ফেইরিটেল পর্ব-১

0
4555

— “মিরা আপু জানো! কিছুক্ষণ আগে তোমার আর ইমান ভাইয়ার বিয়ের আলাপ চলছিল আব্বু আর বড় আব্বুর মধ্যে । ভাইয়াও ছিল তাদের সঙ্গে। আমি সব কথা শুনে ফেলেছি।”

ড্রয়িংরুমে এসে পৌঁছাতেই মিরাকে অতিব জরুরি সুরে কথা গুলো জানান দিচ্ছে তার ছোট বোন ইরা। বাক্য দুটি শোনামাত্র থমকে দাঁড়ায় মিরা। নিজের বিয়ের কথা শোনামাত্র রাগে গা রিরি করতে লাগলো তার, তাও শক্রু সমতুল্য ছেলেটার সাথে! সবেমাত্র ঘুম থেকে উঠে সে চা খেতে ড্রয়িংরুমে এসেছে। আসামাত্র এমন জঘন্য কথা শুনেই তার মেজাজ ৩৬০ ডিগ্রি এ্যাংগেলে চটে যায়৷ সে ঝাঁঝালো গলায় সুর তুলে উঠে, “কার কথা বলছিস তুই? ওই আমেরিকান বানরটার”

ইরা মুখ কাচুমাচু করে বলে, “ইমান ভাইয়া বানর কেন হতে যাবে? ও তো ইঞ্জিনিয়ার।

–ইমান ভাইয়া নিজে বড় আব্বুর কাছে বিয়ের কথা বলছে?”

— “হু আপু। শুধু তাই না, দুপুরে তো তোমার রুমেও গিয়েছিল। কিন্তু তুমি ঘুমাচ্ছো জন্য কথা বলেনি তোমার সাথে। তবে জানো ভাইয়া না তোমার বিছানার পাশের টুলে বসে তোমাকে লুকিয়ে দেখছিল।চুলে বিলিও কেটে দিয়েছে। মনে হয় চুমু-টুমুও খেয়েছে। ”

মিরা কথাটা শোনামাত্র বিশাল আকারে হোচট্ খেল। নিষ্পলক নয়নে কিয়ৎক্ষণ নীরব থেকে তেজী গলায় ইরাকে প্রশ্ন করলো, “তুই সিওর ইমান ভাই এইসব অসভ্যতা করছিল আমার সাথে?”

ইরা মাথা নেড়ে বলে, “চুমু যে খেয়েছে এটা আমি সিওর৷ কিন্তু অসভ্যতা করেনি আপু। মনে হয় ভাইয়া তোমাকে পছন্দ করে। নাহলে কী কেউ বিয়ের প্রস্তাব দেয়? কথাটা বলতে বলতে ইরা মিটমিট করে হেসে সামনের দিকে পা বাড়ালো। মিরা বোকা বনে গিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে কিছু একটা ভাবতে থাকল৷

ইমান হলো তাদের ফুপুর ছেলে। সুদূর আমেরিকা থেকে সোনালী আপুর বিয়ে এটেন্ট করতে, দীর্ঘ সাত কী আট বছর পর দেশে এসেছে । সবার সামনে ভদ্র-নম্র,জেন্টেলম্যান সেজে থাকা এই সুদর্শন ছেলেটার মধ্যে যে অসুস্থ বীজ রোপণ করা আছে তা কী কেউ জানে? কেউ কী জানে এই ছেলেটা লুকিয়ে লুকিয়ে সুন্দরী মেয়েদের বাজে নজরে দেখে? মিরা যেন রেগে ফেটে পড়তে চাইছে। পার্ভাট ছেলে কোথাকার!এই ছেলে নাকী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়? এই ছেলের ভণ্ডামি আজ সে ভেঙে দিবে। আজ সোনালী আপুর গায়ে হলুদ না হলে মিরা পুরা বাড়ি চিৎকার করে মাতিয়ে তুলল। সাহস কত ছেলেটার তার চুলে হাত দেয়, তাকে চু… মিরা আর ভাবতেই পারছে না। রাগে তার নাক লাল হয়ে আসছে। সে রাগে ফুসতে ফুসতে ইমান যে রুমে থাকছে সেদিকটায় আগালো। আজ তার একদিন কি ওই বেয়াদব ছেলেটার যতোদিন লাগবে!

________________

ইমান ভাইয়ের রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো সে। নিজের মনে কথা সাজিয়ে নিল। আজকে এই বজ্জাত ছেলেটাকে সে জব্দ করেই ছাড়বে। সাহস কত তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়? ছেলেটা আসা থেকে তাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করেই যাচ্ছে। কাল রাতে খাওয়ার সময় হুট করে সবার সামনে জিজ্ঞাসা করল, মিরা কট থার্টির মান কত বলো তো? মিরা তখন মুরগীর রান খাচ্ছিল। এমন সময় কট থার্টির মান কার মনে থাকে? সে প্রশ্ন করে নিজ থেকেই বলে উঠে, কি ব্যাপার পারলা না? ওহ আচ্ছা তুমি তো শর্ট সিলেবাসে এক্সাম দিয়েছো। মিরা যেমন শর্ট তেমনই তার এক্সামও শর্ট সিলেবাসে হয়। একথা শোনামাত্র মিরার খাওয়ার রুচি নাই হয়ে গেল। কী সূক্ষ্মভাবে তাকে অপমান করে। আর এ-সব অপমানসূচক কথায় বাসার সবাই দাঁত বের করে হাসে।এই ছেলেটা যে বেয়াদবের চূড়ান্ত সীমায় চলে গেছে তা সবার সামনে সে প্রকাশ করবে। হুহ!

মিরা রুমের দরজা খট করে খুলে দিতেই খানিক অবাক হলো। রুমে কারো উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু অদ্ভুত মনকাড়া এক সুবাস ছেয়ে আছে রুমজুড়ে। রুমের বা’পাশের টেবিলে রজনীগন্ধা আর গোলাপ ফুলের সমাহার। ফুলের গন্ধেই রুমটা মো মো করছে৷ সঙ্গে জেন্টস পারফিউমের স্মেলও পাচ্ছে সে। শুধু তাই নয়, ছোট-খাটো সাউন্ড বক্সটা অন আছে। সেখান হতে লাল আলোর সংকেতটা জানান দিচ্ছে, যে গান বাজছে রুমে। মিরা কান খাড়া করল। আসলেই তো মৃদ্যু আওয়াজে “এই অবেলায়” গানটা বেজেই চলেছে। এটা তার প্রিয় গান। মিরা চোখ বুলিয়ে তাকিয়ে দেখল, বিছানায় বেশ সুন্দর একটা দামী স্যুট পরে আছে। নিশ্চয়ই ইমান ভাই ওরফ ভাইরাসটা এই স্যুট পরে হলুদে যাবে। নিজের সাথে করা বাজে অসভ্যতার জন্য সে বেশ রেগে আছে। প্রতিশোধ পরায়ণ মাথায় আচমকা দুষ্টু বুদ্ধি চেপে বসল। সে এদিক-ওদিক ঘুরে কাঁচি খোঁজা শুরু করে দেয়। ডেসিংটেবিলের নিচের ড্রয়ারে কাঁচি, সুচ-সুতার বাক্স থেকে কাঁচি বের করে দামী স্যুটটার মাঝ বরাবর কেটে দিয়ে দুষ্টুমি ভরা হাসি হাসল। এরপর স্যুটটা উল্টা করে রেখে দেয় যেন সহজে চোখে না পড়ে কারো। সে হাঁটা ধরল রুমের বাইরে প্রস্থান করার জন্য। তৎক্ষনাৎ বাথরুমের দরজা খোলার খটখট শব্দ তার কানে ভেসে আসে। মুহুর্তে মিরার হাত-পা ঠান্ডা হতে শুরু করে। অকাজ করার পর সবসময়ই মিরা আতংকে থাকে। আজও ব্যতিক্রম নয়। সে দরজার নব ঘুরানোর জন্য হাত বাড়াতেই পেছন থেকে ইমান ভাই গমগম আওয়াজে বলে উঠে, “কে?”

প্রশ্নটা কানে আসতেই মিরার মেজাজ আবার গরম হলো। যেই মেয়েকে লুকিয়ে লুকিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে, তাকে সজাগ থাকা অবস্থায় চেনে না। ব্যাটার ঢং দেখলে বাঁচা যায় না! মিরা মুখ ঘুরিয়ে ইমানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে, “আমি মিরা। চিনতে পেরেছেন?” কথাটা বলামাত্রই মিরার খেয়াল হলো, ইমান শুধু ট্রাওজার পরে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে কোন শার্ট নেই। টাওয়াল হাতে নিয়ে তার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে সে। সম্ভবত তার অকপট জবাবে ভড়কে গেছে৷ তাকে এমন অবস্থায় দেখে মিরা লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেলল জিভে কামড় বসিয়ে৷ অবশ্য ব্যাটা ভাইরাস নির্বিকার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হেলদোল নেই যেন তার মাঝে। সে মাথা নিচু করে থেকেই বুঝতে পারল, ইমান হেঁটে হেঁটে আলমারির দিকে গিয়ে একটা শার্ট পরিধান করে তার দিকে ফিরে,ধমকে বলে উঠে, “কারো রুমে ঢোকার আগে পারমিশন নিতে হয়, জানো না এটা?”

মিরা চমকে উঠে তার ধমকে।এই পরিস্থিতিতে ধমক খাওয়াটা সে আশা করেনি৷ সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইমান তার দিকে অগ্রসর করতে আরম্ভ করে এতে যেন মিরা দ্বিগুণ পরিমানে ঘাবড়ে যায় এবং শুকনো ঢোক গিলে আমতাআমতা করে বলে, “আপনি একটা বেয়াদব ছেলে। ইতর কোথাকার।বেয়াদব লোকদের রুমে ঢোকার আগে অনুমতি লাগে না৷ ”

ইমান তার বলা কথাগুলো কর্ণপাত করেনি। সে মিরার মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়। রুমে পিনপতন নীরবতা। পাশ থেকে সাউন্ড বক্স থেকে গান ভেসে আসছে,
এই সন্ধ্যায় দু’চোখ সাগরে
বুকের পাঁজরে ভেসে যায়
অবাক জোছনায় লুকিয়ে রেখেছি
ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়……..

ইমান আস্তে করে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে এনে বলে উঠে, “আমিও ভেজা চোখ দেখাইনি কিন্তু বহুবার কেঁদেছি,অথচ সেই কাদার হিসাব কেউ রাখেনি৷”

মিরা তার সদ্য বলা বাক্যটি শুনতে পেলেও এর অর্থ বুঝতে বোধগম্য হয়নি বিধায় প্রশ্ন করে, কী বললেন?

— “তুমি আমার রুমে কী করো?চুরি-ডাকাতি করতে আসোনি তো?

সে দ্বিগুণ তেজী কণ্ঠে বলে উঠে, “আপনি আমার রুমে কেন গিয়েছিলেন? আবার বড় আব্বুর কাছে কী-সব বলেছেন? হু? সেটার উত্তর আগে দেন? ইরা বললো আমাকে নাকি চুমুও দিয়েছেন? ছিঃ কতো নীচ আপনি! একটা ঘুমন্ত মেয়ের সুযোগ নেন?”

— “স্টপ ইট। কি যা-তা বলেই যাচ্ছো?”

— “ধরা পড়লে তো অস্বীকার করবেনই। সুন্দরী মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক রাখতে পারেন না তাই না?”

ইমান এই কথার বিপরীতে মিরাকে একবার পা থেকে মাথা অব্দি পরখ করে নিয়ে বলে উঠে, “হ্যাঁ সুন্দরী মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক রাখা দায়।বাট তুমি নিশ্চিতে থাকতে পারো৷”

মিরা ভ্রুকুটি করে বলে, “আমি কেন নিশ্চিতে থাকব?”

— কারন তুমি সুন্দরী নও তাই! (ফিচেল হাসি হেসে জবাব দেয় সে।)

মিরা হা হয়ে গেল। এই প্রথম কেউ তাকে অসুন্দর বলল। প্রায় সবাই তার চেহারার প্রশংসা না করলেও তার হাসির প্রশংসা সবাই কম-বেশি করে৷ সেও সাত-পাঁচ না ভেবে ইমানকে উদ্দেশ্য করে বলে, আপনিও বানরের মতো দেখতে।

ইমান হামি তুলে বলে, “এক সেকেন্ডের মধ্যে আমার রুম থেকে বের হও নাহলে তোমার কপালে শনি আছে।”

— যাচ্ছি কিন্তু বড় আব্বুকে সব বলে দিব আমি৷

ইমান পকেটে হাত গুজে কপট রাগ দেখিয়ে বলে, “যাও, যাও। তোমার বাপ-চাচাদের ডরাই না।”

মিরা প্রতিত্তোরে কিছু না বলে বের হয়ে যায় রুম থেকে৷ সন্ধ্যায় গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম। রেডি হতে হবে তাকে। এই ভাইরাসটার সঙ্গে তর্কে জড়ানোর মানে হয় না কোন৷

মিরা চলে যাওয়ার পর পর ইমান সাউন্ড বক্সের গানটা অফ করে দিয়ে নিজেই গুনগুন করে গাইতে লাগলো,
“কেউ কোথাও ভালো নেই যেন সেই
কতকাল আর হাতে হাত অবেলায়…….

লাইন দুটো আওড়ানোর পর থেমে গিয়ে রুমের দরজার দিকে তাকিয়ে বলে, আসলেই কেউ ভালো নেই। আর যারা ভালো আছে তারাও আর ভালো থাকবে না। হালকা হেসে বিছানার ফেলে রাখা স্যুটটা হাতে নিয়ে চোখের সামনে ধরতেই তার বিষ্ময়ের সীমা রইল না। স্যুটের মাঝ বরাবর বিশাল বড় ছিদ্র করা। কেউ ধারালো কিছু দিয়ে বুকের জায়গাটা ছিদ্র করেছে। তার বুঝতে একদন্ড সময় লাগলো না যে এই বোকা কাজটা বোকারানীর কর্ম। সে এবারে শব্দ করেই হেসে দিয়ে বলে, “কিউট মুভ”

সে ঘড়ির দিকে তাকালো। বাসার সব মহিলারা মনে হয় পার্লারে চলে গেছে। কেবল বাড়ির ছোট দুজন সদস্য বাদে।

ইমাম দ্রুত তার লাগেজ থেকে হালকা সুতোর কাজ করা একটা আকাশি রঙের পাঞ্জাবি বের করে পরে ফেলে। এরপর ঘড়ি হাতে লাগাতে লাগাতে রুমের বাইরে বের হয়। সোজা মিরার রুমে এসে দাঁড়ালো সে। দরজার নব ঘুরে রুমে প্রবেশ করতেই আয়নার সামনে ইরা-মিরা দুইবোনকে সাজুগুজু নিয়ে ব্যস্ত অবস্থায় দেখা গেল৷

সে হালকা কেশে বলে উঠে, ইরামনি আমার জন্য এক কাপ চা আনো তো৷

ইরা আচ্ছা বলে চলে গেলে মিরাও তার পিছু ধরলে ইমান খপ করে তার হাত ধরে ফেলে ভারী ইনোসেন্ট গলায় বলে, আমি কি তোমাকে চুমু খেয়েছিলাম?

মিরা দাঁতে দাঁত চেপে বলে, হ্যাঁ! ভুলে যাওয়ার রোগ আছে নাকি?

— ইরা বলেছে একথা তোমাকে?

–হু৷

–ও।

এরপর সে চোখ বুলিয়ে চেয়ারে থাকা সালোয়ার কামিজটার দিকে তাকিয়ে বলে, এটা পড়বে নাকি এখন?

— হ্যাঁ।

ইমান বাকা হেসে আচমকা পা দিয়ে লাথি মেরে দরজাটা লাগিয়ে দিল। দরজা লাগার আওয়াজে মিরা সজোরে চমকে উঠে।সে পরিস্থিতি বুঝতে না পেরে চোখ ছোট করে তার দিকে তাকাতেই, একটা অভাবনীয় একটা কাজ করে বসে ইমান। মিরাকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে ফেলে পরপর তিনবার মিরার ফোলা ফোলা গালে নিজের অধর স্পর্শ করালো। মিরা যেন জমে বরফ হয়ে গেল। তার এই মূহুর্তে নিজেকে নরওয়ের বাসিন্দা মনে হচ্ছে। বাকহারা হয়ে বিষ্ময়ভরা চোখ তাকিয়ে থাকে।

ক্ষণেই সে খানিক সরে এসে মরা গলায় বলে, কী করলেন এটা?

— “তোমাদের দুইবোনের উপকার করলাম। ইরা আর তুমি মিথ্যা বলেছো। সেই মিথ্যাকে সত্য করে দিয়ে তোমাদের উপকার করলাম। ভালো করেছি না?” কথা শেষ করেই ভ্রু নাচায় সে।

মিরার যেন পিত্তি জ্বলে ছাই হয়ে যাচ্ছে তার ফালতু জবাবে৷ ঘটনা এখানে শেষ হলেও পার‍ত। কিন্তু না, ইমান আরেকটা মহান কাজ করল। সে মিরার হলুদে পরার থিম অনুযায়ী বানানো সালোয়ার কামিজটা সোজা বাথরুমে গিয়ে পানি ভরা বালতির মধ্যে চুবিয়ে দিয়ে মেকি হেসে বলে, টিট ফর ট্যাট, ডিয়ার। বন্যরা বনে আর শেহজাদীরা ফেইরিটেলেই সুন্দর। শেহজাদী ভুলে বনে চলে আসলে তো মুশকিল বটে।

চলবে কী?

#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
Part–1

[ আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। অনেকদিন পর লেখালেখিতে ফিরে আসলাম। আশা করি আপনাদের সাপোর্ট পাব। বসন্তের শুভেচ্ছা সবাইকে।সাতরঙা এবং ভালোবাসায় টইটম্বুর হোক সবার জীবন। ভালোবাসা অবিরাম। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here