বউ (০৭)

#বউ (০৭)

.
রাস্তা পারাপারের সময় মায়ের কথামতো তাহু শক্ত করে মেহুর হাত ধরে।রাস্তার ওপাড়ে ই কলেজ।এদিক সেদিক গাড়ি দেখে আস্তে আস্তে রাস্তা পার হয় তাহু।

তারপর কলেজ গেইটের সামনে দাঁড়ায়।কলেজে ডুকতেই দেখে সকলে আড়চোখে তাদের দেখছে।
মেহু বিড়বিড় করে–“চোখ কানা হই যাবে।এত দেখার কি আছে।হা করে কেমন তাকায় আছে দেখো, মশা ডুকলেই খুশি হবো।”

তাহু আস্তে করে বলে–“বোন এত কি বিড়বিড় করিস?”
–“ওরা আমাদের এভাবে দেখছে কেন?”
–“আল্লাহ চোখ দিয়েছেন দেখার জন্য তাই।”
–“হুম্ম।”

দুইবোন ক্লাস খুঁজে পাশাপাশি বসে।ওখানে অনেক মেয়ে ও আশেপাশে আছে।কেউ কেউ কৌতুহল নিয়ে দুজনের সাথে বন্ধুত্ব করতে আসে।

ক্লাসে স্যার ডুকে সকলের সাথেই পরিচিত হন।তাহু আর মেহু যখন দাঁড়ায় তখন স্যার ও অবাক।এরকম মিল কখনো তিনি দেখেন নি।মিল দেখলে ও পোশাক ও একই রকম পড়তে কখনো দেখেন নি।
.
তারপর পরিচিত হয়ে পড়ায় মন দেয় সকলে।কলেজের প্রথম দিন খুব ভালই কাটে।মেহুর অনেক বান্ধবী হয়।কারণ মেহু সবার সাথে গিয়ে গিয়ে কথা বলছে।আর তাহুর বান্ধবী হয় একজন।সে বেশিরভাগ ই মেহুর কথা শুনছে আর হাসছে।

তারপর ক্লাস শেষে মেহুকে নিয়ে বাসায় ফিরে।মেয়ে দুইটা বাসায় ঠিকমত এসেছে দেখেই তাহুর মা প্রাণ ফিরে পাওয়ার মতো করে।
–“কেমন কাটলো কলেজ?মেহু কি ঝামেলা করেছিস বলে ফেল?”

তাহু তখন বলে–“কিছুই ঝামেলা হয়নি।খুব ভালো ই দিন কেটেছে আম্মু,আমার একটা বান্ধবী হয়েছে,আর মেহুর পুরা কলেজ ই বান্ধবী।”

তাহুর কথায় তার মা হেসে উঠে।তাহু তারপর কলেজে কি কি করলো সব মাকে বলে।এটা ওর অভ্যাস।ছোটবেলা থেকেই স্কুলে কি কি হতো এসে গল্প করতো।
__________________

রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে দুইবোন ই টেবিলে পড়তে বসে।তাহু মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছে আর মেহু কলম কামড়ে কামড়ে বইয়ে এটা সেটা লিখছে।তাহু কিছুক্ষণ পরে মেহুর দিকে তাকিয়ে দেখে সে পুরা বইটাতে লিখে শেষ করে ফেলতেছে।

তাহু তখন বলে–“বোন!বই পড়তে দিয়েছে,আঁকতে নয়।”
–“বইয়ে আঁকতে ভাল লাগে আপু।”

তাহু বিড়বিড় করে বলে–“এই অগোছালো মেয়েকে দিয়ে যে কি হবে?ভবিষ্যৎ কেমন যাবে?”
মেহু সেসব শুনে ফেলে,আর বলে–“তুই আছিস তো গুছিয়ে দেয়ার জন্য।”
–“যদি আমি কখনো হারিয়ে যায়?”

মেহু তখন কলমটা ধুম করে টেবিলে রেখে বলে–“ফের এ কথা যদি বলিস আমি খুব কাঁদব।আমার আপু সারাজিবন আমার সাথে ই থাকবে।”

তাহু হাসে।বোনের সম্পর্ক টা কত মধুর সম্পর্ক।

____

দেখতে দেখতে তারা কলেজ পাশ করে।কলেজের স্যার রাও তাহু আর মেহুকে অনেক স্নেহ করে।
তাহু ভালো রেজাল্ট করে।মেহু ও ভাল রেজাল্ট করে তবে তাহু বেশি ভাল করেছে এই আরকি।তাহুর বাবা খুব খুশি।দুই মেয়েই তার গর্ব।তিনি চান দুই মেয়ে ই অনেক পড়ালেখা করুক আর বড় হোক।

তারপর তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।অবশেষে তাহু আর মেহু ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পায়।
তাহুর টা যদি ও অল্প দূরে কিন্তু মেহুর টা অনেক দূরে।হোস্টেলে থেকেই পড়ালেখা করতে হবে।এটা শুনে মেহুর সে কি কান্না।সে ও তাহুর সাথে ভর্তি হবে,নইলে সে পড়বেই না।

কিন্তু তাহু বুঝায়–“প্রতিদিন মেহুর সাথে ফোনে কথা বলবে।কিন্তু পড়ালেখা টা খুব ই জরুরি।”

তারপর মেহুর বুঝ আসে।দুইবোন আলাদা হয়।মেহু চলে যায় হোস্টেলে।সেখানে গিয়েই তার ভীষণ একলা লাগে।কান্না করে আপুর জন্য।তাহু প্রতিদিন বোনের সাথে কথা বলে তার ও যে খুব খারাপ লাগে।আস্তে আস্তে মেহু পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে পড়ে।
.
.
এভাবেই চলছে জিবন।
একদিন তাহুর বাবা এসে তাহুর মাকে বলছে–“একটা পাত্রের প্রস্তাব পেয়েছি তাহুর জন্য।মেয়ে বড় হচ্ছে বিয়ে তো দিতেই হবে।তাছাড়া বিয়ের পর ও তাহুকে পড়াবে বলছে।ছেলে খুব ভালো নাম নাকি আদ্র।আর ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।ভালো না?”

তাহুর মা তখন বলে–“তুমি যা ভালো বুঝো।আমি চাই তাহুর আর কিছুদিন পর বিয়ে হোক।”

–“বিয়ে এখন হবেনা।এমনিতেই ঠিক করে রাখবে যে তারা।”

তাহুর বাবা তাহুর রুমে গিয়ে দেখে তাহু টেবিলে বসে পড়ছে।তিনি মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।তাহু হেসে বলে–“কিছু বলবে আব্বু?”

তারপর তাহুর বাবা আদ্রের ডিটেলস বলে।আর জিজ্ঞেস করে তার মতামত কি?
তাহু বলে, তার বাবা যেটা বলবে সেটাতেই সে খুশি।(উল্লেখ্য যে,মেঘের ব্যপার টা তখনি তাহু জানতো না)
.

এর পরেরদিন পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে।মেহুকে হোস্টেল থেকে আসতে বলেছিল।কিন্তু সে কোচিং এর জন্য আসতে পারেনি।তাহু আর তার আম্মু মিলে সব আয়োজন করে।

তাহুর বাবা তাহুর মা কে এ ও বলে যে,
–“পাত্রের বাবা মা বেচে নেই।ছোটবেলা থেকে চাচার কোলেই মানুষ হয়েছে।তাই পাত্র নিজে আর সেই চাচা চাচিকে নিয়েই তাহুকে দেখতে আসবে।”

তাহুর মা হিসেবে তার কি মত সেটাই তিনি জানতে চান?তাহুর বাবা অনেক সচেতন মানুষ।তাই প্রত্যেকের মতামতের তিনি গুরুত্ব দিবেন।
তাহুর মা কিছুই বলেন না।ছেলে ভালো হলেই হলো।
.
পাত্রপক্ষ আসে।তাহুর বাবা নাস্তা এনে দেন।তারপর পাত্রর সাথে টুকটাক কথা বলেন।পাত্র তাহুর বাবার সাথে একদম আপনজনের মতো ই ব্যবহার করেন।এ দিক টা উনার বেশি ভাল লেগেছে।

তাহু একটা শাড়ি পড়ে মাথায় স্কার্ফ করে তারপর তাদের সামনে যায়।তারপর সালাম দেয়।

পাত্রের চাচা তাহুকে নাম জিজ্ঞেস করে।তাহু শান্তভঙ্গি তে উত্তর দেয়।পাত্রের চাচি ও তাহুকে এটা সেটা জিজ্ঞেস করে।

পাত্র প্রথম দেখাতেই তাহুকে পছন্দ করে ফেলে।
তারপর পাত্র বলে–“আমি কি আপনাদের মেয়ের সাথে আলাদা কথা বলতে পারি?”

তাহুর বাবা এতে সায় দেয়।তারপর তাহুর বাবা পাত্রের চাচা চাচি অন্যরুমে চলে যায়।পাত্র আর তাহু মুখোমুখি বসে।
পাত্র তখন বলে–“আপনাকে কি আমি তাহু বলে ডাকতে পারি?”

তাহু ছোট করে বলে–“হ্যা।”
–“আচ্ছা আমার নাম কি জানেন?”
–“নাহ”।
–“মেঘাদ্র আহমেদ।সবাই আদ্র বলেই ডাকে আপনি চাইলে মেঘ ডাকতে পারেন,আবার আদ্র ও বলতে পারেন,আমি মাইন্ড করবো না।”

–“সবাই যেটা ডাকে আমি ও সেটাই ডাকব মিঃ আদ্র।”

আদ্র মুচকি হাসে।
–“আপনার নিজস্ব কোনো পছন্দ আছে?অথবা আমাকে কি পছন্দ?
–“আমার আব্বুর পছন্দ ই আমার পছন্দ।বাবা মার সিদ্ধান্ত ই আমি সন্তুষ্ট।কারণ কোনো বাবা মা তাদের সন্তানদের অমঙ্গল চান না।”

তাহুর ব্যবহারে আদ্র খুশি হয়।এই মেয়েকেই তাকে বউ বানাতে হবে।উপায় নেই।
__________

তাহুর বিয়ের কথা শুনে মেহুর খুব ই মন খারাপ হয়।এতদিন তো দূরে আছেই এখন আরো দূরে চলে যাবে।
সেই কথা ভেবে ভেবে মেহু অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেহুর জ্বর চলে আসে।তাহু কল করেই বুঝতে পারে মেহু ভালো নেই।তারপর মেহু জানায় তার জ্বর এসেছে।তাহু সেটা শুনে সহ্য করতে পারেনা।তাহু আর তার বাবা হোস্টেলে গিয়ে মেহুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।তারপর মেহুকে বাসায় নিয়ে আসে।

জ্বরের ঘোরে মেহু ছটফট করলে তাহু কান্না করে ফেলে।সারারাত সে ঘুমায় না,মনে কত ধরনের কু ডাকে।তাহু এমনিতেই ভীতু ধরনের,অল্পতেই কেঁদে ফেলা তার অভ্যাস।

তাহুর মা ও মেহুর পাশে বসে ছিলো।তারপর তাহু অভয় দেয় সে দেখে রাখবে মেহুকে।

তারপর তাহু মাকে আবারো বলে–“ঘুমাতে যাও?তোমার আবার প্রেশারের সমস্যা কখন আবার অসুস্থ হয়ে যাও!”

তাহুর মা চলে গেলে মেহুর মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলে।মেহু ঘুমের ঘোরে ই বলে–“আমায় ছেড়ে যাস না আপু!”

তাহু আরো কেঁদে ফেলে এমন করে বলছে বোনটা যেন মরেই যাচ্ছি।যাব তো শশুড় বাড়ি।আমার ক্ষমতা থাকলে তোর বন্ধন ছিন্ন করতাম না।কিন্তু মেয়েদের এটাই নিয়ম বিয়ে যে করতেই হবে।

আদ্র তাহুর সাথে ফোনে টুকটাক কথা বলে।

দেখতে দেখতে তাহু যখন সেকেন্ড ইয়ারে উঠে।বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়।বিয়ের আগে আদ্র জানে যে তাহুরা দুইবোন তবে কখনো মেহুকে দেখে নি।তবে মেহুর সাথে ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছে।
.
.
অবশেষে তাহু আর আদ্রের বিয়ে হয়।দূর থেকে মেহু একবার আদ্রকে দেখেছিলো।আর দেখেই হা হয়ে গেছিলো।দুলাভাই হিসেবে তার পছন্দ হয়েছে।কিন্তু আদ্র মেহুকে কখনো খেয়াল করেনি।কারণ মেহু বেশিরভাগ সময় ই আড়ালে ছিলো।তবে মেহুকে আদ্র ছোটবোনের মতই স্নেহ করে।তার যে ভাইবোন কেউ নেই।তাহুর মা বাবা মানে তার মা বাবা,তাহুর বোন মানে তার ও বোন।তবে জমজ বোন যে সেটা জানতো না।

তাহু বিয়ের পর ই বিশ্ববিদ্যালয় বদলি হয়।আদ্র তাহুর পড়ালেখা করানোর দায়িত্ব নেয়।যেহেতু আদ্র ই একজন শিক্ষক তাই তাহুকে নিয়ম করে পড়ানোর দায়িত্বটা ও নেয়।

আদ্রের বাবা মা নেই তাই তাহুর বাবা মা আদ্রকে ছেলের মতো ই দেখে।আদ্রের চাচা চাচি গুলো তাহুকে আগলে নেয়।আদ্রের ব্যপারে তাহুকে সব বলে।তাহু যেহেতু নতুন বউ,তাই সংসার সম্পর্কে তারা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।এমনিতেই তাহু শান্ত স্বভাবের।তাহুকে দেখে তাদের ভীষণ ভাল লাগে।তাদের ও কোনো সন্তান সন্ততি ছিল না।তাই আদ্র কে তারা খুব ভালবাসে।

বিয়ের পর ই তাহুর বাবা মাকে আদ্র দাওয়াত দেয়।কিন্তু তাহুর বাবার দোকানে কিছু কাজ ছিল বলে অভয় দেয় বিয়ের কয়েকদিন পরে যাবে।

__________

কালকে তাহুর শশুড় বাড়িতে সবাই যাবে।

তাহুকে ফোন করে মেহু বলে–“আপু চল একই রকম সেজে দুলাভাইকে চমকে দিই কি বলিস?”

তাহু হাসে।মেহু আবারো বলে,
–“তারপরে ই বুঝা যাবে দুলাভাই তোকে কতটা ভালবাসে।যদি চিনতে পারে বুঝবো বউ হিসেবে সত্যি তোকে ভালবাসে আর যদি চিনতে না পারে তাহলে সে হেরে যাবে।”

–“তুই এত কথা কেমনে বলিস বোন?”

–“প্লিজ চলনা।কাল তো আমরা যাব ই তোর শশুড় বাড়ি।কালকেই মজা টা হবে।”

তাহু রাজি হয়।দুজনেই একই শাড়ি একই সাজবে ঠিক ছোটবেলার মতো।ছোটবেলায় যেভাবে সবাই ভুল করত,কোনটা মেহু তাহু বুঝত না ঠিক সেই ভাবে।

বিয়ের পর এই প্রথম মেহু তাহুর শশুড় বাড়ি যাচ্ছে।যদিও বোন হিসেবে আগে যাওয়ার কথা।কিন্তু তাহুদের ঘরে এখন আর কোনো মেয়ে নেই যে তাহুর মাকে কাজে সাহায্য করবে।মেহুকে ই সবদিক এখন দেখতে হয়।

মেহু ফোনে কথা বলে সিলেক্ট করে কোন শাড়িটা তারা পড়বে।তারপর সিলেক্ট করে কিভাবে স্কার্ফ করবে।মানে কোনো ক্লু ই রাখতে চায়না মেহু।আদ্রের কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে যে।

__________

সকাল সকাল মেহু মায়ের সাথে সব কাজ করে নেয়।তারপর তাহুর সাথে প্লেন মোতাবেক তেমনই সাজে।আর তাহুকে বলে দেয় দুলাভাইকে যেন যে করে হোক বাইরে পাঠাতে,যাতে মেহু টুস করে বাসায় ডুকে সারপ্রাইজ টা দিতে পারে।

তাহু ও সেটাই করে।আদ্রকে বলে বাজার থেকে মিষ্টি ফল কিনে আনতে বলে।

আদ্র মেহুকে কল করে জিজ্ঞেস করে–” কতদূর এসেছে?”
মেহু ও বলে–“এইতো কাছেই এসে গেছি।”
.

মেহু তাহুর শশুড় বাড়ি আসে।পাকা বাড়ি।বাড়িটা আদ্র নাকি পছন্দ করে বানিয়েছে। অনেক সুন্দর বাড়িটা।তাহুকে দেখে মেহু ঝাপ্টে জড়িয়ে ধরে।আদ্রের চাচা চাচি প্রথমে মেহুকে দেখে চমকে যান।তারপর তাহুর বাবা সব বুঝিয়ে বলে।আদ্রের চাচা চাচি মেহুকে জড়িয়ে ধরে তারা অনেক ভালো।
.
.
তাহু বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে।তারপর তাদের নাস্তা খেতে দেয়।

তারপর মেহু তাহুর কাছে গিয়ে বলে –“আপু তুই রুমে থাক গে,আর আমি খাবার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকি।”

তাহুর মা চোখ রাঙ্গায়, এসব কি ধরনের প্লেন?

মেহু হাল্কা হেসে বলে–“দুলাভাইকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য?”
–“এতে লাভ?”
–“শালিকা হিসেবে সারপ্রাইজ তো দিতেই পারি,তাছাড়া সে বউকে কতটুকু চিনতে পারে দেখতে হবে না?”

তাহুর বাবা মা আর কিছুই বলেনা।দুইবোনের মাথায় যে কি চলে আল্লাহ মালুম।

আদ্র ফল মিষ্টি নিয়ে ফিরে আসে।তাহুর বাবা মাকে সালাম করে।মেহু এমন ভাব করছিল যেন সে তাহু ই।আদ্রের থেকে মুচকি হেসে ফল মিষ্টি নিয়ে রান্নাঘরের দিকে যায়।
.
আদ্র কি যেন ভাবে।মেহুকে ভাল করে দেখে।তারপর কি যেন ভেবে হেসে ফেলে।আদ্রের হাসি দেখে মেহু ও বোকা বনে যায়।নিজের বউ মনে করে আবার না জড়িয়ে ধরে।এই ভেবে মেহু হাল্কা করে ঢোক গিলে।নিজের প্লেনে নিজেই না ভেস্তে যায়।

তারপর ও মনে সাহস জুগিয়ে
তাহু যেমন ভাবে কথা বলতো তেমন ভাবেই বলার চেষ্টা করে বলে–“কি হলো হাসেন যে?”

আদ্র তখন মেহুর আরো কাছে আসে।তারপর ভাল করে মেহুকে দেখে,আবারো হেসে দূরে দাঁড়িয়ে বলে–“তুমি যেখানে থাকো,যেভাবে থাকো নিজেকে যতই আড়ালে রাখো,বউকে আমি ই খুঁজে নিবো।সে আমার ভালবাসা”

আদ্রের কথা শুনেই মেহু হাসে,বউকে কি চিনতে পেরেছে নাকি পারেনি। তার মানে আদ্র কি ফেইল………..

চলবে……..!

#তাহরীমা

(ভুলগুলা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

[গল্প নিয়ে কিছু কথা~আপনারা কেউ কেউ বলছেন অতীত যেন সংক্ষেপে লিখি।কতটুকু সংক্ষেপে?আমার মনে হয় না আমি আহামরি বড় করছি।অতীত হচ্ছে গল্পের মূল পয়েন্ট সেটাই যদি আমি ভালভাবে তোলে না ধরি গল্পটা পড়ার কি মানে হলো?আর এইটুকু না লিখলে গল্প যে এলোমেলো লাগবে।আপনারা কি চান তাড়াহুড়া করে লিখে গল্প এলোমেলো করে দিই।যদি তাই চান তবে আমি তাড়াহুড়া করেই গল্প শেষ করে দিবো।মতামত বলে যাবেন?আরো একটা কথা,গল্পটা ধর্য্য সহকারে পড়ার অনুরোধ,ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here