বদ্ধ হৃদয়ের অনুভুতি পর্বঃ১৯

0
3497

#বদ্ধ_হৃদয়ের_অনুভূতি
#পর্বঃ১৯
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি

আবছা দিনের আলো মিলিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা নেমেছে ধরনীতে।সূর্যটা হেলে পড়তে পড়তে ডুবে গেছে পশ্চিমা আকাশ তলে।ধরনী জুড়ে নেমেছে সন্ধ্যার হেয়ালিপনা।আকাশে উঠেছে রূপালি চাঁদ।অর্ধবৃত্তাকার চাঁদ তার আলো যেনো উপছে দিচ্ছে।চাঁদকে দেখে মনে হচ্ছে সেও যেনো ছুটে বেড়াচ্ছে।দূরে দাঁড়ানো গাছ গুলো একের পর এক সাঁই সাঁই করে পিছনে চলে যাচ্ছে।এক ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা আম্বের এর মুখে পড়তেই চোখ খুলে আম্বের।নিমিঝিমি চোখ নিয়ে তাকাতেই দেখে অন্ধকার আচ্ছাদনে ঢেকে পড়েছে সব।আম্বের একটা গানের গলা শুনতে পায়।

“আজ তোমায় আমি এনে দেবো জোসনা…
তুমি কাছে এসে আমার পাশে বসনা…..।।
প্রেমের দরজা খোলো না….
ভালোবাসি বলো না…….

গলা শুনতেই আঁতকে উঠে আম্বের।যেনো তার কলিজা উল্টে গেছে।সিট থেকে দাঁড়াতেই তার পাশে এসে বসে মাহাদ।মাহাদ কে দেখেই হতভম্ব হয়ে যায় আম্বের।আতঙ্কিত গলায় বললো—-

“আআপপপনিই!

মাহাদ তার ভারি পুরুষালী গলায় স্নিগ্ধতা টেনে বললো—

“ইয়েস ডিয়ার বাটারফ্লাই।কেন অন্য কাউকে ভেবেছিলেন?

আম্বের তীক্ষ্ম গলায় জোর লাগিয়ে ড্রাইভার কে বললো—

“ড্রাইভার গাড়ি থামান।আমি নামবো।থামান বলছি।”

মাহাদ আম্বের কে এক টান দিয়ে সিটে বসায়।গরগরে গলায় বললো—

“আমার হুকুম ছাড়া কারো বাপের সাধ্যি নেই এই বাস থামানোর।”

আম্বের রুষ্ট গলায় বললো–

“যেতে দিন আমাকে।”

“হুশশশ!
যেতে দেওয়ার জন্য কী গত একঘন্টা এখানে বসে আছি নাকি মিস সুগন্ধি!

আম্বের ভীত চোখে তাকিয়ে আছে মাহাদ এর দিকে।মাহাদ কে দেখে একদম চিন্তিত মনে হচ্ছে না।একদম শান্ত,শীতল মুখভঙ্গি।মনে হয় সে জানতো সবটা।আম্বের উৎসুক গলায় বললো—

“কী করে এলেন আপনি এখানে?

মাহাদ আম্বের এর দিকে চোখ আবদ্ধ করে বললো—

“আপনি যেভাবে এসেছেন।গাড়িতে।আপনি সি এন জি তে আর আমি আমার কার এ।”

আম্বের হতচকিত হয়ে বললো–

“আপনি আমাকে ফলো করছিলেন?

“হুশশশ!আপনাকে কেন ফলো করতে যাবো!আপনি তো আমার হৃদয়ে থাকেন।আমার বদ্ধ হৃদয়ে।আপনাকে ফলো করার কোনো দরকার হয়!

আম্বের শক্ত গলায় বললো—-

“যেতে দিন আমাকে।”

মাহাদ বিস্ময়কর কাজ করলো।আম্বের কে জোর করে ধরে তার অধরপল্লবে নিজেকে আবদ্ধ করে নিলো।নিজের এক হাত আম্বের এর জামার নিচে দিয়ে কিছু একটা বের করে আনলো।আম্বের কে ছাড়তেই বিরক্তিকর গলায় আম্বের বললো—

“এইসব কী শুরু করেছেন আপনি?

মাহাদ আম্বের এর ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বললো—

“একদম কোনো কথা নয়।”

মাহাদ এর হাতে একটা ছোট্ট অডিও রেকর্ডার।আর তা অন করতেই মাহাদ এর কন্ঠ ভেসে আছে।মাহাদ কাউকে মোবাইলে বলছে–

“মিস আম্বের এর বাবার এতো তাড়াতাড়ি মারা যাওয়া উচিত হয়নি।তাকে আরেকটু সময় নিয়ে মরা উচিত ছিলো।”

মাহাদ ফিচেল হেসে বললো–

“বাস এইটুকুই!এইটুকু দিয়েই আপনি আপনি আমাকে জেলের ভাত খাওয়াবেন!
শুনেছি জেলের ভাত নাকি অনেক মোটা!আপনি তো জানেন আমি মোটা চালেন ভাত খেতে পারি না মিস সুগন্ধি।একবারো ভাবলেন না আমার কথা!

আম্বের কিছু বললো না।চট করে মাহাদ এর সাথে হাতাপায়ি শুরু করলো অডিও রেকর্ডার নেওয়ার জন্য।দুই জনের ধস্তাধস্তিতে সেইটা গিয়ে জানালার বাইরে পড়লো।মাহাদ একটু উঁচু হয়ে বাইরে তাকিয়ে আফসোসের গলায় বললো—

“হায়!কী করলেন!এখন আমাকে জেলে পাঠাবেন কী করে?

আম্বের ব্যস্ত গলায় বললো—

“লাগবে না ওইটা।আমি নিজে গিয়ে পুলিশকে বলবো আপনিই আমার বাবা কে….।”

মাহাদ নির্মল গলায় বললো—

“আমি আপনার বাবাকে খুন করিনি প্রজাপতি।”

“মিথ্যে বলছেন আপনি।”

মাহাদ আম্বের এর দিকে ঘুরে বসে।আম্বের এর আরেকটু কাছে গিয়ে বললো–

“এইটুকু কথায় আপনার মনে হলো আমি আপনার বাবাকে খুন করেছি!
আমি শুধু এতোটুকুই বলেছি আপনার বাবার আরো পরে মারা যাওয়া উচিত।তার কাছ থেকে আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর যে নেওয়া হয়নি।আর আপনি ভাবলেন আমি খুন করেছি!

আম্বের ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বললো—

“কিসের উত্তর?

“আছে।
তার আগে বলেন আমাকে ছেড়ে আসতে আপনার একটুও কষ্ট হলো না?

আম্বের কোনো কথা বললো না।নৈঃশব্দে তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে চাপা আর্তনাদ।মাহাদ নমনীয় গলায় বললো—

“এতো ভালোবাসলাম তাও একটু মায়া হলো না আমার প্রতি!হৃদয়হীনা প্রেয়সী।”

আম্বের তার নিম্নমুখী অক্ষিযুগল উঁচু করে মাহাদ এর দিকে তাকায়।মাহাদ আম্বের এর গালের কাছে গিয়ে বললো—

“ভালোই হলো।এক হৃদয়হীন পুরুষের প্রেয়সী এক হৃদয়হীন নারী।”

জানালা দিয়ে বেপরোয়া বাতাস আসছে।তাতে উড়ে যাচ্ছে মাহাদ এর চুল।আম্বের গাঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।মাহাদ দুর্বোধ্য হাসলো।ফিকে গলায় বললো—

“এভাবে কেন আসলেন!আমাকে মেরে চলে আসতেন।তাহলে হয়তো এতো কষ্ট আমার হতো না।”

মাহাদ সোজা হয়ে সিটে হেলান দিয়ে বসে।সরস গলায় বললো—

“আজ সকালে আপনি আমার সাথে বাইরে আসতে চেয়েছিলেন না!দেখেন এখন আপনি আমার সাথে।দিস কলড ডেসটিনি।”

আম্বের কোনো শব্দ করলো না।মাহাদ পুনরায় বললো–

“খিদে পেয়েছে নিশ্চয়ই আপনার!সারাদিন তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য কম খাটুনি করেন নি।”

মাহাদ অপর পাশের সিট থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট,ফল আর ড্রিংস এনে দেয়।আম্বের শক্ত গলায় বললো–

“খাবো না আমি।”

“খেয়ে নিন প্রজাপতি।সারাদিন অনেক কষ্ট দিয়েছেন আমাকে।দমটা আটকে আসছিলো আমার।আপনারা মেয়েরা এতো স্বার্থপর কেন!একটুও বুঝতে চান না আমাকে!

মাহাদ থামে।গাঢ় ও দৃঢ় গলায় আবার বললো—

“খেয়ে নিন।নাহলে কিন্তু আমাকেই জোর করতে হবে।”

আম্বের আর কিছু বললো না।সে জানে এখন না খেলে মাহাদ তার অবস্থা খারাপ করে ফেলবে।
মাহাদ এর দিকে তাকিয়ে আনম্র গলায় আম্বের বললো–

“আপনি খাবেন না?

মাহাদ ঘাড় ঘুরিয়ে আম্বের এর দিকে তাকায়।নিষ্কম্প গলায় বললো—

“নাহ।একটু আগে যেই অমৃত খেয়েছি এইসব বাইরের খাবার খেয়ে তার স্বাদ নষ্ট করতে চাই না।আপনি খেয়ে নিন।”

বিনাবাক্য ব্যয়ে আম্বের খেয়ে নেয়।প্রায় রাত হয়ে এসেছে।আকাশের বিশাল চাঁদ ধীরে ধীরে তার পূর্ন আকৃতি ধারণ করতে লাগলো।আম্বের আলগোছে তার মাথাটা রাখে মাহাদের কাঁধে।হুরহুর করে বাতাস বইছে।আম্বের এর শরীর শিউরে উঠে সেই বাতাসে।মাহাদ জানালা লাগাতে গেলে আম্বের আপত্তি করে বললো—

“উহু।দম বন্ধ হয়ে আসে আমার।”

মাহাদ তার গায়ের ব্লেজার খুলে আম্বের এর শরীরে জড়িয়ে দেয়।আম্বের মাথা উঁচু করে একবার মাহাদ এর দিকে তাকায়।মাহাদ মুচকি হেসে বললো—

“ঘুমান।আপনি অনেক ক্লান্ত।”

আম্বের আরো ভালো করে মাহাদ এর হাত জড়িয়ে ধরে।মাহাদ এর শরীরের উষ্ণতায় বেশ ভালো লাগছে তার।মাহাদ সম্মুখপানে চেয়ে আছে।আনমনেই হাসে সে।সে ভালো করেই জানতো আম্বের তাকে এতো সহজে মেনে নিয়েছে তার মানে কিছু একটা চলছে তার মনে।রহিম আম্বের কে কলেজে দিয়ে আসলেও মাহাদ আরো দুজন লোক লাগিয়ে রেখেছে আম্বের এর পেছনে।এছাড়াও পুরো বাড়িতে হিডেন ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে।

মাহাদ কাউকে খুঁজছে যার হাতে সে তার সুগন্ধিকে তুলে দিতে পারবে।তার অন্ধকার অতীত যে ভয়াবহ।সে চাইলেও তার প্রজাপতি কে নিজের করে নিতে পারছে না।কিন্তু সে নিবে।একবার সেই মানুষটাকে সে পেয়ে যাক যে তাকে এই অতীত থেকে রক্ষা করতে পারবে।আর সে তার প্রজাপতিকে নিজের করে নিবে।হয়তো আম্বের এর বাবা বেঁচে থাকলে কাজটা আরো সহজ হতো।কিন্তু এখন তা অনেক জটিল আর সময়ের ব্যপার।আর তাকে তার প্রজাপতি ওই হায়েনাদের চোখ থেকেও রক্ষা করতে হবে।
তার স্বপ্নের ব্যাখ্যাও তো তাকে খুঁজতে হবে।
মাহাদ এর বুক চিরে বেরিয়ে আসে এক দীর্ঘশ্বাস।
,
,
,
বিছানার উপর মাথা নিচু করে বসে আছে আম্বের।আর কাউচে বসে আম্বের এর দিকে ভয়ংকর তীক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে মাহাদ।
মাহাদ স্মিত গলায় বললো—

“এমন করার কী খুব বেশি দরকার ছিলো!
আপনার আমাকে খুনি মনে হয়!

আম্বের কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না।চুপচাপ শুনলো।কিছুক্ষন পর অনুরক্তির গলায় বললো—

“বিয়ে করবেন আমাকে?

মাহাদ সোজা উত্তর দিলো—

“নাহ।”

“কেন?

“আপনাকে বিয়ে করলে আমার লাভ?

“আমি আপনাকে ভালোবাসি মাহাদ।”

মাহাদ তাচ্ছিল্যের সাথে বললো—

“ভালোবাসেন!
ভালোবাসলে বিশ্বাস করতে হয় মিস সুগন্ধি।আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন নি।”

আম্বের পাল্টা প্রশ্ন করে–

“আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন?
যদি করতেন তাহলে আমার পিছু পিছু এতোদূর যেতেন না।”

মাহাদ বিদ্রুপপূর্ণ হাসে।ম্লান গলায় বললো—

“আমি আপনাকে করেছিলাম বলেই সবটা জেনেও আপনাকে আমি যেতে দিয়েছি আপনি ফিরে আসবেন সেই আশায়।কিন্তু আপনি কী করেছেন!

আম্বের নিঃশব্দে দম ফেললো।অনুযোগের গলায় বললো—

“আই এম সরি মাহাদ।আমি আপনাকে ভালোবাসি।বিয়ে করেন আমাকে।”

মাহাদ বিক্ষিপ্ত গলায় বললো—

“নাহ।”

আম্বের উঠে দাঁড়ায়।শক্ত গলায় বললো—

“তাহলে এইসব কেন করছেন আমার সাথে!

মাহাদ গম্ভীর গলায় বললো—

“এতোদিন কেন বলেন নি বিয়ের কথা!আমাকে ফাঁসাবেন বলে!এতোটা ঘৃণা চেপে কী করে সহ্য করলেন আমার ছোঁয়া আপনার শরীরে?

আম্বের অসহায় গলায় বলে উঠলো—

“মাহাদ।”

মাহাদ ধপ করে উঠে দাঁড়ায়।বিরক্তিকর গলায় বললো–

“ধ্যাত!একদম আমাকে নাম ধরে ডাকবেন না।আমাকে ছেড়ে যাওয়ার আগে মনে ছিলো না এইসব!

মাহাদ গাঢ় গলায় পুনরায় বললো–

“বিয়ে করবো না আমি আপনাকে।আর কোথাও যেতেও দিবো না।আজকের পর যদি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ফিরিয়েও আনবোনা।জাস্ট ওইখানেই জিন্দা দাফন করে আসবো।আমাকে এখনো আপনি ভালো করে চেনেন নি।ভালোবাসতে যেমন জানি ভালো করে মারতেও তেমন জানি।”

আম্বের ছলছল চোখে তাকিয়ে করুন গলায় বললো—

“এই সমাজ আমাকে মেনে নিবে না মাহাদ।সবাই আমাকে রক্ষি….।”

আম্বের এর কথা শেষ হওয়ার আগেই মাহাদ তাকে চেপে ধরে নিজের সাথে।কঠিন গলায় বললো—

“একদম এই সমাজের কথা বলবেন না আমার কাছে।এই সমাজ আমাকে কিছু দেয়নি।কেড়ে নিয়েছে শুধু।ভাত গলায় আটকে যখন মরতে বসবেন এই সমাজ তখন এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিবে না।কিন্তু মরার পর ঠিকই চল্লিশা খেতে এসে পড়বে।আমি এই সমাজ মানি না।”

আম্বের কাতর গলায় বললো—

“তাহলে কোন পরিচয়ে থাকবো আমি আপনার কাছে?

“আমার ভালোবাসার পরিচয়ে।জানেন এই সাম্রাজ্য আমি একদিনে গড়ে তুলিনি।বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছি।কিন্তু এতো কিছু করেও আমি একটা রাত শান্তি তে ঘুমাতে পারিনি।কেন জানেন?
আপনার জন্য।গত পাঁচ বছর ধরে রোজ আপনি আমার স্বপ্নে আসেন।কেন বলেন তো?
আছে উত্তর আপনার কাছে?

আম্বের ভীত চোখে তাকিয়ে বললো—

“এইসব কী বলছেন আপনি?

“সত্যি বলছি।পাঁচ বছর আগে আপনি কতটুকু ছিলেন!তেরো কী চৌদ্দ বছরের।আপনার সাথে তো আমার কোনো কানেকশন নেই।তবুও কেন আসতেন?
আপনার বাবার কাছে আমি সেই উত্তরই জানতে চেয়েছিলাম।কিন্তু তার আগেই তিনি চলে গেছেন।আপনার কেন মনে হয় আপনার জন্য আমি আপনার বাবাকে খুন করেছি!যেখানে আপনার জন্মই আমার জন্য।ইটস ডেসটিনি।এই যে আপনি আমার কাছে এসেছেন।”

আম্বের এখনো নির্নিমেষ তাকিয়ে আছে।মাহাদ আবার বললো—

“আপনার সব প্রশ্নের জবাব আপনাকে আমি দিবো।তার আগে আমাকে আমার উত্তর খুঁজে নিতে দিন।আমি আপনাকে বিয়ে করবো কিন্তু তার আগে ওই মানুষটাকে আমি খুঁজে বের করে নেই যে আমাকে এইসবের উত্তর দিবে।তার আগ পর্যন্ত আপনাকে আমার সাথেই থাকতে হবে।এইভাবেই থাকতে হবে।আপনাকে আমার চাই।প্রতিটা দিন,প্রতিটা রাত,প্রতিটা মিনিট,প্রতিটা সেকেন্ডে।আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসে আপনাকে আমার চাই।”

আম্বের তাকিয়েই রইলো।কিছু বললো না সে।চুপচাপ মাহাদের কথা শুনছে।
মাহাদ ব্যস্ত হয়ে আম্বের এর চোখে ঠোঁটে গলায় অজস্র চুমু খেলো।
রসালো গলায় বললো—

“আপনাকে চুমু খেতে আমার এতো ভালো লাগে কেন?আর কাউকে চুমু খেতে এতো ভালো লাগে না।”

আম্বের মাথা নিচু করে মাহাদ এর বুকে মুখ গুঁজে দেয়।মাহাদ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আম্বের কে।দৃঢ় গলায় বললো—

“বিশ্বাস করেন আমাকে।আপনাকে আমি নিজের করে নিবো।একটু সময় দিন আমাকে প্রজাপতি।ততদিন পর্যন্ত আমাকে ছেড়ে যাবেন না প্লিজ।”

আম্বের অস্ফুটভাবে বললো—

“হুম।”

চলবে,,,

(বিঃদ্রঃ
আম্বের আর মাহাদ কে কী ভালো লাগে না?
ওদের কেও একটু সুযোগ দিন ❤❤❤)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here