বৈবাহিক চুক্তি পর্ব-৭

0
3026

#বৈবাহিক_চুক্তি
#লিখাঃ Liza Bhuiyan
#পর্বঃ৭

কান্নারত মেয়েটিকে দেখে সায়ানের খুব মায়া হলো যাকে অন্তরের অন্তস্থঃতল থেকে মায়া, মেয়েটির দিকে হাত বাড়িয়েও কিছুটা দমিয়ে বলে উঠলো

“তোমাকে যে কি দেখে চুজ করলো আমি ভেবে পাচ্ছিনা, আই ফিল স্যাড ফর ইউ রিয়ালি স্যাড”

“মা..মানে?কি বলতে চাইছো তুমি? ” বলেই সায়ানের দিকে হাত বাড়াতেই ও কয়েকপা সরে গেলো।

“তোমরা মেয়েরা বুঝো না তাই না যে আমি তোমাদের মত গায়ে পড়া মেয়েদের দেখতে পারিনা, আমার বউ আর যাইহোক তোমার মতো ছেঁচড়া না।এক মিনিট সময় দিচ্ছি নিজের সবকিছু নিয়ে চলে যাও। তোমার ভাগ্য ভালো তুমি মেয়ে আর মেয়েদের গায়ে হাত তুলি না, নাহয় তোমাকে সায়ান জামিল খানের সামনে দাঁড়িয়ে নাটক করার সাহস গুচিয়ে দিতাম ”

মেয়েটি দ্রুত বেরিয়ে যেতে নিলে সায়ান পেছন থেকে বলে উঠে ” তোমার ওই কাপুরুষ বস কে বলে দিও খুব শিগ্রই আমাদের সামনা সামনি দেখা হচ্ছে, টেল হিম টু বি প্রিপেয়ার্ড আদারওয়াইজ…” ভিলেনমার্কা হাসি দিয়ে বললো।

মেয়েটি চলে যেতেই সাহিল ভেতরে ঢুকে বললো ” বস মেয়েটি চলে গেলো যে? ”

“ও আমার বউ না সাহিল, আমার বউ আর যাইহোক এমন না”

” এতো শিওর হলেন কি করে? মেয়েটি ওইদিন রাতের অনেক কিছুই জানে”

” এক্সেকলি অনেক কিছু জানে তাইতো ওভার কনফিডেন্স হয়ে ভুল করেছে।প্রথমত, আমার বউ ওর মতো গায়ে পড়া না, প্রথম দিনেই বুঝে গেছি যে ও অন্য মেয়েদের মত আমার সাথে ওইভাবে কথা বলবে না। দ্বিতীয়ত, আমি ওর কণ্ঠ খুব ভালো করে চিনি যেটা এই মেয়ের মতো না।আর শেষ মতে ও আনিকা নয় ওর নাম হচ্ছে রু.শা.নি, ওর নাম রুশানি। কাজি যখন নাম বলেছিলো আমার এই নাম মনে গেঁথে গেছে তাই আমার বউয়ের নাম ভুলে যাবো এটা কখনো হবে না আর এক্টিং লেভেল যা বাজে যে কেউ ধরতে পারবে ”

” কিন্তু বস ফোনে ওই লোকটি যে বললো ও ম্যাডাম কে চিনে ”

” আমাকে ভয় দেখানোর জন্য ভুল বলেছে, যেখানে আমিই খুজে পায়নি সেখানে তার খুজে পাওয়ার প্রশ্নই আসে না, সে চায় আমি যাতে রুশানিকে খুজে বের করার জন্য মরিয়া হই আর খুজে পেলে সে আমার দূর্বলতার সুযোগ নিবে যেমন ভিলেন রা নেয় , হাহা হাহা ব্লাডি থার্ডক্লাশ প্ল্যান ও তো জানে না যে আমি কোন হিরো নই। আমি এই গল্পের ভিলেন যে খেলার রুলস তৈরি নিজে আর জিতেও। এন্ড আই উইল উইন ইন দিস গেম ফর শিউর ”

” ইয়েস বস, আমি আপনার পাশে আছি ”

“তাইতো ভরসা পাই সাহিল, তুমি আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ” কাধে হাত রেখে, চলো ম্যাডামকে দেখে আসি, না জানি সকালে মুখ দেখে কি করেছে হাহা

” বস আপনি তাহলে ওই মুস একে দিসেন? সকালে সেই লেভেলের চেতে গেছিলো পরে আমাকে দেখে ওয়াশরুমে চলে গেছে হাহা ”

” মেয়েটাকে দেখলে রাগি মনে হয় কিছুটা রুশানির মতো ” রুশানির কথা মনে পড়লেই বুক চিরে দীর্ঘনিঃশ্বাসেরা বের হয়, কবে ফিরে তার শ্রেয়সী তার বুকে! বড্ড মন খারাপ হয় তাকে ছাড়া।এই মন খারাপটা বড্ড কঠিন একটা অসুখ। যখন মন খারাপেরা হানা দেয় তখন বিরক্তি নামক শব্দটিও যেন আস্ত বিরক্তিতে পরিণত হয়, এই বিরক্তি দূর কোন স্বচ্ছ হাসিতে যে হাসিটা সে চার বছর ধরে খুজে বেড়াচ্ছে। এই আঠাশ বছর জীবনে প্রাপ্তির শেষ নেই তবে দিনশেষে সে শুন্য আর একা বড্ড একা।

কয়েকদিন পর, রুশি রুহানকে ডিসচার্জ করে পরেরদিন কিছু না বলেই চলে এসেছিলো কিন্তু এভাবে চলে আসটা ওর ভালো লাগেনি। এটলিস্ট উপকারের জন্য থ্যাংকস বলা উচিৎ তার। আর খালি হাতে থ্যাংকস বলা যায় না তাই একটা চাবির থোকা কিনেছে কে জানে পছন্দ হবে কিনা! সাহিল থেকে ঠিকানা নিয়ে সায়ানের বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলো রুশি।

#চলবে

( স্যরি এতটুকুই লেখা হয়েছে আর লিখার টাইম পায়নি কারেন্ট ছিলো না তাই । কাল বড় করে দিবো ইনশাআল্লাহ। স্যরি ওয়ান্স এগেইন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here