ফিরে আসা পর্ব-২৯

0
434

#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================

❝ ফিরে_আসা ❞
———————-

লেখিকা- Umma Hurayra Jahan

পর্ব-২৯

হঠাৎ ফাতেমার মোবাইল বেজে উঠলো।ফাতেমা ফোন হাতে নিলো।ফোন হাতে নিয়ে দেখে মেহেঘ বেগম ফোন দিয়েছে।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম মা।
মেহেঘ- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।ফাতেমা কোথায় তুই
ফাতেমা – কেন মা? আমি তো কলেজে।
মেহেঘ- হুম সেটা তো জানি।কিন্তু কলেজের কোন জায়গায়?মাহিন তোকে খুজছে।ওর কাছে তো তোর নাম্বার নেই তাই আমাকে ফোন দিয়েছে তোকে ফোন দিয়ে জানানোর জন্য।
ফাতেমা – ও আচ্ছা।মা আমি আমার দুই বান্ধবীর সাথে অনেকদিন পর দেখা হয়েছে তাই কথা বলছিলাম। আচ্ছা আমি এখুনি উনার কাছে যাচ্ছি।
মেহেঘ- আচ্ছা ঠিক আছে রাখছি।
দুজনে সালাম বিনিময় করে ফোন রাখলো।
রিয়া- কে রে ফাতেমা???
ফাতেমা – আমার শ্বাশুড়ি মা।
হেন্সি- এখন কেন ফোন দিয়েছেন উনি?
ফাতেমা- আরে তোদের দুলাভাইয়ের কাছে আমার নাম্বার নেই তাই মাকে ফোন দিয়ে তার কাছে যেতে বলেছে।
রিয়া- কি আজব বেপার।উনার কাছে তোর নাম্বার নেই কেন?
ফাতেমা – না মানে দরকার হয়নি তো কখনো তাই নাম্বার নেয় নি।আচ্ছা উনি আমার জন্য অফিসে অপেক্ষা করছেন ।আমি যাই।তোরা ভালো থাকিস।জানি না আর কবে দেখা হবে। আল্লাহই তা ভালো জানেন। আর হেন্সি তুই ভরসা হারাস না ।দেখবি একদিন না একদিন তুই তোর মনের মতো জীবন সাথী পেয়ে যাবি।আমি তোদের দুজনের জন্যই দোয়া করি।তোরাও দোয়া করিস আমার জন্য।আর ফোন দিস।
আস সালামু আলাইকুম।
রিয়া – ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
হেন্সি- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
ফাতেমা মাহিনের কাছে অফিসে গেল।
ফাতেমা – স্যার আসতে পারি?
স্যার – হুম এসো।ফাতেমা তোমার টিসি রেডি।এখন তুমি এটা নিতে পারো।তোমার রেজাল্ট খুব ভালো ছিলো।আমরা তোমার মতো একজন মেধাবী ছাত্রীকে বিদায় দিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।যাই হোক দোয়া করি ।তুমি ভবিৎষতে নিজের পায়ে দাড়াও।
ফাতেমা – জ্বী স্যার দোয়া করবেন।যাতে আমি আমার দেশের জন্য কিছু ভালো কাজ করতে পারি।
স্যার তাহলে আমরা আসি।আস সালামু আলাইকুম।
স্যার – ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
ফাতেমা আর মাহিন অফিস থেকে বের হয়ে আসলো।
মাহিন- এই মেয়ে আমাকে একা রেখে কোথায় গিয়েছিলে????
ফাতেমা- আয় হায়। এই কিউট বউটাকে মিস করছিলেন বুঝি???হিহিহিহি।
মাহিন- ওরে আমার কোন দেশের বউ রে।তাকে নাকি আমি মিস করবো??হু…..।
ফাতেমা – আমি আমার বান্ধবীদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।যাদের সাথে আমি কালকে রাতে কথা বলেছিলাম।আর যার কারনে আপনি আমাকে উল্টা পাল্টা কথা শুনিয়েছিলেন।
মাহিন- এবার চলো বাসায় চলো।আমার কিছু ভালো লাগছে না।
ফাতেমা – আপনার ভালো লাগছে নাতো???দাড়ান আপনাকে একটা ম্যাজিক শিখিয়ে দিই ।এখনি মন ভালো হয়ে যাবে।আমার মন খারাপ হলে আমি এটা করি।মুহূর্তেই মন ভালো হয়ে যাবে। এক প্রশান্তি বিরাজ করবে মনে।
মাহিন- তোমার ম্যাজিক তো তোমার মতো ফালতুই হবে।
ফাতেমা – আরে না অনেক ভালো ম্যাজিক।শুনুনিই না।
মাহিন- কি হয়েছে তাড়াতাড়ি বলো।
ফাতেমা – মনে মনে আল্লাহর জিকির করুন।মনে মনে বেশি বেশি আল্লাহু আকবার পড়ুন ।দেখবেন মন এখুনি ঠিক হয়ে যাবে।সাথে আপনি সওয়াবও পাবেন।আল্লাহ খুশি হবেন।
মাহিন- তাহলে এটাই তোমার ম্যাজিক??
ফাতেমা- হুম।অনেক সুন্দর না ম্যাজিক টা।
মাহিন- তুমি তোমার ম্যাজিক ধুয়ে পানি খাও।
ফাতেমা – আমি আপনার মন ভালো করার একটা সহজ উপায় বলে দিয়েছিলাম।এখন আপনি করবেন কি করবেন না সেটা আপনার ব্যাপার মশাই।
মাহিন কিছু বললো না।
মাহিন মনে মনে একা একাই বলছে “দেখি তো ম্যাজিকটা করে সত্যি সত্যি মন ভালো হয় কিনা??
মাহিন মনে মনে আল্লাহর যিকির করতে লাগলো আর গাড়ির সামনে আসলো।ফাতেমা আর মাহিন গাড়িতে উঠে বসলো।
মাহিনের মন সত্যি আগের থেকে একটু ভালো লাগছে।
মাহিন মনে মনে বলছে সত্যি তো এই মেয়ের ম্যাজিকটা কাজে দিয়েছে।কেমন জানি একটা শান্তির অনুভুতি হচ্ছে ।
ফাতেমা- কি হলো গাড়ি স্টার্ট দিন।আপনি হঠাৎ নিরব হয়ে গেলন কেন?বাসায় যেতে হবে তো।
মাহিন গাড়ি স্টার্ট দিলো।
গাড়ি চলছে ।হঠাৎ রাস্তায় একটু জ্যাম হলো রেললাইনের সিগনালের জন্য।
ফাতেমা – আচ্ছা আপনার কাছে তো আমার নাম্বার নেই আবার আমার কাছেও আপনার নাম্বার নেই।যদি কোন দিন দরকার হয় তখন কি করবেন???
মাহিন- তোমাকে আমার কোন দিনি দরকার হবে না।
ফাতেমা – ঠিক বলছেন তো???আমাকে কোন দিন দরকার হবে না তো???
মাহিনের এমন কথা শুনে ফাতেমার মনটা খারাপ হয়ে গেল।
মাহিন- বললাম তো কোন দিন দরকার হবে না তোমাকে আমার।
ফাতেমা – আচ্ছা ঠিক আছে।আমি আপনার নাম্বারটা বাসায় গিয়ে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে নিবো।কিন্তু আমার নাম্বারটা আপনাকে দিবো না।সবাইকে দিতে না করে দিবো।
কিন্তু আল্লাহ না করুক এমন একদিন আসবে যেদিন আপনি আমার সাথে কথা বলার জন্য ছটফট করবেন ।কিন্তু কথা বলতে পারবেন না।আপনাকে আমার নাম্বারও কেউ দিবে না।এই আমি বলে রাখলাম।
মাহিন- তোমাকে আমার দরকার নেই।আমার তো মি. ….
ফাতেমা – মি কি???কি বলতে গিয়ে থেমে গেলেন??ঐ দিনও আপনি মি বলে থেকে গেছিলেন।আসলে ব্যাপারটা কি বলুন তো??এই মি টা কে??
মাহিন- কেউ না।আর তুমি আমার জীবনের কোন বিষয়ে দখলদারি করতে আসবে না বলে রাখলাম।
জ্যাম ছুটে গেলো ।গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো।কিছুক্ষনের মধ্যেই ওরা বাসায় পৌছে গেল।
বাসায় পৌছে ফাতেমা রান্নার কাজে মাকে সাহায্য করেতে গেল ।মাহিন ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছে।
হাসান ভার্সিটিতে আর রফিক সাহেব উনার নিজের কর্মস্থলে গেছেন।
রিনা ঘর ঝাড়ু দিচ্ছিলো।মাহিনকে দেখে রিনা মাহিনের কাছে গেলো।
রিনা- আইচ্ছা দোলাভাই এককান কতা কই??
মাহিন- কি হয়েছে বলো?
রিনা- আইচ্ছা আফনি যেইদিন ফাতেমা বুবুরে দেখতে আইছিলেন ঐ দিন এমন এককান ছিড়া পেন্ট কেন পইরা আইছিলেন???ঐ সময় কি আফনার পেন্ট কিনার টাকা আছিন না????
মাহিনের হাসতে লাগলো রিনার কথা শুনে।
মাহিনের হাসির শব্দ শুনে ফাতেমা রান্না ঘর থেকে তাড়াতাড়ি এলো।
ফাতেমা ড্রয়িং রুমের দরজার সামনে থেকে মাহিনের হাসি দেখছে।
ফাতেমা – আমার রাগি মশাইটা হাসলে কি যে সুন্দর লাগে।কিন্তু মশাইটা সবসময় আমার সাথে রেগে রেগে কথা বলে।কবে যে উনি আমার সাথে একটু সুন্দর করে হেসে ভালোবেসে কথা বলবে একমাত্র আল্লাহ জানেন।হে আল্লাহ তুমি উনার মনকে আমার দিকে ফিরিয়ে দাও মাবুদ ফিরিয়ে দাও।
ফাতেমা আবার রান্না ঘরেই চলে আসলো।রান্না বান্না শেষে ফাতেমা নামাযের প্রস্তুতি নিলো।
এ সময় মাহিন ফাতেমার রুমে এলো।
ফাতেমা – এই যে আমার মশাই তাড়াতাড়ি গোসল করে নিন।একটু পরে দুপুরের খাবার খেতে হবে।
মাহিন- আমার জামা কাপড় কে দিবে??সব কোথায় আছে আমি তো কিছুই জানি না।
ফাতেমা – আচ্ছা আমি বের করে দিচ্ছি।
ফাতেমা সব বের করে দিলো।
ফাতেমা নামায কালাম শেষ করে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে।
এভাবেই কেটে গেলো সারাটা দিন।
ফাতেমা এশার নামায শেষ করে কিছুক্ষন কোরআন পাঠ করে নিলো।
মাহিন বেলকনিতে বসে মোবাইল চালাচ্ছে।
ফাতেমা – এই যে মশাই আমার।নিশ্চই খুব বরিং লাগছে???চলুন আমাদের ছাদ থেকে ঘুরে আসি।
মাহিন ছাদে যেতে রাজি হলো।
মাহিন- ঠিক আছে।
ফাতেমা – তাহলে দাড়ান আমি বোরকাটা পড়ে নিই।
মাহিন- কি????রাতের বেলা ছাদে গেলেও তোমার বোরকা পড়তে হবে????
ফাতেমা – হে ।আমি তো আগে থেকেই এমনি।আমি রাতের বেলা ছাদে গেলেও বোরকা পড়ে যাই।কারন পর্দা তো পর্দাই ।পর্দার কি কোন রাত দিন আছে নাকি???হিহিহি।
মাহিন- এই মেয়ে তোমার আলসি লাগে না????
ফাতেমা – আলসি লাগবে কেন?আমি তো আমার আল্লাহকে ভালোবেসে উনার ইবাদত করি।আর আমি ইবাদতে কোন আলসি করি না।কারন যে ইবাদতে আলসি থাকে তা মনে হয় আল্লাহ পছন্দ করেন না।তাই আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই দুনিয়ার আরাম আয়েশকে প্রাধান্য দিই না।বুঝলেন মশাই?আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি অনন্তকালের জীবনের জন্য। যা হলো পরকাল।আর জানি না পরকালের জন্য কতটা নিজেকে তৈরী করতে পেরেছি।একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।
মাহিন শুধু আবাক হয়ে ফাতেমার কথা শুনে।কারন ওর কথা শুনে কেউ কোন কথাই বলতে পারে না।
ফাতেমা – আরে মশাই এবার চলুন যাই।
ফাতেমা আর মাহিন ছাদে গেল।ফাতেমাদের ছাদটা অনেক সুন্দর অনেক ফুলের গাছ আছে।গাছগুলো ফাতেমা আর হাসান লাগিয়ে ছিলো।দুই ভাই বোনের খুব শখ বাগান করার।আর কতগুলো বিদেশি আম গাছও আছে।গাছগুলো ছোট হলেও আম হয় সারাবছর।সব মিলিয়ে ছাদটা অনেক সুন্দর ।আর লাইটের আলোতে ছাদটা অনেক সুন্দর লাগছে।
ছাদের এক কোনায় একটা দোলনা আছে।যেটা ফাতেমার কথাতেই রফিক সাহেব কিনে এনেছিলেন।
মাহিন ছাদটা হেটে হেটে দেখছে।
মাহিন- বাহ্ তোমাদের ছাদটা তো অনেক সুন্দর ।
ফাতেমা – হুম ।আমি আর ভাইয়া এই সব গাছ লাগিয়েছিলাম।
মাহিন সারা ছাদ হাটছে আর ফাতেমাও পিছে পিছে হাটছে।
মাহিন- তুমি একটু অন্যপাশে যাও তো ।আমাকে একটু একা হাটতে দাও।
ফাতেমা দ্বীর্ঘশ্বাস ফেললো।
ফাতেমা – আচ্ছা একটা কথা বলি??
মাহিন- কি??
ফাতেমা – আপনি আমার সাথে সবসময় এমন খারাপ ব্যবহার কেন করেন বলেন তো??আমাকে কি আপনার একদমি পছন্দ না??আমি এতোটাই খারাপ যে আপনি আমার সাথে একটি বারের জন্যও একটু ভালো ব্যবহার করতে পারেন না।কি দোষ আমার?আর আমাকে যদি এতই অপছন্দ ছিলো আপনার তাহলে কেন বিয়ে করলেন আমাকে???আপনি কি জানেন যখন আপনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন তখন না আমার কলিজাটা ফেটে যায়।খুব কষ্ট হয় আমার।মনে হয় চিৎকার করে কাদি ।কিন্তু আমি আমার ২ পরিবারের জন্য আমি সব সহ্য করি।আপনি কি জানেন যখন একজন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে সেই স্ত্রীর জন্য সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার সেটা।আপনি কি কোন দিনও আমায় ভালোবাসবেন না????
মাহিন- দেখো তুমি ভালো মেয়ে।কিন্তু আমি তোমার মতো কোন জীবন সাথি চাই নি।তুমি তোমার দিক দিয়ে ভালো।তুমি যদি তোমার মতো কোন মুন্সিকে বিয়ে করতে তাহলে সে হয়তো তোমাকে ভালোবাসতো।কিন্তু আমি তোমার মতো নই বা তুমিও আমার মনের মতো নও । তাই আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারবো না কোনদিন স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবো না।আমি দু;খিত।
ফাতেমা মাহিনের কথা শুনে শুধু চোখের পানি ফেলছে।
ফাতেমা মনে মনে বলছে “ আমি যে আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি।আপনি আমার মতো না তবুও আমি আপনাকেই স্বামী হিসেবে মানি।আমি আপনাকেই ভালোবাসি।আমি আপনাকে নিয়ে জান্নাতে একসাথে থাকতে চাই।দয়া করে ফিরে আসুন না ।
কিন্তু ফাতেমার মনের কথা তো মাহিন শুনতে পারছে না বা বুঝতে পারছে না।বুঝবেই বা কি করে,?মাহিন তো ফাতেমাকে বুঝার চেষ্টা টুকুই করে না।
মাহিন- আমি তোমাকে স্ত্রী হিসেবে মানতে পারবো না।তুমি আমার জীবন থেকে চলে গেলে শান্তি পাবে।তাই দয়া করে আমাকে মুক্তি দাও।তুমিও ভালো থাকবে আর আমিও ভালো থাকবো।
ফাতেমা – কিন্তু আমি তো আপনাকে নিয়েই ভালো থাকতে চাই।দয়া করে একটু চেষ্টা করে দেখুন না আমাকে ভালোবাসতে পারেন কিনা।
মাহিন- আমি পারবো না।
এই বলে মাহিন নিচে চলে গেল।ফাতেমা ছাদে দাড়িয়ে একা একাই কান্না করছে।আর আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছে।
ফাতেমা কাদতে কাদতে নিকাব ভিজিয়ে ফেলেছে।চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে
ফাতেমা চোখের পানি মুছে ঘরে গেল।
নিজের ঘরে যাওয়া সময় ফাতেমা খাদিজা বেগমের সামনে পড়লো।
খাদিজা- কিরে ফাতু কোথায় ছিলি এতোক্ষন?
ফাতেমা – মা আমি ছাদে ছিলাম।
খাদিজা- কিরে মা তোর কন্ঠ এমন লাগছে কেন???কি হয়েছে??তোর চোখ লাল কেন???
ফাতেমা কোন দিন তার মায়ের কাছে কিছু লুকায় না।তাই ফাতেমা তার মাকে সব বলে দিলো।
মেয়ের কথা শুনে খাদিজা বেগমও কান্না করছে।
খাদিজা- তুই ধৈর্য্য ধর মা ।আল্লাহ সব ঠিক করে দিবেন ।আল্লাহ আমার মেয়েটাকে এভাবে কষ্ট দিতে পারেন না।দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।
ফাতেমা – আমি একমাত্র আল্লাহর ভরসাতেই আছি।দেখি শেষ পর্যন্ত আল্লাহ আমার কপালে কি লিখে রেখেছেন।
খাদিজা- হে রে মা।তুই ধৈর্য ধর।
ফাতেমা নিজের ঘরে গেল।দেখলো মাহিন বেলকনিতে বসে আছে।
ফাতেমা ঘরে এসে বোরকা খুলে গুছিয়ে রাখলো।
ফাতেমা – চলুন ।রাতের খাবারের সময় হয়ে গেছে।সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
ফাতেমা আর মাহিন খাবার টেবিলে গেল।
মাহিন- আংকেল কালকে কিন্তু আমরা ঢাকায় চলে যেবো।
রফিক- বাবা আর কয়টা দিন থাকলে হতো না?
মাহিন- না আংকেল ।ঢাকায় একটু কাজ আছে ।তাই তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
রফিক- আচ্ছা ঠিক আছে বাবা।যেহেতু দরকারি কাজ আছে তাই আর কিছু বললাম না।তোমরা যেতে পারো কাল।
মাহিন- ধন্যবাদ আংকেল।
রাতের খাবার শেষে মাহিন আর ফাতেমা ঘরে চলে এলো।
আজ ফাতেমা মাহিনকে আর কিছু বললো না।নিজে ওযু করে এসে আমল করে এসে নিচে ফ্লোরে বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়লো।
মাহিন তো অবাক।কি ব্যাপার এই বক বকের রাণী আজ কোন কথা বললো না কেন????কি হলো???
মনে হয় আমার কথাগুলো মনে হয় সিরিয়াসলি নিয়েছে। যাই হোক ভালো হয়েছে। একটু শান্তিতে থাকবো।
মাহিনও চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়লো।
তাহাজ্জতের সময় ঘুম ভাঙলো ফাতেমার……
চলবে ইনশা আল্লাহ….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here