পুনম পর্বঃ২৮

0
1255

#পুনম
#আয়েশা_সিদ্দিকা
পর্বঃ২৮

নিকষ কালো রাতের শেষে একটা সুন্দর সোনালী সকাল।মিঠে রোদের পরশ চট্টগ্রাম টু ঢাকা বাসের জানালা গলে পুনমের মুখে ছড়িয়ে পড়ছে…
একটু পরই বাস ছাড়বে।যে যার মত আসন গ্রহণ করছে।পুনমের মাথায় ভোতা যন্ত্রণা হচ্ছে… চোখে মুখে ক্লান্তি!সারা রাত নির্ঘুম থাকার ফল এটা! পুনম আশায় আছে কখন বাস ছাড়বে আর কখন একটু দুচোখ বুজে ঘুমাতে পারবে। চারদিকের কোলাহল বিরক্ত লাগছে।বাড়ির সবার জন্য মন কেমন করছে!
বল্টু রিমি ন্যাকান্যাকা প্রেমালাপ করছে।নাহিদ বর্ষা আপাতত মৌনব্রত আছে।আর বরাবরের মত শশী শিমুল ঝগড়া করছে।ঝগড়ার বিষয়ে বস্তু হলো…শশী পানি পান করার সময় কারো ধাক্কায় বোতল থেকে পানি ছলকে শিমুলের প্যান্টে পড়েছে।এই নিয়ে তুমল কথা কাটাকাটি হচ্ছে…
—-অন্ধের মত কাজ করছিস আবার বড় বড় কথা বলছিস।চোরের মায়ের বড় গলা।হুহ!
—একদম মুখ সামলে কথা বলবি শিমুল তুলা।একবার স্যরি বলছিনা।
—তোর স্যরি তোর ক্রাশের মাথা ঢাল বান্দন্নী…আমার প্যান্ট আগে শুকাবি তারপর এখান থেকে লরবি…
—ঝামেলা করিস না শিমুল্যা…
—লুতুপুতু করার সময় ক্রাশ আর ঝামেলার সময় আমি, এসব আর হবে না…তুই প্যান্ট ঠিক করার ব্যবসথা কর শশী….
–একদম চুপ।আর একটা কথা তোরা দুজনে বলবি তো বাস থেকে ধাক্কা মেরে নামাইয়া দিবো…..চেঁচিয়ে বলে পুনম।
পুনমের ধমকে দুজনে চুপ হয়ে যায়। ধপ করে এসে সাকিব বসে পড়ে পুনমের পাশের সিটে।পুনম দেখেও চুপ হয়ে থাকে।আসলে ওর কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে না।কাল রাতের ব্যপারটা ওকে পুরোপুরি এলোমেলো করে দিয়েছে।
মস্তিষ্ক আর মনের যুদ্ধে ক্লান্ত শরীর! বাবার কোলে মাথা রাখতে পারলে শান্তি পাওয়া যেতো…।

লেমন রঙের গেঞ্জি ব্লু জিন্স পড়ে তানভীর বাসের ভিতরে প্রবেশ করে।চোখ দুটো রক্তবর্ণ,ঠোঁট রুক্ষ,শরীরের তাপমাত্রা একশো দুই,চুল গুলো এলোমেলো।গালে খোঁচা খোঁচা দাড়িতে ম্যানলি লাগছে। দেখতে আদুরে লাগছে।পুনম একপলক তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়।দেখতে চায় না ও এই মানুষটাকে!

তানভীরের পিছন পিছন রাজুও আসে।পুনমের পাশে সাকিবকে বসা দেখে মুহুর্তেই তানভীরের মেজাজ গরম হয়ে যায়।দাঁড়ানো অবস্থায় বাসের একটা সিট শক্ত করে চেপে ধরে…দু চোখের পাতা বন্ধ করে নিজের ক্রোধ সামলায় তানভীর… ওর বেশ বুঝা হয়ে গেছে….পুনম ওকে পুরোপুরি ভাবে নিঃশেষ করে দিতে চাইছে।তবে তাই হোক!

—-এই সাকিব ওঠ,ওটা তানভীর ভাইয়ের সিট।….পিছন থেকে বলে বল্টু।
তানভীর ভেবেছিলো কালকের ঘটনাটা পুনমকে বুঝিয়ে বলবে।তা আর হলো কই?নিজের রাগ চেপে বল্টুর সাথে হাত মিলিয়ে বলে,
—-তাহলে বল্টু তোমরা যাও…আমার তোমাদের সাথে যাওয়া হচ্ছে না।একটু কাজ আছে ভাই।
বল্টু কিছু বলতে নেয় কিন্তু সে কথা না শুনেই হনহনিয়ে হেঁটে বাস থেকে নেমে পড়ে তানভীর ।পুনম সবটা দেখার পরও চুপচাপ থাকে।বুকের ভিতর তীব্র ঝড়!কিন্তু পুনমের মুখে তার বিন্দুমাত্র আভাস নেই।অবচেতন মন জানতে চায়, তানভীরের অসুখ কতখানি? কিন্তু মুখ ফুটে বলে না।কালকের ঘটনাটা সব অনুভূতির উপর চাপ সৃষ্টি করে।

রাজু বোকার মত তার স্যারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে আবার বল্টুর দিকে তাকায়। বল্টু মাথা নেড়ে বুঝায় সে কিছুই জানে না।রাজু আর বল্টু চরম হতাশ! তারা ভেবে ছিল, এই ভ্রমণে তানভীর আর পুনমের সম্পর্ক সহজ হবে।কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তা আরো কঠিন হয়েছে।রাজুও নেমে পড়ে ধীরপায়ে।
বল্টু পুনমের দিকে তাকিয়ে দেখে পুনম চোখ মুখ শক্ত করে বসে আছে।ফোস করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে বল্টু।এখন আর পুনমকে কিছু বলা যাবে না।

তানভীর বাস থেকে নেমে ব্যস্ত পায়ে হাঁটতে থাকে।রাজু পিছন পিছন দৌড়িয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়। রাজু তানভীর স্যারের মুখ দেখে আঁতকে ওঠে।টেনে নিয়ে বসায় একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে।তানভীরের রাগে শরীর থরথর করে কাঁপছে। রাজু বেসামাল হয়ে পড়ে।তার স্যারের শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে এখনই মেডিসিন খাওয়ানো দরকার। রাজু আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে ফার্মেসি দেখতে পেয়ে, দৌড়ে ঔষধ আনে।
তানভীর একহাত কপালে আর একহাত কোমড়ে রেখে দোকানের সামনে অনবরত পায়চারি করে।তার আসলে ঐ সাকিবের মাথা ফাটাতে মন চাচ্ছে।
রাজু কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে,
—-স্যার দয়া করে ঔষধ খেয়ে নিন।আপনি যেকোন মুহুর্তে বেহুশ হবেন…আমি চোখে চোখে দেখতে পাচ্ছি।
—-রাজু এসব জ্বর ফর বাদ দাও।তোমার পুনম ম্যামকে কি শাস্তি দেয়া যায় তা ভাবো।তা না হলে আমার অসুখ কমবে না।কতবড় বেয়াদব মেয়ে…ঐ সাকিবের পাশে বসে আমাকে দেখানো হচ্ছে….
— ধরে বেধে নিয়ে আসি আপনার সামনে?
–না অন্য কিছু….
—দুই একটা চড় থাপ্পড় কি….
—হাধার মত কথা বলো না।
— ভয় টয় দেখানো যায়…
—না এসবে হবে না।
—-তবে হাত পা ভাঙা…
—-স্টপ রাজু!
—স্যার আপনি কি আদৌ পুনম ম্যামকে শাস্তি দিতে চান?
তানভীর অসহায় চোখ তাকায়। সেই চোখ দেখে রাজুর মায়া লাগে, ভীষণ মায়া!

***************
হারুনের সামনে আইনী নোটিশের কাগজ।হারুন হতভম্ব হয়ে বসে আছে কাগজটা হাতে নিয়ে। তার বিশ্বাস হচ্ছে না।সুমন তার বিরুদ্ধে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে সম্পত্তির জন্য!এতবড় অসম্ভব কাজ কি করে হলো?
হারুন গলা হাকিয়ে রুমাকে ডাকে।রুমা দ্রুতপায়ে রুম থেকে বেড়িয়ে আসে…. আজকাল তার হারুনকে ভয় লাগে।হারুনের কাছ থেকে সবমসময় নিজেকে গুটিয়ে রাখে।
—-কি হয়েছে?
—কি হয়নি তা বলো?সুমন আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে। সুমনের এত সাহস কোন কালেই ছিল না।আমি যদি জানতে পারি এর পিছনে তোমার বাপের বাড়ির কারো হাত আছে তবে তোমার চৌদ্দগুষ্ঠির খবর করে দিবো।
রুমা আঁতকে ওঠে,
—সে কি?
—-আমাকে কি বোকা ভেবেছে…যে এসব কলকাঠি নাড়ছে তাকে তো একদমই ছাড়বো না।এত আরাম ছেড়ে বাপের বাড়ি না যেতে চাইলে খবর নেও এর পিছনে কার হাত? আমার সন্দেহ তোমার বোন পুনমের উপর!

সুমন চোখ কচলাতে কচলাতে বের হয় রুম থেকে।চিল্লা পাল্লায় ঘুম ছুটে গেছে।মাথা ব্যথা করছে।
—ভাবি এককাপ চা দিতে বলবে বুয়াকে।
রুমা গোলগোল চোখে তাকায়।একবার হারুনের মুখে আর একবার সুমনের মুখের দিকে।
—কি হয়েছে ভাইজান?
—এসব কি সুমন?
সুমনের সামনে কাগজ ফেলে জিজ্ঞেস করে হারুন।হারুনের চোখ মুখ রাগে থইথই করছে।সুমন স্বাভাবিক স্বরে বলে,
—-তুমি যা দেখতে পাচ্ছো তাই।
—দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি এতদিন।এখুনি বেড়িয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে…চেঁচিয়ে বলে হারুন।
সুমন মৃদু হাসে।শান্ত চোখ দুটো আরো শান্ত দেখায়।
—সময় আসলেই দেখা যাবে কে কালসাপ ভাইজান?….বলে রুমের দিকে হেঁটে চলে যায়।
হারুন ক্রোধে চেয়ারে লাথি মেরে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

সুমন একটা ব্যাগে কাপড়চোপড় গুছিয়ে চলে যাচ্ছে। সে জানতো এমনই হবে তাই মেসে রুম ঠিক করে রেখেছিল। গেটের কাছে যেতেই দেখতে পায় ইষ্টি মিষ্টি কাঁদো কাঁদো মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
—-কি রে হানি বানি কি খবর?
—তুমি কি সত্যিই চলে যাচ্ছো চাচ্চু?
—হুম।কাঁদছিস কেন?
—-আমাদের ভীষণ কান্না পাচ্ছে চাচ্চু।তুমি যেও না।
—খুব শীঘ্রই চাচ্চু চলে আসবে।ততদিন কান্না কাটি করবি না।চাচ্চু হেটস টিয়ারস…

ইষ্টি মিষ্টি ছলছল চোখে দেখে তার চাচ্চু একটা রিকশা ডেকে তাতে বসে পড়েছে।আশ্চর্য! তাদের কাঁদতে বারণ করে চাচ্চু নিজেই কেন কাঁদছে?
**************
ঝুমা ঝরঝর করে কাঁদছে।জামাল নাক মুখ কুঁচকে সামনে বসে আছে।সে ভেবে পাচ্ছে না তার বউ কাঁদছে কেন? কাঁদার মত তো কিছুই হয় নি। ঝুমার চোখে পানি দেখে জামালের চোখেও পানি চলে আসে।সবাই তাকে বউ পাগল বলে, বলুক।বউ কাঁদবে আর সে বসে বসে দেখবে তা কখনো হবে না।সেও বউকে সঙ্গ দিতে সঙ্গে কাঁদবে।

মরিচা পাশ থেকে চিৎকার বলে,
—আমনেরা দুইজনে আসলেই আহাম্মক। কানতাছেন কে? আর ও মাইজা দুলাভাই কোতায় আমনে আরো আফার কান্দোন থামাইবেন উল্টো আমনেও সুর তুলছেন।

পাশ থেকে পুনমের মা বলে
—-ঝুমা এত ভালো সংবাদে কেউ কাঁদে?জামাই চাকরি পাইছে কোথায় তুই হাসবি। তা না… জামাল কান্না বন্ধ করো।
—থামে না তো আম্মা…
পাবনী লাবণ্য মুখটিপে হাসে।এই দুজনের কান্নাও কেন যেন আজ ভালো লাগছে।জামাল একটা ভালো কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে।পাবনী ভাবে, এবার পুনমের উপর থেকে একটু হলেও চাপ কমবে।

******************
তারুণ ইংলিশের একটা চাপ্টার অনেকক্ষণ ধরে লাবণ্যকে বুঝাচ্ছে।কিন্তু পড়া লাবণ্যের এক কান দিয়ে যাচ্ছে আর এক কান দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। লাবণ্য চরম হতাশ।এরকম কারো বন্ধু হয়….
তারুণ চোখ মুখ কুঁচকে বলে,
—এসব কি লাবণ্য? মনোযোগ দিচ্ছিস না কেন?
—ধুরো বাল…এসব ছাইপাস এত পড়তে পারবো না।
—হোয়াট ডু ইউ মিন বাল লাবণ্য? ল্যাঙ্গুয়েজের কি হাল।এবারো ফেল মারতে চাচ্ছিস?
—-আরে বস এত চাপ নিও না।জাষ্ট চিল….যা পড়ছি তাতে পাস হইবো…আমি তো আর টপ হইতে চাই না।
—-লাবণ্য এসব ঠিক না।পড়াশোনা লাইফে মোষ্ট ইম্পর্টেন্ট।এই রোদে বসে আমি তোকে এই কারণেই পড়াচ্ছি যাতে তোর রেজাল্ট কিছুটা ভালো হয়।
—-আচ্ছা পরবো নি…এখন একটা কোল্ড ড্রিংক খাওয়াও তারু বেবি।পড়তে পড়তে গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।

তারুণ লাইফে পড়াচোর দেখেছে কিন্তু লাবণ্যের মত দেখেনি।এতক্ষণ বকবক করে পড়ালো ও আর সে তো একবারো মুখ খুলেনি তাতেই গলা ভিজানো লাগবে। সামনে পরিক্ষা এই মেয়েটা যে কি করবে আল্লাহ জানে?
লাবণ্য তারুণের কোঁকড়া চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলে,
—-এত চাপ নিও না মামা….এই লাবণ্য ঠিক পাস করবো।চাপের চোটে না আবার ঠুস কইরা ফুটুস হইয়া যাও।এখন উঠতো আমার কোক খেতে হবেই।
—প্লিজ লাবণ্য ভাষা ঠিক কর।তোর ভাষা শুনলে আমার ভাষার জন্য যারা যুদ্ধ করেছে তাদের জন্য দুঃখ লাগে।

লাবণ্য খিলখিল করে হাসে আর তারুণ কপাল কুঁচকে হাঁটে।লাবণ্য তারুণের হাত জরিয়ে ধরে বলে,
—-যা খাইয়া আইসা পড়বনি।এখনতো মুখের নকশা ঠিক কর তারু বেবি…..
তারুণ অবিশ্বাসের চোখে তাকায়।দেখা যাবে খাওয়ার পর এই মেয়ের আর এক বাহানা থাকবে।

***************
পাবনী বারান্দায় গিয়ে কল দেয় সুমনের নম্বরে। পাবনী ভেবে পাচ্ছে না,অযথা বুকের ভিতর ধুকপুক কেন করছে? এমনতো না যে সুমন ভাই বাহিরের কেউ।

সুমন মেসের ছাদে জ্বলন্ত সিগারেট ঠোঁটে নিয়ে বসে আছে।সিগারেটের আগুনে যেন নিজেকে পোড়াচ্ছে! মাথায় এলোমেলো চিন্তার ভীর।পকেটে মোবাইল টোনের শব্দে চিন্তার সুতো কেটে বাস্তবে আসে।মোবাইল স্ক্রিনে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরটি দেখে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকে সুমন।
—-হ্যালো!
—সুমন ভাই আমি পাবনী।ভালো আছেন?
—ভালো আছি কিনা জানি না তবে বেঁচে আছি।শূন্য পকেটে যতটা বেঁচে থাকা যায় ততটা বেঁচে আছি! তা তুমি কল করে ছো কেন?
—-আসলে সুমন ভাই…….ফোনের ওপাশে পাবনী ইতস্তত করে।
—তুমি নির্দ্বিধায় বলো।আমার কাছে এত সংশয় কিসের তোমার?
—-জ্বি?
—-ও কিছুনা তুমি বলো।
—বড় আপা এসব কি বলছে সুমন ভাই?আপনি কেন করলেন এমনটা?বড় আপা কল করে মায়ের সাথে চেঁচামেচি করছে।তার ধারণা আমরা আপনাকে উস্কে দিয়েছি।
—তুমি আর কিছু না বললে আমি ফোন রাখতাম!… সুমনের কন্ঠে রাগ!
—ইয়ে সুমন ভাই…ঝামেলা তো সব পরিবারেই হয়।একসাথে বসে মিটিয়ে নিন।এসব মামলার কি দরকার?
—পাবনী তুমি কি আসলেই পুনমের জমজ বোন?দুজনে এতটা তফাৎ কেন বলতে পারো?তুমি আমায় অন্যায় মুখ বুজে সইতে বলছো?
—আপনি আমায় ভুল বুঝবেন না সুমন ভাই।আমার যে ভাঙনের বড় ভয়!
সুমন আকুতি ভরা কন্ঠে বলে,
—-আর আমি যে ভাঙছি তারবেলা?আমি তোমায় পাশে চেয়েছিলাম পাবনী!কিন্তু আমি ভুল জায়গা আমার ভুল আরজি করেছি!

পাবনী দেখে সুমন এটুকু বলে কল কেঁটে দিয়েছে।পাবনী বারান্দার গ্রিলে মাথা রাখে….বিড়বিড় করে বলে,সুমন ভাই আপনিও আমায় ভুল বুঝলেন!
**********

পুনম বাস থেকে নেমেই দেখে বাবা বাস স্টান্ডে দাঁড়িয়ে আছে।বাবার হাসিমুখ দেখে সারাদিনের মন খারাপ নিমিষেই দূর হয়ে যায়।
—কেমন আছো বাবা?
—তোকে ছাড়া এ কটাদিন একদম ভালো ছিলাম না মা।এবার তুই এসেছিস,আমি ভালো আছি।
মিছে অভিমানে পুনম বলে,
—কেন তোমার আর মেয়েরাও তো ছিলো?
বাবা হাসে কোন জবাব দেয় না।বাবার হাসি মুখের দিকে তাকিয়ে হুট করে তানভীরের মুখটা ভেসে ওঠে মানসপটে। পুনম কয়েক ঢোক গিলে…ওই মানুষটা কেন না চাইতেও তার ভাবনায় আসে? কেন? কেন?

–কিরে মা দাঁড়িয়ে পড়লি কেন?ওঠ…
পরক্ষণেই হাসি মুখে বাবার হাত জরিয়ে রিকশায় উঠে পুনম।পিছুটান চায় না কোন পুনম।দিনশেষে সব মরিচীকা!

চলবে,
জোর করে আজ পর্যন্ত কেউ কিছু পায়নি।যেমন আমি পাইনা আপনাদের সাড়া!হুহ! রাগ করেছি….🤧🤧🤧

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here