পারমিতা” পর্ব-১০

0
1858

#পারমিতা
পর্ব – ১০
_নীলাভ্র জহির

পারমিতা যখনই রোদকে কথাটা বলতে যাবে, তখনই রোদ ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল, এখনই কিছু বলতে হবে না। আপনি সময় নিয়ে ভাবুন তারপর জানাবেন। বন্ধু হওয়ার জন্য খুব বেশী ভাবার প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না। তবুও ভাবুন।

পারমিতা আর এক মুহুর্তও দাঁড়াল না। রেস্টুরেন্টের লোকজন ওর দিকে ড্যাবডেবে চোখে তাকিয়ে আছে। লজ্জায় মরে যাচ্ছিল ও।
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে রোদে ঘামছিল পারমিতা। ওর গাল টকটকে লাল হয়ে উঠলো। পিচঢালা রাস্তা ধরে হাঁটতে গিয়ে মনে হল ওর শরীর দুলছে। সবকিছু অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে ওর জন্য। চাকরিতে জয়েন করলে নিয়মিত রোদের সঙ্গে দেখা হবে। রোদের দেয়া চাকরি, রোদেরই অফিসে অথচ যদি রোদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে তাহলে নিশ্চয় ওর সঙ্গে মুখোমুখি হলেই লজ্জা লাগবে পারমিতার। অন্য দিকে বন্ধুত্ব হলেও অনেক সমস্যা আছে। কোনো ছেলের সাথে কথা বলা কিংবা বন্ধুত্ব রাখার কথাও তো ভাবতে পারে না পারমিতা। তার জীবনে রাসিফ ছাড়া কখনো কোনো পুরুষ আসেনি। ছেলেদের সাথে কিভাবে কনভারসেশন চালিয়ে যেতে হয় সেটাও ওর ভালোমতো জানা নেই। পারমিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

আজকে অফিসে জয়েনিং। পারমিতা অফিস টাইমের আগেই জামাকাপড় পরে রেডি হলো। গায়ে মাখলো নতুন পারফিউম। এটা সামান্তার দেয়া গিফট। রোদের ব্যাপারে আপাতত কিছুই ভাবছে না ও। নিজের কাজটাকেই মন দিয়ে করতে হবে, সেটাই ওর একমাত্র টার্গেট। ছেলেকে চুমো দিয়ে আদর করে দিলো পারমিতা, তারপর বেরিয়ে পড়ল অফিসের উদ্দেশ্যে।
নতুন অফিসে কলিগ রাও অপরিচিত। দু একজনের সাথে প্রয়োজনীয় আলাপ সেরে পারমিতা ডেস্কে বসলো। আজকে ওর মন ভীষণ ফুরফুরে। তবে খুব নার্ভাস ফিল হচ্ছে। নার্ভাসনেস কাটিয়ে উঠতেই পারছিল না, এমন সময় রোদের সঙ্গে চোখাচোখি হলো। রোদ স্বয়ং শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে ওকে। হাতে ফুলের তোড়া। কলিগ রা ওর দিকে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছে। লজ্জায় মরিয়া হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল পারমিতা।
রোদ ওকে ফুলের তোড়া এগিয়ে দিয়ে বলল, কংগ্রাচুলেশনস। ওয়েলকাম ইন আওয়ার ফ্যামিলি।
পারমিতার চিবুক রাঙা হয়ে উঠলো। মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করলো পারমিতা। বলল- থ্যাংক ইউ স্যার।
‘স্যার’ শব্দটা অপ্রস্তুত করলো রোদকে। আশেপাশের সবার দিকে তাকিয়ে রোদ বলল, আমাদের নতুন মেম্বারকে সবাই উইশ করুন। সবাই পরিচিত হয়ে নিন। আশাকরি একসাথে আমরা দীর্ঘ পথ যাত্রা করবো। থ্যাংকস টু অল।

রোদ ধীরপায়ে তার চেম্বারের দিকে গেলো। কলিগ’রা একে একে পরিচিত হওয়ার জন্য এগিয়ে এলো পারমিতার কাছে। সবার সঙ্গে আলাপ শেষ করে পারমিতা নিজের কাজে মন দিলো। অফিসে প্রথম সাত দিন ওকে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্বে আছেন রবিন নামের একজন। তার সঙ্গে কথোপকথন শেষ করে পারমিতা কম্পিউটারের দিকে গভীর মনোযোগী হলো।
দুপুরের আগেই এক কাপ কফি দিয়ে গেল পিয়ন। পারমিতা প্রথমে ভাবলো সে হয়তো অফিসের সবাইকেই কফি দেয়। কিন্তু আশেপাশের ডেস্কে লক্ষ করে দেখল কারও টেবিলে কফি মগ কিংবা চায়ের কাপও নেই। ওর কৌতুহল জাগল। আজকে তার অফিসে প্রথম জয়েনিং বলেই হয়তো পিয়ন কফি দিয়ে গেলো। খুশি হলো পারমিতা।

দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ক্যান্টিনে চলে গেল সে। সিথি নামের একটা মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। বেশ ভালো ও মিশুক একটা মেয়ে। দুজনে এক টেবিলে বসেই দুপুরের খাবার খেলো। পারমিতা আজকে খাবার নিয়ে আসেনি। কিছুটা সিথির ভাগ থেকে পেয়েছে আর খাবার অর্ডার দিয়ে খেয়েছে আজকে। কাল থেকে খাবার আনতে হবে।
অফিস ছুটির পর যথারীতি বাসায় চলে এলো পারমিতা। বের হওয়ার সময় ডেস্কের ওপর ফুলের তোড়াটার দিকে নজর গেল। সারাদিনে নজর যে যায়নি, এমন নয়। বেশ কয়েকবার সেদিকে চোখ গেছে, মন নানান ভাবনায়ও ঢুকে পড়েছে। সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে এনেছে ও। কিন্তু এবার আর পারলো না। ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে পারমিতা বাড়িতে ফিরলো।

সামান্তা ফুল দেখে জানতে চাইলো, কিরে,তোর অফিসে নতুন কর্মীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়?
পারমিতা রোদের প্রসঙ্গ এড়াতে সহজ উত্তর দিলো, ‘হ্যা তাই তো দেখছি। আমি অফিসে গিয়ে বসতেই বড় স্যার ফুল দিয়ে গেলেন।
– বড় স্যার?
– হুম। কলিগরা সবাই মিলে শুভেচ্ছা জানালো।
– তা বড় স্যারটা কি রোদ সাহেব নাকি?
পারমিতা সামান্তার চোখে চোখ রাখলেও কিছু বললো না। উত্তর না দিয়ে সোজা ঘরে ঢুকে গেলো। শাওয়ার থেকে বের হয়ে ফ্যানের নিচে শুয়ে মোবাইল নিয়ে বসলো পারমিতা।

এরপর দুদিন বেশ সুন্দরভাবেই কেটে গেল। অফিসে মাঝেমাঝে দু একবার রোদকে দেখতে পায় ও। কিন্তু রোদ নিজে থেকে এগিয়ে এসে কখনো কথা বলে নি। না বলে পারমিতার জন্য ভালোই হয়েছে। সে রোদের সাথে কোনোরকম বন্ধুত্বে জড়াতে চায় না। রোদ যদি নিজে থেকেই সরে যায়, সেটাই ওর জন্য সৌভাগ্য।
কিন্তু এই সৌভাগ্য বোধহয় ওর নয়। আজকে দুপুরে যথারীতি চা নিয়ে এলো পিয়ন। পারমিতা জিজ্ঞেস না করে পারলো না, আচ্ছা মইন ভাই আমি তো চা দিতে বলি নাই। আপনি চা দিয়ে গেলেন কেন?
– কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন, চা খেলে ভালো লাগবে।
– চা খেলে ভালো লাগবে এটা আপনাকে কে বলেছে? আমি তো চা দিতে বলি নি। আপনি কি সবাইকে এরকম চা দিয়ে যান?

মইন আমতা আমতা করে জবাব দিলো, না ম্যাডাম। কেউ যদি দিতে বলে তখন দেই।
– তাহলে আমিও যখন দিতে বলবো আপনি তখন দেবেন।
– আচ্ছা ম্যাডাম। চা কি নিয়ে যাবো?
– না। রেখে যান। কাল থেকে দেবেন না। আমি যখন চাইবো তখন দেবেন।

মইন চলে যেতে পা বাড়াল। হঠাৎ চমকে উঠলো পারমিতা। মনে ঢেউ খেলে গেলো ওর। ও পেছন থেকে ডাক দিলো মইনকে।
– মইন ভাই।
– জি ম্যাডাম।
মইন ওর কাছে এগিয়ে এসে দাঁড়িয়ে রইল।
– মইন ভাই, আপনি নিজে থেকে আমাকে চা দিতে এসেছেন কেন? প্রতিদিন দিয়ে যান। কেন?
– আসলে ম্যাডাম। স্যারের নির্দেশ আছে।

পারমিতার বুকে দ্রুত স্পন্দন অনুভূত হলো। ও অবাক হয়ে জানতে চাইলো, স্যারের মানে? কোন স্যারের নির্দেশ আছে?
– রোদ স্যারের নির্দেশ আছে ম্যাডাম। তিনি বলেছেন প্রতিদিন দুপুরের আগে আপনাকে এক কাপ চা দিতে।
– আচ্ছা আপনি যান।

মইন চলে গেলে স্তম্ভিত হয়ে বসে রইল পারমিতা। রোদ ওকে চা দিয়ে যেতে বলেছে! এটা তো অফিসের কেউ জানেনা। সবাই হয়তো ভাবে পারমিতা নিজেই চা অর্ডার দিয়ে খায়। কিন্তু কলিগদের কেউ জানতে পারলে ভয়ংকর ব্যাপার হবে। জয়েনিংয়ের দিন ফুলের তোড়া দেয়ার ব্যাপারটা সবাই স্বাভাবিক ভাবে নিলেও এখনো ইতস্তত লাগে পারমিতার। ও অনেক্ষণ কাজে মন দিতে পারলো না। অফিস ছুটির আগে রোদ বেরিয়ে যায়। আজকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পারমিতা ওর দিকে নজর রাখলো। রোদ একবারও ওর দিকে তাকায় কি না সেটাই দেখতে চায় ও। কিন্তু না, রোদ একটিবারও তাকালো না। পারমিতা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না রোদকে। যদি বন্ধুত্ব করার খাতিরেই এমনটা করে থাকে তবে মুখে কেন কিছু বলছে না? ওর অস্বস্তি হচ্ছে। অস্বস্তি নিয়েই বাসায় ফিরলো পারমিতা।

রোদকে ফোন করতে ইচ্ছে করছিল। ও কেন পিয়নকে চা দিতে বলেছে সেটা জানার জন্য। কিন্তু পরে যখন মনে হলো এটা আসলে কোনো কারণ নয়, একটা অজুহাত মাত্র। তাই ভেবে আর ফোন করলো না পারমিতা। রাতে সামান্তার সাথে লুডু খেলে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো।

পরবর্তী কয়েকটা দিন বেশ কেটে গেলো। পিয়ন আর চা দেয় নি। রোদও একবারের জন্যও ওর দিকে নজর দেয় নি। এর মাঝে একদিন হঠাৎ ক্যান্টিনে দেখা হয়েছিল। একটা টেবিলে বসে নিঃশব্দে খাচ্ছিল পারমিতা। ওর পাশে ছিল সিথি। রোদ একজনকে সাথে নিয়ে ক্যান্টিনে প্রবেশ করে প্রথমেই পারমিতার সঙ্গে চোখাচোখি হয়। পারমিতা খাওয়া বন্ধ করে হা করে তাকিয়ে ছিল। রোদ ওকে উপেক্ষা করে সঙ্গে আসা লোকটাকে নিয়ে একটা টেবিলে বসে চা খেয়ে উঠে গেল। যাওয়ার সময় একবার পারমিতা ও সিথি উভয়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে জানতে চাইলো, কী অবস্থা? ভালো আছেন আপনারা? হ্যালো সিথি, হ্যালো পারমিতা।
পারমিতার সঙ্গে চোখাচোখি হলো। পারমিতা বলল, জি ভালো।
বেরিয়ে গেল রোদ। এতটুকুই আলাপন। এর বাইরে কোনো কথা হয়নি। পারমিতা নিজেকে সান্ত্বনা দিলো। রোদ ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিল সত্যি, হয়তো পরে মনে হয়েছে বন্ধুত্ব করার প্রয়োজন নেই, তাই আর আগ বাড়াতে চায় না। ভালোই হয়েছে। পারমিতারও ইচ্ছে নেই বন্ধুত্ব করার।
কিন্তু এই কথাটা ওকে স্বস্তি দিচ্ছে না। উলটো অশান্তি হচ্ছে। ওর মনে হচ্ছে যদি রোদ বন্ধুত্ব করার জন্য বারবার ওকে বলতো, যদি বারবার ওর সামনে আসতো, ওর সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করতো তাহলেই ওর বেশী ভালো লাগতো। এমন কেন হচ্ছে? মানব মনের এসব জটিলতা একদমই বোঝে না পারমিতা। সে নিজেই মনে মনে চাইতো রোদ যেন সরে যায়। অথচ সরে যাওয়ার পর ওরই ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে রোদ সরে না দাঁড়ালেই ওর ভালো লাগতো।

আজ বৃহঃস্পতিবার। আগামীকাল অফিস বন্ধ। আজকে সবাই কাজ শেষ করে ছুটির অপেক্ষায় আছে। শুক্রবারের আগেরদিন শুক্রবারের চাইতেও আনন্দ হয়। পারমিতারও হচ্ছে। কালকে ছেলেকে নিয়ে বাইরে খাওয়ার কথা ভাবছে ও। সামান্তাকেও একটা ট্রিট দিতে হবে। নতুন চাকরির জন্য ওর একটা ট্রিট পাওনা হয়েছে। এসব ভেবে সব কাজ গুছিয়ে নিচ্ছিল পারমিতা।
এমন সময় পিয়ন এসে বলল, ম্যাডাম রোদ স্যারের রুমে আপনাকে ডাকছেন।
পারমিতা চমকে উঠলো। রোদের চেম্বারে! হার্টবিট লাফ দিয়ে উঠলো ওর।
ধীরপায়ে চেম্বারের দরজায় এসে নক করলো পারমিতা। রোদ ওকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলো।
পারমিতা রোদের সামনে রাখা চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে রইল। রোদ হাসিমুখে বলল, প্লিজ বসুন। আইসক্রিম খাবেন?
পারমিতা আবারও চমকালো। হেসে উত্তর দিলো, স্যার কি আমাকে আইসক্রিম খেতে ডেকেছেন?
– যদি বলি হ্যাঁ, সেটা কি বিশ্বাসযোগ্য হবে?
– একদমই নয় স্যার। তবে অবিশ্বাস করাটা অন্যায় হয়ে যাবে। আপনি যা বলবেন সেটা তো বিশ্বাস করতেই হবে স্যার।
– তাই নাকি? আমি যদি বলি, আমি আপনাকে দাওয়াত দিতে ডেকেছি সেটা কি বিশ্বাস করবেন?
– জি স্যার। যদিও বিশ্বাস করার মতো নয়, তবুও বিশ্বাস করবো।
– হুম। গুড। এখনো দাঁড়িয়ে আছেন যে? বসুন।

পারমিতা বসে পড়লো। রোদ ল্যাপটপ বন্ধ করতে এক মিনিট সময় নিলো। তারপর ওকে বলল, কেমন আছেন?
– জি স্যার ভালো। আপনি?
– ভালো আছি। খারাপ থাকলে আমি অফিসে আসতাম না। বহুদিন আমাদের কথাবার্তা হয় না। দেখাও হয়না বলতে গেলে। এতদিন কেমন ছিলেন?
– ভালো ছিলাম। নতুন চাকরি, সুন্দর পরিবেশ। সবমিলিয়ে খুব ভালো।
– হুমম ভালো লাগলো শুনে। শুনুন, কাজের কথা বলি। অফিস তো অফিসই। এখানে আসলে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলাটাও ঠিক না। আমিও তাই আপনাকে কাজের সময় বিরক্ত করতে চাই না। আগামীকাল আপনি ফ্রি আছেন তো?
– জি মানে..

পারমিতা ছেলের সঙ্গে বাইরে খেতে যাওয়ার ব্যাপারটা বলবে কিনা ভাবছে। যদিও সেটার জন্য এক ঘন্টার বেশি সময় প্রয়োজন নয়। কিন্তু রোদ কি বলতে চায় সেটা শোনার আগ্রহটাই ওর বেশি হচ্ছে। তাই বলল, জি ফ্রি আছি। কেন স্যার?
– কাল আমার বার্থডে। বাসায় একটা পার্টি দিচ্ছি। আপনাকে কিন্তু আসতে হবে।
– স্যার! আমি..
– আপনি আমার বন্ধু না? বন্ধুকে আসতে হবে না? যদিও আপনি এখনও আমার বন্ধু রিকোয়েস্ট ঝুলিয়ে রেখেছেন। না না, অবাক হবেন না। ফেসবুকে নয়, বাস্তবে। হা হা হা।

পারমিতা লজ্জা পেয়ে চুপ করে রইল। রোদ বলল, আমি আমার বাসার এড্রেসটা আপনাকে মেসেজ করে দিচ্ছি। পার্টি সন্ধ্যায় শুরু হবে। আপনি ছয়টা থেকে যেকোনো সময় আসতে পারেন। তবে তারাতাড়ি আসাটাই বেশি ভালো।
– কিন্তু, আমি না গেলে কি কিছু মনে করবেন স্যার?
– না। মনে করবো কেন। সমস্যা বা আপত্তি থাকতেই পারে। আপনি চাইলে কাউকে সাথে নিয়ে আসতে পারেন। বন্ধু, বয়ফ্রেন্ড বা আদারস।
– থ্যাংকস স্যার। আমি চেষ্টা করবো।
– ওকে। আপনাকে দাওয়াত করেছি এটা কাউকে বলবেন না। আমি চাইনা অফিসে আমাকে নিয়ে কানাঘুষা হোক।
– অবশ্যই স্যার। থ্যাংকস।
– আপনি তাহলে আসুন।

পারমিতা রোদের চেম্বার থেকে বেরিয়ে এসে পুলকিত অনুভব করছে। ওর ভেতরে একটা কিছু নাচছে। একটা অজানা খুশি লাগছে ওর। রোদ ওলে প্রায়োরিটি দিচ্ছে সেই খুশিতেই কি? পারমিতা নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করলো। আসলে যেকোনো ভাবেই হোক না কেন, মানুষ প্রায়োরিটি পেতে পছন্দ করে।

চলবে..

আগের পর্বঃ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1361944004187365&id=439669216414853

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here