ফেইরিটেল পর্ব-১৫

0
1458

#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
Part–15

ইমান ছিটকে একদম বেডের শেষ কিনারে গিয়ে বসে পড়ে এবং নিজের মাথা চুলকাতে লাগে। নার্স সাহেবা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। সেও যেন মজা নিচ্ছে৷ ইমান ক্যাবলাকান্ত হাসি দিয়ে বলে,” চা টেবিলের উপর রেখে দিন৷”

নার্স তাই করল। চা টেবিলে রেখে ইমানকে বলে উঠে, “স্যার আমাকে বখশিশ দিবেন না?”

ইমানের খেয়াল হলো এতোরাতে চা বানিয়ে দেওয়ার জন্য সে বখশিশ দিতে চেয়েছিল। আর এখন চুমু দৃশ্য দর্শন করার জন্য তাকে টিকিটের টাকাটা তথা জরিমানা প্রদান করতে হবে। সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভারাক্রান্ত মনে পাঁচশ টাকা বের করে দিয়ে বলে, “ভাগ্নাদের মিষ্টি খাওয়ায়েন আমার তরফ থেকে।”

নার্স তাকে লজ্জায় ফেলার জন্য বলে উঠে, “ভাবীর কিছু লাগলে আমাকে ডাকবেন ভাই৷ আমি নাইট শিফটেই আছি।”

— “জি অবশ্যই, দরকার হলে ডাকব।”

নার্স এক গাল হেসে বলে,” দুঃখিত স্যার, আপনাদের ডিস্টার্ব করলাম। আসলে আমি বুঝিনি এমন সিচুয়েশনে পড়ব৷ এটা তো আর হানিমুন কটেজ না, যে যখন-তখন রোমান্স হবে। হাসপাতালে রোগী আসে৷ ভাবীকে বলবেন কিছু মনে না নিতে। ”

–” আমরা কিছু মনে করিনি৷ আপনি যান এখন।”

নার্সের মুখে নিজের পরিচয় শুনে চকিতে উঠে মিরা। “ভাবী” শব্দটা শোনামাত্র তার পেটের নাড়ি-ভুরি যেন পাক খাচ্ছে৷ ইশ কি লজ্জা! বিয়ে হওয়ার আগেই ভাবী হওয়ার অনুভূতিটা এতো মিষ্টি কেন?

— “হার হাইনেস কিছু ভাবছেন?”

মিরা সেই প্রশ্নের উত্তর দিল না। নিশ্চুপ রয়ে যায় সে।

ইমান বলে উঠে, “চা ঠাণ্ডা হচ্ছে৷”

সে চা হাতে নিল ঠিকই কিন্তু চা খাওয়ার রুচি বা মুড কোনটাই বর্তমানে নেই তাও জোরপূর্বক এক চুমুক দিতেই সে লক্ষ করে, ইমানের চোখে-মুখে তন্দ্রাভাব৷ একবার তো হাইও তুলেছে৷

মিরা কিয়ৎক্ষণ পর বলে উঠে,” আপনার চা খাওয়া দরকার।”

ইমান চোখ তুলে তাকিয়ে স্নান হেসে বলে,” আমার দরকার-অদরকারের পরোয়া তুমি করো?”

মিরা নিরব থাকল। ছেলেটা মাঝেমধ্যে এতো ডিপ কুয়েশ্চন কেন করে? সে এতো কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না৷ কোনদিনই পারবে না৷

ইমান নিজ থেকে এগিয়ে এসে বলে,” কেন আমার চা খাওয়া দরকার? হু?”

— “ঘুম আসছে আপনার। এইজন্য ঘুম তাড়ানোর জন্য চা খান৷”

— “আমি ঘুমিয়ে পড়লে সমস্যা কোথায়?”

মিরা হতবিহ্বল হয়ে গেল এবং নরম গলায় বলে, “আপনি ঘুমিয়ে গেলে আমি একা হাসপাতালের কেবিনে জেগে থাকব!”

— “কেন? কেন? একা জেগে থাকলে অসুবিধা কী?”

— “ভয় লাগেনা বুঝি! কেমন গা ছমছমে অবস্থা রুমের। যেন আশেপাশে একটা মানুষও নেই৷ এম্নিতেই হাসপাতাল জায়গা হিসেবে ভালো না।”

ইমান হোহো করে হাসতে গিয়েই থেমে যায়। এরপর মজার ছলে বলে, “ভূতে ভয় পাও?”

মিরা ঠোঁট বাকিয়ে অন্যদিকে ঘুরে বলে, “ভালোবাসা আর ভুত বিশ্বাস করিনা৷ কিন্তু ভয় পাই প্রচন্ড৷”

ইমান ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে, “ভুত আর ভালোবাসা কী এক? এই দুটোর মধ্যে কোন মিল আছে যে একসঙ্গে তুলনা করে ফেললে৷”

— “মিল তো আছেই বটে৷”

— “যেমন?”

— “ভুত আর ভালোবাসা কোনটাই কিন্তু দেখা যায় না৷ ”

মিরার কথার মাঝেই ইমান হাই তুলে আরেকটা৷ সে এবারে মিরার হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে খেতে লাগলো। ঘুম যদি সত্যি সত্যি উবে যায়। তবে মন্দ হবে না৷ এমন রাত তো আর প্রতিদিন আসেনা। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছে আজ নো ঝগড়াঝাঁটি।ওনলি দুষ্ট-মিষ্টি কথা হবে৷

মিরা যেন তার চা খাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। সে চা খাওয়া শেষ করতেই মিরা দাঁড়ানোর চেষ্টা করে৷ কিন্তু ডান পায়ের পাতায় ব্যথা করার জন্য পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াতেই ভীষণ ব্যথা লাগে তার। সে “উফ” বলে চেচিয়ে উঠতেই ইমান হন্তদন্ত হয়ে তাকে ধরে ফেলে এবং বেডে বসিয়ে দেয়। এরপর নিজে হাঁটু গেড়ে বসে বেশ ব্যস্ত হয়ে মিরার পায়ের পাতা পর্যবেক্ষণ করতে লাগে। নিজ গরজে যখন পায়ের পাতায় হাত বুলিয়ে দিয়ে মালিশ করতে থাকে, তখন মিরার প্রতিটা লোম যেন খাঁড়া হয়ে যায়। বিচিত্র এক অনুভূতি মনের মধ্যে জন্ম নেয়৷ এই অনুভূতির সঙ্গে সে আরো দু’বার পরিচিত হয়েছিল। প্রথমবার যখন তাকে এয়ারপোর্টে দেখেছিল আর দ্বিতীয়বার যখন সে সব কাজিনের সামনে তার চোখে চোখ রেখে বলেছিল, “I need you like a sky needs moon.”

আজ তৃতীয়বার একই অনুভূতি অনুভব করছে সে। বিষয়টা অদ্ভুত। একই অনুভূতির পুনরাবৃত্তি কিভাবে হতে পারে? তাহলে কী অনুভূতিরা ফিরে আসে? কিন্তু অনুভূতি যদি ফিরে আসত, তাহলে পৃথিবীর কোনে বিচ্ছেদের হার কমে যেত!

ফ্যানের হাওয়ায় তার উড়ন্ত চুল মুখে এসে আছাড় খেল। এতে বিরক্তি প্রকাশ করতেই মৃদ্যু হেসে উঠে ইমান।

তা দেখে মিরা উত্তেজিত হয়ে বলে, “আপনি কী জন্য হাসলেন?”

ততোক্ষণে মিরা যেন পাজোড়া ইমানের হাটুর উপর রেখে বসে পড়েছে। সে এক পা দিতে চেয়েছিল কিন্তু এক পা রাখলে ভারসাম্য বজায় রাখা যাচ্ছিল না জন্য মিরা আরেকটা পাও তার গায়ের উপর রাখলো৷ সে অবশ্য অভিযোগ করেনি একফোঁটা। আর মিরার ভাবসাব দেখলে মনে হবে, ইমানের একমাত্র কর্মই তার পায়ে হাত বুলিয়ে দেওয়া।

ইমান আইসকুল দিয়ে পা মালিশ করে দিচ্ছিল। আচমকা নজর কাড়ে নিজের পায়ের গোড়ালির এক ইঞ্জি উপরে অবস্থিত ছোট তিলের দিকে৷ সে হাত নিয়ে গিয়ে তিলের উপর রাখে। এরপর প্রশ্ন করে তাকে।

–” হাসলেও কৈফিয়ত দিতে হবে?”

–“সেটা বলিনি।”

–“তোমার পায়ে তো দেখি তিল আছে।”

মিরা খুশি ভাব নিয়ে বলে, “হ্যাঁ এইজন্যই তো আমি বিদেশে যাব।”

— তাই নাকী?

— “হু। শুধু তাই না, আমার ডান হাতেও তিল আছে জন্য আমার হাতের রান্না মজা।”

–” ওহ আচ্ছা। আর কোথায় তিল থাকার জন্য তুমি এক্সাট্রা সুবিধা পাচ্ছো?”

মিরা বলে উঠে, “আমার গলার কাছে দুটো তিল একসঙ্গে আছে। এজন্য দাদীর বলেছে আমার নাকী যমজ বাবু হতে পারে৷”

ইমান শব্দ করে হেসে বলে, “বাহ!”

মিরা লজ্জা পেল সামান্য। ইমান বলে উঠে, নাকের ডগায় যে তিল তোমার সেটার জন্য কী হবে?

— সেটার জন্য কিছু হবে না। আপনার তিল নেই কোথাও?

ইমান সামান্য ভ্যাবাচেকা খেল। জীবনে কত প্রশ্নের সম্মুখীন হলো। অথচ এতো আজব প্রশ্ন এই প্রথমবার সে শুনল।

সে মুখে হাসি ভাব রেখে বলে,” আমি তো পাসপোর্ট দেখিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করি এজন্য আমার তিলের দরকার পড়েনা। তোমার আর কই কই তিল আছে?”

মিরা অস্বস্তিবোধ করে। সে বেঁফাস কথা বলে ফেলেছে। এখন সেই ফাস নিজের গলায় এসে ঝুলল৷

সে আমতাআমতা করে বলে, “বাম পায়ের আঙুলে আছে একটা৷ পিঠের মাঝে আছে। কানের পিছনে আর একটা বুকের বাম দিক……….”

শেষের কথা বলতে গিয়ে মিরা পাথরের মতো জমে যায়। মুখ ফোসকে পেটের কথা বলে দেওয়ার অভ্যাসটা যে একটা বিরাট বদ অভ্যাস তা আজ হারে হারে টের পাচ্ছে সে। কী বাজে একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হলো তাকে। ছেলেটা কিভাবে তার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে৷ ইশ! মাটির ফাঁক হলে যাক না, সে পালিয়ে যাবে মাটির নিচে।

ইমান চোখে-মুখে দুষ্টুমি ভাব এনে বলে, মিরা তুমি জানো বুকে তিল থাকলে কী হয়?

মিরা মাথা ঝাকিয়ে না অর্থ প্রকাশ করে৷ অর্থাৎ সে জানে না।

ইমান দুষ্ট হেসে তার সঙ্গে আই কন্ট্রাক্ট করে বলে , “বুকে তিল থাকলে স্বামী বা স্ত্রীর সোহাগ বেশি পাওয়া যায়। এখন আমার আফসোস হচ্ছে কেন আমার গায়ে কোন তিল নেই। এট লিস্ট বুকে একটা থাকলেই চলত৷ বউয়ের আদর-সোহাগ বেশি পাইতাম৷ কী তাই না?”

মিরার তখন লজ্জায় যায় যায় অবস্থা। মানুষটা কীভাবে চোখে চোখ রেখে এতো অসভ্য কথা অবলীলায় বলে দিল? আর সে! সামান্য শুভ্র কথাই চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারেনা। বেয়াদবের হাড্ডি একটা!

দুষ্টুমি শেষ করে ইমান উঠে দাড়ালো এবং সিরিয়াস মুডে বলে, ব্যথা কমেছে কী?

–হু।

— কয়েকদিন সোজাসুজি পায়ের পাতায় ভর দিও না। ব্যথা বাড়বে এতে৷ বাই দ্যা ওয়ে, উঠতে কেন চাচ্ছিলে তখন?

মিরার মুখ মলিন হয়ে গেল। সে কীভাবে তার জরুরি কাজের কথা বলবে? আবার লজ্জা দিয়ে না বসে ছেলেটা! উফফফফ!

ইমান বুঝি তার মনের কথা পড়তে পারল। আর মলিন ও নিস্তেজ চেহারার দিকে তাকিয়ে যেন তার অসুবিধার কথা এক নিমিষেই পড়ে ফেলে। নিজ থেকে বলে উঠে, “ওয়াশরুমে যাবে?”

মিরা যেন লজ্জায় লাল হতে লাগলো। নাক দিয়ে গরম ধোয়া বের হচ্ছে যেন৷ তবুও হ্যা বোধক মত প্রকাশ করে। ইমানের অভিব্যক্তি স্বাভাবিক থাকল। সে চোখ ঘুরিয়ে বাথরুমের অবস্থান দেখে নিল৷ কেবিনের শেষ মাথায় বাথরুম। কয়েক কদম এগুতে হবে। তার জন্য কয়েক কদম হেটে যাওয়া সহজ কাজ হলেও।,মিরার জন্য এখন সেটা কঠিন কাজ। ব্যথা পাবে সে হাটতে গেলে। অগত্যা সে মিরার কোমড় জড়িয়ে নিয়ে কোলে তুলে নেয়৷

মিরা একদম হতভম্ব বনে যায়৷ তার গলা শুকিয়ে কাঠ হতে লাগে। মনের আন্দোলন শুরু হলো। বুকের ধুকপুক আওয়াজ এতো জোরে হতে লাগে যে সে বিপাকে পড়ে যায় যদি সে তার বুকের আওয়াজ শুনে ফেলে! তাহলে বিরাট মসিবত হবে৷ কারন বুকের প্রতিটা উঠা-নামায় “ইমান ইমান” শব্দ হচ্ছে৷ তা যদি সে শুনে ফেলে তাহলে মিরা শেষ!

ওয়াশরুম থেকে বের হতেই পুনরায় তাকে কোলে তুলে নেয় ইমান৷ এবারে মিরা তার কাধে হাত চেপে ধরে বলে, আমি বারান্দায় যাব।

— এখন?

— ইয়েস৷

— কেন? বারান্দায় কী আছে?

মিরা ফাজলামো করে বলে, বারান্দায় হ্যান্ডসাম ছেলে আছে জন্য যেতে চাচ্ছি।

ইমান সঙ্গে সঙ্গে বেডের দিকে হাটা শুরু করে বলে, হ্যান্ডসাম ছেলে তো কেবিনের ভেতরেও একজন আছে। আজকের রাতটা তাকে দেখেই পার কর৷ কেমন?

মিরা হেসে উঠে খিলখিল করে৷ ইমান অবাক নয়নে তার পানে তাকালো৷ ইশ! মেয়েটা আসলেই এতো মিস্টি কেন?

ইমানের মনে হলো, কারো হাসির প্রেমে পড়া মারাত্মক বিপদের কাজ। কারণ সেই হাসির প্রেমে বারবার পড়তে হয়! যতোবারই প্রেমে পড়ে, ততোবারই চোট খেতে হয়৷

তাকে বেডের উপর বসিয়ে দিল ইমান। দুইজনেই চুপ। নিস্তব্ধতায় ছেয়ে গেল চারপাশ মুহুর্তেই। মিরা পা লম্বা করে শুয়ে পড়ে বেডে। তাকে দেখেও ইমানও চেয়ারে বসে পড়ে৷

আজ বুঝি চাঁদের মন খারাপ। রজনীর মধ্যভাগ চলছে এখন। কৃষ্ণকালো, এই আধারিয়া রাত্রি। সারাদিনের ভ্যাপসা গরম যেন পালিয়ে যাচ্ছে। হিম বাতাসে কেবিনের সাদার মাঝে লাল প্লাস চিহ্নের পর্দাটা তিরতির করে কাঁপছে৷ অশান্ত মন নিমিষেই শান্ত হয়ে গেল। চোখে ঘুমের রাজ্য নেমে আসাকে ইমান ঠেকাতে পারলো না। সে মিরার পেটে মাথা পেতে দিয়ে ক্রমশ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘুমের দেশে রওনা দিল৷ মিরা তখনো জাগনা ছিল। তাকে ঘুমিয়ে পড়তে দেখে আর একটা শব্দও করল না। নিশ্বাস ও আস্তে আস্তে নিচ্ছে যেন তার নিশ্বাসের শব্দে সে জেগে না যায়। নিজের হাত বাড়িয়ে সে তার চুলে বিলি কেটে দিতে লাগে৷

মিরা তার মাথায় বিলি কেটে দিতে দিতে একটা সময় আনমনে ইমানকে নিয়ে ভাবনার জগতে ডুব দেয়৷ তার সঙ্গে কাটানো ক্ষুদ্র মুহুর্ত এবং ঝগড়াঝাটি সব এক এক করে স্মরণ হতেই সে হাসে। মন ভরে হাসে। গালের ফোলা জায়গাটায় লজ্জার লালের সরু রেখার আবির্ভাব ঘটে। সে বিড়বিড় করে বলে, হাসপাতালেও এতো সুন্দর মুহুর্ত কাটানো সম্ভব!

এরপর তার ঘুমন্ত মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে বলে, “আপনার প্রতিটা রাত যেন এমন নিশ্চিন্তে, শান্তির ঘুমে অতিবাহিত হয়৷”

ঘুমের মধ্যেই ইমান ইংরেজিতে কিছু একটা বলে উঠে। ইমানের ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যাসের কথা মিরা জেনে যায় এবং তা দেখে মৃদ্যু হাসে৷ এই বিরক্তিকর ছেলেটাকে সে বিরক্ত হয়েই বিরক্তভাবে ভালোবাসে বড্ড!

চলবে৷

[ আজকে কী বোনাস পার্ট চান? তাহলে একটা ছোট কাজ করতে হবে৷ সেটা হলো এই পার্টে ৩০০ স্টিকার কমেন্ট করতে হবে৷ ৩০০ কমেন্ট যদি পূর্ণ হয়, আমি রাত দশটার পর বোনাস দিব। ভালোবাসা অবিরাম। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here