বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি
উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর)
পর্ব :৫৬
দ্বিতীয় ভিডিও ক্লিপ
পরের দিন ……
আগের দিনের মত আরহাম মিহি সেই আবছায়া ঘরটায়। আরহাম চোখ বুজে আছে।আজ আরহামের গেট আপ কথাবার্তা অন্য ধাঁচের,একদম ভিন্ন গম্ভীর। মিহি আরহামের পাশে বসে প্রশ্ন করল, “আপনার নাম? ”
আরহাম ধারাল স্বরে উত্তর দিলো “আরভিন্দ ”
মিহি ভীতু মুখ করে বাবার দিকে তাকাল। বাবা আশ্বস্ত সূচক ইশারা দিয়ে বাকি কাউন্সিলিং চালিয়ে যেত বলল। মিহি বেশ বুঝতে পারছে এটা আরহামের ভেতর দ্বিতীয় স্বত্বা । এর আগেও মিহি বাবার সাথে এমন অনেক কেস হেন্ডেল করেছে।নিজেকে শান্ত রেখে প্রশ্ন করল ,”আরভিন্দ কে? আপনি তো আরহাম! ”
আরহাম চোখ বুজেই উঠে বসল।শব্দ করে হাসল । মিহির মুখোমুখি হয়ে ধপ করে চোখ খুলল।রক্তচক্ষু হিংস্র চাহনি। ঠোঁটের কোণঘেঁষা অদ্ভুত হাসি। এ যেন আরহাম হয়েও আরহাম না। আচমকা এমন হওয়ায় মিহি ঘাবড়ে গেল।কিন্তু মুখে প্রকাশ করল না।আরহাম গম্ভীর স্বরে বলল,” আমি আরভিন্দ, আরহাম ওখানে শুয়ে আছে। ”
তুলতুলে আরামদায়ক চেয়ারটায় ইশারা করল। মিহি চোখ কুঁচকে দেখল কেউ নেই। চেয়ারটা খালি। মিহি পরবর্তী প্রশ্নে এগিয়ে গেল, “আরভিন্দ কে? পরিচয়? ”
“আরভিন্দ আরহামের ব্যাকআপ । যা আরহাম পারে না তা আরভিন্দ করে ”
“মানে? ”
“আমি আরহামের অসম্পূর্ণ কাজ পূর্ণ করি । আরহাম কে? সামান্য রাজনীতিবিদ। ও কি নিজের পরিবারকে প্রটেক্ট করবে? তাই সেই দায়ভার আমার! ”
“আপনার পরিচয় ? ”
“আমার নিদিষ্ট কোন পরিচয় নেই।আমি আরভিন্দ ‘দ্যা ডেভিল ‘।আরহাম তার বাবা মায়ের মৃত্যু পর দীর্ঘ সময় কানাডা থাকে । সেখানে থাকাকালীন তার উপর বিভিন্ন অত্যাচার হয়েছে ।কখনো সহপাঠি থেকে কখনো আবার চিটার থেকে। ক্লাসের অন্যান্য ছেলেরা তাকে বুলি করতো। আর সে অসহায় চুপ করে থাকত।তাই আমি আরহামের হয়ে তাদের শাস্তি দিতাম। এমন চলে দীর্ঘ সময়। তারপর কোন এক টিচারের সাথে ঝামেলায় আরহামকে দেশে ফিরতে হয়। সেখানে সব ঠিকঠাক ছিল। হ্ঠাৎ একদিন এক পার্টিতে আরহাম তার বাবা মায়ের খুনি দিপককে দেখল ।আরহামের হাত পা বাঁধা ছিল। পার্টিতে অনেক লোকজন । আরহাম তার অসহায়ত্বে দাঁড়িয়ে থাকল । তার ভেতরের রাগ জেদ আমাকে ডাকল।আমি আরহামের হয়ে প্রতিশোধ নিলাম। দিপককে ছাদে ডেকে তাকে মাটিতে ফেলে অনবসর ছুরিকাঘাত করতে থাকলাম । সারা শরীর কেটে ফালাফালা করে ফেলি। সেই কাটা গায়ে লবনের ছিটা দিলাম । তার রক্তে লাল রঙের উৎসব খেলাম। ঘটনা জানতে পেরে আরহামের দাদাজান ছাদে আসলো পুরো ঘটনার উপর পর্দা ফেলল। ততক্ষণে দিপক নিজের প্রাণ হারিয়েছে আমার চোখ মুখ গা রক্তেমাখা!আরহামের দাদাজান আমাকে জিজ্ঞেস করলে। উত্তর দিলাম ‘আরহামের বাবা মায়ের খুনিকে মেরে ফেলেছি “‘। তখনো আমার খুনের নেশা থামেনি! কারণ দিপক না আসল খুনি অন্যকেউ । আরহামের দাদাজানের কাছে ব্যাপারটা ভীষণ অস্বাভাবিক লাগে।মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছি ভেবে বাড়ির সামনে ছাইরঙা অন্ধকার বাড়িটায় বন্ধি রাখে । হাতে পায়ে গলায় ভারী শিকল ।এমন করে সেখানে তিনবছর কাটে।”
এতোটুকু বলে আরহাম থামল । মিহি কুঞ্চিত ভ্রু নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে,”তারপর? তারপর কি হলো? ”
আরহাম ভেতর আরভিন্দ শব্দ করে হাসল।মুখে মিষ্টি হাসি ফুটিয়ে আবারো বলতে শুরু করল ,”তারপর …. প্রেম হলো!
হুট করে আমার অন্ধকার জীবনে আলোর দিশা মিলল।আষাঢ়ের প্রথম দিন। আকাশ কালো মেঘে সেজেছে।বাহিরে ঝড়ো হাওয়া ছেড়েছে । বড় জানালার ফটক থেকে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে ।এমন সময় বাঁধ হয়ে দাঁড়াল কেউ একজন । তার গায়ের সাদা উড়নাটা এলোমেলো ভাবে হাওয়ায় উড়ছে । চোখেমুখ রাজ্যভার মন খারাপের ছায়া। কেন জানো সেই মুখপানে চেয়ে আমার অস্থির হৃদয় শান্ত হলো। তার জলে টইটুম্বুর চোখ জোড়ার নেশায় ডুবে রইলাম। এমন সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামল । বাচ্চা মেয়েটা তখনো ঠাই দাঁড়িয়ে । বয়স কতই বা হবে? নিষ্পাপ চেহারা রাজ্যের চিন্তায় ভারী! সেই মুহূর্তে আমার ইচ্ছে হয় ভেঙে দেই এই শিকল উড়ে যাই তার কাছে বুকে জড়িয়ে বলি , ‘ কি চাই তোমার ,একবার বলো? সারা দুনিয়া পদতলে এনে দিবো ‘
খানিকবাদে বৃষ্টি থামে সে বারান্দা ছেড়ে ভেতরে যায়। আমার তৃষার্ত চোখ তাকেই খুঁজে বেড়ায়। এর পর সারাদিন সেই ফটকের সামনে তার আশায় বসে থাকি। তার এক ঝলকে বুকে এক প্রশান্তি মিলে।
এরপর এক দিন হুট করে এক বল আমার জানালার ফটকে এসে পড়ল।বল নিতে সেই বাচ্চা মেয়ে এসেছে। আমার মুখ ভরা বড় বড় চুল দাড়িগোঁফ দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরবর্তীতে আমার কাছে এগিয়ে আসে। ফ্যালফ্যাল চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,’ কি হয়েছে তোমার? কে বেঁধে রেখেছে তোমাকে ? ‘
আমি উত্তর দিলাম না । পলকহীন তার নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে রইলাম। তার বোধহয় আমাকে দেখে মায়া হলো জানালার আরো কাছে এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে বলল, ‘আমি সেহের , তুমি কি আমার বন্ধু হবে? জানো এখানে কেউ আমাকে পছন্দ করেনা না লিয়ানা না মা । কেউ না। সবাই অপছন্দ করে! ‘
আমি চুপ করে তার অভিযোগ ভারী কথা শুনলাম। সে বেশ কিছুক্ষণ আমার উত্তরের আশায় রইল। কোন জবাব না পেয়ে চলে গেল। এর পর প্রায়ই সে এখানে আসতো একা একা নিজেই কথা বলতো। আমি চুপচাপ শুধু তাকে দেখতাম । তার সাহস দেখে ভীষণ চমকাতাম ।মেয়েটাকে আমার ভালো লাগতে শুরু করে। প্রতিদিন বিকালে সেই জানালা থেকে তাকে দেখতাম। হঠাৎ এক মেঘলা সন্ধ্যায় বাড়ির মালি তাকে আপত্তিকর ভাবে ছুঁতে দেখলাম।সেহের ছাড়ানো চেষ্টা করছে কিন্তু মালি তাকে বারবার হাত ধরে টানছে । এক সময় সেহের ভয়ে বাড়িতে চলে যায়। আমার মাথায় খুনের নেশা চড়ল। আমার প্রিয় জিনিসের উপর কারো নজর আমার বিন্দু পরিমান সহ্য না। সেদিন রাতে সেই মালি যখন খানা দিতে আসে তার গলায় শিকল পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলি । সেটা ছিল আমার দ্বিতীয় খুন! খুন করেও আমার রাগ দমেনি। তার থেকে চাবি নিয়ে শিকল খুলে বাড়ির কিচেন থেকে ছুরি বের করে কুচিকুচি কাটি। তখনো আমার রাগ দমে নি ।রক্তাক্ত শরীর নিয়ে সেই সাদা বাড়ির দিকে যাই। বাড়ি খালি। পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করে সেহেরের কাছে যাই।আমার রক্তমাখা শরীর দেখে সে ভয়ে জ্ঞান হারায়।আচমকা কারো পেছন থেকে কারো আঘাত লাগায় আমিও জ্ঞান হারাই। এর পর অনেক দিন।হঠাৎ চিটাগাং এক ফাংশনে সেহেরকে আবার দেখি । ততদিনে বছর কেটে গেছে আমার বাচ্চা সেহের বড় হয়েছে।সেহের সেই কম্পিটিশন জিতে।ফাংশন শেষে সেহেরের সাথে তাদের গাড়ির কাছে আসলে দেখতে পাই এক টিচার তাকে অভিনন্দন জানানো বাহানায় ইচ্ছে করে সেহেরকে ছুঁচ্ছে।সেহের সেখান থেকে সরে যেতেই সেই টিচার কাউকে ফোন করে রুমের ব্যবস্থা করতে বলছে ।কাউকে গ্যাং রেপ করার প্ল্যান করছে।সেই দিন সেই টিচারকে খুন করা আমার তৃতীয় খুন । এর পর সেহের আমার নেশা হয়ে দাড়ায় তার থেকে দূরে থেকে তার সবরকম খেয়াল রেখেছি । তার কাছে আসা প্রত্যেককে সরিয়ে দিয়েছি।যা আঁচ ক রতে পেরে সেহেরের বাবা তার বিয়ে ঠিক করে। বিয়ে ঠিক হয় তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাতিজা আদনানের সাথে।যার নেশা থেকে শুরু করে রেপ পর্যন্ত সকল প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত।গার্ল ফ্রেন্ডকে মিথ্যা বলে বেচে দিয়েছে ।সেহেরকে বিয়ে করার একমাত্র কারণ তার বাবার সম্পত্তি । যার সেভেন্টি পার্সেন্ট সেহেরের নামে উইল করা! যা সেহের না জানলেও তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী বেশ ভালো করে জানতো। সেহেরকে আদনানের সাথে দেখলে আমার শরীরের রক্ত জ্বলতো। আমার সেহেরকে অন্যকারো সাথে কি করে সহ্য করতাম? তাই তাকেও হলুদের রাতে মেরে ফেলি।এমন করে সবকিছু তার থেকে দূরে সরিয়ে দেই ।ঢাকা আসার পর তার রূমে আয়নায় ক্যামেরা সেট করি যেন সারাক্ষণ সেহের আমার চোখের সামনে থাকে।তফির , রিয়াদ ,নিতান সবাই তাদের শাস্তি পেয়েছে । আরহামকেও সেহেরকে হার্ট করার অপরাধে কম শাস্তি মিলেনি!
এতো গুলো খুন অপরাধের আমার বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই। সেহেরের অসহায়ত্ব একাত্বিত্বের সুযোগ সবাই নিয়ে চেয়েছে ,আমি ঢাল হয়ে আমার ভালোবাসাকে প্রটেক্ট করেছি । সেহের আমার ,তার উপর একমাত্র অধিকার আমার।”
ভিডিও শেষ হলো।সেহের থম মেরে বসে ।যেইবার সেহের প্রথম আরহামদের বাড়িতে গিয়েছিল তখন সেহের ছোট মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে। তখনকার আবছা স্মৃতি মনে ছিল। টাইফয়েডে স্মৃতি অনেকটাই অস্পষ্ট হয়।আবার ঢাকা আসার পর সেহেরের ছাইরঙা বাড়ি নিয়ে ভীষণ কৌতূহল কাজ করত। কিন্তু সেই বাড়িটায় যাওয়ার সাহস হয়নি।প্রেগন্যান্সির সময় সেই বাড়িটায় থাকলেও তখন অনেক কিছুই পরিবর্তন ছিল। সেহেরের ভাবনা কাটল মিহির ডাকে,” চিটাগাং গেস্ট হাউজেও আরহাম তোমার জান বাঁচাতে সেই লোকটাকে খুন করেছে। সেদিন আরহাম না বাঁচালে তুমি নির্ঘাত মারা যেতে । যাকে মেরেছে সে একজন প্রফেশনাল সিরিয়াল কিলার ছিল।যাকে কেউ হাইয়ার করেছে, তোমাকে মারতে ! ”
সেহের এবার আরো বেশি অবাক হলো । থতমত স্বরে বলল, “আরভিন্দ কে? ”
মিহি ছোট শ্বাস ফেলে বলল,” আরহামের ভেতর বসবাসরত আরেক স্বত্বা! আরহাম মাল্টি পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে ভুগছে । ”
“মানে? ”
“তুমি ইংলিশ মুভি ‘split ‘ তামিল ‘ aprichit’ মুভি তো অবশ্যই দেখেছ?”
সেহের হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়াল।মিহি বলল, “আরহামের সেই একই মেন্টাল ডিসঅর্ডার ! আরহামের ভেতর দুই স্বত্বার বসবাস! ”
“কিন্তু বাস্তবে এমন কি করে সম্ভব? ”
“কেন সম্ভব না? ”
মিহি ল্যাপটপ ঘেটে কিছু বের করল সেহেরকে তা দেখিয়ে বলল, ” শৈশবে কোন দুর্ঘটনা ,ভয়ংকর ঘটনা যৌন হয়রানি বা চোখের সামনে ঘটা দুর্ঘটনা থেকে এই রোগের বিকাশ হয়ে থাকে। প্রতিবাদ করতে না পেরে ভেতরে ভেতরে এক ক্ষোভের জন্ম হয়। সেই ক্ষোভটা দ্বিতীয় অন্য কোন স্বত্বা হয়ে বেরিয়ে আসে। যা রোগী নিজেরও অজানা থাকে।তা কতক্ষণ থাকে তা বলা দুষ্কর । কিছু সময় কিছু দিন বা বছরের জন্যও রোগীর মাঝে দ্বিতীয় স্বত্বা আগমন ঘটে । সাধারণত বাংলাদেশে এটা ভূত ভর করেছে বলে কাটিয়ে দেয়।কিন্তু বৈজ্ঞানিক ধারণায় এটা মানুষিক রোগ। কারো কারো মাঝে একদুবার আসে কারো মাঝে সারাজীবনের জন্য থেকে যায়। একজন ব্যক্তির মাঝে শত স্বত্বাও বসবাস করা সম্ভব । এই অবধি পৃথিবীতে একজনের ভেতর ৮৮ ব্যক্তিত্বের বসবাস পেয়েছে । আরহামও তেমন একজন । ছোট বেলা বাবা মায়ের মৃত্যুর ক্ষোভ তার ভেতর নতুন স্বত্বা র জন্ম দিয়েছে।যার নাম আর্ভিন্দ । আর্ভিন্দ আরহামের ভেতর আরেক স্বত্বা যে আরহামকে নিয়ন্ত্রণ করে।সব খুন আর্ভিন্দ নামক সেই স্বত্বা করেছে যা আরহামের অজানা। আরহাম নিজের রোগকে ধরতে পেরে আমাদের কাছে কানাডা আসে। দেশে চিকিৎসা তেমন উন্নত নয়। আর রিস্কিও। আরহাম রাজনীতিবিদ ,খবর লিক হলে বড় ঝামেলা হবে। আরহাম তোমাকে তখন ইচ্ছে করে এড়িয়ে গেছে কারণ সে চায়নি তার দ্বিতীয় স্বত্বা তোমাকে কোনপ্রকার আঘাত করুক । আর্ভিন্দ ভীষণ হিংস্র। কিন্তু তার হিংস্রতা অযুক্তিক নয়। সে তাদের শাস্তি দিয়েছে যারা শাস্তির যোগ্য । নিজের চোখের সামনে মায়ের সাথে রেপ হতে দেখে আরহাম তা মানতে পারেনি।তাই আর্ভিন্দ হয়ে তোমাকে প্রটেক্ট করেছে যেন তুমি একইভাবে শিকার না হও।মানছি আরহাম অপরাধি কিন্তু তার ভালোবাসা তোমার জন্য শত ভাগ শুদ্ধ! আর্ভিন্দ হোক বা আরহাম দুই স্বত্বা- ই তোমাকে ভালোবাসে । একমাত্র তুমি আরহামকে সুস্থ রাখতে পারো । তুমি ছাড়া ওর জীবনে কেউ ছিল না। হি লাভ’স ইউ ম্যাডলি। তোমার ব্যাপারে সে ভীষণ পজেসিভ। হি ইজ ওয়ান ওম্যান ম্যান! তুমিহীনা অন্যকারো মোহ তাকে ছোঁয় না! ”
সব শুনে সেহের পাথর হয়ে বসে । চোখের জল গাল বেয়ে পরছে।এই শ্বাস রুদ্ধ অনুতাপ থেকে মৃত্যু শ্রেয় । এখন সে কি করে আরহামের সামনে দাঁড়াবে?
মিহি বলল, “জানতে চাইবেনা এই পাঁচবছর আরহাম তুমি ছাড়া কেমন ছিল? ”
সেহের উত্তর দিলো না।মিহি তিনবছর আগের ভিডিও অন করল….
চলবে …❣️
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । প্লিজ সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊।