প্রেমাসক্তি’ পর্ব – ২২

0
5375

#প্রেমাসক্তি
#ফাতেমা_তুজ
#part – 22

বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে গেছে , তন্ময় আর নীলিমা লেকের ধারে বসে পা ভেজাতে ব্যস্ত।
চারদিকে জোনাকি রা ঝলমল করছে।
জোনাকিরা লেকের পার টাকে সন্ধ্যাবাতি হিসেবে আলোকিত করে যাচ্ছে।
থেকে থেকে পাখির কলরব ও শোনা যাচ্ছে ,,, নীলিমা তন্ময়ের কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুজে আছে।
তন্ময় এক হাতে নীলিমা কে জড়িয়ে ধরলো।
দুজনের কারো মুখেই কথা নেই। দুজন দুজন কে নীরবে অনুভবে ব্যস্ত।
বেশ কিছুক্ষণ পর তন্ময় নীরবতা ভেঙে বলল
– নীলি জানতে চাইবে নাহহ আমি কেন আজ আরিয়ান নই ?
কেন আমি তন্ময় আবরার?

নীলিমা তন্ময়ের কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুজেই বলল
– উহুমমম প্রয়োজন নেই , আমি জানি তুমি কোন ভুল করো নি।
আমি তোমায় বিশ্বাস করি।

তন্ময় মুচকি হেসে নীলিমার মাথায় চুমু এঁকে দিলো।
নীলিমা শক্ত করে তন্ময় কে জড়িয়ে ধরলো।
যেন তন্ময় কে ছেড়ে দিলেই তন্ময় পালিয়ে যাবে।
নীলিমা তন্ময় কে একদম বাচ্চা দের মতো করে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আছে।
নীলিমার কান্ডে তন্ময় মৃদু হাসলো, মেয়েটার চোখে মুখে সুখের ঝলকানি।
কি দারুন ই না লাগছে , সময় টা বড্ড সুন্দর।
তন্ময় গভীর একটা শ্বাস নিয়ে নীলিমার মাথা উঁচু করে বলল
– সব সময় বিশ্বাস ই সর্বশেষ নয় নীলি, কিছু সময় জানার প্রয়োজন ও আছে।
আমাদের সামনের পথ কতোটুকু সুগম হবে তা আমরা জানি নাহহ।
হয়তো খুব সহজ হবে , কিংবা খুব কঠিন।
পরিস্থিতি যেমন ই হোক না কেন আমাদের হাতে হাত রেখে লড়াই করতে হবে।
আর তার জন্য আমাদের দুজন কেই জানতে হবে গত চার বছরে পেরিয়ে আসা সময় টুকুর কথা।

নীলিমা প্রথমে গুরুত্ব না দিলে ও এখন বেশ জাঁকিয়ে বসলো।
কারন আরিয়ান অযথা পেচাল পারার মতো মানুষ নয়। নিশ্চয়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো।
নীলিমা সত্যি ই তো জানে না গত চার বছর আরিয়ান কিভাবে পেরিয়ে এসেছে ।
গত চার বছরে কি কি ঘটেছে তার জীবনে।

তন্ময় ছলছল নয়নে তাকিয়ে বলল
– তোমায় এক মুহূর্ত ও কষ্ট দিতে চাই নি আমি।
আমি নিরুপায় ছিলাম নীলি , হ্যাঁ এটা ও সত্যি আমি আর ইথিনা বাগদত্তা।

শেষের কথা টা নীলিমা চোখ বুজে হজম করে নিলো।
পরিস্থিতি যেমন ই হোক পুরো টা না শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহন কিংবা কথা শোনানো টা হলো নিজের বোকামির পরিচয়।
নীলিমা যথাসম্ভব স্বাভাবিক থাকলো।

তন্ময় মৃদু হেসে আবার বলল
– কিন্তু সব থেকে বড় সত্যি আমি তোমাকে ভালোবাসি নীলি , আর তুমি আমার স্ত্রী আমার অর্ধাংগিনী।

নীলিমা ছলছল নয়নে তাকালো , সত্যি ই তো আজ তারা স্বামী স্ত্রী।
এর আগে ও বহু বার লেকের ধারে বসেছে তারা কিন্তু তখন প্রেমিক প্রেমিকা হিসেবে,কিন্তু আজ তো স্বামী স্ত্রী রুপে বসেছে তারা ।

তন্ময় মৃদু হেসে নীলিমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল
– কাঁদছো কেন ?
বউ কাঁদলে স্বামীর অকল্যাণ হয় জানো নাহহ ?

নীলিমা মৃদু হাসলো , তন্ময় নীলিমার কপালে ভালোবাসার পরস এঁকে দিয়ে বলল
– আমি আমার বাবা মা কে ফিরে পেয়েছি নীলি , আর তা সম্ভব হয়েছে ইথিনার জন্য, আজ আমি বেঁচে আছি শুধু মাত্র ওর জন্য।
আর সেই কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে ই আমি ইথিনা কে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়েছি।
আমি ওকে ভালোবাসি না নীলি ,,, গত চার বছরে আমার পুরনো স্মৃতি ছিলো নাহহ।
ভুগতাম আমি সেই তাড়নায় কিন্তু পরিবার অনেক বড় জিনিস, তাদের হাসি খুশি মুখ দেখেই আমি নিজের ওপর প্রেসার ক্রিয়েট করতাম নাহহ।
কিন্তু কখনো ভাবাই হয় নি , আমার অতীত এ এমন কেউ থাকতে পারে যে আমার জন্য ধুকে ধুকে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এমন কেউ ও তো থাকতে পারে ছোট বেলায় সব হারিয়ে তাকে ঘিরে আমি আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী সাজিয়েছিলাম।
আম সরি নীলি , কেন আমি ভাবি নি সেটা, আমার একটা ভাবনার ফলে হয়তো তোমায় এতো কষ্ট ভোগ করতে হতো নাহহ।
তুমি চার চারটে বছর ধরে বেঁচে থেকে ও মরার মতো থাকতে নাহহ।

এই টুকু বলেই তন্ময়ের গলা ধরে আসলো।
খুব কষ্ট হচ্ছে তার , নীলিমা কি করে গত চার চারটে বছর এতো গভীর যন্ত্রণা সহ্য করেছে।

নীলিমা তন্ময়ের কপালে কপাল ঠেকিয়ে দিয়ে বলল
– আরিয়ান তুমি কেন নিজেকে দোষারোপ করছো ?
তোমার কি দোষ? আমরা পরিস্থিতির স্বীকার, কিন্তু আমরা আবার সব ঠিক করে দিবো।
তুমি দেখো গল্পের শেষে অন্ধকার ছাপিয়ে ভোর হবেই।

তন্ময় ম্লান হেসে বলল
– দেড় মাস আগে আমার কার এক্সিডেন হয়, মাথায় হেমারেজ হয় , সাত দিন জ্ঞান ছিলো না। মাথায় গভীর আঘাত না লাগলে ও একি ক্ষত স্থানে বিক্ষত হয় যার ফলে আমি আবার অতীতের স্মৃতি ফিরে পেয়েছি।
আমি আমার নীলি কে মনে করতে পেরেছি।
শরীর অসুস্থ থাকায় বিডি তে আসতে পারি নি , কিন্তু সুস্থ হয়েই রওনা দিয়েছি।
কারন আমার এক মূহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো আমার নীলি ভালো নেই।
সে ভালো থাকতে পারে নাহহহ , কিন্তু আসার আগে ভাবি নি ইথিনার সাথে আমি বাগদত্তা।
যখন তোমায় জঙ্গলের রাস্তায় পেয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলাম , শুনলাম তুমি এলকোহল নাও।
আমি বিশ্বাস করি নি সেটা , কিন্তু এটা ভাবি নি গত চার বছরের যন্ত্রণা সহ্য করতে তুমি এলকোহল নিতে ও পারো। আমি তোমার সামনে যেতে চেয়ে ও পারি নি কারন আমি অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম।
আর যখন জ্ঞান ফিরলো তখন চোখ মেলে দেখলাম ইথিনা।
তখনি আমার মাথায় খেলল ইথিনার বিষয় টা।
আমি কিভাবে কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারি নি।
সেদিন আবার যখন তোমায় পাবে যেতে দেখলাম , তখন আমি নিজে কে ধরে রাখতে পারলাম নাহ।
ছুটে গিয়েছিলাম তোমার কাছে, কিন্তু এমনি পরিস্থিতি যে আমি তোমার সামনে সরাসরি যেতে পারি নি।
আর আজ সকালে তুমি যখন রবিনের বাসায় আসলে তখন আমার মাথায় কিচ্ছু আসছিলো নাহহ।
যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছে , আমি যদি তখন বলতাম আমি আরিয়ান তখন কি হতো আমি জানি নাহহ।
তোমায় কাছে পেয়ে ও বুকে টেনে নেই নি আমি।
কারন আমি অসহায় ছিলাম।
কিন্তু তুমি চলে যেতেই আমি আর থাকতে পারি নি।
পাগল হয়ে গিয়েছিলাম , তোমায় হারাতে পারবো না নীলি।
খুব ভালোবাসি আমি , খুব খুব ভালোবাসি।

নীলিমা তন্ময়ের প্রতি টা কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলো।
নীলিমার চোখ দুটো পানি তে ভরে গেছে।
আরিয়ান কতোটা অসহায় তা ভাবতেই নীলিমার কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।

নীলিমা তন্ময় কে দুহাতে জড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
তন্ময় নীলিমা কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতেই তন্ময়ের ফোন বেজে উঠলো।
ফোন সুইচ অফ করা ছিলো, বোধহয় চাপ লেগে ফোন অন হয়ে গেছে।
শত শত মিস কল দেখে তন্ময় সামান্য ভ্রু কুঁচকালো।
পরক্ষণেই মাথায় আসলো ইথিনার কথা , ইথিনা কে ফেলেই চলে এসেছিল তন্ময়।
তন্ময় মাথায় হাত দিয়ে লম্বা করে শ্বাস নিয়ে নিলো। আবার ফোন বেজে উঠলো ,,,
এবার তন্ময়ের বাবার ফোন থেকে কল এসেছে।
তন্ময় নীলিমা কে ছাড়িয়ে ফোন রিসিপ করে মৃদু স্বরে বলল
– হুমম আব্বু বলো।
– এগুলো কি তন্ময়? ফোন কেন অফ রেখেছো ? আর কোথায় তুমি ?
রবিন কে ও পাওয়া যাচ্ছে নাহহ, এদিকে ইথিনা কেঁদে অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে।
কিছু বলছে ও নাহহ, তোমরা তো এক সাথে গিয়েছিলে তাহলে কি এমন হলো যার জন্য ইথিনা রাস্তায় বসে কাঁদছিলো।

তন্ময় দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– আমি আসছি আব্বু, এসে সব বুঝিয়ে বলবো।

এই টুকু বলেই ফোন কেটে দিলো তন্ময়।

নীলিমা কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে রইলো।
তন্ময় টাইম দেখে বলল
– নীলি আমাকে এখনি বাসায় যেতে
হবে।

নীলিমা মাথা ঝাঁকালো,,, তন্ময় আদুরে কন্ঠে বলল
– একটা চুমু দিবে প্লিজ ?

নীলিমা চোখ বড় করে তাকাতেই তন্ময় অভিমানি কন্ঠে বলল
– বউ এর উচিত রোজ এতো এতো করে চুমু দেওয়া।
আর তুমি একটা ও দাও নাহহ।
শুনেছি বউ এর চুমু তে ভিটামিন পাওয়া যায়।
বাসায় গিয়ে তো আমায় অনেক অনেক ফাইট করতে হবে ।
সারা দিনের ক্লান্তি তে শরীরের সমস্ত শক্তি ফুরিয়ে গেছে।

তন্ময়ের কথায় নীলিমা খিল খিল করে হেসে উঠলো।
তন্ময় ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাতেই নীলিমা মাথা ঝাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করে বোঝালো সে চুমু দিবে ।
তন্ময় খুশি হয়ে মুখ বাড়িয়ে দিলো।
নীলিমা তন্ময়ের পায়ের উপর ভর দিয়ে তন্ময়ের গাল ধরে নাকে নাক দিয়ে ঘষা দিলো,, তারপর হঠাৎ ই তন্ময়ের ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
তন্ময় অবাক হয়ে তাকাতেই নীলিমা লজ্জা হাসি তে হাসলো।
তন্ময় এখনো শকড , নীলিমা ঠোঁটে চুমু দিয়েছে ?

তন্ময় বেশ কিছুক্ষণ হা হয়ে রইলো।
নীলিমা হালকা কাশতেই তন্ময় নড়ে চড়ে দাড়ালো।

তন্ময় অবাক হয়ে বলল
– নীলি ইউ কিস মি ?

নীলিমা মুখ বাঁকিয়ে বলল
– নো , এটাকে কিস বলে না।
এটাকে চুমু বলে যেটা তুমি চেয়েছিলে।

তন্ময় বাঁকা হেসে বলল
– নো ওয়ে আমি মানছি না এটা।
Beacuse you kiss me.
আর আমার জানা মতে লিপস টু লিপস হলেই সেটাকে কিস বলে।
সেটা হোক এক সেকেন্ড এর জন্য কিংবা এক মিনিট বা এক ঘন্টা।

নীলিমার লজ্জা লাগলো , একেই বলে বেশি দিতেই নেই।
না হলে তার ই দোষ

তন্ময় মৃদু হেসে নীলিমাকে জড়িয়ে বলল
– এটা তো শুরু এখনো অনেক বাকি আছে। চুমুর সো রুম , নাহ নাহ চুমুর ফ্যাক্টরি খুলবো।

নীলিমা তন্ময়ের বুকে ঘুষি মেরে বলল
– অসভ্য হয়ে গেছো তুমি।

তন্ময় আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল
– বউ মানেই লাগামহীন অসভ্যতামী।
বউ মানেই দুষ্টুমি, বউ মানেই ভালোবাসা।
বউ মানেই গভীর ভাবে ছুঁইয়ে দেওয়া।
বউ মানেই ,,,

নীলিমা তন্ময়ের মুখে হাত দিয়ে আটকিয়ে দিলো।
তার খুব লজ্জা লাগছে,

তন্ময় মৃদু হেসে আবার ফিসফিসিয়ে বলল
– স্বামীর কাছে লজ্জা পেতে নেই , স্বামী হলো প্রেম।
যাকে অনুভব করতে হয় , আর এ অনুভবে লজ্জা দীর্ঘস্থায়ী করা যায় নাহহ, তাহলে স্বামীর ভালোবাসা অনুভব করা যায় নাহহ।
আর তোমার লজ্জা অনেক দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গেছে, এখন আর দীর্ঘস্থায়ী করতে দিবো নাহহ।
চার চারটে বছর বহু দিন, এখন শুধু ভালোবাসা হবে।

নীলিমা তন্ময়ের বুকে মাথা রেখে তন্ময়ের অনুভূতি মাখানো বাক্য গুলো শুনতে লাগলো।
কি যাদু ভালোবাসায় , এই যে এতো কষ্ট , এতো এতো অপেক্ষা , নিমেষেই দূর হয়ে গেল।
মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে সুখি সে।
একেই বুঝি প্রেমাসক্তি বলে ?
যে আসক্তি তে গভীর থেকে গভীর যন্ত্রণা থাকে কিন্তু একটু ভালোবাসাতেই সে যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।

*

নীলিমা কে বাড়ি পৌছে দিয়ে তন্ময় আর রবিন , রবিনের বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে এসে বাসার উদ্দেশ্যে চলতে লাগলো।
এখনি নীলিমা কে নিয়ে বাসায় যাওয়া যাবে নাহহ।
কারন পরিস্থিতি কি হতে চলেছে তা জানা নেই কারোর।

তন্ময় ড্রাইভ করছে , ব্যস্ত কোলাহলপূর্ণ শহর টাকে বেশ ভালোই লাগছে।
তবে কোথাও থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ও আসছে।

হাজার হোক ইথিনা ও সত্যি তন্ময় কে ভালোবাসে।সেটা হোক সঠিক পথে কিংবা ভুল ।
ভালোবাসা তো ভালোবাসাই হয়,,
তন্ময় একজন মানুষ, তার ও একটা হৃদয় আছে , যে হৃদয়ে মানুষের অনুভূতি গুলো ধরা দেয় ।
কিন্তু ইথিনা কে কোনো ভাবেই আপন করে নেওয়া যাবে নাহহ এটা সত্য ।
আর ইথিনা কে আপন করে নেওয়া মানে অন্যায় করা।
সবার সাথে অন্যায় করা , তবে ইথিনা কতোটা বুঝবে সেটাই মূল কথা।

তন্ময় ভাবলেশহীন ভাবে গাড়ি চালাচ্ছে দেখে রবিন বলল
– তুই সর আমি গাড়ি ড্রাইভ করছি।
যেভাবে চালাচ্ছিস কখন না দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিবি।

রবিনের কথাতে তন্ময়ের ভাবনার সুতো ছিড়লো।
তন্ময় গাড়ি সাইট করে নেমে এলো ।
রবিন ড্রাইভিং সিটে বসে ড্রাইভ করতে লাগলো।

তন্ময় দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– নীলি কে ছাড়া সম্ভব নাহহহ ইথিনা কে বোঝাতে হবে এতে কারো ই ভালো হবে নাহহ।

রবিন সম্মতি জানিয়ে বলল
– হুমম , হয়তো সবাই ভাববে নীহু আমার বোন বলে আমি ওর দিক টা ভাবছি , কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটা ভুল।
কারন তুই নীলিমা কে ভালোবাসিস ইনফেক্ট ও তোর বউ।
আর তোর উপর নীহুর অধিকার , যদি ও ইথিনার ভালোবাসা সত্য।
কিন্তু এতে তোর কি দোষ , তুই তো আর ওর সাথে ছলনা করিস নিহ।

তন্ময় মাথা চেপে ধরে বলল
– তোর আর নীলির সম্পর্ক টা বুঝে উঠতে পারছি নাহহ।

রবিন মৃদু হেসে বলল
– নীহু আমার বোন , আই মিন মামাতো বোন।

রবিন একে একে সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। একদম প্রথম থেকে শেষ অব্দি।
তন্ময় খুব মনোযোগ দিয়ে কথা গুলো শুনলো।
অনেক কিছু ঠিক করতে হবে।
তার আগে ইথিনার বিষয় টা ভাবতে হবে ।

তন্ময় দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– আচ্ছা তো বুঝলাম , অনেক বড় ঘাপলা আছে।
আপাতত আমাদের এই পরিস্থিতে কে সামাল দিতে হবে।

রবিন ও সম্মতি জানালো।
কিন্তু কি থেকে কি করবে তা দুজনের কেউ ই বুঝতে পারছে নাহহহ।
দুজন ই চিন্তা মগ্ন হয়ে রইলো।
বাসায় গিয়ে কি পরিস্থিতিতে পরতে হবে কে জানে।

পরবর্তী পার্ট পেতে পেইজ এ ফলো দিয়ে রাখুন

https://www.facebook.com/Fatema-tuz-ফাতেমা-তুজ-110123584545542/

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here