নানান বরণ মানুষ রে ভাই পর্ব-৩

0
1218

নানান বরণ মানুষ রে ভাই
তৃতীয় পর্ব
বড় গল্প
নাহিদ ফারজানা সোমা

আম্মুর পছন্দের হাসপাতাল এবং ডাক্তার নির্বাচন করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বিল দেওয়ার সময় আম্মু নেই। দুলাভাই বিশাল অংক শোধ করলেন। আম্মু দিতে চাইলেও দুলাভাই টাকা নিতেন না,আমার স্হির বিশ্বাস। কিন্তু আব্বু-আম্মু মুখে একটু বলবেন তো?

আমি ভেবেছিলাম বাবুকে প্রথম কয়েক মাস আমাদের বাসায় রাখা হবে।হোলো না। আম্মু ব্যস্ত মানুষ, চাকরি বাকরি করেন, সামনে আমার ভর্তি পরীক্ষা, আপাও খুব ভালো জানে কোন্ বাড়িতে গেলে হাত-পা ছড়িয়ে, নিজের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে হেসে খেলে থাকা যাবে।

বাবু চলে গেলো তার নিজের বাড়ি। আব্বু-আম্মু প্রতিদিন অফিস ফেরত মেয়ে আর নাতনিকে দেখতে যান। মেজ আপাও যায় প্রতিদিন। প্রায়ই মেজ দুলাভাইও আপার সঙ্গী হন। আমাকে সপ্তাহে দুদিন যেতে দেওয়া হয়। বড়জোর ঘন্টা দুয়েকের জন্য। ঐ দুদিন বাড়তি পড়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হয়।ছোট বেলা থেকে আমার ইচ্ছা ছিল ইন্জিনিয়ার হওয়ার। অংক খুব ভালো লাগতো। আম্মু সোজা না করে দিলেন। ডাক্তার হতে হবে। আম্মুর কথার উপর কোনো কথা নেই। কেন যে এই ডাক্তার প্রীতি কে জানে?

একদিন সন্ধ্যায় মেজ আপা এলো। আব্বু-আম্মু বড় আপার বাসায়। তবে তাঁদের ফেরার সময় হয়েছে। দুই বোনের জড়াজড়ি, আবেগ প্রকাশ শেষ হলে মেজ আপা বললো,” আব্বু-আম্মুর কাজ কর্ম দেখলে এতো লজ্জা লাগে। টাকা পয়সাতো কম নেই, আপার বাসায় প্রতিদিন খালি হাতে যায়।বাবুর জন্য কয়েক সেট নিমা-ন্যাপি কিনে দিয়েছে, সেটাই বারবার সবাইকে শোনানো। এই রিতু, আমি যে দিয়েছিলাম, ঐ নিমাগুলো কইরে?ওগুলো পরাবি, ওগুলো সফট,কোয়ালিটি খুবই ভালো। মাঝেমধ্যে আপার জন্য মাদারস হরলিক্স নিয়ে যায় কি ওভালটিন নিয়ে যায়,সেই নিয়ে হৈ হৈ রৈ রৈ কান্ড। রীতু, তোর জন্য হরলিক্স এনেছি, এখন এক কাপ খা।এই মেয়ে,তোমার ম্যাডামের জন্য হরলিক্স বানিয়ে আনো। পানি আবার আগুন গরম কোরো না। কি রে রীতু,সারাদিন খাসনি?চোখ মুখ বসে গেছে। এটাতো বাপের বাড়ি না মা,এখানে কেউ তোমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিবে না।নিজের ভালো নিজেকে বুঝতে হবে। ল্যাকটেটিং মাদারের কত যত্নের দরকার হয়। রীতু,স্যুপ এনেছি। খাও তো মা।এইসব কথাবার্তা। বিশ্বাস কর্, আব্বু-আম্মু শুধু
মাত্র আপার মতো করে খাবার নিয়ে যায় মাঝেমধ্যে। বাড়িতে তো আরও কতো মানুষ আছে।রোজ না হোক,মাঝেমধ্যে তো কিছু নেওয়া যায় সবার জন্য। ওরা ভদ্রলোক। এগুলো গায়েই মাখে না। প্রতিদিন হরেক রকম নাশতা খাওয়ায় আব্বু-আম্মুকে। আপার খাওয়া-দাওয়ার যা যত্ন নেয় দুলাভাই আর আপার শাশুড়ি -জা, তা আর কি বলবো?তারপরেও কুটুর কুটুর করে আব্বু -আম্মুর কাছে আপার নালিশ। তার যত্ন নেওয়া হয়না,রাতের পর রাত ঘুমাতে পারে না,বাবুর যত্ন ঠিক মতো হয় না,আরও কতো কি! অথচ বাবুকে গোসল করায় তিথি ভাবী, ডায়াপার চেঞ্জ করে চাচী-ফুপুরা, ঘুমও পাড়ায় তারা, রাতে কান্নাকাটি করলে দুলাভাই, উনার বাবা-মা-ভাই-ভাবী সবাই মিলেই সামলায়। একজন মেইড শুধু মাত্র আপা আর বাবুর জন্য ই। আর কি চায় আপা? মাঝেমধ্যে আল্লাহ্কে নালিশ করি,আল্লাহ তুমি বেছে বেছে এদেরকেই আমার বাপ-মা-বোন বানালে?তোর কথা বলিনি কিন্তু।”

“মেজ আপা,তোমার শ্বশুর -শাশুড়ি কেমন?”
“ভালো।”

কথাবার্তার মধ্যেই আব্বু-আম্মুর আগমন।

“কি রে নীতু,তুই এখানে?আজকে রীতুর বাসায় না দেখে ভাবলাম,লাইব্রেরিতে গেছিস বোধ হয়। পড়াশোনা কি টঙে উঠিয়ে রেখেছিস?”

“পড়ি আম্মু।”
“কোথায় পড়িস?এটাকে পড়া বলে? ক্লাস থ্রির বাচ্চাওতো এর থেকে বেশি পড়ে।”

” আম্মু,লেখাপড়ার প্রসঙ্গ থাক। আজ আসো,সবাই মিলে একটু গল্পগুজব করি,একসাথে খাই। আমার মনটা ভালো না।”

” মন ভালো হবে কিভাবে? করো অসময়ে বিয়ে! বেকার জামাই,নিজে বেকার, দাপুটে শ্বশুর -শাশুড়ি, ভালো লাগবে কি করে? শ্বশুর -শাশুড়ির যতোই থাক্, নিজের আর স্বামীর উপার্জন না থাকলে তাদেরকে ফকির -ফকিরনি বলে। ভালোর জন্য বলছি,মন দিয়ে পড়ো,ট্রেনিং করো,ভালো ভাবে পাশ করে বড় চাকরি করো। জামাইকেও বলো। প্রতিদিন রীতুর বাসায় যাওয়ার দরকার কি?বাচ্চার জামাকাপড় তুমি কাচো কেনো? ফিডার তুমি ফুটাও কেন?ওখানে লোক নেই? ”

” আপা খুব অন্যায় করেছে আম্মু। কেন বাবুকে বাইরের খাবার দেয়া শুরু করলো?”

“সেটা তার ব্যাপার। রাতে তার ঘুমের দরকার নেই? ফিডার না খেলে তো একটু পরপর ট্যাঁ ট্যাঁ। ওদের কথা তোমার ভাবা লাগবে না, দয়া করে ডিউটি করো আর লাইব্রেরিতে পড়ো। ”

“ঠিক আছে আম্মু। আসি।আব্বু আসি।”

“সে কি! খেয়ে যাবি বললি না?”

“পেট ভরে গেছে। এখন আর খাওয়ার ইচ্ছে নেই। ”

“রাগ দেখিওনা। রাগের কি বললাম? তুমি যে স্টাইলে চলছো,তাতে পাশ করতে পারবে মনে হয়? সেই কথা যদি স্মরণ করিয়ে দিই,ওমনি রাগ হয়ে যাবে? খেয়ে যাও। আর এই যে ছ্যাঁচড়া মেয়ে, সন্ধ্যা থেকে একফোঁটা ও পড়োনি বোধ হয়, ঢাকা মেডিকেলে চান্স যদি না পাও,গায়ের চামড়া খুলে নিবো।”

মেজ আপা তার ব্যাগ তুলে নিলো।

” দই আর আম এনেছি। খেও। বুবলি, যাই, নিজের খেয়াল রাখিস। ”

আব্বু বললেন,” আরে, কোথায় যাস? খেয়ে যা।”

আম্মুও বললেন,”নীতু, আসো,খেতে বসো।”

মেজ আপা শুনতেই পায়নি এমন ভাব করে চলে গেলো।

আমি প্রার্থনা করতাম যেন ঢাকার বাইরের মেডিকেলে চান্স পাই। তাহলে ঐ যে হোস্টেলে যাবো,সহজে আর বাসায় আসবো না। খোলা বাতাসে শ্বাস নিবো, গ্রুপ করে লেখাপড়া করবো, রিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়াবো, ছবি আঁকাবো, আর আবার বাঁশি বাজানো শুরু করবো। আমি খুব ভালো ছবি আঁকতাম। যখন ছোট ছিলাম,ড্রইং ক্লাস হতো, তখন ছবি আঁকলে আম্মু তেমন কিছু বলতেন না। তবে এ ধরণের কথা বলতেন, “এবারে তোমাদের পরীক্ষায় আসবে বেগুন আর কাপ পিরিচ। তুমি বসে বসে দৃশ্য আঁকছো?কেন খামাখা সময় নষ্ট করো?”

আমার আঁকা ছবি যে দেখতো, সেই মুগ্ধ হয়ে যেতো। উঁচু ক্লাসে উঠলাম,ছবি আঁকতে দেখলেই আম্মু রেগে যেতো। “এসব ছাইপাশ না এঁকে জ্যামিতি করো,বায়োলজির ছবি আঁকো। আমি বুঝিনা তোমরা এতো
এইমলেস কেন?তোমাদের মধ্যে অ্যাম্বিশন নেই কেন?” ছোট মামা একবার বলেছিলেন, “এই মেয়ে লেডি পিকাসো হবে।না,না, পিকাসোর থেকেও অনেক বড় শিল্পী হবে। বুবলি,তুই ছবি আঁকা বন্ধ করিস না। ” আম্মু কড়া গলায় বলেছিলেন, “ওদের ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত নিবো। ওরা গাইবে না নাচবে,ছবি আঁকবে না মূর্তি বানাবে,সব চিন্তা আমার। তুই নিজের ছেলেপিলের চিন্তা কর।” তার কয়েকদিন পরে সন্ধ্যা বেলায় আমাকে ছবি আঁকতে দেখে আম্মু আমার যতো ড্রইং খাতা ছিলো, যতো স্কেচ ছিলো, সব ছিঁড়ে কুটিকুটি করে ফেললেন। রংতুলি, রং পেন্সিল যা কিছু ছিল সব বাসার বাইরে ছুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দিলেন। এরপর হতে এ পর্যন্ত একটা ছবিও আঁকিনি।ভয়ে নয়, কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতির জন্য, সেই সাথে সীমাহীন ক্লান্তি আর অবসাদ। বাঁশি বাজানো শিখেছি আমার এক বান্ধবীর কাছে, কলেজ শেষে শিখতাম, আব্বু-আম্মু অফিসে থাকতেন যখন।

বাবুনির বয়স যখন চারমাস হলো,আপা ঘোষণা দিলো, উচ্চতর পড়াশোনার জন্য সে ইংল্যান্ড যাবে। বাবুকে রেখেই। অনেকখানি কাজ এগিয়ে গেছে। মাস দু-একের মধ্যে সে উড়াল দিবে।

আমরা আকাশ থেকে পড়লাম। আপা দুলাভাইকেও কিচ্ছু বলেনি। আব্বু-আম্মু ছাড়া সবাই বেঁকে বসলো। দেশী উচ্চতর ডিগ্রি আছে,বিদেশি ডিগ্রি আরও পরে নেওয়া যাবে।এতো তাড়াহুড়োর কিছু নেই। বাবুনি একটু বড় হোক।

কিন্তু বড় আপা তার সিদ্ধান্তে অনড়। দুলাভাইকে এবারে এতো রেগে যেতে দেখলাম।

” তোমার সব স্বেচ্ছাচারিতা সহ্য করেছি এতোদিন। তোমার মতো নির্বিঘ্নে পড়াশোনা,চাকরি আর কোনো মানুষ করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। মানুষ বললাম এই কারণে যে একজন ছেলেকেও চাকরি করে, চেম্বার করে লেখাপড়া করতে হয়, মেয়েদেরকে ও তাই। কতো মেয়ের কতো গল্প শুনি, নিজের চোখে আমার বোন-ভাবীদের স্ট্রাগল দেখেছি, তোমাকে কি করতে হয়েছে? সংসারে সবাইকে হাত লাগাতে হয়, অল্প হোক,বেশি হোক,তোমাকে হয়েছে? তোমার খাবার সবসময় রেডি থাকে,সেই বিয়ের পর থেকেই, তুমি রেডিমেড খাবার খাও, তোমার কাপড় জামা কাচা,আয়রন করা, গুছিয়ে রাখা সব পাখি করে দেয়। তোমার চিরুনিটা পর্যন্ত অন্য মানুষ পরিস্কার করে দেয়। তোমার টিফিন মা বা ভাবী রেডি করে দেয়।তোমার বিছানা অন্য মানুষ করে দেয়,তোমার ঘর-দুয়ার আরেকজনে গুছিয়ে দেয়। তোমার বাচ্চাকে পর্যন্ত আমার বাপ-মা,ভাবী মানুষ করে দিচ্ছে। মেয়েটাকে ব্রেষ্ট ফিডিং করাওনি বললেই চলে। দুধ বানানো,ফিডার ফুটানো, গোসল করানো, ন্যাপি পরিস্কার করা, কান্না থামানোর চেষ্টা করা, কোনটা তুমি নিজের হাতে করেছো বলোতো? মেয়েতো তোমার কাছে বেশি থাকেই না, হয় আম্মার কাছে না হয় ভাবীর কাছে, নইলে পাখির কাছে আর রাত জাগার জন্য আমিতো আছিই। তুমি আমাদের বাড়ির জন্য কি করেছো বলোতো? আমার বোনরা আসলে ঘরের মধ্যে ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকো, আম্মা মাঝেমধ্যে মাথা ব্যথায়,বমি করে নেতিয়ে থাকে, একেতো বাসাতে থাকোনা বললেই চলে,থাকলেও ডাক্তার বৌ একটু শাশুড়ির পাশে যেয়ে বসো না,না বললে প্রেশার মেপে দাওনা। কখনো খেয়াল করে দেখোনি,আব্বা-আম্মা কি খাচ্ছেন, তাঁদের কি দরকার। তাঁদের সাথে দুদন্ড গল্প করার অবসরটা পর্যন্ত তোমার হয়ে উঠেনি। আমরা তো এটা চাইনি যে আমাদের বৌরা হাঁড়ি ঠেলবে, ঘরের সব কাজকর্ম করবে, আমরা শুধু চেয়েছি, আমরা সবাই মিলেমিশে থাকবো, বৌরা আমাদের বাপ-মাকে সম্মান করবে কারণ সম্মান পাওয়ার কাজ তাঁরা করেন, তাঁদেরকে একটু হলেও সময় দিবে, আমরা বৌদের ভালোবাসা দিবো, সম্মান দিবো, তারা সেটার মূল্যায়ন করবে। কিন্তু তুমি শুধু নিতেই জানো,নিয়েই যাচ্ছো,দিতে জানোনা কিছুই। নিজের সন্তানকে পর্যন্ত না।”

আম্মু বললেন,”ডাক্তারদের লাইফ অন্যদের থেকে আলাদাই হয়। এজন্য ই আমি চেয়েছিলাম, রীতুর বিয়ে ডাক্তারের সাথে হোক।তাহলে স্বামী তার স্ত্রী কে বুঝতে পারবে।”

আপার শাশুড়ি বললেন,”আপনি থামুন। আপনার অনেক বড় বড় লেকচার আমরা এতোদিন চুপ করে শুনেছি। লেকচারই দিতে পারেন,কাজের কাজ কিছু পারেন না। মেয়েকে ডাক্তার বানিয়েছেন, মানুষ বানাতে পারেন নি। এতোটুকু বাচ্চা রেখে মা পড়তে বিদেশ চলে যাবে, আপনি কেমন করে এটা সাপোর্ট করেন? পড়াশোনার সময়তো পালিয়ে যাচ্ছে না। বাচ্চা একটু বড় হোক।”

বড় আপা ফোঁস করে উঠলেন,”বাচ্চাকে নাকি আমি দেখিই না? তাহলে আমাকে বাচ্চার দরকার কেন? আর বাচ্চা কতো বড় হলে আমার ইংল্যান্ড যাওয়াটা জায়েজ হবে? আমি ইংল্যান্ড যাবো এটাই ফাইনাল।”

আম্মু বললেন,”আমিও তাই মনে করি। বড় কিছু হতে হলে ছোট খাটো স্যাক্রিফাইস করতে হয়। বাবুকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি রীতুই ভালোবাসে। বাচ্চাকে ছেড়ে থাকতে তার কম কষ্ট হবে না। তারপরও সে হায়ার ডিগ্রির কথা ভাবছে। আর আমরা ওর উপরে উঠতে চাওয়ার ইচ্ছাকে কতোটা অসম্মান করছি, কতো আজেবাজে কথা বলছি।”

দুলাভাই ঠান্ডা গলায় বললেন,”ঠিক আছে। আপনারা যা ইচ্ছা তাই করুন। আর নাতাশাকে আপনার কাছে নিয়ে যান। নাতনির কিসে ভালো হবে, কি খাওয়াতে হবে, আমাদের বাসায় বাবুর কেয়ার ঠিক মতো নাকি হয়না, পানি বোধ হয় ঠিক করে ফুটানো হয়না, ফিডার নোংরা থাকে, বাবুকে নিয়ে এমন অনেক দুশ্চিন্তাতো মা-মেয়ে সমানে শেয়ার করেছেন, নানা জ্ঞান গর্ভ উপদেশ দিয়েছেন, আপনার মেয়ে বাইরে চলে গেলে নাত্নিকে আপনার কাছে নিয়ে রাখুন। নানীর কর্তব্য পালন করুন। ”

“নাতি-নাতনি পালা নানীর অবশ্য কর্তব্য নয়।”

“ঠিক বলেছেন। কিন্তু কিছু না করে বসে বসে উপদেশ দেওয়া, নাতনির দাদার বাড়ির ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সমালোচনা করা, মেয়ে-জামাইএর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানোও কিন্তু কারোর অবশ্য কর্তব্য হতে পারে না।”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here