ফিরে আসা পর্ব-২২

0
444

#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================

❝ #ফিরে_আসা ❞
————————

লেখিকা- Umma Hurayra Jahan

পর্ব- ২২

ফাতেমা – জানো তো বোন তোমাদেরকে বুঝালে তোমরা বুঝ কিন্তু….
মহিমা- কিন্তু কি ভাবি???
ফাতেমা – আচ্ছা বাদ দাও ।পরে অন্য কোন দিন বলবো ইনশাল্লাহ।আচ্ছা কালকে থেকে যে নামায শুরু করবে বলেছিলে মনে আছে তো????
মহিমা- হুম মনে আছে তো।কিন্তু ….
ফাতেমা – কি কিন্তু বোন???
মহিমা – আমার বলতে লজ্জা লাগছে ।কি করে যে বলি???
ফাতেমা – আরে এরকম করছো কেন ?কিসের লজ্জা ?আমি না তোমার বোন?তাহলে বোনের কাছে কিসের লজ্জা?লজ্জা না পেয়ে বলে ফেলো কি সমস্যা।
মহিমা – না মানে ভাবি আমি তো নামাযের সঠিক নিয়ম কানুন জানি না ।একটু আধটু জানি।জীবনে কোন দিন তো তেমন নাময পড়ি নি তাই।
ফাতেমা – আরে পাগলি বোন আমার।এটা বলতে লজ্জা কিসের???তুমি আগে নামায পড়তে না কিন্তু এখনতো বুঝেছ ।আর তুমি তো এখন শিখতে পারবে। কারন শিখার কোন সময় সীমা নেই।আমি তোমাকে সব নিয়ম কানুন শিখিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ।
মহিমা- ধন্যবাদ ভাবি।
ফাতেমা – হুম। জানো মহিমা আমরা কিন্তু ইচ্ছা করলে পদে পদে সওয়াব অর্জন করতে পারি।আমাদের ইসলাম ধর্ম অামাদেরকে এমনি সুযোগ দিয়েছে যে আমরা যদি কিছু কাজ করি তাহলে সহজেই সওয়াব অর্জন করতে পারবো।
মহিমা – কিভাবে ভাবী???
ফাতেমা – এই যে তুমি মাত্র আমাকে ধন্যবাদ বললে এটার পরিবর্তে যদি তুমি জাযাকাল্লাহু খয়রান বলো তাহলে এতে আল্লাহ খুশি হবেন।তোমার নেকি লাভ হবে। কারন প্রত্যেকটা আরবি হরফ উচ্চারনে ১০ টা করে নেকি লাভ করা যায়। যার ফলে তুমি যদি জাযাকিল্লাহু খয়রান বলো তাহলে অনেক গুলো নেকি লাভ করতে পারবে। জাযাকিল্লাহু খয়রান মেয়েদেরকে আর ছেলেদেরকে জাযাকাল্লাহু খয়রান বলতে হয়।আরো ধরো তুমি wow এর বদলে মাশাল্লাহ বললে আবার কোন কিছু সুসংবাদ শুনে আলহামদুলিল্লাহ বললে, সুবাহাল্লাহ বললে অনেক নেকি লাভ করা যায়।
মহিমা – মাশাল্লাহ তুমি কতো কিছু জানো ভাবি।তুমি আমাকে নামাযটা শিখিয়ে দিয়ো প্লিজ।
নুরি এর মধ্যে ফাতেমার ঘরের দরজার সামনে আসলো।
নুরি- আমি কি ভিতরে আইতে পারি ভাবি???
ফাতেমা – আরে নুরি আসো আসো।
নুরি ঘরে ঢুকে ফ্লোরে বসলো।
ফাতেমা – আরে আরে কি করছো নিচে বসেছো কেন আমার সাথে সোফায় বসো।
নুরি- কি আমি বসমু সোফায়???আপনি কি পাগল হইয়া গেছেন নাকি ভাবি???আমি তো কামের মাইয়া আমি সোফায় বসমু কেমনে????
ফাতেমা – আমি সকালে তোমাকে কি বলেছিলাম নুরি তোমার মনে নেই?????মহানবি সা: বলেছেন যে তোমাদের গৃহকর্মীরা তোমাদের ভাই বোনের মতো ।তোমরা তাদের প্রতি সদয় হও ।তুমি কি আমার বোনের মতো না????ও বুঝতে পেরেছি তুমি আমাকে নিজেন বোন মনে করো না।
নুরি- আরে আরে ভাবি আফনি এইডা কি কইতাছেন???আমি আপনারে নিজের বড় বইনের মতই মানি।
ফাতেমা – তাহলে কি বড় বোনের কথা শুনবে না????বসো আমার সাথে ।
নুরি ফাতেমার সাথে বসলো।
নুরি- জাযাকিল্লাহু খয়রান ভাবি
ফাতেমা – ও মা তুমি এটা কোথা থেকে শিখলে???
নুরি – ভাবি আমি আফনাকো কতা ঐ খান থাইকা শুনতাছিলাম।ঐ সময় শিখছি।আর আফনে মহিমা আফারে নামায শিহানোর কতা শুইনা আমি ভিতরে আইছি ।ভাবি আমিও শিখমু নামায। আমারে শিখাইবেন????
ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ।তুমিও নামায শিখবে?????ইনশাল্লাহ অবশ্যই শিখাবো।
আচ্ছা মহিমা বোন আমার তুমি কয়টা সূরা জানো বলো তো???
মহিমা- না মানে বেশি একটা জানি না।স্কুলে থাকতে ৪টা শিখেছিলাম। এখনো এগুলো মনে আছে।
ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ আপাতত ৪টা হলেই হবে। পরে তোমাকে আরো শিখিয়ে দিবো।আর আজ নামাযের বাকি দোয়া গুলো লিখে দিবো।এগুলো যত কষ্টই হোক রাতের মধ্যে মুখস্ত করবে। পারবে না?????
মহিমা- ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো।
ফাতেমা – নুরি তুমি কয়টা সূরা পারো??
নুরি- ভাবি আমার পনেরো ডা সূরা মুখস্ত আছে। আর আমি নামাযের দোয়া গুলাও জানি। কিন্তু কহন কোনডা কেমনে পড়তে অইবো এইডা জানি না।
ফাতেমা আর মহিমা অবাক হয়ে নুরির দিকে তাকিয়ে আছে।
মহিমা- কি???????তুই এতো সূরা কি করে পারিস????
ফাতেমা – কোথা থেকে শিখেছো বোন????
নুরি- আমি এই বাড়িতে কামে আসার আগে আমার গেরামের মক্তবে পড়তাম।ঐ খানেই শিখছি।কিন্তু নামাযডা পড়া অয় না তো হেই কারনে ভুইলা গেছি ।
ফাতেমা – একটা সুরা শুনাও তো।
নুরি তার মধুর কন্ঠে সুরা মাউন তিলাওয়াত করে শুনালো।
ফাতেমা আর মহিমা হা করে তাকিয়ে আছে নুরির দিকে।
নুরি- কি হইলো আফনারা এমন কইরা তাকাইয়া আছেন ??আমার সূরা ডা কি ভালা হয় নাই।
ফাতেমা- মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ এতো সুন্দর করে তিলাওয়াত করো তুমি???আমি তো ভাবতেই পারছি না বোন। মাশাল্লাহ
মহিমা – কি রে নুরি তুই তো কোন দিন বলিস নি যে তুই এতো সুন্দর তিলাওয়াত পারিস।
নুরি- না মানে কেমনে কমু আপনাদের ঘরে তো কেউ আর এইসব পছন্দ করতো না।তাই কই নাই আরকি।
কথাটা শুনে মহিমার কেমন জানি লজ্জা লাগলো। সত্যিই তো কারন তাদের পরিবারের কেউ কোন কোন দিন কোরআন শরিফের ধারে কাছেও যায় নি।ঘরে একটা কুরআন শরিফ পর্যন্ত নেই।
ফাতেমা – আচ্ছা ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই।আগে কেউ এগুলো করতো না কিন্তু এখন থেকে সবাই করবে।ইনশাল্লাহ
মহিমা – আচ্ছা ভাবি তুমি আমাকে দোয়া গুলো লিখে দাও আমি এগুলো আজ রাতের মধ্যেই শিখবো।
ফাতেমা – আচ্ছা ঠিক আছে।
নুরি- আইচ্ছা ভাবি আমি রান্না ঘরে যাই আমার রান্না করতে হইবো।
ফাতেমা – আমিও তোমাকে আজ রান্নায় সাহায্য করবো বোন।
নুরি – আরে না না আফনি নতুন বউ আফনি কেন রান্না করবেন।
ফাতেমা – তো কি হয়েছে আমার মিষ্টি বোন আমি তো আমাদের বাড়িতেও রান্না করেছি।তাহলে????

নুরি- যদি খালাম্মা কিছু কয়? ?

ফাতেমা – মা কিছুই বলবে না।আমি মায়ের কাছে অনুমতি নিয়ে নিবো।

মহিমা- আচ্ছা ভাবি আমি আমার রুমে গেলাম।

ফাতেমা – ঠিক আছে।

ফাতেমা আর নুরি নিচে গেল মেহেঘ বেগমের ঘরে ।

ফাতেমা – আসসালামুআলাইকুম মা ।আসবো????

মেহেঘ- হুম আয়।

ফাতেমা – একটা কথা বলার জন্য এসেছি ।বলতে পারো অনুমতি নিতে এসেছি।

মেহেঘ- কি অনুমতি??

ফাতেমা- মা আজকের. রাতের রান্নাটা কি আমি করতে পারি??

মেহেঘ- কিন্তু তুই তো নতুন বউ ।তোকে যদি রান্না করতে দিই মানুষে কি বলবে???

ফাতেমা – তুমি না আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভাবো তাহলে???

মেহেঘ- হয়েছে পাকা বুড়ি এতো যুক্তি দেখাতে হবে না ।যা তোর ঘর তোর যা মন চাইবে সেটাই রাধিস।

ফাতেমা- জাযাকিল্লাহু খয়রান মা।

মেহেঘ- কি সব বলিস বুঝি না।

ফাতেমা -পরে বুঝিয়ে দেবো ।আগে রান্নাটা করে আসি।

এই ফাতেমা রান্না ঘরে গেল ।

ফাতেমা ফ্রিজের মধ্যে যা ছিলো তা দিয়েই অনেক রকমের রান্না করেছে।

নুরি – আরে ভাবি অনেক সুন্দর গন্ধ বাইর হয়ছে তো।বাহ্

ফাতেমা – জাযাকিল্লাহু খয়রান আমার পিচ্চি বুবু।

ফাতেমা রান্না শেষ করে ফাতেমা ঘরে গেল। ঘরে যেতেই এশার আযান পড়ে গেছে। ফাতেমা ওযু করে নামায পড়ে নিলো। আর আজকের সারাটা দিনের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলো।
নামায শেষে ফাতেমা মোবাইলেই অ্যাপ দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করছিলো ।কারন ঘরে কোরআন ছিলো না।

এর মধ্যেই মাহিন ঘরে এলো।
ফাতেমা – আসসালামুআলাইকুম।

মাহিন জবাব না দিয়ে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।

ফাতেম- কি অদ্ভুত মানুষ রে বাবা।আচ্ছা উনার মনে কি মায়া দয়া কিছুই নেই নাকি???শুধু আমার সাথে রাগ দেখায়।আমার যে কষ্ট হয় উনি সেটা বুঝে না??

মাহিন ওয়াশরুম থেকে বের হতেই ফাতেমা আবার সালাম দিলো।

ফাতেমা – কি হলো দুইবার সালাম দিলাম একবারো উত্তর দিলেন না কেন???আপনাকে তো ঐ দিন বলেছি যে সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব।

মাহিন- এই মেয়ে তোমার সমস্যা কি হে???দেখছো যে আমি কথা বলতে চাইছি না তারপরও কথা বাড়াচ্ছো কেন??এমনিতেই মাথাটা নষ্ট হয়ে আছে।তোমার মতো এক চাচি আম্মা ক্ষেত কে বিয়ে করে আমার আজ এতো অপমান শুনতে হলো। তোমাকে দেখে তো আমার বন্ধুরা আমাকে নিয়ে আজ যা মজা করলো আর অপমান করলো তা আমি জীবনেও শুনি নাই ।এ সব কিছু তোমার জন্য হয়েছে। জানি না কোন দিন বন্ধু মহলে মুখ দেখাতে পারবো কিনা???

ফাতেমা – আচ্ছা আজ আমি পর্দা করি বলে এগুলো বলছেন তাই না???কিন্তু আজ যদি আপনার বউ সেজেগুজে আপনার বন্ধুদের সাথে হাসি মজা করে কথা বলতো, আপনার বন্ধুদের গা ঘেষে দাড়িয়ে মুখ বাকা করে সেলফি তুলতো তাহলে হয়তো আপনি বেশি খুশি হতেন তাই না?????হায় রে মুসলমান যেখানে কতো পুরুষেরার শত চেষ্টা করেও নিজেদের স্ত্রীদেরকে পর্দায় রাখতে পারে না বলে আফসোস করে সেখানে আপনি না চাইতেই পর্দাশীল বউ পেয়েছেন।যার কোন কদর আপনি করছেন না।কিন্তু ঠিক এমন একদিন আসবে যেদিন আপনি কেদে মরে যাবে তবুও আমাকে পাবেন না ।তখন আপনার কিছুই করার থাকবে না ।তখন আপনি বুঝবেন আমার শূন্যতা ।

মাহিন- হু….।আমি খুজবো তোমাকে?????হাসালে তো ।মরে গেলেও তোমাকে খুজবো নার।তুমি আমার জীবন থেকে চলে গেলে আমার মতো খুশি ব্যক্তি আর কেউ হবে না।

কথাগুলো শুনে ফাতেমার খুব খারাপ লাগলো।

ফাতেমা – আপনি এমনটা বলতে পারলেন???আচ্ছা ঠিক আছে আমিও সেইেদিনের অপেক্ষায় রইলাম।

এই বলে ফাতেমা নিচে গেলো।

আরমান – কিরে মা কি করছিস এই তো বাবা সবার জন্য খাবার পরিবেশন করছি। যাও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এসো রাতের খাবারের সময় হয়ে গেছে।

আরমান- ঠিক আছে।

ফাতেমা -নুরি যাও তো বোন সবাই কে ডেকে নিয়ে এসো তো খাবারের সময় হয়ে গেছে।

নুরি – আইচ্চা যাইতাছি

নুরি সবাইকে ডেকে নিয়ে আসলো ।মাহিনও খেতে এসেছে।

মহিমা- কিরে ভাইয়া তুই এখানে বসছিস কেন??ভাবির সাথে বোস।

মাহিন – না ।আমার এই জায়গাতেই বেশি ভালো লাগছে।

মেহেঘ – আচ্ছা ঠিক আছে এখানেই বোস।

সবাই খাওয়া শুরু করেছে।

আরমান- আজকের খাবারটা তো অন্যদিনের থেকে বেশি মজা হয়েছে বাহ্। নুরি কিরে আজ কি এমন করলি যে খাবার এতো মজা হয়েছে??

নুরি – আরে খালু আজকে তো আমি রান্দি নাই ।ভাবি রানছে আজকে।

এ কথা শুনে মাহিন বিষম খেল ।

মাহিন- [কাশতে কাশতে] পানি পানি দাও পানি

মহিমা- ভাইয়া নে নে পানি খা।

মাহিন পানি খেলো।

মাহিন- আমার খাওয়া শেষ। আমি উঠলাম।

ফাতেমা – আরে আপনি তো মাত্র দুই লোকমা মুখে নিয়েছেন আর এখনি বলছেন যে খাওয়া শেষ!!!

মাহিন- আরে বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি।আমার বেশি ক্ষিদে নেই।

আসলে মাহিন মিথ্যে কথা বলেছে ও বাইরে কিছুই খায়নি ।ফাতেমা রান্না করেছে বলে ও কিছু খায় নি।

আরমান- আচ্ছা ঠিক আছে ।কিন্তু কালকে রেডি থেকো।

মাহিন – কেন বাবা কোথায় যাবো।???

আরমান- কালকে ফাতেমাকে নিয়ে তুমি ময়মনসিংহ যাবে ওদের বাড়িতে।

মেহেঘ- হে রে বাবা। এটা নিয়ম।

মাহিন- আমি যেতে পারবো না বাবা ।আমার কালকে অফিসে একটা কাজ আছে।

আরমান- কোন কাজ নেই ।যা আছে আমি সামলে নেব।আর আমি যা বলেছি তাই হবে।

মাহিন- কিন্তু বাবা…..

আরমান- কোন কিন্তু না আমি যা বলছি তাই করবে।

মাহিন- ঠিক আছে।

মাহিন ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লো ।খাওয়া শেষে ফাতেমাও ঘরে গেল।

ফাতেমা – আমি জানি আপনি কেন খান নি।আমি রান্না করেছি তাই আপনি খান নি।

মাহিন কোন কথা বললো না।

ফাতেমাও আর কথা না বাড়িয়ে সোফায় শুয়ে পড়লো।

রাত প্রায় ১টা বাজে মাহিনও ঘুমায়নি আর ফাতেমাও ঘুমায় নি।
মাহিন ক্ষিদের জ্বালায় এপাশ ওপাশ করছে।
আর ফাতেমা ঘুমায় নি মাহিন খায় নি বলে ।
ফাতেমা বুঝতে পেরেছে মাহিনের খুব ক্ষিদে পেয়েছে তাই এপাশ ওপাশ করছে।

ফাতেমা উঠে রান্না ঘরে গেল। গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখলো ফ্রিজে পায়েশ আছে ।ফাতেমা পায়েশ গরম করে নিয়ে গেল মাহিনের কাছে।

ফাতেমা – এই যে মশাই জানি তো ক্ষিদের জ্বালায় ঘুমাতে পারছেন না। ক্ষিদের জ্বালায় মরবে কিন্তু আমার হাতের রান্না খাবেন না তাই তো???
নিন এ পায়েসটা খেয়ে নিন। আর হে এটা আমি রান্না করি নি ।ফিজে ছিলো তাই নিয়ে এলাম গরম করে। নিন খেয়ে নিন।

মাহিন- এই মেয়ে তোমাকে বলেছি আমার ক্ষিদে পেয়েছে????এতো ভাব কেন তোমার ?

মহান সাজতে এসেছে আমার কাছে।যত্তসব।

ফাতেমার- আমি মহান সাজতে আসিনি ।আমার কর্তব্য আপনার খেয়াল রাখা।আপনার সবসময় যত্ন নেয়া ।এখানে ভাবের কিছু নেই ।
আর কি যেন বললেন আমাকে…………….

চলবে ইনশাল্লাহ……🖤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here