ফিরে আসা পর্ব-৩০

0
448

#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================

❝ ফিরে_আসা ❞
———————-

লেখিকা- Umma Hurayra Jahan

পর্ব- ৩০

তাহাজ্জতের সময় ঘুম ভাংলো ফাতেমার।
ফাতেমা ওযু করে তাহাজ্জতের নামায আদায় করে নিল।এক বুক চাপা কষ্ট নিয়ে বসে আছে দু হাত তুলে মহান রবের সামনে।
ফাতেমা- হে আল্লাহ তুমি কি আমার ধৈর্য্যর পরীক্ষা নিচ্ছ??তুমি কি দেখতে চাইছো তোমার এই অধম বান্দার তোমার প্রতি ভরসা কতটুকু??হে আল্লাহ তাই যদি হয় তাহলে আমি ধৈর্য্যর পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত।আমার তোমার প্রতি পূর্ন ভরসা আছে।আমি জানি তুমি কোনদিন তোমার বান্দাদের নিরাস করো না।কারন যে ব্যক্তির আল্লাহর উপর ভরসা আছে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।আমি আরো ধৈর্য্য ধরতে রাজি আছি হে মাবুদ।কিন্তু তুমি তাকে হেদায়েত দান করো।তাকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে দাও।হে মাবুদ আমার স্বামী অবুঝ ।দ্বীনের কোন জ্ঞান তার মাঝে নেই।তুমি তাকে রহম করো।কারন তুমিই তো রহমানুর রাহিম।
এই কথাগুলো ফাতেমা বলছে আর চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে।
কিছুক্ষন পর ফজরের আজান পড়ে গেল।
ফাতেমা আজ আর মাহিনকে ডাক দেয় নি।
একা একাই নামায আদায় করে নিলো।নামায পড়ে কোরআন পাঠ করে নিলো।
আজকে দিনটা কেমন জানি অন্যরকম লাগছে ফাতেমার।প্রতিদিন তো মাহিনকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য কত মজা করে মাহিনের সাথে ।কিন্তু আজ ফাতেমা কিছুই করলো না।দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফাতেমা বেলকনির দিকে গেল।বেলকনির গাছগুলো ছুয়ে দেখছে ফাতেমা।কেন জানি এমনিতেই চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে ফাতেমার।
ফাতেমা চোখের পানি মুছে মায়ের ঘরে গেল।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম মা ।আসি???
খাদিজা বেগম জায়নামাযে বসে তসবি গুনছিলেন।
খাদিজা- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আরে আমার ফাতু সোনা আয়. আয়।
ফাতেমা ঘরে ডুকে সোজা মায়ের কোলে মাথা রেখে ফ্লোরেই শুয়ে পড়লো।
ফাতেমা – মা আমি কিছুক্ষন এভাবে তোমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকি??
খাদিজা- হুম থাক।এতে বলার কি আছে?তুই তো ছোট বেলাও আমার কোলে এভাবে শুয়ে থাকতি।
ফাতেমা – মা আজ তো আমি আবার চলে যাবো।আচ্ছা আমাকে ছাড়া কি তোমাদের ভালো লাগে????জানো মা আমার না ঐ বাড়িতে তোমাদের কথা খুব মনে পড়ে।
খাদিজা বেগম মেয়ের কথা শুনে দুচোখের পানি সামলাতে পারেন নি।কিন্তু ফাতেমা যাতে বুঝতে না পারে তাই তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে ফেললেন।
খাদিজা- পাগল মেয়ে আমার।তুই আমাদের সবার কলিজার টুকরা।তোকে ছাড়া কি আমাদের ভালো লাগে??তবুও এই জগৎ সংসারের নিয়ম এটা।দেখ না আমিও তো তোর নানা বাড়ি থেকে তোর নানা নানুকে ছেড়ে তোর বাবার সাথে চিরদিনের জন্য এই বাড়িতে চলে এসেছিলাম।
ফাতেমা – কিন্তু বাবা তো তোমাকে ভালোবাসতো ।আর আমাকে তো. …..
খাদিজা বেগমের বুকটা ফেটে যাচ্ছে মেয়ের কষ্ট দেখে কিস্তু এখন একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা ছাড়া উনার আর কিছুই করার নেই।
খাদিজা- মা রে দেখবি মাহিনও তোকে একদিন অনেক অনেক ভালোবাসবে।যেদিন তোর আর কোন অভিযুগ থাকবে না।
ফাতেমা – আচ্ছা মা পর্দা করা শালীনতার মধ্যে থাকা কি এতোটাই খারাপ যে উনি আমাকে এসবের জন্য পছন্দ করেন না।
খাদিজা- তুই চিন্তা করিস না রে মা।মাহিন ঠিকি একদিন এসবের মর্ম বুঝবে।
ফাতেমা মায়ের কোল থেকে উঠে বসলো।
ফাতেমা – চলো মা আমরা নাস্তা তৈরি করে ফেলি।আমাদের তাড়াতাড়ি রওনা দিতে হবে।না হলে দেড়ি হয়ে যাবে।
খাদিজা- আরেকটু শুয়ে থাক না রে মা।
ফাতেমা – অনেকক্ষন তো শুয়ে আছিলাম।এবার চলো না হলে দেড়ি হয়ে যাবে।
আজ রিনা নামায পড়ে আর ঘুমায় নি।
রিনা- খালাম্মা চলেন নাস্তা রেডি কইরা ফালাই।আইজ তো ফাতেমা বুবু চইলা যাইবো।চলেন তাড়াতাড়ি
খাদিজা- আচ্ছা ঠিক আছে চল।
ফাতেমারা রান্না ঘরে রান্না করতে গেল।হাসান আর রফিক সাহেবও মসজিদ থেকে চলে এসেছেন।
প্রায় ৮ টা বেজে গেল।আজ মাহিন হঠাৎ উঠে পড়লো।মাহিন ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখে ৮ টা বেজে গেছে প্রায়।
মাহিন- কি ব্যাপার আজ ৮ টা বেজে গেল বক বকের রানী আমাকে আজ ডাক দেয়নি কেন??আর ঘরেও তো নেই সে।কোথায় গেল।
মাহিন খাট থেকে নেমে রুমের বাইরে গেল।
দেখলো রান্না ঘরে সবাই।
রিনা- আরে দুলাভাই আজ আপনি একলা একলা উইঠা পড়লেন কি কইরা?প্রতিদিন তো ফাতেমা বুবু আফনেরে ডাইকা তুলে।
ফাতেমা অবাক হয়ে গেল মাহিন কে দেখে।কারন মাহিন কোন দিন এই সময় ঘুম থেকে উঠে না।
মাহিন- না মানে রিনা আজ হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল তাই উঠে পড়েছি।
খাদিজা- ভালো করেছো বাবা।যাও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো নাস্তা করবে তারপর।
মাহিন- আচ্ছা ঠিক আছে।
মাহিন রুমে গেল ফ্রেশ হতে।
ফ্রেশ হয়ে সবাই নাস্তা করে নিলো।
ফাতেমা নাস্তা শেষে জামাকাপড় গোছাতে রুমে গেল।মাহিনও পিছনে পিছনে গেল।
ফাতেমা সব কাপড় চোপড় গোছিয়ে নিলো।
জামা কাপড় গুছানো শেষে ফাতেমা তার একটা প্রিয় জিনিস সাথে নিয়ে নিলো।সেটা হলো ফাতেমার প্রিয় বন্ধ তার অনেক আগের একটা ডায়েরি।ডায়েরি তে এখনো অনেকগুলো পাতা খালি আছে ।ডায়েরিটাতে ফাতেমার মনের সব কথা লিখা আছে। ফাতেমা কবিতা ছন্দ গল্প লিখতে পছন্দ করতো।অনেক গল্প কবিতাও আছে সেই ডায়েরিটাতে।আরো অনেক কিছুই আছে ডায়েরিতে।তাই ফাতেমা ডায়েরিটাও সাথে করে নিয়ে নিলো।কারন এই কয়েক দিনে অনেক কথা জমে আছে ফাতেমার মনে ।যা সে তার এই প্রিয় বন্ধু ডায়রিতে লিখতে চায়।
মাহিন দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুধু ফাতেমার কাজ দেখছে।মাহিন মনে মনে বলছে““ কি হলো এই মেয়ের আমার সাথে কোন কথা বলছে না কেন???এমনিতে তো সারাদিন জ্ঞান দিতে থাকে।আজ কি হলো?আজ তো নামাযের জন্যও ডাকে নি আমাকে।আর নামায পড়ি নি বলে কোন জ্ঞানও দিলো না লেকচার দিলো না।ব্যাপার টা কি????
মাহিন- এই যে মহারাণি কি ব্যাপার আজকে এতো চুপচাপ কেন???
ফাতেমা কোন কথা বললো না।সে নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছে।
মাহিন- বাহ্ এতো Attitude??
ফাতেমা – না মশাই এটা কোন Attitude না ।জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন সেগুলোকে চুপ করে থেকেই সমাধান করতে হয়।আর সেটা কিভাবে করতে হয় সেটা মনে হয় আমি একটু জানি।
ফাতেমা তো এমনি এমনি হাল ছাড়ার পাত্রী নয়।নিশ্চই সে মনে মনে কিছু ভেবে রেখেছে তাই আজ মাহিনের সাথে কোন কথাই বলছে না।
মাহিন মনে মনে বলছে“এই মেয়ে আমার সাথে কথা বলুক বা না বলুক আমি এসব নিয়ে কেন ভাবছি??এই মেয়ে কথা না বললেই তো আমার শান্তি।
ফাতেমা মেহেঘ বেগম কে ফোন দিল জানানোর জন্য যে তারা আজ ঢাকায় ফিরবে
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম মা।কেমন আছ?
মেহেঘ – ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
ফাতেমা – মা আমরা আজ চলে আসবো।একটু পর রওনা দিবো।
মেহেঘ- ভালো করেছিস রে মা।তোদের জন্য মন কেমন জানি করছে।বাসাটাও খালি খালি লাগছে।তাড়াতাড়ি চলে আয়।
ফাতেমা – আচ্ছা মা ।তাহলে রাখছি।আস সালামু আলাইকুম।
মেহেঘ- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
এদিকে মেহেঘ বেগম ফাতেমাদের আসার খবর শুনে খুব খুশি হলেন।
মেহেঘ – এই নুরি এদিকে আয়।
নুরি- কি হইছে খালাম্মা?
মেহেঘ- আজ মাহিন আর ফাতেমা ফিরে আসছে ঢাকায়।তাই ওদের জন্য ভালো খাবার দাবারের ব্যবস্থা কর।
নুরি- সত্যি ভাবি আইজ আইয়া পড়বো??যাই আমি যাইয়া ভালো কিছু রান্না করি।আমার যে কি খুশি লাগতাছে ।কয়েকদিন ধইরা ভাবিরে দেহি না।ভাবির জন্য মনটা খুব খারাপ লাগতাছিলো।
মেহেঘ – আচ্ছা ও আসলে পরে মন ভরে কথা বলিস এখন যা রান্নার ব্যবস্থা কর।
নুরি- আইচ্ছা।
এদিকে ফাতেমা তার সব বইও সাথে করে নিয়ে নিলো।কারন তাকে ঢাকায় গিয়ে আবার নতুন কলেজে ভর্তি হতে হবে।
ফাতেমা আর মাহিন যাওয়ার জন্য রেডি।
ফাতেমা – মা, বাবা, ভাইয়া আমরা আসছি ।তোমারা ভালো থেকো।বাবা মা যাতে পরিপুর্ন পর্দায় থাকতে পারে সেটা কিন্তু এখন থেকে তুমি খয়াল রাখবে। আর ভাইয়া তুই সাবধানে থাকিস ।তোমরা কেউ নামায মিস দিয়ো না।আর আমাদের জন্য তোমরা দোয়া করো।
খাদিজা- বাবা মাহিন ,আমার মেয়েটা খুব ভালো একটা মেয়ে ।তুমি ওকে একটু দেখে রেখো।ওকে তুমি কষ্ট দিয়ো না কোন দিন।
মাহিন- ঠিক আছে।
ফাতেমা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে নিলো।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম।
সবাই সালামের জবাব দিলো।
মাহিন গাড়িতে উঠলো ।
মাহিন- তাড়াতাড়ি উঠ।
মাহিন তো খুব খুশি সে আজ ঢাকায় গিয়ে বন্ধুদের সাথে দেখা করবে ।মিমির সাথে দেখা করবে।মাহিনের যেন আর তর সইছে না।
ফাতেমা গাড়িতে উঠে বসলো।
মাহিন- দাও আমি গাড়ির সিট বেল্ট বেধে দিচ্ছি।
ফাতেমা – তার আর দরকার হবে না মশাই।আমি নিজে নিজেই বাধতে পারবো।
মাহিন- ঐ দিন তো বলেছিলে তুমি সিট বেল্ট বাধতে পারো না।তখন তো আমি বেধে দিয়েছিলাম।
ফাতেমা – ঐ দিন যখন আপনি বেধে দিয়েছিলেন তখন আছি শিখে ফেলেছি।আর এই ফাতেমা একবার যা দেখে তা কোনদিন ভুলে না।বুঝলেন মশাই।এবার গাড়ি স্টার্ট দেন।
মাহিন আর কিছু না বলে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
গাড়ি তো চলছে।কিন্তু গাড়ির ভিতর বসে থাকা মাহিন আর ফাতেমা কেউ কোন কথা বলছে না।
মাহিন মনে মনে বলছে “কি যে হয়েছে মেয়েটার ?কথা বলছে না কোন। নিশ্চই পেটে পেটে শয়তানি বুদ্ধি করছে আমার বিরুদ্ধে ।কি কি ভাবছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না।
ফাতেমা – একটু গাড়ির জানালাটা খুলে দিন তো।আমার খারাপ লাগছে।হয়তো বমি হতে পারে।
মাহিন- এই মেয়ে গাড়িতে বমি করবে না কিন্তু।দাড়াও দাড়াও আমি কাচটা খুলে দিচ্ছি।কি যে মুশকিল এই গাইয়্যাকে নিয়ে।
মাহিন ফাতেমার দিকের কাচটি খুলে দিলো।
ফাতেমা বাইরের দিকে চেয়ে আছে।আর প্রাকৃতিক দৃশ্য আর বাতাস উপভোগ করছে।এর মাঝে বমি বমি ভাবটা কেটে গেল।
রাস্তায় একটু জ্যাম হলো। মাহিনদের গাড়ির সামনে একটা ফুচকার দোকান।ফাতেমা ফুচকার দোকানটা দেখলো কিন্তু কিছু বললো না।
মাহিন- এই মেয়ে তুমি তোমার চোখের সামনে ফুচকার দোকান দেখেও আজ ফুচকা খেতে চাচ্ছো না কেন???ঐ দিন তো পাগল হয়ে গেছিলে ফুচকা খাওয়ার জন্য।
ফাতেমা – আজ আর ফুচকা খাওয়ার কোন ইচ্ছাই আমার নেই।তাড়াতাড়ি বাসায় চলুন।
জ্যাম ছুটে গেছে।প্রায় ১ টার দিকে তারা বাসায় পৌছে গেল।
ফাতেমা কলিংবেল বাজালো।
মহিমা দরজা খুলে দিলো।
মহিমা- আরে ভাবি তোমরা এসে গেছ?তাড়াতাড়ি এসো।তোমাকে খুব মিস করছিলাম।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম ।কেমন আছো?
মহিমা – ওয়া আলাইকুমুস সালাম।ভালো আছি।
ফাতেমা আর মাহিন ঘরে ঢুকলো।
মাহিন- কিরে মহিমা ভাবিকে পেয়ে ভাইবে ভুলে গেলি?
মহিমা – তুই চুপ কর।আগে ভাবির সাথে কথা বলে নিই।
ফাতেমা – বাকি সবাই কোথায়?
মাহিমা- মা নিজের ঘরে আছে ।আর বাবা অফিসে আর নুরি রান্না করছে।দাড়াও মাকে ডাকছি।
মা ও মা দেখ ভাবি এসে গেছে।
মেহেঘ বেগম ড্রয়িং রুমে এসে সালাম বিনিময় করলেন ফাতেমার সাথে।
মেহেঘ- অনেক দূর থেকে এসেছিস তোরা।যা আগে ফ্রেশ হয়ে নে।তারপর কথা হবে।আর আজ সন্ধ্যা বেলা বড় ভাইজান আর ভাবি আসবেন আমাদের বাসায়।
ফাতেমা – আচ্ছা ঠিক আছে মা।মা আযান পড়ে গেছে তো।তোমরা এখনো নামাযের প্রস্তুতি নাওনি কেন??
মহিমা- আমি তো এখন গোসলে যাচ্ছিলাম ।তোমরা এলে তাই দরজা খুলে দিতে এলাম।
মেহেঘ- আমিও যাচ্ছি ।
ফাতেমা – আচ্ছা ঠিক আছে ।নামাযের পর কথা হবে।
মাহিন আর ফাতেমা তাদের রুমে গেল।ফাতেমা ব্যাগ আর জিনিস পত্র গুছিয়ে রেখে বোরকা চেন্জ করে ওয়াসরুমে ঢুকতে যাবে এমন সময়
মাহিন- আমি আগে ফ্রেশ হবো ।তুমি পরে যাবে।
ফাতেমা – আমি পরে যাবো মানে??আমার নামাযের সময় হয়ে গেছে আমি আগে যাবো।
মাহিন- না আমি আগে।
ফাতেমা – না আমি।
মাহিন- না আমি।
ফাতেমা- ঐ যে পিছনে একটু দেখুন তো।
মাহিন পিছনে তাকাতেই ফাতেমা টুক করে আগে ওয়াস রুমে ঢুকে পড়লো।
মাহিন- বদমাইশ মেয়ে।তুমি চিটিং করেছো ।
ফাতেমা – আপনি অন্য ওয়াশরুমে চলে যান।হিহিহি
মাহিন- তুমি বের হও তারপর দেখাচ্ছি মজা।
মাহিন এখন আমি কি করি।আমার তো খুব জোরে ১ নাম্বার পেয়েছে ।এখন কোথায় যাই।বাকি গুলোতেই তে মা আর মহিমা ।আমি এখন কোথাই যাই।
এই মেয়ে তাড়াতাড়ি বের হও ।আমার অবস্থা খুব খারাপ।আরেকটু দেরি হলেই ঘরের মধ্যেই হয়ে যাবে।তাড়াতাড়ি করো।
ফাতেমা মাহিনের কথা শুনে হাসছে।হিহিহি
ফাতেমা – আমি তো গোসল শেষ করেই বের হবো।এর আগে পারবো না।
মাহিন- আরে বদমাইশ মেয়ে তাড়াতাড়ি করো।আমার তো অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
ফাতেমা – আর ১০ মিনিট ধৈর্য ধরুন ।আমি ১০ মিনিট পর বের হবে।
মাহিন- কি??????????????আরে ১০ মি নি ট …….হে আল্লাহ বাচাও আমাকে।
১০ মিনিট পর ফাতেমা দরজা খুলে বাইরে আসলো।
মাহিন ফাতেমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো।
ওয়াশরুম থেকে মাহিন কিছুক্ষন পর বেরিয়ে এলো।দেখলো ফাতেমা নামাযে আছে………………
চলবে ইনশাআল্লাহ………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here