#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকা- Umma Hurayra Jahan
পর্ব-২৮
এবার তৈরী হলো মাহিন আর ফাতেমার খুনসুটি মুলক ঝগড়া।
ফাতেমা – তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন ।কাল সকাল সকাল উঠতে হবে।কলেজে যেতে হবে।
মাহিন – আমি কোথায় ঘুমাবো???
ফাতেমা- কেন ??বিছানায় ঘুমাবেন।
মাহিন- আর তুমি???
ফাতেমা- আমিও তো এখানেই ঘুমাবো।
মাহিন- তোমার সাহস তো কম না ?আমার সাথে ঘুমানোর খুব শখ তাই না????
ফাতেমা- দেখুন আমার ঘরটা আপনার ঘরের মতো এতো বড় না।আর আমার ঘরে সোফাও নেই যে আমি সোফায় শুয়ে পড়বো।আর ফ্লোরে অনেক ঠান্ডা।আমি ফ্লোরে শুলে আমার জ্বর উঠে যায়।তাই দুজনকে এক সাথেই এই বিছানাতেই থাকতে হবে।
মাহিন- Impossible.কোন দিনও না।তুমি কি শর্ত দিয়ে আমাকে তোমাদের বাড়িতে থাকতে বলেছিলে?তুমি না বলেছিলে আমায় ডিস্টার্ব করবে না।তাহলে এখন ডিস্টার্ব করছো কেন??
ফাতেমা- আপনি দয়া করে শান্ত হন।দয়া করে পরিস্থিতিটা বুঝার চেষ্টা করুন।আর আমি যদি ড্রয়িং রুমে গিয়ে শুই তাহলে মা বাবা যদি দেখে ফেলে তাহলে হাজারটা প্রশ্ন করবে।আপনার কোন সমস্যা হবে না ।আমি এই এক কোনে একটু জায়গা নিয়ে শুবো।আপনার কাছে যাবো নাতো।আপনি চিন্তা করবেন না।
মাহিন- এজন্যই আমি থাকতে চাই নি।
ফাতেমা – দয়া করে রাগ করবেন না।আর আমি বিছানার মাঝখানে বালিশ দিয়ে পার্টিশান করে দিবো।তাহলে আর সমস্যা হবে না।
মাহিন- ঠিক আছে।
ধমক দিয়ে বললো ।
ফাতেমা ২টা বালিশ দিয়ে পার্টিশান করে দিলো।
একপাশে মাহিন শুয়ে পড়লো।
ফাতেমা শুয়ার আগে সূরা মূলক পাঠ করে নিলো।আর বাকি আমল গুলো যেমন সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত,সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত,সুরা ফাতিহা একবার ,তিনবান সূরা ইখলাস,পড়লো।৩৩বার সুবাহানাল্লাহ,৩৪ আল্লাহু আকবার,৩৩ আলহামদুলিল্লাহ,২১ বার বিসমিল্লাহ্,আর আয়াতুল কুরসি এবং ঘুমের দোয়া পড়ে নিলো।
ঘুমের আগে এই আমল গুলো করার ফজিলত অনেক।
ফাতেমা বিছানায় শুতে আসলো।
মাহিন- আমার থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে বলে দিলাম।
ফাতেমা – আমার এই খাটটাই তো ১০০ হাত হবে না ।তাহলে ১০০ হাত দূরে থাকবো কি করে????হিহিহিহিহিহি
মাহিন- একদম হাসবে না বলে দিলাম।
ফাতেমা – ঠিক আছে।এবার শুয়ে ঘুমান।
কিছুক্ষন পর মাহিন এপাশ ওপাশ করছে আর একটু একটু করে বিছানার কোনার দিকে সরে যাচ্ছে।
ফাতেমা – কি হলো??এভাবে কোনায় গেলে তো পড়ে যাবেন।
মাহিন- তোমাকে এতো জ্ঞান দিতে হবে না।আমি নিজের ভালো নিজে জানি
একথা বলতে বলতে মাহিন ঠাস করে নিচে পরে গেল বিছানা থেকে।
মাহিন- ও মা গো. …….।ইশ রে।আমার কমড় টা মনে হয় ভেঙেই গেলো রে।আমি আর বাঁচবো না।আমি তো এবার মরেই যাবো।…..
ফাতেমা – আরে আরে আরে ।আমি তো বলছিলাম আপনি পড়ে যাবেন ।কিন্তু আমার কথা তো শুনলেন না। ইশ কি ব্যাথাটাই না পেয়েছেন।
মাহিন- এই সব তোমার জন্য হয়েছে বাজে মেয়ে একটা। ইশ……মরে গেলাম ব্যাথায়।
ফাতেমা – আরে উঠুন উঠুন।
ফাতেমা মাহিনের হাত ধরে টেনে তুললো বিছানায়।
মাহিন- তোমার জন্য আমি ব্যাথা পেয়েছি।তোমার জন্য আমি খাট থেকে পড়ে গেছি।
ফাতেমা – আমি কি করলাম??আমি কি ধাক্কা দিয়েছি নাকি????হিহিহিহি
মাহিন- আমি ব্যাথা পেয়েছি আর তোমার খুব হাসি পাচ্ছে তাই না??খুব মজা লাগছে?????ইশ. ….আমি মনে হয় আর হাটতে পারবো না।
ফাতেমা – এগুলো না বলে একটু আল্লাহর নাম নিলেই তো হয়।মুখে একবারের জন্যও আল্লাহর নাম নেই আপনার।
মাহিন- আমি যা ইচ্ছা তাই বলবো তোমার সমস্যা কি?????
ফাতেমা- ভাঙবেন তবু মচকাবেন না।এই বিছানায় আপনি একাই ঘুমান আমি নিচে ফ্লোরে ঘুমাচ্ছি ।
ফাতেমা একটা বালিশ আর কাথা নিয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়লো।
মাহিন মনে মনে খুব খুশি হলো।
মাহিন- বাচা গেলো।আপদটা নিচে শুয়েছে।ইশ………কি ব্যাথা গো বাবা।
এবার দুজন দু জায়গায় ঘুমিয়ে পড়লো।
ফাতেমা তাহাজ্জতের নামাযের জন্য উঠলো।ওযু করে নামায আদায় করে নিলো। ফাতেমার নামাযের প্রতিটা মুনাজাতে থাকে মাহিনের জন্য হেদায়েতের দোয়া।ফাতেমা তার প্রতিটি মুনাজাতে আল্লাহর কাছে মাহিনের জন্য হেদায়েত কামনা করে। তাহজ্জতের নামাযের কিছু সময় পর ফজরের আজান পড়ে গেল।
ফাতেমা মাহিনকে নামাযের জন্য ডাকছে।
ফাতেমা – এই যে রাগি মশাই তাড়াতাড়ি উঠুন নামাযের সময় হয়ে গেছে।কি হলো তাড়াতাড়ি উঠুন।
মাহিনের কোন পাত্তাই নেই ঘুম থেকে উঠার ।
ফাতেমা যতই ডাকে মাহিন ততই পাত্তা দেয় না।
ফাতেমা – কি হলো উঠুন।এই সময় কোন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর ডাকে সাড়া না দিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে পারে না।উঠুন প্লিজ উঠুন।
মাহিন কানের মধ্যে বালিশ দিয়ে শক্ত হয়ে শুয়ে আছে।
ফাতেমা – আপনি উঠবেন না তো???আচ্ছা দুইদিন সময় দিলাম।আমি আর দুইদিন এইভাবে ডাকবো।যদি না উঠেন তারপর আমি আমার ম্যাজিক দেখাবো।তখন দেখবো কি করে না উঠেন।এটাই আপনার শেষ সুযোগ।
ফাতেমা একাই নামায আদায় করে নিলো। নামায শেষে কোরআন পাঠ করে নিলো।
ফাতেমা কোরআন পাঠ শেষ করে মায়ের কাছে গেলো।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম মা আসি???
খাদিজা- আয়। তোর নামায শেষ??
ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ শেষ।তোমার??
খাদিজা- আমারো।তোর বাবা আর ভাই মসজিদে গেছে।জানিস রে মা তোর বাবা নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।আল্লাহ তোর দোয়া কবুল করেছেন রে মা।
ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ।আমি জানতাম মা বাবা ঠিকি হেদায়েতের পথে আসবে। আমি আশা ছাড়ি নি।আমি আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছিলাম।আমি জানতাম একদিন না একদিন আল্লাহ আমার পরিবারের সকলকে হেদায়েত দান করবেন।
কিন্তু মা তুমি তো পরিপুর্ন পর্দা করো না।এটার জন্য তো বাবা আর ভাইয়া দুজনি গুনাহগার হবে।
খাদিজা- আমি তো বাইরে গেলে বোরকা হাতমুজা পা মুজা পড়ে বের হই ।
ফাতেমা – মা শুধু বাইরে গেলেই হবে না।ঘরে যদি কোন গায়রে মাহরাম আসে তুমি তো তাদের সামনে যাও।এটা তো পর্দার খেলাফ।জানো মা অনেকে মনে করে শুধু বাইরে গেলেই হয়তো পর্দা করতে হবে।আর শুধু বাইরে যাওয়ার সময় বোরকা হিজাব হাত মুজা পা মুজা পড়লেই পরিপুর্ন পর্দা হয়। কিন্তু তারা ঘরে বা বাড়ির ভিতরে গায়রে মাহরামদের সামনে পর্দা করে না।যার ফলে পরিপুর্ন পর্দা হয় না।যার কারনে গুনাহর ভাগিদার হতে হয়।পরিপুর্ন পর্দা হলো ঘরে বাইরে দুই জায়গাতেই পর্দা করে চলা।মা তুমিও চেষ্টা করো যাতে তুমি ঘরে গায়রে মাহরাম আসলে তাদের সামনে যাতে না যেতে হয়।পরিপুর্ন পর্দার ভিতরে থাকার চেষ্টা করো।আর বাবা যেহেতু নিজেকে পরিবর্তন করছে ধীরে ধীরে।তাহলে বাবাও এখন পর্দার ব্যাপারে সাহায্য করবে।তুমি যদি গায়রে মাহরামদের সামনে না যাও তাহলে কিছু বলবে না।
খাদিজা- ঠিক আছে রে মা।করবো এখন থেকে পরিপুর্ন পর্দা করে চলবো।
ফাতেমা – এই তো আমার ভালো মা ।
খাদিজা- আচ্ছা মাহিন কোথায়??এখনো ঘুমাচ্ছে??নামায পড়বে না???
ফাতেমা – তুমি তো জানো মা উনি নামায কালাম কিছুই পড়ে না।কিন্তু আমি চেষ্টা করছি যাতে উনাকে হেদায়াতের পথে আনা যায়।তুমি দোয়া করো মা।যাতে উনি হেদায়েতের পথে আসতে পারেন।
খাদিজা- আমি জানি রে মা মাহিনকে নিয়ে তোর অনেক দু:খ ।কিন্তু চিন্তা করিস না ।একদিন ঠিকি মাহিন হেদায়েত প্রাপ্ত হবে
ইনশাল্লাহ।
কারন আল্লাহ বলেছেন কষ্টের পরেই রয়েছে শান্তি।
ফাতেমা – সেই আশাতেই রয়েছি মা।
আচ্ছা চলো নাস্তা তৈরি করে ফেলি আমাকে তো আবার আজকে কলেজে যেতে হবে টিসির জন্য।
খাদিজা- ঠিক আছে।আমি রিনাকে ডেকে নিয়ে আসি।
ফাতেমা – থাক মা ওকে ডাকার দরকার নেই ।ও হয়তো নামায পড়ে আবার শুয়েছে। ও একটু আরাম করুক ।বেচারি সারাদিন অনেক কাজ করে।ওরো একটু আরামের দরকার।ও তো ছোট মানুষ।
আমি তোমাকে সব করে দিচ্ছি।
খাদিজা- ঠিক আছে আমার দয়াময়ী আম্মাজান।চল আমার সাথে।
ফাতেমা- হিহিহি।ঠিক আছে আমার আম্মাজান।
ফাতেমা আর খাদিজা বেগম রান্না ঘরে গেল নাস্তা করার জন্য।
এদিকে হাসান আর রফিক সাহেব মসজিদ থেকে এসে গেছেন।
ফাতেমা আর খাদিজা বেগম নাস্তা তৈরি করে ফেলেছেন।
খাদিজা- প্রায় ৮টা বেজে গেছে।যা মাহিনকে ডেকে নিয়ে আয়। নাস্তা করতে হবে।
ফাতেমা – ঠিক আছে মা।
রিনা- আরে খালাম্মা আপনেরা সব নাস্তা বানাইয়া ফেলছেন দেকতাছি।আমারে ডাক দেন নাই কেন।আমি সব কইরা দিতাম।
খাদিজা- কোন সমস্যা নাই রিনা।ফাতেমা আর আমি সব করে নিয়েছি। তুই যা নাস্তা গুলো টেবিলে নিয়ে রাখ।
রিনা- আইচ্চা
ফাতেমা মাহিনকে ডাক দিতে গেল।
ফাতেমা- এই যে মশাই শুনছেন??মা নাস্তা তৈরী করেছে।তাড়াতাড়ি উঠুন নাস্তা খেতে হবে।আর নাস্তা খেয়ে আমাকে কলেজে যেতে হবে আজকে।
মাহিন- আমি এখন উঠতে পারবো না।আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
ফাতেমা – দেখুন এখন যদি আপনি না উঠেন তাহলে আমার পরিবারের সদস্যরা খুব খারাপ ভাববে।দয়া করে জলদি উঠে পড়ুন।
মাহিন- আমি উঠতে পারবো না।
ফাতেমা – আপনি উঠবেন না তো????
মাহিন- না
ফাতেমা – ঠিক আছে।তাহলে দাড়ান কিভাবে তুলতে হয় আমার ভালো করে জানা আছে।
ফাতেমা এক গ্লাস পানি মাহিনের গায়ে ঢেলে দিলো।
মাহিন খুব রেগে গেল।
মাহিন- এটা কি করলে তুমি????হে???????
ফাতেমা – এটা ছাড়া কোন উপায় ছিলো না আপনাকে জাগানোর জন্য।
বেচারা মাহিন আর কোন উপায় না পেয়ে উঠে পড়লো।
ফাতেমা- এই তো আমার ভালো রাগি মশাই ।কি সুন্দর বউ এর কথায় উঠে পড়েছেন।হিহিহিহি
মাহিন- আরেক দিন সুযোগ পেয়ে নিই আমিও মজা দেখাবো।
ফাতেমা – ঠিক আছে আমিও মজা দেখার অপেক্ষায় আছি।হিহিহিহি
এবার তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আসুন।
সবাই একসাথে নাস্তার টেবিলে এলো।
রফিক- বাবা মাহিন আজ তো ফাতেমা কলেজ থেকে টিসি আনতে যাবে।আমি একটু ব্যাস্ত তাই ওর সাথে যেতে পারবো না।হাসানেরও ভার্সিটিতে যেতে হবে।তুমি একটু ফাতেমাকে সাথে করে নিয়ে যেও।
মাহিন মনে মনে বলছে “আমার তো কাজই এটা আপনার মেয়ের সাথে সাথে ঘুরে ওর চামচামি করা”
মাহিন- আচ্ছা ঠিক আছে।
মাহিন আর ফাতেমা নাস্তা করে রেডি হয়ে কলেজের জন্য বের হচ্ছে।
মাহিন- আজ কিন্তু রিকশা দিয়ে যাবো না বলে দিলাম।
ফাতেমা – আচ্ছা ঠিক আছে।এবার চলুন তাড়াতাড়ি।দেরি হয়ে যাচ্ছে।
ফাতেমা আর মাহিন গাড়ি করেই কলেজে গেল।
ফাতেমা প্রথমে কলেজে গিয়ে প্রিন্সিপালের রুমে গেল মাহিনকে নিয়ে।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম।স্যার আসবো???
স্যার- ওয়া আলাইকুমুস সালাম আরে ফাতেমা এসো ।
কালকে আরমান আমাকে ফোন দিয়েছিলো তোমার টিসির জন্য।সব কিছু রেডি আছে কিন্তু কলেজের কমিটির মেম্বারের সই লাগবে।উনি একটু পরে আসবেন।তুমি একটু অপেক্ষা করো।
ফাতেমা – ঠিক আছে স্যার।স্যার আমি একটু বান্ধবীদের সাথে দেখা করে আসি।
স্যার- ঠিক আছে।
ফাতেমা মাহিনকে অফিসেই বসতে বললো।
ফাতেমা রিয়া আর হেন্সিকে খুজতে কেম্পাসের ভিতরে গেল।
রিয়া আর হেন্সি ক্যান্টিনের সামনে দাড়িয়ে আছে।ফাতেমা দুজনকেই দেখতে পেলো।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম।কেমন আছিস তোরা?
রিয়া আর হেন্সি সালামের জবাব দিলো।
ফাতেমা – হেন্সি কালকে কি জানি বলবি বলেছিলি বল এবার।
হেন্সি- চল ক্যান্টিনের ভিতরে যাই।ভিতরে গিয়ে কথা বলি।
তারা ক্যান্টিনের ভিতরে গেল।ভিতরে গিয়ে একটা টেবিলে তিন বান্ধবী বসলো।
হেন্সি- তোকে তো কালকে বলেছিলাম বাবার হার্ট অ্যাটর্ক হয়েছে। আরেক বার হলে হয়তো কিছু করার থাকবে না।তাই বাবা মা আমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে চাইছে।তোরা তো জানিস আমিই বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।যদি বাবার কিছু হয়ে যায় তাহলে মা একা একা আমার ভালো বিয়ে নাকি দিতে পারবে না।তাই বাবা মা আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছে ।
ফাতেমা – এটা তো ভালো কথা বিয়ে করে ফেল।কারন বিয়ের মাধ্যমে মানুষ অবৈধ সম্পর্ক থেকে দূরে থাকতে পারে।আর বিয়ের মাধ্যমে দ্বীন পরিপুর্ন হয়।
রিয়া- ফাতেমা তো ঠিকি বলেছে রে হেন্সি।
হেন্সি- কিন্তু আমি তো আর হুট করে যে কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।আমি আগে যখন হেদায়েত পাই নি তখন এমন একজনের সপ্ন দেখতাম যে হবে খুব সুন্দর হ্যান্ডসাম,যার মুখে দাড়ি থাকবে না।যে হবে খুব মর্ডান,বড়লোক।কিন্তু এখন আমি নিজেকে পরিবর্তন করছি।নিজের সব চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করছি।এখন আমি এমন কাউকে বিয়ে করতে চাই যে হবে দ্বীনদার ,পরহেজগার,ইমানদার,সুন্নত লেবাসী ।কিন্তু আমি তো মাদরাসায় পড়ি নি।এমন কেউ কি আমাকে বিয়ে করতে চাইবে???আমি তো আগে অনেক পাপ করেছি।
ফাতেমা – তুই চিন্তা করিস না তোর ইচ্ছা যদি নেক হয় তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তোর জন্য এমন কাউকেই পাঠাবেন যে তোর মনের মতো।আল্লাহর উপর. ভরসা রাখ।
রিয়া- ফাতেমা তোর তো বিয়ে হয়ে গেছে।এবার হেন্সিরও বিয়ে হয়ে যাবে।আমার কি হবে??????
ফাতেমা – হাহাহাহা।তোরও কি বিয়ে করতে মন চাচ্ছে নাকি????আন্টিকে কি বলবো যাতে আন্টি তোরও বিয়ের ব্যবস্থা করে???
রিয়া- যা কি যে বলিস আমার লজ্জা লাগে।
হেন্সি – আহারে লজ্জাবতী লতা।হিহাহিহি
ফাতেমা – হেন্সি তুই এসব নিয়ে একদম চিন্তা করিস না।আল্লাহ তোর ইচ্ছা অবশ্যই পূরন করবেন।ইনশাল্লাহ
হেন্সি- তোরা আমার জন্য দোয়া করিস।
রিয়া – অবশ্যই দোয়া করি ।
এই মুহুর্তে ফাতেমার ফোন বেজে উঠলো।
চলবে ইনশা আল্লাহ………………