তামান্নার মরমর অবস্থা।
লজ্জায় গাল দুটো লালা হয়ে গেছে তার।
সিয়ামের দিকে তাঁকাতেও ভয় হচ্ছে ওর।
সিয়াম হাঁসলো বললো,
“কি লজ্জা!!!আহা!!সেক্সী গার্ল বাট শাই।আই লাইক ইট….”
তামান্ন সিয়ামের বুকে মুখ লুকিয়ে সিয়ামের শার্ট আকড়ে ধরলো।
!
একটা দিন সিয়াম তামান্নাকে যতটা কেয়ার নেওয়া দরকার তার চেয়ে বেশী নিয়েছে।
তামান্না না বলা সত্বেও শুনে নি।
আজ তামান্না সুস্থ।তাই আজ সিয়ামের আগে ঘুম থেকে উঠে সে।এতদিন সকালে টের-ই পায় নি।
নামায না থাকায় তাড়াও ছিলো না।আজ নামায পড়বে নিয়ত করে শুয়েছিলে তাই আযান শোনেই ঘুম ভাঙে ওর।
উঠতে যাবে তবে সিয়াম ওকে জড়িয়ে ধরে আছে।
সিয়াম না ছাড়লে কি করে ধরবে!!!
সিয়ামের হাত রা সরাতে গেলে সিয়ামের ঘুম ভেঙে যায়।
সিয়াম ঘুম ঘুম চোখে বলল,
“কি??”
“কিছু না।একটু ছাড়।উঠবো।”
“কেনো??”
“আযান দিয়ে দিয়েছে।”
“নামায পড়তে পারবি আজকে??”
“হ্যাঁ…..”
“ও…..”
“হুম।ছাড়।”
সিয়াম হাঁসলো।বলল,
“কেবল তো আযান দিলো।নামাযের সময় আর একঘন্টা।দুজনে উঠেই গেছি যখন।তখন একটু….”
“এই না ছাড়….সাওয়ার নিয়ে নামায পড়বো আমি।”
“আমি তো রাতে কিছু করি নি।তাহলে??”
“আর ফ্রেসে হয়ে নামায পড়লাম এই টুকু ই তো।”
“আচ্ছা পড়িস।আগে একটু….
সিয়াম তামান্নার উপর শুয়ে পড়ল।
ঠোঁট ঠোঁট রেখে তলিয়ে গেলো ভালোবাসার নেশায়।
তামান্না বাঁধা দিলও কাজ করলো না।বরং সিয়ামের শরীরের নেশায় তামান্নার নেশা ধরে গেলো।
তার শরীরও সাড়া দিতে লাগলো সিয়ামের শরীরের সাথে।
সিয়ামের হয়তো এই কিছুদিনের বাঁধা টা ঘুচে গেছে।আজকে এই মুহুর্তে সে চাইলে সে পরিপূর্ণ রূপ তার সহধর্মিনীকে পেতে পারে।
তাই সে যেনে বড্ড বেশী উন্মাদনায় মেতে উঠলো।
কাঁধ থেকে শাড়ি টা সরিয়ে মুখ গুঝলো তামান্নার নরম শরীরে।প্রতিটা অঙ্গে নিজের ভালোবাসার বিষ ঢেলে দিতে লাগলো।
পায়ে পায়ে ঘর্ষণ পেডিকোট টাও উপরের দিকে তুলে নিচ্ছে নেশাতুর সিয়াম।মাতাল দুটো খেলা করে যাচ্ছে সারা শরীরে।
তামান্নার শরীরের কম্পনগুলো আরো যেনো পাগল করে তুলেছে তাঁকে।
তাই সে আর আটকে রাখে নি নিজেকে মনের সাথে সাথে নিজের শরীরের চাহিদা টাও পুষিয়ে নিতে লাগলো।
সাথে তামান্নাকেও ভাসিয়ে নিয়ে গেলো স্বর্গীয় সুখে।
যেখানে তামান্নার শরীর মন দুটোই মহাসুখে ভেসে বেড়াচ্ছে।
!
সকাল হয়ে গেছে ভালো ভাবেই।সিয়াম তামান্নার বুকে শুয়ে এখনো।
তামান্না ঘড়িতে দেখলো সাত টা বেজে গেছে।
তাই সিয়ামকে বলল,
“সর না একটু…..”
“উমমমমমহু….”
“প্লিজ….”
“উমহু।শুয়ে আছি তো।”
“সাওয়ার নিতে হবে।”
সিয়াম মুখটা তুলে বলল,
“ছাড়তে ইচ্ছা করছে না।আচ্ছা তামান্না,আল্লাহ কি এজন্যই পুরুষ নারীর বিয়ের ব্যবস্থা করছে??”
তামান্না লজ্জা পেলো,
“যাহ।সর….”
সিয়াম সরলো না।বললো,
“আল্লাহ্র কি মহিমা।দেখ তুই একটা নারী।তোর শরীর জোরে কত কমলতা।আর আমি পুরুষ লোহার মতো শক্ত শরীর।কি সহজে তোর শরীর টা ঘায়েল করতে পারি আমি।এতে দুজনের কত সুখ-কত শান্তি।দুনিয়ার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সুখ আল্লাহ এই যৌনতায় দিয়ে দিয়েছে।”
“সর তো আমি উঠবো।”
“এই চুপ।তা না হলে কিন্তু….”
সিয়াম তামান্নার বুকে একটা কামড় দিলো।
“আওও….”
“হুমম এভাবে কামড়ে শেস করে দিবো কিন্তু।”
“ইশশশ!!”
“হুম।”
“আচ্ছা বেশ উঠলাম না।”
“গুড।”
“হুম।সত্যিই জানিস একটা মেয়ে কতটা গভীরভাবে নিজেকে তৈরী করে তার সহধর্মিনীর জন্য!!অনেক বছর ধরে আগলে রাখা নিজের সেরা সম্পদ টা সে কোনো পুরুষের কাছে সমর্পণ করে দেয়।অনায়াসে,কি অবলীলায়।এতেই না নারীর শ্রেষ্ঠ সুখ।যে সুখে আমিও সুখী।জানিস তোর সমস্ত যোগ্যতা আমার বাবা-মায়ের চায়।কিন্তু আমার কি চাই জানিস??তোকে।সব মেয়েদের ক্ষেত্রেও এমন তারা স্বামীর কাছে এই সুখ টায় চায়।”
সিয়াম আরো গভীর ভাবে আকড়ে ধরলো তামান্না। বলল,
“এটাই তো মহাসত্য।একটা নারী আর পুরুষের সম্পর্কটা শুধু মন দিয়েই সম্পর্ণ হয় না।সে পরিপূর্ণতা আসে শরীর+মন মিলিয়ে।”
“হ্যাঁ হ্যাঁ।জানি।এবার ছাড় না প্লিজ।”
সিয়াম তামান্নার ঘাড়ে মুখ গুজে বলল,
“ছাড়তে মন চায় না।”
তামান্না ফিসফিস করে সিয়ামের কানে বলল,
“পালিয়ে তো যাচ্ছি না।”
সিয়াম মুঁচকি হাঁসলো তামান্নার কথায় বলল,
“জানি তো।”
“হুম।তাহলে ছাড়ছো না কেনো???”
সিয়াম চমকে উঠলো।
মুখ তুলে বললো,
“কিহ কি??”
তামান্না বুঝছে সিয়াম কেনো এটা বলল।সে হাঁসি মুখপ জবাব দিলো,
“আমি আর তুই করে ডাকতে পারবো না।তুমি করে বলবো।”
সিয়ামের বুঁকে শব্দ টা তীরের মতো লাগলো।ও যদি জানতো তামান্নার মুখের ‘তুমি’ শব্দে এতো মায়া এতো ভালোবাসা জড়ানো থাকবে তাহলে তো আরো অনেক আগেই সে……
সিয়াম বললো,
“আবার বলবি প্লিজ।কি বলে বলবি??”
তামান্না মুঁচকি হেঁসে বললো,
“হাসবেন্সকে তুই ডাকা ঠিক না।তুমি করে বলবো।”
সিয়াম তামান্নার কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল,
“ভালোবাসি।আই লাভ ইউ সে মাচ…..সো মাচ…..”
তারপর তামান্নার দিকে মুঁচকি হেঁসে বলল,
“আজ যদি এই বাক্যটার উত্তর আমি না পাই তাহলে কখনোই ছাড়বো না তোকে।”
তামান্না চমকে গেলো।
আজ পর্যন্ত সে কখনো এই কথার উত্তর মুখ দেয় নি সে।
সিয়াম কত জোড় করছে বলার জন্য তবুও কাজ হয় নি।
সিয়াম আজও জোড় করছে।
তবে তামান্না বলতেই পারছে না।
“বল তা না হলে সারা দিন এই রোম থাকতে হবে তোকে।”
তামান্না অসহায় মুখ করে বলল,
“প্লিজ ছাড়ো।”
“উমহু।তোর শাশুড়-শাশুড়ী-ননদ আজ সারা দিন দেখবে তাদের বাড়ির বউ সারাদিন তাদের ছেলেকে নিয়ে শুয়ে শুয়ে আদর করছে। ”
“প্লিজ….”
প্লিজে কাজ হবে না…..বলতে হবে।বল ‘সিয়াম,হে প্রিয়তম আমি তোমাকে ভালোবাসি.’।”
তামান্না হাঁসলো বলল,
“বলবো তো।”
“সিয়াম বলল,
“আজ। এই ভাবে তোকে বলতে হবে।এই বিছানায় আমার বুকের উপর শুয়ে তুই বলবি আমাকে।”
সিয়াম তামান্না নিজের বুকে টেনে নিলো,
“বল না।প্লিজ বল….”
তামান্না মনে মনে অনেক সাহস সঞ্চয় করে বলল,
“আমি…..”
সিয়াম উৎসাহিত হয়ে বলল,
“হুম হুম।বল….”
তামান্না এবার ঝট করে বলে ফেললো,
“আমিও তোমাকে ভালোবাসি।খুব খুব…খুব…..”
সিয়াম পরমান্দে চোখ বন্ধ কর তামান্নাকে তার বুকের ভেতরে ডুকিয়ে নিলো।
তামান্না লজাক হাঁসি হেঁসে ছোট্ট বিড়ালের মতে সিয়ামের বুকে গুটিসুটি মেরে শুয়ে রইলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here