#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
Part–35
মিরা বিষ্ফোরিত চোখে তাকালো। তার কোমড় চেপে ধরায় সে না পারছে তার বুকে নেতিয়ে থাকতে আর না পারছে সরে যেতে। ইমানের বেশরম কথাগুলো তাকে লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে। এসব কথা শুনলে কার না লজ্জা লাগবে? ছেলেটা আসলেই দিন কে দিন ষ্টুপিড, লাজহীন হচ্ছে!
সে চেচিয়ে উঠে বলে, ” আমাকে ছাড়ুন।”
আচমকা তার চেচানোর ফলে আশেপাশে সকলে তাকালো। সবাই আশ্চর্য হয়ে দাঁড়িয়ে গেল৷ ইমান নিজেও হতভম্ব। এমন কী মিরা স্বয়ং নিজের কাণ্ডে সামান্য চমকে উঠে। মাঝে-মাঝে তার যেন কী হয়। ভুল-ভাল কাজ করে বসে৷ এই যে ছয়জন শেতাঙ্গরা তাদেরকে ঘিরে দাড়ালো। এদের কী বলবে সে? একজন বুঝি নাইন ওয়ান ওয়ানেও কল দিতে চাচ্ছে৷ উশখুশ করে একে অন্যের সঙ্গে তারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করল। তাদের মধ্যে কেউই ইমান বা তার সঙ্গে একটা কথাও বলছে না। এমন সময়, ইমান দারুণ স্মুথলি তাকে আবারো নিজের দিকে টেনে আনল৷ এরপর আস্তে করে পরিষ্কার বাংলায় বললো, “সবসময় ঝামেলা বাঁধাও৷ ওরা আমাকে ইভটিজার ভাবছে মেবি৷ পুলিশ কল করবে মুশকিল হবে৷ এখন আমি যা করব সবটায় সায় দিবা৷ নইলে কিন্তু আমার বিপদ। আর আমার বিপদ মানে তোমার শনিবার৷”
মিরা বুঝে পেল না ইমানের বিপদ কেন তার শনি হবে? মঙ্গলবারও হতে পারে৷ ক্ষণেই সে যেন আকাশ উঠে গেল৷ আরেক দফায় চিৎকার দিল সে। ইমান তার কোমড়ে হাত রেখে একদম ফিল্মি স্টাইলে তাকে উপড়ে তুলেছে। এভাবে কোলে তো আমির খান তার নায়িকাকে তুলে শুটিং করে। নিজেকে বলিউডের সুন্দরী কন্যা মনে হচ্ছে যেন!
ইমান তার আস্তে করে নিচে নামায়, সম্পূর্ণ নয়। তার পাজোড়া তখনো মাটি স্পর্শ করেনি। ইমান তার সম্পূর্ণ ভার নিজ হাতে বহন করছে৷ এমন সময় ইমান আস্তেধীরে, খুব স্লোলি নিজের মুখের কাছে মিরাকে আনে। এরপর তার কপালে গাঢ় করে চুমু দিল। এবং আবারো ফিসফিস করে বলে, ” ঠোঁটে চু*মু খা*ও*য়াটা তোলা থাকলো৷”
সে ধাম করে তাকে নিচে নামিয়ে দেয়৷ মিরা টাল সামলানোর জন্য হলেও ওর কাঁধে হাত রেখে থমকে দাড়ালো। দুজনের মধ্যে দূরত্ব একদম ঘুচে গেছে। এতো কাছাকাছি অবস্থান করায় সে ওর হৃদপিণ্ডের ধুকপুক আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। ছেলেটাকে খুব করে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে মন চাচ্ছে। ইমান এবারে ভীড় করা লোকজনের দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর করে হাসল। এরপর বিনীত গলায় কাট কাট পরিষ্কার আর আমেরিকান একসেন্টে বলে উঠে, “একচুয়ালি আমরা রোমান্টিক কাপল ফটোশুট করছি৷ উই আর কাপল। ডোন্ট টেক মি রঙ গাইজ৷”
ওর বলার বাচনভঙ্গিতে কিছু একটা আছে নিশ্চয়ই। সে যাই বলে মানুষ বিশ্বাস করে ফেলে। সঙ্গে ওই মনোমুগ্ধকর হাসি তো আছেই। এই হাসির দিকে তাকালে মানুষ তাকে ভুল বুঝতেই চাইবে না৷ এই যে সে ডাহা মিথ্যা বলে দিল, কেউ একটাবার তাকে সন্দেহ করল না। কেউ জিজ্ঞেস অব্দি করল না, ফটোগ্রাফার কই? মার্কিন মুলুকের মানুষকেও এই ছেলে বলদ বানালো! হাহ্!
মিরা সরে এসে দাঁড়িয়ে তাদের প্রত্যকের দিকে তাকিয়ে সামান্য হাসলো। লাজুক হাসি। যদিও এদেশের মেয়েরা এতো লজ্জা পায় না। তাও ও লজ্জা পাওয়া ভঙ্গিমায় হাসে যেন তারা ইমানের বলা কথা বিশ্বাস করে৷ সত্যি তারা বিশ্বাস করল। যে মোবাইল বের করেছিল সে মোবাইল আবার পকেটে ঢুকিয়ে বলে, “ওকে, ইনজয় ইউর ডে৷”
তারা প্রস্থান করলে, ইমান চারপাশে তাকিয়ে বলে, “সাদ আহাম্মকটা কই? তুমি একা ছিলে কেন তখন?”
মিরা উত্তর দিল, ” ওর কল এসেছে। কল এটেন্ড করতে ওইদিকে গেল৷ আমি দাঁড়িয়ে ব্রীজটা দেখছিলাম। এরপর আপনি এসে টান মারলেন৷”
ইমান ফোন দিল সাদকে। সাদ জানালো ওর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ওর ঝগড়া হয়েছে। ওরা ব্রেকাপ কববে এখন। তাকে যেতে হবে ইমার্জেন্সি।
ইমান মুখে তেতো ভাব এনে বলে, ” কয় নাম্বার ব্রেক আপ এটা?”
— ” সাত।”
ইমান ফোন রেখে দিয়ে বলে, ” চল ব্রীজের ওপারে যাই। ব্রুকলিনের ওইদিক থেকে দৃশ্য আরো বেশি সুন্দর। সানসেটের সময় বেশি সুন্দর হয়। হেঁটে যেতে পারবে?
— ” একশ একবার পারব ”
— “গুড। মাত্র ত্রিশ মিনিট থেকেও কম লাগবে।”
মিরা তার আগে আগে হাঁটা ধরল। ইমান তাকে পিছু ডেকে থামিয়ে দিল। মিরা ঘার ঘুরিয়ে দেখে ইমান কুচো হয়ে মাটি থেকে তার টুপি কুড়িয়ে নিয়ে হাতে ধরল। এরপর তার দিকে এগিয়ে এসে নিজ থেকে টুপি মাথায় পরিয়ে দিয়ে তার গাল টানল বেশ জোরে। তার এহেন কাণ্ডে মিরা বিষ্মিত হলেও, গালে হাল্কা লাগলোও। এতো জোরে কেউ গাল টিপে দেয়?
ইমান মুচকি হেসে বলে, ” ইউ আর লুকিং ড্যাম কিউট। এই লুকে তোমাকে প্রথম দেখলাম ”
— “আমি ওয়েস্টার্ন ড্রেস তেমন পরি না।”
–” প্রশংসা করলে ধন্যবাদ দিতে হয়।”
–” ওয়েলকাম।”
ইমান মুখ তেতো করল। কিছু বলল না। এই মেয়ে আশেপাশে থাকলে তার বড্ড সিগারেটের তৃষ্ণা পায়। এখনো একসঙ্গে তিনটা সিগারেট টানতে মন চাচ্ছে। নিজের ইচ্ছাকে দমিয়ে রেখে সে, মিরার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটা ধরে। ইচ্ছা করেই আস্তে হাটছে। এই পলটা সে বন্দী করে রাখতে চায়৷কিন্তু সেটা আদোতে অসম্ভব।
হাঁটতে হাঁটতে সে গুনগুন করে গাইতে লাগলো,
“I found a love for me
Oh, darling, just dive right in and follow my lead
Well, I found a girl, beautiful and sweet
Oh, I never knew you were the someone waiting for me”
মিরা মুগ্ধ হয়ে তার দিকে তাকালো। ইশ কি সুন্দর গায় সে। তার কেন এত্তো সুন্দর ভয়েজ নেই? কেন সে বেগুন হয়ে জন্মালো? মা কী তাকে ধরে-বেঁধে গান গাওয়া শেখাতে পারত না?
ইমান গান গাওয়া থামিয়ে দিয়ে তার পানে চেয়ে প্রশ্ন করে, “এমন ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে কী দেখছো”
–” কিছু দেখছি না।”
মিরা মনে মনে বলে উঠে, ” গান গাওয়া থামালেন কেন? আর একটু গান না। আপনি যখন গাচ্ছিলেন আমি নিজেকে অন্য ভূবনে দেখছিলাম।”
তারা হেঁটে ব্রীজের ঔ প্রান্ত থেকে এই প্রান্তে এসে হাজির হলো। তারা মানহাটন থেকে ব্রুকলিনে আসলো। মিরা ক্লান্ত হয়ে গেছে। পিপাসা পেয়েছে তার। দিনের শেষভাগ তখন। ব্রীজের উপরে তুমুল পাগলাটে বাতাস ছিল। তার চুল এলোমেলো হয়ে একদম ঝাউ গাছ বনে গেছে৷ সূর্য তখন আস্ত যাবে। এমন সময় ইমান তাকে নিয়ে নিচে নেমে এসে নদীর ধারে এসে থামলো। এখানে সবুজ ঘাস আছে। দুটো বাচ্চা ফুটবল খেলছে৷ মিরা ক্লান্ত হয়ে ঘাসের উপর স্যান্ডেল খুলে বসে পরে৷ তাকে অনুসরণ করে ইমানও বসল। সানসেট এখান থেকে পুরাপুরি দেখা না গেলেও প্রকৃতির মাঝে আকাশের লালাভ রং হওয়া থেকে আস্তে আস্তে দুনিয়াতে অন্ধকার ঢলে আসা উপভোগ করা যায়। সঙ্গে সাইড ভিউ হিসেবে ব্রুকলিন ব্রীজ যেন সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
সানসেট হওয়ার পরের দৃশ্য আরো সুন্দর। অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রুকলিন ব্রীজের আনাচে-কানাচেতে সব জায়গা থেকে চোখ ধাধানো আলো জ্বলে উঠে৷ অপূর্ব সুন্দর লাগছে দেখতে! মিরা যেন চোখ ফেরাতে পারল না। তার সব ক্লান্তি চুকে গেল৷ তিরতির বাতাসে তার কাঁধে লেপ্টে থাকা চুলগুলো নড়ছে। হুট করে ইমান তার চুলগুলোর দলা নিজের হাতে এনে রোল করতে লাগলো। এতে সে সামান্য কেপে উঠে। মিরা তার দিকে বিরক্তিভরা নয়নে তাকালো। কিন্তু কিছু বলল না। সম্ভবত এতো সুন্দর একটা সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য মনে মনে মিরা তার উপর কৃতজ্ঞ৷ এখানে আসার আইডিয়া সাদকে ইমানই দিয়েছিল৷
সে বলে, ” আমাকে তিন দিনের জন্য নিউইয়র্কের বাইরে যেতে হবে৷”
–” তো আমি কী করব?”
–” আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে?”
একথায় মিরা তাচ্ছিল্যভরা হাসি হাসে। এরপর বলে, ” আমাকে নিয়ে কোনদিন ভেবেছেন একবার ও”
ইমান ঘাসের উপর থেকে উঠে দাড়ালো এরপর বলে, ” অফিসের কাজে যাব৷”
মিরাও উঠে দাড়িয়ে বলে, ” বাসায় ফিরব কখন”
–” সবচেয়ে চমৎকার জায়গাটায় এখনো যাইনি।”
–” সেটা কই?”
–” সামনেই। আমার কাছে টাইম আউটের রুফটপ সবচেয়ে বেস্ট লাগে। ওখানে গেলে সব স্ট্রেস আপনা-আপনি উধাও হয়ে যায়৷”
–” টাইম আউট জিনিসটা কী?”
–” মার্কেট একটা। ওদের রুফটপ সবার জন্য উম্মুক্ত। চল ঘুরে আসি।”
তারা দুজন চুপচাপ আগাতে লাগলো। দুজনের মধ্যে সীমাহীন দূরত্ব। আশেপাশে প্রতিটা কাপল কতোটা প্রানবন্ত হয়ে হাসছে, মজা করছে। তাদের দেখলেই মিরার ভালো লাগছে। তার ভালোবাসা প্রতরক হয়েছে হোক, অন্য কারো ভালোবাসা যেন বেঈমান নাহয়!
টাইম আউট মার্কেটের ভেতর ভীড় ভালোই। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দোকানে যাচ্ছে৷ রেস্টুরেন্টে, ফুডকোর্টে জায়গা হচ্ছে না দেখে অনেকে অন্য সাইডে খাবার নিয়ে বসছে। ইমান বেভারেজ কিনল। ব্লু ল্যাগন ড্রিংক কিনলো দুটো। এরপর রুফটপে চলে যায় তারা। রুফটপের রেলিংয়ের ধারে গিয়ে মিরার অজ্ঞান হতে মন চাচ্ছে। এতো চমৎকার কেন এই ভিউটা! উপর থেকে সমস্ত সিটির নাইট ভিউ দেখাচ্ছে৷ সমস্ত নিউইয়র্ক বুঝি মিরা এখান থেকে দেখতে পাচ্ছে। দূর থেকে ব্রুকলিনের ঝলমলে আলো আর ক্ষ্যাপা বাতাসে মন-হৃদয় জুড়িয়ে যাচ্ছে। সে চোখ বন্ধ করে মুহুর্তটা অনুভব করল৷ সেখান কিছুক্ষণ থেকে ইমান বলে, ” ডিনার করে নেই চল৷”
মিরা ঠোঁট উল্টিয়ে অভিমান সুরে বলে, ” সকালে আমার খাওয়া নিয়ে আপনি খোটা মেরেছেন৷ আমি কিছু খাব না৷”
ইমান মনে করতে চেষ্টা করে কোন সময় সে বোকাবতীকে খাওয়া নিয়ে খোটা মারলো? কিন্তু আফসোস মনে করতে পারল না৷ তারা মার্কেট থেকে বের হলো। ইমান উবার কল করে। গাড়িতে বসামাত্র হাই স্পিডে গাড়ি চলতে আরম্ভ করে৷ নিউইয়র্কের রাত বেশি সুন্দর। সবকিছু এত মনোমুগ্ধকর যে চোখ ফেরানো দায়। মিরার চোখে উপচে পড়া সীমাহীন উত্তেজনা। সে কাচের গ্লাস দিয়ে বাইরের সৌন্দর্য দেখছে৷ আর ইমান আড় চোখে তাকে দেখছে৷
কতোক্ষণ তারা গাড়িতে ছিল মিরার মনে নেই৷ গাড়ি তাদের মানহাটনের বাসায় গিয়ে থামলো৷ ইমান ভাড়া মিটিয়ে বাসায় ঢুকে৷ জহির সাহেব বাসায় নেই। উনিও জরুরি কাজে শহরের বাইরে৷ ইমানও যাবে শুনে হাসনাহেনা কিছুক্ষণ গজগজ করলেন৷ ইমান আমলে নিল না। সে নিজের রুমে এসে বসল। রুমে আসতেই মনে পড়ল মিরা তো বেড শুবে না৷ এখন উপায়? কি করা যায়? তার নতুন একটা বেড কেনা উচিত?
একটুপর মিরা রুমে এসে বলে, ” আপনি রুমের ওইদিকে থাকবেন, আর আমি এদিকে৷ খবরদার আমার সাইডে আসবেন না।”
— কেন? কেন যাব না? এটা কী বাংলাদেশ ভারত বর্ডার যে গেলেই ডিস্কিয়াও।”
–” এতোসব জানি না। আমি যতোদিন আছি আপনি এদিকে আসবেন না৷ আমি পর্দা টেনে রাখব। দুটো আলাদা রুম হবে। ”
ইমান বালিশের নিচে মাথা রেখে বলে, ” আমি নাহয় ওদিকে গেলাম না। কিন্তু তোমার ওয়াশরুম পেলে কী করবে? ওয়াশরুম তো আমার ভাগে পড়েছে।”
মিরা সামান্য বিচলিত হলো৷ এরপর সমাধান দিল। তার ওয়াশরুমে যেতে হলে সে পারমিশন নিয়ে পর্দার ওদিকে যাবে আর ইমান রুম থেকে বের হতে চাইলে মিরার কাছে পারমিশন নিবে৷ কারণ মিরার ভাগ করা অংশে দরজা পড়েছে৷ সে শর্তে রাজী হলে মিরা ডিভান টেনে এনে নিজের দিকে রাখল। ডিভানটা এতো হাল্কা হবে সে কল্পনাও করেনি যাইহোক ডিভানে বসে সে মাত্র চোখ বুজেছে ওমনি ইমান একটা নোটপ্যাড ছুঁড়ে মারল৷ নোটে লেখা,
১৪.০৪.২০২২
বিনীত নিবেদন এই যে, আমার এই মূহুর্তে রুমের বাইরে যাওয়া অত্যাবশকীয়। আপনি যদি আমার সকল দিক বিবেচনা করে আমাকে বর্ডার ক্রস করতে দেন৷ আমি খুব কৃতজ্ঞ হবে৷
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনি আমার বিষয়টা ভেবে আমাকে বর্ডার ক্রস করতে দিয়ে আমাকে বাধিত করবেন।
পুনশ্চঃ শেষ ক্লাস সিক্সে বাংলায় এপ্লিকেশন লিখেছিলাম। এই বয়সে এসে বাংলা অক্ষর ভুলতে বসেছি৷ কাজেই আবেদন পত্র লেখায় ক্রুটি হলে ক্ষমাপ্রার্থী।
মিরা আবেদনপত্র পড়ে কিছুক্ষণ দম ফাটা হাসি হাসল। বহুদিন পর সে হাসলো। এরপরে নোটে লিখলো, গ্রান্টেড।
চলবে৷