#ফেরারি_প্রেম
#পর্ব_২৯
#নিশাত_জাহান_নিশি
ফারহানের কথা শুনে ভিডিও করা অবস্থাতেই ফিক করে হেসে দিলো রূপল! হাসি চেপে রাখা তার মত ভাবওয়ালা পুরুষের কাছে দুঃসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছিল! নীহারিকা পারেও বটে। পরিস্থিতি শান্ত করে আবার তা বিগড়েও দিলো? নিজের উপর করা কটুক্তির শোধও নিলো, জনসম্মুখে বান্ধবীর মানসম্মানও রক্ষা হলো, লোকজন না হাসিয়ে বরং ভদ্রভাবে বান্ধবী এবং তার প্রেমিককে উচিৎ শিক্ষাও দিলো, এমনকি ফ্রিতে সবাইকে বিনোদনের ব্যবস্থাও করে দিলো! রূপলকে হাসার একটা সুযোগও করে দিলো।
ফারহানের বর্তমান অবস্থা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে লাঞ্চিত, গঞ্চিত এবং অসহায় পুরুষের ন্যায়। তার নিষ্পাপ মুখখানির দিকে একবার তাকালো রূপল। ফারহানের জায়গায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করল! আদো সুরে বলল,
“ছেড়ে দে মা। কেঁদে বাঁচি!”
ফারহানকে ক্যালাতে ক্যালাতে নীহারিকা প্রায় ক্লান্ত হয়ে এলো! মেয়ে মানুষের হাতে মারধর খেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে দাড়িয়ে রইল ফারহান। মুখমণ্ডল থেকে তার অঝরে ঘাম ঝরছে। চোহারাটা নেতিয়ে একটুখানি হয়ে গেছে। লজ্জায় মুখ লুকাবার জায়গা খুঁজে পাচ্ছেনা! ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে সে ফোঁস ফোঁস করে শ্বাস ফেলতে থাকা নীহারিকার দিকে অবুঝ দৃষ্টিতে তাকালো! ধরাশায়ী গলায় বলল,
“তোমার ক্যালানো শেষ হইছে বইন? যদি তুমি অনুমতি দাও তাহলে কী আমি এবার আসতে পারি?”
অমনি নীহারিকা গরম দৃষ্টি নিক্ষেপ করল ফারহানের দিকে। বেগতিক রগচটা ভাব নিয়ে সে অবিশ্বাস্যভাবে ফারহানের গলার টুটি চেপে ধরল! চোয়াল উঁচিয়ে বলল,
“আরে দাড়া দাড়া। এত তাড়াহুড়ো করছিস কেন? প্রয়োজনে আরও এক গ্লাস শরবত খাইয়ে তোকে ক্যালাব! শরবতের উপর আর কোনো ঔষধ আছে না-কী?”
ফারহান এবার বাধ্য হলো নীহারিকার আগে হাত জোর করতে! নিজের মধ্যে রইলনা সে। অনুনয়-বিনয়, কাকুতি-মিনতি করে সে বলল,
“না মা না! আমি আর শরবত খাবনা প্লিজ! আজ থেকে শরবত আমার রুচি থেকে ওঠে গেল। সত্যিই শরবতের উপর আর কোনো ঔষধ নাই! আজীবন আমার এই উক্তিটি মনে থাকবে! শেষে কী-না একটা মেয়ের হাতে….ছিঃ ছিঃ ছিঃ।”
ফারহানের জীর্ণ শীর্ণ এবং বেদনাতুর মুখের দিকে তাকিয়ে মায়া জন্ম নিলো নীহারিকার! ফারহানের শার্টের কলারটা ছেড়ে সে নিজের অশান্ত চিত্তকে শান্ত করল। বড়ো বড়ো কয়েক দফা শ্বাস ফেলে ফারহানকে বুঝানোর জন্য স্থির গলায় বলল,
“রাস্তাঘাটে মেয়ে দেখলেই শুধু তাদের নিয়ে কু-মন্তব্য করতে হবে কেন? তাদের গাঁয়ের রঙ নিয়ে বিদ্রুপ করা, হাসি ঠাট্টা করা লাগবে কেন? গাঁয়ের রঙ কালো বলে কী আমরা মানুষ নই? আমাদের কী কোনো মূল্য নেই? সাদা কালোর বিবেধ তৈরী করে তোরা নিজেরাই নিজেদের পাপী সাবস্ত করছিস! স্বয়ং উপর ওয়ালার ইচ্ছেকে নিয়ে তোরা হাসি ঠাট্টা করছিস। উপর ওয়ালা ভালো বুঝেছেন বলেই তো আমাদের গাঁয়ের রঙ কালো করে আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমরা আল্লাহ্’র তৈরী সামান্য মানুষ হয়ে পারিনা আল্লাহ্’র খুশি, ইচ্ছে, অনিচ্ছাকে নিয়ে বিদ্রুপ করতে!”
ধীর হয়ে দাড়ালো ফারহান। নীহারিকার দিকে নিশ্চল দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। পরক্ষণেই মাথাটা নুইয়ে সে নিজের অপরাধ স্বীকার করল! ক্ষীণ গলায় বলল,
“আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি বোন। সন্ধ্যা থেকে যা কিছু ঘটল এই সবকিছুর জন্য আমি সত্যিই মন থেকে অনুশোচিত! এই শিক্ষা পাওয়াটা আমার জরুরি ছিল। তোমার কথাগুলো আমি মাথায় রাখব।”
মুহূর্তেই ফারহানের মুখের কথা টেনে নিলো রূপল। ফোনের ভিডিওটা অফ করল সে। ভ্রু যুগল কুচকে তীক্ষ্ণ গলায় ফারহানকে শুধালো,
“কথাগুলো পরে যদি মনে না থাকে তো? তখন তোকে ঠিক কী শাস্তি দেওয়া উচিৎ? নিজের মুখেই বলে যা।”
“কেন ভাই? শরবতের উপর তো আর কোনো ঔষধ নাই!”
বলেই ফারহান আর এক সেকেন্ডও জায়গায় দাড়ালো না! মানে মানে করে সে ছোঁ মেরে জায়গা থেকে দৌঁড়ে পালালো! একটিবারের জন্যও আর পিছু ফিরে তাকালো না। ফারহানের যাওয়ার পথে তাকিয়ে নীহারিকা খিলখিলিয়ে হেসে দিলো! হাসতে হাসতে সে ধপ করে সোফার উপর বসে গেল। হাসি যথেষ্ট চেপে রাখল রূপল। এমন হাস্যকর পরিস্থিতির মধ্যে সে জীবনে একবারই পড়ল! তবুও নিজের ভাব বজায় রেখে রূপল অন্য দিকে তাকিয়ে নীহারিকার দিকে ফোনটি এগিয়ে দিলো। ভাবশূণ্য গলায় বলল,
“নিন আপনার ফোন।”
হাসতে হাসতে নীহারিকা রূপলের হাত থেকে ফোনটি হাত বাড়িয়ে নিলো। প্রশ্ন ছুড়ল,
“ভিডিওটা ঠিকঠাকভাবে করেছেন তো?”
“চেইক করে নিন।”
নীহারিকা ফোনে মনোসংযোগ দিতেই রূপল হনহনিয়ে জায়গা থেকে প্রস্থান নেওয়ার জন্য সদর দরজার দিকে পা বাড়ালো। অমনি নীহারিকা পেছন থেকে অধীর গলায় রূপলকে ডাকল। বসা থেকে দাড়িয়ে ওঠে বলল,
“আরে আরে কোথায় যাচ্ছেন আপনি? শরবতটা তো খেয়ে যান।”
পিছু ফিরে তাকালো রূপল। সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে টি- টেবিলের উপরে রাখা শরবতের গ্লাসটির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। পরক্ষণেই আবার নীহারিকার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। তিরিক্ষিপূর্ণ গলায় শুধালো,
“আমাকে কী ফারহান ভেবেছেন? যে শরবতের লোভ দেখিয়ে আমার সাথেও যা ইচ্ছা তা করতে পারবেন? তার মত পাগল আমি?”
“আপনাকে ক্যালাতে পারলে তো হতই! সুহাসিনীর ভূত আপনার মাথা থেকে নামিয়ে দেওয়া যেত।”
মিনমিনিয়ে কথাগুলো বলেই নীহারিকা রূপলের অগোচরে রূপলকে ভেংচি কাটল! রূপল তার কথা শুনল কী-না সেদিকেও আবার নজর রাখল। তড়তড়িয়ে জায়গা থেকে ওঠে সে হেঁটে গেল রূপলের কাছে। রূপলের মুখোমুখি দাড়িয়ে কোমরে হাত গুজে ঝগড়ুটে ভাব নিলো। খরখরে গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“আমি আপনার সাথে যা ইচ্ছা তা করব মানে? আমি কী কখনও আপনার সাথে খারাপ কিছু করেছি?”
“করতে কতক্ষণ? মাথার মধ্যে তো নাটকের ভূত চেপেছে! বেয়াই-বেয়াইনের প্রেম! আমি কিন্তু কিছুতেই এসবে পাত্তা দিচ্ছিনা। মাইন্ড ইট ওকে?”
ডান হাতের মধ্যমা আঙুল দ্বারা রূপল নীহারিকার কপালের মাঝ বরাবর একটি খোঁচা মারল! নীহারিকাকে হাত দ্বারা ইশারা করে বলল,
“দূরে দূরে থাকবেন ওকে?”
শো শো বেগে রূপল নীহারিকার সামনে থেকে প্রস্থান নিলো। নীহারিকা হতভম্ব হয়ে রূপলের যাওয়ার পথে তাকিয়ে রইল। নাক ফুলিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে বলল,
“তোর কাছে যেতে আমার বয়ে গেছে। একটু সুদর্শণ হয়েছে বলে আমার মাথা কিনে নিয়েছে! ভাগ্য ভালো হলে তোর থেকে সুদর্শণ পুরুষ-ও আমার বর হতে পারে! তখন তুই এই হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরবি! বদরাগী ভীমরুল কোথাকার।”
ইতোমধ্যেই বাড়ির সদর দরজা খোলা পেয়ে দুজন অপরিচিত মহিলা নীহারিকাদের বাড়িতে ড্রইংরুমে ঢুকে গেল! দুজনই অপরিচিত বিষয়টা এমন নয়। দুজনের মধ্যে একজনকে নীহারিকা অল্প সল্প চিনে। সামনের গলিতেই তাদের বাসা। তাই আসা যাওয়ার রাস্তায় একটু আধটু দেখা হয় মহিলাটির সাথে। তবে কখনও তেমন কথা হয়নি। হঠাৎ তাদেরকে দেখে নীহারিকা খানিক অপ্রস্তুত হয়ে গেল! দুজন মহিলা-ই নীহারিকার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল। বিনিময়ে নীহারিকাও জোরপূর্বক হাসল। ভদ্রতার খাতিরে নীহারিকা দুজনকেই ভেতরে এসে বসতে বলল। পরিচিত মহিলাটিকে সে নম্র সুরে বলল,
“ভালো আছেন আন্টি?”
মহিলাটিও বেশ বিনয়ের সুরে নীহারিকাকে বলল,
“ভালো আছি মা। তুমি কেমন আছ?”
“আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। নিশ্চয়ই আপনারা আমার আম্মুর কাছে এসেছেন? আচ্ছা আপনারা একটু বসুন। আমি আম্মুকে ডেকে দিচ্ছি।”
বিরামহীনভাবে কথাগুলো বলেই নীহারিকা তাড়াহুড়ো করে এই অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে বিদায় নিলো। তার মাকে ডেকে পাঠালো মহিলা দুটির কাছে। তার রুমে প্রবেশ করেই সে খাটের উপর বেশ আরাম করে বসল। আনন্দে তার গলা থেকে গান বের হয়ে আসছিল! টুক করে নীহারিকা দিশার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি সেন্ড করে দিলো! দিশা এই মুহূর্তে অনলাইনে নেই। অনলাইন হলেই ভিডিওটি সে দেখতে পাবে। ফোনটা পাশে রেখেই নীহারিকা মনের সুখে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল। পায়ের উপর পা তুলে খুশিতে গলা ছেড়ে গান গাইতে লাগল! গানের কোনো আগামাথা নেই তার। নিজের মতো করে ভুলভাল লিরিক্সে গান গাইতেই লাগল।
ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে সে মিনিট পনেরোর মধ্যে বের হয়ে এলো। অমনি তার ফোনে একটি আননোন নাম্বার থেকে কল এলো। কলটি পেয়ে কপাল কুঁচকালো নীহারিকা। কলটি তুলবে না-কী তুলবে না সেই দু’মনায় ভুগতে ভুগতে প্রথম কলটি প্রায় কেটেই গেল। দ্বিতীয় কলটি বেজে উঠতেই নীহারিকা টুক করে কলটি তুলে ফেলল! কর্কশ গলায় বলল,
“হ্যালো কে?”
অমনি কোনো পুরুষ মানুষের আত্নচিৎকারের আওয়াজ নীহারিকার কানে ভেসে এলো! বিভৎস সেই আওয়াজ! গাঁয়ের লোম কাটা দিয়ে উঠলো নীহারিকার। সঙ্গে সঙ্গেই তার হাত থেকে ফোনটি বিছানার উপর পড়ে গেল! শুকনো ঢোঁক গিলে নীহারিকা বড়ো বড়ো শ্বাস ফেলতে লাগল। এদিক ওদিক অস্থির দৃষ্টিতে তাকাতে লাগল। গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিল না তার। তবুও সে যথাসাধ্য চেষ্টা করল তার মাকে ডাকার! তবে কিছুতেই যেন কিছু হলোনা। কোনো আওয়াজই তার গলা থেকে বের হলোনা।
ইতোমধ্যেই আবার অন্য একটি আননোন নাম্বার থেকে তার নাম্বারে কল এলো! বাজতে থাকা কলটির দিকে নীহারিকা আতঙ্কিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। সাহসে কুলালো না কলটি তোলার। প্রায় অনেক বার কলটি বেজে যাওয়ার পর নীহারিকা কাঁপা কাঁপা হাতে কলটি তুলল। ফোনটি কানে তুলে সে ভয়ে চোখমুখ খিঁচে বন্ধ করে নিতেই ফোনের ঐ প্রান্ত থেকে রূপলের গলার স্বর ভেসে এলো! বিরক্তিকর গলায় রূপল বলল,
“আচ্ছা। আমি মেবি ভুল করে আপনাদের বাসায় আমার ঘড়িটা ফেলে এসেছি। কাইন্ডলি ঘড়িটা একটু খুঁজে দেখবেন তো।”
নিশ্চুপ হয়ে রইল নীহারিকা। রূপলের গলার আওয়াজ শুনেও ঘোর যেন কাটলনা তার। মনের ভয়টা এখনও দূর হলোনা তার। এভাবে নিস্তব্ধতায় কয়েক সেকেণ্ড কেটে যেতেই তিক্ত হয়ে রূপল গলা ঝাকালো। বলল,
“নীহারিকা। আর ইউ হেয়ার?”
অমনি নীহারিকা বড়ো একটি রুদ্ধশ্বাস ফেলল! গলা ঝাঁকিয়ে ভয়ার্ত গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“নাম্বারটা কার?”
“কেন? আমার।”
“এই নাম্বারটা সেভ করা ছিলনা।”
“হ্যা। এটা আমার নতুন সিম। আজই নিয়েছি। তাই সেভ করা ছিলনা।”
পরমুহূর্তেই রূপল পুনরায় কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ল,
“কেন? আপনি ভয় পেয়েছেন?”
“উঁহু! আমি ভয় পাইনা! আচ্ছা আমি ঘড়িটা খুঁজে দেখছি।”
“এক সেকেণ্ড, এক সেকেণ্ড। কলটা কাটবেন না। আপনার ভয়েস শুনে মনে হচ্ছে আপনি স্বাভাবিক নন। কিছু হয়েছে কী?”
ব্যাপারটা পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল নীহারিকা! গাঁ ছাড়া ভাব নিলো সে। ভনিতা করে বলল,
“না তো! কী হবে?”
শ্লেষাত্মক গলায় রূপল বলল,
“না মানে। আন্টি মারধর করল না-কী?”
“আশ্চর্য! আম্মু আমাকে মারতে যাবে কেন?”
“ঐযে শরবত খাইয়ে গুন্ডাটাকে ক্যালালেন!”
নীহারিকা হঠাৎ প্রসঙ্গ প্রশ্ন নিলো। গভীর চিন্তিত গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“আচ্ছা? আপনি ভয়েস পাল্টাতে পারেন?”
নীহারিকার এই অদ্ভুত প্রশ্নের মানে বুঝতে পারল না রূপল! বিস্মিত গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“মানে?”
“না। কিছুনা! আচ্ছা রাখছি। মেবি কোনো নাম্বার থেকে আমার নাম্বারে কল আসছে।”
“আচ্ছা। আমি কলটা কাটছি।”
রূপল ঐ পাশ থেকে কলটি কাটতেই নীহারিকার নাম্বারে আরও একটি নতুন নাম্বার থেকে কল এলো! মনে এবার জোর রাখল নীহারিকা! নিজেকে যতটা সম্ভব স্থির করল। নিজের মনোবলকে কিছুতেই ভেঙে পড়তে দিলোনা। বুকের ছাতি টান টান করে সে কলটি কানে তুলল! ঝাঁজালো গলায় বলল,
“হ্যালো কে?”
“সানি বলছিলাম! তোমার বেলকনিতে একটু আসতে পারবে? আমি তোমার বাড়ির নিচে দাড়িয়ে।”
#চলবে…?