প্রতিশোধ পর্ব_১৩

প্রতিশোধ পর্ব_১৩
💘

#লেখিকা_সুপ্রিয়া_নস্কর

আয়ুসী ধ্রুব চলে যাওয়ার দিকে দেখতে থাকে।খুব কষ্ট হয়।মনে করে ছুটে গিয়ে সব বলে দেবে।কিন্তু তার পা সেখান থেকে এক ইঞ্চিও সরে না।চোখ জ্বালা করতে থাকে।চোখের সামনে সব অস্পষ্ট হয়ে যায়।আয়ুসী গিয়ে নিজের জায়গাতে বসে পরে।কিন্তু কোনো কাজ করে না।কী করবে তার কিছুই মাথায় আসে না।

এদিকে বিকেল হয়ে যায়।আয়ান আয়ুসীর কেবিনে আসে।কিন্তু একবার এসেও চলে যায়।সব অফিস কর্মচারীরা চলেও যায়।

আয়ান নিজের কেবিনে পাইচারি করতে থাকে।আর মনে মনে বলে কী করছে এখনও।উফ্ফ মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা যায় না।এখন কী করি।এদিকে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গেল।

এইসব ভাবতে ভাবতে সে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসে পরে।এদিকে আয়ুসীও দেখে দেরি হয়ে গেছে।তাড়াতাড়ি করে আয়ানের কেবিনে যায়।আয়ুসী দেখে আয়ান কাউকে ফোন করছে।দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে।আয়ান আয়ুসীকে দেখতে পেয়ে দরজার কাছে আসে।ফোনটা রেখে দেয় আর বলে-আমরা কী এবার যেতে পারি?

আয়ুসী কিছু বুঝতে না পেরে বলে-হ্যাঁ

আয়ান-আমি ভাবলাম আজ তোমার এখানেই থাকার ইচ্ছা।

আয়ুসী-মানে!

আয়ান-আর মানে মানে করো না।চল।

আয়ুসী-হুম

আয়ুসী কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকে।

আয়ান-তা দাঁড়িয়ে আছো কেন?

আয়ুসী চুপচাপ মাথা নীচু করে চলে যায়।

দুজন গাড়িতে উঠে বাড়ির দিকে রওনা হয়।ধ্রুবর বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামায়।কিন্তু আজ কল্যাণী দেবী ওদের ছাড়ে না।আজ দুজনকে খাইয়ে ছাড়বে।তাই দুজনেই ধ্রুবর বাড়িতে ঢোকে।কিন্তু ধ্রুব তখনও ফেরেনি।এদিকে লাভা তো তার মনিবকে অনেকক্ষণ পরে দেখে আয়ানের কোলে লাফিয়ে পরে।আয়ান লাভাকে আদর করতে থাকে।

তোরা কী এখন দুজনেই অফিসের কাজ করবি?-কল্যাণী দেবী

আয়ান কিছু বুঝতে পারে না।

কী বলছ মামনি?-আয়ান

আয়ান ধ্রুবর মাকে মামনি বলে ডাকে।

সবে বিয়ে করলি এর মধ্যে দুজনেই এতো কাজে ব্যস্ত।নিজেদের জন্যও তো একটু সময়ের দরকার।-কল্যাণী দেবী

কল্যাণী দেবীর কথায় আয়ান আয়ুসী পরস্পরের দিকে তাকায়।

কল্যাণী দেবী আয়ুসীর মাথায় হাত রেখে বলে-মেয়েটার তো কিছু ইচ্ছা হয়।আর তুই তাকে নিয়ে শুধু অফিসের কাজ করাচ্ছিস।এটা কিন্তু ঠিক না।

আয়ান কল্যাণীর দেবীর কথায় কী বলবে বুঝতে পারে না।আয়ুসীও বুঝতে পারে না কী বলবে।

আয়ুসী বলে-না,আমি কোথাও যাব না।

তুই চুপ কর।আয়ান তুই ওকে নিয়ে একটু ঘুরে আয়।-কল্যাণী দেবী

কিন্তু মামনি–আয়ান

আয়ানকে কথা বলতে না দিয়ে কল্যাণী দেবী বলেন-আমি যেটা বললাম তুই সেটা করবি।আর কোনো কিন্তু নয়।

আয়ান কল্যাণী দেবীকে খুব ভালোবাসেন।তাই আর কিছু বলতে পারে না।

ঠিক আছে।দেখা যাবে-আয়ান

দেখা যাবে কী রে।আমি ধ্রুবকে বলছি সব ঠিক করতে।-কল্যাণী দেবী

কিন্তু এখন হবে না।কিছুদিন পর।-আয়ান

আচ্ছা ঠিক আছে-কল্যাণী দেবী

এতক্ষণ আয়ুসী ওদের কথা চুপ করে শুনছিল।আয়ানের কথায় সে অবাক হয়ে যায়।

এদিকে ধ্রুবও ফিরেছে।পুরো ভিজে গেছে।

কী রে তোরা কখন এলি?-ধ্রুব

এইতো।কিন্তু তুই তো ভিজে গেছিস।যা চেঞ্জ করে আয়।-ধ্রুব

ধ্রুব চলে যায়।কল্যাণী দেবীও ওদের খাবার তৈরি করতে যায়।আয়ানকে জিজ্ঞাসা করে কী খাবে।

আয়ান বলে-এই বৃষ্টিতে পকোড়া জমে যাবে মামনি।

ধ্রুবও চেঞ্জ করে এসে পরে।বলে-ঠিক বলেছিস।

কল্যাণী দেবী আয়ুসীকে কী খাবে জিজ্ঞাসা করে।আয়ুসী বলে সেও তাই খাবে।কল্যাণী দেবী চলে যায়।আয়ুসীও কল্যাণীর সাথে যায় তাঁকে সাহায্য করার জন্য।কল্যাণী দেবীর বারণ সে শোনে না।

আয়ান আর ধ্রুব দুজনেই গল্প করতে থাকে।কিছুক্ষণ বাদে আয়ুসী ও কল্যানী দেবী আসেন।সাথে পকোড়া আর কফি।

সবাই খেতে থাকে।কিন্তু ধ্রুব লক্ষ্য করে আয়ুসী একটু অন্যমনস্ক।

কল্যাণী দেবী বলেন-এই ধ্রুব ওদের বেড়াতে যাওয়ার ব্যবস্থা কর।

ধ্রুব অবাক হয়ে গিয়ে বলে-কাদের মা?

কাদের আবার এই যারা নতুন বিয়ে করেছে।কিন্তু সারাক্ষণ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে অফিস ছুটছে।-কল্যাণী দেবী

কি!ওরা ঘুরতে যাবে?ওরা বলেছে?-ধ্রুব

হ্যাঁ,যাবে তুই ব্যবস্থা কর।-কল্যাণী দেবী

ধ্রুব একবার আয়ান আর আয়ুসীর দিকে চায়।

আয়ুসী চোখ নামিয়ে নেয়।

ধ্রুব আয়ানের কানের কাছে ফিসফিস করে বলে-সত্যি রে।

আয়ান-হ্যাঁ,সত্যি রে।কিন্তু এখন নয়।কিছুদিন পর।

ধ্রুব আয়ানের মুখে এই কথা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারে না।

এইভাবে তাদের সন্ধ্যা কেটে যায়।কিন্তু আয়ুসী মাঝে মাঝে ধ্রুবকে দেখতে থাকে।ভাবে সে সব বলবে।কিন্তু তার একটা চিন্তা মনে উঁকি দেয়।যদি ধ্রুব তাকে ভুল বোঝে।যদি ভাবে সে খুনির মেয়ে।তাহলে—-।সে ধ্রুবকে বলে না।

এদিকে রাত বেড়ে যায়।ডিনার সেরে ওরা বাড়ির দিকে রওনা হয়।

আয়ুসী চেঞ্জ করে শুয়ে পরে।আজ আয়ুসী তাড়তাড়ি ঘুমিয়ে পরে।আয়ানও গিয়ে সোফাতে শুয়ে পরে।কিন্তু তার ঘুম আসে না।আয়ান দেখে আয়ুসী ঘুমিয়ে পড়েছে।মুখে শান্তির আভাস।আয়ান একটা নিশ্বাস ফেলে বলে-কেন হল এরকম।কেন তোমার বাবা ওরকম করেছিল।যদি ওরকম না হত তাহলে আজ হয়তো আমাদের জীবন অন্য হত।

আয়ান আয়ুসীকে দেখতে থাকে।কিন্তু ধীরে ধীরে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে।সে ঘুমিয়ে পরে।

সকালের আলো চোখে পরতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।ঘড়ির দিকে তাকাতে দেখে অনেক দেরি হয়ে গেছে।তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নীচে আসে।কিন্তু নীচে এসে অবাক হয়ে যায়।

আয়ুসী লাভার সাথে কথা বলছে।কিন্তু একটু দূর থেকে।

কী হয়েছে তোমার খিদে পেয়েছে?-আয়ুসী

এদিকে লাভাও মাথা নাড়াতে থাকে।

ও ও খিদে পেয়েছে।কিন্তু তোমার খাবার কোথায় আমি তো জানি না।-আয়ুসী

আয়ুসী লাভার কাছে যেতে চায়।কিন্তু ভয়ে যেতে পারে না।আয়ান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে।

লাভা কেঁউ কেঁউ করছে।আয়ুসীর দেখে কষ্ট হয়।সে একটু লাভার দিকে এগিয়ে যায়।ভয়ে ভয়ে লাভার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু পারে না।লাভা কিন্তু কিছু করে না।সে মাথা নীচু করে আয়ুসীর আদর খাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে।আয়ুসী আরো একবার এগিয়ে যায়।এবার সে কিন্তু ফিরে আসে না। লাভার গলায় হাত দেয়।তাতে লাভা চোখ বন্ধ করে চুপ করে শুয়ে থাকে।

আয়ুসীর কান্ড দেখে আয়ান অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।ভাবে এতো সাহস এলো কোথা থেকে।এদিকে আয়ুসী লাভাকে আদর করতে থাকে।সে আয়ানকে দেখতে পায়নি।

আয়ান নিজের উপস্থিতি বোঝানোর জন্য একটু কেশে ওঠার অভিনয় করে।

আয়ুসী আয়ানকে দেখে লাফিয়ে ওঠে-আপনি!

ব্রেকফ্রাস্ট রেডি?-আয়ান

হ্যাঁ,আমি দিচ্ছি-এই বলে সে কিচেনের দিকে যায়।

আয়ান লাভাকে খেতে দিয়ে টেবিলে বসে।আয়ুসী আয়ানকে খেতে দেয়।

আয়ান খাওয়া শুরু করে।

আয়ান-আজ তো আমি কিচেনে খাবার লিখে রাখিনি।তুমি কী করে—-

আয়ুসী আয়ানের কথা শেষ করতে দেয় না।বলে-আপনি ঘুমোচ্ছিলেন তাই আমি নিজের মতো করেছি।

আয়ান-ওও

আয়ান আয়ুসীকেও বলে খেয়ে নিতে।আয়ুসী বসে।নিজের প্লেটে খাবার নিতে নিতে বলে-কাল আপনি যেটা বলেছিলেন সেটা কী সত্যি?

আয়ান আয়ুসীর দিকে চেয়ে বলে-কোনটা?

আয়ুসী আমতা আমতা করে বলে-ওই মানে ঘুরতে যাওয়ার কথা।

আয়ান খেতে খেতে বলে-হুম

কিন্তু আমি যাব না।-আয়ুসী

আয়ান একবার আয়ুসীর দিকে চায়।তারপর উঠে উঠে যেতে যেতে বলে-কেন যাবে না মামনিকে বলে দিও।আমি মামনিকে কিছু বলতে পারব না।

আয়ুসী-কিন্তু

আয়ান এগিয়ে এসে টেবিলের উপর একটা হাত রেখে আয়ুসীর দিকে ঝুঁকে বলে-শোনো আমার কোনো যাওয়ার ইচ্ছা নেই।মামনি বলছে তাই।আর আমি চাই না মামনি কিছু সন্দেহ করুক।

এই বলে আয়ান বেড়িয়ে যায়।আয়ুসীও বেড়িয়ে আসে।দেখে আয়ান গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে।আয়ুসী গাড়ির কাছে এসে-আমি আজ বাসে যাব,আপনি চলে যান

আয়ান-কেন?

আয়ুসী-একটু কাজ আছে।

আয়ান-কোনো কাজ নেই।শুধু বাহানা।উঠে এসো।

আয়ুসী আজ গাড়িতে যেতে চাইনি।কারন সেদিন বিপ্লব আঙ্কেলের বাড়ি একটি লোককে তো সে দেখেছিল।তাই সেই লোকটিকে সে খুঁজে বার করতে চায়।তাই আজ সে আয়ানের সাথে যাবে না বলেছে।

আয়ুসী বুঝতে পারে না কী করবে।

কী হল উঠে এসো।-আয়ান

আয়ুসী আর কিছু বলে না।উঠে আসে।আয়ানের পাশে বসে থাকে।লাভাও আছে।আয়ান গাড়ি স্টার্ট দেয়।এদিকে লাভা তো আয়ুসীকে দেখে পিছন থেকে শুধু চেঁচাচ্ছে।আয়ুসীও লাভাকে দেখে আর ভয় পায় না।আয়ুসী লাভার সাথে কথা বলতে থাকে।

তুমি কী করছ ওখানে।এখানে আসবে।-আয়ুসী

আয়ান আয়ুসীর কথা শুনে বলে-না,ও ওখানেই ঠিক আছে।

আয়ুসী আয়ানের দিকে মুখ বেঁকায়।আয়ানের চোখে পরে।সে গাড়ি থামিয়ে দেয়।

এই তুমি কী করলে-আয়ান

আয়ুসী কিছুটা ভয় পেয়ে বলে-কী করেছি

তুমি মুখে কী করলে-আয়ান

কিছু করিনি-আয়ুসী

আমি দেখেছি-আয়ান

দেখেছেন,তাই তাহলে বেশ করেছি-আয়ুসী

আয়ুসীর কথায় আয়ান রেগে যায়।বলে-কী বললে।

যেটা শুনেছেন-আয়ুসী

আয়ান-তুমি কিন্তু ঠিক করছ না।

আমি ঠিক করছেন না।এই মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়েছেন।এবার আমি গাড়ি থেকে নেমে চেঁচাব।বলব আপনি আমাকে মেরে ফেলতে চাইছেন।-আয়ুসী

কী!-আয়ান

হ্যাঁ,ওটাই করব।-আয়ুসী

পুরো মাথাটাই মনে হয় গেছে-আয়ান বিড়বিড় করে বলে গাড়ি স্টার্ট দেয়।

আয়ুসী-কী বললেন।

এই তুমি চুপ করে বসো।না হলে কিন্তু সত্যি সত্যি মারা পরবে।ঠিক মতো গাড়িটাও চালাতে দিচ্ছ না।-আয়ান

আয়ুসী আর কিছু বলে না।চুপ করে যায়।

লাভাকে ধ্রুবর বাড়ি রেখে পৌঁছে যায় অফিসে।

অফিসে আজ অনেক কাজ।আয়ুসীর ফুরসত নেই।এদিকে আয়ানও ওর আগের কোম্পানিতে গেছে।ওখানকার কাজ দেখার জন্য।এদিকে বেলা গড়িয়ে যায়।অফিস ছুটির সময় হয়ে আসে।

আয়সী নিজের কেবিন থেকে বের হবে তখনই ফোন আসে-এই দিদি কী করছিস?

ভাই,তুই কেমন আছিস-আয়ুসীর চোখের কোন চিকচিক করে ওঠে।

ভালো,কিন্তু তোর কথা খুব মনে পরছে।আজ একটু আসবি।-নিলয়

আয়ুসী আর না করতে পারে না।

হ্যাঁ,যাব-আয়ুসী

নিলয় আনন্দে নাচতে থাকে।

সত্যি দিদি?-নিলয়

হ্যাঁ,তুই রাখ আমি আসছি-আয়ুসী

আমার সোনা দিদি-নিলয়

এই বলে নিলয় ফোনটা কেটে দেয়।আয়ুসী আয়ানের কেবিনের দিকে যায়।দেখে আয়ান নেই।কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর আয়ানকে ফোন করে।

তুমি দাঁড়াও আমি আসছি।-আয়ান

আপনাকে আর আসতে হবে না।আমি একটু নিলয়ের কাছে যাব।ওর মন খারাপ করছে।প্লিজ যাই না।-আয়ুসী

আয়ান চুপ করে থাকে।

প্লিজ যাই না।আমি কথা দিচ্ছি আমি ঠিক সময় চলে যাব-আয়ুসী

আয়ান আর না করে না।

আয়ুসী নিলয়ের কাছে যায়।দিদিকে দেখে সে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে।দিদি ভাই মিলে কতো গল্প করতে থাকে।

আয়ুসী-তোর একা থাকতে ভয় করে?

নিলয়-না,রে দিদি ভয় করবে কেন?

আয়ুসী ভাবে যে ভাই তার ফিরতে দেরি হলে শুধু ফোন করত।আর আসলে বকবক করত।কারন রাত হয়ে গেলে তার ভয় করত।সে এখন কতো বড় হয়ে গেছে।

নিলয়-জামাই বাবু কেমন আছে?উনি ও তো আসতে পারতেন।তাহলে কতো মজা হত।

আয়ুসী কী উত্তর দেবে ভেবে পায় না।বলে-ওনার কাজ আছে।

নিলয়-ওও,জানিস দিদি আমি কিছু কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়েছি।খুব ভালো হয়েছে।মনে হয় একটা চাকরি পেয়ে যাব।

আয়ুসীর চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে-তাই।খুব ভালো কথা।

নিলয়-হুম রে দিদি।চল দিদি আজ আমরা ফুচকা খেতে যাব।কতদিন একসাথে ফুচকা খায়নি বলত।

আয়ুসী নিলয়ের চুলের মধ্যে হাত বোলাতে বোলাতে বলে-হ্যাঁ,চল।

দুজনে বেরিয়ে পরে।ফুচকার দোকানে দুজনে মনের আনন্দে ফুচকা খায়।তারপর একটা বাদাম ভাজার দোকানে গিয়ে বাদাম ভাজা কিনে দুজনে রাস্তায় হাঁটতে থাকে।

আয়ুসী-সাবধানে থাকবি।কিছু হলে ফোন করবি।

নিলয়-হুম

আয়ুসীর নিলয়কে ছাড়তে ইচ্ছা করে না।ভাবে নিজের কাছে রাখবে।কিন্তু কী করে।আয়ান তা কী হতে দেবে।

এরপর নিলয় বলে-দিদি তুই কী ওনাকে সব বলে দিয়েছিস?

আয়ুসী চুপ।

কী করে বলবে যে এই সেই ছেলে।তার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিয়ে করেছে।

আয়ুসী কিছু বলে না।কথা এড়িয়ে যায়।বলে রাত হয়ে গেছে বাড়ি যা।

নিলয়ও চলে যায়।আর আয়ুসী বাসে উঠে পরে।কিন্তু বাসে ওঠার পর লক্ষ্য করে কতোগুলো ছেলে কেমন ভাবে তার দিকে তাকাচ্ছে।

চলবে—-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here