#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকা- Umma Hurayra Jahan
পর্ব- ১৫
আরমান- মাহিন!!!
মাহিন- জ্বী বাবা কিছু বলবে?
আরমান- দেখ বাবা আমি জানি তুই বিয়েটাতে রাজি নোস।কিন্তু দেখ আমি তো তোর বাবা । আমি কোন দিন তোর খারাপ চাই নি। ফাতেমা মেয়েটা অনেক ভালো রে বাবা। এরকম মেয়ে আর তুই পাবি না। হয়তো আজ তোর মন খারাপ ।তুই হয়তো ভাবছিস আমি তোর জন্য উপযুক্ত পাত্রি ঠিক করি নি । কিন্তু একদিন তুই ঠিকি বুঝতে পারবি। আর সেদিন তুই ঠিকি আমাকে একটা ধন্যবাদ দিবি।
মাহিন- না মানে বাবা আমি তো রাজি…
আরমান- কাল তো তোর বিয়ে। ফাতেমা কাল তোর বউ হয়ে এ বাড়িতে আসবে।দেখিস বাবা মেয়েটাকে কোনদিন কস্ট না।মেয়েটাকে স্ত্রির মর্যাদা দিস।
মাহিন- তুমি চিন্তা করো না বাবা।
{মাহিন শুধু এ কথাগুলো মুখেই বলছে ।আসলে সে কোনদিনও ফাতেমাকে মেনে নিতে পারবে না}
আরমান- দেখিস আবার কাল বিয়েতে ঐ দিনের মতো ছিড়া পেন্ট পরিশ না । কাল ভালো পান্জাবি পাজামা যেটা বিয়ের জন্য কিনা হয়েছে সেটা পড়বি।
মাহিন- ঠিক আছে বাবা।
খাদিজা- ফাতেমা দেখতো মা ওরা কি কি পাঠিয়েছে?
মেহেঘ বেগম আর মহিমা ফাতেমার জন্য বিয়ের সব কিনাকাটা করে আজ দিনেই পাঠিয়ে দিয়েছিলো।
ফাতেমা- হুম মা দাড়াও দেখছি।
ফাতেমা বিয়ের ব্রিফকেসটা খুললো । সেটার মধ্যে ছিলো সুন্দর সুন্দর দামি গয়না ,দামি লেহেঙ্গা,শাড়ি ,দামি দামি কসমেটিক্স„আর বিয়ের যাবতীয় সাজসজ্জার জিনিস।
কিন্তু ফাতেমা একটা জিনস খুজছে এতো জিনিসের মাঝখানে।
খাদিজা- কি খুজছিস রে মা?
ফাতেমা – মা এতো কিছু পাঠিয়েছে কিন্তু বোরকা তো পাঠালো না। আমি তো বোরকা ছাড়া বাইরে যেতে পারবো না। আর আমার বোরকাটা তো একটু পুরনো হয়ে গেছে।
খাদিজা- আরে পাগল মেয়ে এটা কোন চিন্তার বিষয় হলো??আমি জানি তো তুই বোরকা খুজবি তাই তো আমি তোর জন্য একটা সুন্দর বোরকা সেট হিজাব হাত মুজা পা মোজা সহ কিনে রেখেছি।
ফাতেমা মাকে জড়িয়ে ধরে
ফাতেমা-জাযাকিল্লাহু খাইরান মা।
এর মধ্যে হাসান রুমে ঢুকলো
হাসান – বাহ্ মা মেয়েতে তো খুব আদর হচ্ছে আর আমি বাদ তাই না???
ফাতেমা – আরে ভাইয়া আয়। তোর হাতে এটা কি।??
হাসান- খুলে দেখ।
ফাতেমা গিফ্ট বক্সটা খুলে দেখলো। ভিতরে কতগুলো ইসলামিক বই, জায়নামায,তসবিহ,আরো অনেক কিছু ছিলো।
ফাতেমা- আরে ভাইয়া এগুলো তো আমার প্রিয় জিনিস। আর এই বইগুলো আমি অনেক দিন থেকে পড়তে চেয়েছিলাম কিন্তু কিনা হয় নি।
হাসান- হুম জানি তো । এজন্যই তো আমার পুচকির জন্য আমার তরফ থেকে এই সামান্য হাদিয়া ।
ফাতেমা- জাযাকাল্লাহু খয়রান ভাইয়া ।
হাসান- ওয়া ইয়্যাকি।মা…. বাবা তোমাকে ডাকছিলো ।চলো।
হাসান আর খাদিজা বেগম ফাতেমার রুম থেকে চলে গেল।
ফাতেমা এশার নামাযটা আদায় করে নিলো আর নতুন জিবন শুরু করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলো।নামায শেষে হঠাত করে একটা কথা মনে পরে গেল।
ফাতেমা- {মাথায় হাত দিয়ে।}ইশ্ ভুলেই তো গেছি। এই বিষটা আমি কি করে ভুলতে পারলাম?
এই বলে ফাতেমা তার পড়ার টেবিল থেকে খাতা আর কলম নিলো।
ফাতেমা- আমি তো ভুলেই গেছিলাম দুয়াটার কথা ।দুয়াটা হলো-
““আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা আলাইহি,ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা আলাইহি।”””
অর্থ=হে আল্লাহ আমি তার যত কল্যান রয়েছে এবং যত কল্যান আপনি তার স্বভাবে দিয়েছেন তা চাই ,আর যত অকল্যান রয়েছে আর যত অকল্যান আপনি তার মধ্যে রেখেছেন তা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। {আবু দাউদ-২।২৪হ,নং২১৬০,ইবনে মাজাহ ১।৬১৭,নং১৯১৮।সহিহ ইবনে মাজাহ১।৩২৪}
উনি হয়তো এ দোয়াটা জানেন না। তাই কাল এই দুয়াটা উনার হাতে দিয়ে বলবো উনি যেন আমার মাথায় হাত রেখে এ দুয়াটা পড়েন
কার নবিজী বলেছেন “তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কোন মেয়েকে বিয়ে করে সে যেন তার কপালে বা মাথায় হাত রেখে এই দুয়াটি পড়ে”
লাটসাহেব হয়তো এই দুয়াটি পারে না । হিহিহিহি।
তাতে কি হয়েছে আমি তো আছি আমি উনাকে সব শিখিয়ে দেবো। হে আল্লাহ তুমি আমার সহায় হয়ো।আমি যেন তাকে আর তার পরিবারকে দ্বীনের পথে আনতে পারি। আল্লাহুম্মা আমিন।
ফাতেমা তো জানে না তার জন্য ও বাড়িতে কি অপেক্ষা করছে । কি হবে তার শেষ পরনতি।
ফাতেমা তাড়াতাড়ি খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
ফজরের আজানে ফাতেমার ঘুম ভাঙে। ফাতেমা প্রতিদিনের মতো নামায শেষ করে কুরআন পড়ে নেয়। আজ দিনটা অন্য আর পাচটা দিনের মতো লাগছে না ফাতেমার । কেমন জানি এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে। মনে হচ্ছে যেন চিৎকার করে কান্না করতে ।তার কলিজাটা যেন ছিড়ে যাচ্ছে।কারন আজি এই বাড়িতে তার মেয়ে হিসেবে শেষ দিন। কাল থেকে সে হয়ে যাবে এ বাড়ির মেহমান।তাই ফাতেমা বাড়ির প্রত্যেকটা কোনা ঘুরে ঘুরে দেখছে।
রফিক- কিরে মা তুই এখানে।??যা একটু ঘুমিয়ে নে। আজ তো অনেকটা জার্নি করতে হবে।
ফাতেমা- আরে বাবা তুমি এ টাইমে ছাদে কি করছো?তুমি তো এ টাইমে কখনো ঘুম থেকেই উঠ না।তাহলে আজ এতো সকালে ছাদে???
রফিক- হুম রে মা উঠি না। কিন্তু আজ তো অন্য সব দিনের মতো না রে। জানিস রে মা আজ আমি সারারাত ঘুমাই নি ।
ফাতেমা- কেন বাবা?তোমার তো শরির খারাপ হয়ে যাবে। আর কেন আজ সারা রাত ঘুমাও নি?
রফিক- তুই এটা বুঝবি নারে মা । যেদিন তুই মেয়ের মা হবি আর যেদিন তোর সন্তান তোকে ছেড়ে অন্যের বাড়িতে চলে যাবে সেদিন হয়তো তুই বুঝবি। সেই দিন তুই মনে করবি আজকের দিনটার কথা।
রফিক সাহেব কথা গুলো বলতে বলতে দুচোখের পানি ছেড়ে দিলেন।
ফাতেমা – বাবা তুমি কাদছো????
———————————————–
ফাতেমাও দুচোখের পানি ছেড়ে দিলো।
রফিক- তুই কি মনে করছিস তোর এই রাগি বাবাটা শুধু রাগ করতে জানে ভালোবাসতে জানে না। তুই যে আমার কলিজার টুকরা রে মা। তুই চলে গেলে আমাকে কে সারাদিন বুঝাবে?কে বলবে যে বাবা এবার তো নামাযটা পড়ো, বাবা এবার তো রোজাটা রাখো ,বাবা এবার তো দ্বীনের পথে চলো,বাবা এবার তো হারাম কাজগুলো ছেড়ে দাও ।কে বলবে রে মা আমাকে এসব???আমি এতো দিন বুঝি নাই কিন্তু আজ বুঝতে পারছি রে মা তুই কতটা মুল্যবান তুই কতটা ভালো।
রফিক সাহেব কাদতে কাদতে এতো কথাগুলো বলছেন।
ফাতেমা- তুমি কেদো না বাবা। তুমি কাদলে আমি কি করে ঠিক থাকি বলো???বাবা এখন তো আর প্রতিদিন তোমাকে এসব বলে জালাবো না ।কিন্তু তুমি যদি সত্যি বুঝে থাকো সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে ফিরে এসো আল্লাহর পথে।যেখানে আল্লাহ তার পাপি বান্দাকে মাফ করার জন্য অধির আগ্রতে বসে আছে। কারন আল্লাহর রাগের থেকে যে ক্ষমার গুন বেশি।
রফিক- হে রে মা এবার থেকে তোর কথামতোই চলবো।
কিন্তু তুই এবার কান্না বন্ধ কর । আর নিচে গিয়ে একটু ঘুমিয়ে নে।
ফাতেমা- না বাবা আমি আর ঘুমাবো না । বরং তুমি একটু ঘুমিয়ে নাও।
রফিক – না রে মা আমারো ঘুম হবে না । চল নিচে যাই
বাবা আর মেয়ে দুজনে নিচে গেল।
এদিকে আরমান সাহেবরা মাত্র কয়েকজন নিকট আত্মীয় নিয়ে ফাতেমাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলো খুব সকাল সকাল ।
এদিকে মাহিন মহিমা আর মাহিনরা কয়েকটা বন্ধু মিলে বিয়ের জন্য সাজানো গাড়িটিতে উঠলো।
আর আরমান সাহেব,মেহেঘ বেগম,আর কিছু নিকট আত্মীয় উঠলো আরেক গাড়িতে।
আর এদিকে প্রায় দুপুর হতে চললো।ফাতেমাদের বাসাতেও রফিক সাহেবের কিছু নিকট আত্মিয় আর ফাতেমার দুই বান্ধবি হেন্সি আর রিয়া এসে পড়েছে।
যেহেতু ঘরোয়া ভাবে বিয়েটা হচ্ছে তাই সবাই হাতে হাতেই টুকটাক আয়োজন করছে।
এদিকে হেন্সি আর রিয়া ফাতেমাকে নিয়ে ব্যাস্ত। রিয়া আগে কখনো ফাতেমাকে বোরকা ছাড়া দেখেনি।আজ প্রথম বার ফাতেমাকে দেখবে। যেহেতু বাসায় কিছু লোকও এসেছে তাই ফাতেমা নিজের ঘরেই রয়েছে ঘর থেকে বের হয় নি।রিয়া আর হেন্সি ফাতেমার রুমে গেলো
রিয়া ফাতেমাকে দেখে
রিয়া – মাশাল্লাহ ………!!!!!..
ফাতেমা তুমি এতো সুন্দর!!!!!
হেন্সি- দেখতে হবে তো কার বান্ধবি ।
ফাতেমা – হয়েছে হয়েছে এতো প্রশংশা করতে হবে না।হিহিহিহি। রিয়া এখন থেকে তুই আমাকে তুই করে ডাকবি আমিও তুই করেই ডাকবো।
রিয়া – আচ্ছা ঠিক আছে।হিহিহি
ফাতেমা- শুন কিছুক্ষন পর তো যোহরের আযান দিবে । আমি গোসল করে আসি । তারপর তিন বান্ধবী মিলে নামায পড়বো।
হেন্সি- আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর তিন বান্ধবি একসাথে নামায পড়লো।
খাদিজা বেগম ফাতেমা আর ও বান্ধবিদের জন্য ঘরে খাবার দিয়ে গেল। কারন ওরা তিনজনি পর্দা করে তাই তারা সবার সামনে খেতে পারবে না।
খাদিজা- তোরা তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে নে ওরা এসে পরবে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই ।
রিয়া – ঠিক আছে আন্টি আপনি চিন্তা করবেন না ।
খাদিজা- হেন্সি মা শুনো ।তোমরা খেয়ে ফাতেমাকে রেডি করে দিও ।
ফাতেমা- মা আমি কিন্তু সাজবো না।যদি সাজি তাহলে তো আবার নামাযের সময় এগুলো ধুতে হবে।
খাদিজা- ফাতেমা এখন কিন্তু একটু বেশি হচ্ছে । বিয়ের দিন সাজবি না এটা কোন কথা হলো???এতো বেশি না সাজলেও অন্তত লেহেঙ্গা আর গয়না গুলো পড়। এই ঘরে তো আর কোন পুরুষ লোক আসবে না। আর তোর শাশুড়ি যদি দেখে এতো কিছু পাঠানোর পরও তুই সাজিস নি তাহলে কি মনে করবে বল তো।
রিয়া – আন্টি চিন্তা করবেন না ওকে আমরা যে ভাবেই হোক সাজিয়ে দিবো।
খাদিজা বেগম চলে গেলেন।
হেন্সি- কিরে ফাতেমা সাজবো না বললে হয়?তোকে সাজতে হবে।
ফাতেমা- আচ্ছা ঠিক আছে কিন্তু আমি হালকা সাজবো।
রিয়া – আচ্ছা ঠিক আছে।
খাওয়া শেষে হেন্সি আর রিয়া ফাতেমাকে লেহেঙ্গা বিয়ের গয়না আর হালকা লিপস্টিক আর কাজল দিয়ে সাজিয়ে দিলো।
এই হালকা সাজেই ফাতেমাকে পরীর মতো লাগছে।
এদিকে আরমান সাহেররা সবাই এসে পড়েছেন।
রফিক – আরে আসুন আসুন ভেতরে আসুন।
সবাই এসে ড্রয়িং রুমে বসলে সবাইকে প্রথমে হালকা নাস্তা দেওয়া হলো।
আরমান – এবার তো তাড়াতাড়ি কি করতে হবে কর ।না হলে যে আমার ফাতেমা মাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে অনেক রাত হয়ে যাবে।
হাসান – আপনি চিন্তা করবেন না চাচা । আমরা মসজিদের ইমাম আর কাজী সাহেব কে বলে রেখেছি। আজ তো শুক্রবার তাই মসজিদের জামাত শেষ হলেই আমরা মসজিদে বিয়ে পড়াতে যাবো।
আরমান- ফাতেমাকেও কি মসজিদে যেতে হবে?
হাসান- না চাচা ফাতেমা এখানেই থাকবে। আমরা শুধু ছেলেরা যাবো।
মেহেঘ- তা আমাদের বৌমা কি রেডি হয়েছে???
হাসান- জ্বি আন্টি।
এই রিনা তুই আন্টিকে আর মহিমাকে ফাতেমার ঘরে নিয়ে যা।
রিনা- আচ্ছা ঠিক আছে।আপনারা আসেন আমার সাথে আসেন।
মহিমা আর মেহেঘ বেগম ফাতেমার ঘরে গেল।
মহিমা- আসতে পারি ভাবি????
ফাতেমা- আরে বোন এসো এসো । ফাতেমা মহিমা আর মেহেঘ বেগমকে সালাম দিল।
মেহেঘ- ওয়ালাইকুমস্লাম
হেন্সি- আন্টি এটা ওয়ালাইকুমস্লাম না ওয়ালাইকুমআসসালাম হবে।
যদি আপনি ওয়ালাইকুমস্লাম বলেন তাহলে অর্থের বিকৃতি হয়ে যায়।
মেহেঘ বেগম কথাটা শুনে একটু লজ্জা বোধ করলেন।
মহিমা- WOW ভাবি তোমাকে JUST WOW লাগছে।
ফাতেমা একটু লজ্জা পেল।
—————————————–
মেহেঘ – বাহ্ তোমাকে দারুন লাগছে ফাতেমা।
এদিকে মসজিদের জামাত শেষে সবাই মসজিদে গেল।মানে সব লোকেরা। সেখানে গিয়ে নবিজির সুন্নত অনুযায়ি দেনমোহর পরিশোধ করে সুন্নতি তরিকায় খুরমা খেজুর বিলি করে ফাতেমা আর মাহিনের বিয়েটা সম্পন্ন হলো
এদিকে ফাতেমাও অনুমতি অর্থাত কলুব বলছে বাসাতে থেকেই ।
এভাবে বিয়েটা সম্পন্ন হলো।
সবাই মসজিদ থেকে ফিরলো।
আরমান – এবার তো আমি আমার ফাতেমা মাকে দেখতো পারবো তাই না???
ইমন – জি চাচ্চু এখন তুমি ভাবিকে দেখতে পারবে।
রফিক – দাড়া আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এই হাসান তুই আরমানকে ফাতেমার ঘরে নিয়ে যা।
হাসান – আচ্ছা বাবা।চলুন চাচা।
হাসান আরমান সাহেবকে ফাতেমার ঘরের সামনে নিয়ে গেল।
হাসান- কিরে পুচকি ভিতরে আসবো???
ফাতেমা – ভাইয়া একটু দাড়া।
ফাতেমা একটু দাড়াতে বললো কারন ভিতরে রিয়া আর হেন্সি নিকাব খুলে বসে ছিলো।
সাথে সাথে হেন্সি আর রিয়া নিকাবটা পরে নিলো।
ফাতেমা – এবার আয়। ভাইয়া।
আরমান সাহেব ভিতরে ঢুকলো।কিন্তু ফাতেমা নিকাব পড়লো না কারন এখন থেকে আরমান সাহেব তার জন্য মাহারাম। এখন থেকে উনার সামনে আর পর্দা করতে হবে না।
আরমান সাহেব- [ফাতেমাকে দেখে মাশাল্লাহ বলে উঠলো।]মাশাল্লাহ আমার মা টাতো অনেক সুন্দর। আমার প্রানটা জুড়িয়ে গেল রে মা তোকে দেখে।
ফাতেমা – আসসালামুআলাইকুম ।
আরমান – ওয়ালাইকুম আসসালাম।মা রে আমি খুব খুশি আজ তোকে মেয়ে হিসেবে পেয়ে।
আরমান সাহেব রুম থেকে চলে গেলেন।
তারপর হলো খাওয়া দাওয়ার পর্ব।
আসরের আযান পড়ে গেছে।
এবার বিদায়ের সময় হয়েছে।
ফাতেমা – আযান পড়ে গেছে। এখন তোে নামায পড়তে হবে।
এই বলে ফাতেমা সব সাজ ধুয়ে অন্য একটি জামা পড়ে ওযু করে নামাযে বসলো সাথে রিয়া আর হেন্সিও নামায পড়ে নিলো।
এবার সময় হয়েছে বিদায়ের । ফাতেমার মন আবার খারাপ হয়ে গেল। ফাতেমা ওযু করে বোরকা নিকাপ হাতমুজা পা মোজা পড়ে রেডি হলো। ফাতেমা ওযূ করে নিয়েছে কারন সে জানে মাগরিবের নামাযটা তাকে গাড়িতেই পড়তে হবে। ফাতেমা তার সাথে সেই দোয়ার কাগজটা নিয়ে নিলো।…………
চলবে ইনশাল্লাহ,,,,,,,
কমেন্ট করতে ভুলবে না কিন্তু……. 🖤