বিন্নি ধানের খই পর্ব-২৪

0
3178

#বিন্নি_ধানের_খই
#পর্ব_২৪
#মিদহাদ_আহমদ

*গ্রুপে এড হয়ে তারপর গল্প করবেন। কপি করে (অবশ্যই কার্টেসি সহ) অন্য কোথাও পোস্ট করার আগে অনুমতি নিবেন। শেয়ার করতে পারবেন। উন্মুক্ত

একটা দশের দিকে আমার ননাসের নাম্বার থেকে আমার নাম্বারে কল এলো৷ আমি কল রিসিভ করলাম। ননাস আমাকে জিজ্ঞেস করলো,

‘আসিফ বাসায় এসেছে নুপুর?’

আমি কিছুক্ষণ মৌণতা অবলম্বন করলাম। কিছু বলার আগেই ননাস বললেন,

‘কী আর করার! তোমার ভাগ্যটাই খারাপ৷ হয়তো দেখো কোথাও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে৷ আল্লাহ তোমার ভালো করুক। আমার কিচ্ছু করার নাই। একমাত্র ভাইটা যে কেন এভাবে বিগড়ে গেলো আমি জানি না।’

আমি ননাসের কথায় কান্নায় ভেঙ্গে গেলাম। নিজেকে সামলাতে পারলাম না৷ কল কেটে দিলাম। মাটিতে নামাজ পড়ার জন্য যে ওড়না বিছিয়ে ছিলাম, সেই ওড়নায় লুটুপুটি খেয়ে কান্না করতে লাগলাম৷ আকাশ ফেটে হতে লাগলো মেঘের গর্জন। কারেন্ট নিয়ে নিলো। অন্ধকার ঘর আমার জীবনেও যেনো অন্ধকার নিয়ে এলো।

এদিকে তানিয়া কল রাখতেই তানিয়ার স্বামী বদরুল তানিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,

‘কী বলেছে সে? আসিফ মাতাল হয়ে ঘরে ফিরেছে?’

‘আরে তুমিও না৷ মাতাল হয়ে কেউ ঘরে ফিরে বলো? আচ্ছা অনেক রাত হয়েছে। কিছু খেয়ে নেই৷ কাল আবার ঈদ। ঈদের রান্নাবান্না সব করা শেষ।’

তানিয়া রান্নাঘরে গেলো৷ মাকে কল করলো৷ তানিয়ার মা কল রিসিভ করলেন। তানিয়া তার মাকে নাকি গলায় বললো,

‘এসব ঠিক করলা না মা। জানি না ভাইটা আমার কোথায় আছে, কেমন আছে। হয়তো দেখো কোন জায়গায় মদ খেয়ে মাতাল হয়ে পড়ে আছে। অন্য সময় হলে ঘরে পড়ে থাকতো। এখন হয়তো রাস্তায়৷ এভাবে ছেলেটাকে উচ্ছন্নে যেতে দিচ্ছো তোমরা!’

মেয়ের কথা শুনে আসিফের মা মনে মনে আল্লাহকে বললেন, আল্লাহ যেনো এমন কোনকিছু আর না করেন৷ এমন দিন যেনো আর না আসে তার ছেলের জীবনে৷ আল্লাহ যেনো নিজের ইচ্ছাতে তার ছেলের জীবন সুখময় করে তুলেন। তানিয়াকে জিজ্ঞেস করলেন,

‘ঈদের সবকিছু করা শেষ?’

‘হ্যাঁ মা। তুমি কী করেছো?’

‘সেমাই, হালিম, চটপটি আর বুন্দিয়া। তুই?’.

‘আমি সকালে সেমাই করবো৷ আর কিছু না৷ কে খাবে বলো? শ্বশুরবাড়ি যদি থাকতাম, তখন না হয় কথা ছিলো৷ অনেক জ্বালিয়েছে এরা আমাকে। জানো মা, তোমার জামাইর মতো মানুষ হয় না। কাল দুপুরে তোমার জামাইকে নিয়ে আসছি বাসায়।’

‘হ্যাঁ। আমিও বলতাম। চলে আসিস কাল দুপুরে। আর নাহয় সকালেই চলে আসিস। কেমন?’

‘আচ্ছা মা রাখছি এখন৷ ওর জন্য খাবার রেডি করতে এসেছি রান্নাঘরে।’

‘আচ্ছা।’

রাত দুইটা ছুঁই ছুঁই। বাসার কলিংবেলের শব্দ পেয়ে উঠে গেলাম আমি। অবসন্ন মনে দরজা খুললাম। আমি জানি সামনে দেখতে পাবো আসিফকে। মাতাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিশ্চয়ই! গা থেকে গন্ধ বের হচ্ছে তার হয়তো!

কিন্তু না। আমি দরজা খুলতেই আসিফ বলে উঠলো

‘এতক্ষণ লাগে দরজা খুলতে। এগুলো ধরো ধরো ‘

আসিফের হাত ভর্তি বাজার। নুপুর আসিফের হাত থেকে ব্যাগগুলো নিতে নিতে আসিফ বললো,

‘দরজা খুলা রাখো৷ নিচে একটা মিনি ফ্রিজ, খাট, চুলা আর হাড়িপাতিল আছে। এগুলো তুলছে ছেলেটা। আজ যা বাজার করেছি বুঝছো! একেবারে নাই। টুইটুম্বুর অবস্থা। ঈদের আগের রাতে এত বৃষ্টি! রাস্তাঘাট সব একেবারে কাঁদায় ভরে উঠেছে। বন্দর বাজারে তো হাঁটাই যাচ্ছে না। তুমি ব্যাগের বাজারগুলো সব রান্নাঘরে রেখে এসো।’

আসিফ নিচে নেমে গেলো। তার ভেজা চুলগুলো জড়ো হয়ে আছে যেনো। একটা লোক ফার্ণিচারগুলো উঠিয়ে ফিক্সড করে দিয়ে গেলো। আসিফ বাথরুমে ঢুকলো। গোছল করে বের হয়ে এলো৷ আমি রান্নাঘরে ছিলাম। অবাক মনে বাজারগুলো দেখছিলাম। ব্যাগ থেকে একে একে সেমাই, দুধ, চাল, ডাল, তেল, মোরগ আর কচু শাক বের করালম। আসিফ এসেই পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তার গোছল করা শরীর আমার শরীরে লাগতেই আমি ঠান্ডায় কেঁপে উঠলাম। পেছন ফিরে দেখলাম একটা টু কোয়ার্টার প্যান্ট পরে সে দাঁড়িয়ে আছে। আমি একটা টিশার্ট এনে দিয়ে বললাম,

‘এইটা গায়ে জড়িয়ে নাও।’

আসিফ টিশার্ট পরতে পরতে বললো,

‘কী হয়েছে? চোখ ফোলা ফোলা কেন? ‘

আমি জবাব দিলাম না৷ আসিফ আমার চুয়াল ধরে আমার মুখটা উঁচিয়ে ধরলো। আমাকে বললো,

‘কী হয়েছে? অভিমান?’

তারপর সে তার সুরেলা গলায় গেয়ে উঠলো,

‘আমারে আসিবার কথা কইয়া
মান করে রাই গিয়াছে ফিরিয়া
আমি আর কতকাল থাকবো রাধে গো?
মান করে রাই, গিয়াছে ফিরিয়া’

আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না৷ জড়িয়ে ধরলাম আসিফকে। আমার অজান্তেই দুই চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে শুরু করলো। আসিফকে বলতে লাগলাম,

‘আমার সাথে মজা কর‍তে খুব ভালো লাগে? জানো আমি কেমন ছিলাম এই কয়েক ঘন্টা? জানো আমি কী না কী ভাবছিলাম? তুমি যদি আবারও এমন করো। আবারও ওমন হয়ে যাও? যদি আবারও এসব…’

আসিফ আমার মুখে হাত দিয়ে আটকে দিলো। তারপর আমার হাত তার মুখ বরাবর উঠিয়ে চুমু খেয়ে বললো,

‘ভয় পেয়েছো খুব?’

আমি বাচ্চা মেয়েদের মতো আবারও তাকে জড়িয়ে ধরলাম। আসিফ আমার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বললো,

‘আই এম সরি। আমি তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছি নুপুর। আই লাভ ইউ৷ জানি না তুমি আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছো। আমি বুঝতে শিখেছি পরিবার কী জিনিস, সংসার কী জিনিস। জানো, দুলাভাইর দেয়া টাকাটা নিয়ে আমি ঠিকই মদ খেতে চলে গিয়েছিলাম। বসেও ছিলাম। পরক্ষণেই নিজেকে সংযত করলাম। নিজেকে বুঝালাম, আমার সংসার আছে, আমার ঘরে এক সুন্দরি বউ আছে, আমার নুপুর আছে। আমাকে এসবে মানায় না। আই লাভ ইউ নুপুর। আজ লাভ ইউ ‘

আমি অনুভব করতে লাগলাম আসিফের ভেতরে থাকা ভালো মানুষের নিশ্বাস। একজন মানুষ কতটুকু ভালোবাসতে পারলে এভাবে নিজের এক জন্মের খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে। আসিফ আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,

‘এক মিনিট। আমি আসছি।’

তারপর আসিফ রুমে গিয়ে একটা প্যাকেট নিয়ে এলো রান্নাঘরে৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম,

‘কী এতে?’

‘আরে দেখাচ্ছি।’

আসিফ প্যাকেট খুললো। দেখলাম একটা সাদা গাজরা আর এক পাতা কালো টিপ, আর দুই ডজন সিলভার কালারের চুড়ি। আসিফ এগুলো আমার হাতে দিয়ে বললো,

‘ আগামীকাল আপুর দেয়া ঈদের শাড়িটার সাথে এগুলো পরলে তোমাকে দারুণ মানাবে।’

আমি হেসে কুটিকুটি হয়ে গেলাম৷ লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। এ যেনো এক নতুন কুড়িতে প্রবেশ করার উদ্যম। শিহরণে বেঁচে থাকা নতুন প্রেম। আলোর ছটাকে মিশে থাকা ভালোবাসার রঙ৷ মানুষের মনের ভেতরে প্রবাহমান সিন্দু নদ।

আসিফ বললো,

‘আরেকটা কথা বলার আছে।’

‘কী?’

আসিফ রুমে গিয়ে একটা একশো এম এল এর হুইস্কির বোতল নিয়ে এসে দেখিয়ে বললো,

‘এইটা নিয়ে এসেছি। আপনাকে দেখাচ্ছি৷ জানি আপনি না করবেন। তার পরও আমি ছাড়তে পারলাম না। অনেক আটকিয়ে রাখলাম। তবুও নিয়ে এলাম। যদি আপনি কিছু মনে না করেন, তাহলে এইটা শুধুমাত্র আজ আর কালের জন্য? ঠিক আছে?’

আমি হ্যাঁ বা না কিছুই বললাম না। শুধু ভেতরে ভেতরে ভেবে নিলাম, একজন মানুষ যে কিনা প্রতিদিন প্রায় এক লিটারের উপর মদ গিলতো, সে যদি আজ দুইদিনে ৫০ এম এল মদ খেতে চায়, তাহলে তাকে নিষেধ দিয়ে না, তাকে ভালোবেসে দূরে নিতে হবে। ভেতরে ভেতরে পণ করে বসলাম, আসিফ যখন দুই পা এগিয়ে এসেছে নব জীবনের দিকে, আমাকে তখন দুইশো পা এগিয়ে আসতে হবে। আমার এই জীবন এখন শুধু সংগ্রামের না, নতুন করে মানবজন্ম শুরু করার। এক নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার।

আসিফ বললো,

‘আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে? রান্না করবা না?’

আমি বললাম,

‘হ্যাঁ করছি৷ তুমি গিয়ে রেস্ট নাও।’

‘না। আজ একসাথে রান্না করবো।’

‘পারবা তুমি?’

‘কেন পারবো না? আরে রান্না একটা আর্ট। এই আর্ট আবার পারা না পারার কি আছে? তুমি কাটিকুটি করে ফেলো। আমাকে হাড়ি বসিয়ে দাও। আমি রান্না করে ফেলি।’

‘হাড়ি? হাড়ি কোথায়?’

‘অহ শিট! আমি হাড়ি আনতে ভুলে গিয়েছি৷ এখন রান্না করবো কীভাবে?’

‘কীভাবে?’

‘কীভাবে?’

‘আচ্ছা আমি দেখছি পাশের ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে আসা যায় কিনা।’

‘মাত্র আজ এলাম আর এক্ষুণি! আমিও না সবকিছু আনলাম কিন্তু রান্না করবো যেখানে সেটাই তো নিয়ে আসা হলো না।’

‘আচ্ছা বাবা সমস্যা নেই। আমি দেখছি পাশের ফ্ল্যাটে গিয়ে।’

ঈদের আগের রাত। প্রায় সবাই সজাগ। আমি আমাদের ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে পাশের ফ্ল্যাটে বেল চাপলাম। আসিফ আমার সাথে সাথে এলো। সে দরজায় দাঁড়ানো। পাশের ফ্ল্যাট ঠিক সামনাসামনি৷ কলিংবেল দেয়ার সাথে সাথেই এক মহিলা এসে দরজা খুলে দিলো। বয়স চব্বিশ পঁচিশ হবে। গায়ের রঙ শ্যামলা। চুল রঙ করা। পরনে টিশার্ট আর স্কার্ট। মুখে হাসি এনে বললো,

‘অহ আপনারা নতুন এসেছেন না আজ?’

‘হ্যাঁ। এই রাতে আপনাকে একটু ডিস্টার্ব দিতে আসলাম। একটা হাড়ি কি দেয়া যাবে? আমাদের হাড়িপাতিল কিচ্ছু নেই আপাতত’

‘হ্যাঁ অবশ্যই।’

মেয়েটা একটা হাড়ি এনে দিলো ভেতর থেকে। আসিফ দরজায় দাঁড়ানো ছিলো। সে আসিফকে দেখে বললো,

‘উনি কি আপনার স্বামী?’

‘হ্যাঁ।’

‘সো স্মার্ট! মাশাআল্লাহ! চোখ আটকে যায় যেনো!’

আমি মেয়েটার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ঢুকলাম। আসিফকে বললাম,

‘তোমাকে কে বলেছে দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে?’

‘কেন? আমাকে সুন্দর বলায় হিংসা হয় বুঝি?’

এদিকে নিজেদের ফ্ল্যাটে তানিয়া রান্নাঘরে খাবার রেডি করছে। অন্যদিকে তানিয়ার স্বামী বদরুলের মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠলো। বদরুল কল রিসিভ করলো৷ ওপাশ থেকে বদরুলের মা বদরুলকে জিজ্ঞেস করলেন,

‘কীরে? কাজ কতটুকু?’

‘উহু! এভাবে কল করলে হবে? যদি সে দেখে ফেলে? আমার কাজ আমাকে করতে দাও না। মা বাবা ছাড়া, পরিবার ছাড়া এভাবে একটা ভাড়া বাসায় একা একা ঈদ করছি তো তোমাদের জন্যই তাইনা? এভাবে একটা মেয়ে যার সাথে আমার কোন ফিউচার নেই, যার কোন সন্তান হবে না তার সাথে আমি আমার জীবন কাটিয়ে দিতে পারি বলো? আর তোমার ভাইয়ের মেয়ে তো আবার আসছেই দেশে সামনে৷ আমাদের তখন বিয়ে হবে। এখন তানিয়াকে বশ করে ওর বাবার সব সম্পত্তি যদি আমার অংশীদারদের করে নিতে পারি, তাহলে কাজের কাজ কিছু একটা হলো৷ এজন্য এই মেয়েটাকে এখন পজেটিভ রাখা লাগছে। নাহলে আমার কি আর এতো ইচ্ছা যে আমি তার ভাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দিবো?’

খোদেজা বেগম ওপাশ থেকে এক লাখ টাকা শুনে তব্দা খেয়ে গেলেন৷ জিজ্ঞেস করলেন,

‘এক লাখ টাকা? কেন?’

‘উফ! এইটা ইনভেস্ট। কোটি কোটি টাকার মালিক হতে হলে কয়েক লাখ টাকা তো খোয়াতেই হয় তাইনা? ওর ভাই তো জানোই বউয়ের হাত ধরে বাড়ি ছাড়া এখন। শাশুড়িও নানা কথা শুনিয়ে তাকে বের করে দিয়েছে৷ এখন সে ছন্নছাড়া হওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ৷ হাতে এক লাখ টাকা মানে সে আবার নেশা করতে যাবে। নেশা করবে৷ বুদ হয়ে রইবে নিজের দুনিয়ায়৷ আর অন্যদিকে আমি আমার সব কাজ করতে থাকবো৷ কৌশলে সবকিছু হাতিয়ে নিবো৷ দেখবা তখন আমাদের আর কোন চাহিদা থাকবে না। কিছুদিন কষ্ট করো মা। আর কিছুদিন মাত্র। এদের এভাবে ছাড়লে হবে না।’

খোদেজা বেগম বললেন,

‘দেখ বাবা, যে মেয়েটা সম্পত্তির লোভে তার আপন ভাই, তার মায়ের পেটের ভাইকে খারাপ পথে ঠেলে দিতে একটুও ভাবে না, সে কাল সম্পত্তির জন্য তোকেও দূরে ছেড়ে দিতে এক মুহূর্তও ভাববে না। আমি আগে ভাগে সাবধান করে দিচ্ছিন’

‘হা হা। এইটাইতো মা। দুনিয়ার মানুষজন সব আজকাল কেমন জানি এক অদ্ভুত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সামান্যতম মানবিকতা মানুষের মাঝে নাই। আচ্ছা মা কল রাখছি এখন। পরে কথা হবে৷’

বদরুল কল রেখে পেছন ফিরে তাকালো। পেছন ফিরতেই দেখে পানির গ্লাস হাতে তানিয়া দাঁড়িয়ে। কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে উঠলো সে।

[আজকের পর্বে ৩ হাজার লাইক আশা করছি। পড়ে লাইক কমেন্ট করে যাবেন। এতে গল্প এবং গ্রুপ দুটোর রিচ বাড়ে। রিচ বাড়া মানে অনেক পাঠক পর্যন্ত গল্পটা পৌঁছা। আর লেখক হিসাবে আমার গল্প অনেকেই পড়ুক একটা আমার সহজাত চাওয়া। এই চাওয়াটুকু পূর্ণ করতে আপনারা পাশে থাকা চাই]
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here