#বিবর্ণ_জলধর
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ০৬
__________________
আকাশ ছাপিয়ে বৃষ্টি ঝরছে। রিমঝিম একটা শব্দ তুলেছে প্রকৃতি। শ্রাবণ ক্যাফের কাচের জানালা দিয়ে বাইরেটা দেখছে। কাচের উপর অজস্র পানি কণা ঝাঁপিয়ে পড়ে আবার গড়িয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি তার পছন্দ না। তার নামের সাথেও একটা বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব আছে। শ্রাবণ! মা-বাবা যে কেন ডাক নাম শ্রাবণ রাখলো সে আজও বুঝলো না। বৃষ্টির সময়ে জন্ম নিয়েছিল না কি? সেজন্যই কি নাম শ্রাবণ রাখলো? হতে পারে। বৃষ্টি পছন্দের না হলেও আজকে বৃষ্টি ভালো লাগছে শ্রাবণের। তার মনের অবস্থাও তো এই বৃষ্টির মতো জল থলথলে। খুব কষ্ট তার হৃদয়ে! অথচ এই কষ্ট দেখার মতো কেউ নেই। ক্ষুদ্রশ্বাস ফেললো শ্রাবণ। জানালা থেকে চোখ সরিয়ে এনে সামনে বসে থাকা মিহিকের দিকে তাকালো। তাকিয়েই একটু ঘাবড়ে গেল। মিহিক তার দিকে তাকিয়ে আছে। একদম ঠাঁয় তাকিয়ে আছে। সে তাকানোতেও কোনো ভাবান্তর হলো না মিহিকের। শ্রাবণ একটু নার্ভাস ফিল করলো। এ মেয়েটা এমন কেন? আগে কোনোদিন তো এমন দেখেনি।
মিহিক তাকিয়েই থাকলো। শ্রাবণের কিছু বলতেও অস্বস্তি হচ্ছে। অপরাধ বোধও হচ্ছে। মেয়েটাকে এভাবে বলাটা কি উচিত হবে? বলেই দিক। শ্রাবণ মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়ে বললো,
“আসলে আমি…আমি আপনাকে ঠিক বিয়ে করতে পারবো না মিহিক।”
মিহিক স্বাভাবিক। এমন কথা শুনে মিহিক স্বাভাবিক থাকবে এমনটা আশা করেনি শ্রাবণ। মিহিক শান্ত-স্বাভাবিক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“কেন বিয়ে করতে পারবেন না?”
মিহিকের প্রশ্নে শ্রাবণ আরও অবাক হলো। মেয়েটা এত শান্তভাবে কী করে এই প্রশ্ন করছে? যাই হোক, সে উত্তর দিলো,
“কারণটা তো আপনি জানেন। আমি…মানে আমি রুম…”
“রুমকিকে ভালোবাসেন এই তো?” শ্রাবণের মুখ থেকে ছোঁ মেরে কথা কেড়ে নিলো মিহিক।
শ্রাবণ থমকে গেল। আজকে মিহিককে দেখে সে শুধু অবাকের উপর অবাক হচ্ছে।
“ঠিক আছে, এই কথাটা আপনার মা-বাবাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। বলুন যে, আমি তোমাদের পছন্দ করা মেয়েকে নয়, আমার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবো। বলুন এটা।”
মিহিকের কথায় শ্রাবণ আহত হচ্ছে। মেয়েটার বলার ভঙ্গিমা কেমন শ্লেষপূর্ণ। শ্রাবণ সেসবে পাত্তা না দিয়ে বললো,
“আমি চাইছি এই বিয়েটা ভেঙে দিতে।”
“তাহলে দিন। কে নিষেধ করছে আপনাকে? যে ছেলে অন্যের বিয়েতে ঝামেলা করেছে, অন্য একটা মেয়েকে বিয়ের মজলিসে চিৎকার করে ‘ভালোবাসি’ বলেছে, সেই ছেলেকে আমার পক্ষেও বিয়ে করা সম্ভব নয়। আশা করছি এই বিয়েটা খুব দ্রুত ভাঙবেন আপনি।”
মিহিক উঠে দাঁড়ালো।
“আপনি চলে যাচ্ছেন? কোনো সাহায্য করবেন না এ বিয়ে ভাঙতে?”
মিহিক বিদ্রূপ চোখে তাকালো।
“সাহায্য? বিয়ে ভাঙতে আমার সাহায্য চাইছেন আপনি? কী করে ভাবলেন যে আমি আপনাকে সাহায্য করবো? বিয়ে করতে পারবে না এটা কে বলেছে আগে? আপনি। বিয়েটাও আপনিই ভাঙবেন। একা একা। আমার সাহায্য আশা করলে ভুল করবেন। আসছি।”
মিহিক দাঁড়ায় না আর। পাশের চেয়ার থেকে ব্যাগটা উঠিয়ে সোজা হেঁটে গেল। শ্রাবণ সেদিকে অপলক তাকিয়ে থেকে বললো,
“এই মেয়েটা এমন কেন? মা এই মেয়েকে লক্ষ্মী বলে? এর থেকে তো আমার রুমকি হাজার গুণ ভালো।”
তবে শ্রাবণের চিন্তা হচ্ছে। চাইছিল মিহিককে খুব ভালো করে সব বুঝিয়ে বলবে। কিন্তু বলতে তো পারলো না কিছু। আর মিহিকও দাঁড়ালো না। এখন এই মেয়ে যদি কোনো ঝামেলা করে তাহলে কী হবে?
________________
কবির সাহেবের মাথা প্রচণ্ড গরম। সন্ধ্যার পর ইদ্রিস খান নিজ বাড়িতে হালকা নাস্তা এবং খোশ গল্পের জন্য ডেকেছিল তাকে এবং তার স্ত্রীকে। সেখানে গিয়ে এমন একটা খবর শুনলো যাতে তার মাথা গরম না হয়ে পারলো না। এত বড়ো সাহস শ্রাবণের? মিহিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে বিয়ে করবে না বলেছে? কবির সাহেব বাড়ি এসে কোথাও এক দণ্ড না দাঁড়িয়ে সোজা ছেলের রুমে এলেন। এত জোরে দরজাটি খুললেন যে রুমে থাকা শ্রাবণ আঁতকে উঠলো। মা এবং বাবার রাগে তপ্ত মুখ দেখে শ্রাবণের মন বলে উঠলো, লক্ষণ বেশি ভালো নয়!
ভয়ে শ্রাবণ চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে বললো,
“কী হয়েছে আব্বু?”
কবির সাহেব একেবারে ছেলের সামনে এসে থেমে প্রচণ্ড রাগের সাথে বললেন,
“এত বড়ো সাহস তোর? মিহিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে ওকে বিয়ে করবি না বলেছিস? বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে, এক্ষুণি বেরিয়ে যা। তোর মতো একটা কুলাঙ্গার সন্তান আমার বাড়িতে বেমানান।”
ভয়ে শ্রাবণের বুক কাঁপতে শুরু করেছে। ঘামে সারা শরীর ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে। মেয়েটা তার বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে সব? কেমন মেয়ে হলে এটা তার বাবাকে বলে দিতে পারে?
কবির সাহেবের গলা এত উচ্চ ছিল যে বাড়িতে এই মুহূর্তে উপস্থিত সবাই ছুটে এলো। বাতাসের বেগে শ্রাবণের রুমে এসে প্রবেশ করলো রুপালি এবং জুন। কারিব এবং আষাঢ় বাড়িতে নেই। সিলেট থেকে এখনও ফেরেনি তারা। এগারোটার আগে দেখা যাবে না তাদের।
“বিবেক বুদ্ধি সব হারিয়ে ফেলেছো? ওই রুমকি কি তোমার মগজ ধোলাই করেছে? কী দেখেছো তুমি ওর মাঝে? দিন দিন এত বেয়াদব হয়ে কেন উঠছো? নিজের হবুবউয়ের কাছে গিয়ে বলছো তুমি তাকে বিয়ে করবে না? কারণ, তুমি রুমকিকে ভালোবাসো? এত বেয়াদবি কোত্থেকে শিখেছো? এই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তোমাকে?”
শ্রাবণের ভয় করছে। তার বাবা রগচটা মানুষ। কিন্তু ভয় পেয়ে মুখ বুজে থাকলে হবে না। বলতে হবে। অনেক কিছু বলতে হবে তাকে। এটাই বলার মতো একটা সময়। শ্রাবণও জেদি গলায় বলে উঠলো,
“মিহিককে বিয়ে করতে পারবো না আমি। রুমকিকে বিয়ে করবো আমি। আমি রুমকিকে ভালোবাসি। রুমকি আমার সব। আমার স্ত্রী হলে ও-ই হবে।”
“শ্রাবণ…” কবির সাহেব হুংকার দিয়ে উঠলেন।
লায়াল খানম স্বামীর হাত ধরে বললেন,
“শান্ত হন আপনি। শান্ত হন একটু।”
“শান্ত কী করে হবো লায়লা? তোমার ছেলে কেমন বেয়াদবি করছে দেখতে পাচ্ছ না?”
কবির সাহেব ছেলের উদ্দেশ্যে বললেন,
“রুমকিকে বিয়ে করবি, তাই না? কর, এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে কর। রুমকি জীবনে আমার বাড়ির বউ হয়ে আসবে না।”
“মিহিক আসতে পারলে, ও কেন আসতে পারবে না? কী দোষ ওর মাঝে?”
“চুপ একদম চুপ। আর একবার ওর নাম মুখে আনলে, তোকে সত্যি সত্যি বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো। মিহিকের সাথে আর চার দিন পর তোমার বিয়ে হবে। এটাই শেষ কথা। এর উপর কথা বলার চেষ্টা করলে তেজ্যপুত্র করবো তোমায়। তাহলেই তোমার মাথার গন্ডগোল ভালো হয়ে যাবে।”
কবির সাহেব এতটাই রাগান্বিত যে আর এখানে থাকতে পারলেন না, বেরিয়ে গেলেন।
শ্রাবণ রিক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। অসহায় লাগছে তার। খুব অসহায় লাগছে। মায়ের দিকে তাকিয়ে আকুল কণ্ঠে বললো,
“মিহিককে করবো না আমি বিয়ে, করবো না আম্মু।”
লায়লার কষ্ট লাগছে। ছেলের এমন অবস্থা সহ্য করতে পারছে না সে। কিন্তু তাই বলে তো রুমকির সাথে বিয়ে দেওয়া যায় না শ্রাবণের। শ্রাবণের মাথায় হঠাৎ এত রুমকির ভূত চেপে বসলো কেন? লায়লা খানম অতি নরম কণ্ঠে বললেন,
“এমন করো না বাবা। মিহিককে বিয়ে করো। সুখী হবে তুমি। রুমকি তোমার সাথে মানানসই নয়। রুমকি ভালো নয়। রুমকি ভালো হলে আমরাই রুমকির সাথে তোমার বিয়ে দিতাম, অমত করতাম না। কিন্তু ও তো ভালো নয়, এটা কি তোমাকে বার বার বুঝিয়ে বলতে হবে?”
“রুমকি খারাপ নয়, ও অবশ্যই ভালো। আমি চিনি ওকে। আমি কিছুতেই মিহিককে বিয়ে করতে পারবো না। প্লিজ! আব্বুকে একটু বুঝিয়ে বলো তুমি।”
“তোমার আব্বুকে বোঝানোর সাধ্যি আমার নেই। আর আমার ইচ্ছাও নেই তাকে বোঝানোর। তোমার আব্বুকে তো তুমি চেনো। উনি যা বলেছেন উনি তা অবশ্যই করতে পারেন। মিহিককে বিয়ে না করলে উনি তোমাকে সত্যি সত্যি বাড়ি থেকে বের করে দেবে। এত বছর ধরে তোমাকে আদর যত্ন দিয়ে আগলে রেখেছি আমরা, এখন তোমার যদি মনে হয় আমাদের থেকে রুমকি তোমার বেশি প্রিয়, তাহলে তোমার বাবার কথা মতোই চলে যেতে পারো!”
“আম্মু…” অসহায় কণ্ঠে ডাকলো শ্রাবণ।
লায়লা খানমের চোখে জল চিকচিক। সে বললো,
“আমি এখনও বলছি, মিহিককে বিয়ে করো তুমি। সুখী হবে। রুমকিকে ভুলে যাও। যদি তুমি ভেবে থাকো তুমি আসলেই রুমকিকে বিয়ে করবে, তাহলে আগেই বলে দিই, এটা না তোমার বাবা মানবে, আর না আমি।”
লায়লা খানম আর দাঁড়ালেন না। অশ্রুসিক্ত চোখে বেরিয়ে গেলেন।
শ্রাবণ পড়লো মহা বিপাকে। এ কোন পরিস্থিতিতে এসে পড়লো সে? এ কেমন কঠিন সময়? মাথাটা ব্যথা করছে। পাগল পাগল লাগছে। শ্রাবণ মাথা চেপে দাঁড়িয়ে রইল। রুমকিকে ভুলতে পারবে না সে। আর না তো মা-বাবার মনে আঘাত হানতে পারবে।
জুন ভাইয়ের এমন দুর্বিষহ অবস্থা দেখে বললো,
“মিহিক আপুকেই বিয়ে করে নাও ভাইয়া। তোমাদের দুজনকে খুব ভালো মানাবে। মিহিক আপু খুব ভালো।”
“ভালো না ছাই। কতটা ভালো সেটা তো দেখলামই।” বলে শ্রাবণও বেরিয়ে গেল রুম থেকে।
দাঁড়িয়ে রইল জুন এবং রুপালি। একে অপরের সাথে দৃষ্টি বিনিময় হলো তাদের। রুপালি বললো,
“আসলে শ্রাবণের সাথে মিহিকরেও মানাইবো না আর রুমকিরেও মানাইবো না। মিহিক হলো রাগী, জেদি আর রুমকি হলো খারাপ।”
জুন শুকনো মুখে বললো,
“তাহলে কার সাথে ভাইয়াকে মানাবে বলে তোমার মনে হয় রূপ খালা?”
“নোয়ানা! নোয়ানার লগে মাইনাইবো শ্রাবণরে।”
“নোয়ানা আপু? নোয়ানা আপুর সাথে কী করে মানায় আমার ভাইয়াকে? নোয়ানা আপু তো আমার ভাইয়ের মতো এতো সুন্দর না।”
“আরে, আমি কি সুন্দরের কথা কইছি না কি? আমি তো কইছি মনের কথা। নোয়ানার মন খুব ভালো। খুব ভদ্র মেয়ে। ওর সাথেই মানাইতো শ্রাবণরে।”
জুন মানতে পারলো না। সে বললো,
“ভুল বললে রূপ খালা ভুল। ভদ্রতার দিক দিয়েই যদি বিচার করো তাহলে আমার ভাইয়ের সাথে নয়, কারিব ভাইয়ের সাথে মানাবে নোয়ানা আপুকে। কারিব ভাইও তো নোয়ানা আপুর মতো কত ভালো, কত ভদ্র! হ্যাঁ, কারিব ভাইয়ের সাথেই সবচেয়ে ভালো মানাবে নোয়ানা আপুকে। একদম পারফেক্ট ম্যাচ দুজনের।”
জুনের মুখে কারিবের কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো রুপালি,
“কারিবের কথা কও না কি? ও ভালো? ও হইলো একটা মিচকা শয়তান। ওর সাথে যে মেয়ের বিয়ে হবে সে মেয়ের দুঃখের সীমা থাকবে না। ওর সাথে নোয়ানারে মিলিয়ো না। শুধু শুধু মেয়েটার জীবনে দুঃখ নামিয়ে দিয়ো না।”
জুন রুপালির কথা কানে না তুলে বললো,
“কারিব ভাইয়ের সাথে নোয়ানা আপুর বিয়ে হলে দারুণ হতো!”
_______________
শ্রাবণ সোজা ছাদে চলে এসেছে। আবহাওয়ার একটু খারাপ অবস্থা। দমকা হাওয়া বইছে। বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব। শ্রাবণ আষাঢ়ের কাছে ফোন দিলো। এই মুহূর্তে তার আষাঢ়কে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। শ্রাবণের অস্থির ভাব। কয়েকটা রিং হওয়ার পর কল রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে আষাঢ়ের আহ্লাদী কণ্ঠ শোনা যায়,
“হোয়াট’স আপ ব্রো? ছোট ভাইটির এত কম খোঁজ খবর নাও যে এখন? হবু বউ পেয়ে ভাইকে ভুলে গেলে না কি?”
কথাটা বলে ফিচেল হাসে আষাঢ়। শ্রাবণ না দেখেও বুঝতে পারে সেটা। সে কথা না পেঁচিয়ে বললো,
“তোকে আমার খুব দরকার। এক্ষুণি বাসায় চলে আয়, দ্রুত।”
“আই অ্যাম স্যরি ব্রো! আজ রাতে আমরা বাসায় ফিরতে পারবো না। এখানে আমাদের অনেক ইম্পরট্যান্ট কাজ পড়ে আছে। ফেরা সম্ভব নয়। কী কারিব? ফেরা কি সম্ভব?”
আষাঢ় তার পাশে থাকা কারিবকে প্রশ্ন করে।
কারিব বললো,
“সম্ভব নয়।”
শ্রাবণ বললো,
“ঠিক আছে, রাতে ফেরা সম্ভব না হলে ভোরেই চলে আসবি। তোকে আমার খুব দরকার।”
আষাঢ় হেসে বললো,
“এতদিন তো জানতাম আমি শুধু মেয়েদের দরকারি। এখন আবার আমার ভাইয়েরও দরকারি হয়ে উঠলাম? ওয়াও! দারুণ!”
শ্রাবণের কথা বলতে ভালো লাগছে না, সে ‘তাড়াতাড়ি আসিস’ বলে কল কেটে দিলো। ঠিক করেছে বিয়ের এই ঝঞ্ঝাট আষাঢ়ের মাধ্যমেই কাটাবে সে।
(চলবে)