নীল চিরকুট’ পর্ব-২২

0
4059

# নীল চিরকুট
# লেখনীতে- নৌশিন আহমেদ রোদেলা

২২.

ঘন্টাময় শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থেকে ভাবতে লাগল তার সংগ্রামী জীবনের কন্টকাকীর্ণ পথটার কথা। এই নীরার নীরা হয়ে উঠার গল্পটা কী আদৌ খুব সহজ ছিল? এইচএসসি পরীক্ষার পর বাবা যখন হুট করেই মারা গেলেন নীরা তখন বুঝে গিয়েছিল জীবনের সংগ্রামময় অধ্যায়ের কথা। টিকে থাকার লড়াইয়ের কথা। সরকারি অফিসের খুব সাধারণ একটা কর্মচারী ছিলেন বাবা। মাসিক বেতন কতই বা হতো তাঁর? তবুও নীরা জানত, বাবা আছেন। বাবার দীর্ঘ পরিশ্রমের গল্প জানে না নীরা। শুধু জানে, বাবা তাদের ইচ্ছেগুলো নরম পদ্মের মতো আগলে রাখতেন। পূরণ করতেন। চারপাশের জীবনটাকে রূপকথার মতোই সাজিয়ে তুলেছিলেন বাবা। রূপকথার সেই দেয়ালে সত্যিকারের দুঃখগুলো, সংগ্রামগুলো চোখ মেলে দেখার সুযোগই হয়নি নীরার। নতুন উড়তে শেখা পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে বেরিয়েছে রঙিন দুনিয়ায়। বাবার মৃত্যুতে হঠাৎই খসে পড়ল সেই দেয়াল। তিন সন্তান নিয়ে স্বামী সম্বলহীন মা পড়লেন অথৈ জলে। নীরার ভাই তখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ছোট বোনটা এসএসসি পরীক্ষার্থী। সংসারে টাকা রোজগার করার মতো মানুষ তখন এক ভাইয়া-ই ছিল। সেই ভাইও কাজ-কর্মহীন বেকার। পড়াশোনা শেষ হয়নি। অনার্সের সার্টিফিকেট পর্যন্ত হাতে জুটেনি। এই কঠিন দুনিয়ায় ডিগ্রীবিহীন ছেলের চাকরী পাওয়াটা কী খুবই সহজ? নীরা বুঝেছিল, সহজ নয়। এই অন্ধকার দুনিয়ায় ফ্রীতে এক গ্লাস পানি পেয়ে যাওয়াটাও সহজ ব্যাপার নয়। প্রথম প্রথম খুব একটা সমস্যা না হলেও মাস দুয়েকের মাঝেই পৃথিবীর উৎকট, রংহীন জীবনটা কড়া নাড়ল দরজায়। বাবার প্যানশনের টাকা ছিল মাসিক মাত্র আট হাজার টাকা। কাগজ-পত্রের কিছু ঝামেলায় সেই টাকা হাতে পেতেও আরও সাত-আট মাসের ব্যাপার। বাবার রেখে যাওয়া কিছু ঋণ। অফিসে প্যানশনের জন্য দৌড়াদৌড়িতে হাতে থাকা জমানো টাকাগুলোও চোখের পলকে বেরিয়ে গেলো। ভাড়া বাসায় বাড়ি ভাড়ার জন্য তাগদা পড়তে লাগল। সহায়সম্বলহীন মানুষের ঢাকা শহরে ভদ্র এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকাটা নিতান্তই বিলাসিতা মনে হয়েছিল তখন। চাচা-মামাদের থেকে ধার-টার নিয়ে বাসা ভাড়াটা কোনোরকম পরিশোধ করেই ঢাকার বাসাটা ছেড়ে দিলেন মা। তিন সন্তানকে নিয়ে ছুটলেন গ্রামের বাড়ি। কিন্তু সেখানেও বাঁধল ঝামেলা। মুখোশধারী সহোদররা এবার মুখোশ খুলল। বাবার অবর্তমানে ভাইয়ের ছেলে-মেয়েদের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়িত্ব দেখালেন না তারা। উপরন্তু অধিকার হরণের চেষ্টা করে গেলেন একের পর এক। বাবা যে দুনিয়াটা দেখিয়ে গিয়েছিলেন সেই দুনিয়ার বাইরে এসে গোটা পরিবার যেন দিশেহারা হয়ে পড়ল। কি অসহায়, কি যন্ত্রণাময় কেটেছিল সেই রাতগুলো! এমন একটা অবস্থা এসে দাঁড়াল যে ভাইয়ের সেমিস্টার ফি দেওয়ার সামর্থ্যটা পর্যন্ত রইলো না। ছোট বোনের ফরম ফিলাপের টাকা দিতেই যেখানে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার উপক্রম সেখানে নীরার ভর্তি পরীক্ষাটা ছিল আলাদা আতঙ্ক। কোনো ভর্তি কোচিং তো দূর একটা এডমিশন গাইড কেনার সুযোগও হলো না নীরার। শেষমেশ ভাইয়ের সেমিস্টার ফাইনাল দেওয়া হলো না। ভাইয়া এখান-সেখান থেকে ধার-দেনা নিয়ে ছোট বোন ইরার ফরমফিলাপের টাকা জোগাড় করলেও নিজের সেমিস্টার ফি জোগাড় করতে পারলেন না। গ্রামে ভিটেমাটিসহ বিঘা খানেক জমিজমা যে ছিল না তা নয়। কিন্তু অতো দ্রুত, দুনিয়া সম্পর্কে অপরিপক্ক পরিবারের পক্ষে জায়গা জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও হয়ে উঠছিল না। দিন দুনিয়া সম্পর্কে অচেতন নীরা সেদিন উপলব্ধি করল তার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার পথে। তার হাজারও স্বপ্ন অন্ধকার পৃথিবীর নিষ্ঠুর থাবায় ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে। মা তখন দিগবিদিক পাত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন। নীরাকে বিয়ে দিলে পরিবারের একটা সদস্য তো অন্তত কমবে! একজনের খাওয়া-পরার খরচ কমবে! নীরা এমন দিনও কাটিয়েছে যেদিন সস্তা মুদি দোকানদার থেকেও বিয়ের ঘর এসেছে। এসেছে গ্রামের অশিক্ষিত, নেশাখোরদের থেকে প্রস্তাব। মা রাতভর জায়নামাজে বসে কেঁদেছেন। বাবার ভাইদের অশ্রাব্য গালিতে দোর বন্ধ করে বসে থাকতে হয়েছে। ভাইয়া তখন ঢাকায় থেকে টিউশনি করায়। পরীক্ষা দিতে না পারায় সে নিজেই তখন ডিপ্রেশড।

নীরা তখন থেকে শক্ত হতে শুরু করে। সিদ্ধান্ত নেয় সে পড়বে। যেভাবেই হোক পড়াশোনাটা আপাতত শেষ করবে। ভাইকে ফোন করে জানায়, সে ঢাকা যেতে চায়। গ্রামে টিউশনি পাওয়া মুশকিল। শহরে থাকলে কি একটা টিউশনিও জুটবে না তার? কিন্তু দুইজন মানুষের ঢাকা থাকার মতো সামান্য খরচাও তাদের ছিল না। ভাইয়া বুঝাল, গ্রামের সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে যা। কষ্ট হলেও টাকা জোগারের চেষ্টা আমি করব। আর কিছুদিন পর তো বাবার প্যানশনের টাকা পাচ্ছিই। ভার্সিটিতে ফরম তুলতে যে কাড়ি কাড়ি টাকা লাগবে সেই টাকা কোথায় পাব আমরা বোন? নীরা কি ভীষণ কেঁদেছিল সেদিন। চোখের পলকে ভাগ্য পরিবর্তনের খেলা দেখে বিস্মিত হয়েছিল। ঠিক তখনই দেবদূতের মতো এলো নম্রতা। নিজের বাবাকে ম্যানেজ করে এক মাসের জন্য নীরাকে নিয়ে গেল নিজের বাসায়। নীরা যেন এবার একটু আশা ফিরে পেলো। গভীর সমুদ্রে জুটে গেল একটুখানি ঠাঁই। সেইসাথে জুটল নিজের জন্য যুদ্ধে নামার শেষ সুযোগ। সেদিন নম্রতাই ছিল তার একমাত্র সাপোর্ট। কোচিং-এ ভর্তি হতে না পারলেও নম্রতার নোট,শীট,গাইড দিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে গেল নীরা। নম্রতার পরিচিত আন্টির নার্সারি পড়ুয়া বাচ্চার টিউশনিও জুটিয়ে দেওয়া হলো তাকে। মাসিক এক হাজার টাকা বেতন। নীরা তাতেই ছিল মহাখুশি। এডমিশনের একটা মাস রাত-দিন অন্ধকার করে পড়াশোনা করেছে নীরা। টিউশনির সময়টুকু ছাড়া এক মুহূর্ত বই ছাড়েনি সে। কখনও কখনও সারাদিনে শুধু একবার খাবার মুখে নিয়েছে। কখনও কখনও খায়ই নি। বান্ধবীর বাড়ি হলেও অন্যের দয়ায় থাকা-খাওয়াটা যে কত কষ্টের, কতটা সম্মানহানীর তা প্রতিটি পদক্ষেপে বুঝতে পেরেছে নীরা। বুঝতে পেরেছে জীবন নামের সংগ্রাম। দিনের পর দিন সয়েছে, কষ্ট করেছে। কেঁদেছে পরমুহূর্তেই আবার শক্ত হয়েছে। টিউশনির ওই এক হাজার টাকা দিয়েই ঢাকা ভার্সিটির ‘খ’ ইউনিটে একটিমাত্র ফরম তোলার সুযোগ পেয়েছে। নম্রতার সহযোগীতা, সাপোর্ট আর নিজের পরিশ্রমে ওই একটা সুযোগেই নিজের জীবন পাল্টেছে। রেজাল্টের দিন নম্রতাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কেঁদেছে। শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে সেই বিভীষিকাময় সময়গুলোকে ভেবেই শিউরে উঠল নীরা। এই ছোট্ট জীবনে যতটা চড়াই-উতরাই পার করেছে নীরা সেই চড়াই-উতরাই সম্পর্কে অন্তুর কী আদৌ কোনো ধারণা আছে? অন্তুর কাছে দুনিয়া রঙিন। ভালোবাসাটা অমৃত। কিন্তু নীরার কাছে দুনিয়ার রং ভিন্ন। ভালোবাসাটা অমৃত নয়, পরিস্থিতির চাপে বিষাক্ত। ভাইয়া তাদের দুই বোনের জন্য এখনও বেগার খাঁটছে। ভাইয়ের ঘাড়ে বসে আর কত খাবে সে? ইরার কথাটাও ভাবতে হবে। ভাইয়া, মা ওদের কথায় বা কীভাবে ভুলবে নীরা ? একটু শান্তি কী ভাইয়ারও প্রাপ্য নয়? তার কী কোনো ভালোবাসা নেই? সবারই একটা গল্প থাকে। গাধার মতো খেঁটে যাওয়া নীরার ভাইটার কী কোনো গল্প নেই? সুখ বা দীর্ঘশ্বাসের গল্প? নীরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বোজল। মাথাটা ঝিমঝিম করছে। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে হঠাৎ-ই চোখ খুলল নীরা। শক্ত হতে হবে তাকে। অনেক শক্ত। আচ্ছা? ব্যাংকারের সাথে তার বিয়েটা কতটুকু এগলো? মাকে জিগ্যেস করতে হবে। নীরা তাড়াহুড়ো করে গোসল শেষ করে। মন-প্রাণে ভুলে যেতে চায় অন্তু নামে কেউ একজন তাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।

হাসপাতালের লম্বা করিডোরে পায়চারী করছে নম্রতা। বাইরে সন্ধ্যা নমেছে। রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্টগুলো জ্বলে উঠেছে প্রায় ঘন্টাখানেক আগে। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন, ডাক্তার-রোগীর আহাজারি সবকিছু ছাপিয়েই ধুবধাপ ছুটে চলেছে নম্রতার হৃৎস্পন্দন। হাতে থাকা মুঠো ফোনটা বার বারই কেঁপে কেঁপে উঠছে। দু-একবার বিরক্তি নিয়ে কেটে দিলেও এবার রিসিভ করল নম্রতা। ফোনটা কানে নিয়ে বলল,

‘ হুম বল।’

ওপাশ থেকে উদ্বেগী কন্ঠ ভেসে এলো,

‘ বল মানে? কই তুই? সময় দেখেছিস? সাড়ে সাতটা বাজতে চলল। একটু পরই হলের গেইট বন্ধ হয়ে যাবে অথচ তোর খবর নেই।’

নম্রতা উত্তেজনা চেপে বিরবির করে বলল,

‘ আমার হাত-পা কাঁপছে নীরু। কখনও ভীষণ রাগ লাগছে তো কখনও সবকিছু ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে। আমি বোধহয় পাগল হয়ে যাচ্ছি রে নীরু।’

নীরা আঁতকে উঠে বলল,

‘ কী বলছিস? কোথায় আছিস এখন? আমি আসব?’

নীরার কথায় সম্বিত ফিরে পেলো নম্রতা। ব্যস্ত হয়ে বলল,

‘ আমি ঠিক আছি। ফিরে এসে বলছি সব। তুই টেনশন নিস না। রাখছি।’

নীরাকে প্রত্যুত্তরে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ফোন কাটল নম্রতা। অস্থির ভঙ্গিতে মুখের ঘাম মুছল। আরফানের এসিসট্যান্টকে তৃতীয়বারের মতো জিগ্যেস করল,

‘ স্যার কেবিন থেকে বেরুবেন কখন? উনি না বেরুলে আমায় ঢুকতে দিন। ভীষণ প্রয়োজন।’

এসিস্ট্যান্ট মাত্রাতিরিক্ত বিরক্ত হয়ে বলল,

‘ স্যার একটু আগেই চেম্বারে ঢুকছে এখন আর বেরুবে না। আর আপনাকে ঢুকতে দেওয়া মানা আছে। আপনি অন্য ডাক্তার দেখান ম্যাডাম।’

নম্রতা জোড়ালো শ্বাস ফেলল। এই অস্থিরতা নিয়ে টানা অপেক্ষা করার পর এমন কথায় মেজাজ চটে যাচ্ছে তার। নম্রতা তর্ক না করে পাশের চেয়ারটাতে বসল। দু’হাতে কপাল চেপে চোখ বোজল। ক্লান্তিতে শরীরটা ছেঁয়ে আছে তার। পেটের বাম পাশটায় মোচড় দিয়ে উঠতেই খেয়াল হলো, দুপুর থেকে কিচ্ছুটি খাওয়া হয়নি তার। নম্রতার ভাবনার মাঝেই চেম্বারের দরজা খুলে বেরিয়ে এলো আরফান। হাতে স্টেথোস্কোপ। উদ্বিগ্ন, গম্ভীর চোখজোড়া ঘড়ির দিকে নিবদ্ধ। কুঁচকে থাকা ভ্রু জোড়াতে রাজ্যের বিরক্তি। নম্রতা উঠে দাঁড়াল। নীল শার্ট পরিহিতা ফর্মাল যুবকটির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে। নতুন করে দেখছে। বোঝার চেষ্টা করছে। আরফান বিরক্ত চোখজোড়া তুলে এসিস্ট্যান্টের দিকে তাকাল। গম্ভীর কন্ঠে বলল,

‘ টেবিলের ওপর লাল রঙের একটা ফাইল আছে। আমি রাউন্ডে যাচ্ছি। মুহিব স্যার খোঁজ নিলে ফাইলটা উনাকে দিও সাইদ।’

এসিস্ট্যান্ট বাধ্য ছেলের মতো মাথা দুলিয়ে বলল,

‘ জি আচ্ছা।’

সাইদ সেখান থেকে সরে যেতেই তীরের বেগে তার বুকের উপর এসে পড়ল কেউ। ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে উঠল আরফান। টাল সামলাতে না পেরে দু’পা পিছিয়ে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়াল। ঘটনা বুঝতে ভ্রু কুঁচকে নিজের বুকের দিকে তাকাল। বুকের এতো কাছে কোনো নারীদেহের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো চমকে গেল আরফান। হঠাৎ-ই কোনো কথা খুঁজে পেল না৷ বুকে ল্যাপ্টে থাকা রমনীকে টেনে সরাতে নিতেই একা একাই সরে গেল সেই আগুন্তকঃ। তাকে দেখে প্রথম দফায় বিস্মিত হলেও পরমুহূর্তেই রাগে লাল হয়ে গেল আরফান। চোয়াল শক্ত করে বলল,

‘ এটা কোন ধরনের অভদ্রতা মিস. নম্রতা। ছি! আপনার বিহেভিয়ার এমন থার্ডক্লাস হয়ে যাচ্ছে কেন দিন দিন?’

নম্রতার মধ্যে কোনো ভাবাবেগ হলো না। অনুভূতিশূন্য চোখে আরফানের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। আরফান বিরক্ত হয়ে বলল,

‘ আপনার কী কোনো সেল্ফ রেসপেক্ট নেই? এতো কিছুর পরও কেন জ্বালাচ্ছেন আমায়? এটা হসপিটাল। আমার একটা রেপুটেশন আছে।’

নম্রতা এবারও কিছু বলল না। মিনিট খানেক চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে দু’পা এগিয়ে গেলো। আরফানের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রাখল। খুবই শান্ত কন্ঠে বলল,

‘ আর জ্বালাব না। হৃৎস্পন্দনটা শোনার জন্যই এতোটা কাছে গিয়েছিলাম। প্রতারকদের হৃৎস্পন্দন কেমন হয় তা জানতে ইচ্ছে করছিল খুব। ব্যস এটুকুই!’

এটুকু বলে আবার কয়েক পা পিছিয়ে গেল নম্রতা। নম্রতার কথার আগাগোড়া বুঝতে না পেরে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল আরফান। কপালের ভাঁজ আরও গাঢ় হলো। নম্রতা কয়েক পা পিছিয়ে গিয়ে ডানপায়ের সালোয়ারটা হালকা উঁচু করল। আরফান নম্রতার দিকেই তাকিয়ে ছিল। নম্রতার সালোয়ারের নিচে ধবধবে সাদা পা জোড়া চোখে পড়তেই চমকে উঠল আরফান। ভয়ানক সুন্দর তিলটার সাথে চিরপরিচিত সেই পায়েল দেখে কুঞ্চিত ভ্রু সোজা হয়ে গেল আরফানের। চোখদুটোতে ফুটে উঠল রাজ্যের বিস্ময়।

#চলবে….

( রি-চেইক করা হয়নি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here