বিধবা বিবাহ’ পর্ব-৭

0
1330

#বিধবা_বিবাহ (সপ্তম পর্ব)
ঐশীর ঘর থেকে কৃশানু যখন ফিরে এলো,তখন চঞ্চল কাঁটাদুটো জানাচ্ছে সময়টা রাত্রি প্রায় বারোটা পেরিয়ে গিয়েছে। ব্যস্ত শহরে এই সময়টা গভীর রাত্রি না হলেও সাধারণ চাকুরীজীবির পক্ষে এই সময়টা জেগে থাকার কথা নয়। কিন্তু বোনের ঘর থেকে ফিরে এসে কৃশানুর চোখের ঘুম উড়ে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ ছাদের এককোণে দাঁড়িয়ে একের পর এক সিগারেট ধ্বংস করে চলেছে সে।
“কি হলো? এখনো ঘুমোতে এলে না যে!” পিছন থেকে অতিচেনা কণ্ঠস্বরে কেউ ডেকে উঠতেই কৃশানু চমকে উঠলো। প্রাবল্য এতটাই বেশি ছিলো যে, আধপোড়া সিগারেটটা হাত ফসকে গিয়ে পড়লো সিমেন্টের মেঝেতে।
“ঘুম আসছেনা।” লাবনীর প্রশ্নের উত্তরে বলে উঠলো কৃশানু। ওর কণ্ঠস্বরে বিরক্তিভাব স্পষ্ট।
“ঘুম আসছেনা বললেই হবে? চলো, এত রাত অব্দি জেগে থাকা ঠিক নয়।” বলে লাবনী ওর হাত রাখল স্বামীর কাঁধে।
“ঐশী সিগনেচার করেনি, বাড়িটা বিক্রি করতে দেবেনা বলছে।” বউয়ের হাতটা নিজের হাতের মধ্যে পুরে বলে উঠলো কৃশানু।
“মানে! কি সব বলছো তুমি!” লাবনী প্রায় আর্তনাদ করে উঠলো এবার,” তাহলে কি হবে!”
“বোন বলল প্রোমোটারের সাথে ডাইরেক্ট কথা বলিয়ে দিতে… আই থিঙ্ক, ও বুঝে গিয়েছে টাকার পরিমাণটা অনেকটাই কম করে বলেছি আমরা।” অসহায়ের মত বলে উঠলো কৃশানু। “ইনফ্যাক্ট ওর বিয়ে উপলক্ষ্যে দেওয়া গয়নার বাক্সগুলোও পাঠিয়ে দিয়েছে আমার হাত দিয়ে!”
স্বামীর কথা শুনে বাক্যস্ফূর্তি হচ্ছেনা লাবনীর। ঠিক যেন বিশ্বাস করতে পারছিলোনা এমনটা হতে পারে। “তবে কি এতকিছু পরিকল্পনা মাঠেই মারা গেল!”
জ্যোৎস্নার ক্ষীণ আলোকে দৃশ্যমান বউয়ের হতচকিত মুখটা দেখে কৃশানু বলে উঠল ফের,”এমনকি এটাও জেনে গেছে খুব কম সোনা দিয়ে জোড়াতালি মেরে গয়নাগুলো ওকে দিয়েছি আমরা।”
“আর তোমার মা?” আশাহতের মত বলে উঠল লাবনী,”তিনিও কি বাড়িটা বিক্রি করবেন না বলেছেন?”
“আরে মার কথা বাদ দাও তো! মাকে হাতের মুঠোয় আনা খুবই ইজি। একটু মিষ্টি কথা বলতে হবে… আর সংস্কার, এঁটোকাঁটা মেনে চলতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে! আমাদের এতকিছু পরিকল্পনা ওনার মাথাতেই ঢুকবেনা।” নিভু নিভু সিগারেটটা এক লাথি মেরে সরিয়ে দিয়ে বলে উঠলো কৃশানু। “কিন্তু বাড়িটা তো পার্টনারশিপ ডিডে আছে। বিক্রি করতে হলে তিনজনকেই সাইন করতে হবে। আর আমার এখন third-party আনার সামর্থ্য নেই।”
স্বামীর খটোমোটো কথাগুলো ঠিক বুঝে উঠতে পারল না লাবনী। “উফফ, আমি অত কিছু জানিনা। কিন্তু বাড়িটা প্রোমোটারকে দিতেই হবে!”
স্ত্রীয়ের অধৈর্য ভঙ্গিতে বেশ বিরক্ত হয়ে উঠলো কৃশানু। তবুও নিজেকে সামলে বলে উঠলো,”ঐশী সিগনেচার না করলে কিছুতেই কিছু হবে না। তবে আরেকটি উপায়ও করা যায়।”
অসীম আগ্রহ ভরে লাবনী তাকালো নিজের স্বামীর দিকে।
“তোমার বাপের বাড়িতে যে সম্পত্তিগুলো আছে সেটা বেঁচেও কিন্তু আমি আমার ব্যবসাটা শুরু করতে পারি… আর কোন উপায় দেখছি না আপাতত। ব্যাংকের ক্যাশে হাত দিতে চাইছি না আমি, বুঝলে তো!”
কৃশানু কথা শুনে ততক্ষনে প্রায় ছিটকে দূরে সরে গিয়েছে লাবনী…”শেষ পর্যন্ত তুমি আমার বাপের বাড়ির সম্পত্তি চাইছো!” কৃশানু পাঞ্জায় বন্দি নিজের হাতটা যে ততক্ষনে ছাড়িয়ে নিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। “আমি তোমাকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির কানাকড়ি দেবোনা! করতে হলে নিজের মুরোদে করো…খবরদার আমার সম্পত্তির দিকে নজর দেবেনা তুমি।”
স্ত্রীয়ের চরিত্রের এক বিষম দিক আবিষ্কার করে কৃষানু থতমত খেয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। “তোমার আর আমার মধ্যে কিসের পার্থক্য লাবনী? আমি তো আমাদের পরিবারের চারজন সদস্যের কথা ভেবেই চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাটা খুলতে চাইছিলাম।”
স্বামীর কথা শুনে লাবনীর চোয়ালটা শক্ত হয়ে গেল। পূর্ণিমার আলোয় বউয়ের অভিব্যক্তি ঠিক বুঝে উঠতে না পারলেও কৃশানু বুঝে গিয়েছে লাবনী নিজের স্বামীকে সাহায্য করতে এক্কেবারে অনিচ্ছুক। “কথা দিচ্ছি টাকা দেওয়ার একবছরের মধ্যেই সুদ সমেত ফেরত দিয়ে দেবো তোমাকে…” অসহায়ের মত স্ত্রীর ব্যক্তিত্বের সাথে ফের আরেকবার পাঞ্জা লড়ার চেষ্টা করল কৃশানু… অন্ধকার ছাদে ওর মুখটা ঠিক বোঝা না গেলেও কণ্ঠস্বরে অসহায়তা ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবে।

“তোমাকে আমি আমার বাবার সম্পত্তির একটা কানাকড়িও দেবোনা! কান খুলে শুনে রাখো।” হিসহিসিয়ে বলে উঠলো লাবনী।”আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে টিয়া, তুতুনকে নিয়ে কাল ভোরের আলো ফুটলেই বাপের বাড়ি চলে যাব আমি!” তারপর প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করে হাঁটা লাগলো সিঁড়িঘরের দিকে।
ওর গমন পথের দিকে ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে রইলো কৃশানু। “কিন্তু আমি যে তোমার কথা মতোই ঐশীকে বাড়ি বিক্রির কথা বলতে গিয়েছিলাম লাবনী। তোমার ইচ্ছা অনুসারেই ব্যবসাটা করতে চেয়েছিলাম চাকরির পাশাপাশি।” অস্ফুটে বলে উঠলো কৃষানু। বিস্তীর্ণ ছাদের অন্যপ্রান্তে চলে যাওয়ার কারণে লাবনীর কানে সেই কথাগুলো অধরাই থেকে গেলো। রাত্রির আবছা অন্ধকারে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে কেউই লক্ষ্য করলোনা একটা ছোটখাটো অবয়ব ওদের কথা শুনে সিঁড়ি বেয়ে চলে গেছে নিজের ঘরের দিকে…

—–++++——

মুঠোফোনের কর্কশ অ্যালার্মধ্বনিটা জোরালো শব্দে বেজে উঠতেই ধড়মড় করে বিছানার উপর উঠে বসল ঐশী। তারপর আধবোজা ঘুমচোখেই বিছানার উপর বসে রইলো কিছুক্ষণ। আজকের দিনটা ওর কাছে বড্ডো গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য বছর হলে ভাইফোটার পরদিন অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করত পুরোদমে… ব্যস্ততাও থাকতো আকাশচুম্বী। কিন্তু আজ, ব্যস্ততা থাকলেও কারণটা ভিন্ন।
“কিরে এত বেলা অব্ধি ঘুমালি আজ? অফিস যাবিনা?” প্রায় কদমছাঁট চুলে কাঠের চিরুনি বোলাতে বোলাতে বলে উঠলো ঐশীর পিসি। স্বামী হারানোর পর ব্রাহ্মণ বাড়ির সংস্কার মতে বিধবার সব আচার কানুন মেনে চললেও এই অভ্যাসটি ছাড়তে পারেননি তিনি। এককালে তারও কোমর ছাপানো চুল ছিলো, মেঘবরণ কেশবতী না হলেও পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির ভিটের মায়া ত্যাগ করে বাপের বাড়িতে ফিরে আসার পর এই বাড়ির নিয়মমতে সাধের চুল কেটে ফেলতে হয় তাকে। বিনা বাক্যব্যয়ে বাড়ির নির্দেশ পালন করলেও শখের নিমকাঠের চিরুনিটি কিছুতেই ফেলতে পারেননি তিনি। বৌদির নজর বাঁচিয়ে আজও বস্তুটা লুকিয়ে রেখেছেন নিজের আলমারিতে সন্তর্পনে।
“পিসি, আমি শুনেছি, তোমার নাকি দারুন চুল ছিলো!” প্রায় টাক পড়ে যাওয়া ছোটোখাটো অবয়বটার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ঐশী।
প্রত্যুত্তরে কোনো জবাব না দিয়ে কাঠের চিরুনিটা আলমারির গোপন খাঁজে ঢুকিয়ে দিলেন তিনি।

“অতনুর সাথে দেখা করতে যাবি নাকি?” চুল আঁচড়ানো শেষ করে ভাইঝিকে প্রশ্ন করে উঠলেন তিনি।
“না, মানে ইয়ে হ্যাঁ।” আমতা আমতা করে ঢোক গিলে বলে উঠলো ঐশী। সাতসকালে মিথ্যে কথাটা বলতে কিছুতেই মন চাইছিলনা ওর। কিন্তু, অরিন্দমের কুপ্রবৃত্তির কথা গুরুজনস্থানীয় একজনের সাথে ভাগ করে নিতে কিছুতেই মনটা সায় দিচ্ছিলোনা যেন। তাছাড়া অরিন্দমের কুকীর্তি জানালে যে অবিনাশের চ্যাপ্টারও এসে পড়বে, সেটা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।
“কান টানলে মাথা আসবেই।” আপনমনেই বলে ওঠে ঐশী। তারপর পিসিকে উদ্দেশ্য করে সাবলীলভাবে বলে ওঠে,”হ্যাঁ পিসি, অতনু দেখা করতে বললো। তাই একদিন সিক লিভ নিলাম আরকি।”
ভাইঝির ঘুমভাঙা মুখের দিকে তখনও চেয়ে রইলেন বাসন্তীলতাদেবী। সেই চাহনির অস্বস্তি এড়াতে ঐশী পা বাড়ালো ঘরের বাইরে।

——++++——

“আজ বিকেল পাঁচটা, মেরিল্যান্ড হোটেল, গড়িয়া থেকে নেমে বাস, অটো পেয়ে যাবি। আর ব্লু কালার ট্রান্সপারেন্ট লজারি পরে আসবি। সাথে নেভি ব্লু ভিনেক টপ, জিন্স… ঠিক যেমনটা কলেজে পরে আসতিস।” অরিন্দমের তরফ থেকে পাঠানো মেসেজটা একবার পড়েই মুঠোফোনটা দূরে সরিয়ে দিলো ঐশী। তারপর নিজের রংচটা আলমারি থেকে চেরিরেড কুর্তিটা বের করে নিলো ক্ষিপ্রগতিতে। চলতে থাকা ঘড়ির কাঁটাদুটো জানান দিচ্ছে সময়টা দুপুর দুটো। মেরিল্যান্ড হোটেল শোভাবাজার থেকে বেশ অনেকটাই দূর, উপরন্তু দুপুরের খাবারও খাওয়া হয়নি। তাই তাড়াহুড়ো করাটাই স্বাভাবিক।
“তুই কিন্তু দেরি করিস না, আমার বেশি রাত করা চলবেনা। বাড়িতে ফিরতে হবে তাড়াতাড়ি, নইলে ধরা পড়ে যাবো।” বার্তাটুকু পাঠানোর পর বুক ভরে শ্বাস নিলো ঐশী। তারপর লাইট পিঙ্ক ম্যাটে লিপস্টিকটা বুলোতে লাগলো নিজের দুই ঠোঁটে। অবিনাশ মারা যাওয়ার পর, প্রায় মাসছয়েক বাদে আজ নিজেকে বড্ডো সাজাতে ইচ্ছে করছে ঐশীর। পিসির চাপে নয়, বরং নিজের ইচ্ছেতেই কাজলটা লাগলো চোখের তলায়। বড়ো বড়ো ডাগর চোখদুটো সেই ছোয়ায় আরো তীক্ষ্ম হয়ে ধরা দিতে লাগলো ঐশীর নিজের দৃষ্টিতে।

“এতটা কনফিডেন্স কবে আসলো আমার? দাদাকে বিট্রে করার পরেই, নাকি অতনুর সাথে মিট করার পর?” আপনমনেই বলে উঠলো ঐশী। তারপর সাজগোজ সম্পূর্ণ করে পা বাড়ালো ডাইনিং এ।
“বৌদি, তাড়াতাড়ি খেতে দাও, বেরোতে হবে আজ।” বাকি থাকা একটি চেয়ারে নিজের দখলনামার স্বাক্ষর বসিয়ে বলে উঠলো ঐশী।
“একি ঐশী, ওই চেয়ারে যে আমি বসতাম।” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাবনী ততক্ষনে প্রায় হা হা করে উঠেছে। ফর্সা, গোলগাল মুখটা প্রচন্ড বিস্মিত হয়ে গেছে ননদের সাজের বহর দেখে।
“কোনো অসুবিধে নেই, তুমি বরং একটু পরেই খেয়ে নাও।” বলে লাবনীর পরিবেশনের অপেক্ষা না করে মাছের পেটিটা তুলে নিয়েছে নিজের পাতে। বাটিতে থাকা মাছের ঝোলে ততক্ষনে উঁকি দিচ্ছে একটা পিস। একটা ল্যাজা…
ল্যাজাটা যে ঐশীর জন্যই বরাদ্দ ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
“মার খাওয়া হয়ে গিয়েছে বৌদি?” নিজের মাছের টুকরোটা কাঁটা বাছতে বাছতে বলে উঠলো ঐশী।
“কিন্তু ওটা যে আমার মাছ ছিলো গো, পেটির মাছ!” নিজের মাছের টুকরোটা অন্য কারোর পাতে দেখে ততক্ষনে প্রায় আর্তনাদ করে উঠলো লাবনী।”তুমি যে কাঁটাও বাছতে শুরু করে দিলে!”

“কই, মাছের গায়ে তোমার নাম লেখা নেই তো!” পিসটা এদিক সেদিক উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখতে দেখতে বলে উঠলো ঐশী। তারপর একটা চুকচুক শব্দ করে বলে উঠলো,”এবাবা, আসলে কি বলোতো দীর্ঘদিন ধরে ল্যাজা চিবুতে চিবুতে চোখে ভুলভাল দেখছি আমি। কোনটা ল্যাজা, কোনটা পেটি, ঠাহর করে উঠতে পারিনা আর। বয়স হচ্ছে তো!”
খানিক রসিকতার স্বরে বলে উঠলেও লাবনীর অহংবোধে কথাটা ভীষণ ভাবে আঘাত করলো। রাগে ওনার ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেছে ততক্ষনে।

“তুমি কেন এসব শুরু করেছো?” স্বভাবজাত হিসহিসিয়ে বলে উঠলো লাবনী।
বৌদির সেই দৃষ্টিতে বিন্দুমাত্র ভয় পেলনা ঐশী। ঘাবড়ে না গিয়ে ফের হাসিমুখে জবাব দিলো,”শুরু তো তোমরা করেছো বৌদি। কিন্তু শেষটা আমিই করবো।”

—–+++++——

“কিরে, কইরে তুই? পাঁচটা বেজে তো দশ মিনিট পেরিয়ে গেলো। আমি প্রায় পৌনে পাঁচটার আগে থেকে তোর জন্য হোটেলে অপেক্ষা করছি।”

“এতো দেরি করলে আমাকে পরের ঘণ্টার জন্য বুক করে রাখতে হবে। কিরে বল তো কিছু।”

প্রিবুকড ক্যাবটা যখন মৌলালির ক্রসিং এর কাছে এসে থামলো তখন ঘড়িতে পাঁচটা দশ বেজে গিয়েছে। নোটিফিকেশনের সুতীক্ষ্ণ ধ্বনি জানান দিচ্ছে একের পর এক মেসেজ ঢুকছে ঐশীর ফোনে। পরপর আসতে থাকা মেসেজগুলোর দিকে একবার নজর বোলালো ঐশী, তারপর কানেক্ট করলো অতনুকে।
“আমি মৌলালি ক্রসিং ছাড়িয়ে গিয়েছি, তুমি কতদূর?”
কলটা ডিসকানেক্ট করে একটা লম্বা শ্বাস নিলো ঐশী। তারপর অরিন্দমকে ছোট্ট একটা মেসেজ পাঠালো। “আর দুই মিনিট, আমি গড়িয়া থেকে বাসে উঠে গিয়েছি।”
অরিন্দম যেন ওর বার্তারই অপেক্ষা করছিল। সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই আসা মাত্র মেসেজটা পড়ে নিলো ঐশী, তারপর ফোনটা সুইচ অফ করে রেখে দিলো কাঁধের ব্যাগে।
ওর গন্তব্য এখন হোটেলে নয়, নিজের প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ি। মৌলালিতে… অরিন্দমের পৈত্রিক বাড়িতে….

© সম্প্রীতি রায়
ক্রমশ
আশা করি ভালো লাগছে সবার, সঙ্গে থাকবেন সবাই।

আগের পর্ব https://www.facebook.com/114703953643370/posts/171036334676798/?app=fbl

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here