#বিন্নি_ধানের_খই
#পর্ব_৩১
#মিদহাদ_আহমদ
বায়োলজির ব্যবহারিক পরীক্ষার দিনেও আমার বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো আসিফের দেহাবয়ব। মনের মাঝে জায়গা করে নিচ্ছিলো এক অজানা শঙ্কা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগের দিনই আসিফ আমাদের বাসায় এসে হাজির। তার টয়োটা প্রভোক্স নিয়ে এসেছে সে। সাথে আমার ছোট ছোট ভাই দুইটার জন্য কতকিছু সে এনেছে! চকোলেট গুলার গায়ের মূল্য না দেখেই আমি আন্দাজ করতে পারলাম এগুলোর দাম আট দশ হাজারের কম হবে না। দুইটা ব্যাগ ভর্তি গরুর মাংস, মোরগ, বড় মাছ, চাল-ডাল সহ পুরো বাজার সদাই কম করে হলেও বিশ হাজার টাকার হবে। আমি আসিফকে জিজ্ঞেস করলাম এত টাকা সে কোথায় পেলো। এগুলো উপার্জন করতে তো তার মাস দুইয়েক লেগে যাবে। আসিফ হেসে হেসে আমাকে বললো, এতকিছু নাকি আমার ভাবার দরকার নাই। সে এনেছে আমার মায়ের জন্য, ভাইয়ের জন্য৷ আর আমার ভাই আমার মা নাকি তারও ভাই, তারও মা। তারও অধিকার ও দায়িত্ব আছে তাদের প্রতি। আমার মা এসে হাসি মুখে আসিফকে বললেন,
‘বাবা এতকিছুর কী দরকার ছিলো বলো?’
‘মা এতকিছু কই? গরুর মাংসেট কালা ভূণা আর মোরগের পাতলা ঝোল রান্না করেন তাড়াতাড়ি। আপনার হাতের কালা ভূনার সে কী স্বাদ! আমার একদম মুখে লেগে থাকে সব সময়।’
‘আচ্ছা বাবা ঠিক আছে। আমি রান্না করতে গেলাম। তুমি আসবে জেনে তোমার পছন্দের চুটকি সেমাই রান্না করে রেখেছি দুপুরেই৷ নারিকেল দিয়ে। আর নারকেল পুলিও করেছি। দিচ্ছি এনে।’
‘আচ্ছা মা নিয়ে আসেন তাড়াতাড়ি।’
জামাই-শাশুড়ির এই কথোপকথন শুনে আমি আর আমার নিজের কথা আগ বাড়িয়ে বাড়াতে গেলাম না। মনের কথাগুলো মনের মাঝেই চেপে রাখলাম।
পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসতে আসতে দুপুর দুইটা বেজে গেলো। আসিফকে দেখলাম রুমে বসে মোবাইল টিপছে৷ পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আমি আশা করেছিলাম আসিফ আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে হয়তো। হয়তো সে আমার পছন্দের চালতার আচার হাতে নিয়ে জাম গাছের ছায়ায় দাঁড়ানো থাকবে। কিন্তু তা আর হলো না৷ অথচ ঠিকই আমার বান্দবি টগর, অবন্তী, নোহাদের প্রেমিক তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে! সবাই আমার চোখের সামনে দিয়ে নদীর দিকে চলে গেলো!
বাড়িতে আসতেই আসিফ তার মোবাইল আমার সামনে এনে দেখিয়ে বললো,
‘নুপুর দেখো দেখো, জায়গাটা কেমন?’
আমি জোর করে হাসি এনে বললাম,
‘সুন্দর।’
মনে মনে আশা করেছিলাম আসিফ জিজ্ঞেস করবে আমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে। কিন্তু এর কোনটাই যেনো ঘটলো না৷ তারপর আসিফ আবার যুক্ত করলো,
‘সেখানে যাওয়ার প্ল্যান করছি। জান জায়গাটা কোথায়?’
‘না জানালে জানবো কীভাবে?’
‘মালদ্বীপ৷ কী জোস না দেখতে? রিসেন্টলি যাবো আমরা দুজনে। কেমন?’
‘তোমার সেভিংসয়ে কি মালদ্বীপ ট্যুর দেয়ার মতো টাকা জমা আছে এখন?’
‘উহু! এসব নিয়ে ভাবতে হবে না তোমার।’
কথাটা বলতে না বলতেই মা মোবাইল এনে আমার কানে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
‘তোর শাশুড়ি কল করেছে। কথা বলে নে।’
শাশুড়ি মা আমাকে কলে বললেন, সাথে করে যেনো মাকে নিয়ে আসি। এদিকে তামান্নার বিয়ের তারিখও কাছিয়ে এসেছে। কল রেখে মাকে বললাম আমাদের সাথে চলে আসতে। মা না করে দিলেন। বললেন, বিয়ের আগে যাবেন নাকি। এখন ভাইদের স্কুল আছে। আমিও আর জোর করলাম না মাকে।
দুপুরে খেয়েদেয়ে আমরা গাড়িতে চড়ে বসলাম। মা আমার বিদায়ের বেলা ঠিকই এই ঘর ওই ঘর থেকে চাচি খালাদের ডেকে এনে গাড়ি দেখাতে লাগলেন এইটা বুঝতে আর আমার বাকি রইলো না।
বাসায় ঢুকতেই শাশুড়ি মা এগিয়ে আসলেন। আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
‘পরীক্ষা কেমন হলো?’
আমার জবাবের আগেই আমার ননাস বললো,
‘তা আর কেমন হবে বলো? টেনেটুনে পাশ করবে হয়তো। মেয়েরা সাইন্স পড়ে নাকি আবার?’
আমি আমার ননাসের মাথা থেকে পা পর্যন্ত চেয়ে দেখলাম এবার। ননাসের এমন ভূষণ আমি এর আগে দেখিনি কখনো। কাতান শাড়ি গায়ে জড়ানো, মাথায় বড় করে একটা খোপা, নাকে কানপাশার মতো বড় একটা নাকফুল, কানে মোটা মোটা দুইটা কানপাশা, উপরের কানে দুইটা মোটা, শক্ত রিং যেই রিংগুলো আমরা সাধারণত নিচের কানেই পরে থাকি। বাহুতে হাতপাশা, হাতপাশা দেখানোর জন্য ব্লাউজ যেনো হাফ হাতা থেকেও অল্প একটু উঁচুতে রেখে বানানো, হাতের আঙুল বরাবর দুই আংটি জড়ানো রতনচুর, গলায় ভারি হাসলি, হাসলির পরে সীতা, কন্ঠ বরাবর কন্ঠচিক যেনো গলা বিধে আছে। হাতভর্তি পাতলা পাতলা চুড়ির দুইপাশে দুইটা দুইটা করে গোলাপ বালা! আমার উপর থেকে নিচে আর নিচ থেকে উপরে চোখ উঠানামা করতে লাগলো। আমার ননাসের বয়সও যেনো এক ধাপে বেড়ে গিয়েছে বছর পনেরো, এমন মনে হতে লাগলো।
ননাস আমার দিকে চোখ ইশারায় বললো,
‘কী? ভূত দেখলা নাকি?’
ননাস আমার হাতে ধরে আমাকে ভেতরে নিয়ে এসে বললেন,
‘এখন বাপু জোর হাতে এই ঘরের কাজ করতে বসো। এখন এসব পড়াশোনার ঝাক্কি ঝামেলা শেষ। ঘরের বউ, ঘরের বউয়ের মতো চলো এবার। বুঝলে? আর আমাকে দেখে এমন ঘাবড়ে গেলে কেন?’
‘না আয়ায়া মানে আপনি কি আজ কোথাও…’
আমার শেষ হওয়ার আগেই আমার ননদ তামান্না ফোন টিপতে টিপতে এসে বললো,
‘ওসব তুমি জানো না ভাবি। আমাদের দাদির আমলের গহনা যা যা ছিলো সব ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে। সমান সমান তিন ভাগ। আপুর ভাগে এসব এসেছে। তোমারও সেইম। বিশ ভরির মতো হবে। তোমার গুলা মায়ের কাছে আছে। আর আপু আজ দশদিন ধরে তার এসব পরে আছে। এই হলো কাহিনী।’
ননদের দিকে তাকিয়ে দেখি আরেক কাহিনী! তার গলায় একটা না, দুইটা না, চার চারটা ভারি চেইন। হাত ভর্তি চুড়ি। এ যেনো সব আঁকড়ে ধরেছে নিজেদের কাছে কেউ নিয়ে যাবে এমন!
ননাস বললো,
‘এখন ঘর সামাল দাও। বুঝলে?’
আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালাম। রুমে গেলাম। কাপড়চোপড় সব এক পাশে রাখলাম। আসিফ আমাকে দিয়েই বাইরে চলে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর শাশুড়ি এসে বললেন,
‘তোমাকে জানানো হয়নাই, তামান্নার জন্য দুই সেট ফার্ণিচার অর্ডার দেয়া হয়েছে।’
‘দুই সেট? তারা তো কোনকিছু চায়নি মা। তাহলে এসব কেন?’
‘তারা চায়নি তো কী হয়েছে? এসব কি আজকাল কেউ চায় বলো? আমি আর তোমার শ্বশুর মিলে ঠিক করেছিলাম কাঁঠাল কাঠের এক সেট ফার্ণিচার দিবো। দেখো এক সেটে একটা গাছ ডিজাইনের খাট, একটা পূবালি, একটা আলমারি, একটা ওয়ারড্রব, খাটের পাশেত দুইটা সাইড বক্স, একটা আলনা, একটা শাড়ি বক্স, একসেট সোফা, সোফার সাথের তিনটা টেবিল, একটা চার দরজার ওয়াল কেভিনেট, একটা তিন দরজার কিচেন কেভিনেট, একটা গ্লাসের দশ চেয়ারের টেবিল চেয়ারের সেট, নামাজের ছোট খাট, দুই দরজার বড় ওয়ালটনের ফ্রিজ আর একটা দুই টনের এসি দিবো একটা। ফার্ণিচার সেটের ই দাম এসেছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা।’
শাশুড়ির কথা আর এত ফার্ণিচারের ফিরিস্তি শুনে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম। নিজেকে সামলে বললাম,
‘এতকিছুর পরও দুই সেট কেন আবার?’
‘আরে সবকিছু নিয়ে যেতে হবে না? একবারে সব না নিয়ে গেলে হয়?’
আমার কথার পিঠে কথা বলে, গায়ে ভারি ভারি গহনা পরা আমার ননাস রুমে এসে ঢুকলেন। তারপর একটা পান মুখে ঢুকাতে ঢুকাতে কোন এক প্রাসাদের গিন্নির মতো বলে বসলেন শাশুড়িকে,
‘সব দিয়ে দিবা নাকি খালি করে?’
‘সব কী দিচ্ছে? কী দিচ্ছে সব? তুমি কি কম নিয়েছো? তোমাকে কি কম দিয়েছে? বিয়েতে পাঁচ হাজার লোক খাইয়েছে, তোমার জামাইকে নগদ দশ লাখ টাকা দিয়েছে, এসব কি ভুলে গেছো? নাকি আমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে?’
‘আরে আরে আরে! এসব তো আমি বলেকয়ে নেইনি। তারা চাইছে তাই দেয়া হয়েছে। তোর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা কি চেয়েছে এসব? তাদের তো শুনলাম একটা লক্ষ্মীমন্ত বউ দরকার। তাদের এসব দরকার নাই। তাহলে কেন তুই এসব নিচ্ছিস?’
‘অহ তাদের দরকার নাই বলে আমি ছেড়ে দিবো নিজের অধিকার?’
‘অধিকারের প্রশ্ন এখানে কেন আসছে? কে কাকে বলেছে অধিকার নিয়ে কথা বলতে? অহ এখন নিজের অধিকার চাইতে এসেছো এখানে? বাহ বাহ’
‘আপু বেশি বাড়াবাড়ি করো না কিন্তু বলে দিলাম। ভালো হবে না। আমার যা ইচ্ছা আমি তাই নিবো।’
‘যা ইচ্ছা তাই নিবি মানে?’
এবার আমার ননদ তার মায়ের দিকে ফিরে বললো,
‘আমার চয়েজ করা হাতিলে ফার্ণিচার সেট তিন লাখ একুশ হাজার টাকা দাম। ওইটা তো দিতে হবেই হবে সাথে কাঁঠাল কাঠের ফার্ণিচার সেট যেইটা দেখে এসেছো তোমরা, ওইটারও কোন কম যেনো না হয়৷ তুমি আপুকে বিয়ের সময়ে তোমার বিয়ের হাসলি হার দিয়েছিলা, আমাকে তোমার সীতাহার দিতে হবে এবার।’
এবার ননাস আমার ননদকে নিজের দিকে ফিরিয়ে বললো,
‘হাসলির দ্বিগুণ স্বর্ণ সীতাহারে। তোকে এখন সীতাহার দিলে মায়ের হাতের চূড় দুইটা আমাকে দিতে হবে।’
‘ব্যস! তোদের হলে এবার দুজন দুজনের রুমে যা। আমার যা আছে সব দিয়ে দিবো। সব নিয়ে যাস দুজনে।’
‘দেখি কে কতটুকু নিয়ে যায় একা একা।’
বলে আমার ননাস রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।
ননদ বললো,
‘আমিও দেখি কাকে ছেড়ে কাকে দেয়া হয় এসব।’
ননস, ননাদ দুজনে তাদের রুমে চলে গেলো। শাশুড়ি বিছানায় বসে হাউমাউ ডাকিয়ে কেঁদে আমাকে বললেন,
‘আজ একটা মাস ধরে এসব চলছে নুপুর। দুজনের মধ্যে কে বেশি নিবে কে কম নিবে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা যেনো!’
আমি শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরলাম। শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু মেয়ে যৌতুক না, কিছু মেয়ে যেচে যেচেই যৌতুক নিয়ে যায় যেনো! তারা চায় সবকিছু শোষণ করে তার অবস্থাসম্পন্ন বাবা মায়ের ঘর থেকে যতো পারা যায় নিয়ে যেতে। অথচ এই যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ যে নারীর করার কথা, সেই নারীই যেনো গর্ব করে আসবাব সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে তার নতুন বাড়িতে! হায়রে সমাজ! সমাজের নারীরাই তাদের সম্মান দিতে জানে না, তখন সমাজের অন্যরা তাকে সম্মান দিবে কীভাবে?
রাত দুইটার দিকে আসিফ বাসায় এলো। আমি তার জন্য খাবার টেবিলে অপেক্ষায় ছিলাম। আমি খাইনি তাকে রেখে। আসিফ বাসায় ঢুকতেই হাতমুখ ধূয়ে তাকে খেতে আসতে বললে আসিফ বললো,
‘তুমি খেয়ে নাও। আমি খেয়ে এসেছি।’
আসিফের এই কথা শুনে আমার মন সমুদ্রে বইতে লাগলো দুঃখের বন্যা। এক বিস্তর ভূমিকম্প আমাকে কাঁপিয়ে তুললো। আমি যেনো ভালোবাসার শূন্যতায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম নতুন করে।
কিছু খাবার আর ইচ্ছা আমার রইলো না। বাসার সবাই ঘুমে। রান্নাঘরে প্লেইট, বাসন রেখে রুমে এলাম। রুমে ঢুকতেই দেখি আসিফ উপুড় হয়ে বাথরুমে কাশি দিচ্ছে। বাথরুমের দরজা খোলা। আমি ঢুকতেই দেখি পুরো বেসিন লাল হয়ে আছে আসিফের রক্তে!
[ আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো। আপনারা গুরুত্ব সহকারে পড়বেন। অনলাইনে এমন অনেক গল্প আছে যা শুধু ফেসবুকের গল্প হিসাবেই থাকে এবং এক সময় হারিয়ে যায়। আমি আমার লেখাটা হারাতে দিতে চাই না। হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না, আমার এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ৪ টা বই, ৩ টা উপন্যাস রয়েছে। এর মধ্যে আমার সর্বশেষ প্রকাশিত উপন্যাস রকমারির বেস্ট সেলার উপন্যাস এবং সিলেট বিভাগ ও বয়সে সর্বকনিষ্ঠ লেখক হিসেবে আমিই প্রথম যে রকমারিতে গিয়ে অটোগ্রাফ দিয়ে এসেছি শত শত বইয়ে। আমার চারটা বইয়ের মধ্যে তিনটা বইয়ের মুদ্রণ শেষ। আলহামদুলিল্লাহ আমার সব সময়ের নির্দিষ্ট কিছু পাঠক ছিলেন এবং আছেন। (কিছুটা আত্মপ্রচার হয়ে গেলেও আপনাদের অবগত করার জন্য বলতেই হলো) একজন প্রকাশক আপনাদের প্রিয় বিন্নি ধানের খই গল্পটা বই আকারে প্রকাশ করার অফার করেছেন আমাকে। এখন আমার জন্য জানা প্রয়োজন যে বই আকারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করলে আপনারা কি বইটা সংগ্রহ করবেন? একটা বিষয় ক্লিয়ার করছি যে পুরো গল্পটাই আমি ফেসবুকে দিবো৷ কারণ এই গল্পের জনপ্রিয়তা ফেসবুক থেকেই শুরু৷ অন্যদিকে দেখবেন, আমাদের প্রিয় জিনিস নিজের কাছে থাকুক এমনটা আমরা সবাই চাই। আমি কিন্তু এমন অনেক বই আমার নিজের সংগ্রহে রাখি যা আমার আগেও পড়া শেষ। আর পড়া হবে না জেনেও কিনে রাখি যে আমার প্রিয় বই আমার কাছে থাকবে এতেই আনন্দ ভেবে। এখন আপনারা আমাকে বিষয়টা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত অভিমত জানাবেন যে বিন্নি ধানের খই বই আকারে নিয়ে আসবো কিনা, না। বই আকারে আসলে আপনারা সংগ্রহ করবেন কিনা না৷ কমেন্টে আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আর আশা করবো আবেগের বশবর্তী না হয়ে, নিখাঁদ আপনাদের মনের অভিব্যক্তি আমাকে জানাবেন। আমি অপেক্ষায় রইলাম। আর গল্প পড়ে অবশ্যই লাইক কমেন্ট করে যাবেন। গল্পের এবং গ্রুপের রিচ বাড়াতে হলে আপনাদের লাইক কমেন্টের কোন বিকল্প নেই। ধন্যবাদ]
(চলবে)